বিষয়ঃ ময়নাতদন্তে=খগেনিজম/নষ্টাকিজম
লিখেছেনঃ এম ডি আলী
(ভূমিকা)
সময় নিয়ে শেষ পর্যন্ত পড়ুন যদি আপনি সত্যসন্ধানী হন । খগেনদের অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে যে আপনি যদি মনে করেন এই লেখা পড়লে আপনার নাস্তিক ধর্মের বিশ্বাস দুর্বল হয়ে যেতে পারে তাহলে এই লেখা আপনি পড়বেন না, তবে আপনার নাস্তিক ধর্মের লুকিয়ে রাখা গোপন সত্য জানতে চাইলে অবশ্যই এই লেখা আপনাকে "নাস্তিক ধর্ম" নিয়ে নতুন ভাবে চিন্তা করতে বাধ্য করবে । আপনার নাস্তিক ধর্ম বিশ্বাসের বিপক্ষে "সত্য" গেলেও আপনি সেটি সাথে সাথে মেনে নিবেন ? যদি আপনার উত্তর "হ্যাঁ" হয় তাহলে অবশ্যই মনোযোগে দিয়ে শেষ পর্যন্ত পড়ুন যদি আপানার উত্তর "না" হয় তাহলে এরকম অন্ধ বিশ্বাসীদের জন্য আমার সমবেদনা আর আমাকে গালাগাল দিলে যদি আপনার নাস্তিক ধর্মের মানবতা প্রচার হয় তাহলে এখানেও আমার কোন কথা নেই ! বাকি কথা চিন্তাশীল সভ্য মানবের জন্য রেখে দিলাম ।
আপনি আমার লেখার রেফারেন্স চেক করেন , বিশুদ্ধ ইতিহাস ঘাঁটেন এবং মুক্তমনে নিজেকে প্রশ্ন করে ভাবুন কেন আপনার নাস্তিক সাথীরাই আপনার থেকে এসব তথ্য গোপন করেছে , কেন তারা এসব মানুষদের জানায় না, খগেনিজম দিয়ে যে নীতিনৈতিকতা তৈরি করা যায় না এটি কেন তারা গোপন করে ? কেন তারা কমিউনিস্ট নাস্তিকদের তৎকালীন বর্বর ইতিহাস মানুষের কাছে লুকিয়ে রাখে, তৎকালীন নারীদের সাথে যে ভয়াবহ আচরণ নাস্তিকর ধর্মের বিশ্বাসীরা করেছিল এবং এখনো করে এইগুলা কেন সবার সামনে আনা হয় না , কেন ?
নিজেদের "নাস্তিক ধর্মে" মানবতার ছাতামাথাও নেই আবার এই লুলা মতবাদ দিয়ে আসছে ইসলামের আইনকে ভুল প্রমান করতে ! হাঁসতে আপনাকে কেউই মানা করে নাই তাই মন খুলে হাঁসুন ।
এই লেখা সমূহ পাঠ করলে আপনি "নাস্তিক ধর্ম" সম্পর্কে পুরাপুরি একটি জ্ঞান লাভ করতে পারবেন আর মজার কথা হল "নাস্তিক ধর্ম" সম্পর্কে স্বয়ং নাস্তিকরা জানুক এটা বড় খগেনরা চায় না কেননা তারা চায় নাস্তিকরা ইসলামের সমালোচনা নিয়েই মেতে থাকুক এতে নাস্তিক ধর্মের ভয়ংকর ইতিহাস তারা জানতে পারবে না এবং তারা "নাস্তিক ধর্মও" ছেড়ে চলে যাবে না । তাই আমার এই লেখা পুরাটা পড়ুন অনেক কিছুই জানতে পারবেন ।
={ নাস্তিকতা কেন ধর্ম ? }=
আমরা সবাই জানি ধর্ম শব্দের শাব্দিক অর্থ হল ধারন করা । আপনি যা ধারন করবেন সেটাই হবে আপনার ধর্ম । নাস্তিক্য মতবাদ বা বিশ্বাস যে নাস্তিকরা বিশ্বাস করে বা ধারন করে এই ক্ষেত্রে নাস্তিকতাও একটি ধর্ম প্রমানিত হচ্ছে । যদি কেউ বলে যে নাস্তিকতা কোন ধর্ম না । এরমানে দাড়ায় নাস্তিকতাকে তারা ধারন করে না , যেহেতু তারা নাস্তিকতাকে ধারন করে না তাহলে কিভাবে তারা নাস্তিক হয় ? আমার বুঝে আসে না । নাস্তিক অনুসারীরা স্বীকার করতে চায় না যে "নাস্তিকতাও একটি ধর্ম" কারন একে ধর্ম বলে স্বীকার করলে তাদের এই লুলা মতবাদের যে বেহাল দশা সেটি বিবেকবান মানুষ সহজেই বুঝে যাবে এবং এই নাস্তিক ধর্মে যে যুক্তি আর বিজ্ঞানের নাম করে মানুষকে ভ্যাজাল বয়ান শুনিয়ে আসছে সেটি চিন্তাশীল মানুষ স্পষ্ট করেই বুঝে যাবে তাই তারা একে ধর্ম বলে স্বীকার করতে চায় না।
যৌক্তিক দৃষ্টিভঙ্গিঃ ধর্ম মানে ধারন করা - নাস্তিকতা নাস্তিকরা ধারন করে - সুতরাং নাস্তিকতা একটি ধর্ম । যদি এর বিপরীত হয় যেমন ধর্ম মানে ধারন করা , নাস্তিকতা কোন ধর্ম না তাহলে নাস্তিকরা যেহেতু তাদের নাস্তিকতাকেই অবিশ্বাস করে সুতরাং নাস্তিকদের কাছেই নাস্তিকতা মূল্যহীন । আমাদেরকে কেন নাস্তিক ধর্মের দাওয়াত দেন খগেন হুজুর ?
Pan-Islamism and Bolshevism, page: 416 - 417: লেলিনের মৃত্যুর পর মে, ১৯২৯ সালে নাস্তিকতাকে সোভিয়েত ইউনিয়নের "রাজ ধর্ম" অর্থাৎ "রাজকীয় ধর্ম" বলে ঘোষণা করা হয় এবং নাস্তিকদের নিজেদের মত প্রচার করার একচেটিয়া অধিকার দিয়ে একটি রাজকীয় ফরমান (বিধান) জারি করা হয় । অতএব সোভিয়েত সরকার দ্রুত শিক্ষা সচিবকে ধর্মহীনতা প্রচার করার একটি নতুন "ইনস্পেটকর" বিভাগ খোলার নির্দেশ দেন । এই বিভাগের কাজ ছিলঃ নতুন নতুন বিধান সর্বত্র চালু করা , গির্জার স্বাধীনতা খর্ব করা এবং কোন প্রকার ধর্ম বিষয়ক প্রচারণা যাতে কেউ চালাতে না পারে।
OXford Advancrd Learnera Dictionary অনুযায়ী একজন নাস্তিকদের একটা বিশ্বাস আছে আর সে বিশ্বাস হল "স্রষ্টা নেই" এই বিশ্বাস।
={কমিউনিজম এবং নাস্তিকতা একই জিনিস}=
নাস্তিকতাই মার্ক্সবাদের প্রান, নাস্তিক না হওয়া পর্যন্ত মার্ক্সবাদ বুঝা যায় না । লেনিনের "Religion" বইয়ের শুরুতেই সে বলেছেঃ নাস্তিকতা মার্ক্সবাদের স্বাভাবিক এবং অপরিহার্য অঙ্গ । নাস্তিকতা ছাড়া মার্ক্সবাদ কিছুতেই বুঝা যেতে পারে না ।
লেনিনের "Religion" page 19 এ বলেন ধ্বংস করো ধর্মকে , দীর্ঘজীবী হউক নাস্তিকতা, নাস্তিকতার প্রচারনাই আমাদের প্রধান কর্তব্য ও আসল বড় বিষয় ।
Hewlett Jahnson তার "Soviet Strength" বইতে উল্লেখ করেছেন ১৯৩৭ খৃষ্টাব্দে "স্টেলিন- কনস্টিটিউশনের "১২৪ ধারায় লিখিত আছেঃ ধর্মের বিরুদ্ধে প্রচার করায় বাধা নেই কিন্তু ধর্ম সম্পর্কে প্রচার করায় বাধা আছে ।
"Religion" by lenin , page 21 এ বলা আছেঃ মার্ক্সবাদী হতে হলে তাকে জড়বাদী হতেই হবে অর্থাৎ তাকে হতে হবে ধর্মের শত্রু ।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক বিশিষ্ট গবেষক ও চিন্তাবিদ ড হাসান জামান তাঁর "কমিউনিস্ট শাসনে ইসলাম" বইয়ের ১২ পৃষ্ঠায় উল্লেখ করেছেনঃ আনাতোল লুনাকারস্কী বলেন কমিউনিস্ট রাশিয়ায় শিক্ষককে নাস্তিক হতেই হবে । এ সামাজিক ব্যাবস্থায় ধর্ম বিশ্বাসী শিক্ষকদের কথা চিন্তাই করা যায় না ।
অধ্যাপক ড হাসান জামান তাঁর "কমিউনিস্ট শাসনে ইসলাম" বইয়ের ৩৮ এ "karl marx:Selected Works.English Edition, page 435" রেফারেন্স উল্লেখ করে বলেন কার্ল মার্ক্স বলেছেনঃ আমাদের কাছে এই জড়জগৎ ছাড়া আর কোন সত্তা নেই ।
অধ্যাপক ড হাসান জামান তাঁর "কমিউনিস্ট শাসনে ইসলাম" ৩৯ পৃষ্ঠায় এই রেফারেন্সে লেখেন বুহারির প্রয়োব ব্যাযেনস্কী তার "ABC of Communism" শীর্ষক বইতে লেখেন যে কমিউনিস্ট ধর্মে বিশ্বাস করে তার সঙ্গে কমিউনিজমের কোন সংযোগ থাকতে পারে না ।
কমিউনিস্ট নাস্তিক অনুসারীদের বর্বরতা দেখে বর্তমানের মডার্ন খগেনরা কমিউনিজমকে নাস্তিক ধর্ম থেকে আলাদা ব্যাখ্যা দিতে চান কিন্তু ইতিহাস চেক করলে ক্লিয়ার ধরা পরে কমিউনিজম যদি বাপ হয় পিতা হয় নাস্তিকতা ! সুতরাং কমিউনিজম এবং নাস্তিকতা একই তাই এদেরকে আলাদা করার কোন মিথ্যাচারের সুযোগ নেই ।
={নাস্তিক ধর্মের বিশ্বাসমালা}=
১/ স্রষ্টা বলে কেউই নেই । সব কিছুই নিজে নিজে শুন্য থেকে এসেছে ।
২/ মানুষের পূর্ব পুরুষ আগে চতুষ্পদ জানোয়ার ছিল ।
৩/ মন যা চায় তাই করা যাবে কোন পাপ পুণ্য বলে কিছুই নেই ।
৪/ দুনিয়াকে শুধু মজার জন্য উপভোগ করুন অত ইসলামের আইন কানুন মানা যায় না সেগুলা ভাল না নাস্তিকতাই সেরা !
৫/ নাস্তিক মায়ের সাথে নাস্তিক সন্তান সংগম করতে পারবে যদি উভয়ের সম্মতি থাকে ।
৬/ নাস্তিক বাবা তার নাস্তিক ছেলের সাথে সমকামিতাও করতে পারবে যদি উভয়ের সম্মতি থাকে ।
৭/ নাস্তিক মা তার নাস্তিক মেয়ের সাথে সম্মতিতে লেসবিয়ান হতে পারবে ।
৮/ ইসলাম নিয়ে গালাগালি, মিথ্যাচার এবং বিজ্ঞানের নামে কুরআন হাদিসের ভুল ব্যাখ্যা করা যাবে এটি ব্যাক্তিস্বাধীনতার অংশ ।
৯/ কোন মুসলিমই ভাল না কারন তারা ইসলাম মানে ।
১০/ নাস্তিকরা মুসলিমদের ঘৃণা করে এবং এটাও বিশ্বাস করে ইসলাম মানার ফলে মুসলিমদের ব্রেনে নাকি বিষাক্ত ভাইরাস জন্ম হচ্ছে ।
১১/ কোন নাস্তিক কেউ কারো অধিকারে বাধা দিবে না । যা ইচ্ছা করতে পারবে ।
১২/ নাস্তিক নারীরা বিকিনি পড়তে পারবে এমনকি চাইলে লেংটা হয়েও সব জাগায় চলাফেরা করতে পারবে কেউই তার এই স্বাধীনতায় বাধা দিবে না কিন্তু বোরখা বা নিজের শরীর ঢেকে রাখতে পারবে না এটি নাস্তিকতার বিশ্বাস অনুযায়ী কুসংস্কার ।
১৩/ নাস্তিক পুরুষরা জাইঙ্গা পরেও থাকতে পারবে ইচ্ছা করলে জামা কাপড় পরিধান করবে না তবে জুব্বা পাঞ্জাবী এসব না পরাই ভাল কারন এসব বর্বরতা বলে চিহ্নিত করে নাস্তিক ধর্ম অনুযায়ী ।
১৪/ নাস্তিক সন্তানের কোন কাজে নাস্তিক পিতা বাধা দিবে না , পিতার কাজে মাতা বাধা দিবে না আবার মাতার কাজে কেউই বাধা দিবে না । যা ইচ্ছা করতে পারবে । কেউ বাধা দিলে তাকে ব্যাক্তি স্বাধীনতা বিরোধী হিসেবে ফতোয়া দেয়া হবে, সে সহিহ নাস্তিক না । মুনাফিক নাস্তিক।
১৫/ জীবনের কোন উদ্দেশ্য নাই , আমরা এখানে শুন্য থেকে হুদাহুদি এসেছি আবার হুদাহুদি চলে যাব ,মাঝখানে নাস্তিক সমাজ গাঞ্জা বিড়ি ইয়াবা নামক খাবার খেয়ে আনন্দ করতে পারলেই সার্থকতা ! যেহেতু পাপ পুণ্য বলে কিছুই নেই ।
১৬/ পরকাল বলে কিছুই নাই , সেখানে কোন বিচার হবে না । দুনিয়ার আইনে যেসব বিচার সম্ভব না তাদের বিচার কে করবে এই প্রশ্নের জবাব নাস্তিকতায় করা যাবে না করলেো উত্তর তারা দিতে পারে না ।
১৭/ নিজের পালিত পশুর সাথে সংগম করা যাবে কিন্তু শর্ত হল পশুকে কষ্ট দেয়া যাবে না ।
১৮/ সম্মতি থাকতে যার সাথে ইচ্ছা তার সাথেই সংগম করা যাবে । এখানে ইসলামের মত কোন বাধা নিষেধ নাই ।
১৯/ পুরুষ নাস্তিকরা বাল বিশাল রাখতে পারবে , বগলের বালও বিশাল রাখতে পারবে কিন্তু ইসলামের স্টাইলে দাড়ি রাখতে পারবে না, মোসও রাখতে পারবে না কিন্তু ইসলাম নিষেধ করে এমন স্টাইলে দাড়ি ও মোস এমনকি সব করা যাবে ।
২০/ ইসলাম যা করতে বলে নাস্তিকরা সেটা করবে না ।
২১/ নাস্তিক হতে হলে ইসলামের বিরোধিতা বাক স্বাধীনতার নামে করতেই হবে কিন্তু কোন মুসলিম যদি "নাস্তিক ধর্ম" নিয়ে সমালোচনা করে তাহলে সেই মুসলিমকে নিয়ে বেঙ্গ বিদ্রূপ করা যাবে তাকে সম্মান দেয়া যাবে না কারন সে মুসলিম ।
=(নাস্তিক ধর্মে পরিবার নীতিমালা)=
১/ কারো নাস্তিক সন্তান যদি মদ গাজা ইয়াবা ইত্যাদি নেশা দ্রব্য সেবন করে তাহলে তার নাস্তিক পিতা মাতা তার এই স্বাধীনতার বিরুদ্ধে কেন অবস্থান নিবে ?
২/ নাস্তিক ছেলে যদি বড় হয়ে তার পিতা মাতাকে দায়িত্ব না নিয়ে বরং সম্পর্ক ত্যাগ করে তাহলে সে কিভাবে অন্যায় করল ?
৩/ একটি নাস্তিক পরিবারের মা যদি চায় সে পতিতা করে অর্থ উপার্জন করবে এটি কি নাস্তিক ধর্মে বৈধ ?
৪/ যদি নাস্তিক পরিবারে পিতা চায় সে পর্ণ বিজনেস করে টাকা উপার্জন করবে এখানে নাস্তিক ধর্ম কি বলে ? এবং তার নাস্তিক পরিবার ধরে নিলাম অনুমতিও দিয়েছে এখানে আপনি নাস্তিক কি একমত হবেন ? আর তারা কিভাবে অন্যায় করেছে বলুন , একটি যুক্তি দিন তো কেন সেটি খারাপ ?
৫/ একটি নাস্তিক সন্তান কেন তার নাস্তিক পিতা মাতার কথা উপদেশ শুনতে বাধ্য ?
৬/ নাস্তিক সন্তান কেন তার নাস্তিক পিতা মাতার সাথে সম্মান দিয়ে কথা বলতে বাধ্য ?
৭/ একটি নাস্তিক পরিবারে যদি সন্তানের সেক্স পাটনার চায় সে পিতা মাতার সাথে থাকবে না আবার ছেলের মা চাইলো সেই মেয়েকে যেন ছেলে ত্যাগ করে এই ক্ষেত্রে নাস্তিক সন্তান কি করবে , মায়ের কথা মানবে নাকি ঐ ছেলের সেক্স পাটনারের কথা মানবে ? ছেলে তাদের দুই জনের কথাই মানতে বাধ্য কেন ? মায়ের কথা না মানলেই বা নাস্তিক ধর্মের ক্ষতি কিসের ?
৮/ নাস্তিক ছেলের স্ত্রী রাতে ইচ্ছা করলে নাস্তিক শ্বশুরের সাথে সম্মতিতে সংগম করতে পারবে ? আপনি যদি না করেন তাহলে আপনার কথা মানার জন্য সেই নাস্তিক পরিবার কেন বাধ্য কারন সেটি তাদের ব্যাক্তি স্বাধীনতা নয় ?
৯/ নাস্তিক ধর্মে একটি পরিবার কিভাবে চলবে ?
১০/ নাস্তিক পরিবারের অর্থনৈতিক দায়িত্ব কে নিবে, কেন নিবে ? পরিবারের নিয়ম কানুন কেন থাকতে হবে ? যদি পরিবারের আইন কানুন না থাকে তাহলে একটি কুকুরের আর নাস্তিক পরিবারের মাঝে পার্থক্য কি কি এবং কেন ?
১১/ পরিবারের নিয়ম কানুন কেন ঠিক করবে , যেই ঠিক করুন তার কথা মানতে অন্য নাস্তিকরা কেন বাধ্য হবে ?
=(নাস্তিক ধর্মে সমাজ নীতিমালাঃ)=
১/ সমাজ কিভাবে চলবে ?
২/ সমাজের নেতা থাকবে কি থাকবে না অথবা সমাজে কেন নেতা থাকতে হবে না হলে কেন থাকতে হবে না ?
৩/ নাস্তিক সমাজের আইন কানুনের ভিত্তি কেমন হবে ?
৪/ নাস্তিক সমাজের জন্য ক্ষতিকর কি কি এবং এই ক্ষতি নির্ণয়ের মানদণ্ড কেরকম হবে, কিভাবে পালন করা হবে ?
৫/ আপনি নাস্তিক হিসেবে যেই আইন কানুন দিবেন এটি কেন একজন নাস্তিক অনুসারী এবং মুক্তমনা হয়ে সে কেন আপনার উত্তর মানতে বাধ্য হবে? যদি তারা আপনার কথা না মানে তাহলে আপনি নিজেই বা কেন উত্তর দিচ্ছেন ?
৬/ মুক্তমনা , বাক স্বাধীনতা , ব্যাক্তি স্বাধীনতা দিয়ে সমাজের নিয়ম নীতি আনলে পরস্পর বিরোধ হল না ? "স্বাধীনতা" এখানে নাস্তিক ধর্মের আইন কানুন আনলে পরস্পর বিরোধ হল কেন ? অথবা মুক্তমনা , বাকস্বাধীনতা , ব্যাক্তি স্বাধীনতা মাঝে আইন কানুন থাকে তাহলে কিভাবে একজন নাস্তিক "মুক্তমনা স্বাধীন হতে পারে", হতে পারে ?
৭/ একজন নাস্তিক "মুক্তমনা" একই সাথে সমাজের নিয়ম কিভাবে মানবে ?
৮/ বিবর্তনবাদ বিশ্বাস অনুযায়ী একজন মানুষ আর চতুষ্পদ জানোয়ার একই তাহলে পশুর নিয়ম না থাকলে কিভাবে নাস্তিক মানুষরুপি প্রাণীদের নিয়ম কানুন থাকতে পারে ?
৯/ নাস্তিক সমাজে একজন নারীর দায়িত্ব কি কি এবং কেন থাকতে হবে ?
১০/ নাস্তিক সমাজে একজন পুরুষের দায়িত্ব কি কি এবং কেন থাকতে হবে ?
=(নাস্তিক ধর্মে রাষ্ট্রনীতিমালাঃ)=
১/ কিভাবে ও কিসের ভিত্তিতে নাস্তিক ধর্মে রাষ্ট্র নীতিমালা তৈরি করা হবে ?
২/ যদি বিবেক ও যুক্তির উপর ভিত্তি করে রাষ্ট্র পরিচালনার নীতিমালা ঠিক করা হয় তাহলে এই আইন মানতে সমগ্র নাস্তিক অনুসারীরা বাধ্য কেন ?
৩/ নাস্তিক ধর্মে সরকার প্রধান কিসের উপর ভিত্তি করে নির্ণয় করা হবে ?
৪/ নাস্তিক সরকার যদি চায় সে তার মৃত্যুর আগ পর্যন্ত সরকার প্রধান থাকবে এটি তার স্বাধীনতা, আপনি মেনে নিবেন কিনা ? যদি না মানেন তাহলে তাকে সরকারই বা বানালেন কেন ? তার ক্ষমতা ব্যাবহার করার অধিকার তার আছে আর আপনি কেন তার এই অধিকারের বিরুদ্ধে যাবেন ? নাস্তিক ধর্ম কি সমাধান দেয় ?
৫/ নাস্তিক ধর্মে যুদ্ধর নীতিমালা কেমন হবে ?
৬/ ধরুন নাস্তিক ধর্মের একটি দেশ আছে । এখন সেই দেশে যুদ্ধ হয়েছে , যুদ্ধে নাস্তিকরা জয় হয়েছে । এখন যারা নাস্তিক দেশে আক্রমণ করেছিল তাদের অনেক নারী পুরুষ বেঁচে আছে , এদের সাথে কি করা হবে এবং কেন করা হবে ?
৭/ নাস্তিক রাষ্ট্রে যুদ্ধে বন্দী করা নারীদের সাথে কি কি করা যাবে এবং কি কি করা যাবে না এবং কেন ?
৮/ যুদ্ধে বন্দী নারী ও পুরুষদের জেলে আটকে রাখলে তারা পচে পচে ধুকে ধুকে মারা যাবে এদের জন্য নাস্তিক ধর্ম কি বিধান রেখেছে? এদের সামাজিক অধিকার কিভাবে বাস্তবায়ন করা হবে ? এদের যৌন অধিকার কিভাবে দেয়া হবে ? এদেরকে রাষ্ট্রে কিভাবে অর্থনৈতিক কাজে ব্যাবহার করা যাবে ? নাস্তিক ধর্ম দিয়ে সমাধান দিন তো ?
৯/ যুদ্ধে বন্ধী পুরুষদের সাথে কেরকম আচরণ করা হবে এবং কেন ?
১০/ যদি যুদ্ধে বন্দী নারী পুরুষকে ছেড়ে দেয়া হয় তাহলে তারা এক সাথে হয়ে আবার নাস্তিক দেশে আক্রমণ করতে পারে এই ক্ষেত্রে সমাধান কি ? তাদেরকে সবাইকে কি হত্যা করা হবে নাস্তিক ধর্মে ?
={নাস্তিক ধর্মে নারীদের অবামাননা এবং অপরাধের মাত্রা}=
নাস্তিক ধর্মের দেবদূত ডঃ হুমায়ূন আজাদ তার "আমার অবিশ্বাস" বইয়ের ১৫২ পৃষ্ঠা বলেছেনঃ আরও কিছু কাল আমি নক্ষত্র দেখতে চাই, নারী দেখতে চাই, শিশির ছুতে চাই । উনি আসলে কিভাবে নারীদের দেখতে চান সেটা বিস্তারিত ব্যাখ্যা পাবেন "আমার অবিশ্বাস" বইয়ের ১৫ পৃষ্ঠায় তিনি বলেছেনঃ যখন শিশু ছিলাম,কিশোর হয়ে উঠেছি যখন,তখনও আমি সব কিছু চুষে দেখতে চেয়েছি, আজো অনেক কিছু চুষে আর চেখে দেখতে ইচ্ছা করে । ছেলেবেলা ভরে ইচ্ছে হতো চুলোর লাল আগুনের টুকরো গুলোকে চুষে দেখতে,ওগুলো লাল গোলাপের থেকেও লাল হয়ে জ্বলজ্বল করতো, সূর্যাস্তকেও চুষে স্বাদ নিতে ইচ্ছা হতো, কয়েক বছর আগে সারা সন্ধ্যা চুষতে চিবুতে ইচ্ছে হয়েছিল চুইংগামের মতো এক তরুণীকে ।
ড রাফান আহমেদ তার "অবিশ্বাসী কাঠগড়ায়" ২১১ এবং ২১২ পৃষ্ঠায় "Violent sexual crimes recorded in the Eu.Eurostat" সূত্রে বর্ণনা করেছেনঃ ইউরোস্টেট জানায় ২০১৫ সালে প্রায় ২১৫০০০ সহিংস যৌন অপরাধ সংঘটিত হয়ঃ যার মাঝে ৮০% অধিক হল ধর্ষণ । তালিকায় প্রথমেই আছে ইংল্যান্ড এবং ওয়েলস, দ্বিতীয় সাথে আছে জার্মানি তারপর ফ্রান্স , সুইডেন । "Euronews,24 November,2017" সূত্রে আরেক পরিসংখ্যানে সুইডেন দ্বিতীয় স্থানে অবস্থান করছে । সুইডেন নাস্তিক প্রধান দেশ হওয়াতে নাস্তিক পাড়ায় এর খুব সুনাম শোনা যায় । কিছু কিছু নাস্তিক ধর্মের অন্ধ বিশ্বাসী বলতে চেয়েছিলেন নাস্তিক হওয়ার পরও সুইডেন নাকি স্বর্গসম দেশ, কোন ক্রাইম নাই! কিন্তু গবেষণার পরিসংখ্যান তথা "The Independent,7 january2016" সুত্র কিন্তু ভিন্ন কথা বলছে , পুরো ইউরোপের মাঝে সুইডেন ও ডেনমার্ক যৌন হয়রানির তালিকায় শীর্ষে অবস্থান করছে ।
বহুবিবাহ, শিশু বিবাহ ও স্ত্রীর প্রতি অপব্যাবহারের বিষয়ে কমিউনিস্ট পার্টির হোমরাচোমরা কর্মচারীরা রেকর্ড স্থাপন করেছিল । "Pravda Vostoka, june 1955 and march 1956" - পত্রিকায় এই কথার প্রমান মেলে । উজবেকিস্থান রেলওয়ের কর্মচারী তখতো মুরাদ ইকরামভ কমপক্ষে ৬ টি বিবাহ করেছিল ও সে তার কোন কোন স্ত্রী ও শিশুকে পথে বসিয়েছিল । কমিউনিস্ট আভেযভ ২ বছরে ৬ টি নারীকে বিবাহ করে আবার তালাকও দিয়েছিল । এবং "Turk Mens Kaya iskra, 5 january 1956" সুত্র থেকে জানা যায় তুর্কমেনিয়ার আইনাযারভেবও বহু স্ত্রী ছিল এবং "ইজভেস্তিয়া,২৫ নভেম্বর, ১৯৪৫" সূত্রে তৎকালীন ছোট ছোট মেয়েদেরকেও কমিউনিস্ট নাস্তিক কর্মচারীদের সঙ্গে বিবাহ দেয়া হয়েছিল ।
ড রাফান আহমেদ তার "অবিশ্বাসী কাঠগড়ায়" ১৭৮ পৃষ্ঠায় "The Telegraph.25 jan.2004" সূত্রে বর্ণনা করেছেন শুধু পেটের শিশু নয়, জীবন্ত শিশু হত্যার ব্যাপারেও পরামর্শ আসছে কিছু নাস্তিক পণ্ডিত থেকে, এর নাম দেয়া হয়েছে জন্ম পরবর্তী গর্ভনিরোধ (after birth abortion) । বিভিন্ন দেশে যেমন নেদারল্যান্ড কানাডা বংশগত রোগে আক্রান্ত বা গুরতর অসুস্ত বাচ্চাকে জন্মের পর হত্যার অনুমতি রয়েছে । তাদের যুক্তির একটি হল ভ্রূণ বা নবজাতক যৌক্তিক চিন্তার ক্ষমতা রাখে না টাই তারা "ব্যাক্তি"র পর্যায়ে পড়ে না । সুতরাং এদের হত্যা করা যেতে পারে । এই ধারনার সাথে একাত্মতা ঘোষণা করেছেন ব্রিটিশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন এথিকস কমিটির সম্মানিত সদস্য নাস্তিক জন হেরিস । আরেক নাস্তিক গবেষক আলবার্টো গিউবিলিনি ও ফ্রান্সেসকো মিনারভা আরও এক ধাপ এগিয়ে গিয়ে "After birth abortion:why should the baby live ?" শিরোনামে "Journal of med Ethics. vol.vol 39.page 261-263.February 2012" জার্নাল পেপারে বলতে চেয়েছেন নবজাতক সুস্থ হোক বা অসুস্ত তাদের হত্যা করা যেতে পারে কারন এরা "ব্যাক্তি"র পর্যায়ে পড়ে না।
Stalins Russia , page 271: তৎকালীন নারীরা যতদিন কুমারী বা যুবতি থাকে , ততদিন তাদের আদর করা হয়, তথা চাকরি দেয়া হয়, কাজ দেয়া হয় কিন্তু গর্ভবতী বা বৃদ্ধ নারীরা অবহেলার পাত্রী হত অনেকেই । যে নারীর ২ থেকে ৩ টি সন্তান হয়েছে , তারা প্রায়ই কাজ পেত না । গর্ভবতী নারীদের অবশ্য "মাতৃ মঙ্গল সনদে" Maternity Home পাঠানো হত কিন্তু সেখানকার অবস্থা আরও খারাপ । অনেক সময় ঔষধপত্র সাবান ইত্যাদি থাকত না । একই ঘরে অনেক প্রসব কাজ সম্পাদনা করানো হত ।
বিখ্যাত লেখক F.Halle তার "Woman in Soviet Russia" বইতে লেখেন তৎকালীন সোভিয়েত রাশিয়ায় "বিয়ে ছাড়া" মাতৃত্ব ক্রমেই একটা স্থায়ী ব্যবস্থায় পরিণত হয়ে চলেছে । (ইসলামে যা হারাম, নাস্তিক ধর্মে তা হালাল)
জর্জ রেলি স্কট তার "A History of Prostitution" গ্রন্থে বলেনঃ যে সকল নারী তাদের দেহ ভাড়া দেয়াকে তাদের জীবিকা অর্জনের একমাত্র উপায় হিসেবে গ্রহন করেছে, তাদের বাদ দিলেও আর এক শ্রেণীর নারী আছে এবং তাদের সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে । তারা জীবনের অবশ্যকীয় দ্রব্যাদির লাভ করার জন্য অন্যান্য উপায় অবলম্বন করে থাকে এবং অতিরিক্ত আয় করার জন্য ব্যভিচারে লিপ্ত হয় । পেশাদার বেশ্যা ও এদের মধ্যে কোন পার্থক্য নেই।
"Mal Adoptive Behaviour: An Introduction to Abnormal Psychology, Scott, Foresman and co.USA" সুত্র অনুযায়ী পরকীয়া প্রেমের কারনে স্ত্রীর কোলে যে শিশু আসে, স্বামী সন্দেহ করে এ শিশু তার নয় , এই কারনে সেখানে শিশু নির্যাতন দিন দিন বেড়ে চলছে। অ্যামেরিকায় প্রতিবছর ১০ থেকে ২০ লাখ শিশু নির্যাতনের , পদাঘাতের শিকার হয় তাদের পিতা মাতা দ্বারা আর পরিবার সদস্যদের মধ্যে হত্যাকাণ্ড অন্য যে কোন প্রকার হত্যাকাণ্ডের চেয়ে বেশি পরিলক্ষিত হয়। এই সুত্র থেকে আরও জানা যায়, সামগ্রিক পর্যালোচনায় ইংগিত করে যে, প্রায় ২০ লাখ স্বামী ও সমসংখ্যক স্ত্রী একে অন্যকে বছরে অন্তত একবার আক্রমণ করে । এর মধ্যে প্রায় আড়াই লাখ প্রহারের ঘটনা মারাত্মক হয়ে থাকে । প্রহারের ঘটনায় নারীরা সাধারন পুরুষের চেয়ে বেশি আহত হয়ে থাকে।
The Crisis Of Our Age গ্রন্থে পি এ সরোকিন বলেন পারিবারিক পরিবেশ এখন শুধু একত্রে রাত্রিযাপনেই পরিনত হয়েছে তাও আবার প্রত্যেক রাত্রের জন্য নয় , এমনকি সব সময় এক রাতের সবটুকু সময়ের জন্য নয় । (নাস্তিক ধর্মের ব্যাক্তি স্বাধীনতা বলে কথা!)
"Pre-Marital Sex- The Norms in America" এর সুত্র অনুযায়ী সুইডেনের ৯৯% মানুষ বিয়ের আগে যৌন সম্পর্ক স্থাপন করে । যুক্তরাষ্ট্রের যৌনক্ষম নারী পুরুষের মধ্যে প্পরিচালিত এক জরীপে দেখা যায় ৯৫% মানুষ বিয়ের আগেই যৌন অভিজ্ঞতা অর্জন করেছে।
"Social Psychology Understanding Human Interaction" গ্রন্থে উল্লেখ করা হয়েছে ১৯৭৮ সালে শুধু আমেরিকায় ১০ লাখ অবাঞ্ছিত গর্ভধারণের ঘটনা ঘটে । ১৯৯৬ সালে শুধু আমেরিকায় ১৩ লাখ ৬৫ হাজার ৭ শত ৩০ টি গর্ভপাত ঘটানো হয় ।
Abnormal Psychology and Modern life by James C.Coleman: এই বইতে লেখক উল্লেখ করেছেন অ্যামেরিকায় ৫ লক্ষ পেশাদার পতিতা এবং সমসংখ্যক পার্ট টাইম পতিতা রয়েছে । পার্ট টাইম পতিতাদের অধিকাংশই সুশিক্ষিতা এবং সমাজের সম্মানিতা নারী !
"Michel Stone, American Atheists President David Silverman Fired For Sexual Assault.Pathesos, 15 April 2018" সুত্র থেকে জানা যায় যে ২০১০ সাল থেকে অ্যামেরিকান এথিস্ট সংস্থার প্রেসিডেন্ট পদে আসিন ডেভিড সিলভারম্যানকে পদচ্যুত করা হয় যৌন হয়রানির অভিযোগে ।
"The New York Times, 22 Oct. 2018" সুত্র থেকে জানা যায় বিখ্যাত নাস্তিক প্রফেসর লরেন্স এম ক্রাউসের বিরুদ্ধেও কয়েকজন নারী যৌন হয়রানির অভিযোগ তুলেন । শেষমেশ মুখ বাঁচাতে রিটায়ার করার সিদ্ধান্ত বেছে নেন এই বিখ্যাত নাস্তিক প্রফেসর ।
নাস্তিক অন্ধ বিশ্বাসী হুমায়ূন আজাদ তার "আমার অবিশ্বাস" বইটিকে যাকে উৎসর্গ করে দিয়েছেন সেই বার্ট্রান্ড রাসেলের চরিত্রের কি ভয়াবহ অবস্থা । ড রাফান আহমেদ তার "অবিশ্বাসী কাঠগড়ায়" ২১৪ পৃষ্ঠায় "Brilliant Men Always Betray Their Wives. The Telegraph,13 july 2006" সূত্রে বর্ণনা করেছেন গোটা চারেক স্ত্রী আর অজস্র নারীর স্বাদ আস্বাদনে অভ্যস্ত এই নাস্তিক অথবা সংশয়বাদী বলতেন কোন যৌনসঙ্গীকে তার কয়েক বছরের বেশি আবেদনময়ী মনে হত না । তারপর নতুন কাউকে বশ করার পঁয়তারা চলত । বলা হত তিনি Galloping Satyriasis অর্থাৎ দ্রুতবর্ধমান কামুকতায় আক্রান্ত ছিলেন । তার যৌনসঙ্গীর লম্বা তালিকায় ছিল সেক্রেটারি তরুণী, মন্ত্রীর স্ত্রী , সার্জন কন্যা,নারী গবেষক, অভিনেত্রী , নারীদের ভোটাধিকার আন্দোলনের কর্মী, বেশিকিছু শিক্ষিকা, ক্যামব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন প্রভাষকের স্ত্রী, এমনকি তার সন্তানের গৃহশিক্ষিকা ইত্যাদি ইত্যাদি মাত্র ! - এইবার চিন্তা করুন নাস্তিক ধর্মে বিশ্বাসীরা কত ভয়ংকর যৌন অপরাধী এবং ধর্ষক হয় ।
"American National Crime Victimization Survey" এর রিপোর্ট অনুযায়ী ১৯৯৮ সালে যুক্তরাষ্ট্রে ধর্ষণের ঘটনা ঘটে ২ লাখ । গড়ে প্রায় আড়াই মিনিটে একটি ধর্ষণ হয় । Microsoft এর বিশ্বকোষে উল্লেখ করা হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রে মাধ্যমিক স্কুলের উপর পরিচালিত এক জরীপে দেখা গেছে ২৩% থেকে ৪৮% ছাত্রী তাদের ছেলে বন্ধুদের দ্বারা যৌন নির্যাতনের শিকার হয়েছে । কলেজে ও বিশ্ববিদ্যালয়ের চিত্র এরচেয়ে করুন।
লেখক গবেষক গোলাম মোস্তফা তার "ইসলাম ও কমিউনিজম" ১৩৫ পৃষ্ঠা উল্লেখ করেছেনঃ পূর্বে ছেলে মেয়েকে এক সাথে শিক্ষা Co Education দেয়া হত কিন্তু এই সিস্টেমের কুফল বুঝতে পেরে ১৯৪৩ খৃষ্টাব্দে স্টেলিন আইন করে এই সহশিক্ষা তুলে দেন । ছেলে ও মেয়ের শিক্ষা যে স্বতন্ত্র হওয়া উচিত , সোভিয়েত সরকার তা মেনে নেন ।
"Marriage And Family Development by Evelyn Millis Du vall" এই সূত্রে জানা যায় বিবাহিত নারী পুরুষ তার জোড় ছাড়া অন্যদের সাথে যৌন সম্পর্ক স্থাপন করছে । এদের সংখ্যায় অ্যামেরিকায় মোট বিবাহিতদের এক তৃতীয়াংশ । এটা ১৯৭৮ সালের এক জরীপের রিপোর্ট । "Abortion statistics England and Wales 2006" সুত্র অনুযায়ী ইংল্যান্ডে ২০০৬ সালে ১ লাখ ৯৩ হাজার ৭ শত গর্ভপাত ঘটানো হয়।
"Marriage and Family Development" সূত্রে পাওয়া যায় যেঃ অ্যামেরিকায় যত বিবাহ হয় তার প্রায় অর্ধেক বিচ্ছেদে পরিণত হয়। বিয়ে করে একদিন নিরুদ্দেশ হয়ে যায় এমন ঘটনা প্রায় ঘটছে । প্রতিবছর সঙ্গী ত্যাগের ঘটনা প্রায় ১০ লাখ । (সম্মতিতে সংগম করেও কোন ফায়দা হচ্ছে না নাস্তিক ধর্মে !)
"Social Psychology Understanding Human Interaction" by Robert A.Baron,Donn Byrne: অ্যামেরিকায় মোট শিশুর এক তৃতীয়াংশ পিতা মাতা উভয়ের সাথে বসবাসের সুযোগ পায় না ।
Diagonostic and Statistical Manual of Mental Disorder, 4th Edition, USA: পারিবারিক বিপর্যয়ের কারনে সৃষ্টি হয় মানসিক সমস্যা । ২০০৪ সালে অ্যামেরিকার মানসিক ব্যাধির উপর এক সমীক্ষা চালানো হয় - এতে দেখা যায় ২ কোটি ৯০ লাখ মানুষ Mood Disorder এবং ৪ কোটি মানুষ Anxiety Disorder এ ভুগছে ।
"Abnormal Psychology and Modern life" এ ১৯৫০ সালের পর থেকে মার্কিন তরুন তরুণীদের মধ্যে আত্মহত্যা ৬০০% বৃদ্ধি পেয়েছে । জাপানী তরুণীরা আত্মহত্যার ব্যাপারে আরও অগ্রসর, তারা প্রতিবছর দল বেধে একসাথে আত্মহত্যা করে । এছাড়া অ্যামেরিকায় প্রতিবছর ২ লাখ মানুষ নতুন মাদকাসক্তের তালিকায় শরীক হচ্ছে । যারা সাধারন মদখোর তাদেরকে বাদ দিয়েই এ তালিকা ।
The World Book of Encyclopedia, crime এ উল্লেখ আছে ১৯৬০ সালের পর থেকেই অ্যামেরিকায় বিভিন্ন অপরাধ ৪০০% বৃদ্ধি পেয়েছে, সেখানে প্রতি দুই সেকেন্ডে একটি গুরুত্বর অপরাধ (Serious crime) এবং প্রতি ১৬ সেকেন্ডে একটি মারাত্মক অপরাধ (Violent crime) সংগঠিত হয় ।
গবেষক জেরী জনসন "অ্যামেরিকার হসপিটাল এ্যাসোসিয়েশন" এর রিপোর্ট অনুসারে বলেছেন হাসপাতালের প্রায় অর্ধেক রোগী মাদক সম্পর্কিত সমস্যায় ভর্তি হয়। "ন্যাশনাল সেফটি কাউন্সিল" এর ১৯৮৯ সালের "Accident Facts Edition" সুত্র অনুযায়ী প্রতি ৬০ সেকেন্ডে মদ্যপান জনিত দুর্ঘটনায় একজন আহত হয় ।
অ্যামেরিকায় প্রতি ৪৬ সেকেন্ডে একজন নারী ধর্ষিতা হন । "National Victim Centre/Crime Victims Research and Treatment centre-1992" । ৮৬ শতাংশ ধর্ষণকারী স্বীকার করেছে যে তারা নিয়মিত অশ্লীল-রচনা, চিত্র ইত্যাদি ব্যাবহার করে এবং ৫৭ শতাংশ স্বীকার করেছে তারা ধর্ষণের বা অনুরূপ যৌন অপরাধের সময় অশ্লীল রচনা বা ছবির অনুকরন করেছে ।
"American Journal Psychiatry" তে প্রকাশিত গবেষণা পত্রের ফলাফল অনুযায়ী আত্মহত্যার হার ধর্মহীন ও নাস্তিকদের মাঝেই বেশি । বিস্তারিত দলিল ভিত্তিক আলোচনা জানতে পড়ুন "অবিশ্বাসী কাঠগড়ায়" লেখক ড রাফান আহেমদ (এক্স সংশয়বাদী) ।
দার্শনিক কবি ড আল্লামা ইকবাল তাঁর "Reconstruction of Religious Though in Islam" বইতে লেখেন এ কালের মানুষ তার বুদ্ধিবৃত্তিক কর্মকাণ্ডের ফলশ্রুতিতে আর হৃদয়বান হিসেবে জীবন যাপন করতে পারছে না । চিন্তার জগতে সে নিজেই নিজের বিরুদ্ধে লড়ছে । রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে সে অপরের সাথে সংঘাতরত । বাস্তব ঘটনার বেড়াজালে আটকে পড়ে সে তার আপন সত্তার গভীরতা থেকেই বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ছে । স্রষ্টা বিমুখ লাগামহীন চিন্তাশক্তি এবং বিশ্বাসের লাগামহীন বিজ্ঞানী আধুনিক মানুষকে দিয়েছে নির্মম অর্থনৈতিক সিস্টেম, অন্যায় সমাজ সিস্টেম , নির্দয় রাজনৈতিক ব্যাবস্থা , শ্রেণীতে শ্রেণীতে লড়াই এবং ক্ষমতা দখলের উম্মাদনা ।
পরিশেষে উপরের সমস্যা সমাধানে নাস্তিক ধর্ম কি বলে খুব জানতে ইচ্ছা করছে আমার ?
={নাস্তিক ধর্মের নৈতিকতার মানদণ্ডঃ}=
ড রাফান আহমেদ তার "অবিশ্বাসী কাঠগড়ায়" ১৭৯ পৃষ্ঠায় "Michael Ruse, God is Dead, Long Live Morality, The Gurdian.15 Mar.2010" সূত্রে বর্ণনা করেছেনঃ নাস্তিক বিবর্তনবাদী গবেষক মাইকেল রুজ স্বীকার করেছেন নৈতিকতা হল স্রেফ ইলুশন বা বিভ্রম, অর্থহীন বাজে ব্যাপার , স্রষ্টার অনুপস্থিতিতে কারও ভাল হতে চাওয়ার কোন ভিত্তি নেই ।
বেস্ট সেলার বই "Sapience: A Bief History Of Humankind: part 1" এ নাস্তিক ইউভাল নোয়াহ হারেরি বলেছেনঃ মহাবিশ্বে কোন দেবদেবী নেই, জাতি বলতে কিছুই নাই, নাই কোন অর্থকড়ি-টাকাপয়সা, মানবাধিকার বলে কিছুই নাই আর নাই কোন আইন ও সুবিচার । এগুলো কেবল সমষ্টিগত কল্পনা ছাড়া কিছুই নয় ।
নাস্তিক ধর্মের অন্ধ বিশ্বাসী হুমায়ূন আজাদ তার "আমার অবিশ্বাস" বইয়ের ১৭ পৃষ্ঠায় বলেছেনঃ সব কিছুই নিরর্থক, জগত পরিপূর্ণ নিরর্থকতায়, রবীন্দ্রনাথও নিরর্থক,আইনস্টাইনও নিরর্থক, ওই গোলাপও নিরর্থক, ভোরের শিশিরও নিরর্থক , তরুণীর চুম্বনও নিরর্থক, দীর্ঘ সুখকর সংগমও নিরর্থক, রাষ্ট্রপতি নিরর্থক। কেননা সব কিছুর পরিনতিই বিনাশ । বিস্ময়কর বিশ্ব, রঙিন ফুল বা মানুষ বা বন্যশুয়োর, সূর্য বা নক্ষত্র, গ্রহ উপগ্রহ সব কিছুর জন্যই অপেক্ষা করে আছে তাদের পরিনতি - বিনাশ । যার থেকে কারো উদ্ধার নেই ।
নাস্তিক ধর্মের অন্ধ বিশ্বাসী হুমায়ূন আজাদ তার "আমার অবিশ্বাস" বইয়ের ১৯ পৃষ্ঠায় বলেছেনঃ জীবনের কোন অর্থ নেই, কোন মহৎ উদ্দেশ্য নাই , নাস্তিক কবি সুধীন্দ্রনাথ যেমন বলেছেন জীবনের সারকথা হল পিশাচের উপজীব্য হওয়া ।
লেখক গবেষক গোলাম মোস্তফা তার "ইসলাম ও কমিউনিজম" বইয়ের ৮৮ পৃষ্ঠায় লিখেছেনঃ লেনিন বলেন বন্ধুগন তমাদের ঐ সব কুসংস্কার বন্ধ করো, ন্যায় অন্যায় নিয়ে এত মাথা ঘামিয় না ।
ড রাফান আহমেদ তার "অবিশ্বাসী কাঠগড়ায়" ১৭৯,১৮০ পৃষ্ঠায় "In an interview with Stone Phillips, Dateline NBC (29 November 1994)" সূত্রে বর্ণনা করেছেনঃ নাস্তিক সিরিয়াল কিলার জেফরি ডাহমারের নিজের অবস্থানের পক্ষে বলেছিলেন যে, যদি কোন মানুষ এটা মনে না করে যে, স্রষ্টার নিকট তাকে জবাবদিহি করতে হবে , তা হলে গ্রহনযোগ্য সীমায় রাখার জন্য নিজের আচরণকে পরিবর্তন করার দরকারটা কি ? আমি এমনটাই ভেবেছিলাম । আমি সবসময় বিবর্তন তত্ত্বকে সত্য বলে বিশ্বাস করেছি । বিশ্বাস করেছি আমরা সবাই স্রেফ থকথকে কাদা থেকে এসেছি, যখন আমরা মরে যাব, ব্যাস শেষ । এরপরে আর কিছুই নাই ।
"Richard Dawkins, River out of Eden: A Darwinian view of life page: 133 (Basic Books 1995)" সূত্রে জানা যায় নাস্তিকগুরু রিচার্ড ডকিন্সের ভাষায় ইলেকট্রন , স্বার্থপর জিন, উদ্দেশ্যহীন বস্তুগত বল ও জেনেটিক প্রতিলিপনের জগতে কেউ ক্ষতিগ্রস্ত হবে । কেউ বা সৌভাগ্যবান হবে আর আপনি এর পিছনে কোন ছন্দ বা কারন খুঁজে পাবেন না আর নাই পাবেন কোন ন্যায়বিচার । যে বৈশিষ্ট আমরা আশা করি (ডারউইনিয় জীবনদর্শনে) ঠিক তাই রয়েছে আমাদের চারপাশে এই জগতে যদি এর মূলে না থাকে কোন পরিকল্পনা , কোন উদ্দেশ্য , কোন মন্দ , কোন ভাল , কিছুই নয় , কেবলই নির্দয় নির্লিপ্ততা । - ড রাফান আহমেদ তার "অবিশ্বাসী কাঠগড়ায়" ১৮০ পৃষ্ঠায় উপরের নাস্তিক পীরের ফতোয়ার পক্ষে একটি সুন্দর উদাহরণ দিয়েছেন । ধরুন পাশাপাশি একজন জীবিত মানুষ ও একটি কাকতাড়ুয়া দাড়িয়ে আছে । একজন নাস্তিক এসে পিস্তল দিয়ে আগে কাকতাড়ুয়া ও পরে মানুষটির মাথা উড়িয়ে দিল । এতে কি সে অন্যায় করল ? বস্তুবাদী চিন্তাধারা অনুযায়ী পরম ন্যায়-অন্যায় বলে কিছুই নেই । কাকতাড়ুয়া মূলত ইলেকট্রন প্রোটন দিয়ে তৈরি । বস্তুবাদী চিন্তা অনুযায়ী সবই এলোমেলো , উদ্দেশ্যহীন , জাগতিক মৃত প্রক্রিয়ার ফল । সুতরাং এই মানদণ্ডে কাকতাড়ুয়া বা মানুষ দুইজনেই একই প্লাটফর্মে দাড়িয়ে আছে ।
ড রাফান আহমেদ তার "অবিশ্বাসী কাঠগড়ায়" ১৮৪ , ১৮৫ পৃষ্ঠায় "Jean paul Sartre, Nausea: Page 162" সূত্রে উল্লেখ করেছেনঃ সাহিত্যে নোবেলজয়ী Existentialist দার্শনিক "জিন জ্যা পল সাত্রে" রচিত উপন্যাসের কেন্দ্রীয় চরিত্র এন্টোনি রোকুয়েন্টিক এর ভাষায় বললে "কথা কিন্তু সত্য । আমি এমনটিই বুঝতে পেরেছি যে আমার বেঁচে থাকার কোনই অধিকার নেই । বস্তুবাদ অনুযায়ী আমার অস্তিত্ব ঘটেছে আকস্মিকভাবে । আমি মানুষ না হয়ে পাথর গাছ কিংবা জীবাণু হিসেবে অস্তিত্ব লাভ করতে পারতাম । আমি চিন্তা করেছিলাম এই যে আমি এই পৃথিবীতে খানাপিনা করে বেড়াচ্ছি আমাদের মূল্যবান অস্তিত্বকে টিকিয়ে রাখার জন্য কিন্তু এ বেঁচে থাকার তো কোন কারনই নেই , একদম না"
অনেক অন্ধবিশ্বাসী নাস্তিক তাদের নৈতিকতার ভিত্তির অসারতা বুঝতে পেরে শেষ সাফাই দিতে গিয়ে গোঁজামিল হিসেবে বলেন "নৈতিকতা হল সেটা যা আমার কাজের জন্য অন্য কারো যেন ক্ষতি না হয়" কিন্তু এই বিষয়ে সর্বপ্রথম জন স্টুয়ার্ট মিল সেকুলার লিবারেল সমাজের নৈতিকতার ভিত্তি কি হবে সে বিষয় "On Liberty, Page 23-24" গ্রন্থে বলেন অন্যের ক্ষতি না হলে একজন মানুষ যাই করুক না কেন, সে কাজ মন্দ বলে অভিহিত করা যাবে না এবং সেজন্য তাকে সাজাও দেয়া যাবে না -এ সকল কাজের ক্ষেত্রে সেই মানুষ সার্বভৌম । আরেকটি প্রশ্ন আসে আমার কাজের জন্য অন্য কেউ ক্ষতিগ্রস্ত হলে তাতে আমার কি আসে যায়, যেখানে আমার উন্নতি হচ্ছে?
নষ্টাকিজম অন্ধ অনুসারীদেরকে আমরা যখন তাদেরই বড় বড় পণ্ডিত নেতাদের ফতোয়া দেখাই যেখানে তারা বলেছেন নীতিনৈতিকতা বলে কিছু নাই সব কিছু নির্ধারণ হবে মানুষের বিবেক এবং যুক্তি দিয়ে তখন তারা কৌশলে এইগুলা এরিয়ে যায় । কারন কোন খগেন তার নাস্তিক ধর্ম দিয়ে কোনটা ভাল আর কোনটা মন্দ তা নির্ণয় করতে পারে না । কিছুক্ষণের জন্য খগেনদের কথা ধরে নিয়ে মেনে নিলাম নীতি নৈতিকতা তৈরি হবে মানুষের বিবেক ও যুক্তি দিয়ে । কিন্তু এখানে আমার কিছু প্রশ্ন আছে ।
১/ খগেনদের মানদণ্ড অনুযায়ী চুরি করা কিভাবে খারাপ কাজ হয় ? আপনি বলতে পারেন এতে অন্য মানুষের ক্ষতি হচ্ছে । হ্যাঁ , আমিও বলছি যে অন্য মানুষের ক্ষতি হচ্ছে কিন্তু যে চুরি করেছে তার তো কোন ক্ষতি হয়নি আর তার বিবেক বলছে এটি ভাল এখন নাস্তিক ধর্মের নৈতিকতার মাপকাঠি দিয়ে নির্ণয় করুন চুরি করা কেন খারাপ ?
২/ মিথ্যা কথা বলা নাস্তিক ধর্মের নীতিকথা দিয়ে কিভাবে খারাপ প্রমান হয় ? ধরুন কোন খগেন বলছে আমি আমার সুবিধার জন্য যখন ইচ্ছা মিথ্যা কথা বলতে পারি কারন এটি আমার বাক স্বাধীনতার অংশ তাই কেউ আমাকে বাধা দিবে না , আর নাস্তিক ধর্মে সবাই মুক্তমনা তাই মুক্তমনে মিথ্যা কথাও এই ধর্মের আইন অনুযায়ী হালাল , সুতরাং মিথ্যা বলা অপরাধ না , আপনি এখন কিভাবে যুক্তি দিয়ে সেটি ভুল প্রমান করবেন ? এক নাস্তিকের যুক্তিতে যা সঠিক আরেক নাস্তিকের যুক্তিতে তা ভুল সমাধান কি নাস্তিক ধর্মে ?
৩/ মা বাবার সাথে খারাপ আচরণ যে আসলেই খারাপ এটি কিভাবে নাস্তিক ধর্মের নৈতিকতার মূলনীতি দিয়ে নির্ণয় করবেন ? আপনি সেই খগেন সন্তানকে বলছেন যে এটি খারাপ কিন্তু সে বলছে সেটা তার বাকস্বাধীনতা এবং তার বাবা মায়ের সাথে সে খারাপ আচরণ করবে এতে আপনি নাস্তিক বলার কে ? কেননা সেও নাস্তিক ? আপনি যদি তার এমন আচরনে তাকে বাধা দেন তাহলে তার ব্যাক্তি স্বাধীনতায় বাধা হচ্ছে না ? সুতরাং প্রমান করুন যুক্তি দিয়ে কেন পিতা মাতার সাথে খারাপ আচরণ করা আসলেই খারাপ ?
৪/ নাস্তিক ধর্ম অনুযায়ী ঘুষ খাওয়া কিভাবে অপরাধ ? দুইজন নাস্তিকের সম্মতিতে যদি একজন আরেকজনকে কোন কাজ করার জন্য কিছু টাকা ঘুষ দেয় এতে কিভাবে অমানবিক হয় ? প্লিজ নাস্তিক ধর্ম দিয়ে প্রমান করে দিয়ে যান কিভাবে ঘুষ খাওয়া অপরাধ হয়?
৫/ নাস্তিক ধর্মে খাদ্যে ভ্যাজাল দেয়া কিভাবে অপরাধ হয় ? ধরুন একজন নাস্তিক দুধ ওয়ালা বলল আমি খাবারে ভ্যাজাল মেশাই এতে আমার উপকার হয় এবং আবার বিজনেস ভাল হয় তাই , আর এটাই আমার বিবেক বলে , এটাই আমার যুক্তি বলে , অন্যর কথা মেনে আমি কেন আমার মুক্ত মনের বিরোধিতা করব ? নাস্তিক ধর্ম দিয়ে কেন এই কাজ খারাপ প্রমান করুন ?
৬/ নাস্তিক ধর্মে মানুষকে উপকার করা কিভাবে ভাল কাজ হয় ? মানুষকে উপকার করে নিজের লাভ কি ? একজন গরীব মানুষকে নাস্তিক কেন ৫০০ টাকা দান করবেন এতে তো তার ক্ষতি হচ্ছে তার টাকা কমছে যদিও সেই গরীব লোকের জন্য এটি ভাল ?
৭/ ধরুন একজন নাস্তিকের কাছে কিছু নাস্তিক ৫০ লাখ টাকা আমানত রেখেছে এখন সে সেসব টাকা আত্মসাৎ করে বিদেশে চলে গেছে এখন নাস্তিক ধর্ম কিভাবে যুক্তি সহ প্রমান করবে যে সেই নাস্তিক অনৈতিক কাজ করেছে কারন যে টাকা আত্মসাৎ করেছে তার যুক্তিতে এটি ভাল কাজ তার উপকার হয়েছে , সে সহজেই বিদেশে যেতে পেরেছে ?
৮/ ধরুন আসিফ মহিউদ্দিন নামক একজন ধর্ষক যে নাস্তিক । তাকে নাদিয়া নামের আরেক নাস্তিক নারী বলছে আপনি ধর্ষণ করে খারাপ কাজ করেছেন এখন নাস্তিক আসিফ উত্তরে বলছে আমি খারাপ কাজ করিনি কারন আমার যুক্তিতে এটি ভাল কাজ কারন একজন নাস্তিক নারী আমার যৌন কামনায় বাধা দিবে কেন তাই আমি জবরদস্তী করেছি আমার ব্যাক্তি স্বাধীনতা প্রয়োগ করে - এখন এই ক্ষেত্রে নাস্তিক ধর্ম কি বলে , নাস্তিক আসিফ কি অপরাধী, কেন ?
=(নাস্তিক ধর্মের ভয়ংকর বর্বরতাঃ)=
ইংল্যান্ডের National Secular Society এর সভাপতি MR Charles Bradlaugh তার "Autobiography" বইতে লেখেনঃ সেলুকারিজম ও আস্তিকতা পাশাপাশি চলতে পারে না । তাই আস্তিকতাবাদী বিশ্বাসের সাথে লড়াই করা সেকুলারিজমের জন্য পরিহার্য ।
হার্ভার্ড ইউনিভার্সিটি প্রেস থেকে প্রকাশিত আলোচিত গ্রন্থ "The Black of Communism" থেকে জানা যায় নাস্তিকতা সমাজতন্ত্র ভিত্তিক সরকার কেবল বিংশ শতকেই ১০০ মিলিয়নের বেশি মানুষকে হত্যা করেছে ।
Stalins Russia, page 370 = কমিউনিজমের জন্য সোভিয়েত রাশিয়াতেই ১৯২৯ হতে ১৯৩৯ খৃষ্টাব্দের মধ্যে কম পক্ষে ১০ লক্ষ মানুষকে কমিউনিস্ট নাস্তিকরা হত্যা করে ।
কার্ল মার্কসের নির্বাচিত রচনাবলি, ৫৩৬ পৃষ্ঠা, Economics Of Islam, page 80, ইসলাম এবং কমিউনিজম, ১৩৪ পৃষ্ঠা এবং The World on the brink of the Abyss গ্রন্থে উল্লেখ করা হয়েছেঃ কমিউনিজম স্বীকার না করার অপরাধে, কমিউনিস্টরা ১৮৬০০০০ জন মানুষকে হত্যা করেছে । এর মধ্যে ২৮ জন বিশপ, ১২০০ জন পাদরি, ৬০০০ জন শিক্ষক, ৮৮০০ জন ডাক্তার, ১৯২০০০ জন শ্রমিক , ৮১৫০০০ জন কৃষক ইত্যাদি ।
অধ্যাপক ড হাসান জামান তাঁর "কমিউনিস্ট শাসনে ইসলাম" ৫৭ পৃষ্ঠায় উল্লেখ করেছেনঃ চিনে মুসলিমদের অবস্থা খুবই শোচনীয় । কমিউনিস্ট শাসনে এর কোন পরিবর্তন হয়নি । "তারা মুসলমান হলেন কেন" - এই বলে মুসলমানদের আক্রমণ করত কমিউনিস্ট নাস্তিকরা।
ড রাফান আহমেদ তার "অবিশ্বাসী কাঠগড়ায়" ১৬৮ পৃষ্ঠায় "Times of India, 8 sep. 2017" সূত্রে উল্লেখ করা হয়েছে যেঃ নাস্তিক নেতা মাও সেতুং এর অনুপ্রেরণা স্টেলিন , যে চীনের সরকার আইন করে নাস্তিকতাকে চাপিয়ে দিয়েছিল । প্রায় ৯০ মিলিয়ন পার্টি মেম্বারকে বলা হয়েছিল হয় ধর্ম ছাড়ো অথবা শাস্তির সম্মুখীন হও এবং অবশ্যই তাদের মাক্সবাদী নাস্তিক হতে হবে , না হলে রক্ষা নেই ।
ইসলাম ও কমিউনিজম , ১৫৮ পৃষ্ঠা, লেখক গবেষক গোলাম মোস্তফা এবং Stalins Russia , page 60 = তৎকালীন সোভিয়েত রাশিয়ার সরকার, ২৫০০০ বেছে বেছে বিশ্বাসী কমিউনিস্ট সৈন্যকে অনেক সংখ্যার গুপ্ত বাহিনীর সঙ্গে গ্রামে পাঠানো হয় এবং গ্রামে গিয়ে প্রচুর মানুষকে হত্যা করা হয় এবং প্রচুর মানুষ দেশ ছেড়ে পালিয়ে যায় । কম সে কম ৬ লক্ষ কর্ষককে মৃত্যুর গহ্বরে পাঠানো হয় ।
বেইলর ইউনিভার্সিটির সমাজবিজ্ঞান ও নৃতত্ত্ববিদ্যার সহকারী অধ্যাপক পল ফ্রয়েস "Journal for the scientific study of religion.vol 43.issue 1.page 35 (2004) - এ লিখেন সোভিয়েত ইউনয়নের নাস্তিকেরা ধর্মীয় বিশ্বাসের ওপর দীর্ঘ ৭০ বছর ধরে যুদ্ধ চালিয়েছে । সমাজতান্ত্রিক এই দলটি ধ্বংস করেছে অগণিত চার্চ, মসজিদ ও মন্দির , হত্যা করেছে অসংখ্য ধর্মগুরুকে । স্কুলে ও মিডিয়ার মাধ্যমে ধর্মবিরোধী পোপাগান্ডার বন্যা বইয়ে দিয়েছে এবং বৈজ্ঞানিক নাস্তিকতার নামে বিশ্বাস ব্যাবস্থার প্রচলন করেছে , যা পূর্ণ ছিল নানা নাস্তিকীয় আচার, ধর্মত্যাগকারীগন ও দুনিয়াবি মুক্তির প্রতিজ্ঞার দ্বারা ।
কালের কণ্ঠ, ৭/জুন/২০১৬ = চীনে রোজা রাখা নিষিদ্ধ করা হয়েছে ।
যুগান্তর, ৮/মে/২০১৯ = ৩ বছরে ৩১ মসজিদ ধ্বংস করেছে চীন ।
The Daily Star, 19 march 2019 = গণমাধ্যমে গুরুত্বপায় না অমুসলিম সন্ত্রাসীদের হামলার খবর ।
The Daily Star, 17 March 2019 = যুক্তরাষ্ট্রে ১০ বছরে ৭১ শতাংশ সন্ত্রাসী হামলা চালিয়েছে শ্রেতাজ্ঞরা ।
যুগান্তর, ৫ ডিসেম্বর ২০১৮ = ৭৩ বছরে ৩ কোটি মানুষ হত্যা করেছে যুক্তরাষ্ট্র । কি কারনে এতগুলো মানুষ হত্যাকাণ্ডের শিকার হল?
"Ostprobleme No 7. 1955, page 35" = মুসলিমরা মসজিদের জন্য চাঁদা তুলতেন , কিন্তু সোভিয়েত নাস্তিক সরকার এই টাকা সবসময় মসজিদে খরচ করতে দিত না কারন এটি নাকি অকেজো ব্যাপার ।
সোভিয়েত "Criminal Code" এর ৫৮ ধারায় স্পষ্ট করেই বলা হয়েছেঃ ধর্মপন্থী কর্মচারী ও নাগরিকদের "প্রতিবিপ্লবী" হিসেবে গণ্য করতে হবে । ১২২ দফায় আছে সরকারি ও বেসরকারি স্কুলে ধর্মীয়নীতি শিক্ষা দেয়া নিষেধ (হারাম) । এই আইন অমান্য করলে এক বছর কারাবাস ভোগ করতে হবে।
A.J.P Teylor তার The First World War বইতে লেখেনঃ প্রথম বিশ্বযুদ্ধে ফ্রান্স হারায় ১৫ লাখ মানুষ, জার্মানি হারায় ১৫ লাখ মানুষ, ব্রিটিন হারায় ১০ লাখ মানুষ , অ্যামেরিকা হারায় ৮৮ হাজার মানুষ, রাশিয়া হারায় সবার যোগফল থেকেও বেশি সংখ্যক মানুষ। Western Civilization গ্রন্থের হিসাব অনুযায়ী দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে ৩ কোটি ৫০ লাখ মানুষ মারা যায় এবং ২ কোটি মানুষ পঙ্গুত্ব বরন করে।
দৈনিক সংগ্রাম, ২৩/অক্টোবর/২০১২ = ফ্রান্সে মসজিদ হামলা ও দখলের ঘটনা । ফ্রান্সের ঐতিহ্যবাহী শহর পোয়েট্রিয়ারস এ একটি মসজিদ ভবনে হামলা করা হয় এবং দখলে নেয়ার চেষ্টা করা হয় ।
কালের কণ্ঠ, ১৭/মার্চ/২০১৯ = অস্ট্রেলিয়ার উত্তর পূর্বাঞ্চলে কুইনসল্যান্ড প্রদেশের বায়তুল মাসবুর নামের একটি মসজিদে গাড়ি হামলা চালিয়েছে এক মাদকাসক্ত তরুন ।
"এনসাইক্লোপিডিয়া অব ওয়ার" অনুযায়ী মানব ইতিহাসে সংঘটিত হওয়া ১৭৬৩টি যুদ্ধের মাত্র ১২৩ টি ধর্মীয় যুদ্ধছিল অর্থাৎ মাত্র ৭ শতাংশ । বিস্তারিত জানতে দেখুন "অবিশ্বাসী কাঠগড়ায়" লেখক রাফান আহমেদ (এক্স সংশয়বাদী)
১৯৩৬ সালের জনসংখ্যার পরিসংখ্যান অনুযায়ী চিনের কুয়োমিংতাং প্রজাতন্ত্রে মুসলিমদের সংখ্যা ছিল ৪ কোটি ৮১ লাখ । মাওসেতুংয়ের নীতির পর এই সংখ্যা কমে দাড়ায় ১ কোটিতে । দৃশ্যত এখানকার ৩ কোটি ৮০ লাখ মুসলিম কথায় উধাও হয়ে যায় সে ব্যাপারে আজ পর্যন্ত সরকারি ব্যাখ্যা কখনো দেয়া হয়নি ।
১৯০৭ সালের হিসাবেই দেখা যায় যে ইউরোপীয় রাশিয়াতে মসজিদের সংখ্যা ছিল ৭০০০ । ১৯৪২ সালে ১৬ মে প্রকাশিত "Soviet War News" এ দেখা যায় যে সমগ্র রাশিয়াতে মসজিদের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে প্রায় ১৩১২ - তে । আবার ১৯১৭ সালে ধর্মীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ছিল ৮০০ । ১৯১৮ সালে এর একটিরও অস্তিত্বই ছিল না ।
ড রাফান আহমেদ তার "অবিশ্বাসী কাঠগড়ায়" ১৬৭ পৃষ্ঠায় উল্লেখ করেছেনঃ পৃথিবীর ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি গণহত্যা চালানো মানুষের তালিকায় প্রথম স্থান অধিকার করেছেন নাস্তিক মাও সেতুং । তার বর্বর শাসনকালে প্রায় ১০ মিলিয়ন মানুষকে হত্যা করা হয় তার প্রত্যক্ষ নির্দেশে । তার বিরোধিতার জন্য অসংখ্য মানুষকে কারাবরণ করতে বাধ্য করা হয় । নাস্তিক মাও সেতুং এর "The Great Leap Forward" নামের গড়া নীতির কারনে অসংখ্য মানুষ মৃত্যুর মুখে পতিত হয় । ঐতিহাসিক ফ্রাংক ডিকোটার এর মতে এর ফলে নিহতের সংখ্যা ৪৫ মিলিয়ন । আরেক চীনা ঐতিহাসিক ইউ জিসুয়াং এর বিশ বছরের গবেষণা অনুযায়ী এই নিহতের সংখ্যা আনুমানিক ৫৫ মিলিয়ন । সব মিলিয়ে নাস্তিকতায় বিশ্বাসী নাস্তিক নেতা মাও সেতুং এর কারনে নিহত মানুষের সংখ্যা ৭০ মিলিয়ন , ৭ কোটি পর্যন্ত গড়ায় । যেই তার পথে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে তাকেই এই নাস্তিক নেতা শেষ করে দিয়েছিল ।
দৈনিক ইত্তেফাক, ১০/ফেব্রুয়ারি/২০১৯ = উইঘুর মুসলিম সম্প্রদায়ের ওপর বর্বর নির্যাতন চীনের । ১০ লাখের বেশি মুসলিমকে বন্দী করে রেখেছে চীন । চীনের পশ্চিমাঞ্চলীয় শিনজিয়াং অঞ্চলে এদের সংখ্যা প্রায় ১ কোটি ১০ লাখ । BBC News বাংলাতেও এই খবর এসেছে ।
কমিউনিস্ট লেখক Joshua Kunitz তার "Down Over Samarkand" নামক বইতে এ কথা স্বীকার করেছেন যে রাশিয়ায় প্রতিটি পল্লীর চাইখানা বা রেস্তরার দেয়ালে ধর্মীয় নেতাদের উপহাসমূলক নানারঙ্গের প্ল্যাকার্ড টাঙ্গানো থাকতো । - বর্তমানেও নাস্তিকরা তাদের কমিউনিস্ট বাপ দাদাদের এই নীতি হুবুহু অনুসরন করে এই জন্যই দেখবেন অনলাইনে ইসলাম নিয়ে নোংরা নোংরা কার্টুন এবং গালাগালি করে নিজেদের উচু মানের কিছু মনে করে !
ড রাফান আহমেদ তার "অবিশ্বাসী কাঠগড়ায়" ১৭০, ১৭১ পৃষ্ঠায় "The Independent.9 December.2015" সূত্রে বর্ণনা করেছেনঃ আলবেনিয়ার শাসক মুরতাদ নাস্তিক আনোয়ার হোজ্জা ইউরোপের একমাত্র মুসলিম দেশ আলবেনিয়ার শাসক খমতায় আরোহণ করে বিশ্বের প্রথম নাস্তিক দেশ হিসেবে আলবেনিয়াকে সরকারী ভাবে ঘোষণা দেন । তার সরকার স্কুলে নাস্তিকতার প্রচারের উদ্যোগ গ্রহন করে । নাস্তিকতাকে অফিশিয়াল পলিসি হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয় । নাস্তিকতা ও সমাজতন্ত্রের বিস্তারে নির্বিচারে কারাবন্দী, হত্যা ও নির্বাসনে পাঠানো হয় । মসজিদ , গির্জাসহ সকল ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান তার আদেশে বন্ধ করে দেয়া হয় । ৪১ বছর শাসন শেষে কারাবন্দী ও হত্যার সংখ্যা প্রায় লাখ ছাড়িয়েছে ।
১৯৪৯ সালে পূর্ব-তুর্কীস্থান বা সিনকিয়াং কমিউনিস্টদের কবলে আসে । বহু আলেম , মুসলিম কর্মচারী ও নেতাদের বন্দী করা হয় । "Sinkiang Thee pau" নামক পত্রিকা থেকে জানা যায় যে মাওয়ানের ক্যাম্পে প্রায় ৩০০০ বন্দীকে আটক করে রাখা হয়েছিল । আহমদ জান, ইসহাক বেগ, আবদুল করীম আবাসভ, দলিল খাঁ, লিসু বাং , চেং আন ফু, শাও শুফু , শাও চেং তান , চাং উং , কাযাক নেতা উরাজ বাই ও অন্যান্য অগণিত তুর্কী মুসলিমদের হত্যা করেছিল এই নাস্তিক কমিউনিস্টরা ।
তেহেলকার ম্যাগাজিনের এক সাংবাদিক ২০০৭ সালে গোপন ক্যামেরার মাধ্যমে তার একটি সাক্ষাৎকার ধারন করে । ২০০২ সালে গুজরাট দাঙ্গার সময় "নারোদা পাতিয়া গণহত্যা (আহমেদাবাদ এলাকায়) চালাতে সে কিভাবে হিন্দুদের সংঘবদ্ধ করেছিল , সেই ঐতিহাসিক সাক্ষাৎকারে হিন্দুত্ববাদী বাজরাঙ্গি অতি আনন্দের সাথে তা বর্ণনা করে । বর্ণনা করে কিভাবে সে ও তার সাথীরা বহু মুসলিমকে আগুনে পুড়িয়ে ও তরোয়াল দিয়ে কেটে হত্যা করে । সেই ঐতিহাসিক সাক্ষাৎকারের কিছু অংশ অনুবাদ করা হলঃ আমরা মুসলমানদের আগুনে পুড়াতেই বেশি পছন্দ করি কারন এই জারজরা তাদের দেহ মৃত্যুর পর চিতায় পুড়াতে চায় না । সংখ্যা লঘূ হওয়াতে মুসলিমদের উপর হিন্দুদের নির্যাতন মাত্রা বেড়ে যায় । মুসলিমদের ব্যাবসায়িক প্রতিষ্ঠান , বাড়ি ঘর পুড়িয়ে দেয়া হয় , শতশত মুসলিম নারীদের ধর্ষণ করা হয়েছে । শিশুদেরকেও তারা বাদ দেয়নি । প্রায় লাখখানেক মুসলিম তাদের বাড়ি ঘর ছেড়ে পালিয়েছে । এই নির্যাতনে RSS সহ উগ্র হিন্দু সন্ত্রাসীরা অংশ নেয় ।
অধ্যাপক ড হাসান জামান তাঁর "কমিউনিস্ট শাসনে ইসলাম" ৪৭ পৃষ্ঠা উল্লেখ করেছেনঃ দ্বিতীয় মহাযুদ্ধের সময় (১৯৪২) মুসলিমদের খুশি করার জন্য Bezbozhnik বা নাস্তিক সমিতি তুলে দেয়া হয় । কিন্তু ১৯৫০ সালের সেপ্টেম্বর মাসে দেখা গেল যে "Soviet for Political and Scientific Research" আবার ধর্ম বিরোধী অভিযান শুরু করেছিল । চিনা কমিউনিস্টরাও এই নীতি গ্রহন করেছে । "জেন মিন জিহ পাও,২৩ সেপ্টেম্বর,১৯৫৩" - শীর্ষক পুস্তিকায় বলা হয়েছেঃ আমরা ধর্মীয় স্বাধীনতা রক্ষণাবেক্ষণের সঙ্গে সঙ্গে ধর্মীয় বিশ্বাস নস্যাৎ করে দেবার নীতিও সমর্থন করি । যে সব ধার্মিক মানুষ ধর্ম পালন করত , তাদের বিরুদ্ধে বিষোদগার করা এদের সমর্থন নীতি বলে বিবেচিত হত । কমিউনিস্ট প্রচার দফতরে প্রধান উযীর লুটিং - ই এই নীতি পরিচালনা করেছিলেন ।
"Morning News, 17. February.1951" সুত্র অনুসারে জানা যায় বুলগেরিয়ার কমিউনিস্ট সরকার ১৯৫১ সালের ফেব্রুয়ারিতে ৬০ হাজার মুসলমানদের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করেছিল এবং তাদের বুলগেরিয়া থেকে তাড়িয়ে দেয়া হয়েছিল । কোন কোন মানুষকে এই হুকুম দেয়া হয় যে তারা যেন ১০/১২ দিনের মধ্যে সম্পত্তি বিক্রয় করে বুলগেরিয়া পরিত্যাগ করে । ফলে তারা বিনামূল্যেই সম্পত্তি হস্তান্তর করে দেশত্যাগ করতে বাধ্য হন । চারনো শহরে স্তালিনের মূর্তি তৈরি বাবদ প্রত্যেকের কাছ থেকে ২৫ পাউন্ড করে আদায় করা হয় ।
ড রাফান আহমেদ তার "অবিশ্বাসী কাঠগড়ায়" ১৭০ পৃষ্ঠায় উল্লেখ করেছেন = নাস্তিক নেতা স্তালিন গণহত্যা, চরম নির্যাতন, নির্বাসন , কৃত্তিম দুর্ভিক্ষ তৈরি প্রভুতির ফলে তার কারনে নিহতের সংখ্যা ৬ কোটি পর্যন্ত গড়ায় । নাস্তিক স্তালিনের অনুপ্রেরনায় আরেক নাস্তিক লেনিনও কম যান নি, প্রায় ৪ মিলিয়ন মানুষ মৃত্যুর কারন সেই নাস্তিক লেনিন । এমনকি হাই স্কুলের এন্ট্রান্স পরীক্ষাতে ফেল মারা নাস্তিক শাসক পলপট কেম্বোডিয়ার ক্ষমতা দখলের পর ক্রাশ ও নৈরাজ্যের ডামাডোল বাজিয়ে তোলে । এই নাস্তিক নেতার সময়ে ১.৫ - ২ মিলিয়ন কেম্বোডিয়ার জনগন ক্ষুধা, রোগ, হত্যা ও অতিরিক্ত কাজের বোঝায় মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে । বিস্তারিত জানতে দেখুনঃ www.history.com/topics/pol-pot ।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক , বিশিষ্ট গবেষক ও চিন্তাবিদ ড হাসান জামান তাঁর "কমিউনিস্ট শাসনে ইসলাম" ৫৪ পৃষ্ঠায় নাস্তিকদের ভয়াবহ উগ্রতার কথা প্রকাশ করেছেন । এই বই থেকে জানা যায়ঃ রুশ কমিউনিস্ট কিরভের পিড়াপিড়িতে উত্তর-ককেশাসের মুসলমানরা মসজিদের বাইরে ও ভিতরে সোভিয়েত নেতাদের ছবি ঝুলাতে বাধ্য হত । ক্রিমীয় তাতারদের মুফতি কারাটাইস্কী কয়েকজন মুসলিম ধর্মীয় নেতার অধিকারের স্বপক্ষে কথা বলেন । এই কারনে ১৯৫২ সালে কমিউনিস্ট নাস্তিকরা তাকেও হত্যা করেছিল । আরয বাইজানের ধর্মীয় নেতা মীর আহমে করীম আগা গাজী সমেত হাজার হাজার ধর্মীয় মুসলমানদেরকে মেরে ফেলা হয় । ১৯৩৭ সালে মুসলিম ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের প্রধান কাশাফ তিয়ার শেমিয়ানকে গুলি করে নাস্তিকরা হত্যা করে । আবু তালিব আখন্দ ও শেখ গনি আখন্দেরও একই দশা হয় । হাজী মাজমুদ্দিন, হাজী উযান ও শেখ কাজী হাসান সমেত ককেশাসের হাজার হাজার ধর্মীয় নেতাদের নির্মমভাবে হত্যা করে এই কমিউনিস্ট নাস্তিকরা । অনেক মানুষকে নির্বাসিত করা হয়েছিল । পাহাড়ি অঞ্চলের ধর্মীয় মুসলমানরাও রক্ষা পায়নি তাদের অনেক পরিবারকে স্ত্রী পুত্র সহ হত্যা করেছিল নাস্তিকরা ।
"অবিশ্বাসী কাঠগড়ায়" লেখক রাফান আহমেদ, পৃষ্ঠা ১৬৪,১৬৫ তে উল্লেখ করেছেনঃ ডেভিন প্যাট্রিক কেলি নামক এক মিলিটেন্ত নাস্তিক "Max Jaeger,Texas Church Shooter Was a Militant Atheist,New York Post, November 6, 2017" এর সুত্র অনুযায়ী ডেভিন প্যাট্রিক কেলি চার্চে খৃষ্টানদের উপাসনালয়ে ভয়ংকর হামলা চালায় এমন সময় যে খৃষ্টানরা তখন তাদের ধর্মীয় কাজে মগ্ন ছিল । টোটাল ২৬ জন মানুষ এই হামলায় মারা যায় , যাদের মাঝে ৮ জনই শিশু এবং সব থেকে ছোটজনের বয়স ছিল মাত্র ১ বছর । এই নাস্তিক ফেসবুকে নাস্তিকদের সমর্থনে অনেক পোস্ট করত এবং ধর্মে বিশ্বাসীদের গালাগালি করত ।
"The Independent.5 December.2017" সূত্র মোতাবেকঃ সেকুলার ফ্রান্সের রাজশহর প্যারিসে হালাল সুপারমার্কেট বন্ধ করার আদেশ দিয়েছে কোর্ট । কারন সেখানে শূকরের মাংস বা মদ বিক্রি করা হয় না এমনকি মালিককে ৪০০০ ইউরো জরিমানাও করা হয়েছে । এই দেশে হিজাব শুধু নিষিদ্ধই করা হয় নি বরং পড়লে জরিমানারও সিস্টেম করা হয়েছে । ঐ দিক চীনে হালাল খাদ্যের বিরুদ্ধে ক্যাম্পেইন করা শুরু করেছে নাস্তিক সরকার । অন্যায় অত্যাচারের কথা তো আগেই আলোচনা করা হয়েছে ।
অধ্যাপক গবেষক ফজলুর রহমান তার "সেকুলারিজম এবং ধর্মনিরপেক্ষ মতবাদ" বইয়ের ৭৫ পৃষ্ঠায় উল্লেখ করেছেনঃ পারমাণবিক বোমা আবিস্কারের পর "অধ্যাপক বারবাস" এর ধ্বংসাত্মক কার্যকারিতার কথা চিন্তা করে বলেছিলেন বাধ্যতামূলকভাবে ধর্মীয় ও নৈতিক শিক্ষা অনুশীলন না করলে মানব সভ্যতা রক্ষা করা সম্ভব হবে না । তিনি উপলব্ধি করেছিলেন যে পারমাণবিক বোমার নিয়ন্ত্রণ ভার কোন অবস্থাতেই সেকুলার চিন্তা ধারার মানুষদের হাতে দেয়া যাবে না । এ বোমার ভার অবশ্যই ধার্মিক ও নৈতিকতাসম্পন্ন লোকদের হাতে অর্পণ করতেই হবে।
(নাস্তিক ধর্মের অনুসারীরা মুক্তমনা,বাকস্বাধীনতা,ব্যাক্তিস্বাধীনতার পূজারী)
সোজা শাব্দিক অর্থে সর্ব বিষয়ে , সর্ব অবস্থায় মুক্তমনে , খোলামনে চিন্তা ভাবনা ও বিশ্লেষণ করা হল মুক্তমনা অথবা মুক্তমন আর অনেক নাস্তিক বলে, মুক্তমনা মানে ধর্মীও গণ্ডির বাইরে বের হওয়া । আরও বলে মুক্তভাবে চিন্তা করা আমার অধিকার আমার প্রাপ্য ।আচ্ছা নাস্তিকদের বলি, শুদু ধর্মের আইনের বাইরে থাকা যদি মুক্তমনা হয় তবে কেন রাষ্ট্রের আইন তথা অ্যামেরিকার আইন, চিনের আইন, জার্মানির আইনের গণ্ডির বাইরে থাকা মুক্তমনা হবে না ? অথবা নাস্তিক ধর্মের বাইরে বের হওয়া কেন মুক্তমনা হবে না ? ও এখানে কবি নীরব! খগেনরা শুধু ইসলাম এর মধ্যেই কথিত মুক্তমনা বিষ প্রয়োগ করার চেষ্টা করে । কখনো কি ভেবেছেন "মুক্তমনা" অথবা খোলা দিলে চিন্তার দাবি আমরা যদি অন্য স্থানে প্রয়োগ করি তবে কি দশা হতে পারে।
আমরা মুক্তমনা , বাকস্বাধীনতায় , ব্যাক্তি স্বাধীনতায় বিশ্বাসী দাবিদাররা যে টাইপের প্রশ্ন করে ঠিক একই স্টাইলে যদি আমাদের দৈনন্দিন কাজে সেই স্টাইলে প্রশ্ন প্রয়োগ করা হয় তাইলে কি অবস্থা হবে ! এখন আসেন এই "মুক্তমনা" দিয়ে আজকে আমাদের সমাজ , আমাদের আদালত, আমাদের খেলাধুলা , আমাদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান , আমাদের আইন ,আমাদের রাষ্ট্রে এমনকি আমাদের ডিফেন্স বাহিনীর অর্থাৎ সব ক্ষেত্রেই এই মুক্তমনা বা মুক্ত স্টাইলে প্রশ্ন করি, দেখি কি ফলাফল আসে! মজার কথা হল এই প্রশ্ন যদি কোন নাস্তিক উত্থাপন করে তাইলে নাস্তিকরাই ঐ নাস্তিকদের জুতা দিয়ে গালে উপহার দিতে ভুল করবে না ! হা হা হা
আদালত বা কোর্টঃ রাষ্ট্রের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ অংশ হল এই আদালত বা কোর্ট । এটি যার ওপর ভিত্তি করে চলে তা হল সাক্ষ্য নির্ভর মানে সাক্ষের ওপর ভিত্তি করেই রায় দিয়ে হয় আবার এ এক্ষেত্রে আদালতের সময় সহ অনেক নিয়ম কানুন মেনে চলতে হয় । এখন বর্তমান সময়ের মুক্তমনা ওরফে নাস্তিক যদি প্রশ্ন করে আমি কেন আদালতের আইন মানতে যাব যেখানে আমি ইসলামের আইনই মানি না । কেন আমি সাক্ষীর কথা বিশ্বাস করবো যেখানে আমি বিশ্বের শ্রেষ্ঠ মানুষ হজরত মোহাম্মদ (সা) কেই মানি না । কেন এত সকালে আমাকে আদালতে যেতে হবে যেখানে ফজরের নামাজই আমি পড়ি না ??? । আদালতের বিচারক আগে ঐ কথিত বিজ্ঞানমনস্ত মুক্তমনা নাস্তিককে বের করে দিবে আর বলবে তোমার আদালতের প্রয়োজন নেই , তোমাদের মত প্রাণীদের দরকার মানুষিক ডাক্তার । হাস্যকর হলেও সত্য ওরা ভাল করেই জানে ঐ মুক্তমনার আজিব বিষ ওরা আদালতের ক্ষেত্রে প্রয়োগ করবে না কারন জার্মানিতে , অ্যামেরিকাতে ইত্যাদি দেশে যেখানে তারা নাস্তিকতার নামে বিজনেস করে সেখানে এই সব এলিয়েন মার্কা প্রশ্ন করলে দানের বাক্স ও ভিক্ষার বস্তা দুইটাই হারাবে !
খেলাধুলাঃ প্রচুর বিধি নিষেধ ,আইন কানুন থাকবেই তো সেটা যে খেলাই হকনা কেন । মাঠের মধ্যে আইন নিয়ন্ত্রন করে রেফারী । কোন মুক্তচিন্তার মানুষ যদি প্রশ্ন করে এই যুগে কত নিয়মরে ভাই! এত নিয়ম কানুন মেনে কি খেলাধুলা করা যায় । ক্রিকেট খেলা কেন এত নিয়ম , কেন এই বিজ্ঞানের যুগে ১১ জন মানুষ একটি আম্মায়ারের নিয়ন্ত্রণে চলবে তার কথা মানবে , রেফারীর বাঁশির ফু তে কেন খেলা শুরু হবে , কেন বল উড়ে গেলে ৬ রান হবে ,কেন নিচ দিয়ে গেলে ৪ রান এত নিয়ম উফ! মানি না , আমি হইলাম খেলাস্তিক তাই খেলাধুলার নিয়ম এ বিশ্বাসী না এসব কুসংস্কার । কি বলবেন এখন আপনারা ???
শিক্ষা কেন্দ্রঃ খগেনরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পড়াশোনা করেছে কিনা জানি না তবে আপনারা কেন "মুক্ত"মনা" এই মতবাদ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এ প্রয়োগ করেন না কেননা এত নিয়ম কানুন এর সাথে শিক্ষা দেওয়া হয় । সকালে ঘুম থেকে উঠে সকালে স্কুলে অথবা কলেজে যেতে হয় , শিক্ষকের কথা মানতে হয় কিন্তু কেন মানার দরকার কি নিজের মত চললেই তো হয় !!! পরিক্ষার হলে অন্যের খাতা দেখে লিখা আমার অধিকার কারন মুক্ত চিন্তা বলে কথা ! । কেন শিক্ষক আমাকে বাধা দিবে , কেন আমাকে স্কুলের , কলেজের নিয়ম কানুন মানতে হবে আমি মুক্তমনা , বিজ্ঞানমনস্ক মানুষ ! আমাদের দেশের বোর্ড পরিক্ষার কেন্দ্রের প্রবেশ পত্রের পিছনে উপদেশ ও বিধি নিষেধ দেওয়া থাকে । মুক্তমনারা কেন ঐ খানে প্রশ্ন করে না এই যুগে কেন আমরা ঐ বিধি নিষেধ মানবো আমরা আমাদের মত চলাফেরা করবো । ও....ও মুক্তমনা বিষ শুধু ইসলামে প্রয়োগ করে আওলা জাওলা মার্কা প্রশ্ন করবে যখন বলা হয় কেন এই প্রশ্ন করেছো তখন আবার বলেন আমরা মুক্তমনা প্রশ্ন করা আমাদের অধিকার, স্বাধীনতা একই মাপের প্রশ্ন অন্য স্থানে করেন না কেন জনাব দেখেছেন কি অবস্থা আপনাদের ?
নাস্তিকরা আদালতের ক্ষেত্রে মুক্তমনা প্রয়োগ করে না , রাষ্ট্রের আইন , শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের আইন , খেলাধুলার আইন , ডিফেন্সের আইন সহ যত আইন আছে সেখানে এই কথিত মুক্তমনা বিষ প্রয়োগ করে না কারন, আশা করি এখন আপনারা সবাই বুঝেছেন । আর এই বিষ ইসলামে ঢুকাবে তাতো হয় না ভাই । আমার কিছু প্রশ্ন ।
১/ মুক্তমনায় কি আইন কানুন রয়েছে ?
২/ বাক স্বাধীনতা কি লাগামহীন নাকি এরিয়া আছে ? সেই এরিয়া কে ঠিক করবে ?
৩/ ব্যাটি স্বাধীনতা কাকে বলে ? এখানে কি আইন আছে ? কেন নাস্তিকরা এই আইন মানতে বাধ্য ?
৪/ কোন মানুষ কি সম্পূর্ণ স্বাধীন হতে পারে ?
৫/ নাস্তিক ধর্মে স্বাধীনতা কাকে বলে ?
৬/ নাস্তিক ধর্মে মানবতা কাকে বলে ?
=(নষ্টাকিজমের অন্ধ অনুসারীদের কিছু ডাবল ডাবল স্ট্যান্ডার্ডঃ)=
* নবী মহাম্মদ (সা)এর একধিক বিয়ে নিয়ে এদের খুব চুলকানি অথচ নাস্তিকরাই অবাধ যৌনচার ও বহুকামিতার বৈধতা চায় । একজন নাস্তিক কয়টি বিয়ে করতে পারবে তার কোন লিমিট নেই "নাস্তিক ধর্মে" অথচ ইসলামের বিয়ে নিয়ে আপত্তি তুলে ।
* নবী মহাম্মদ (সা) আর জয়নাব (রা)এর বিয়ে নিয়ে এদের খুবি আপত্তি অথচ এরাই বলে সম্মতি থাকলে যার সাথে ইচ্ছা যৌন সম্পর্ক করা যাবে এবং এটা করার জন্য তারা অনেক বৈধতা চায় । নাস্তিক ধর্মে সকলের সাথে সংগম জায়েজ ।
* নবী মুহাম্মদ (সা)কে খগেনরা যুদ্ধবাজ বলে জিহাদের জন্য কিন্তু চে, কাস্র , লেনিন , মাও সেতুং,স্ট্যালিন নাস্তিক ধর্মের কাছে পূজনীয়!
* বিয়ে তাদের জন্য অনাচার এমনকি এটা নাকি মেয়েদের ঘরে বন্দী করে রাখে অথচ সমকামীর বিয়ের বৈধতার জন্য এরা নাকের জল, চোখের জল একত্রে করে ফেলে ।
* ধর্মদ্রোহী মুরতাদকে ইসলামী আদালতে কেন শাস্তি দেয়া হয় এ নিয়ে নাস্তিক ধর্মের উগ্ররা মহাখেপা কিন্তু দেশদ্রোহীর সর্বচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড এটা নিয়ে তাদের কোন মাথা ব্যথা নাই ।
* যদি কোন হুজুর অপরাধ করে তখন নাস্তিকরা পুরা মুসলিম এবং ইসলামকে দোষ দেয় কিন্তু যখন কোন নাস্তিক অপরাধ করে তখন তারা সব নাস্তিক অনুসারীদের দোষ দেয় না বরং অপরাধীর পক্ষে সাফাই গাইতে থাকে নাইলে গোঁজামিল তো দিবেই ।
* কুরবানির ঈদে মুসলিমরা নাকি গরু হত্যা করে অথচ কে,এফ,সির চিকেন ফ্রাই, বিফ বার্গার, নববর্ষ উপলক্ষে ইলিশ মাছ হত্যা , থার্টি ফার্স্ট নাইট উপলক্ষে মুরগি হত্যা করে, না খেলে নাস্তিক ধর্মের অন্ধ বিশ্বাসীদের চলেই না ।
* নাস্তিক ধার্মিকরা কবিতার উপমা বুঝে সেসব পড়ে আর আহা উহু করে কিন্তু কুরআন হাদিসের উপমা এরা বুঝেও না বুঝার নাটক করে আজীব !!!
* নাস্তিকরা সাম্রাজ্যবাদীকে খুব লাইক করে কারন এখানে নাকি শ্রমিকরা শোষিত হয় না কিন্তু নবী মহাম্মদ (সা) নাস্তিকদের কাছে খুব অপছন্দ কারন তিনি বলেছেনঃ শ্রমিকদের ঘাম শুঁকানোর আগেই তাঁদের মজুরি দিয়ে দেও !!!
* ইসলামের শাস্তি গুলো এত ভয়ংকর কেন এই নিয়ে তাঁদের মানবতা জেগে উঠে কিন্তু তারাই আবার ধর্ষকের যৌনাঙ্গ কেটে নিতে চায় এবং রাজাকারদের কঠিন শাস্তি চায় ।
* সেকুলারিজম অনুযায়ী কোন ধর্ম কি করলো তাতে কারও কোন মাথা ঘামাবার কিছুই নাই এমনকি কারও চুলকানি হওয়ার কথা না কিন্তু ধর্ম নিরপেক্ষবাদীরা ইসলামের পিছনে কাঠি নিয়ে সর্বদাই লেগে থাকে ! এ কেমন কথা আমি বুঝলাম না !
* নাস্তিক ধার্মিকদের মুখে প্রায়ই একটি কথা শুনা যায় , কে কি পোশাক পড়বে এটা নাকি তার ব্যাক্তিগত অভিরুচি , কিভাবে নিজেকে প্রেজেন্ট করবে এটাও নাকি তার একান্তই নিজের ব্যাপার তাহলে আমার কথা হল কে দাড়ি রাখল , টুপি পড়বে বোরখা পড়বে এটাও তার ব্যাক্তিগত ব্যাপার কিন্তু নাস্তিক ধর্মের প্রাণীরা এসব ব্যাপারে তাদের নাক গলানো একটু কেমন জানি দেখায় !
* নাস্তিক ধর্মে বিবর্তনবাদে ইমান আনা ফরজ অথচ এরাই আবার বলে হযরত আদম (আ)এর ইতিহাস নাকি ভুয়া হাহাহাহা । নাস্তিকরা যদি নিজের চোখে কোন ব্যাকটেরিয়াকে কোন প্রানিতে রুপ নিতে না দেখেও বিশ্বাস করতে পারে আমরা কেন হাজার হাজার মানবিক বিশ্বাস আদম (আ) এর ইতিহাসে বিশ্বাস করতে পারব না একশবার পারব কারন নিজেদের পূর্ব পুরুষ বান্দর ছিল এটা বলা বেশি মানবিক নাকি নিজের পূর্ব পুরুষ হযরত আদম (আ) ছিল এটা বলা বেশি স্মার্ট নিজেরাই ভাবুন ।
* নবী মহাম্মদ (সা) এর চাঁদ দ্বিখণ্ডিত, মেরাজের ঘটনা ইত্যাদি মোজেজা নাস্তিক ধর্মের ধার্মিকরা বিশ্বাস করে না অথচ এরাই বিগব্যাঙের ওপর,বিবর্তনবাদের ওপর,ডার্ক ম্যাটারের ওপর নাস্তিক মোল্লারা ইমান আনা ফরজ বলে । আসুন একটু বিবর্তনবাদী ইমান নিয়ে একটু কিছু বলি, বিবর্তন তত্ত্ব পুরোপুরি ভ্রান্ত ধারণা, কল্পকাহিনী, মিথ্যাচার, আর চাপাবাজির উপর ভিত্তি করে দাঁড়িয়ে আছে। এ'রকম একটি তত্ত্বের প্রস্তাবক যদি এশিয়া বা আফ্রিকার কেউ হতো, কিংবা এই তত্ত্বকে যদি বিজ্ঞানের নামে আব্রাহামিক ধর্মের বিরুদ্ধে দাঁড় করিয়ে দেওয়া না হতো, তাহলে অনেক আগেই তা ভাগাড়ে নিক্ষিপ্ত হতো। বাংলা অন্তর্জালে যারা লাঠি-সোটা-গালি দিয়ে বিবর্তনবাদের কল্পকাহিনীকে ডিফেন্ড করছে তাদের প্রায় সকলেই কম-বেশী ইসলাম ও মুসলিম বিদ্বেষী। এটি বিচ্ছিন্ন কোনো ঘটনা নয়। যাহোক, বিবর্তনবাদী মোল্লারা কীভাবে অন্ধের মতো অদৃশ্যে বিশ্বাস করে তার কিছু প্রমাণ দেখুন:
প্রথমত- বিবর্তন তত্ত্ব অনুযায়ী কোটি কোটি বছর আগে যে 'ব্যাকটেরিয়া' থেকে পুরো জীবজগতের বিবর্তন শুরু হয়েছে বলে দাবি করা হচ্ছে সেই 'ব্যাকটেরিয়া'-কে কেউই দেখেনি। এমনকি সেই ব্যাকটেরিয়ার কোনো জীবাশ্ম পর্যন্ত নাই! মানে অদৃশ্যে বিশ্বাস।
দ্বিতীয়ত- যেখানে বিবর্তনবাদী মোল্লাদের সাথে শিম্পাঞ্জি ও বানর জাতীয় লেজওয়ালা প্রজাতির খালি চোখে দেখা যায় এমন অনেক মিল আছে সেখানে তারা নিজেদেরকে শিম্পাঞ্জিদের 'খালাতো ভাই-বোন' প্রমাণ করার জন্য ডিএনএ-র উদাহরণ দেয়, যে ডি এন এ-কে খালি চোখে দেখা যায় না! মানে অদৃশ্যে বিশ্বাস।
তৃতীয়ত- কোনো একটি প্রজাতি থেকে ধাপে ধাপে অন্য কোনো প্রজাতির বিবর্তন কেউই স্বচক্ষে দেখেনি। দেখার অবশ্য প্রশ্নও আসে না, যেহেতু বাস্তবে এমন কিছু ঘটেইনি! মানে পুরোপুরি অন্ধ ও অদৃশ্যে বিশ্বাস।
এভাবে বিবর্তনবাদী মোল্লারা অসংখ্য অদৃশ্যে বিশ্বাস করে বিয়্যাকুবের মতো হাসি-ঠাট্টা করে এই বলে যে, "মুসলিমরা আল্লাহকে না দেখেই বিশ্বাস করে! অতএব, তারা অন্ধ বিশ্বাসী! তাদের বিশ্বাস অযৌক্তিক ও অবৈজ্ঞানিক!" এই মহাবিশ্বের স্রষ্টাকে নাকি স্বচক্ষে দেখে বিশ্বাস করলেই তবে 'যুক্তিবাদী' ও 'বিজ্ঞানমনষ্ক' হওয়া যাবে! মুসলিমদেরকে ধরাশায়ী করতে যেয়ে 'যুক্তি', 'বিজ্ঞান', 'প্রমাণ', ইত্যাদি শব্দগুলোকে গোবর লেপ্টে একেবারে পচানো হয়েছে বরং নাস্তিক ধর্মের কারনেই বিজ্ঞান যুক্তি এই শব্দ গুলা বার বার অপমানিত হচ্ছে । শুধু এইগুলা না আরও আছে যেমনঃ ব্লাক হোল, ডার্ক এনার্জি, বাতাস, সব রকমের অনুভূত পরিমাপযোগ্য শক্তি বা এনার্জি (আলো, বিদুৎ, তড়িৎ ইত্যাদি), সময়, এলিয়েন, প্যারালাল ইউনিভার্স, থার্ড ডাইমেনশন এর উপরের ডাইমেনশনগুলো, মাধ্যাকর্ষণ বল বা গ্রাভিটেশনাল ফোর্স, গ্রাভিটেশনাল লেন্স, গ্রাভিটন, স্ট্রিং এনার্জি, স্পেস-টাইম ফিল্ড, ইলেকট্রো-ম্যাগনেটিক ফিল্ড এইগুলা একটিও কোন নাস্তিক ধার্মিক নিজের চোখে দেখেনি সুতরাং বুঝতেই পারছেন !!!
* নাস্তিক ধার্মিকরা এটা বিশ্বাস করে একজন নিরক্ষর মানুষ সমাজের উন্নতি করতে পারে না কিন্তু এটা বিশ্বাস করে ১৪০০ বছর আগের এক নিরক্ষর মেষপালক গোটা সমাজ বদলে দিল এমন এক কিতাব দিল যাতে পুর মানবজাতির বিধান আছে । নিরক্ষর যদি কিছুই না জানে তবে নবী মহাম্মদ (সা) জানলো কিভাবে , তার কোন শিক্ষক ছিল এইতার প্রমান কোন নাস্তিক ধর্মের ধার্মিক দেখাতে পারবে না । হুম, আসলে শিক্ষক ছিলেন আর তাঁর নাম হল আল্লাহ ।
* নাস্তিকরা নাকি ব্যাক্তি স্বাধীনতায় বিশ্বাসী অথচ নবী মুহাম্মদ (সা) তিনি একাধিক স্ত্রী রেখেছেন এবং তাঁর স্ত্রীরাও তাঁর তাকে নিয়ে খুশি , কিন্তু নাস্তিক অন্ধ বিশ্বাসীরা নবীজি (সা) এর এই ব্যাক্তি স্বাধীনতার বিরুদ্ধে ।
* নাস্তিকরা নাকি সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে কিন্তু নবী মুহাম্মদ (সা) তৎকালীন উগ্র সন্ত্রাসীদের মৃত্যুদণ্ড দিয়েছিল যেমন বনু কুরাইজাবাসীকে ইসলামের বিরুদ্ধে কথা বলতে গিয়ে সন্ত্রাসী বনু কুরাইজাবাসীর পক্ষে কথা বলে ।
=(নাস্তিক ধর্মের যৌননীতিমালা)=
নাস্তিক ধর্মে যৌননীতির একটি কমন ফতোয়া হলঃ যদি দুইজন প্রাপ্ত বয়স্ক নারী পুরুষ অথবা পুরুষ পুরুষ উভয় সম্মতিতে সেক্স করে তাহলে এটি জায়েজ । এখন নাস্তিক কার সাথে সংগম করবে কি করবে না এটি আপনার অধিকার এখানে কেউই আপনাকে বাধা দিবে না । - এইবার আসুন আমরা "যৌন নীতিমালা" সম্পর্কে নাস্তিক ধর্মের অনুসারীদের প্রশ্ন ছুঁড়ে দেইঃ
১/ কোন নাস্তিক মা যদি তার নাস্তিক সন্তানের সাথে সেক্স করতে চায় উভয় সম্মতি নিয়ে - এটা কি নাস্তিক ধর্মে হালাল নাকি হারাম ? যদি বলেন অমানবিক তাহলে উক্ত নাস্তিক অনুসারীদের মুক্ত কর্মে আপনি বাধা দেয়ার কে ?
২/ কোন নাস্তিক ছেলে সন্তান যদি তার নাস্তিক বাবার সাথে সমকামী করে সম্মতিতে এটা কি জায়েজ ? যদি করে আপনি বাধা দিবেন কেন আর আপনার কথা সে শুনতে বাধ্য কেন ?
৩/ ধরেন কোন এক নাস্তিক ধর্মের অনুসারী বলল আমার মুক্তমনে যা ইচ্ছা করব এমনকি কুকুরের সাথে সেক্স করব কারন আমার পূর্ব পুরুষ বানর ! এখানে আপনি (নাস্তিক) কি সমাধান দিবেন ?যাই সমাধান দেন কেন তার মতের বিপরীত কথা বলে তার বাক স্বাধীনতায় বাধা দিয়ে কেন মানবতার খেলাফ কাজ করলেন ?
৪/ ধরেন কোন নাস্তিক ধর্মের অনুসারী মা দাবি করল আমি পতিতাবৃত্তি করে পয়সা কামাবো - এখানে আপনি নাস্তিক সন্তান হয়ে কি করবেন ? আপনার মায়ের মুক্তমনা কর্মের বিরোধিতা করবেন নাকি তার স্বাধীনতায় তাকেই ভোগ করতে দিবেন ?
৫/ নাস্তিক ধর্মে নির্দিষ্ট কোন "যৌন নীতিমালা" নাই তাই উপরের কর্মকাণ্ড গুলা ভাল নাকি মন্দ এইগুলা যাচাই করবেন কিভাবে ? তাদের নাস্তিকীয় বিবেকে এইসব বৈধ এখন ?
৬/ বলতে পারেন বিজ্ঞান বলে নিজেদের মধ্যে সেক্স ভাল না তাইলে উপরের সব নাস্তিকদের ধরে নেন সম্মতিতেই আকাম সেরে দিল এখন , প্রয়োজনে কনডম ব্যাবহার করল ক্ষতি এরাতে এখন ? মুক্তমনা , মুক্তকাজ বলে কথা !
৭/ যদি কোন নাস্তিক শ্বশুর চায় সে সম্মতিতে তার নাতির সাথে সমকামিতা করবে , এটি কি নাস্তিক ধর্ম অনুযায়ী জায়েজ ? যদি না হয় তাহলে কেন অবৈধ , আর এই অবৈধর কারন সে শ্বশুর নাস্তিক মানতে বাধ্য কেন ? যদি বাধ্য হয় তাহলে কেন তার ব্যাক্তি স্বাধীনতা এখন নাস্তিক ধর্ম নষ্ট করছে ?
৮/ ধরুন আপনি সম্মতিতে একজন সেক্স পাটনার আরেকজন আপনার সমকামী পাটনার আপনার ঘরে রাখলেন । এখন আপনি চাচ্ছেন আপনার নারী পাটনার এর সাথে সংগম করতে কিন্তু একই সময়ে আপনার সমকামী সাথী বলছে তুমি এখন আমার সাথে সংগম করবে , এই ক্ষেত্রে মুক্তমনার ফতোয়া ঠিক রেখে, আপনি কি করবেন বা নাস্তিক ধর্ম কি বলে ?
৯/ নাস্তিক ধর্মে কি যৌননীতিমালার বিস্তারিত নিয়ম নীতি জানতে চাই ?
১০/ একজন নাস্তিক কয়টি বিয়ে করতে পারবে ? যদি বলেন একটি তাহলে সে যদি চায় একাধিক বিয়ে কেন করতে পারবে না , সম্মতিতে ? সে আপনার কথা মানবে কেন ?
১১/ নাস্তিক ধর্মে যদি একজন ছেলে আরেকজন মেয়ের সাথে সম্মতিতে সংগম করল , ধরে নিলাম তাদের এই সম্পর্ক ১০ বছর স্থায়ী ছিল এখন ছেলে চাইছে এই সন্তানের দায়িত্ব সে নিবে না এখন সেই নাস্তিক নারী কি করবে , নাস্তিক ধর্ম অনুযায়ী ? ধরুন সেই নাস্তিক নারী গরীব তার কেউই নেই সে কি করবে ? নাস্তিক ধর্ম অনুযায়ী ?
১২/ একজন নাস্তিক নারীকে দুই জন নাস্তিক পুরুষ পছন্দ করেছে এখন তারা কি ভাবে যৌনকর্ম করবে ?
১৩/ একজন দুই জন পুরুষ , দুই জন লেসবিয়ান এক সাথে কিভাবে সংগম করবে, যদি করতে চায় ?
১৪/ শুকর আর নাস্তিক ধর্মের অনুসারীদের যৌন আইনে পার্থক্য সমূহ কি কি এবং কেন ?
১৫/ হিজড়াদের সাথে সংগম করতে নাস্তিক ধর্ম কি বলে ?
=(নাস্তিক ধর্ম দিয়ে ইসলামের বিশুদ্ধ বিরোধিতা করতে হলে কি কি করতে হবে?)=
> ইসলাম বলে > সুরা বাকারা ২:১৯৫ = তোমরা নিজেদের জীবন ধ্বংসের মুখে ঠেলে দিও না আর মানুষের সাথে ভাল ব্যাবহার করো , নিশ্চয় আল্লাহ্ভাল ব্যাবহারকারীদের ভালবাসেন ।
আপনাকে এর বিরুদ্ধে যেতে হবে অর্থাৎ আপনি আপনার নিজের জীবনকে ধ্বংস করে দিবেন ! মানুষের সাথে ভাল ব্যাবহার করতে পারবেন না তাহলে আল্লাহও আপনাকে ভালবাসবেন না আর আপনি হবেন অনলাইনের সব থেকে সহিহ খগেন ।
> ইসলাম বলে > সুরা নিসা ৪:৫৮ = নিশ্চয় আল্লাহ্ তোমাদেরকে নির্দেশ দিচ্ছেন আমানত সমূহ তাদের প্রাপকদের কাছে পৌছে দিতে। তোমরা যখন মানুষের মধ্যে বিচার কাজ পরিচালনা করবে তখন ন্যায়-পরায়নতার সাথে বিচার করবে ।
আপনাকে এর বিরুদ্ধে কাজ করতে হবে অর্থাৎ আপনি মানুষের আমানত রক্ষা করতে পারবেন না । এবং মানুষদের সাথে ন্যায় বিচার করতে পারবেন না । তাহলে আপনি এভাবে ইসলামের বিরুদ্ধে কাজ করে একজন সহিহ নাস্তিক হয়ে যাবেন ।
> ইসলাম বলে > সুরা যারিয়াত ৫১:১৯ = ধনীদের ধন সম্পদে রয়েছে অভাব গ্রস্থ ও বঞ্চিতদের অধিকার ।
আপনাকে এর বিরুদ্ধে বেশি বেশি অবস্থান বলতে হবে , আপনি গরিবদের আধিকার নষ্ট করে খাবেন তাহলেই আপনি একজন সহিহ নষ্টাকিজমের অনুসারী হতে পারবেন ।
> ইসলাম বলে > সুরা আরাফ ৭:৫৬ = দুনিয়াতে শান্তি স্থাপনের পর তোমরা তাতে বিপর্যয় ঘটিও না ।
এখন আপনি ইসলামের বিরুদ্ধে কাজ করতে চান তাহলে আপনি মানবতার কাজ করতেই পারবেন না যদি এটি করেন তাহলে আপনি হবেন একজন অনলাইনের সহিহ কুমিন ।
> ইসলাম বলে > সুরা হাজ ২২:৩০ = মিথ্যা কথা হতে দূরে থাকো ।
আপনি এর বিরুদ্ধে সব সময় আমল করবেন , সত্য কথা বললেই আপনি আর নাস্তিক থাকছেন না কারন আপনি ইসলামের এই আইন মেনে নিলেন আর আপনার লক্ষ্য হল ইসলাম দমন করা , ইসলামের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়া সুতরাং তাই আপনাকে সব সময় মিথ্যা কথাই বলতে হবে তাহলে আপনি একজন সহিহ ইসলাম বিদ্বেষী হতে পারবেন ।
> ইসলাম বলে > সুরা নাহল ১৬:৪৩ এবং সুরা আম্বিয়া ২১:৭ = তোমরা যদি না জানো তাহলে জ্ঞানীদেরকে জিজ্ঞাসা করো ।
সুতরাং আপনি কখনোই জ্ঞানীদের প্রশ্ন করতে পারবেন না যদি আপনি ইসলাম বিরুদ্ধে কাজ করতে চান । হ্যাঁ , আপনি সবসময় অশিক্ষিত বর্বর খগেনদের কাছে প্রশ্ন করতে পারবেন তাহলেই ইসলাম বিরুদ্ধেই গেল কাজটি ।
> ইসলাম বলে > জামে আত তিরমিজি, হাদিসঃ ১৮৯৯, সহিহ হাদিসঃ রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ বাবার সন্তুষ্টির মধ্যেই আল্লাহ্ তা‘আলার সন্তুষ্টি এবং বাবার অসন্তুষ্টির মধ্যেই আল্লাহ্ তা‘আলার অসন্তুষ্টি রয়েছে।
আপনি যেহেতু ইসলাম বিদ্বেষী সেহেতু আপনি কখনোই ইসলামের এই উপদেশ মানতে পারবেন না । আপনাকে এর বিরুদ্ধে কাজ করতে হবে । আপনি আপনার পিতার সাথে ভাল ব্যাবহার করতে পারবেন না তাহলেই আল্লাহ আপনার উপর নারাজ হবে আর আপনিও হয়ে গেলেন একজন পাক্কা খগেন ।
> ইসলাম বলে > জামে আত তিরমিজি, হাদিসঃ ১৯২২, সহিহ হাদিসঃ রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ যে লোক মানুষের প্রতি দয়া-অনুগ্রহ প্রদর্শন করে না তাকে আল্লাহ্ তা‘আলাও দয়া করেন না।
আপনি যদি আসলেই ইসলাম বিদ্বেষী হন তাহলে আপনি মানুষের প্রতি দয়া করতে পারবেন না , তাহলে আল্লাহকে আপনি নারাজ করলেন আর হয়ে গেলেন সহিহ খগেন ।
> ইসলাম বলে > সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদিসঃ ৩৬৮৪, হাসান হাদিসঃ সা’দ বিন উবাদাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ তিনি বলেন, আমি জিজ্ঞাসা করলাম, ইয়া রাসূলাল্লাহ! কোন প্রকারের দান সর্বোত্তম? তিনি বলেনঃ পানি পান করানো ।
একজন ইসলাম বিদ্বেষী কখনো কাউকে পানি করাতে পারবে না কারন ইসলামে কাউকে পানি পান করানো উত্তম কাজ আর আপনি যদি ইসলামের বিরুদ্ধে কাজ না করেন তাহলে কেন মানুষকে পানি করাবেন ? আপনাকে একজন সহিহ ইসলাম বিদ্বেষী হতে হবে ।
> ইসলাম বলে > জামে আত তিরমিজি, হাদিসঃ ১৯৬৪, হাসান হাদিসঃ রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ মু’মিন ব্যক্তি চিন্তাশীল, গম্ভীর ও ভদ্র হয়ে থাকে। আর পাপিষ্ঠ ব্যক্তি প্রতারক, ধোঁকাবাজ, কৃপণ, নীচ ও অসভ্য হয়ে থাকে।
আপনি তো মুমিন হতে চান না যেহেতু আপনি নাস্তিক তাই আপনাকে মুমিনের বিরুদ্ধে স্বভাব অর্জন করতে হবে যেমন আপনাকে পাগল হতে হবে , অভদ্র হতে হবে , প্রতারক হতে হবে , ধোঁকাবাজ হতে হবে, কৃপণ হতে হবে এসব আপনি অর্জন করতে পারলেই আপনি আর মুমিন থাকছেন না আপনি একেবারে নোবেইল প্রাইজ প্রাপ্ত একজন খাটি খগেন হয়ে যাবেন ।
আপনি কি একজন ইসলাম বিদ্বেষী হতে চান , আপনি কি খগেন হতে চান , আপনি কি নাস্তিক ধর্মের একজন পাক্কা অনুসারী হতে চান এখনই ইসলামের বিরুদ্ধে কাজ করা শুরু করুন । যদি আপনি না পারেন তাহলে আপনি একজন জঈফ খগেন । আপনাকে দিয়ে নাস্তিক ধর্মের প্রচার সম্ভব না।