চিন্তার মুক্তির আন্দোলন


বিষয়ঃ চিন্তার মুক্তির আন্দোলন

লিখেছেনঃ এমডি আলী

=================================

ভূমিকাঃ 

মানুষের মতো দেখতে কতিপয় বস্তুদের দেখা যায়,যারা চিন্তার মুক্তির আন্দোলন স্লোগান দিয়ে ইসলামকে কোপানোর নানান কলাকৌশল করে থাকে। প্রতিটি মানুষের চিন্তার মুক্তি দরকার, মানুষ কেন ধর্মের মধ্যে বন্দী হয়ে থাকবে, মানুষ নিজের মন মতো চলাফেরা করবে, ইসলাম মানুষকে বন্দী করে রাখে, ইসলাম মুক্তি দেয় না, ইসলাম মানেই বর্বর-অশান্তি, হযরত মোহাম্মদ (সা) নামের লোকটি খুবই খারাপ মানুষ ছিলেন— ইত্যাদি নানান বুলির আশ্রয়ে তারা লাইভে চিন্তার মুক্তির আন্দোলনের নামে ইসলামকে কোপানোর চেষ্টা করে। যে যৌক্তিক প্রশ্নগুলো নিয়ে নাস্তিক্যধর্মের অনুসারীরা সুস্থচিন্তা করতে আগ্রহী নয় এমন প্রশ্নের মধ্যে রয়েছে চিন্তার মুক্তির আন্দোলন কি আদৌ যৌক্তিক? চিন্তার মুক্তির আন্দোলন করলেই যে মুক্তি আসবে সেটার প্রমাণ কোথায়? দুনিয়াতে মানুষ যা করছে সব তো নিজের ইচ্ছাতেই করছে এখানে আলাদা করে চিন্তার মুক্তির আন্দোলন নাম দিয়ে ইসলামের বিরুদ্ধে মিথ্যাচার করবার বিশেষ অর্থটা আসলে কি?


আজকে আমরা যৌক্তিকভাবে সুস্থচিন্তা ও সততার সাথে ভেবে দেখবো চিন্তার মুক্তির আন্দোলন মানুষকে কিভাবে অমানুষে বিবর্তন করে ফেলে। কোনো সুস্থ ও স্বাভাবিক মানুষ কখনো নাস্তিক্যধর্মের মুক্তচিন্তা ওরফে চিন্তার মুক্তির আন্দোলন করতেই পারে না। কারণটি পুরো লেখা খুব খেয়াল দিয়ে পাঠ করলেই উপলব্ধি করতে সক্ষম হবেন।


মানুষ থেকে কুকুর হয়ে যাবার বিবর্তনের প্রমাণ

মানুষ মুক্তচিন্তায় সম্পূর্ণ স্বাধীন। যখন কোনো নাস্তিক বলে “এটা করা যাবে না” বা “সেটা করা যাবে না” অথবা “সে এটা ঠিক করেনি” তখন সেই নাস্তিক্যধর্মের অনুসারী আসলে মুক্তচিন্তায় বিশ্বাসী নয় বলে ধরে নিতে হবে। কারণ চিন্তার মুক্তির যৌক্তিক অর্থই এটা যে সেখানে বাধা নিষেধ থাকবে না। যেমন নাস্তিকরা ইসলামের সকল বাধা-নিষেধকে মুক্তচিন্তায় অবিশ্বাস করে। একইভাবে কেউ যদি মানুষ থেকে কুকুর হয়ে যেতে চায়, বা হয় তাহলে এই কাজটিও নাস্তিক্যধর্মের মুক্তমনারা একতরফা খারাপ বলে চালিয়ে দিতে পারে না। মুক্তমনা নাস্তিকদেরকে অবশ্যই স্বীকার করে নিতে হবে মুক্তচিন্তায় যা ইচ্ছে তাই করা যাবে এখানে বাধা-নিষেধের কথা আসার প্রশ্নই আসে না।


“HindustanTimes বাংলা” পত্রিকায় 18 Sep 2022 তারিখে “মানুষ হয়ে থাকতে আর ভালো লাগছিল না! তাই কুকুর হয়ে গেলেন এই ব্যক্তি, খরচ কত হল” শিরোনামে একটি সংবাদে বর্ণিত হয়েছে (১),(২),(৩)।


মানুষ হয়ে আর থাকতে ভালো লাগছিল না। তাই মানুষ থেকে কুকুর হয়ে গেলেন এক ব্যক্তিখবরটি জাপানের এক ব্যক্তির। তিনি মানুষ থেকে কুকুর হয়ে গিয়েছেন বলেই জানা গিয়েছে। জাপানের ওই ব্যক্তি জানিয়েছেন, ছোট থেকেই তিনি চাইতেন কোনও একটি পশুর জীবন কাটাতে। কিন্তু সেটি পেরে ওঠেননি। কিন্তু শেষ পর্যন্ত সেই স্বপ্নই সফল হল। তিনি বেছে নিতে পারলেন একটি সারমেয়র জীবন। কোলি প্রজাতির একটি কুকুরের মতো চেহারা বানিয়েছেন তিনি। এবার থেকে এভাবেই জীবন কাটাবেন বলে জানা গিয়েছে। টোকো নামের ওই জাপানি ব্যক্তি জানিয়েছেন, এটির জন্য কোনও চিকিৎসা বা অস্ত্রোপচারের দ্বারস্থ হননি তিনি। বর দ্বারস্থ হয়েছিলেন পোশাক নির্মাতা সংস্থার। তাদের কাছে টোকো দাবি করেন, সম্পূর্ণ কোলি প্রজাতির কুকুরের মতো দেখতে একটি পোশাক বানিয়ে দিতে হবে। তার মধ্যেই ঢুকে পড়বেন তিনি। একটি বিশেষ প্রজাতির কোলি কুকুরের গায়ে বড় বড় লোম হয়। ফলে ছদ্মবেশের জন্য সেটি সুবিধাজনক। ও ভিতরে যে একজন মানুষ আছে, তা সহজে টের পাওয়া যায় না। টোকো জানিয়েছেন, এটি তিনি তাঁর আশপাশের মানুষকে মোটেই জানাননি। সেক্ষেত্রে সামাজিকভাবে তাঁর সমস্যা হতে পারে— এই আশঙ্কা রয়েছে তাঁর। তাই নিজের মুখও কোথাও প্রকাশ করেননি এই ব্যক্তি। বলেছেন, তিনি আলাদা করে কুকুরবেশের জন্য একটি ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্ট তৈরি করেছেন। কিন্তু সেখানেও তাঁর ‘মানব মুখ’ দেখে যাবে না। জানা গিয়েছে, পোশাক নির্মাণকারী সংস্থাটি এ জন্য টোকোর থেকে ভারতীয় হিসাবে প্রায় ১২ লক্ষ টাকা নিয়েছে। এটি তৈরি করতে ব্যবহার করা হয়েছে কোলি প্রজাতির কুকুরের লোম। বেশ কয়েক জন শিল্পী মিলে টানা ৪০ দিন কাজ করে তৈরি করতে পেরেছেন এই পোশাক। 


টোকি নামের ছেলেটি আল্লাহকে অবিশ্বাস করে। ইসলামকে অবিশ্বাস করে। হযরত মোহাম্মদ (সা) যে একজন সত্য নবী ও রাসুল এই কথায় অবিশ্বাস করে। “মানুষ হতে তার ভালো লাগে না তাই সে কুকুর হয়ে গিয়েছে” এই চিন্তা করতে কি তাকে কেউ জবরদস্তি করেছে? অবশ্যই না। নিঃসন্দেহে এটাকে মুক্তচিন্তা বলা যাবে। এভাবে ভেঙ্গে ভেঙ্গে বলার কারণ হচ্ছে নাস্তিক্যধর্মের অনুসারীরা সত্যিকথাকে একদমই সহ্য করতে পারে না তাই স্পষ্ট করেই সত্যটা দেখিয়ে দিলাম। টোকোর কুকুরের পোশাকটি তৈরি করতে লেগেছে ভারতীয় ১২ লক্ষ টাকা। এই ১২ লক্ষ টাকা দিয়ে কুকুর না হয়ে গরীবদেরকে দান করে দেয়াটাই মানবিক ছিল না? এমন প্রশ্ন আপনি চিন্তার মুক্তির আন্দোলনের কর্মীদেরকে করতে তেমন একটা দেখবেন না। মুক্তমনাদের চেতনা দণ্ড তখনই দাড়িয়ে যায় যখন আমরা মুসলিমরা কুরবানির ঈদে গরু জবাই দিয়ে গরীবদেরকে সুস্বাদু খাবারের আয়োজন করে দেই। এখানে আবার ঠিকই প্রশ্ন করে গরু জবাই না দিয়ে সেই টাকা গরীবদেরকে কেন দেয়া না মুমিনরা? ভণ্ডামি আর প্রতারণা কাহাকে বলে সেটা মুক্তমনাদের আচরণ দেখতেই পরিস্কার হয়ে উঠে।  


বাপ-মেয়ে সহবাসের মুক্তচিন্তা

Medium.com এ “Jun 25, 2021” তারিখে “When a Father-Daughter Marriage Goes Horribly Wrong” শিরোনামে আর্টিকেল প্রকাশ করা হয়(৪),(৫), বাবা কিভাবে নিজের আপন মেয়ের সাথে যৌনচর্চা করেছে। শুধু কি তাই? বাবা নিজ মেয়েকে মুক্তমনে ধর্ষণ করেছে এমন ঘটনাও রয়েছে (৬)। ইসলামের দৃষ্টিতে এমন কর্ম ভয়ংকর অপরাধ কিন্তু নাস্তিক্যধর্মের দৃষ্টিতে এমন কর্ম অপরাধ নয়। কারণ একজন পিতা মুক্তমনে নিজ মেয়ের সাথে যা ইচ্ছে তাই করতে পারেন। যুক্তি হল বাবার বীর্য থেকেই সেই মেয়ের জন্ম। বাবা চাইলে মেয়ের সম্মতি নিতে পারেন আবার নাও পারেন তাতে বাবার কিছুই আসে যায় না। হ্যাঁ, নাস্তিক্যধর্মের মুক্তবুদ্ধির আলাপ এমনই। আমাদের মুসলিমদের কাছে উক্ত কাজ গুলো নিকৃষ্ট হলেও নাস্তিক মুক্তমনাদের কাছে এমন নিকৃষ্ট ঘৃণিত কাজ যার যার ব্যক্তিগত স্বাধীনতা বলে ধর্তব্য হয়ে থাকে।


নাস্তিকদের বিশ্বাস, নাস্তিকদের আদর্শ, নাস্তিকদের ভিত্তি, নাস্তিকদের যুক্তি, নাস্তিকদের মুক্তচিন্তা ইত্যাদি সামনে রাখলে “Father gets 7 years in prison for raping his daughter aged 12” এমন (৭) কাজকে খারাপ বলার কোনো মানে নেই। অর্থহীন।  নাস্তিক্যধর্মে নানি-নাতি, পিতা-পুত্র,মা-ছেলে,ভাই-ভাই,বোন-বোন,দাদা-নাতি,নানা-নাতি, মামা-ভাইগনা, চাচা-ভাতিজা ইত্যাদি সম্পর্কের ব্যাপারে মুক্তচিন্তার বই সমূহ থেকেই অনেক দলিল প্রমাণ দেখিয়ে লিখালিখি করেছি। আমার সেই লেখা গুলো অবশ্যই পাঠ করবেন।


অশ্লীলতায় চিন্তার মুক্তির আন্দোলন

“Dailykolomkotha.com” পত্রিকায় “শিক্ষিকার প্রেমে মশগুল ছাত্র, এরপর? দেখুন ‘টিউশন টিচার’ এই শিরোনামে সংবাদে বলা হয় (৮),


বর্তমান সময়ে সিনেমা সিরিয়ালের পাশাপাশি গ্ল্যামার ইন্ডাস্ট্রিতে এক নতুন সংযোজন হয়েছে ওয়েব সিরিজের। আসলে প্রযুক্তির সাথে খাপ খাইয়ে চলতে গিয়ে এখন প্রত্যেকেই ইন্টারনেটের মাধ্যমে বিভিন্ন ওয়েব সিরিজ দেখতে পছন্দ করেন। বাংলা, হিন্দি এবং অন্যান্য আঞ্চলিক ভাষার বেশ কিছু ওয়েব সিরিজ টেক্কা দেয় বড় বাজেটের সিনেমাকেও। আসলে করোনা পরবর্তী সময় থেকে ডিজিটাল মিডিয়া কদর বুঝে গিয়েছে সাধারণ মানুষ। আর সেই সাথে পাল্লা দিয়ে চলার জন্য জন্ম নিয়েছে একাধিক প্রতিটি প্ল্যাটফর্মের। তবে এই ডিজিটাল মার্কেটে সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয় বেশ কিছু অ্যাডাল্ট ওয়েব সিরিজ। উল্লু, প্রাইম শট, কোকু ইত্যাদি জায়গায় প্রায় প্রতিদিন কোনো না কোনো ওয়েব সিরিজ রিলিজ করে। যৌনতায় ভরা ওয়েব সিরিজগুলোর জনপ্রিয়তা কিন্তু কম নয়। প্রত্যেকটি ওয়েব সিরিজ প্রায় লাখ লাখ মানুষ দেখে থাকেন। সম্প্রতি উল্লুতে রিলিজ করেছে একটি রোমান্টিক ড্রামা ওয়েব সিরিজ যা পছন্দ হয়েছে সকলের। OTT প্লাটফর্মে রিলিজ হওয়া একটি অ্যাডাল্ট ওয়েব সিরিজ যা নেট নাগরিকদের রাতের ঘুম কেড়ে নিয়েছে, তা হল উল্লুর ‘টিউশন টিচার’। বোল্ড সিনের নিরিখে এই ওয়েব সিরিজ টেক্কা দেবে। ‘টিউশন টিচার’ ওয়েব সিরিজের গল্প আবর্তিত হয়েছে একজন শিক্ষিকা ও তার ছাত্রকে ঘিরে। শিক্ষিকা তার বাড়িতে এক ছেলেকে পড়াতে যায়। একদিন ছাত্রটি তার শিক্ষিকার সাথে ফ্লার্ট করা শুরু করে এবং বলল ম্যাম আপনাকে আজ খুব সুন্দর দেখাচ্ছে। এরপর তাদের মধ্যে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন হয়।


এভাবেই অশ্লীল জিনিসকে মুক্তমনে প্রচার করা হচ্ছে। টাকা কামাই করা হচ্ছে। এতে যে পরিবার নষ্ট হচ্ছে, সমাজ নষ্ট হচ্ছে এসব নিয়ে কথিত প্রগতিশীলদের কোনো আগ্রহ নেই। আগ্রহ হচ্ছে ইসলাম কোপানোতে। Campuslive24.com সূত্রে ১১ এপ্রিল ২০২৩ তারিখে “শিক্ষকের সঙ্গেই পরকীয়ায় জড়ালেন জাবি ছাত্রী!” শিরোনামে সংবাদে বর্ণিত হয়েছে (৯),


নিজ বিভাগের এক ছাত্রীর সঙ্গে পরকীয়ায় জড়ানোর অভিযোগ উঠেছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) দর্শন বিভাগের প্রফেসর ড. মোস্তফা নাজমুল মানছুরের (তমাল) বিরুদ্ধে। এ ঘটনার বিচার চেয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি প্রফেসর নূরুল আলমের কাছে লিখিত আবেদন করেছেন ওই বিভাগের ৩৯ ব্যাচের এক সাবেক ছাত্র। তিনি ওই ছাত্রীর স্বামী। অভিযোগকারীর দাবি, তার স্ত্রীর সঙ্গে প্রফেসর তমাল পরকীয়া করেছেন। যে কারণে তার সংসার ভাঙছে। জানা গেছে, রোববার (৯ এপ্রিল) চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-৪ এ অভিযোগটি দায়ের করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ওই ছাত্র। তার আইনজীবী অ্যাডভোকেট ওসমান গনি এ তথ্য জানিয়েছেন। বাদি তার অভিযোগে উল্লেখ করেছেন, ২০১৮ সালে তিনি তার বিভাগের অপর এক ছাত্রীকে বিয়ে করেন। তারও আগে জাবি প্রফেসর তমালের সঙ্গে তার স্ত্রীর পরিচয় ছিল। প্রফেসর তমাল বিভিন্ন প্রোজেক্টে তার স্ত্রীকে ভলান্টিয়ার হিসেবে নিয়োগ দিতেন। এ সুযোগে তার কাছাকাছি হওয়ার চেষ্টা করতেন। পরবর্তীতে বিদেশে উচ্চশিক্ষার বিষয়ে তাদের দুজনের যোগাযোগ আরও বাড়ে।


পরে ২০১৯ সালে দর্শন বিভাগের সভাপতি থাকা অবস্থায় প্রফেসর তমালের সঙ্গে তার স্ত্রীকে দেখা যায়। সে সময় তারা শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত হন। বিষয়টি নিয়ে বাদি তার স্ত্রীকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। পরবর্তীতে প্রফেসর তমালকে এ বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে তিনি বাদীকে প্রাণনাশের হুমকি দেন। এরমধ্যেই বিদেশে উচ্চশিক্ষার প্রলোভন দেখিয়ে তার স্ত্রীতে তমাল তালাকের পরামর্শ দেন। ক্যাম্পাসে বিভিন্ন উৎসবে তাদের একসঙ্গেও দেখা যায়। প্রফেসর তমাল বিভিন্ন সময়ে বাসায় ডেকে নিয়ে প্রলোভনের মাধ্যমে তার স্ত্রীর সঙ্গে শারীরিক সম্পর্কে জড়িয়েছেন বলে অভিযোগে উল্লেখ করেছেন বাদী। অভিযোগের ব্যাপারে কথা হলে জাবির ওই সাবেক ছাত্র বলেন, ২০১৯ থেকেই প্রফেসর তমাল আমার স্ত্রীর সাথে বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কে লিপ্ত ছিলেন। আমি একাধিকবার তাকে সতর্ক করেছি; পারিবারিকভাবে বিষয়টি মীমাংসার চেষ্টা করেছি। কিন্তু কোনো লাভ হয়নি। তাই আমি লিগ্যাল স্টেপ নিতে বাধ্য হয়েছি। তমাল আমার স্ত্রীর সাথে বৈবাহিক সম্পর্ক এখনও ছিন্ন করেননি। তাই আমরা একসাথে বসবাস করছি না। আমাদের পরিবারে কোনো সন্তানও নেই।


এদিকে বাদির স্ত্রীর দাবি, প্রফেসর তমালের সঙ্গে তার কোনো অবৈধ সম্পর্ক নেই। তিনি বলেন, স্যারের সাথে আমার সম্পর্ক একজন শিক্ষক-ছাত্রীর সম্পর্কের বাইরে কিছু ছিল না। স্যারের একটি মাত্র ছেলে; সেও মানসিকভাবে অসুস্থ। স্যারের বাসায়ও সবার সাথে আমার ভালো সম্পর্ক ছিল। আমি স্যারের দ্বিতীয় সন্তানের মতোই পরিবারের একজন ছিলাম। আমার স্বামীর সাথে বর্তমানে আমার কোনো প্রকার সম্পর্ক নেই। তবুও সে আমার সাথে যাকেই দেখে তার বিরুদ্ধেই নালিশ জানায়। আমার বর্তমান কর্মস্থলের কলিগের বিরুদ্ধেও সে একই নালিশ জানিয়েছে। তার সাথে আমার বিচ্ছেদের মামলাটি আদালতে প্রক্রিয়াধীন। নিজের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ নাকচ করে দিয়ে প্রফেসর ড. মোস্তফা নাজমুল মানছুর তমাল বলেন, ২০১৯ সালের ঘটনা এখন নতুন করে তুলে আনার একটা মাত্র উদ্দেশ্য হলো আমাকে হেয়-প্রতিপন্ন করা। আমার ছাত্রীর সাথে আমার ভিন্ন কোনো সম্পর্ক ছিল না। অভিযোগের ব্যাপারে আমি এখনও জানি না। এ ব্যাপারে আমার কাছে এখনো কোনো নোটিশ বা কিছু আসেনি।


বাদীপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট ওসমান গনি বলেন, চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-৪ এ অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। বিজ্ঞ আদালত অভিযোগটি আমলে নিয়েছেন। আসামি পেনাল কোডের ৪৯৭ ধারায় অ্যাডাল্টারির অপরাধ করেছেন। অভিযোগটি এখন তদন্তাধীন। আসামির কাছে তদন্তকারী কর্মকর্তা যাবেন। তদন্ত প্রতিবেদন এলে আদালত শুনানির দিন ধার্য করবেন। তবে এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি দর্শন বিভাগের বর্তমান সভাপতি প্রফেসর ড. এস এম আনোয়ারুল্লাহ ভূঁইয়া। তিনি বলেন, এ ব্যাপারে আমি কিছু বলতে চাই না। ব্যাপারটি যখন আদালত পর্যন্ত পৌঁছেছে, আইনি প্রক্রিয়াই সবকিছু নির্ধারণ করবে।


স্কুল কলেজে শিক্ষক দ্বারা ছাত্রী ধর্ষণ, ছাত্র খুন, ছাত্রী খুন এমন খবর অনেক। কিন্তু একচোখা বলদ নাস্তিকরা সব দোষ মাদ্রাসার দিকে চাপিয়ে মাদ্রাসাকে বন্ধ করে দিতে চায়। স্কুল-কলেজ, ইউনিভার্সিটি অথবা মাদ্রাসা যেখানেই অপরাধ হবে সেখানেই বিচার করতে হবে, শাস্তি প্রয়োগ করতে হবে। এটাই তো একজন আদর্শ ভালো মানুষের দাবি হওয়া উচিত। কিন্তু নাস্তিক্যধর্মের অনুসারীরা খালি মাদ্রাসাই কেন জানি বন্ধ করতে চায়। মাদ্রাসার মধ্যে কিছু ভণ্ড হুজুরদের মুক্তচিন্তার দ্বারা ছোট-ছোট শিশুরা ধর্ষণ বা বলৎকার হলে নাস্তিক্যধর্মের অনুসারীরা এমন নোংরা কাজকে ইসলামের সাথে মিশিয়ে বেশি প্রচার করে যাতে মানুষ ইসলাম সম্পর্কে খারাপ ধারণা লালন করে। কিন্তু আমরা জানি ইসলামের দৃষ্টিতে সেই সব ভণ্ড হুজুরদের কাজটি সম্পূর্ণ হারাম ও অপরাধ যোগ্য হলেও নাস্তিক্যধর্মের দৃষ্টিতে সেইসব হুজুররা মুক্তচিন্তার ভাইরাসে আক্রান্ত ছিল অথবা বলা যায় সেই সব হুজুররা ইসলামের বিধান অমান্য করে মাদ্রাসায় মুক্তচিন্তার চর্চা করেছে মাত্র। নাস্তিকরা মুক্তচিন্তার ব্যাপারটিকে এখানে ধামাচাপা দিয়ে উল্টো ইসলামকেই দোষারোপ করতে চায়।


মুক্তচিন্তায় মেয়ের গর্ভে বাবার সন্তান

Zeenews.india.com সূত্রে Apr 26, 2017 তারিখ “মেয়ের গর্ভে বাবার সন্তান', ৫ বছর ধরে ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেফতার পিতা” শিরোনামের সংবাদে বলা হয়েছে(১০)।


৫ বছর ধরে নিজের মেয়েকেই ধর্ষণ, অভিযুক্তকে গ্রেফতার করল পুলিস। এই ঘটনা ঘটেছে দেশের প্রধানমন্ত্রী মোদীর রাজ্যেই। ১৯ বছরের মেয়ে গর্ভবতী। আর তার গর্ভে কিনা বেড়ে উঠছে পিতারই সন্তান। ঘটনা জানাজানি হওয়ার পরই নির্যাতিতা মেয়ে নিজেই জানান, 'বাবাই ধর্ষক'। তার ওপর ৫ বছর ধরে চলা অকথ্য অত্যাচারের কথা নিজে মুখেই স্বীকার করেছেন ওই যুবতী। নির্যাতিতা জানান, ৫ বছর ধরে নিজের বাবার 'কাম পিপাসা'র শিকার হতে হয়েছে তাঁকে। এমনকি তাঁকে খুনের হুমকিও দেন তাঁর ৬৩ বছর বয়সী বাবা। তিনি বলেন, যদি কেউ তাঁর গর্ভবতী হওয়ার ঘটনা জানতে পারে তাহলে তাকে প্রাণে মেরে ফেলবেন, এমন হুমকিও দেওয়া হয়েছে তাঁকে। সমস্ত ঘটনা জানার পর নির্যাতিতার অভিযোগের ভিত্তিতে গুজরাটের ভাদোদরা থেকে গ্রেফতার করা হয় অভিযুক্ত 'বাবা'কে। তার বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৭২ (২) (এফ) এবং ৫০৬ (১) ধারায় মামলা দায়ের করেছে গুজরাট পুলিস। 


২০ বছর নিজের মেয়েকেই লাগাতার ধর্ষণ, পিতার ৭ সন্তান মেয়ের পেটে!- এমন (১১) খবরের অভাব নেই। আসলে মুক্তচিন্তা মানুষকে যে অমানুষে বিবর্তন করে ফেলে এটা নিয়ে বিন্দুমাত্র সংশয় নেই। এখানে তো সম্মতি নেয়া হয়নি দেখে ধর্ষণ বলা হচ্ছে কিন্তু অন্যদিকে মা-ছেলেকে নিয়ে অশ্লীলতার ব্যাবহার করে টিভি সিরিয়াল বানিয়ে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে (১২) সেই দিকে কেন জানি প্রগতিশীলদের নজর নেই বললেই চলে। নাস্তিক্যধর্মে অশ্লীলতা বলে আসলে কিছুই নেই। সব করা যায় এই মুক্তমনাদের ধর্মে।


উপসংহারঃ

চিন্তার মুক্তির আন্দোলন নামে যারা ইসলামকে দুনিয়া থেকে গায়েব করে দিতে চাচ্ছে তারা স্পষ্ট শয়তান। তাদের থেকে কখনো সততা ও যৌক্তিক চিন্তার আশা করা যায় না। নাস্তিকদের কুকর্ম নিয়ে লিখতে থাকলে হাজার পৃষ্ঠার বই রচনা হয়ে যাবে। এরপরেও আমি মানবতার খাতিরে নাস্তিকদের মস্তিস্কের সুস্থতার কামনা করছি। আপনার সন্তানকে আপনি চিন্তার মুক্তির আন্দোলনের কর্মী বানাবেন নাকি একজন আদর্শ মানবিক মানুষ সেটা আপনার বিবেচনায় রেখে দিয়ে যাচ্ছি।


রেফারেন্স সমূহঃ


[১] Viral News: মানুষ হয়ে থাকতে আর ভালো লাগছিল না! তাই কুকুর হয়ে গেলেন এই ব্যক্তি, খরচ কত হলhttps://bangla.hindustantimes.com/lifestyle/bizarre-it-was-not-good-to-be-a-human-so-this-person-became-a-dog-what-was-the-cost-31663482475218.html


[২] I tried to become a collie【Realistic dog suit】

https://www.youtube.com/watch?v=paQzRRFZDPI


[৩] লাখ লাখ টাকা খরচ করে মানুষ থেকে কুকুর হয়েছিলেন, এ বার কুকুরের মতো খাবারও খেতে শিখছেন https://www.anandabazar.com/lifestyle/japanese-man-who-transformed-himself-to-a-dog-is-afraid-to-talk-about-it-dgtl/cid/1395369


[৪] When a Father-Daughter Marriage Goes Horribly Wrong

https://medium.com/lessons-from-history/when-a-father-daughter-marriage-goes-horribly-wrong-f4b73c3ad177


[৫] EXCLUSIVE: Wife – and mother – of incest couple on how disturbing journal entries from her younger daughter revealed her husband 'had half-demon baby and had married' their long-lost biological daughter https://www.dailymail.co.uk/news/article-5369461/Wife-mother-incest-couple-says-betrayal.html


[৬] Father rapes 10-year-old daughter, arrested

https://www.indiatoday.in/crime/story/father-rapes-10-year-old-daughter-arrested-1920943-2022-03-05


[৭] Father gets 7 years in prison for raping his daughter aged 12

https://www.asahi.com/ajw/articles/14049721


[৮] শিক্ষিকার প্রেমে মশগুল ছাত্র, এরপর? দেখুন ‘টিউশন টিচার’ https://dailykolomkotha.com/


[৯] শিক্ষকের সঙ্গেই পরকীয়ায় জড়ালেন জাবি ছাত্রী!

https://www.campuslive24.com/dhaka-campus/details/62197


[১০] 'মেয়ের গর্ভে বাবার সন্তান', ৫ বছর ধরে ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেফতার পিতা

https://zeenews.india.com/bengali/nation/gujrat-daughter-raped-by-his-father_165944.html


[১১] ২০ বছর নিজের মেয়েকেই লাগাতার ধর্ষণ, পিতার ৭ সন্তান মেয়ের পেটে! 

https://archive1.ournewsbd.net/


[১২] Tv Serial: ‘ফুলশয্যার খাটে মা-ছেলে, বন্ধ হোক নোংরামি!’, তুমুল কটাক্ষের মুখে মানালির ‘কার কাছে কই মনের কথা’...

https://zeenews.india.com/bengali/entertainment/tv-serial-manali-dey-starrer-kar-kachhe-koi-moner-katha-brutally-trolled-netizen-call-it-nasty_481569.html


==================================

প্রাসঙ্গিক লেখা গুলোঃ


নাস্তিকদের বইপত্রে মুক্তচিন্তার গালিগালাজ


নাস্তিক্যধর্মে আত্মহত্যার বৈধতা


নাস্তিকদের বিভিন্ন প্রকার মুক্তচিন্তা


নাস্তিক্যধর্মে ধর্ষণ বৈধ?


মুক্তবুদ্ধির যুক্তিতে বর্ণবাদ


মুক্তমনাদের ধর্ষণের মুক্তচিন্তা


সংশয়বাদে যৌক্তিক সংশয়


===========================

এমডি আলী

যিনি একজন লেখক, বিতার্কিক ও গবেষক। বিভিন্ন ধর্ম ও মতবাদ বিষয় পড়াশোনা করেন। ইসলামের সত্যতা মানুষের কাছে ছড়িয়ে দিতে চান। “সত্যের অনুভূতি” উনার লেখা প্রথম বই। “ফ্যান্টাস্টিক হামজা” দ্বিতীয় বই। জবাব দেবার পাশাপাশি নাস্তিক মুক্তমনাদের যৌক্তিক সমালোচনা করে থাকেন।

Previous Post Next Post