নষ্টাকিজমের অন্তরালে ঝাকানাকা


বিষয়ঃ নষ্টাকিজমের অন্তরালে ঝাকানাকা
লিখেছেনঃ এম ডি আলী
আমাদের সমাজকে নষ্ট করার জন্য এক প্রকার মতবাদের প্রাণীরা কাজ চালিয়ে যাচ্ছে । তাদের দেখতে হুবহু মানুষের মত হলেও একটি জিনিস তাদের মিসিং রয়েছে "সুস্থ বিবেক" । এই জিনিসটি তাদের মধ্যে না থাকার জন্যই তারা আজকে ধর্ম মানি নার স্লোগান দিয়ে নিজেরাই আরেকটি ধর্ম তৈরি করে ফেলেছে । সেই ধর্মে আপনাকে প্রবেশ করতে হলে কিছু অন্ধ বিশ্বাস অবশ্যই করতে হবে ।
যেমন আপনি স্রস্টাকে স্বীকার করতে পারবেন না , আপনার বাপ দাদারা আগে বাদর ছিল এরপরে আপনি তাদের থেকে এসেছেন , আপনাকে বিশ্বাস করতে হবে এসব । আপনি যদি তাদেরকে প্রশ্ন করেন এসব বিশ্বাস করলে আমার কি লাভ ? তখন ভাল মানের উত্তর তারা আপনাকে দিতে পারবে না , আপনাকে আরও বিশ্বাস করতে হবে মুসলিমরা ভাল না , তারা সবাই খারাপ হয় আর শুধু তারাই দুনিয়ার সব থেকে ভাল মানুষ যদিও নাস্তিক ধর্ম গ্রহন না করার জন্য তারা প্রচুর মানুষদের দুনিয়া থেকে গায়েবই করে দিয়েছেন , হ্যাঁ এরাই আবার মানবতাবাদী হিসেবে নিজেদের প্রকাশ করে নাইলে ভিক্ষার ভাত পাবে না তো !
আপনাকে এসব মানতেই হবে যদি আপনি অস্বীকার করেন তাহলে তারা আপনাকে বলবে আপনি নামাজ পড়েন তাই বিজ্ঞান বুঝেন না , আপনি মুসলিম তাই আপনি ভাল না , আপনি যতই সমাজের কল্যানের জন্য কাজ করুন না কেন তারা আপনাকে খারাপ মানুষ হিসেবেই গণ্য করবে । হ্যাঁ আমি নাস্তিক ধর্মের কথাই এতক্ষণ আপনাকে বললাম । একে নষ্টাকিজম বললে পাপ হবে না কারন এই ধর্ম সমাজের কোন কাজে আসছে বলে আমার জানা নাই বরং ইসলাম ধর্ম নিয়েই এদের গালাগালি , বেঙ্গ বিদ্রপ , মিথ্যাচার , নাস্তিকদেরই নকল মুসলিম সাজিয়ে মুসলিমদের ধোঁকা দেয়াই এদের অন্ধ অনুসারীদের আমল । কোন কোন বুদ্ধিজীবীরা এসব অন্ধ বিশ্বাসী কুমিনদের খগেন বলেও সম্বোধন করে থাকে ।
দেখা যাক এদের সংজ্ঞা কেমনঃ
* "Encyclopedia Americana" এর ২৪ নং volume এ সেকুলারিজম এর সংজ্ঞায় বলা হয়েছে = সেকুলারিজম একটি নৈতিক ব্যবস্থা যা কেবল প্রাকৃতিক নৈতিকতার মূলনীতির উপর প্রতিষ্ঠিত এবং ঐশী সূত্রে প্রাপ্ত ধর্ম বা রহস্যবাদ মুক্ত ।
* Holyoake যিনি সেকুলারিজম নামকরনের প্রথম উদ্যোক্তা এবং যিনি secular society গঠন করে এর পক্ষে প্রথম আন্দোলন শুরু করেন । তার লিখিত "A Confession of Belief" বইতে যে সংজ্ঞা দেয়া হয়েছে তা হলঃ সেকুলারিজম হল এক ধরনের মতামত যা ইহজগতে এই জীবনের অভিজ্ঞতার পরীক্ষা সম্ভব বিষয়গুলোকে স্পর্শ করে ।
* "Encyclopedia of Religion and Ethics" এ বলা হয়েছে , সেকুলারিজম মানব কল্যাণ নির্ধারিত হবে যুক্তির মাধ্যমে । ওহী বা ধর্মীয় নির্দেশনার মাধ্যমে নয় আর যুক্তি পরীক্ষিত হবে অভিজ্ঞতার মাধ্যমে ।
* ইংল্যান্ডের National Secular society এর সভাপতি Mr, Charles Bradlaugh তার "Autobiography" বইতে লিখেন = সেকুলারিজম ও আস্তিকতা বাদ পাশাপাশি চলতে পারে না । তাই আস্তিকতাবাদী বিশ্বাসের সাথে লড়াই করা সেকুলারিজমের জন্য অপরিহার্য । অদৃশ্য বিশ্বাস ও মানবপ্রগতি পাশাপাশি চলতে পারে না ।
উপরের বর্ণনা সংক্ষেপে করলে আমরা পাই - এটি এমন একটি মতবাদ যেখানে প্রকৃতির থেকে নৈতিকতা আসবে, রহস্যবাদ বা ধর্মের আইন কানুন সেখানে থাকবে না , এটি একটি মতামত যা যুক্তির উপর ভেজ করে চলে এবং বাস্তব জীবনের বিষয়কে স্পর্শ করে , আস্তিকতার সাথে এরা পাশাপাশি চলতে পারে না বরং সুযোগ পেলে লড়াই করে যেতে হবে (এই কারনেই আমরা নাস্তিক ধর্মকে উগ্র বলে থাকি) এবং এই মতবাদে কোন অদৃশ্যে বিশ্বাস করা যাবে না ।
কিছু প্রশ্ন যা নাস্তিক ধর্ম দিয়ে সমাধান করুনঃ
* প্রকৃতির অস্তিত্ব প্রমান কি ?
* নৈতিকতার মানদণ্ড কি হবে ?
* কেন সবাই আপনার বলা নৈতিকতা মানতে বাধ্য ?
* প্রকৃতি কি রহস্য না , যদি না হয় তাহলে কিভাবে ?
* আস্তিকতার সাথে পাশাপাশি যদি নাই চলা যায় তাহলে এটি মানবিক কিভাবে হল ?
* সমস্ত আস্তিকতার সাথে লড়াই করতে হবে এখানে কোন শর্ত দেয়া হয়নি তাহলে নাস্তিক ধর্ম একটি সন্ত্রাসী মতবাদ হবে না কেন ?
* যুক্তি দিয়ে কিভাবে নীতিমালা ঠিক করা যায় ? একজন সন্তান বড় হয়ে কেন তার বাবা মাকে দেখা শোনা করবে , যুক্তি দেন তো পারলে ? একজন মানুষ কেন গরিবদের কোটি কোটি টাকা দান করবে , এতে তো তারই লস ! যুক্তি দেন তো পারলে ? ছোটরা বড়দের সম্মান কেন করবে যুক্তি দেন তো পারলে ? একজন মা কেন তার সন্তান লালন পালন করতে বাধ্য , যুক্তি দেন তো পারলে ?
* অদৃশ্য যদি বিশ্বাস না করাই নাস্তিকতা , সেকুলারিজম হয় তাহলে অতিতকালে কেন বিশ্বাস করেন , ভবিষ্যৎ কালকে কেন বিশ্বাস করেন , আপনার চিন্তাশক্তিকে বিশ্বাস করেন , আপনার চেতনাকে কেন বিশ্বাস করেন , আপনার দেহে শক্তি আছে কেন বিশ্বাস করেন , আপনার ক্ষুধা কেন বিশ্বাস করেন, বাতাস কেন বিশ্বাস করেন, আপনার মধ্যে যৌন আকর্ষণ আছে কেন বিশ্বাস করেন, শীতকাল কেন বিশ্বাস করেন, আপনি মন নামক একটি বিষয় কেন বিশ্বাস করেন ইত্যাদি ইত্যাদি এরকম হাজার হাজার বিষয় আছে যা অদৃশ্য, সেগুলা কেন বিশ্বাস করেন ?
কেউ মুক্তমনার নাম করে ইসলামই যখন মানে না তখন নাস্তিক ধর্ম কেন মানবে বলুন তো ? এই প্রশ্ন কি কখনো এসেছে আপনার মনে ? তারা বলে ইসলামের মধ্যে কোন শান্তি নাই, মানবতা নাই ,আচ্ছা আপনি কি আমাকে এমন একটি মানবতার প্যাকেজ নাম বলুন যা ইসলামে নাই , চেষ্টা করুন তো । আপনি যদি সততার সাথে এই চেষ্টা করেন তাহলে আমি বলতে পারি আপনি কখনোই এমন একটি ইসলামের আইন আমাকে দেখাতে পারবেন না যা মানবতার বিরুদ্ধে যায় । আপনি পারবেন না ।
সমাজ সুন্দর ভাবে চলতে হলে অবশ্যই আমাদের ইসলামের আইন সঠিক ভাবে প্রয়োগ করতে হবে , করতে হবে অনুসরন । সমাজ দ্বারা গৃহীত এমন সব পন্থা, ব্যাবস্থা বা প্রক্রিয়াকে সামাজিক নিয়ন্ত্রণ বলা হয় যার সাহায্যে মানুষের কাজকর্ম, তার চালচলন, আচার আচরন ইত্যাদি সমাজ দ্বারা কিছু নিয়ম ধারায় পরিচালিত করা হয় । উদাহরণস্বরূপ দুষ্টের দমন, শিষ্টাচার পালন ।
অর্থাৎ সমাজের খারাপ মানুষকে শাসন করা এবং উত্তম ও ভাল চরিত্রের অধিকারীদের পুরস্কার করা ইত্যাদি সামাজিক নিয়ন্ত্রণের উদাহরণ । আপনি হয়ত নষ্টাকিজমের অনুসারী তাই এসব কথা আপনি স্বীকার করতে চাইবেন না তাহলে আপনাকে এখন আমি বিজ্ঞানী হুজুরদের ফতোয়া থেকে ঘুরিয়ে নিয়ে আসি চলুন মানা না মানা আপনার ব্যাপার ।
সমাজ বিজ্ঞানী David Popenoe তার "Sociology" গ্রন্থে বলেন যে কোন প্রক্রিয়ার নামই সামাজিক নিয়ন্ত্রণ যা অধিকাংশ সময়ে সামাজিক নিয়ম কানুন ও রীতিনীতি মেনে চলার ক্ষেত্রে মানুষের আচরণকে নিয়ন্ত্রণ করে ।
সমাজ বিজ্ঞানী Metta Spencer তার "Foundations of Modern SOciology" গ্রন্থে বলেন সামাজিক নিয়ন্ত্রণ হচ্ছে এমন একটি প্রক্রিয়া যার মাধ্যমে সমাজের সদস্যবৃন্দ কাঙ্খিত আচরনের সমর্থন এবং অবাঞ্ছিত আচরণকে নিরুৎসাহিত করে ।
এখন কোন কথিত মুক্তমনা , ব্যাক্তি স্বাধীনতায় বিশ্বাসী কোন শিশু খগেন বলে আমি এসব মানি না মানি না - তাহলে এই ক্ষেত্রে আমি বলব আপনার বিবেক এখনো শিশু অবস্থায় আছে তাকে আগে বয়ঃসন্ধি পর্যন্ত বিবর্তন হতে দেন এরপরে যখন যৌবনে বিবর্তন হবে সেই পর্যন্ত আমরা অপেক্ষায় আছি দাদা আপনি টেনশন কইরেন না এরপরেও যদি আপনি নিজের ভুল বুঝতে পেরে নাস্তিক ধর্ম ত্যাগ করেন !
আপনি যতই বলেন ইসলাম ধর্মের দরকার নাই , প্রয়োজন নাই , জরুরত নাই তারপরেও আপনাকে ইসলামই পালন করতে হচ্ছে যদিও আপনি এসব স্বীকার করবেন না আমি জানি । আমার এই দাবী এখন আমি বাস্তবে প্রমান করে দেই । আচ্ছা ধরুন আপনি চরম ইসলাম বিদ্বেষী একজন নাস্তিক ধর্মের একজন খগেন । আপনি ইসলামের কিছুই পছন্দ করেন না । ইসলামের সব কিছুকেই আপনি ঘৃণা করেন । আপনি যে একজন খাটি বিশুদ্ধ খগেন এর প্রমান করতে হলে আপনাকে ইসলামের বিরুদ্ধে কাজ করতে হবে । আমি আশা করি অনলাইনের সব খগেন আমার সাথে এই দিকে একমত হবেন ।
আপনি যেভাবে ইসলামের বিরুদ্ধে কাজ করবেনঃ
 > ইসলাম বলে > সুরা বাকারা ২:১৯৫ = তোমরা নিজেদের জীবন ধ্বংসের মুখে ঠেলে দিও না আর মানুষের সাথে ভাল ব্যাবহার করো , নিশ্চয় আল্লাহ্‌ভাল ব্যাবহারকারীদের ভালবাসেন ।
🚫 আপনাকে এর বিরুদ্ধে যেতে হবে অর্থাৎ আপনি আপনার নিজের জীবনকে ধ্বংস করে দিবেন ! মানুষের সাথে ভাল ব্যাবহার করতে পারবেন না তাহলে আল্লাহও আপনাকে ভালবাসবেন না আর আপনি হবেন অনলাইনের সব থেকে সহিহ খগেন ।
 > ইসলাম বলে > সুরা নিসা ৪:৫৮ = নিশ্চয় আল্লাহ্‌ তোমাদেরকে নির্দেশ দিচ্ছেন আমানত সমূহ তাদের প্রাপকদের কাছে পৌছে দিতে। তোমরা যখন মানুষের মধ্যে বিচার কাজ পরিচালনা করবে তখন ন্যায়-পরায়নতার সাথে বিচার করবে ।
🚫 আপনাকে এর বিরুদ্ধে কাজ করতে হবে অর্থাৎ আপনি মানুষের আমানত রক্ষা করতে পারবেন না । এবং মানুষদের সাথে ন্যায় বিচার করতে পারবেন না । তাহলে আপনি এভাবে ইসলামের বিরুদ্ধে কাজ করে একজন সহিহ নাস্তিক হয়ে যাবেন ।
 > ইসলাম বলে > সুরা যারিয়াত ৫১:১৯ = ধনীদের ধন সম্পদে রয়েছে অভাব গ্রস্থ ও বঞ্চিতদের অধিকার।
🚫 আপনাকে এর বিরুদ্ধে বেশি বেশি অবস্থান বলতে হবে , আপনি গরিবদের আধিকার নষ্ট করে খাবেন তাহলেই আপনি একজন সহিহ নষ্টাকিজমের অনুসারী হতে পারবেন ।
 > ইসলাম বলে > সুরা আরাফ ৭:৫৬ = দুনিয়াতে শান্তি স্থাপনের পর তোমরা তাতে বিপর্যয় ঘটিও না।
🚫 এখন আপনি ইসলামের বিরুদ্ধে কাজ করতে চান তাহলে আপনি মানবতার কাজ করতেই পারবেন না যদি এটি করেন তাহলে আপনি হবেন একজন অনলাইনের সহিহ কুমিন ।
 > ইসলাম বলে > সুরা হাজ ২২:৩০ = মিথ্যা কথা হতে দূরে থাকো ।
🚫 আপনি এর বিরুদ্ধে সব সময় আমল করবেন , সত্য কথা বললেই আপনি আর নাস্তিক থাকছেন না কারন আপনি ইসলামের এই আইন মেনে নিলেন আর আপনার লক্ষ্য হল ইসলাম দমন করা , ইসলামের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়া সুতরাং তাই আপনাকে সব সময় মিথ্যা কথাই বলতে হবে তাহলে আপনি একজন সহিহ ইসলাম বিদ্বেষী হতে পারবেন ।
 > ইসলাম বলে > সুরা নাহল ১৬:৪৩ এবং সুরা আম্বিয়া ২১:৭ = তোমরা যদি না জানো তাহলে জ্ঞানীদেরকে জিজ্ঞাসা করো ।
🚫 সুতরাং আপনি কখনোই জ্ঞানীদের প্রশ্ন করতে পারবেন না যদি আপনি ইসলাম বিরুদ্ধে কাজ করতে চান । হ্যাঁ , আপনি সবসময় অশিক্ষিত বর্বর খগেনদের কাছে প্রশ্ন করতে পারবেন তাহলেই ইসলাম বিরুদ্ধেই গেল কাজটি ।
 > ইসলাম বলে > জামে আত তিরমিজি, হাদিসঃ ১৮৯৯, সহিহ হাদিসঃ রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ বাবার সন্তুষ্টির মধ্যেই আল্লাহ্ তা‘আলার সন্তুষ্টি এবং বাবার অসন্তুষ্টির মধ্যেই আল্লাহ্ তা‘আলার অসন্তুষ্টি রয়েছে।
🚫 আপনি যেহেতু ইসলাম বিদ্বেষী সেহেতু আপনি কখনোই ইসলামের এই উপদেশ মানতে পারবেন না । আপনাকে এর বিরুদ্ধে কাজ করতে হবে । আপনি আপনার পিতার সাথে ভাল ব্যাবহার করতে পারবেন না তাহলেই আল্লাহ আপনার উপর নারাজ হবে আর আপনিও হয়ে গেলেন একজন পাক্কা খগেন ।
 > ইসলাম বলে > জামে আত তিরমিজি, হাদিসঃ ১৯২২, সহিহ হাদিসঃ রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ যে লোক মানুষের প্রতি দয়া-অনুগ্রহ প্রদর্শন করে না তাকে আল্লাহ্‌ তা‘আলাও দয়া করেন না।
🚫 আপনি যদি আসলেই ইসলাম বিদ্বেষী হন তাহলে আপনি মানুষের প্রতি দয়া করতে পারবেন না , তাহলে আল্লাহকে আপনি নারাজ করলেন আর হয়ে গেলেন সহিহ খগেন ।
 > ইসলাম বলে > সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদিসঃ ৩৬৮৪, হাসান হাদিসঃ সা’দ বিন উবাদাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ তিনি বলেন, আমি জিজ্ঞাসা করলাম, ইয়া রাসূলাল্লাহ! কোন প্রকারের দান সর্বোত্তম? তিনি বলেনঃ পানি পান করানো ।
🚫 একজন ইসলাম বিদ্বেষী কখনো কাউকে পানি করাতে পারবে না কারন ইসলামে কাউকে পানি পান করানো উত্তম কাজ আর আপনি যদি ইসলামের বিরুদ্ধে কাজ না করেন তাহলে কেন মানুষকে পানি করাবেন ? আপনাকে একজন সহিহ ইসলাম বিদ্বেষী হতে হবে ।
 > ইসলাম বলে > জামে আত তিরমিজি, হাদিসঃ ১৯৬৪, হাসান হাদিসঃ রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ মু’মিন ব্যক্তি চিন্তাশীল, গম্ভীর ও ভদ্র হয়ে থাকে। আর পাপিষ্ঠ ব্যক্তি প্রতারক, ধোঁকাবাজ, কৃপণ, নীচ ও অসভ্য হয়ে থাকে।
🚫 আপনি তো মুমিন হতে চান না যেহেতু আপনি নাস্তিক তাই আপনাকে মুমিনের বিরুদ্ধে স্বভাব অর্জন করতে হবে যেমন আপনাকে পাগল হতে হবে , অভদ্র হতে হবে , প্রতারক হতে হবে , ধোঁকাবাজ হতে হবে, কৃপণ হতে হবে এসব আপনি অর্জন করতে পারলেই আপনি আর মুমিন থাকছেন না আপনি একেবারে নোবেইল প্রাইজ প্রাপ্ত একজন খাটি খগেন হয়ে যাবেন।
📢📢📢 সুতরাং আপনি কি একজন ইসলাম বিদ্বেষী হতে চান , আপনি কি খগেন হতে চান , আপনি কি নাস্তিক ধর্মের একজন পাক্কা অনুসারী হতে চান এখনই ইসলামের বিরুদ্ধে কাজ করা শুরু করুন । যদি আপনি না পারেন তাহলে আপনি একজন জঈফ খগেন । আপনাকে দিয়ে নাস্তিক ধর্মের প্রচার সম্ভব না ।
🤔 একটি ছোট প্রশ্ন আমারঃ
এতকিছু জানার পরেও আপনি কিভাবে নাস্তিক ধর্মে অটল থাকবেন , আপনাদের কি আসলেই বিবেক নাই, বুদ্ধি আছে তো ?
এমডি আলী

যিনি একজন লেখক, বিতার্কিক ও গবেষক। বিভিন্ন ধর্ম ও মতবাদ বিষয় পড়াশোনা করেন। ইসলামের সত্যতা মানুষের কাছে ছড়িয়ে দিতে চান। “সত্যের অনুভূতি” উনার লেখা প্রথম বই। “ফ্যান্টাস্টিক হামজা” দ্বিতীয় বই। জবাব দেবার পাশাপাশি নাস্তিক মুক্তমনাদের যৌক্তিক সমালোচনা করে থাকেন।

Previous Post Next Post