পৃথিবী কি ৬ নাকি ২ দিনে সৃষ্টি , কুরআন কি এখানে বৈপরীত্য তথ্য দেয় ?



প্রশ্নঃ পৃথিবী কি ৬ নাকি ২ দিনে সৃষ্টি , কুরআন কি এখানে বৈপরীত্য তথ্য দেয় ?
লিখেছেনঃ এম ডি আলী ।

উত্তরঃ এই বিষয় কুরআনের আয়াত বলছেঃ

* সুরা আরাফ ৭:৫৪, সুরা ইউনুস ১০:৩ , সুরা হুদ ১১:৭ , সুরা ফুরকান ২৫:৫৯ , সুরা সাজদা ৩২:৪, সুরা ক্কাফ ৫০:৩৮ , সুরা হাদিদ ৫৭:৪ = এসব আয়াতে বলা হচ্ছে যে আল্লাহ আসমান ও পৃথিবী সব কিছু সৃষ্টি করেছেন ৬ দিনে ।

* সুরা ফুসসিলাত ৪১:৯ = আল্লাহ পৃথিবী সৃষ্টি করেছেন ২ দিনে ।

আয়াত সমূহ মনোযোগ দিয়ে খেয়াল করলে স্পষ্ট বুঝাই যাচ্ছে যে আসমান ও পৃথিবী সৃষ্টি করতে টোটাল সময় লেগেছে ৬ দিন আর শুধু পৃথিবী সৃষ্টি করতে সময় লাগছে ২ দিন অর্থাৎ এখানে পৃথিবীর সময় আলাদা ভাগ করে বলা হয়েছে । এখানে বিন্দুমাত্র কোন বৈপরীত্য নেই । যদি বলা হত আসমান ও পৃথিবী সৃষ্টি হয়েছে ৬ দিনে আবার আসমান ও পৃথিবী সৃষ্টি হয়েছে ৭ দিনে তাহলে এখানে বৈপরীত্য হত কিন্তু কুরআনে এরকম কিছুই বলছে না তাই কুরআনে বৈপরীত্য মোটেও হচ্ছে না।
উদাহরণঃ আমার বাড়ি ও গাড়ি তৈরি করতে সময় লেগেছে ৬ দিন এবং শুধু গাড়ি তৈরি করতে সময় লাগেছে ২ দিন । এখানে মোটেও বৈপরীত্য হচ্ছে না কেননা বাড়ি ও গাড়ি সময় এক সাথে টোটাল কত লাগেছে সেটাই বলা হয়েছে আবার শুধুমাত্র গাড়ি তৈরির সময় আলাদা করেই বলা হচ্ছে আর তা হল ২ দিনে বানানো হয়েছে ।
উদাহরণঃ আমি আলমারি ও খাট কিনেছি ৬০ হাজার টাকায় এবং খাট কিনেছি ২০ হাজার টাকায় । এখানে আলমারি ও খাটের টোটাল টাকা লাগেছে ৬০ হাজার আবার শুধু খাট কিনতে আমার টাকা লাগছে ২০ হাজার । এখানেও বৈপরীত্য হচ্ছে না কেননা একটি হল টোটাল হিসাব আরেকটি হল শুধু একটি জিনিসের হিসাব ।
উদাহরণঃ ধরুন আমার আকাশ ও পৃথিবীর অংকন করতে আমার সময় লাগছে ঘড়িতে টোটাল ৬ মিনিট আবার আমার পৃথিবীর ছবি আঁকতে আমার সময় লাগছে ২ মিনিট । এখানেও কিন্তু বৈপরীত্য হচ্ছে না কেননা আকাশ ও পৃথিবী আঁকতে সময় লাগছে এক সাথে টোটাল ৬ মিনিট আর শুধু পৃথিবী আঁকতে সময় লাগছে আমার ২ মিনিট । আশা করি বুঝতে পারছেন ।
ডঃ মুজিবুর রহমান অনুবাদকৃত, তাফসীরে ইবনে কাসীর , ১৬ খণ্ড পৃষ্ঠাঃ ৪৫৯ বলা হচ্ছেঃ সবারই সৃষ্টিকর্তা, অধিকর্তা , শাসনকর্তা এবং পালনকর্তা একমাত্র আল্লাহ । সবারই উপর পূর্ণ ক্ষমতাবান একমাত্র তিনিই । যমিনের (পৃথিবীর) মত প্রশস্ত সৃষ্ট জিনিসকে তিনি স্বীয় ক্ষমতাবলে মাত্র দুইদিনে সৃষ্টি করেছেন । মানুষের তার সাথে কুফুরি করা এবং শিরক করাও উচিত না । তিনি যেমন সবারই সৃষ্টিকর্তা তেমনই তিনিই সবার পালনকর্তা। এটা স্মরণ রাখার বিষয় যে অন্যান্য আয়াতে যমিন (পৃথিবী) ও আসমানকে ৬ দিনে সৃষ্টি করার কথা বর্ণিত হয়েছে, আর এখানে (সুরা ফুসসিলাত ৪১:৯) এগুলোকে সৃষ্টি করার সময় পৃথকভাবে বর্ণনা করা হয়েছে । এরপরে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে।
এই দিন বলতে আসলে কোন "দিন" বুঝানো হয়েছে ?
* তাফসীরে আহসানুল বয়ান , পৃষ্ঠা ২৭৬ এ সুরা আরাফ ৭:৫৪ ব্যাখ্যায় বলা হয়েছে = এই ৬ দিন হল রবিবার, সোমবার , মঙ্গলবার , বুধবার এবং বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার । শনিবার দিন সম্পর্কে বলা হয় যে এ দিনে কোন কিছু সৃষ্টি করা হয়নি । এরপরে বলা হচ্ছে যে এ দিন গুলোর মধ্যে কোন "দিন" বুঝানো হয়েছে ? আমাদের এই দুনিয়ার এই দিন যা সূর্যোদয় থেকে আরম্ভ হয়ে সূর্যাস্ত গেলে শেষ হয়ে যায় ? নাকি এ দিন হাজার বছরের সমান দিন ? যেভাবে আল্লাহর নিকট দিনের গননা হয় সেই দিন, না যেভাবে কিয়ামতের দিনের ব্যাপারে আসে সেই দিন ?
বাহ্যতঃ দ্বিতীয় এই উক্তিই সর্বাধিক সঠিক মনে হচ্ছে । কারন প্রথমত সে সময় চাঁদ ও সূর্যের এই নিয়মই ছিল না । আসমান ও যমিন (পৃথিবী) সৃষ্টির পরই এ নিয়ম চালু হয়েছে । দ্বিতীয়ত এটি ঊর্ধ্ব জগতের ব্যাপার যার দুনিয়ার রাত দিনের কোন সম্পর্ক নাই । কাজেই এই দিনের প্রকৃত অর্থ মহান আল্লাহই বেশি ভাল জানেন । আমরা নিশ্চয়তার সাথে কিছু বলতে পারি না ।
তাছাড়া মহান আল্লাহ তো "কুন" শব্দ দ্বারা সব কিছুই সৃষ্টি করতে পারতেন তা সত্ত্বেও তিনি প্রতিটি জিনিসকে প্রথক পৃথকভাবে পর্যায়ক্রমে বানিয়েছেন কেন ? এর যুক্তি ও কৌশলগত ব্যাপার আল্লাহই সর্বাধিক জ্ঞাত । তবে কোন কোন আলেম এর একটি যৌক্তিকতা সম্পর্কে বলেছেন যে, এতে মানুষকে ধীর-স্থিরতার সাথে শান্তভাবে এবং পর্যায়ক্রমে কার্যাদি সম্পাদন করার শিক্ষা দেয়া হয়েছে । আর আল্লাহই বেশি জানেন ।
* প্রকাশনায় ইসলামিয়া কুতুবখানা , তাফসীরে জালালাইন, ২ খণ্ড , ৩৯৭ পৃষ্ঠা , সুরা আরাফ ৭:৫৪ আয়াতের ব্যাখ্যা দেয়া হয়েছে যে = নিশ্চয় তমাদের প্রতিপালক আল্লাহ যিনি আকাশমণ্ডলী ও পৃথিবী দুনিয়ার দিনের পরিমানুসারে ৬ দিনে, সেই সময়ে সূর্য ছিল না , সুতরাং দিন নির্ধারনের প্রশ্ন উঠে না । সৃষ্টি করেছেন । আল্লাহ ইচ্ছা করলে এক মুহূর্তেই সব কিছু সৃষ্টি করে ফেলতে পারতেন । তা সত্ত্বেও মানুষ জাতিকে ধীরতা শিক্ষা দানের উদ্দেশ্যে তিনি তা হতে বিরত রইলেন এব সময় নিয়ে তা করলেন ।
* প্রকাশনায় ইসলামিয়া কুতুবখানা , তাফসীরে জালালাইন, ২ খণ্ড , ৪০০ পৃষ্ঠা বলা হয়েছেঃ সূর্যের পরিক্রমণের ফলে দিন ও রাত্রির সৃষ্টি । নভোমণ্ডল ও ভূমণ্ডল সৃষ্টির পূর্বে যখন চন্দ্র-সূর্যই ছিল না, তখন ৬ দিনের সংখ্যা কি হিসেবে নিরুপিত হল ?
কোন কোন তাফসীরবীদ বলেছেন ৬ দিন বলে এতটুকু সময় বুঝানো হয়েছে যা এ জগতের হিসেবে ৬ দিন হয় । কিন্তু পরিস্কার ও নির্মল উত্তর এই যে , সূর্যোদয় থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত যে দিন এবং সূর্যাস্ত থেকে সূর্যোদয় পর্যন্ত যে রাত এটি এ জগতের পরিভাষা । বিশ্ব সৃষ্টির পূর্বে আল্লাহ তা"লার কাছে দিবারাত্রির পরিচয়ের অন্য কোন লক্ষন নির্দিষ্ট থাকতে পারে । যেমন জান্নাতে দিবারাত্রি সূর্যের পরিক্রমণের অনুগামী হবে না ।
এতে আরও জানা যাচ্ছে যে , যে ৬ দিনে নভোমণ্ডল ও ভূমণ্ডল সৃষ্টি করা হয়েছে তা আমাদের ৬ দিনের সমান হওয়া জরুরি না । বরং এর চাইতে বড়ও হয়ে পারে যেমন , পকালের দিন সম্পর্কে কুরআনে সুরা হজ ২২:৪৭ আয়াতে আছেঃ আল্লাহর কাছে একদিন তোমাদের গণনার এক হাজার বছরের সমান।
সে জন্য ইমাম আহমদ ইবনে হাম্বল ও মুজাহিদ (রহ) বলে এ ৬ দিনের অর্থ পরকালের ৬ দিন । সাহাবী হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা) এর এক রেওয়াতেও তাই বর্ণিত হয়েছে ।
* তাফসীরে ফি যিলাযিল কুরআন , ৭ খণ্ড, ১২২ পৃষ্ঠাঃ কুরআনের সুরা আরাফ ৭:৫৪ বলা হচ্ছেঃ ৬ দিনে তিনি আকাশমণ্ডলী ও পৃথিবীকে সৃষ্টি করেছেন । এটাও একটা রহস্য , যা কোন মানুষ দেখেনি এমনকি আল্লাহর সৃষ্ট আর কেউই এই সৃষ্টির কাজ দেখেনি । সুতরাং এ বিষয়ে যা কিছুই বলা হয়েছে তার পিছনে কোন যুক্তি বা নিশ্ছিত প্রমান নাই । তবে উপরের আয়াতে এতটুকু বুঝা যাচ্ছে যে আকাশমণ্ডলী ও পৃথিবীর সৃষ্টিক্রিয়া ৬ টি পর্যায়ে সমাপ্ত হয়েছে এবং ৬ প্রকারের বা ৬ টি সময়ে চলেছে এই সৃষ্টিক্রিয়া ।
নাস্তিক ধর্মের অন্ধ বিশ্বাসীদের দাবী করে বলে যে উল্লেখ্য, অনেকেই দাবী করেন যে, ছয় দিনে মহাবিশ্ব সৃষ্টির ছয়দিন বলতে নাকি ছয় যুগ বা ছয় কাল বোঝানো হয়েছে। অথচ সহিহ হাদিসে একদম শনি রবি সোম বার উল্লেখ করেই দিনের হিসেব করা হয়েছে। যা থেকে নিঃসন্দেহে বোঝা যায়, ঐ ছয় দিন আসলে পৃথিবীরই দিন। তাই এই বিষয়ে মিথ্যাচার করার আর কোন উপায় নেই।
ihadis.com, সহিহ মুসলিম, হাদিসঃ ৬৯৪৭ , হাদিস সহিহঃ আবু হুরাইরাহ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমার হাত ধরে বললেন, আল্লাহ তা’আলা শনিবার দিন মাটি সৃষ্টি করেন এবং এতে পর্বত সৃষ্টি করেন রবিবার দিন। সোমবার দিন তিনি বৃক্ষরাজি সৃষ্টি করেন। মঙ্গলবার দিন তিনি বিপদাপদ সৃষ্টি করেন। তিনি নূর সৃষ্টি করেন বুধবার দিন। তিনি বৃহস্পতিবার দিন পৃথিবীতে পশু-পাখি ছড়িয়ে দেন এবং জুমুআর দিন আসরের পর জুমুআর দিনের শেষ মুহূর্তে অর্থাৎ আসর থেকে নিয়ে রাত পর্যন্ত সময়ের মধ্যবর্তী সময়ে সর্বশেষ মাখলুক আদাম (আঃ) কে সৃষ্টি করেন।
মজার ব্যাপার হল এই নিয়ে মিথ্যাচার করার আসলেই উপায় নেই নাস্তিক অন্ধ বিশ্বাসীদের কেননা উপরের হাদিসে কি মহাবিশ্ব সৃষ্টি করার কোন কথা বলা হয়েছে ? উত্তর হল না । পৃথিবী সৃষ্টি করার কথা বলা হয়েছে ? উত্তর হল না । এখানে আসলে পৃথিবীর ভিতরে কি কি আল্লাহ সৃষ্টি করেছেন সেটাই বর্ণনা করা হচ্ছে । শনি রবি সোম এসব বার এর নাম লেখা থাকলেই যে সেটি ২৪ ঘণ্টার দিনের দ্বারা আসমান ও পৃথিবী বলা হয়েছে এটি প্রমান হয় না । কেননা একটু আগেই আমরা প্রমান করেছি সেই ৬ দিন আসলে দুনিয়ার দিন না, পরকালের দিন ।
আচ্ছা ঠিক আছে যুক্তির খাতিরে ধরে নিলাম উপরের হাদিসে আমাদের ২৪ ঘণ্টার হিসাবেই বুঝানো হয়েছে তাহলেও কোন ভুল হবে না কেননা যেহেতু আল্লাহ পৃথিবী সৃষ্টি করেছেন , হ্যাঁ যদি সূর্য এর আগে সৃষ্টি করে ফেলেন তাহলে এখানে ২৪ ঘণ্টার হিসাব ধরলে কোন প্রব্লেম হবে না । কারন মহাবিশ্ব ও পৃথিবী সৃষ্টি করতে টোটাল ৬ টি সময়কাল লেগেছে আর আমরা আগেই প্রমান করেছি এই ৬ দিন হল পরকালের দিন , দুনিয়ার না কিন্তু উপরের হাদিসে বলা হচ্ছে দুনিয়ার ভিতরে আল্লাহ কি কি সৃষ্টি করেছেন সেসবের কথা তাই এটি আসমান ও পৃথিবী টোটাল হিসাবের সাথে মোটেও এমনকি বিন্দুমাত্র বৈপরীত্য হচ্ছে না । পরিস্কার বুঝা যাচ্ছে ।
উপরের সমস্ত বিশুদ্ধ তথ্য প্রমান হাতে রেখে আমি কিছু দাবি ও কিছু প্রশ্ন সামনে রাখছিঃ
১/ এক আয়াতে আসমান ও পৃথিবী সৃষ্টির টোটাল সময়কাল উল্লেখ করা হয়েছে ৬ দিন আর শুধু পৃথিবী তৈরি করতে সময় লাগছে ২ দিন সুতরাং এখানে কোন বৈপরীত্য হচ্ছে না ।
২/ যখন আসমান আর পৃথিবী সৃষ্টি করা হচ্ছিল তখন সূর্য ও চাঁদ কিছুই ছিল না সুতরাং এই দিন বলতে কখনো দনিয়ার ২৪ ঘণ্টার দিন বুঝায় না।
৩/ বিভিন্ন তাফসীর থেকে প্রমান করা হয়েছে যে ২৪ ঘণ্টার দিন কুরআনের উক্ত আয়াত সমূহে বলা হয়নি বরং পরকালের দিনের হিসাবেই আয়াতে বলা হয়েছে ।
৪/ যেই হাদিস দিয়ে নাস্তিক অন্ধ বিশ্বাসীরা প্রমান করতে চাচ্ছেন যে, সেখানে শনি রবি সোম এভাবে বলার কারনেই বুঝা যাচ্ছে ২৪ ঘণ্টার হিসাব অনুযায়ী পৃথিবী সৃষ্টি করা হয়েছে কিন্তু এই কথাটি আসলে ভুল অথবা খগেনরা ইচ্ছা করেই এখানে জালিয়াতি করেছে কারন উপরের হাদিসে পৃথিবী সৃষ্টির কথা বলাই হয়নি বরং পৃথিবীর ভিতরে কি কি তৈরি করা হয়েছে সেটি বলা হয়েছে আর সেটি যদি ২৪ ঘণ্টার হিসেবে ধরাও হয় তাহলেও ভুল হবে না ।
৫/ মজার ব্যাপার হল আধুনিক বিজ্ঞানের সাথে কুরআনের এই ৬ টি সময়কাল অথবা ৬ টি পর্যায়ের তথ্যের সাথে কোন বিরোধ নাই কারন সব থেকে আগ্রহোদ্দীপক বিষয় হচ্ছে, আধুনিক বিজ্ঞান অনুযায়ী মহাবিশ্ব তৈরি হয়েছে ছয়টি পর্যায়কালে। যথাঃ 1.Plank time 2.Inflationary 3.Formation of proton & neutron 4.Formation of nucleus 5.Formation of matter & separation of radiation 6.Familiar universe.....রেফারেন্সঃ বিস্তারিতভাবে Epoch বা সময়কালের ধাপগুলোর বিবরণ দেখা যেতে পারে National Geographic Magazine, February 1982 (Vol. 161, No. 2) থেকে ।
৬/ কুরআনে সুরা হজ ২২:৪৭ আয়াতে আছেঃ আল্লাহর কাছে একদিন তোমাদের গণনার এক হাজার বছরের সমান। তাহলে এখানে আপনি কিভাবে বলবেন যে দুনিয়ার ২৪ ঘণ্টা বলা হয়েছে , যেখানে আল্লাহর কাছে একদিন আর আমাদের কাছে এক হাজার বছর ?
৭/ উপরের বর্ণিত হাদিসে পৃথিবী সৃষ্টি হয়েছে ২৪ ঘণ্টার দিনের হিসেবে এই লাইনটি আমাকে দেখান?
৮/ নবী মুহাম্মদ (সা) কি বলেছেন যে ঐ হাদিসে শনিবার , রবিবার এসব বার উল্লেক করা হয়েছে বলেই আসমান ও পৃথিবী , দুনিয়ার ২৪ ঘণ্টার হিসেবে তৈরি করা হয়েছে ?
৯/ এমন একটি সহিহ হাদিস আমাকে দেখান যেখানে বলা হচ্ছে আসমান ও পৃথিবী ৬ টি সময়কালে সৃষ্টি করা হয়নি ?
১০/ যদি আসমান ও পৃথিবী সব সৃষ্টি করতে লাগে ৬ দিন তাহলে শুধু পৃথক ভাবে পৃথিবী সৃষ্টি করতে যদি ২ দিন লাগে তাহলে এখানে পরস্পর বৈপরীত্য কিভাবে হয় ?
এমডি আলী

যিনি একজন লেখক, বিতার্কিক ও গবেষক। বিভিন্ন ধর্ম ও মতবাদ বিষয় পড়াশোনা করেন। ইসলামের সত্যতা মানুষের কাছে ছড়িয়ে দিতে চান। “সত্যের অনুভূতি” উনার লেখা প্রথম বই। “ফ্যান্টাস্টিক হামজা” দ্বিতীয় বই। জবাব দেবার পাশাপাশি নাস্তিক মুক্তমনাদের যৌক্তিক সমালোচনা করে থাকেন।

Previous Post Next Post