নবী মোহাম্মদ (সা) এর যৌনজীবন

বিষয়ঃ নবী মোহাম্মদ (সা)এর যৌনজীবন।

লিখেছেনঃ এমডি আলী

==========================


ভূমিকাঃ প্রতিটি সুস্থ স্বাভাবিক মানুষই চায় তার যৌনজীবন সুন্দর হোক। স্বামী স্ত্রীর সম্পর্কে যৌন মিলন খুবই স্বাভাবিক একটি বিষয়। স্ত্রীরা যদি এক স্বামী নিয়ে সন্তুষ্ট থাকে তাহলে কোনো যুক্তি নেই এই সম্পর্ককে খারাপ বলার। এরপরেও যদি কেউ কারো সুখের সংসারকে খারাপ হিসেবে দেখানোর চেষ্টা করে তাহলে এটা বুঝতে অসুবিধা হবার কথা নয় যে সেই লোক গুলো হয়তো মানসিকভাবে ভারসাম্যহীন। কোনো পুরুষের যৌন ক্ষমতা অধিক থাকা খারাপ কিছু নয়। এমনকি সেই পুরুষ যদি একাধিক স্ত্রী বিয়ে করে এবং সেই স্ত্রীরাও যদি একজন স্বামী নিয়েই খুশি থাকে তাহলে এরকম সম্পর্ককে যৌক্তিকভাবে খারাপ বলার ভিত্তি নেই। তবে হ্যাঁ, কারো এমন সামর্থ্য না থাকলে সে তার সাধ্যমত নিজের দাম্পত্য জীবন পরিচালনা করবে।


মাঝে মাঝেই বেশ কিছু লজ্জিত চেহারার মুক্তমনা নাস্তিকরা কিছু হাদিস নিয়ে নানা ধরণের মিথ্যাচার করেন, এবং এই মিথ্যাচারের মাধ্যমে উনারা উনাদের নিজেদেরকে ইসলামের কট্টর সমালোচক হিসেবে প্রকাশ করতে চান। নবীর মানবিক চরিত্রকে ঘুড়িয়ে দুর্নাম করার অপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যান। নানা ধরণের কুযুক্তি, অপব্যাখ্যা, মিথ্যাচার করে নাস্তিকরা আর এরাই বলে মুসলিমরা নাকি ইসলামের অপব্যাখ্যা দিচ্ছে, কি হাস্যকর নাস্তিকদের মুক্তচিন্তা। তাই একটু যাচাই করে দেখা জরুরি যে, মুসলিমরা আসলে ইসলামের অপব্যাখ্যা দিচ্ছে, নাকি লজ্জিত নাস্তিকরাই। নাস্তিকরা নবীর মানবিক চরিত্রকে বদলে ফেলতে পিছপা হয় না কারণ ঐ যে চিন্তার মুক্তির আন্দোলন করতে হবে না? নাস্তিকদেরকে প্রশ্ন করতে চাই,এভাবে সমালোচনার নামে ইসলাম নিয়ে জালিয়াতি না করে বরং নিজেদেরকে প্রশ্ন করুন আপনার নাস্তিক্যধর্মের যৌন নীতিমালা অনুযায়ী আসলেই ইসলামের যৌন বিধানকে খারাপ বলা যায় কিনা? কোনো নাস্তিক যদি বিশ্বাস করে প্রতিটি মানুষের এই স্বাধীনতা আছে সে কার সাথে রাত কাটাবে আর কার সাথে কাটাবে না সেই নাস্তিক হযরত মোহাম্মদ (সা) এর যৌন জীবন নিয়ে অভিযোগ করার দুঃসাহস পায় কাদের থেকে, হে? কেউ নিজেকে নবী দাবি করলে একাধিক স্ত্রীর সাথে যৌনমিলন করতে পারবে না এই বিধান নাস্তিকরা কিভাবে তৈরি করলো? তাহলে নাস্তিকরা কেন স্বীকার করতে ভয় পাচ্ছে নাস্তিক্যবাদ একটি ধর্মের নাম? 


হযরত মোহাম্মদ (সা)এর শারীরিক ক্ষমতা অন্যান্যদের থেকে বেশি ছিল। এটা অবশ্যই খারাপ কিছু নয়। হযরত মোহাম্মদ (সা) একদিন উনার সব স্ত্রীদের সাথে সহবাস করেন। নাস্তিকরা এই ঘটনাকে বিশ্রী হিসেবে দেখানোর চেষ্টা করে। প্রশ্ন হচ্ছে একাধিক স্ত্রী একজন স্বামী নিয়ে সন্তুষ্ট থাকলে এবং এতে উক্ত স্বামী- স্ত্রীদের যদি ক্ষতি না হয় তাহলে নাস্তিক্যধর্মে কি এরকম দাম্পত্য সম্পর্ক অন্যায়? নাস্তিকরা বলে নাস্তিক্যবাদ নাকি কোনো ধর্ম নয় তাহলে সংশয় হচ্ছে হযরত মোহাম্মদ (সা) স্ত্রীদের সাথে সহবাস করবেন নাকি দাসীদের সাথে এসব বিধান কি নাস্তিকরা নির্দিষ্ট করে দিবে? অন্যকে নৈতিক বিধান নির্ধারণ করে দেয়াটা নাস্তিকতাকে ধর্ম হিসেবে প্রমাণ করে ফেলছে না? পাঠক, চলুন দেখি মুক্তমনা আন্দোলন সংগঠনের সস্তা নাস্তিকরা নবী মোহাম্মদ (সা) এর যৌন জীবন বিষয় কিভাবে জালিয়াতি করে মানুষকে সত্য থেকে সরিয়ে ফেলতে চাইছে। আমার লেখায় আজকে আপনাদের সামনে নাস্তিকদের মিথ্যাচার গুলো পয়েন্ট ধরে ধরে জবাব দিব। পুরো লেখাটি পড়া আপনার জন্য প্রয়োজন।


আয়েশা (রা) নিজ স্বামীকে নারী লোভী বলেছেন?


পাঠক, আমি তো বিস্তারিত শাণিত যুক্তি দিবোই কিন্তু আপনাদেরকে অনুরোধ করবো একটু মনোযোগ দিয়ে খেয়াল করবেন নাস্তিকরা যেই দাবি করছে অথবা নিজেদের নোংরা চিন্তা হাদিসের সাথে মিশিয়ে দেবার অপচেষ্টা করছে সেগুলোর সাথে আসলেই হাদিসের বিন্দুমাত্র সম্পর্ক রয়েছে কিনা। যাচাই করলে দেখবেন নাস্তিকদের দাবির সাথে হাদিসের কোনো মিলই নেই। নিজেরাই এখন প্রমাণ পাবেন।


নাস্তিকরা বলে, আয়েশা নিজে সাক্ষ্য দিয়েছে যে নবী মোহাম্মদ নারী লোভী ছিলেন, হাদিস গুলো দেখুন,


সুনান আবূ দাউদ, হাদিসঃ ৩৯৩১, হাসান হাদিস, ‘আয়িশাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ তিনি বলেন, বনী মুস্তালিক যুদ্ধে ‘জুয়ায়রিয়াহ বিনতুল হারিস ইবনুল মুস্‌তালিক’ বন্দিনী হয়ে সাবিত ইবনু ক্বায়িস ইবনু শাম্মাস (রাঃ) বা তার চাচাত ভাইয়ের ভাগে পড়েন। অতঃপর তিনি নিজেকে আযাদ করার চুক্তি করেন। তিনি খুবই সুন্দরী নারী ছিলেন, নজর কাড়া রূপ ছিল তার। ‘আয়িশাহ (রাঃ) বলেন, তিনি চুক্তির অর্থ চাইতে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর নিকট এলেন। তিনি দরজায় এসে দাঁড়াতেই আমি তাকে দেখে অসন্তুষ্ট হলাম। আমি ভাবলাম, যে রূপ-লাবন্যে তাকে দেখেছি, শিঘ্রই রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম-ও তাকে এভাবে দেখবেন। অতঃপর তিনি বললেন, হে আল্লাহর রাসূল! আমি জুয়ায়রিয়াহ বিনতুল হারিস, আমার সামাজিক অবস্থান অবশ্যই আপনার নিকট স্পষ্ট। আমি সাবিত ইবনু ক্বায়িস ইবনু শাম্মাসের ভাগে পড়েছি। আমি মুক্ত হওয়ার চুক্তিপত্র করেছি, চুক্তির নির্ধারিত অর্থ আদায়ে সাহায্য চাইতে আপনার কাছে এসেছি। তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন, এর চেয়ে ভালো প্রস্তাবে তুমি রাজি আছো কি? তিনি বললেন, কী প্রস্তাব, হে আল্লাহর রাসূল! তিনি বললেনঃ আমি চুক্তির সমস্ত পাওনা শোধ করে তোমাকে বিয়ে করতে চাই। তিনি বললেন, হাঁ, আমি আপনার প্রস্তাবে রাজি আছি। ‘আয়িশাহ (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম জুয়ায়রিয়াহকে বিয়ে করেছেন, একথা সবার মাঝে জানাজানি হয়ে গেলো। তারা তাদের আওতাধীন সমস্ত বন্দীকে আযাদ করে ছাড়তে লাগলেন আর বলতে লাগলেন, এরা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর শ্বশুর বংশের লোক। ‘আয়িশাহ (রাঃ) বলেন, নিজের গোত্রের কল্যাণের জন্য তার চাইতে বরকতময়ী মহিলা আমি আর কাউকে দেখিনি। শুধু তার মাধ্যমে বনী মুস্তালিকের একশো পরিবার আযাদ হয়েছে। ইমাম আবূ দাঊদ (রহঃ) বলেন, এ হাদীস দ্বারা প্রমাণিত হয় যে, মুসলিম শাসক সরাসরি বিয়ে করতে পারেন।-ihadis.com


পাঠক প্রমাণ পেলেন তো? উপরের হাদিসটি মনোযোগ দিয়ে আবার পড়ুন। আয়েশা (রা) ঠিক কোথায় বলেছেন নবী মোহাম্মদ (সা) নারীলোভী ছিলেন? হাদিসটি মনোযোগ দিয়ে পড়লেই পরিস্কার হয়ে যায় আয়েশা (রা) জুয়ায়রিয়াহ (রা) যে সুন্দরী ছিলেন সেটাই বর্ণনা করেছেন এমনকি উনার সৌন্দর্য নবী মোহাম্মদ (সা)ও সেভাবেই দেখবেন এটাই বলা হয়েছে। এখানে কোথায় আয়েশা (রা) নিজের স্বামীকে নারীলোভী বললেন? তর্কের খাতিরে যদি ধরেও নেই আয়েশা (রা) নিজের স্বামীকে নারীলোভী বলে নিন্দা করেছেন তাহলে প্রশ্ন হচ্ছে উনি কেন আজীবন এমন স্বামীর সাথে সংসার করবেন উনাকে তালাকের সুযোগ দেয়া সত্ত্বেও? নবীজি (সা) আয়েশা (রা)কে এই সুযোগ দিয়েছিলেন যদি আয়েশা (রা) চান তাহলে হযরত মোহাম্মদ (সা) কে ত্যাগ করার কিন্তু উনি স্পট ভাষায় বলেছেন আমি আপনাকেই পছন্দ করি। তাহলে এটা তো পরিস্কার যে উনি নিজের স্বামীকে নারীলোভী বলে নিন্দা প্রকাশ করেন নাই বরং এটাই বলেছেন যে জুয়ায়রিয়া (রা) এতো সুন্দরী ছিলেন যে নবী মোহাম্মদ (সা)ও উনাকে এভাবেই দেখবেন, বা বলা যায় নবী মোহাম্মদ (সা) উনার সৌন্দর্যে মুগ্ধ হবেন। এখানে খারাপের কি আছে, হে?


নাস্তিকরা বনু মুস্তালিকের যুদ্ধবন্দিনীদের নিয়ে চরম মিথ্যার আশ্রয় গ্রহণ করে বলে নবী মোহাম্মদ (সা) নাকি বনু মুস্তালিকের যুদ্ধবন্দিনীদের ধর্ষণ করেছিলেন। অথচ উপরের হাদিসটি শক্তিশালীভাবে নাস্তিকদের গালে চপেটাঘাত দিচ্ছে কারণ উক্ত পুরো হাদিসটি পড়লে এটা পরিস্কার হয় নবী মোহাম্মদ (সা) বনু মুস্তালিক যুদ্ধবন্দিনী জুয়ায়রিয়াকে সম্পূর্ণ মতামত গ্রহণের স্বাধীনতা দিয়েছিলেন। নাস্তিকদের অন্ধবিশ্বাস অনুযায়ী নবী মোহাম্মদ (সা) যদি আসলেই তেমন হতো তাহলে কি বনু মুস্তালিকের যুদ্ধবন্দিনী জুয়ায়রিয়া নবীজি (সা) এর কাছে সাহায্য চাইতে আসার সুযোগ পেতেন? অথচ বনু মুস্তালিকের যুদ্ধবন্দিনী সুন্দরী নারীকে বিয়ের করার প্রস্তাব দিলে উনি কি বলেছেন? বলেছেন “আমি আপনার প্রস্তাবে রাজি আছি”। এরপরেও নাস্তিকরা নবীজি (সা)কে নিয়ে মিথ্যাকথা বলা বন্ধ করবে না? বিয়ে হয়ে গেলে, সবাই যখন জেনে যায় বনু মুস্তালিক নবীজির শ্বশুরের লোক তখন সকল বন্দীদের ছেড়ে দেয়া হয়, এটা দেখে আয়েশা (রা) কি বলেছেন জানেন? এনি বলেছেন, নিজের গোত্রের কল্যাণের জন্য তার চাইতে বরকতময়ী মহিলা আমি আর কাউকে দেখিনি। কল্পনা করতে পারেন, দুশমন পক্ষের যুদ্ধবন্দিনী নারীকে মুসলিম নেতা এই কথা বলছেন যে “তুমি যদি চাও তোমাকে এর থেকে ভালো প্রস্তাব দেই”? ইসলাম যে শান্তির ধর্ম এই প্রমাণই যথেষ্ট নয়? আর কিভাবে বুঝালে জানোয়ারদের থেকে বিবর্তিত হওয়া নাস্তিক প্রাণী গুলো বুঝবে,হে? আয়েশা (রা) যদি উনার স্বামীকে নারীলোভী বলতেনই তাহলে কি জুয়ায়রিয়া (রা) এর প্রশংসা করতে পারতেন? নিজ চোখে সত্য দেখার পরেও কি মুক্তমনারা সেটা স্বীকার করবে না? এরপরেও নাস্তিকরা ইসলাম নিয়ে অন্ধবিশ্বাস করা ত্যাগ করবে না?


পাঠক, এইবার নাস্তিকদের আরও স্পষ্ট মিথ্যাচার গুলো দেখুন। নাস্তিকদের অভিযোগ গুলো হুবহু আমি তুলে ধরছি।


নাস্তিকরা বলে, মৃত্যুশয্যাতেও আয়িশা নবীকে বলছেন, নবীর আগে যদি আয়িশার মৃত্যু হতো, তাহলে নবী আয়িশাকে দাফন করেই আরেক বিবি নিয়ে আয়িশার ঘরেই আরেক বিবি তুলতেন। অর্থাৎ, নবীর চরিত্র আয়িশা খুব ভালভাবেই জানতেন এবং বুঝতেন যে নবীর চরিত্র নোংরা ও খারাপ ছিল এটা আয়েশা জানতেন।


সহিহ বুখারী, হাদিসঃ ৫৬৬৬, সহিহ হাদিস, কাসিম ইবনু মুহাম্মাদ (রহ:) থেকে বর্ণিতঃতিনি বলেন, ‘আয়িশা (রাঃ) বলেছিলেন ‘হায় যন্ত্রণায় আমার মাথা গেল’। তখন রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেনঃ যদি এমনটি হয় আর আমি জীবিত থাকি তাহলে আমি তোমার জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করব, তোমার জন্য দু’আ করব। ‘আয়িশা (রাঃ) বললেনঃ হায় আফসোস, আল্লাহর শপথ। আমার ধারণা আপনি আমার মৃত্যুকে পছন্দ করেন। আর তা হলে আপনি পরের দিনই আপনার অন্যান্য স্ত্রীদের সঙ্গে রাত কাটাতে পারবেন। নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেনঃ বরং আমি আমার মাথা গেল বলার অধিক যোগ্য। আমি তো ইচ্ছে করেছিলাম কিংবা বলেছেন, আমি ঠিক করেছিলামঃ আবূ বকর (রাঃ) ও তার ছেলের নিকট সংবাদ পাঠাব এবং অসীয়ত করে যাব, যেন লোকদের কিছু বলার অবকাশ না থাকে কিংবা আকাঙ্খাকারীদের কোন আকাঙ্খা করার অবকাশ না থাকে। তারপর ভাবলাম। আল্লাহ (আবূ বাক্‌র ছাড়া অন্যের খলীফা হওয়া) তা অপছন্দ করবেন, মু’মিনগণ তা বর্জন করবেন। কিংবা তিনি বলেছেনঃ আল্লাহ তা প্রতিহত করবেন এবং মু’মিনগণ তা অপছন্দ করবেন।


সন্দেহ নেই উক্ত হাদিসে নবীজি (সা) এর প্রতি আয়েশা (রা) এর ভালোবাসাই প্রকাশ পাচ্ছে। একজন স্ত্রী অবশ্যই এটা মনে করে অভিমান করতেই পারে যে আমি মারা গেলে তো আপনি পরের দিনই আরেকটা বিয়ে করে আনবেন। কিন্তু তার অর্থ এটা নয় যে উনার স্বামীকে উনি চরিত্রহীন বলেছেন বা খারাপ বলেছেন। স্বামী-স্ত্রীর এমন ভালোবাসা পূর্ণ অভিমানযুক্ত কথাকে নাস্তিকরা কিভাবে পরিবর্তন করে ফেলে দেখলেন তো? এরপরেও কেউ বলতে চাইবে নাস্তিকরা সত্যবাদী? আয়েশা (রা) উনার স্বামীকে খারাপ বা নোংরা চরিত্রের মনে করলে অবশ্যই তালাক নিতেন অথবা ছেড়ে দিতেন কিন্তু এরকম কিছু করেছিলেন কি? অথচ উনাকে যখন তালাকের সুযোগ দেয়া হয়েছিল তখন উনি স্পষ্ট বলেছেন আমি আপনাকেই পছন্দ করি। তাহলে?


নাস্তিকরা বলে, আয়িশার বর্ণনা অনুসারে, নবী যতক্ষণ পর্যন্ত না তার ইচ্ছে অনুসারে নারীদের গ্রহণ করে ভোগ করেছেন, ততক্ষণ পর্যন্ত নবীর মৃত্যু হয় নি। অর্থাৎ নবীর ভোগের ইচ্ছে সম্পূর্ণ পূরণ না হওয়া পর্যন্ত আল্লাহ পাক তাকে মৃত্যু দেননি। হাদিস থেকেই প্রমাণ হচ্ছে নবী নারী লোভী ছিলেন।


সুনানে আন নাসায়ী, হাদিসঃ ৩২০৪, সহিহ হাদিস, আয়েশা (রাঃ) বলেছেন, রাসূলুল্লাহ্‌ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম ওফাত লাভ করেন নি,যে পর্যন্ত না মহিলাদের (মধ্যে যাকে তিনি ইচ্ছা করেন ---- তাকে গ্রহণ করার)।-ihadis.com


সুনানে আন নাসায়ী, হাদিসঃ ৩২০৫, সহিহ হাদিস, আয়েশা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃতিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্‌ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম – এর ওফাত হয়নি যতক্ষন না আল্লাহ্‌ তা’আলা তাঁর জন্য হালাল করে দিয়েছিলেন যে তিনি মহিলাদের মধ্যে যাকে ইচ্ছা বিবাহ করতে পারবেন-ihadis.com


আয়েশা (রা) কখনোই এটা বুঝান নাই উনার স্বামী নারীলোভী ছিলেন। কিন্তু আয়েশা (রা) যেই কথা বলেছেন অর্থাৎ নবীজি (সা) এর ওফাত হয়নি যতক্ষন না আল্লাহ্‌ তা’আলা তাঁর জন্য হালাল করে দিয়েছিলেন যে তিনি মহিলাদের মধ্যে যাকে ইচ্ছা বিবাহ করতে পারবেন। কথা একদম সত্যই বলেছেন আয়েশা (রা), এমনকি একদম ঠিক কথাই বলেছেন। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে নবীজি (সা) কি কোনো নারীকে জবরদস্তি করে বিয়ে করেছিলেন? কখনো কোনো নারীকে অত্যাচার করেছিলেন উনাকে বিয়ে না করার জন্য? অথচ এমন প্রমাণ রয়েছে এক নারী নবীজি (সা) কে পছন্দ না করলে নবীজি (সা) উনাকে সম্মানের সাথে বাড়িতে পৌঁছে দিতে বলেন। সামনে প্রমাণ দিয়েছি পড়তে থাকুন। আমার এই কথায় সন্দেহ নেই যে, মিথ্যাচার না করে, তথ্যকে বিকৃত না করে নাস্তিকরা আসলে ইসলামের সমালোচনাই কখনো করতে পারে না। কখনো পারবেও না কারণ সত্যকে যতোই মিথ্যা দিয়ে লুকিয়ে ফেলা হোক না কেন সত্য জেগে উঠবেই। সত্যের জন্মই হয়েছে মিথ্যাকে শেষ করে দেবার জন্য। পাঠক, এইবার আরও তথ্য আপনাদের সামনে তুলে ধরবো। নাস্তিকদের ভয়ংকর প্রতারণা গুলো দেখে আমার সাথে আপনারাও বলতে বাধ্য হবেন নাস্তিকরা আসলেই মানুষ না,এরা চতুষ্পদ জন্তু জানোয়ারদের থেকেও নিকৃষ্ট, কোনো সংশয় নেই। উপরের দুটো হাদিস দিয়ে নবীজি (সা)কে নারীকামী প্রমাণ করার যেই পয়তারা করার চেষ্টা করেছে নাস্তিকরা যদি একটু উপরের হাদিস গুলো পড়তো তাহলেই সত্যটা ফাশ হয়ে যেতো। কিন্তু নাস্তিকরা সেই সত্যকে চুরি করে মিথ্যাকে সত্য হিসেবে চালিয়ে দেবার নির্লজ্জ ডাকাতি করেছে। পাঠক আপনারা জানেন সুনানে আন নাসায়ীর, ৩২০৪ নং হাদিসের উপরে কি হাদিস দেয়া আছে যা নাস্তিকরা ধামাচাপা দিয়েছিল? তাহলে পড়া শুরু করুন।


সুনানে আন নাসায়ী, হাদিসঃ ৩২০৩, সহিহ হাদিস থেকে বর্ণিত,


আয়েশা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃতিনি বলেন: রাসূলুল্লাহ্‌ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম আমাদেরকে ‘ইখতিয়া’র দিলে আমরা তাঁকেই গ্রহন করলাম তা (কখনো) তালাক বলে গণ্য হয়নি।-ihadis.com


সুনানে আন নাসায়ী, হাদিসঃ ৩২০২, সহিহ হাদিস থেকে বর্ণিত হয়েছে,


আয়েশা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃতিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্‌ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাঁর স্ত্রীগণকে তাঁর দাম্পত্য বন্ধনে থাকা না থাকার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত গ্রহনের স্বাধিকার দিয়েছিলেন। তা কি তালাক বিবেচিত হয়েছিল ? অর্থাৎ এতে তাঁরা তালাক হননি।-ihadis.com

সুনানে আন নাসায়ী, হাদিসঃ ৩২০১, সহিহ হাদিস থেকে বর্ণিত হয়েছে,

আবূ সালামা ইব্‌ন আবদুর রহমান (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃরাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম – এর স্ত্রী আয়েশা (রাঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি তাঁর নিকট বর্ণনা করেছেন, আল্লাহ্‌ তা’আলা যখন রাসূলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) – কে তাঁর স্ত্রীগণকে দাম্পত্য সম্পর্ক ছিন্ন করার ব্যাপারে ‘ইখতিয়ার’ (স্বাধিকার) প্রদানের আদেশ করলেন, আয়েশা (রাঃ) বলেন, তখন রাসূলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাকে দিয়েই আরম্ভ করলেন। তিনি বললেনঃ আমি তোমার নিকট একটি কথা বলব, কিন্তু তুমি সে ব্যাপারে তোমার পিতামাতার পরামর্শ গ্রহনের পূর্বে (অবিলম্বে) সে সম্বন্ধে মতামত প্রকাশ করবে না। কারন তিনি জানতেন, আমার মাতাপিতা তাঁর কাছ থেকে বিচ্ছেদের পরামর্শ আমাকে দেবেন না। তারপর রাসূলুল্লাহ্‌ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেনঃ (কুরআনের ভাষা অনুসারে) “হে নবী। আপনি আপনার স্ত্রীগণকে বলুন, যদি তোমরা পার্থিব জীবন এবং এর সাজসজ্জা কামনা কর; তবে আসো, আমি তোমাদের ভোগ সামগ্রীর ব্যবস্থা করে দেই এবং সৌজন্যের সাথে তোমাদের বিদায় দেই (৩৩:২৮)। আমি বললামঃ এ ব্যাপারে আমি আমার পিতামাতার নিকট পরামর্শ করব ? আমি তো আল্লাহ্‌, আল্লাহ্‌র রাসূল এবং আখিরাতের জীবন কামনা করি।-ihadis.com

এরপরেও যদি নাস্তিকগোষ্ঠী বলে তারা ইসলাম নিয়ে মিথ্যাচার করে না, অপব্যাখ্যা দেয় না তাহলে আমার আর কিছুই বলার নেই। নবীজি (সা) উনার সকল স্ত্রীদের থেকে অনুমতি নিয়েছিলেন উনার সাথে স্ত্রীরা সংসার করতে চান কিনা এমনকি কোনো স্ত্রী যদি উনাকে পছন্দ না করে তাহলে স্ত্রীরা হযরত মোহাম্মদ (সা)কে ত্যাগ করতে পারবে এই সুযোগ পর্যন্ত দিয়েছিলেন। নবীজি (সা) স্বামী হিসেবে আসলেই মানবিক ছিলেন উত্তম ছিলেন,সন্দেহ আছে? অবশ্যই না। অথচ এসব তথ্যকে নাস্তিকরা সরিয়ে ফেলে আয়েশা (রা) এর হাদিস দেখিয়ে মিথ্যা কথা বলছে যে উনি নাকি উনার স্বামীকে চরিত্রহীন বলেছেন। এটাকে ডাহামিথ্যে বলবো না তো কি বিজ্ঞানচর্চা বলবো? ইসলাম নিয়ে নাস্তিকদের তথ্য দমননীতি কি বন্ধ হবে না? এই মুহূর্তে প্রমাণ সহ আপনাদের দেখালাম, অস্বীকার করতে পারবেন নাস্তিকরা মুক্তচিন্তায় মিথ্যাচার করে নাই?

 

নাস্তিকরা বলে, নবী মুহাম্মাদ বিভিন্ন স্ত্রী এমনকি দাসী পর্যন্ত রেখেছেন। যখন যাকে ভাল লেগেছে বিয়ে করে নিয়েছেন। গনিমতের মাল হিসেবে দাসী নিয়েছেন। কিন্তু নবীর স্ত্রীদের ক্ষেত্রে ছিল ভিন্ন নিয়ম। এমনকি, নবীর স্ত্রীদের সাথে কোন পুরুষের সাথে দেখাসাক্ষাত হলেও নবী প্রচণ্ড ক্ষিপ্ত হতেন। অর্থাৎ পুরুষের জন্য ছিল যা ইচ্ছা করার বিধান, নারীর জন্য ছিল ততটাই কঠিন ও কঠোর নিয়মকানুন। কি অমানবিক ইসলামের নিয়ম।


সহিহ বুখারী, হাদিসঃ ৫১০২, সহিহ হাদিস,‘আয়িশা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃতিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম তার কাছে এলেন। সে সময় এক লোক তার কাছে বসা ছিল। এরপর রসূলুল্লাহ্‌ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম - এর চেহারায় ক্রোধের ভাব প্রকাশ পেল, যেন তিনি এ ব্যাপারে অসন্তুষ্ট হয়েছেন। ‘আয়িশা (রাঃ) বলেন, এ আমার ভাই। রসূলুল্লাহ্‌ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, যাচাই করে দেখ, তোমাদের ভাই কারা? কেননা দুধের সম্পর্ক কেবল তখনই কার্যকরী হবে যখন দুধই হল শিশুর প্রধান খাদ্য।-ihadis.com


নাস্তিকদের কমনসেন্স (যদিও নাই) কি কাজ করা বন্ধ করে দিয়ে গাধায় বিবর্তন হওয়া শুরু করেছে নাকি? আয়েশা (রা) কি কখনো অভিযোগ করেছিলেন এই বিষয়? আয়েশা (রা) কখনো বলেছিলেন আমি যা ইচ্ছা করতে পারি না? আয়েশা (রা) কখনো বলেছিলেন ইসলাম খারাপ? আয়েশা (রা) কখনো বলেছিলেন ইসলামে নারীর প্রতি যেই বিধান আছে তা বর্বর? তাহলে কোনো নারী যদি সেচ্ছায় ইসলামের বিধানকে গ্রহণ করে নেয় তাহলে নাস্তিকদের এতো চুলকানি হচ্ছে কেন? নাস্তিক নারীবাদীদের বলতে শোনেন নাই “আমার দেহ আমার সিদ্ধান্ত”? একই উক্তিতে অন্য নারী ভিন্ন কিছু গ্রহণ করে নিলে তখন আপনাদের এতো খারাপ লাগে কেন? পুরুষের জন্য যা ইচ্ছা তাই করার বিধান আছে ইসলামে- এটি মিথ্যাকথা। নবীজি (সা) যদি যা ইচ্ছে তাই করতেন তাহলে স্ত্রীদেরকে সুযোগ কেন দিতে দিবেন? স্ত্রীদের সাথে মানবিক আচরণ কেন করতে যাবেন? আয়েশা (রা) কি মেনে চলবেন নাকি চলবেন না এসব বিধান কি নাস্তিক্যধর্মে বিশ্বাসীরা নির্ধারণ করে দেবে? আয়েশা (রা) কখনো বলেছিলেন ইসলামের বিধান অমানবিক? একজন পুরুষ একাধিক স্ত্রী রাখতে পারে কিন্তু একজন নারী একত্রে তা রাখবে না- এই বিধান যদি কোনো নারী সেচ্ছায় মেনে নেয় তাহলে সেখানে নাস্তিকদের কথা বলার ভিত্তি কোথায়? কোনো নারী সেচ্ছায় কোনো পুরুষের দ্বিতীয়, তৃতীয় বা চতুর্থ স্ত্রী হতে রাজি হলে সেই স্বাধীনতা নিয়ে নাস্তিকরা কেন গালাগালি করবে? নাস্তিকদেরকে অনুরোধ করবো নিজেকে একটু মানুষ ভাবার চেষ্টা করে দেখুন। মুক্তচিন্তার নামে নির্লজ্জ চিন্তা বাদ দিয়ে একটু সুস্থভাবে চিন্তা করে দেখলে সমস্যা কোথায়? ইসলামকে ঘৃণা করা বাদ দিয়ে সততার সাথে একটু ভেবে দেখার চেষ্টা করুন আপনাকে কেন আপনার ইসলামবিদ্বেষী সাথীরা ইসলাম নিয়ে মিথ্যা বুঝিয়েছে এতদিন? এর উৎস কোথায়? আপনাকে কেন তারা ইসলাম নিয়ে অন্ধবিশ্বাস করিয়েছে এতবছর? কেন? নাস্তিকরা পেরেছে এটা প্রমাণ করতে যে আয়েশা (রা) উনার স্বামীকে নোংরা, চরিত্রহীন বলে গালি দিয়েছেন? আর কখনো পারবে প্রমাণ করতে?


নারী দেখে কামভাব জেগেছিল নবীজি (সা)এরঃ


যে কোনো সুস্থ পুরুষের নারী দেখে কামভাব জেগে উঠা খুবই স্বাভাবিক। কিন্তু নারী দেখে কেউ যদি মুক্তমনে ধর্ষণ করে ফেলে তাহলে সন্দেহ নাই এটি অপরাধ। অন্যদিকে নারী দেখে কামভাব জেগে উঠা কোনো পুরুষ যদি নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করে স্ত্রীর কাছে এসে সহবাস করে- নাস্তিকরা যদি একে খারাপ হিসেবে দেখাতে চায় তাহলে সংশয় তো হতেই পারে যে নাস্তিকগোষ্ঠীর পুরুষরা নপুংসক নাকি? পাঠক নাস্তিকদের কাছে নারী দেখে যৌন ইচ্ছা জাগাকে, দমন করার জন্য স্ত্রীর সাথে সহবাস করা নাকি অমানবিক। হাসি আসছে তাই তো? নাস্তিকদের হাস্যকর অভিযোগটি পড়ুন সাথে হাদিসটিও মনোযোগ দিয়ে পড়বেন।


নাস্তিকরা বলে, নবী রাস্তাঘাটে নারী দেখে এতটাই উত্তেজিত হয়ে যেতেন যে, নিজেকে আর সামলাতে পারতেন না। স্ত্রী অথবা দাসীর সাথে গিয়ে উনার উত্তেজনা প্রশমন করতেন। হাদিসের উপরে অধ্যায়ে লেখা আছে, কোনো মহিলাকে দেখে কোন পুরুষের মনে যৌন কামনা জাগ্রত হলে সে যেন তার স্ত্রীর সাথে অথবা ক্রীতদাসীর সাথে গিয়ে মিলিত হয় এরপরে হাদিস গুলো দেয়া।


সহিহ মুসলিম, হাদিসঃ ৩২৯৮, সহিহ হাদিস, জাবির (রাযিঃ) থেকে বর্ণিতঃরসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম এক মহিলাকে দেখলেন। তখন তিনি তাঁর স্ত্রী যায়নাব –এর নিকট আসলেন। তিনি তখন তার একটি চামড়া পাকা করায় ব্যস্ত ছিলেন এবং রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) নিজের প্রয়োজন পূরণ করলেন। অতঃপর বের হয়ে সাহাবীগণের নিকট এসে তিনি বললেনঃ স্ত্রীলোক সামনে আসে শায়ত্বানের বেশে এবং ফিরে যায় শায়ত্বানের বেশে। অতএব তোমাদের কেউ কোন স্ত্রীলোক দেখতে পেলে সে যেন তার স্ত্রীর নিকট আসে। কারণ তা তার মনের ভেতর যা রয়েছে তা দূর করে দেয়।


নবী মোহাম্মদ (সা) এখানে অন্যায় কি করলেন? বরং উনি তো আদর্শবান পুরুষের মতোই কাজ করেছেন। উনি তো কারো সাথে জবরদস্তি করেন নাই। উল্টো উনি নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করে, নিজের স্ত্রীর সাথে সহবাস করেছেন। নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করে স্ত্রীর সাথে সহবাস করা অনৈতিক এই বিধান নাস্তিকদেরকে কে দিয়েছে? নাস্তিক্যধর্মের দৃষ্টিতে কেন ও কিভাবে এটি খারাপ? হযরত মোহাম্মদ (সা) কি কোনো নারীর সাথে জবরদস্তি সহবাস করেছিলেন? অবশ্যই না। তাহলে? উনি উনার স্ত্রীকে ডেকেছেন, উনার স্ত্রীও সম্মতি দিয়েছেন, এখানে মন্দের কি আছে? পাঠক, আপনাদেরকে বাস্তব কিছু নমুনা দেখাই নবী মোহাম্মদ (সা) এর “তোমাদের কারো মনে কামভাব জাগ্রত হলে সে যাতে নিজের স্ত্রীর কাছে চলে যায়” উপদেশটি যদি কেউ নিজের জীবনে প্রয়োগ করে তাহলে সমাজে অশান্তি সৃষ্টি হবে না। কিভাবে? পড়তে থাকুন। নবী মোহাম্মদ (সা) এর উপদেশটি যদি বিখ্যাত মুক্তমনা নাস্তিক হুমায়ুন আজাদ নিজের জীবনে গ্রহণ করে নিতেন তাহলে হয়তো সেই অসহায় তরুণীকে দেখে ধর্ষণ করতে চাইতেন না।

 

হুমায়ুন আজাদের লেখা “আমার অবিশ্বাস” বইয়ের ১৫ পৃষ্ঠায় নিজেই বর্ণনা করেছেন যে,

যখন শিশু ছিলাম,কিশোর হয়ে উঠেছি যখন,তখনও আমি সব কিছু চুষে দেখতে চেয়েছি,আজো অনেক কিছু চুষে আর চেখে দেখতে ইচ্ছা করে। ছেলেবেলা ভরে ইচ্ছে হতো চুলোর লাল আগুনের টুকরো গুলোকে চুষে দেখতে,ওগুলো লাল গোলাপের থেকেও লাল হয়ে জ্বলজ্বল করতো,সূর্যাস্তকেও চুষে স্বাদ নিতে ইচ্ছা হতো,কয়েক বছর আগে সারা সন্ধ্যা চুষতে চিবুতে ইচ্ছে হয়েছিল চুইংগামের মতো এক তরুণীকে।

পাঠক খেয়াল করে দেখুন তো, যেহেতু নাস্তিক হুমায়ুন আজাদ সেই তরুণীকে দেখে উত্তেজিত হয়েছিল সেহেতু সে যদি মুক্তচিন্তা করা ত্যাগ করে নিজ স্ত্রীর কাছে চলে আসতেন তাহলে কি মুক্তমনে তরুণীকে সারা সন্ধ্যা ধর্ষণ করার মুক্তচিন্তা করতে পারতেন? মুক্তমনা হুমায়ুন আজাদ কোনো তরুণীকে দেখে সারা সন্ধ্যা চুইংগামের মতো চুষতে ও চাবাতে চেয়েছিল এই কথা যদি সেই তরুণীর পিতা জানতে পারতো তাহলে কি হতো? যদি সেই নারীর ভাই থেকে থাকতো আর এমন কথা জানতে পারতো তাহলে কি হতো? একবার ভাবতে পারেন? তাহলে দেখা যাচ্ছে নাস্তিক হুমায়ুন আজাদকে সভ্য করে তুলতে অবশ্যই নবী মোহাম্মদ (সা)এর আদর্শের প্রয়োজন ছিল। নারীর প্রতি কামভাব জেগে উঠা অবশ্যই খারাপ নয় কিন্তু কামভাব জাগ্রত হলে মুক্তচিন্তায় উক্ত নারীকে নিয়ে নোংরা নোংরা কথা বলা, ধর্ষণ করতে চাওয়া অবশ্যই নিন্দনীয়। নবীজি মোহাম্মদ (সা) এর উপদেশ নিঃসন্দেহে যৌক্তিক। হাদিসটি পড়ুন।


সহিহ মুসলিম, হাদিসঃ ৩৩০০, সহিহ হাদিস থেকে বর্ণিত হয়েছে,


জাবির (রাযিঃ) থেকে বর্ণিতঃআমি নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম-কে বলতে শুনেছিঃ তোমাদের কারো যদি কোন স্ত্রীলোক দেখে মনে কিছু উদয় হয় তখন সে যেন তার স্ত্রীর নিকট আসে এবং তার সাথে মিলিত করে। এতে তার মনে যা আছে তা দূর করে-ihadis.com


শুধু কি তাই? বরং যেসব নাস্তিকরা মুক্তচিন্তায় ধর্ষণ করতে চায়, সুযোগের আশায় থাকে কখন নারীদের মুক্তমনে ধর্ষণ করবে- এসব নাস্তিকদেরকে সভ্য করে তুলতে, মানুষের মতো মানুষ হিসেবে তৈরি করার জন্যও নিঃসন্দেহে নবী হযরত মোহাম্মদ (সা) এর উপদেশের বিকল্প নেই। রেবেকা ওয়াটসোন (Rebecca Watson) নামে নারীবাদী এক নারী, যিনি একইসাথে নাস্তিকও। উনার সাথে মুক্তচিন্তক নাস্তিকরা যেই আচরণ করেছিল সেটা উনি উনার এক আলোচনায় স্বীকার করেছেন। ২০১২ সালে ইউরোপিয়ান নাস্তিক সম্মেলনে উনি বর্ণনা করেন,(১)


Hundreds of atheists have informed me that either they wanted to rape me, someone should rape me so that I will loosen up or that no one would ever rape me because I am so ugly"


শত শত নাস্তিক আমাকে জানিয়েছে যে তারা আমাকে ধর্ষণ করতে চেয়েছিল এমনকি কেউ যাতে আমাকে ধর্ষণ করে দুর্বল করে ফেলে। আবার কেউ কেউ আমাকে ধর্ষণ করতে চায় না কারণ আমি নাকি খুবই বিশ্রী।


নাস্তিকরা যদি এভাবে ভাবা শিখতো মুক্তচিন্তায় ধর্ষণ করার স্বাধীনচিন্তা থাকলেও আমরা নারীদেরকে ধর্ষণের মুক্তচিন্তা করবো না। আমরা বৈধভাবে বিয়ে করবো ও নিজ স্ত্রীর সাথে মানবিক উপায়ে দাম্পত্য সম্পর্ক করবো এমনকি যদি কোথাও দাসী কিনাবেচা হয় (২) তাহলে সেখান থেকে দাসী কিনে তার সকল দায়িত্ব নিব, তার খাদ্যের প্রয়োজন আমি পূরণ করবো, তার পোশাকের দায়িত্ব আমি নিব এমনকি তার যৌন প্রয়োজনও আমি পূরণ করবো যদি সে রাজি থাকে। যৌক্তিক কারণে নাস্তিকরা যদি এভাবে ভাবতো তাহলে একে খারাপ বলার কোনো যুক্তি থাকতো? অবশ্যই না।

জামে আত তিরমিজি হাদিসঃ ১১৬২, হাসান হাদিসে বর্ণিত হয়েছে,

রাসুল (সা) বলেন, তোমাদের মধ্যে সেই ব্যাক্তি উত্তম যে তার নিজের স্ত্রীর কাছে উত্তম।-ihadis.com

সুনানে আবু দাউদ, হাদিসঃ ২১৪৪, সহিহ হাদিসে বর্ণিত হয়েছে,

রাসুল (সা) বলেন তোমরা যা খাবে স্ত্রীদেরকেও তাই খাওয়াবে এবং তোমরা যা পরবে,তাদেরকেও তা পরিধান করাবে।তাদেরকে প্রহার করবে না এবং গালিগালাজ করবে না-ihadis.com

জামে আত তিরমিজি,হাদিসঃ ১১১৬, সহিহ হাদিসে বর্ণিত হয়েছে,

আবূ বুরদা ইবনু আবূ মূসা (রাঃ) হতে তার পিতা থেকে বর্ণিতঃতিনি (আবূ মূসা) বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেনঃ তিন প্রকার লোকের সাওয়াব দ্বিগুণ করা হবে। যে গোলাম আল্লাহ ও তার মনিবের হাক্ব সঠিকভাবে আদায় করেছে। তার সাওয়াব দ্বিগুণ করা হবে। যে লোকের সুন্দরী বাঁদীঁ ছিল, সে তাকে উত্তম আচরণ ও আদব-কায়দা শিখিয়েছে এবং তাকে পরবর্তীতে মুক্ত করে বিয়ে করেছে শুধুমাত্র আল্লাহ্ তা'আলার সন্তুষ্টির জন্য তার সাওয়াবও দ্বিগুণ করা হবে। পূর্ববর্তী কিতাবের প্রতি যে লোক ঈমান এনেছে, তারপর পরবর্তী কিতাব (কুরআন) আসার পর তার উপরও ঈমান এনেছে, তাকেও দ্বিগুণ সাওয়াব প্রদান করা হবে।-ihadis.com

অথচ মুক্তমনা আন্দোলন সংগঠনের নাস্তিকরা হাদিসের যৌক্তিক উপদেশটিকে কিভাবে নোংরা ভাবে তুলে ধরার চেষ্টা করলো এটি তো বুঝতেই পেরেছেন। অসভ্য-বর্বর নাস্তিক্যজাতিকে সভ্য হতে হলে হযরত মোহাম্মদ (সা) এর আদর্শ গ্রহণ করা প্রয়োজনীয়। হযরত মোহাম্মদ (সা) এর আদর্শ গ্রহণ করলে নাস্তিকরা নিজের মায়ের সাথে যৌনমিলন করার মুক্তচিন্তা করতে পারবে না, নিজের বাবার সাথে সমকামীতা চর্চার যৌনমিলনের মুক্তচিন্তা করতে পারবে না, নিজের মায়ের পেটের আপন বোনের সাথে যৌনমিলনের মুক্তচিন্তা করতে পারবে না এমনকি রাস্তায় অন্য নারীকে দেখে হুমায়ুন আজাদ ও ধর্ষক নাস্তিকদের মতো ধর্ষণের মুক্তচিন্তা করতে পারবে না। মায়ের সাথে সেক্স করার মুক্তচিন্তা নাস্তিকদের কাছে ব্যক্তিস্বাধীনতা অথচ কেউ যদি নিজের দাসীর সাথে সহবাস করে সে নাকি বর্বর, এমন কুযুক্তি নাস্তিকরা দিবে না তো আর কে দিবে? কোনো নাস্তিক বাবার যদি ১০ জন নাস্তিক ছেলে সন্তান থাকে এবং তারা যদি সবাই সম্মতিতে সমকামীতার চর্চা করতে চায় তাহলে মুক্তচিন্তায় এগুলো করা বৈধ। আবার কোনো নাস্তিক মায়ের যদি একাধিক ছেলে সন্তান থাকে তাহলে সম্মতিতে যৌনমিলন করাও নাস্তিক্যধর্মে বৈধ এমনকি কোনো বাবার যদি একাধিক কন্যা সন্তান থাকে এবং সবাই যদি বাবার সাথে যৌনমিলন করতে চায় তাহলে এসব তাদের একান্ত ব্যক্তিগত অধিকার। অন্য নাস্তিকদের এসব ভালো না লাগলে তারা করবে না কিন্তু কোনো নাস্তিক যদি এভাবে পারিবারিক যৌনমিলন করতে চায় তাহলে ক্ষতি না করে করতে পারবে। নাস্তিক্যধর্মের মুক্তচিন্তার দৃষ্টিতে অবশ্যই যৌননীতিমালা থাকা উচিত নয় যদি না কারো ক্ষতি হয়। 


অস্বীকার করার উপায় নেই জানোয়ার থেকে বিবর্তিত হওয়া প্রতিটি নাস্তিক মুক্তমনা প্রাণীদেরকে মানুষ করে তুলতে নবীজি হযরত মোহাম্মদ (সা) এর উপদেশ মেনে চলা খুবই প্রয়োজনীয়।


নবীজি (সা) একাধিক স্ত্রীর সাথে একই রাতে সহবাস করেছেনঃ


স্বামী যৌনকর্মে যেমন স্ত্রীকে ভোগ করে তেমনি স্ত্রীও স্বামীকে ভোগ করে। এমনকি উভয় যদি উভয়ের প্রতি সন্তুষ্ট থাকে তাহলে এখানে খারাপের কিছুই নেই। কোনো পুরুষের একাধিক স্ত্রী আছে জানা সত্ত্বেও কোনো নারী যদি সেচ্ছায় সেই পুরুষকেই নিজের স্বামী হিসেবে গ্রহণ করে সুখে থাকে তাহলে এমন সম্পর্ক নাস্তিক্যধর্মের মুক্তচিন্তার দৃষ্টিতে খারাপ বলার কোনো ভিত্তি নেই। একটি যুক্তি নেই এরকম সুখী দাম্পত্য সম্পর্ককে খারাপ দাবি করার। কেউ যদি যুক্তিহীন ভাবে বলেও যে এসব বর্বর তাহলে সে এখনো চতুষ্পদ প্রজাতিতেই আটকিয়ে রয়েছে কিনা সংশয় থেকে যাচ্ছে।


নাস্তিকরা বলে, নবীর এতো যৌন ক্ষমতা ছিল যে উনি একাধিক স্ত্রীর সাথে একই রাত্রে যৌনলীলা চালাবার পরে শেষে একবার গোসল করতেন। এগুলো কি অমানবিক নয়? অনৈতিক নয়? তাছাড়া একজন পুরুষের পক্ষে একসাথে এতো জন স্ত্রীর সাথে যৌন সহবাস করা কিভাবে সম্ভব?


আল লু’লু ওয়াল মারজান, হাদিসঃ ১৭৯, সহিহ হাদিস, আনাস ইব্‌নু মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃআনাস ইব্‌নু মালিক (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম একই রাতে পর্যায়ক্রমে তাঁর স্ত্রীদের সঙ্গে মিলিত হতেন। তখন তাঁর নয়জন স্ত্রী ছিলেন-ihadis.com


সহিহ মুসলিম, হাদিসঃ ৫৯৫, সহিহ হাদিস, আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃরসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাঁর সকল স্ত্রীর কাছে একই গোসলে যেতেন।-ihadis.com 


সুনানে আবু দাউদ, হাদিসঃ ২১৮, সহিহ হাদিস, আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃকোন একদিন রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম কল স্ত্রীদের নিকট গেলেন এবং একবারই গোসল করলেন।-ihadis.com


সুনানে আবু দাউদ, হাদিসঃ ২১৯, সহিহ হাদিস, আবূ রাফি (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃনবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম একদিন তাঁর স্ত্রীদের নিকট গেলেন এবং প্রত্যেক স্ত্রীর নিকটই গোসল করলেন। বর্ণনাকারী বলেন, আমি বললাম, হে আল্লাহর রসূল! আপনি সবশেষে একবার গোসল করলেই তো পারতেন? তিনি বললেন, এরূপ করাই অধিকতর পবিত্রতা, উৎকৃষ্টতা ও পরিচ্ছন্নতার পরিচায়ক।-ihadis.com


সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদিসঃ ৫৮৮, সহিহ হাদিস, আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃনবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাঁর সকল স্ত্রীর সাথে সহবাস শেষে একবার গোসল করতেন-ihadis.com


সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদিসঃ ৫৮৯, সহিহ লিগাইরিহি, আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃতিনি বলেন, আমি রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর গোসলের পানি প্রস্তুত করে রাখলাম। তিনি একই রাতে তাঁর সকল স্ত্রীর সাথে সহবাসের পর একবার গোসল করেন।-ihadis.com


সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদিসঃ ৫৯০, হাসান হাদিস, আবূ রাফি’ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃনবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম এক রাতে তাঁর স্ত্রীগণের সাথে সহবাস করলেনতিনি তাদের প্রত্যেকের সাথে সহবাসের পর পর গোসল করেন। তাকে বলা হলো, হে আল্লাহর রসূল! আপনি কেন একবার গোসল করলেন না? তিনি বলেন, সেটি অধিকতর বিশুদ্ধ, পবিত্র ও পরিচ্ছন্ন।-ihadis.com


সুনানে আন নাসায়ী, হাদিসঃ ২৬৪, সহিহ হাদিস, আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃরাসূলুল্লাহ্‌ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম একই গোসলে সকল স্ত্রীর নিকট গমন করতেন।-ihadis.com


সুনানে আন নাসায়ী, হাদিসঃ ৩১৯৮, সহিহ হাদিস, কাতাদা (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃআনাস (রাঃ) বর্ণনা করেছেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম একই রাতে তাঁর সব স্ত্রীদের কাছে গমন করতেন। তখন তাঁর নয়জন স্ত্রী ছিলেন।-ihadis.com


অধ্যায়ঃ একাধিকবার বা একাধিক স্ত্রীর সাথে সঙ্গত হবার পর একবার গোসল করা।সহিহ বুখারী, হাদিসঃ ২৬৭, সহিহ হাদিস,মুহাম্মাদ ইব্‌নু মুনতাশির (রহঃ) তাঁর পিতা থেকে বর্ণিতঃতিনি বলেনঃ আমি ‘আয়িশা (রাঃ) এর নিকট [আবদুল্লাহ ইব্‌নু ‘উমার (রাঃ)-এর উক্তিটি [*] উল্লেখ করলাম। তিনি বললেনঃ আল্লাহ্‌ আবূ ‘আবদুর রহমানকে রহম করুন। আমি আল্লাহর রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কে সুগন্ধি লাগাতাম, তারপর তিনি তাঁর স্ত্রীদের সঙ্গে মিলিত হতেন। তারপর ভোরবেলায় এমন অবস্থায় ইহ্‌রাম বাঁধতেন যে, তাঁর দেহ হতে খুশবু ছড়িয়ে পড়তো। [*] আমি এমন অবস্থায় ইহ্‌রাম বাঁধতে পছন্দ করি না, যাতে সকালে আমার দেহ থেকে খুশবু ছড়িয়ে পড়ে।-ihadis.com


সহিহ বুখারী, হাদিসঃ ২৬৮, সহিহ হাদিস, আনাস ইব্‌নু মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃতিনি বলেনঃ নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাঁর স্ত্রীগণের নিকট দিনের বা রাতের কোন এক সময়ে পর্যায়ক্রমে মিলিত হতেন। তাঁরা ছিলেন এগারজন। বর্ণনাকারী বলেন, আমি আনাস (রাঃ) কে জিজ্ঞেস করলাম, তিনি কি এত শক্তি রাখতেন? তিনি বললেন, আমরা পরস্পর বলাবলি করতাম যে, তাঁকে ত্রিশজনের শক্তি দেয়া হয়েছে। সা’ঈদ (রহঃ) ক্বাতাদাহ (রহঃ) হতে বর্ণনা করেন, আনাস (রাঃ) তাঁদের নিকট হাদীস বর্ণনা প্রসঙ্গে (এগারজনের স্থলে) নয়জনের কথা বলেছেন।-ihadis.com কোন কোন রিওয়ায়াতে, বেহেশতী চল্লিশজনের শক্তি দান করা হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে । এবং তিরমিযীর বর্ণনায় একজন বেহেশতীর শক্তি একশ লোকের শক্তির সমান বলে উল্লেখ করা হয়েছে (হাশিয়া ৪, সহীহ বুখারী ৭১, আসাহ্‌হুল মাতাবি, দিল্লী)


সহিহ বুখারী, হাদিসঃ ২৭০, সহিহ হাদিস, মুহাম্মাদ ইব্‌নু মুনতাশির (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃআমি ‘আয়িশা (রাঃ) কে জিজ্ঞেস করলাম এবং আবদুল্লাহ্‌ ইব্‌নু ‘উমার (রাঃ) এর উক্তি উল্লেখ করলাম,- “আমি এমন অবস্থায় ইহরাম বাঁধা পছন্দ করি না যাতে সকালে আমার দেহ হতে সুগন্ধি ছড়িয়ে পড়ে।” ‘আয়িশা (রাঃ) বললেনঃ আমি আল্লাহর রসূল সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম কে সুগন্ধি লাগিয়েছি, তার পর তিনি পর্যায়ক্রমে তাঁর স্ত্রীদের সঙ্গে মিলিত হয়েছেন এবং তাঁর ইহ’রাম অবস্থায় সকাল হয়েছে।-ihadis.com


সুনান আদ-দারেমী, হাদিসঃ ৭৭৬, পবিত্রতা অধ্যায়,পরিচ্ছেদঃ ৭১. যিনি একাধিক স্ত্রীর নিকট গমণ করে একবার গোসল করেন। সহিহ হাদিস, আনাস রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন: রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম একই রাতে পর্যায়ক্রমে স্ত্রীগণের নিকট গমণ করতেন। একই গ্রন্থের ৭৭৭ নাম্বার হাদিসেও বলা আছে, আনাস রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন: রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম একই রাতে পর্যায়ক্রমে স্ত্রীগণের সাথে মিলিত হতেন।-  https://www.hadithbd.com/


নাস্তিকরা যেভাবে অভিযোগ করে আমি হুবহু সেভাবেই তুলে ধরেছি। পাঠক, নবী মোহাম্মদ (সা) এর যৌন ক্ষমতা যেহেতু বেশি ছিল সেহেতু উনার একাধিক স্ত্রীর সাথে সহবাস করাটা অস্বাভাবিক কিছু নয়। যদি উনি স্ত্রীদের সাথে যৌন কর্মে জবরদস্তি করতেন, অথবা স্ত্রীরা রাজি না এরপরেও নির্যাতন করে, অত্যাচার করে সেক্স করতেন তাহলে নাস্তিকরা অভিযোগ করে বলতে পারতো যে কেমন বর্বর স্বামী যে স্ত্রীদের নির্যাতন-জবরদস্তি করছে কিন্তু নবীজি (সা) তো এরকম কিছুই করেন নাই বরং উনার স্ত্রীরা যেমন উনার সাথে সহবাস করে সন্তুষ্ট তেমনি উনিও, এতে অমানবিক বা বর্বরতার কি হলো? এমনকি নাস্তিক্যধর্মের দৃষ্টিতেও তো এরকম ঘটনাকে অমানবিক বলার সুযোগ নেই, নাস্তিকদের। কিভাবে? নাস্তিক্যধর্ম অনুযায়ী উভয় যদি সম্মতিতে যৌনমিলন করে তাহলে এতে সমস্যা নেই তাহলে এই দৃষ্টিতে নবী মোহাম্মদ (সা) তো উনার স্ত্রীদের সাথে সম্মতিতেই সহবাস করেছেন, এখানে সমস্যা কোথায়? উনার স্ত্রীরা কি কখনো বলেছিলেন উনি জবরদস্তি করে যৌনকর্ম করতেন? উনার স্ত্রীরা কি কখনো বলেছিলেন নবীজি (সা) উগ্রবাদী খারাপ ছিল? উনার স্ত্রীরা কি কখনো বলেছিলেন উনি নারীদেরকে নির্যাতন করতেন, করতেন অত্যাচার? এরপরেও কি নাস্তিকরা স্বীকার করবে না যে,তারা মুক্তমনে মিথ্যাচার করেই যাচ্ছে যা অতিরিক্ত মাত্রার মুক্তবুদ্ধি চর্চার লক্ষণ?

নাস্তিক হুমায়ুন আজাদ লিখিত “আমার অবিশ্বাস” বইয়ের ১৪২ পৃষ্ঠায় বর্ণিত

যদি কোনো পরুষ একাধিক নারীর সাথে বিবাহিত বা অবিবাহিত জীবন যাপন করতে চায়,তারা সবাই যদি তাতে সুখী হয়,তাতে কারো আপত্তি থাকা উচিত নয়; এবং কোনো নারী যদি একাধিক পুরুষের সাথে বিবাহিত বা অবিবাহিত জীবন যাপন করতে চায়, তারা সবাই যদি তাতে সুখী হয়, তাতেও কারো আপত্তি থাকা উচিত নয়। তাদের এই জীবনযাপন অন্য কাউকে ক্ষতিগ্রস্ত করে না, সুখী করে তাদের; তাই তা অনৈতিক নয়


কোনো মুসলিম পুরুষ তার নিজের একাধিক স্ত্রীর সাথে যৌনমিলন করে যদি সুখী হয় এবং স্ত্রীরাও যদি আনন্দিত হয় তাহলে তা অনৈতিক নয়। কোনো স্বামী এক রাতে কিভাবে একাধিক স্ত্রীর সাথে যৌন কর্ম করতে পারে? এটা কিভাবে সম্ভব? এর উত্তর সন্ধান করতে গিয়ে আমি যৌন বিশেষজ্ঞ ডাক্তারদের রিপোর্ট দেখতে পেলাম। উনাদের পরামর্শের সারাংশ আপনাদের সামনে তুলে ধরছি। পড়ুন। বেশি ভালো হয় যদি সরাসরিই উনাদের বলা পরামর্শ গুলোর ভিডিও দেখে নেন।


সেক্সোলোজিস্ট, ডাক্তার নিক্কি গোল্ডস্টেইন উনাকে প্রশ্ন করা হয় সপ্তাহে কতবার সেক্স করা সঠিক হবে? উনি উত্তরে বলেন,(৩) 


এর কোনো জাদুময় সংখ্যা নেই যে সপ্তাহে এতবার সহবাস করা উচিত বা এতবার করা উচিত নয়। এরকম অনেক তথ্য আমাদের চারপাশে ঘুরাঘুরি করে যে দুইবার বা চারবার করা উচিত কিন্তু এর কোনো সঠিক সংখ্যা নেই। অনেকে আবার অন্যের সাথে তুলনা করে বলে এতবার করা উচিত বা উচিত নয় কিন্তু প্রকৃতপক্ষে যে যেমন তার তেমন থাকাই উচিত। সবাইকে প্রশ্ন করা উচিত যে আমাদের মিলন করা কেন গুরুত্বপূর্ণ? উত্তর যদি আসে সহবাস করার ফলে আমাদের মানসিক প্রশান্তি আসছে তাহলে এটা আমাদের প্রত্যেকদিন করা উচিত, প্রতিনিয়ত করা উচিত প্রতিনিয়ত করা আবার সবার জন্য নয়, একেকজনের জন্য একেকরকম। এটা পরস্পরের উপর নির্ভর করে। যেমন উভয়ের মধ্যে সম্পর্ক কেমন আছে,উভয়ের মধ্যে চাহিদা কেমন আছে দুইজন কি কর্ম করে, দুইজনের সন্তান আছে কিনা এসবের উপর নির্ভর করে মিলন করা ভালো। এমন নয় যে একটা সংখ্যা নির্দিষ্ট করে সেটাই প্রতিনিয়ত করা এতে উল্টো প্রক্রিয়াও হতে পারে। তাই সবার আগে জানা যে সহবাস করা কেন আমার জন্য গুরুত্বপূর্ণ অথবা কি করলে সম্পর্ক বেশি ভালো হবে। 


ডাক্তার দিবাক কেলকার যিনি যৌন বিশেষজ্ঞ একইসাথে মনোবিজ্ঞানীও। এক রাতে কতবার সেক্স করা যাবে? প্রশ্নের উত্তরে উনি বলেন, (৪) 


বেশিবার সেক্স করা তো ন্যাচারাল। বিশেষ করে যখন নতুন নতুন বিয়ে হয়েছে,বয়স একেবারেই যৌবন ২০ থেকে ৩০ বছর। এই বয়সে টেস্টোস্টেরের মাত্রা বেশি থাকে যার ফলে বেশিবার সহবাস করতে ইচ্ছা জাগে। কতবার সেক্স করেছেন এটা গুরুত্বপূর্ণ না,গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে মানুসিক তৃপ্তি পেয়েছেন কিনা সেটা। আপনি যদি চারবার সেক্স করেন এবং চারবারই যদি আপনার বীর্য বের হয় কিন্তু আপনার স্ত্রীকে যদি সন্তুষ্ট করতে না পারেন তাহলে কি লাভ হলো চারবার সেক্স করে? কিন্তু একবারই সেক্স করলেন কিন্তু উভয় তৃপ্তি পেলেন তাহলে একবার করেই কিন্তু দুইজনেই সন্তুষ্ট হয়ে গেলেন। যেহেতু নারী তার সমস্যা নেই যতবার করতে পারে, যৌন কর্মে নারী একাধিকবার উত্তেজিত হতে পারে তাই নারীর সমস্যা নেই, সমস্যা হয় পুরুষের যার লিঙ্গ উত্থিত (ইরেকশন) হতে হয়, পুরুষ দ্বিতীয়বার সাথে সাথেই সেক্স করতে পারে না কারণ তার ইরেকশন হতে সময় লাগে। এটা নির্ভর করবে আপনার বয়স কতো, আপনার সেক্সের ব্যাপারে নতুনত্ব কেমন। হতে পারে কারো উত্তেজিত হতে দুইঘণ্টা লাগবে আবার কারো চার ঘণ্টা লাগতে পারে আবার কারো একরাতে একবারই। তাহলে এক রাতে কতবার সেক্স করা যাবে? এর কোনো গনিত নেই, আপনি যতবার করতে পারেন। আপনার যতো ইচ্ছা আপনি করতে পারেন, আপনার যতো ক্ষুধা ততো কিন্তু শর্ত এটাই হতে হবে যে দুইজনেই যাতে সন্তুষ্ট থাকে তাহলে একবার করলেও হয়ে যাবে আপনার যদি এরচেয়েও বেশি করতে হয় তাহলে আপনার জন্য Tadalafil (ঔষধ) লাগবে। যার প্রভাব ৩৬ ঘণ্টা পর্যন্ত থাকে একবার খাওয়ার পরে। তাহলে আপনি একবার এই ঔষধ খেলে হতে পারে ৩৬ ঘণ্টায় আপনি চার,পাঁচ-ছয়বারও করতে পারবেন, এর বেশিও সহবাস করতে পারবেন। কিন্তু এটি তো আর্টিফিশিয়াল হবে যা ঔষধ খেয়ে সেক্স করলেন বা ইনজেকশন নিয়ে সেক্স করলেন। তবে স্বাভাবিকভাবে সেক্সের পুরো বিষয় আপনার উপর নির্ভর করবে অর্থাৎ আপনি কতবার করতে পারছেন সেটার উপর


ডাক্তার ফায়জুল হোক যিনি একজন আয়ুর্বেদিক, ইউনানী এবং হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসক। দীর্ঘ ১৯ বছর ধরে পুরুষের যৌন সমস্যা সমাধানে কাজ করে আসছেন। কতদিন পরপর স্ত্রী সঙ্গম করা উচিৎ বা সপ্তাহে কতবার মিলন করলে শরীরের কোনো ক্ষতি হবেনা? উনি বলেছেন (৫)


শারীরিক সম্পর্ক নির্ভর করে একজন মানুষের রুচির উপরে, শারীরিক সক্ষমতার উপরে। যেহেতু এখানে দুইজন মানুষকে এক হতে হয় তাই দুইজন মানুষের বোঝাপড়া এখানে ফ্যাক্টর যদি আপনার মনে হয় আপনারা স্বামী-স্ত্রী উভয় উভয়ের জন্য শারীরিক সক্ষমতা, মানুসিকভাবে ভালোলাগা, আপনারা চাচ্ছেন যে প্রতিদিন শারীরিক সম্পর্ক করতে তাহলে ভালো যদি আপনারা এরকম পারেন। আবার কেউ যদি চায় আমরা একদিন পর পর করবো তাহলেও সমস্যা নেই, এটি আপনাদের জন্য অস্বাভাবিক না। আপনাদের শারীরিক সম্পর্ক নির্ভর করবে আপনার শারীরিক সক্ষমতার উপর, আপনার চাওয়ার উপর, আপনার মানসিক সক্ষমতার উপর, সব কিছু মিলিয়ে নির্ভর করবে আপনি কি চাচ্ছেন বা ফিজিক্যাল রিলেশন কতদিন পর পর চাচ্ছেন। আপনি প্রতিদিন চাচ্ছেন, দিনে এক দুইবারের বেশি চাচ্ছেন অথবা প্রতিদিন চাচ্ছেন,অথবা দুইদিন পর পর চাচ্ছেন নির্ভর করবে আপনার উপরে। অনেকে প্রশ্ন করতে পারেন আমি প্রতিদিন শারীরিক সম্পর্ক করতে যাবো আমি দুর্বল হবেন না? নাহ, হবেন না। হ্যাঁ, আপনি দুর্বল হবেন না। এটা মাথায় রাখবেন আরকি। কিন্তু নির্ভর করবে কি? আপনার চাওয়ার উপরে। উভয়ের পরামর্শে, তাদের চাওয়া রুচিবোধের উপরে , তারা যেভাবে একে গ্রহণ করে উভয়ের ভালোলাগা এখানে ফ্যাক্ট। 


এক রাতে এগারোজন স্ত্রীর সাথে সহবাস কিভাবে সম্ভব? উত্তর খুবই সোজা। নাসরুল বারী শরহে বুখারী, ২ খণ্ড, ১৫৯ পৃষ্ঠায় বর্ণনা করা হয়েছে,


হুজুর (সা) ‘সা’আতে ওয়াহেদা’ তথা সল্প সময়ে এগারজন রমণীর সাথে সঙ্গম করতেন। এদের মধ্যে নয়জন ছিলেন তাঁর সহধর্মিণী আর দু’জন ছিলেন দাসী। এদের একজন হলেন মারিয়া আল কিবতিয়া- যার উদরে হযরত ইব্রাহীম (রা)এর জন্ম হয়েছিল। আর দ্বিতীয়জন ছিলেন রায়হানা।


এখানে তো অল্প সময়ের কথা বলা আছে আমি তর্কের খাতিরে আরেকটু বাড়িয়েই ধরলাম। রাত আটটা থেকে প্রতি স্ত্রীকে একঘণ্টা করে সময় দিলেও অসম্ভবের কিছু নেই। নপুংসক সমকামী নাস্তিকদের কাছে এটা অসম্ভব মনে হতেই পারে কারণ যাদের শিশ্ন ঠিক মতো কাজই করে না তাদের কাছে এটা কিভাবে সম্ভব হতে পারে, আপনারাই বলুন? কোনো পুরুষের মধ্যে শারীরিক সম্পর্ক করার ক্ষমতা বেশি থাকলে আর সে তার নিজের স্ত্রীদের সাথে সহবাস করলে এতে অন্যায় কোথায়? হোক সেটা একাধিক স্ত্রীর সাথে? নবী মোহাম্মদ (সা) কি কারো সাথে জবরদস্তি করেছেন? অবশ্যই না। তাহলে নাস্তিক্যধর্মের দৃষ্টিতে একে খারাপ বলার অথবা অনৈতিক বলার কি কোনো যুক্তি আছে? কোনো নাস্তিক যদি নপুংসক হয় তাহলে স্বাভাবিকভাবেই যেই পুরুষের যৌন ক্ষমতা বেশি তাকে দেখে সেই নপুংসক নাস্তিকরা হিংসার আগুনে জ্বলবে কিন্তু তারমানে এই কথা তো বলা অযৌক্তিক যে একাধিক স্ত্রীর সাথে সহবাস করা ভুল। বোঝা গেছে? হযরত মোহাম্মদ (সা) উনার সব স্ত্রীদের সাথে একই রাত্রে সহবাস করেছিলেন একে নাস্তিকরা “নারীভোগ” নামে চালিয়ে দিতে চাচ্ছে কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে, যৌন কর্মের সময় কি নাস্তিকদের মায়েরা নাস্তিকদের পিতাকে ভোগ করে নাই? নাস্তিকদের বাপরা কি নাস্তিকদের মাকে ভোগ করে নাই? যদি উত্তর “হ্যাঁ” হয়ে থাকে তাহলে বুঝা যাচ্ছে যৌন মিলনের সময় স্বামী যেমন স্ত্রীকে ভোগ করে তেমনি স্ত্রীও স্বামীকে ভোগ করে যা খুবই স্বাভাবিক একটি ব্যাপার। সহবাসের সময় উভয় উভয়কে ভোগ না করলে যৌনমিলন করবে কিভাবে? নাস্তিকদের এতটুকুও কমনসেন্স নেই?


নাস্তিক হুমায়ুন আজাদ মানুষের নৈতিকতার সীমা কতটুকু হওয়া দরকার এই বিষয় বলেছেন উনার লেখা “আমার অবিশ্বাস” বইয়ের ১৪৩ পৃষ্ঠায়,


নৈতিকতার সীমা হওয়া উচিৎ সংকীর্ণ । আমার কোন কাজ যেন অন্যকে ক্ষতিগ্রস্থ না করে,এটুকু।


নবীজি (সা) উনার স্ত্রীদের সাথে সহবাস করার ফলে কারো কোনো ক্ষতি হয়েছিল কি? নাহ। বিখ্যাত নাস্তিক হুমায়ুন আজাদের যুক্তিতে এটা পরিস্কার নবী মোহাম্মদ (সা) বিন্দুমাত্র কোনো অমানবিক-বর্বর কাজ করেন নাই বরং নৈতিক কাজই করেছেন। নাস্তিকরা যখন দেখে নবী মোহাম্মদ (সা) এর যৌনজীবন নিয়েও যৌক্তিক অভিযোগ করা সম্ভব হচ্ছে না তখন আরেকটি হাস্যকর অভিযোগ করে। সেটা কি জানেন? পড়লে আপনিও আমার মতো হাসবেন। পড়ুন। 


নাস্তিকরা বলে, নবী সবার সাথে সহবাস করে মাত্র একবার গোসল করেছিলেন যা নোংরামি


কোনো পুরুষ তার স্ত্রীর সাথে সহবাস করে কখন গোসল করবে নাকি করবে না এগুলো বিধান নাস্তিকরা কেন বলে দিবে? এটা তো সেই পুরুষের এবং সেই স্ত্রীদের বিষয়,হে? তবে হাদিস পড়লে পরিস্কার বুঝা যায় নবীজি (সা) কখনো গোসল করতেন আবার ওজু করে পরে গোসল করে নিতেন।হাদিসগুলো পড়ুন।


সুনানে আবু দাউদ, হাদিসঃ ২১৯, সহিহ হাদিস থেকে বর্ণিত হয়েছে,


আবূ রাফি (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃনবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম একদিন তাঁর স্ত্রীদের নিকট গেলেন এবং প্রত্যেক স্ত্রীর নিকটই গোসল করলেন। বর্ণনাকারী বলেন, আমি বললাম, হে আল্লাহর রসূল! আপনি সবশেষে একবার গোসল করলেই তো পারতেন? তিনি বললেন, এরূপ করাই অধিকতর পবিত্রতা, উৎকৃষ্টতা ও পরিচ্ছন্নতার পরিচায়ক।-ihadis.com


অধ্যায়ঃ নাপাক অবস্থায় ঘুমানো জায়িয; তবে খাদ্যগ্রহণ, শয়নকালে অথবা স্ত্রীর সাথে মেলামেশা করতে চাইলে তার জন্যে ওযূ করা এবং লজ্জাস্থান ধুয়ে নেয়া মুস্তাহাব। সহিহ মুসলিম, হাদিসঃ ৫৮৬, সহিহ হাদিস থেকে বর্ণিত হয়েছে,


আয়িশাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃরসুলূল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম নাপাকী অবস্থায় যখন ঘুমাতে ইচ্ছা করতেন তখন ঘুমাবার আগে সলাতের জন্য যেমন ওযূ করতে হয় তেমন ওযূ করতেন-ihadis.com


সহিহ মুসলিম, হাদিসঃ ৫৮৭, সহিহ হাদিস থেকে বর্ণিত,

‘আয়িশাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃতিনি বলেন, রসুলূল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম যখন নাপাক থাকতেন তখন কিছু খেতে অথবা ঘুমানো ইচ্ছা করলে ওযূ করে নিতেন যেমন, সলাতের ওযূ করতেন-ihadis.com


সহিহ মুসলিম, হাদিসঃ ৫৮৯, সহিহ হাদিসে বর্ণিত হয়েছে,


 ইবনু ‘উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃএকদিন ‘উমার (রাঃ) জিজ্ঞেস করলেন, ইয়া রসুলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আমাদের কেউ নাপাক অবস্থায় কি ঘুমাতে পারবে? তিনি বললেনঃহ্যাঁ, যখন সে ওযূ করে নিবে-ihadis.com


সহিহ মুসলিম, হাদিসঃ ৫৯০, সহিহ হাদিস থেকে বর্ণিত হয়েছে, 


ইবনু ‘উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ‘উমার (রাঃ) একবার নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর কাছে ফাতাওয়া জিজ্ঞেস করলেন যে, আমাদের কেউ কি নাপাক অবস্থায় ঘুমাতে পারবে? তিনি বললেন, হ্যাঁ, সে যেন ওযূ করে তারপর ঘুমায়। এরপর যখন ইচ্ছা গোসল করে নেয়।-ihadis.com


সহিহ মুসলিম, হাদিসঃ ৫৯১, সহিহ হাদিস থেকে বর্ণিত হয়েছে, 


ইবনু ‘উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ‘উমার ইবনুল খাত্তাব (রাঃ) একবার রসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কে বললেন, তিনি যদি রাতে (স্ত্রী সহবাসকালে) নাপাক হন (তাহলে কি করবেন)। অতঃপর রসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাঁকে বললেন, তুমি (তখন) ওযূ করবে এবং তোমার লজ্জাস্থান ধুয়ে ফেলবে তারপর ঘুমাবে।-ihadis.com


সহিহ মুসলিম, হাদিসঃ ৫৯২, সহিহ হাদিস থেকে বর্ণিত হয়েছে,


আবদুল্লাহ্ ইবনু আবূ কায়স (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃতিনি বলেন, আমি রসুলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর বিতর সম্বন্ধে ‘আয়িশাহ (রাঃ)-কে প্রশ্ন করলাম। তিনি (তৎবিষয়ে) হাদীস বর্ণনা করলেন। আমি জিজ্ঞেস করলাম, তিনি নাপাকির সময় কী করতেন, তিনি কি ঘুমাবার আগে গোসল করতেন, না গোসল করার আগে ঘুমাতেন? তিনি [‘আয়িশাহ (রাঃ)] বললেন, সবই করতেন। কখনো গোসল করে ঘুমাতেন আর কখনো ওযূ করে ঘুমিয়ে পড়তেন। আমি বললাম, সমস্ত প্রশংসা সে আল্লাহর যিনি সব কাজেই অবকাশ রেখেছেন।-ihadis.com


সহিহ মুসলিম, হাদিসঃ ৫৯৪, সহিহ হাদিস থেকে বর্ণিত হয়েছে,


আবূ সা‘ঈদ আল খুদরী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃতিনি বলেন, রসুলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন: তোমাদের কেউ যখন তার স্ত্রীর সাথে মিলিত হবে তারপর আবার মিলিত হবার ইচ্ছা করবে সে যেন ওযূ করে নেয় আবূ বাকর তার হাদীসে ‘উভয় মিলনের মধ্যে ওযূ করবে’ বাক্যটি বাড়িয়েছেন এবং এর স্থলে (আরবী) বলেছেন।-ihadis.com

 

নাস্তিকরা অনেক সময় বলে থাকে নবীজি (সা) নাকি প্রতি রাতেই সব স্ত্রীদের সাথে সহবাস করতেন এটি আসলে মিথ্যাচার। কারণ প্রতি রাতেই সহবাস করতেন এমন মর্মে হাদিস পাওয়া যায় না আর করে থাকলেও কোনো সমস্যা নেই। হাদিস পড়লে এটা বুঝা যায় উনি একদিন শুধু সকল স্ত্রীদের সাথে সহবাস করেছিলেন। হাদিস গুলো পড়ুন।


সুনানে আবু দাউদ, হাদিসঃ ২১৮, সহিহ হাদিস থেকে বর্ণিত হয়েছে,


আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ কোন একদিন  রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম সকল স্ত্রীদের নিকট গেলেন এবং একবারই গোসল করলেন।-ihadis.com


সুনানে আবু দাউদ, হাদিসঃ ২১৯, সহিহ হাদিস থেকে বর্ণিত হয়েছে,


আবূ রাফি (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃনবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম একদিন তাঁর স্ত্রীদের নিকট গেলেন এবং প্রত্যেক স্ত্রীর নিকটই গোসল করলেন। বর্ণনাকারী বলেন, আমি বললাম, হে আল্লাহর রসূল! আপনি সবশেষে একবার গোসল করলেই তো পারতেন? তিনি বললেন, এরূপ করাই অধিকতর পবিত্রতা, উৎকৃষ্টতা ও পরিচ্ছন্নতার পরিচায়ক।-ihadis.com


সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদিসঃ ৫৯০, হাসান হাদিস থেকে বর্ণিত হয়েছে,


আবূ রাফি’ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃনবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম এক রাতে তাঁর স্ত্রীগণের সাথে সহবাস করলেনতিনি তাদের প্রত্যেকের সাথে সহবাসের পর পর গোসল করেন। তাকে বলা হলো, হে আল্লাহর রসূল! আপনি কেন একবার গোসল করলেন না? তিনি বলেন, সেটি অধিকতর বিশুদ্ধ, পবিত্র ও পরিচ্ছন্ন।-ihadis.com


সব সময় নবী মোহাম্মদ (সা) উনার স্ত্রীদের সাথে সহবাস করতেন না। হাদিসটি পড়ুন।


সুনানে আবু দাউদ, হাদিসঃ ৩১৩৫, হাসান সহিহ হাদিস থেকে বর্ণিত হয়েছে,


হিশাম ইবনু ‘উরওয়াহ (রহঃ) হতে তার পিতা থেকে বর্ণিতঃতিনি বলেন, ‘আয়িশাহ (রাঃ) বলেছেন, হে ভাগ্নে! রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম আমাদের সাথে অবস্থানের ব্যাপারে কাউকে কারো উপর প্রাধান্য দিতেন না। এমন দিন খুব কমই হয়েছে; যেদিন তিনি আমাদের কাছে আসতেন এবং সহবাস না করে সবার সাথে আলাপ করতেন। অতঃপর যার নিকট রাত যাপনের পালা হতো, তিনি সেখানে রাত যাপন করতেন। যখন সাওদা বিনতু যাম’আহ (রাঃ) বার্ধক্যে পোঁছলেন তখন আশংকা করেন যে, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হয়তো তাকে ত্যাগ করবেন, তখন তিনি বললেন, হে আল্লাহর রাসূল! আমি আমার পালার দিনটি ‘আয়িশাকে দিলাম। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তার এ প্রস্তাব গ্রহণ করলেন। ‘আয়িশাহ (রাঃ) বলেন, আমরা বলতাম, এ প্রসঙ্গে মহান আল্লাহ অবতীর্ণ করেছেনঃ “যদি কোন নারী তার স্বামীর পক্ষ হতে উপেক্ষিত হওয়ার আশংকা করে.........” (সূরাহ আন-নিসাঃ ১২৮)-ihadis.com

আয়েশা (রা) কথা থেকে পরিস্কার যে নবীজি (সা) সব স্ত্রীদের কাছে আসতেন এবং সহবাস না করেই সবার সাথে আলাপ করতেন। এছাড়া হাদিস রয়েছে যে নবী মোহাম্মদ (সা) ঘরের কাজকর্ম নিজেই করতেন। নবীজি মোহাম্মদ (সা) নিঃসন্দেহে শ্রেষ্ঠ আদর্শবান স্বামী ছিলেন।


সহিহ বুখারী, হাদিসঃ ৬৭৬, সহিহ হাদিস থেকে বর্ণিত হয়েছে,


আসওয়াদ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃতিনি বলেন, আমি ‘আয়িশা (রাঃ) কে জিজ্ঞেস করলাম, নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম ঘরে থাকা অবস্থায় কী করতেন? তিনি বললেন, ঘরের কাজ-কর্মে ব্যস্ত থাকতেন। অর্থাৎ পরিবারবর্গের সহায়তা করতেন। আর সালাতের সময় হলে সালাতের জন্য চলে যেতেন।-ihadis.com

সহিহ বুখারী, হাদিসঃ ৫৩৬৩, সহিহ হাদিস থেকে বর্ণিত হয়েছে,


আসওয়াদ ইবনু ইয়াযীদ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃতিনি বলেনঃ আমি ‘আয়িশা (রাঃ)-কে জিজ্ঞেস করলাম, নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম গৃহে কি কাজ করতেন? তিনি বললেনঃ তিনি ঘরের কাজ-কর্মে ব্যস্ত থাকতেন, যখন আযান শুনতেন, তখন বেরিয়ে পড়তেন।-ihadis.com 

আল্লাহর রসূল সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম দুনিয়ার মানুষের জন্য চিরকালীন আদর্শ। অতি ছোট খাটো কাজও তিনি নিজ হাতে করতেন অতি সাধারণ একজন মানুষের মত। মসজিদে নাবাবীর নির্মাণ, খন্দকের যুদ্ধে পরিখা খননসহ নানা ক্ষেত্রে কায়িক শ্রমের কাজেও মহানবীর অংশগ্রহণের বহু প্রমাণ বিদ্যমান। তিনি বাড়ীর ছোট খাটো নানা কাজে অংশগ্রহণ করে স্বীয় পরিবারের সুখ শান্তি বৃদ্ধি করতেন, তাদের হৃদয় জয় করতেন। প্রিয় রসূলের সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম এ সুন্নাত অনুসরণ করে আমরা আমাদের গৃহগুলোকে অপরিসীম আনন্দে ভরে দিতে পারি। চতুষ্পদ জানোয়ার থেকে বিবর্তিত হওয়া জন্তু গুলো কি প্রকৃত সভ্য মানুষদের গুরুত্ব বুঝবে? কি মনে হয় পাঠক? তাহলে নাস্তিকরা হযরত মোহাম্মদ (সা) কে নিয়ে অন্ধবিশ্বাস কেন ত্যাগ করতে পারছে না? 


সার্বিক তথ্য প্রমাণ এবং যৌক্তিক সিদ্ধান্তে এটা বলতে যে কেউই বাধ্য হবে যে নবী মোহাম্মদ (সা) এর যৌনজীবন ছিল পবিত্র ও সুন্দর। নবী মোহাম্মদ (সা) এর যৌনজীবনকে যেমন খারাপ বলার কোনো যুক্তি নেই, তেমনি সুযোগ নেই একে নোংরা করে মানুষকে দেখানোর। নাস্তিকান্ধরা এরকম প্রশ্নও করে যে,নবী মোহাম্মদ (সা) কেন এক রাতেই সকল স্ত্রীর সাথে সহবাস করেছিলেন? এর জবাবে আমি বলবো,হাদিস থেকে জানা যায় সকালে নবীজী (সা) এর ইহরাম বাধেন। ইহরাম অবস্থায় স্ত্রী সহবাস নিষেধ। (৬) ইহরাম বাঁধার মধ্য দিয়ে হজ ও উমরার আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়। ইহরাম শব্দের আভিধানিক অর্থ নিষিদ্ধ করা। হজ ও উমরা করতে ইচ্ছুক ব্যক্তি যখন হজ বা উমরা কিংবা উভয়টি পালনের উদ্দেশ্যে নিয়ত করে তালবিয়া পাঠ করে, তখন তার ওপর কতিপয় হালাল ও জায়েয বস্তুও হারাম হয়ে যায়। এ কারণেই এ প্রক্রিয়াটিকে ইহরাম বলা হয়। (৭) 


সুরা বাকারা ২ঃ১৯৭ আয়াতে বর্ণিত হয়েছে,


“হজের মাসসমূহ নির্দিষ্ট সুবিদিত। এসব মাসে যে ব্যক্তি হজ করার ইচ্ছা করবে, তার পক্ষে স্ত্রীর সাথে সহবাসে লিপ্ত হওয়া জায়েয নয়। জায়েয নয় কোনো অশোভন কাজ করা, না কোনো ঝগড়া বিবাদে লিপ্ত হওয়া।


সুনানে আন নাসায়ী, হাদিসঃ ২৭০৫, সহিহ হাদিস থেকে বর্ণিত হয়েছে,


ইবরাহীম ইব্‌ন মুহাম্মাদ ইবন মুনতাশির (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃতিনি বলেছেনঃ আমি ইবন উমর (রাঃ)-কে বলতে শুনেছিঃ ইহরাম অবস্থায় সুগন্ধি ব্যবহার করা অপেক্ষা জামার কাছে আলকাতরা ব্যবহার করা অধিক পছন্দনীয়। আমি আয়েশা (রাঃ)-এর নিকট উপস্থিত হয়ে এ কথা জানালে তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম-কে সুগন্ধি লাগিয়েছি; আর তিনি তাঁর স্ত্রীদের সাথে মিলিত হতেন। তারপর সকালে তিনি ইহ্‌রাম বেঁধেছেন-ihadis.com

সহিহ বুখারী, হাদিসঃ ২৭০, সহিহ হাদিস থেকে বর্ণিত হয়েছে,


মুহাম্মাদ ইব্‌নু মুনতাশির (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃআমি ‘আয়িশা (রাঃ) কে জিজ্ঞেস করলাম এবং আবদুল্লাহ্‌ ইব্‌নু ‘উমার (রাঃ) এর উক্তি উল্লেখ করলাম,- “আমি এমন অবস্থায় ইহরাম বাঁধা পছন্দ করি না যাতে সকালে আমার দেহ হতে সুগন্ধি ছড়িয়ে পড়ে।” ‘আয়িশা (রাঃ) বললেনঃ আমি আল্লাহর রসূল সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম কে সুগন্ধি লাগিয়েছি, তার পর তিনি পর্যায়ক্রমে তাঁর স্ত্রীদের সঙ্গে মিলিত হয়েছেন এবং তাঁর ইহ’রাম অবস্থায় সকাল হয়েছে।-ihadis.com

উক্ত তথ্য গুলোয় বুঝা যায় নবী মোহাম্মদ (সা) পরের দিন ইহরাম বাধেন আর ইহরাম বাধা অবস্থায় স্ত্রী সহবাস নিষিদ্ধ এই কারণে যেহেতু উনার স্ত্রীরা উনার থেকে দূরে থাকবেন সেহেতু উনি এক সাথে সকল স্ত্রীকেই খুশি করে পরের দিন ইহরাম বাধেন। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে নবীজি (সা) স্ত্রীদের সাথে যে কারণেই সহবাস করুক না কেন তাতে আপনার সমস্যা কি? একজন স্বামী তাঁর স্ত্রীদের সাথে কেন সহবাস করবে?- প্রশ্নটি হাস্যকর নয়? নবী মোহাম্মদ (সা) কখনোই নারীকামী ছিলেন না এর কিছু বাস্তব প্রমাণ এখন আপনাদের সামনে তুলে ধরবো। সামনে পড়তে থাকুন। পাঠক, বড় বড় সেলেব্রেটি কাফেররা নবী মোহাম্মদ (সা)কে কত বড় বড় অফার দিয়েছিল শুধু এই শর্তে যে নিজেকে আল্লাহর নবী দাবি করা যাবে না এবং ইসলামের প্রতি আহব্বান করা যাবে না। 


আল্লামা ইদরীস কান্ধলবী (রহ) লিখিত “সীরাতুল মুস্তফা (সা)” ১ খণ্ড, ১৬৩,১৬৪ পৃষ্ঠায় বর্ণিত হয়েছে,

উতবা নবী (সা) এর নিকটে এলো এবং বলল, মোহাম্মদ! তোমার বংশ , মর্যাদা, যোগ্যতা ও শ্রেষ্ঠত্বের ব্যাপারে কোন দ্বিমত নেই, কিন্তু দুঃখের বিষয় হলো, তুমি সমগ্র সম্প্রদায়ের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি করেছ। তুমি আমাদের প্রতিমাগুলোকে মন্দ বলো, আমাদের পিতা-মাতামহকে বোকা ও মূর্খ বলো, তাই এ ব্যাপারে আমি কিছু কথা বলতে চাই। রাসুল (সা) বললেন, হে আবুল ওলীদ, বলুন, আমি শুনছি। উতবা বলল, ওহে আমার ভাতিজা! তোমার এ সব কথাবার্তার মূল উদ্দেশ্য কি? তুমি যদি ধন-দওলতের প্রত্যাশী হও, তা হলে আমরা সবাই মিলে এতটা পরমাণ সম্পদ একত্র করে দেব যে, বড় থেকে আমীর ব্যক্তিও তোমার সমকক্ষ হতে পারবে না। আর যদি তুমি বিয়ে করতে চাও, তা হলে যে মেয়েকে ইচ্ছা, যতজনকে ইচ্ছা বিয়ে করতে পার। আর যদি সম্মান ও নেতৃত্ব লাভের ইচ্ছা পোষণ কর, তা হলে আমরা সবাই তোমাকে আমাদের নেতা হিসেবে মেনে নেব। আর যদি বাদশাহী চাও, তা হলে আমরা তোমাকে আমাদের বাদশাহ রূপে মেনে নেব। আর যদি তুমি অসুস্থ হয়ে থাক, তবে তোমার চিকিৎসা করাব। হযরত (সা) বললেন, হে আবুল ওলীদ, আপনার যা বলার ছিল, তা কি বলে শেষ করেছেন? উতবা বলল, হ্যাঁতিনি বললেন, আচ্ছা, এখন আমি যা বলি, তা শুনুনআপনাদের মাল-সম্পদের প্রয়োজন আমার নেই, আর আপনাদের নেতৃত্ব সর্দারী করাও আমার উদ্দেশ্য নয়। আমি তো আল্লাহর রাসুল, আল্লাহ আমাকে আপনাদের প্রতি পয়গাম্বর করে প্রেরণ করেছেন, তিনি আমার প্রতি একটি কিতাব অবতীর্ণ করেছেন। তিনি আমাকে এ নির্দেশ দিয়েছেন যে, আমি আপনাদেরকে আল্লাহ প্রদেয় নেকীর সুসংবাদ শোনাব এবং তাঁর আযাবের ভীতি প্রদর্শন করব। আমি আপনাদের কাছে আল্লাহ তা’লার পয়গাম পৌঁছে দিয়েছি। আপনাদের কল্যাণকামী হিসেবে উপদেশ আকারে তা অবহিত করেছি। যদি আপনারা তা গ্রহণ করেন তবে তা আপনাদের জন্য উভয় জগতের সৌভাগ্য ও কল্যাণের নিমিত্ত হবে। আর যদি আপনারা না মানেন, তা হলে আল্লাহ আমার এবং আপনাদের মধ্যে ফয়সালা না করা পর্যন্ত আমি সবর করব। 

নাসরুল বারী শরহে বুখারী, ২ খণ্ড, ১৫৯ ও ১৬০ পৃষ্ঠায় বর্ণিত হয়েছে,

ধর্মহীন ব্যক্তিরা হুজুর (সা) এর স্ত্রী অনেক হওয়ার কারণে তাকে ভোগী বলে অপবাদ দিয়ে থাকে। অথচ তাঁর জীবনের প্রতি লক্ষ্য করলে তাঁর পূর্ণ সবর (ধৈর্য), কানা’আত (অল্পে-তুষ্টি ) তাঁর যুহদ এবং দুনিয়ার প্রতি অনীহা দিবালোকের ন্যায় স্পষ্ট হয়ে উঠে। তাকে চার হাজার পুরুষের শক্তি দেয়া হয়েছে। তিনি এ শক্তি নিয়েও যৌবনের প্রথমে পঁচিশ বছর বিবাহ ব্যতীত কাটিয়ে দিলেন। অথচ মানুষের যৌবনের জোশের এবং নবযৌবনের কামাগ্নির এ বইয়সেই প্রকাশ ঘটে। কিন্তু তিনি এ সময়টা এমন পাকপবিত্রভাবে কাটিয়েছেন যে, যতবড় দুশমনই বা বিদ্বেষী হোক না কেন আজ পর্যন্ত এ বিষয়ে মুখ খোলার সুযোগ পায়নি। তারপর লোকদের পীড়াপীড়িতে অনেক ভালো সুযোগ এসেছিল। বরং চারদিক হতে তাঁর প্রতি আকাঙ্ক্ষা থাকা সত্ত্বেও পঁচিশ বছর বয়সে দু’বার বিধবা হওয়া চল্লিশ বছর বয়স্কা হযরত খাদিজা (রা)কে বিবাহ করেন। আরে বেঈমানরা দেখ! ভোগী ব্যক্তির অবস্থা কি এরুপ? তারপর বিবির সাথে যে সম্পর্ক ছিল তাও সবার জানা- কোথায় বিবি আর কোথায় তিনি? মাসের পর মাস গারে হেরায় একাকী আল্লাহর স্মরণে কাটিয়ে দিয়েছেনএকজনই মাত্র স্ত্রীতাও প্রায় দিগুন বয়সেরআবার দু’বারের বিধবাও। এ অবস্থায় জীবনের তিপান্ন বছর বয়স পর্যন্ত কাটিয়ে দিলেন। দ্বিতীয় বিবাহ করেননি। এ অবস্থা দেখে কেউ কি বলতে পারবে তিনি ভোগী পুরুষ ছিলেন? ভোগের জীবন কি এমন হয় যে নিজের যৌবনটা এক বৃদ্ধা রমণীর সাথে কাটিয়ে দিয়েছেন? 

নবী মোহাম্মদ (সা) কেন এতো বিশাল অফার পাওয়ার পরেও মেনে নেন নাই? একজন মানুষের মধ্যে মিথ্যা বলার যেই উদ্দেশ্য থাকে তা হলো, সম্পদের লোভ, নারীর লোভ, নেতৃত্বের লোভ অথবা নিজের স্বার্থে কিন্তু নবী মোহাম্মদ (সা) এর মধ্যে এসবের একটি কারণও দেখা যায়? অবশ্যই না। তাই যৌক্তিক সিদ্ধান্তে এটা যৌক্তিক কথা যে নবী মোহাম্মদ (সা) যেই দাবি গুলো করেছেন সবই সত্যি। হযরত মোহাম্মদ (সা) যদি আসলেই নারীলোভী হতেন নাস্তিকরা যেভাবে বুঝায় আরকি তাহলে নবী মোহাম্মদ (সা) কাফেরদের দেয়া লোভনীয় অফার গুলো প্রথমেই মেনে নিতেন। সবার বিরুদ্ধে গিয়ে এতো কষ্ট করার দরকার ছিল না। হযরত মোহাম্মদ (সা) যদি নিজের স্বার্থে ইসলাম প্রচার করতেন তাহলে কাফেরদের বিরুদ্ধে নিয়ম বানাতেন না বরং নিজের লাভের জন্য কাফেরদের পক্ষেই হাজার হাজার নিয়ম তৈরি করতেন। অথচ উনি এরকম কিছুই করেন নাই এই থেকেই প্রমাণিত হয় যে নবী মোহাম্মদ (সা) এর নবুয়ত সম্পূর্ণ সত্য। অস্বীকার করার যৌক্তিক উপায় নেই।

সহিহ বুখারী,হাদিসঃ ১৯২৭, সহিহ হাদিস থেকে বর্ণিত হয়েছে,

‘আয়িশাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃতিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম সওমের অবস্থায় চুমু খেতেন এবং গায়ে গা লাগাতেন। তবে তিনি তাঁর প্রবৃত্তি নিয়ন্ত্রণে তোমাদের চেয়ে অধিক সক্ষম ছিলেন-ihadis,com

সহিহ মুসলিম,হাদিসঃ ২৪৬৫,সহিহ হাদিস থেকে বর্ণিত,

আয়িশাহ্‌(রাঃ) থেকে বর্ণিতঃতিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম সওমের অবস্থায় আমাকে চুমু দিতেন। তোমাদের মধ্যে কে এমন আছে যে, নিজের কামোদ্দীপনাকে আয়ত্বে রাখতে পারে, যেমন আয়ত্বে রাখতে সক্ষম ছিলেন রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাঁর কামোদ্দীপনাকে-ihadis.com 

সুনানে ইবনে মাজাহ,হাদিসঃ৬৩৫,সহিহ হাদিস থেকে বর্ণিত,

আয়িশাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃতিনি বলেন, আমাদের কারো হায়িদ শুরু হলে নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাকে তার লজ্জাস্থানে শক্ত করে পাজামা বাঁধার নির্দেশ দিতেন, অতঃপর তিনি তার সাথে আলিঙ্গন করতেন। তোমাদের মধ্যে এমন কে আছে যে তার প্রবৃত্তিকে বশে রাখতে পারে, যেমন রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাঁর প্রবৃত্তিকে বশে রাখতে সক্ষম ছিলেন!-ihadis.com

নবী মোহাম্মদ (সা) নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করার ব্যাপারে বেশি সক্ষম ছিলেন। নাস্তিকরা বিশ্বাস করে নবী মোহাম্মদ (সা) নারীলোভী ছিলেন, শিশুকামি ছিলেন- এসব নিঃসন্দেহে নাস্তিকদের অন্ধবিশ্বাস এবং হযরত আয়েশা (রা) সাক্ষ্যই প্রমাণ করে নাস্তিকরা মিথ্যাবাদী। নবী মোহাম্মদ (সা) সম্পর্কে নাস্তিকরা বেশি জানবে নাকি আয়েশা (রা)? আপনি নবীজি (সা) এর স্ত্রীদের কথা বিশ্বাস করবেন নাকি মুক্তচিন্তার মিথ্যুক নাস্তিকদের?

নবীজী (সা) সকল স্ত্রীকে সুযোগ দিয়েছিলেন উনাকে ত্যাগ করে চলে যাওয়ারঃ


সত্য আমার বিরুদ্ধে গেলেও মাথা পেতে নিব- এমন সাহসী মনোভাব নিয়ে কোনো নাস্তিক যদি আমার আজকের লেখাটি পড়ে বুঝে থাকে তাহলে সে এটা স্বীকার করতে বাধ্য হবেই যে নাস্তিক্যধর্মের দৃষ্টিতে নবী মোহাম্মদ (সা) এর যৌনজীবন নিয়ে অভিযোগ করার কোনো ভিত্তি-ই নেই। মুক্তমনা আন্দোলনের সংগঠন ত্যাগ করলে তো তিন বেলা খাবার জুটবে না সত্য কিভাবে মেনে নিব?-এই যদি হয় অবস্থা তাহলে আমাকে বলতেই হচ্ছে নাস্তিকরা সত্যের সাথে চিন্তা করার যোগ্যতাকে অনেক আগেই ফেলে দিয়েছে। নবী মোহাম্মদ (সা) আল্লাহর পক্ষ থেকে হুকুম পেয়ে উনার সব স্ত্রীকে এই সুযোগ দিয়েছিলেন উনাকে ত্যাগ করার। কোনো স্ত্রী চাইলেই উনাকে ছেড়ে যেতে পারতেন কিন্তু ছেড়ে যান নাই। এটাই প্রমাণ করে উনার সব স্ত্রীরা উনাকে চরম পর্যায়ে ভালোবাসতেন। এটাও প্রমাণ করে যে উনি কখনো নিজের খায়েশ পূরণের জন্য একাধিক বিয়ে করেন নাই। নারীদের মতামতকে নবী মোহাম্মদ (সা) যে সম্মান করতেন এগুলো পরিস্কার প্রমাণিত প্রকাশিত হয়ে গিয়েছে কিন্তু নাস্তিকরা চায় মানুষ এগুলো না জানুক। ইসলাম সম্পর্কে মানুষ সত্য জানুক মুক্তমনারা কখনো এটা চায় নি। এগুলো জানলে তো মন মতো জালিয়াতি করে সুবিধা আদায় করা যাবে না,বোঝেন না কেন ব্যাপারটা? নাস্তিকদের কষ্ট আমি বুঝি কিন্তু কিছুই করার নেই আমি এমডি আলী সত্য বলতেই থাকবো।

 

আল্লাহ তাঁর রাসুলকে আদেশ দিচ্ছেন সুরা আহযাব ৩৩ঃ২৮ আয়াতেঃ

 

হে নবী, আপনার পত্নীগণকে বলুন, তোমরা যদি পার্থিব জীবন ও তার বিলাসিতা কামনা কর, তবে আস, আমি তোমাদের ভোগের ব্যবস্থা করে দেই এবং উত্তম পন্থায় তোমাদের বিদায় নেই

সুনানে আন নাসায়ী, হাদিসঃ ৩২০২, সহিহ হাদিসঃ

আয়েশা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্‌ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাঁর স্ত্রীগণকে তাঁর দাম্পত্য বন্ধনে থাকা না থাকার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত গ্রহনের স্বাধিকার দিয়েছিলেন। তা কি তালাক বিবেচিত হয়েছিল ? অর্থাৎ এতে তাঁরা তালাক হননি-ihadis.com

সুনানে আন নাসায়ী, হাদিসঃ ৩২০৩, সহিহ হাদিসঃ

আয়েশা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ তিনি বলেন: রাসূলুল্লাহ্‌ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম আমাদেরকে ‘ইখতিয়া’র দিলে আমরা তাঁকেই গ্রহন করলাম তা (কখনো) তালাক বলে গণ্য হয়নি-ihadis.com

সহিহ বুখারি, হাদিসঃ ৪৭৮৫ ও ৪৭৮৬, সহিহ হাদিসঃ

লায়স (রহ.) থেকে বর্ণিতঃ নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সহধর্মিণী ‘আয়িশাহ (রাঃ) বলেন, যখন রসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে তাঁর সহধর্মিণীদের ব্যাপারে দু’টি পন্থার একটি পন্থা বেছে নেয়ার নির্দেশ দেয়া হল, তখন তিনি প্রথমে আমাকে বললেন, তোমাকে একটি বিষয় সম্পর্কে বলব। তাড়াহুড়ো না করে তুমি তোমার আব্বা ও আম্মার সঙ্গে পরামর্শ করে নিবে। ‘আয়িশাহ (রাঃ) বলেন, তিনি অবশ্যই জানতেন, আমার আব্বা-আম্মা তাঁর থেকে বিচ্ছিন্ন হওয়ার কথা বলবেন না। ‘আয়িশাহ (রাঃ) বলেন, এরপর তিনি বললেন, আল্লাহ্ তা‘আলা বলেছেনঃ يَا أَيُّهَا النَّبِيُّ قُلْ لِأَزْوَاجِكَ إِنْ كُنْتُنَّ تُرِدْنَ الْحَيَاةَ الدُّنْيَا وَزِينَتَهَا إِلَى أَجْرًا عَظِيمًا “হে নাবী! আপনি আপনার স্ত্রীগণকে বলুন, তোমরা যদি পার্থিব জীবন ও তার ভূষণ কামনা কর.....মহা প্রতিদান পর্যন্ত। আয়িশাহ (রাঃ) বলেন, এ ব্যাপারে আমার আব্বা-আম্মার সঙ্গে পরামর্শের কী আছে? আমি তো আল্লাহ্, তাঁর রসূল এবং আখিরাতের জীবন কামনা করি। ‘আয়িশাহ (রাঃ) বলেনঃ নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর অন্যান্য সহধর্মিণী আমার মতই জবাব দিলেন-ihadis.com

সুনানে আন নাসায়ী, হাদিসঃ ৩২০১, সহিহ হাদিসঃ

আবূ সালামা ইব্‌ন আবদুর রহমান (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর স্ত্রী আয়েশা (রাঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি তাঁর নিকট বর্ণনা করেছেন, আল্লাহ্‌ তা’আলা যখন রাসূলুল্লাহ্‌ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম – কে তাঁর স্ত্রীগণকে দাম্পত্য সম্পর্ক ছিন্ন করার ব্যাপারে ‘ইখতিয়ার’ (স্বাধিকার) প্রদানের আদেশ করলেন, আয়েশা (রাঃ) বলেন, তখন রাসূলুল্লাহ্‌ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম আমাকে দিয়েই আরম্ভ করলেন। তিনি বললেনঃ আমি তোমার নিকট একটি কথা বলব, কিন্তু তুমি সে ব্যাপারে তোমার পিতামাতার পরামর্শ গ্রহনের পূর্বে (অবিলম্বে) সে সম্বন্ধে মতামত প্রকাশ করবে না। কারন তিনি জানতেন, আমার মাতাপিতা তাঁর কাছ থেকে বিচ্ছেদের পরামর্শ আমাকে দেবেন না তারপর রাসূলুল্লাহ্‌ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেনঃ (কুরআনের ভাষা অনুসারে) “হে নবী। আপনি আপনার স্ত্রীগণকে বলুন, যদি তোমরা পার্থিব জীবন এবং এর সাজসজ্জা কামনা কর; তবে আসো, আমি তোমাদের ভোগ সামগ্রীর ব্যবস্থা করে দেই এবং সৌজন্যের সাথে তোমাদের বিদায় দেই (৩৩:২৮)। আমি বললামঃ এ ব্যাপারে আমি আমার পিতামাতার নিকট পরামর্শ করব? আমি তো আল্লাহ্‌, আল্লাহ্‌র রাসূল এবং আখিরাতের জীবন কামনা করি-ihadis.com

বিস্তারিত আরও জানতে পড়ুনঃ

তাফসীরে ইবনে কাসীর ১৫ খণ্ড, ৭৭৮ পৃষ্ঠা। ডঃ মুহাম্মদ মুজিবুর রহমানের অনুবাদ ।

তাফসীরে জালালাইন, ৫ খণ্ড, ১৩৯ পৃষ্ঠা। 

তাফসীরে ইবনে আব্বাস, ৩ খণ্ড,  ৬৩ পৃষ্ঠা। 

তাফসীরে আনওয়ারুল কুরআন, ৫ খণ্ড, ১২৯ পৃষ্ঠা।

তাফসীরে তাওযীহুল কুরআন, ৩ খণ্ড, ৭৮ পৃষ্ঠা।

তাফসীরে ফি যিলাযিল কুরআন, ১৬ খণ্ড, ১৪৪ পৃষ্ঠা।

তাফসীরে মাযহারী, ৯ খণ্ড, ৪৭৬ পৃষ্ঠা।

তাফসীরে আহসানুল বয়ান, ৭৩৩ পৃষ্ঠা।

তাফসীরে আবু বকর জাকারিয়া, সুরা আহযাব ২৮ ও ২৯ নং আয়াতের ব্যাখ্যা।

তাফসীরে ফাতহুল মাজিদ , সুরা আহযাব ২৮ ও ২৯ নং আয়াতের ব্যাখ্যা।

সহিহ বুখারি, হাদিসঃ ৪৭৮৯ , সহিহ হাদিসঃ

আয়িশাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ রসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম স্ত্রীদের সঙ্গে অবস্থানের পালার ব্যাপারে আমাদের থেকে অনুমতি চাইতেন এ আয়াত অবতীর্ণ হওয়ার পরও, আপনি তাদের মধ্যে যাকে ইচ্ছা আপনার নিকট হতে দূরে রাখতে পারেন এবং যাকে ইচ্ছা আপনার নিকট স্থান দিতে পারেন এবং আপনি যাকে দূরে রেখেছেন তাকে কামনা করলে আপনার কোন অপরাধ নেই। এ আয়াতটি নাযিল হওয়ার পর মু‘আয বলেন, আমি ‘আয়িশাহ (রাঃ)-কে জিজ্ঞেস করলাম, আপনি এর উত্তরে কী বলতেন? তিনি বললেন, আমি তাঁকে বলতাম, এ বিষয়ের অধিকার যদি আমার থেকে থাকে তাহলে হে আল্লাহ্‌র রসূল! আমি আপনার ব্যাপারে অন্য কাউকে অগ্রাধিকার দিতে চাই না ‘আব্বাদ বিন আব্বাদ ‘আসেম থেকে এরূপ শুনেছেন।-ihadis.com

এরপরেও নাস্তিকরা মিথ্যা বলবে নবী মোহাম্মদ (সা) নারীলোভী ছিলেন? নবীজি (সা) এর এক স্ত্রী উনাকে পছন্দ না করলে উনি সম্মানের সাথে সেই স্ত্রীকে নিজ বাড়িতে পৌছিয়ে দেয়ার আদেশ দেন। নবী মোহাম্মদ (সা) নারীদের মতামতকে সম্মান করতেন এই প্রমাণ যথেষ্ট নয়? নবী মোহাম্মদ (সা) এর সাথে কেউ দাম্পত্য সম্পর্ক রাখতে না চাইলে উনি সেই নারীকে সম্মানের সাথে পরিবারের কাছে চলে যেতে বলেন। আর জানোয়ারের বংশধর নাস্তিকরা বলে নবীজি (সা) নাকি ধর্ষক ছিলেন এরচেয়ে পরিস্কার মিথ্যাকথা আর কি হতে পারে? নাস্তিকদের মস্তিস্ক কেমন দুর্গন্ধযুক্ত হলে এরকম ভয়ংকর অপবাদ দিতে পারে? চিন্তা করতে পারেন?

সহিহ বুখারী, হাদিসঃ ৫২৫৬, সহিহ হাদিসে বর্ণিত হয়েছে,

সাহ্‌ল ইবন সা’দ ও আবূ উসায়দ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ (ভিন্ন সনদে) সাহ্‌ল ইব্‌ন সা’দ ও আবূ উসায়দ (রাঃ) থেকে বর্ণনা করেন। তাঁরা বলেন যে, নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম উমাইয়া বিনতু শারাহলীকে বিবাহ করেনপরে তাকে তাঁর কাছে আনা হলে তিনি তার দিকে হাত বাড়ালেনসে এটি অপছন্দ করল। তাই নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম আবূ উসাইদকে তার জিনিসপত্র গুটিয়ে এবং দুখানা কাতান বস্ত্র প্রদান করে তার পরিবারের নিকট পৌছে দেবার নির্দেশ দিলেন-ihadis.com

একজন নারী নবীজি (সা) কে অপছন্দ করলে নবীজি (সা) কি জবরদস্তি করেছিলেন? অবশ্যই না। তাহলে ইসলামে যদি স্ত্রীদের প্রতি জবরদস্তি করার অনুমতি থাকতো তাহলে নবীজি (সা) কেন জবরদস্তি করলেন না? এই থেকে কি প্রমাণ হচ্ছে না যে নাস্তিকরা ইসলাম নিয়ে মিথ্যাচার করে যাচ্ছে? ইসলাম স্ত্রীদের প্রতি সম্মান করতে বলে এই হাদিস কি সেটার প্রমাণ নয়? স্ত্রীরা স্বামীর সাথে সহবাস করতে না চাইলে স্বামী জবরদস্তি করতে পারবে না এই কথা কি প্রমাণিত হয়ে গেলো না? তাহলে? এরপরেও যদি নাস্তিকরা স্বীকার না করে যে, তারা ইসলামের মিথ্যা ব্যাখ্যা করে তাহলে আমার আর কিছুই বলার নেই। নাস্তিকরা নিজেদের দোষ তো স্বীকার করতেই চায় না উল্টো মুসলিমরাই নাকি ইসলামের ভুল ব্যাখ্যা দেয় এর চেয়ে হাস্যকর কথা আর কি হতে পারে? তারপরেও যদি বলে নাস্তিকরা ইসলামের সঠিক ব্যাখ্যা দেয় তাহলে এটি শুধুমাত্র তাদের অসীম মূর্খতাকেই প্রমাণ করতে থাকবে। 

নবীজী (সা) স্ত্রীদের থেকে অনুমতিও নিতেনঃ

সুনানে আবু দাউদ, হাদিসঃ ২১৩৬, সহিহ হাদিসে বর্ণিত হয়েছে,

‘আয়িশাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ তিনি বলেন, (মহান আল্লাহর বাণীঃ) “তুমি তাদের মধ্যে যার সাথে ইচ্ছা (থাকতে) পারো এবং যাকে ইচ্ছা তোমার কাছ থেকে দূরে রাখতে পারো” (সূরাহ আল-আহ্‌যাবঃ ৫১) এ আয়াত অবতীর্ণ হওয়ার পর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম আমাদের কাছে অবস্থানের দিনের বিষয়ে অনুমতি চাইতেন। মু’আযা (রহঃ) বলেন, আমি ‘আয়িশাহ (রাঃ)-কে জিজ্ঞেস করলাম, তখন আপনি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম-কে কি বলতেন, তিনি বলেন, আমি বলতাম, পালার দিনটি আমার হলে আমি কাউকে আমার উপর অগ্রাধিকার দিব না-ihadis.com

সুনানে আবু দাউদ, হাদিসঃ ২১৩৭, সহিহ হাদিসে বর্ণিত হয়েছে,

‘আয়িশাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম যে রোগে মৃত্যু বরণ করেন তখন সকল স্ত্রীকে ডাকলেন। তারা সকলে একত্র হলে তিনি বললেনঃ আমি পালাক্রমে তোমাদের সকলের মাঝে ঘুরে ঘুরে অবস্থানের শক্তি পাচ্ছিনাযদি তোমরা ভালো মনে করো, তাহলে আমাকে ‘আয়িশাহর কাছে অবস্থানের অনুমতি দাওতখন তারা সকলেই তাঁকে অনুমতি দিলেন-ihadis.com

সুনানে আবু দাউদ, হাদিসঃ ২১৩৮, সহিহ হাদিসে বর্ণিত হয়েছে,

নাবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর স্ত্রী ‘আয়িশাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃবর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম যখন সফরে যাওয়ার ইচ্ছা করতেন, তখন স্ত্রীদের মধ্যে লটারী করতেনলটারীতে যার নাম উঠতো তিনি তাকেই সঙ্গে নিয়ে যেতেন। আর তিনি প্রত্যেক স্ত্রীর জন্যে পালাক্রমে রাত ও দিন ভাগ করে নিতেন। তবে যাম’আহ্‌র এর কন্যা সাওদাহ্‌ (রাঃ) তার পালার দিনটি ‘আয়িশা (রাঃ) কে দিয়ে দেন।-ihadis.com

হযরত মোহাম্মদ (সা) যে একজন আদর্শবান স্বামী ছিলেন কোনো সন্দেহ নাই। নিজের স্ত্রীদের সাথে ভালো আচরণ তো করতেনই একইসাথে স্ত্রীদের অনুমতি নিয়েও কাজ করতেন। নবী মোহাম্মদ (সা)কে উনার স্ত্রীরাও কেমন পর্যায় ভালবাসতেন সেটা কি আলাদা করে আর বলার দরকার আছে?

উপসংহারঃ ইসলামের দৃষ্টিতে নবী মোহাম্মদ (সা) যেমন অন্যায় কিছু করেন নাই তেমনি নাস্তিক্যধর্মের মুক্তচিন্তার দৃষ্টিতেও উনি অমানবিক বা বর্বর কিছুই করেন নাই। নবী মোহাম্মদ (সা) এর যৌন ক্ষমতা অধিক থাকা মোটেও অন্যায় কিছু নয়। পুরুষের স্ত্রী আছে জানা সত্ত্বেও কোনো নারী যদি সেচ্ছায় সেই পুরুষের একাধিক স্ত্রী হতে রাজি হয় তাহলে মুক্তবুদ্ধির দৃষ্টিতে এটা মোটেও অন্যায় কিছু নয়। নাস্তিকরা নবী মোহাম্মদ (সা)কে নিয়ে যেই অন্ধবিশ্বাস পোষণ করে যাচ্ছে এসবের সাথে নবী মোহাম্মদ (সা)এর না সম্পর্ক আছে আর না ইসলামের।


রেফারেন্সসমূহঃ


[১] Rebecca Watson-European Atheist Convention 2012 (১৬ মিনিট ১০ সেকেন্ড থেকে ১৬ মিনিট ৪০ সেকেন্তের অংশে উক্ত কথাটি বর্ণনা করেছে)

https://www.youtube.com/watch?v=Q985XL7G1F8&t=198s


[২] যেখানে দাসপ্রথা চলমান সেখান থেকে দাসী কিনে তার সাথে মানবিক আচরণ করা মন্দ নয়। মুক্তচিন্তায় কেউ চাইলেই দাসী কিনে তার সাথে মানবিক আচরণ করার ব্যক্তিগত অধিকার রয়েছে। বর্তমান যুগে ক্রিকেট খেলায় বা ফুটবল খেলায় যেমন খেলোয়াড়দেরকে টাকা দিয়ে কিছু সময়ের জন্য  নেয়া হয় তেমনি দাসপ্রথার যুগে দাসদাসী কিনাবেচা হতো। তবে এটা ঠিক যে খেলোয়াড় কিনে নেয়া আর দাসদাসী কিনে নেয়া বা বিক্রি করায় অনেক পার্থক্য রয়েছে।


[৩] How many times a week should I be having sex?

 https://www.youtube.com/watch?v=rvv69my2EYU


[৪] Sex how many times in a night? -Dr,Deepak Kelkar https://www.youtube.com/watch?v=P1cEFdZV3FM


[৫] কতদিন পরপর স্ত্রী সঙ্গম করা উচিৎ বা সপ্তাহে কতবার মিলন করলে শরীরের কোন ক্ষতি হবেনা?

 https://www.youtube.com/watch?v=rSCSiq5oETI  

যেসব নাস্তিকরা নপুংসক, এমনকি হাজার টাইপের মুক্তচিন্তা করেও যারা শিশ্নকে ঠিক মতো মুক্তমনা বানাতে পারছেন না, তারা এই ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ করতে পারেন। আমি সরাসরি ওয়েবসাইটের লিংক দিয়ে দিচ্ছি। https://www.faijulhuq.com/



[৬] ইহরাম অবস্থায় স্ত্রী সহবাস নিষেধঃ

 https://www.hadithbd.com/books/link/?id=1154


[৭] ইহরামের সংজ্ঞাঃ

 https://www.hadithbd.com/books/link/?id=7340


===============


আরো পড়ুনঃ


স্ত্রী সহবাসে জবরদস্তি ইসলামে বৈধ?


দাসীকে যৌননির্যাতন করা বৈধ ইসলামে?


মারিয়া আল কিবতিয়া দাসী নাকি স্ত্রী?


বনু মুস্তালিকের যুদ্ধবন্দিনীদের ধর্ষণ করা হয়েছিল?


================


এমডি আলী

যিনি একজন লেখক, বিতার্কিক ও গবেষক। বিভিন্ন ধর্ম ও মতবাদ বিষয় পড়াশোনা করেন। ইসলামের সত্যতা মানুষের কাছে ছড়িয়ে দিতে চান। “সত্যের অনুভূতি” উনার লেখা প্রথম বই। “ফ্যান্টাস্টিক হামজা” দ্বিতীয় বই। জবাব দেবার পাশাপাশি নাস্তিক মুক্তমনাদের যৌক্তিক সমালোচনা করে থাকেন।

Previous Post Next Post