বাপের বাড়ি হাফসাকে পাঠিয়ে দিয়ে দাসী মারিয়া আল কিবতিয়ার সাথে সেক্স করে ধরা খেয়েছেন নবী মুহাম্মদ - এটা কি চরিত্রহীনতার প্রমান নয় ?

প্রশ্নঃ বাপের বাড়ি হাফসাকে পাঠিয়ে দিয়ে দাসী মারিয়া আল কিবতিয়ার সাথে সেক্স করে ধরা খেয়েছেন নবী মুহাম্মদ - এটা কি চরিত্রহীনতার প্রমান নয় ?

লিখেছেনঃ এম ডি আলী

উত্তরঃ

প্রথমে আমরা সুরা তাহরিমের ১ - ৫ আয়াত গুলি জেনে নেইঃ

১/ হে নবী আল্লাহ্‌ তোমার জন্য যা হালাল করেছেন, তোমার স্ত্রীদের সন্তুষ্টি কামনায় তুমি কেন তা হারাম করছ ?

২/ নিচ্ছয় তোমাদের জন্য শপথ হতে মুক্তির বিধান দিয়েছেন আর আল্লাহ্‌ তোমাদের অভিবাবক ।

৩/ আর যখন নবী তাঁর এক স্ত্রীকে গোপনে একটি কথা বলেছিলেন , অতপর যখন সে স্ত্রী অন্যকে তা জানিয়ে দিল এবং আল্লাহ্‌ তাঁর নবির কাছে এটি প্রকাশ করে দিলেন , তখন নবী কিছুটা তাঁর স্ত্রীকে অবহিত করল আর কিছু এড়িয়ে গেল । যখন সে তাঁকে বিষয়টি জানাল তখন সে বলল আপনাকে এ সংবাদ কে দিল ? সে বলল মহাজ্ঞানী ও সর্বজ্ঞ আল্লাহ্‌ আমাকে জানিয়েছেন ।

৪/ যদি তোমরা উভয়ই আল্লাহ্‌র কাছে তওবা কর (তবে তা তোমাদের জন্য উত্তম) কারন তোমাদের উভয়য়ের অন্তর বাকা হয়েছে আর তোমরা যদি তাঁর বিরুদ্ধে সাহায্য করো তবে আল্লাহই তাঁর অভিবাবক এবং জিব্রাইল ও সৎকর্মশীল মুমিনরাও । তাছাড়া অন্যান্য ফেরেশতারা তাঁর সাহায্যকারী ।

৫/ সে যদি তোমাদের তালাক দেয় তবে আশা করা যায় , তার রব তোমাদের পরিবর্তে তোমাদের চাইতে উত্তম স্ত্রী তাঁকে দিবেন । যারা মুসলিম, মুমিনা , অনুগত , তওবাকারী , ইবাদতকারী, সিয়াম পালনকারী , অকুমারি ও কুমারি
আমরা উপরের আয়াতের ব্যাপারে দুটি ঘটনা পাই এবং এই দুটিই ঘটনা ব্যাখ্যা করব নিরপেক্ষ ভাবে । কেননা দুটিই ঘটনাই শিক্ষণীয় তাছাড়া মোহাদ্দেস কেরাম বা হাদিসবিদগন কেউ এক ঘটনাকে সহিহ বলেছেন তো অপরটিকে জয়ীফ বলেছেন আবার কেউ কেউ অপরটিকে সহিহ বলে অন্যটিকে জয়ীফ বলেছেন । তাই আমরা দুটিই ঘটনাই নিরপেক্ষভাবে ব্যাখ্যা করব ।

ঘটনা গুলি বিস্তারিত জানতে দেখুনঃ
* তাফসিরে ইবনে কাসির
* তাফসিরে ফি জিলালিল কুরআন
* তাফসীরে জালালাইন
* তাফসীরে মাজহারী
= সুরা তাহরিমের ১ - ৫ আয়াতের তাফসীর

মধুর ঘটনাঃ

সহিহ বুখারিতে ঐ আয়াতের ক্ষেত্রে রয়েছে যে , রাসুল (সা) হযরত জয়নাব বিনতে জাহশ (রা) ঘরে মধু পান করতেন এবং এই কারনে তিনি তাঁর ঘরে কিছুক্ষণ বিলম্ব করতেন । এই জন্য হযরত আয়েশা (রা) ও হযরত হাফসা (রা) পরস্পর পরামর্শ করেন যে , তাঁদের মধ্যে যারই কাছে রাসুল (সা) আসবেন তিনি যেন তাঁকে বলেন, আপনার মুখ থেকে মাগাফিরের (সুস্বাদু কিন্তু গন্ধযুক্ত এক প্রকার খাবার) গন্ধ আসছে । হয়ত আপনি মাগাফির খেয়েছেন । তাঁরা এই কথাই বলে । তখন নবী (সা) বলেন, আমি জয়নাব (রা) এর ঘরে মধু পান করেছি । এখন আমি শপথ করছি যে , আর কখনো আমি মধু পান করব না । সুতরাং তোমরা এই কথা কাউকেও বলবে না । এরপরেই সুরা তাহরিমের ১ আয়াত: হে নবী , আল্লাহ্‌ তোমার জন্য যা হালাল করেছেন, তোমার স্ত্রীদের খুশির কামনায় তুমি কেন তা হারাম করছ ? নাযিল হয় । পরে সেই গোপন কথা অর্থাৎ রাসুল (সা) তাঁদেরকে যে বলেছিলেন অন্য কাউকে না বলতে , এই কথা অন্য স্ত্রীকে তাঁরা বলেদেন যার কারনে সুরা তাহরিমের বাকি আয়াত নাজিল হয় ।

প্রশ্নঃ সামান্য মধুকে কেন্দ্র করে ৫ আয়াত নাযিল হবে ?

উত্তরঃ যেখানে নাস্তিক ধর্মে মদ, গাজা , বিড়ি খাওয়া হালাল সেখানে তারা ইসলামের হালাল হারাম নিয়ে আপত্তি করবেই এটাই স্বাভাবিক । "হালালকে হারাম করেছে নবী" তাই আল্লাহ্‌ নবীকে সংশোধন করেছেন - এটা অবশ্যই অনেক বড় ব্যাপার । তাছাড়া "নবী এই হালালকে হারাম করেছেন" তা যেন অন্যরা না জানে, তা না হলে মধুকে সবাই হারাম ভাববে, অথচ তা হালাল । এই কথা ফাঁশ করল তাই বাকি আয়াত সমূহ নাযিল হয় মানে নবী (সা) তাঁর স্ত্রীদের একটি কথা আমানত সরূপ রাখতে বলছেন কিন্তু তাঁরা অন্যকে বলে দিয়েছে তাই বাকি আয়াত গুলা নাযিল হয় । অবশ্যই এই ঘটনা অনেক বড় ব্যাপার মুসলিমদের জন্য ।

প্রশ্নঃ শুদুমাত্র মধু খাওয়ার জন্য নবী ২৯ দিন কোন বিবির ঘরে যাননি এটা কতটা সম্ভব ?

উত্তরঃ এর জবাব হাদিসেই আছে, মধু অথবা মারিয়া আল কিবতিয়া (রা) ঘটনা যাই হক না কেন মুলত রাসুল (সা) তাঁর স্ত্রীদের প্রতি অনেক অসন্তুষ্ট হওয়ার কারনেই শপথ করেছিলেন যে , এক মাসকাল তিনি তাঁদের সাথে মিলিত হবেন না । অবশেষে আল্লাহ্‌ রাসুলকে তাম্বিহ করেন । দেখুনঃ সহিহ বুখারি, সহিহ মুসলিম, জামে তিরমিজি এবং সুনানে নাসায়িতে বর্ণিত হয়েছে । তাছাড়া স্বামী তাঁর স্ত্রীদের প্রতি অভিমান করতেই পারে এখানে অস্বাভাবিকের কিছুই নাই , বরং স্বাভাবিক ব্যাপার ।

প্রশ্নঃ মধু খাওয়ার মতো একটি তুচ্ছ জিনিসের জন্য কি এরকম অবস্থা হয় যে নবী তাঁর সব স্ত্রীদের তালাক দেয়ার জন্য প্রস্তুত হন ?
উত্তরঃ আগেই বলেছি মধুর জন্যই শুদু নয় আরও ঘটনা রয়েছে আর এই ঘটনা নাস্তিক ধর্মের অনুসারীদের কাছে তুচ্ছ মনে হলেও আমাদের কাছে অনেক বড় । হযরত রাসুল (সা) তালাক দেননি এর জন্য কাউকে । প্রশ্নকর্তার প্রশ্ন শুনে মনে হচ্ছে তালাক দিয়েই দিসেন ! হাহাহা । মুলত এর জবাবও হাদিসেই আছেঃ সহিহ বুখারিঃ হাদিস নং ৪৯১৬: উমর (রা) বলেন রাসুল (সা) এর স্ত্রীগণ রাসুলের উপর অভিমান করে তাঁর বিরুদ্ধে একজোট হয়ে পড়ে । তখন আমি তাঁদেরকে বললাম এমনো হতে পারে যে রাসুল যদি তোমাদেরকে তালাক দেন তবে তাঁর রব তাঁকে তোমাদের পরিবর্তে উত্তম স্ত্রী সমূহ দান করবেন ।

মারিয়া আল কিবতিয়া (রা) ঘটনাঃ

রাসুল (সা) নিজের স্ত্রীদের সাথে থাকার পালা নির্ধারণ করে দিয়েছেন । যখন হাফসা (রা) এর দিন আসলো, তিনি তাঁর পিতামাতাকে দেখতে যাওয়ার জন্য রাসুল (সা) এর কাছে অনুমতি চাইলেন । রাসুল (সা) তাঁকে অনুমতি দিলেন । হাফসা (রা) চলে যাওয়ার পর রাসুল (সা) ঐ ঘরেই ডেকে আনলেন মারিয়া আল কিবতিয়া (রা) কে । সেখানেই তাঁর সঙ্গে একান্তে মিলিত হলেন তিনি । হাফসা (রা) ফিরে এসে দেখলেন ঘরের দরজা বন্ধ । সেখানেই বসে পড়লেন তিনি এবং কাঁদতে লাগলেন মনের কষ্টে ! রাসুল (সা) যখন বের হলেন তখন জননী হাফসা (রা) দেখতে পেয়ে বললেন কি ব্যাপার ! তুমি এখানে বসে কাঁদছ কেন ? হাফসা (রা) বললেন আপনি তাহলে এ উদ্দেশ্যেই আমাকে অনুমতি দিয়েছিলেন ? অভিমানের সাথে আরও বললেন আপনি আমার বিছানায় স্ত্রীদাসীকে স্থান দিলেন । আমার পালার দিনে নৈকট্য দান করলেন তাঁকে ? আপনার কাছে দেখছি আমার কোন মুলোই নাই । রাসুল (সা)বললেন তাঁকে কি আল্লাহ্‌ আমার জন্য হালাল করেন নি ? ঠিক আছে, আর কেঁদো না । তোমাকে খুশি করার জন্য আমি তাঁকে আমার জন্য হারাম করে নিলাম । তবে তুমি এই কথা কিন্তু তোমার সপত্নীদের কাউকে বল না । কিন্তু রাসুল (সা) স্থান ত্যাগ করার পরেই হাফসা (রা), আয়েশা (রা) কে বলে দেন । শনো একটি সুসংবাদ, রাসুল (সা) মারিয়াকে হারাম ঘোষণা করেছেন । এখন আমরা আল্লাহ্‌র রাসুল (সা) এর কাছে অধিক প্রিয় হবো বা আকর্ষণীয় হবো । উল্লেখ্য হাফসা (রা) ও আয়েশা (রা) মধ্যে মিল ছিল গভীর ভাল সম্পর্ক তাই তিনি আয়েশাকে এই কথা বলে দেন বা না বলে থাকতে পারেন না । রাসুল (সা) পরে জানতে পারেন যে হাফসা (রা) আয়েশা (রা)কে ঐ কথা প্রকাশ করে দিয়েছেন ।যখন নবী (সা) হাফসাকে বললেন তুমি আমার গোপন কথা প্রকাশ করে দিয়েছ , তখন হাফসা (রা) অবাক হলেন কারন আয়েশা (রা) ছাড়া তিনি ঐ কথা আর কাউকে বলেন নি আর আয়েশা (রা) তাঁকে বলবেন এই আসঙ্খাও ছিল না । মানে আল্লাহ্‌ তাঁর রাসুলকে আগেই জানিয়ে দেন । ( হাফসা (রা) যেন কাউকে রাসুলের গোপন কথা অর্থাৎ মারিয়াকে নিজের জন্য হারাম করে নিয়েছেন এই কথা কাউকে না বলে এর জন্য এক সুসংবাদও দেন । তা হলঃ রাসুলের ওফাতের পরে হযরত আবু বকর (রা) এর পর হাফসা (রা) এর আব্বা হযরত উমর (রা) লাভ করবেন , এখানে এক প্রশ্ন আসে যে রাসুল (সা) কিভাবে জানলেন যে তাঁর মৃত্যুর পরে এরাই খলিফা হবেন ? )

বিশ্লেষণঃ

* বাপের বাড়ি পাঠিয়ে দিয়ে দাসীর সাথে সেক্স করে ধরা খেয়েছেন কেন ? আসলে এই প্রশ্ন করাটাই ভুল হয়েছে । শুদ্ধ প্রশ্ন হবে হাফসা (রা) কেন রাসুল (সা) এর প্রতি অভিমান করল ? স্বামীর প্রতি স্ত্রী অভিমান করতেই পারে এটা স্বাভাবিক । আর এই ঘটনা দিয়ে প্রমান হয় না যে নবিজির চরিত্র আপত্তিকর বরং নবী তাঁর স্ত্রীকে খুশি করতে নিজের বাদিপত্নীকেই হারাম করেছেন । তৎকালীন কেউ এই ঘটনা নিয়ে আপত্তিকর কিছুই বলেন নি এমনকি রাসুলের দুশমনরাও । হাফসা (রা)ও এই ইস্যুকে কেন্দ্র করে রাসুলের চরিত্র নিয়ে কিছুই বলেননি ।

* স্বামী-স্ত্রী মনমালিন্য হতেই পারে । আর হাফসা (রা) মানুষ ছিলেন তাই তাঁর মধ্যে মানবীয় দুর্বলতা থাকা স্বাভাবিক । রাসুল (সা) এর স্ত্রী বলে তাঁরা এসবের উরধে হবেন এমন নয় তাই স্বামী হিসেবে নিজের বিছানায় অন্য বাদিপত্নীকে দেখে মনে কষ্ট পাওয়াই একেবারেই স্বাভাবিক বিষয় এর জন্য স্বামীর প্রতি অভিমান করাও নরমাল ব্যাপার ।

* হাফসা (রা) এর আচরন স্বামীর প্রতি ভালবাসার কারনেই হয়েছে । রাসুলের স্ত্রীরা সবাই তাঁকে ভালবাসতেন। তাঁরা প্রত্যেকেই চাইতেন তিনি যেন তাঁর একার কাছে থাকেন । এই ঘটনা তারই প্রমান । আর রাসুল (সা) হাফসা (রা) এর কাছে নতি স্বীকার করেছেন খুশি করার জন্য তাই হালালকে হারাম বলায় আল্লাহ্‌র ধমক খেলেন রাসুল (সা) ।

* প্রশ্ন হয় যে, মারিয়া যদি স্ত্রী হতেন , নবী কি কখনো মারিয়াকে নিজের জন্য হারাম করতেন ? সেটা তো মারিয়ার জন্য অবিচার হত ? এর জবাবে আমরা বলব । মারিয়া (রা) স্ত্রী নাকি বাদিপত্নী সেটা নিয়ে এখতেলাফ আছে । যদি মেনেও নেই মারিয়া (রা) দাসী তথা বাদিপত্নী ছিলেন এরপরেও কোন সমস্যা হবে না কারন ইসলামের আইন অনুযায়ী স্ত্রীর সম্পর্ক যেমন বৈধ একইভাবে বাদিপত্নীর সাথে তাঁর মুনিবের একই বৈধ সম্পর্ক । মজার ব্যাপার হল মারিয়ার প্রতি অবিচার করাও হত না কারন মারিয়া (রা) তাঁর মুনিব বা স্বামীকে ভালবাসতেন আর তাঁর সিদ্ধান্ত মেনে নিবেন এটাই স্বাভাবিক । আর এই ঘটনা ব্যাপারে মারিয়া (রা) বিন্দুমাত্র কোন অভিযোগ করেননি ।

* ইব্রাহীম (রা) নাকি রাসুলের (সা) এর জারজ সন্তান ছিলেন ? - এটি মিথ্যা কথা । কারন আগেই বলেছি স্বামী-স্ত্রী বৈধ সম্পর্ক পক্ষান্তরে মুনিব-বাদিপত্নি একই বৈধ সম্পর্ক । ইসলামের আইনে ।

উপরের ঘটনা থেকে আমরা যা শিখতে পারিঃ

= আল্লাহ যা হালাল করেছেন তা হারাম করার ক্ষমতা কারো নেই । এর ক্ষমতা আল্লাহ্‌র ।

= রাসুলের বিরোধিতা না করা ।

= স্বামী স্ত্রীদের মধ্যে মনমালিন্য হলে কিভাবে তা আল্লাহ্‌র দিকে রজ্জু করতে হবে । 

= স্বামীর উচিৎ একাধিক স্ত্রীদের অধিকারের দিকে আরও বেশি অধিক সচেতন থাকা ।

= এক জনের কথা আমানত দিলে অন্য কেউকে না বলা । 

= স্বামী স্ত্রী একে অপরকে সম্মান দেয়া , কথা রাখা , ধৈর্য ধারন করা ।

আরেকটি কথা হলঃ হযরত হাফসা (রা) কি এরপরে আর কখনো এই বিষয়ে অভিযোগ করেছিল ? উত্তর হচ্ছে না । আর নাস্তিক ধর্মের আরেকটি মূলনীতি হল সম্মতিতে যার সাথে ইচ্ছা সংগম করা যাবে আর নাস্তিক ধর্মের দেবদ্যূত ড হুমায়ূন আজাদ তার "আমার অবিশ্বাস" বইয়ের ১৪৩ পৃষ্ঠায় বলেছেনঃ নৈতিকতার সীমা হওয়া উচিৎ সংকীর্ণ । আমার কোন কাজ যেন অন্যকে ক্ষতিগ্রস্থ না করে,এটুকু । সুতরাং নবীজি (সা) যে তাঁর বাদীপত্নীর সাথে সম্মতিতে সহবাস করেছেন এই কথা নাস্তিক ধর্মের আলোকেও কোন আপত্তিকর কিছুই নয় কারন এই ঘটনার ধারাও কেউই ক্ষতিগ্রস্থ হয়নি । তাই নাস্তিক ধর্মের দৃষ্টিটেও এই ঘটনা কোন অভিযোগের মধ্যেই পড়ে না । আশা করি বুঝতে পেরেছেন । 

এইবার আসুন আমরা নাস্তিকিয়াদের "যৌন নীতিমালা" সম্পর্কে নাস্তিক ধর্মের অনুসারীদের প্রশ্ন ছুঁড়ে দেইঃ

১/ কোন নাস্তিক মা যদি তার নাস্তিক সন্তানের সাথে সেক্স করতে চায় উভয় সম্মতি নিয়ে - এটা কি নাস্তিক ধর্মে হালাল নাকি হারাল ? যদি বলেন অমানবিক তাহলে উক্ত নাস্তিক অনুসারীদের মুক্ত কর্মে আপনি বাধা দিয়ে কেন অমানবিক ফতোয়া দিলেন নাস্তিক ধর্মে ?

২/ কোন নাস্তিক ছেলে সন্তান যদি তার নাস্তিক বাবার সাথে সমকামী করে সম্মতিতে এটা কি জায়েজ ?

৩/ ধরেন কোন এক নাস্তিক ধর্মের অনুসারী বলল আমার মুক্তমনে যা ইচ্ছা করব এমনকি কুকুরের সাথে সেক্স করব কারন আমার পূর্ব পুরুষ বানর ! এখানে আপনি (নাস্তিক) কি সমাধান দিবেন ?যাই সমাধান দেন কেন তার মতের বিপরীত কথা বলে তার বাক স্বাধীনতায় বাধা দিয়ে কেন মানবতা বিরধি কাজ করলেন ?

৪/ ধরেন কোন নাস্তিক ধর্মের অনুসারী মা দাবি করল আমি পতিতাবৃত্তি করে পয়সা কামাবো - এখানে আপনি নাস্তিক সন্তান হয়ে কি করবেন ? আপনার মায়ের মুক্তমনা কর্মের বিরোধিতা করবেন নাকি তার স্বাধীনতায় তাকেই ভোগ করতে দিবেন ?

৫/ নাস্তিক ধর্মে নির্দিষ্ট কোন "যৌন নীতিমালা" নাই তাই উপরের কর্মকাণ্ড গুলা ভাল নাকি মন্ধ এইগুলা যাচাই করবেন কিভাবে ? তাদের নাস্তিকিও বিবেকে এইসব বৈধ এখন ?

৬/ বলতে পারেন বিজ্ঞান বলে নিজেদের মধ্যে সেক্স ভাল না তাইলে উপরের সব নাস্তিকদের ধরে নেন সম্মতিতেই আকাম সেরে দিল এখন , প্রয়োজনে কনডম ব্যাবহার করল ক্ষতি এরাতে এখন ? মুক্তমনা , মুক্তকাজ বলে কথা !


এমডি আলী

যিনি একজন লেখক, বিতার্কিক ও গবেষক। বিভিন্ন ধর্ম ও মতবাদ বিষয় পড়াশোনা করেন। ইসলামের সত্যতা মানুষের কাছে ছড়িয়ে দিতে চান। “সত্যের অনুভূতি” উনার লেখা প্রথম বই। “ফ্যান্টাস্টিক হামজা” দ্বিতীয় বই। জবাব দেবার পাশাপাশি নাস্তিক মুক্তমনাদের যৌক্তিক সমালোচনা করে থাকেন।

Previous Post Next Post