চুরির শাস্তি হাত কাটা - এটি কি অমানবিক ?

চুরির শাস্তি হাত কাটা এটি কি অমানবিক ?

লিখেছেনঃ এম ডি আলী

আনলাইনে অনেক নাস্তিকের সাথেই আলাপ করেছি , লিখা লিখির মাধ্যমে , সরাসরি কথাও বলেছি এই বইতে তাই কিছু গুরুত্বপূর্ণ লিখা আপনাদের উপকারের জন্য তুলে ধরেছি মাত্র । এক নাস্তিক আমাকে বলে , সব নাস্তিকদের মধ্যে মিল একটা তা হল ধর্মে অবিশ্বাস । নাস্তিক সম্পর্কে আপনার ধারনা অনেক কম তাই ভুলবাল বলছেন । কোন নাস্তিক যদি  কাউকে খুন করে সে অবশ্যই অপরাধী তার সাথে ধর্মে অবিশ্বাসের ব্যাপারটা টানাটা যুক্তিযুক্ত না ।

আমি বললামঃ সব ধর্মের মিল একটাই তা হল পরকালে বিশ্বাস । আসলে ধর্মের ব্যাপারে আপনার ধারনা অনেক কম তাই আপনি উল্টা পাল্টা বলছেন আর কোন আস্তিক যদি কাউকে খুন করে সে অবশ্যই অপরাধী তার সাথে ধর্মের বিশ্বাস ব্যাপারটা আনা যুক্তিযুক্ত না । আচ্ছা, নাস্তিকদের কাছে ভাল খারাপের মাপকাঠি কি ?

নাস্তিকঃ পৃথিবীর সব চেয়ে বড় আদালদ তার বিবেক , তার বুদ্ধি আর অন্যায়কারিকে শাস্তি দিতে আইন আছে ।

আমিঃ আচ্ছা , ধরেন আমি মুক্তমনা এখন আমি আইন মানতে যাব কেন যেখানে আমি ইসলামের আইনই মানি না ? আমি যুক্তি মানি । এখন চুরি করলে আমার লাভ আমি ধনি হব তাতে আপনার বা অন্নের কি ? আরেকটি মজার কথা  বিবেক এর অস্তিত্ব আপনারা বাস্তবে প্রমান করতে পারবেন না তাই বিবেকের কথা আপনাদের মুখে মানায় না । এখন চুরি করা কেন খারাপ একটি যুক্তি দেখান ?

নাস্তিকঃ সব চুরির অপরাধ এক না । ক্ষুধার্ত একজন লোক যদি ক্ষুধার জ্বালায় চুরি করে সেটাও কি হাত কেটে দেওয়ার মত অপরাধ ?

আমিঃ "ক্ষুধা" কি জিনিস ? খায় নাকি মাথায় দেয় !!? এটি তো দেখা যায় না তাই নাস্তিকদের কাছে হয়ত এর অস্তিত্ব নেই । যাইহোক , কোনটা অপরাধ আর কোনটা অপরাধ না এর বৈজ্ঞানিক মাপকাঠি কি আর হাত কাটা কেন অপরাধ?

নাস্তিকঃ বোকার মত প্রশ্ন করলে উত্তর দিব কিভাবে । ক্ষুধা চোখে দেখা যায় না  কিন্তু অনুভব করা যায় আর আপনিই বলুন হাত কাটা কেন অপরাধ ?

আমিঃ (মুচকি হাসি) । আপনি যে অনুভব করেন এর প্রমান কি ? আর আমি বিশ্বাস করি অন্যায় ভাবে কারো হাত কেটে দেওয়া খারাপ তবে অপরাধের শাস্তি হিসেবে হাত কাটতেই পারে আর আমার ধর্ম ইসলাম তাই বলে কিন্তু আপনারা তো যুক্তি ছাড়া মানেন না তাই যুক্তি দিয়ে প্রমান দেন চুরি করা খারাপ ? ১ টি প্রমান দেন ।
অনেকক্ষণ পর নাস্তিক বললঃ চুরি করা খারাপ কাজ আবার ভাল কাজ কিন্তু সেটা পরিস্থিতির ওপর নির্ভর করে । ধরুন আমার এক পরিচিত লোক বেক্তিগত শত্রুতায় একজনকে হত্যা করার জন্য একটি  ছুরি এনে রেখেছে । আমি সেটা লক্ষ করায় ছুরিটা চুরি করে নিয়ে আসলাম আর এ কারনেই সে লোকটি বেঁচে গেল এবং কিছুদিন পর আবার তারা সমঝোতা সরূপ মিলেমিশে গেল এবং তাদের মধ্যে ভাল সম্পর্ক হল । এখন আপনি বলুন ঐ ছুরি চুরি করে আমি সেই লোকটার জীবন বাচিয়ে কি অপরাধ করেছি ? তাই সব চুরি অপরাধ না । বাচ্চাদের মত আর একটিও প্রশ্ন করবেন না আর বেক্তিগত ভাবে এত প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার সময় আমার নাই । আপনার সুভ বুদ্ধির উদয় হোক । ধন্যবাদ ।

আমিঃ(মুচকি হাসি দিয়ে) তারপরেও পরেও প্রমান হয় না যে ভাল খারাপের "ভিত্তি" কি ?। চুরি করা ভাল আবার চুরি করা খারাপ , পরিস্তিতির ওপর! হাস্যকর! নাস্তিকদের বস্তাপচা যুক্তির করুন দশা । যে উদাহরণ দিলেন তা ধার্মিকদের জন্য প্রযোজ্য হলেও নাস্তিকদের কাছে গ্রহনযোগ্য না । এটা কি প্রমান করতে পারবেন যে অহ্নের জীবন বাঁচানো কেন ভাল অথবা চুরি করা কেন অপরাধ ? আমি বৈজ্ঞানিক ভিত্তি জানতে চাচ্ছি আর আপনি নাস্তিক হয়ে ধার্মিকদের মত উপদেশ দিচ্ছেন আর আমি আমার বুদ্ধিকে না দেখে বিশ্বাস করি কিন্তু আপনারা তো এর বিপরীত । মনে রাখবেন ধর্ম দিয়ে ভাল মন্দের ভিত্তি হয় নাস্তিকদের বাচ্চাময় যুক্তি দিয়ে না ।

(আমাদের বার্তা আদান প্রদানের মধ্যে এক মুসলিম ভাই বলল তাহলে এতদিনে কিয়ামত হয়ে যেত)

নাস্তিকঃ আপনি কিয়ামত বিশ্বাস করেন ? ধরুন এখন কিয়ামত উপস্থিত। শিঙ্গায় ফু দেয়া হল কিন্তু তখন আমি মঙ্গল গ্রহে ঘুরতে গেছি । শিঙ্গায় ফু আমার কানে পৌঁছালো না তবে আমার কি হবে ?

আমিঃ ঐটা তখন দেখা যাবে আগে যেগুলা দিসি সেটার খণ্ডন না করে আপনি অন্য দিকে কথা কেন ঘুরাচ্ছেন ?
আচ্ছা আপনারাই বলেন,ভাল খারাপের ভিত্তি যুক্তি দিয়ে নাস্তিকরা প্রমান করতে পারবে । আসলে এরা যখন প্রমান দিয়ে টিকতে পারে না তখন হয়ত পলটিবাজী করবে অথবা বানান ভুল এর অজুহাত দেখিয়ে কেটে পরবে । শেষ পর্যন্ত প্রমান দিতে না পেরে কিয়ামত নিয়ে প্রশ্ন করেছে । এখন এর জবাব দিচ্ছি

কিয়ামত বিষয়ে শিঙ্গায় ফু দেয়া নিয়ে তার যদি নিন্ম ধারনাও থাকতো তাহলেও সে ঐ বাচ্চাময়ি প্রশ্ন করত না ।

কোরানে আছেঃ সেদিন শিঙ্গায় ফু দেয়া হবে । অতপর তোমরা দলে দলে উপস্থিত হবে । (সুরা নাবা ১৮)

কোরানে আছেঃ এবং শিঙ্গায় ফু দেয়া হবে । ফলে আকাশ ও জমিনে যারা আছে সকলেই বেহুঁশ হয়ে যাবে । তবে আল্লাহ যাকে ইচ্ছা করেন সে বেতিত । অতপর আবার শিঙ্গায় ফু দেয়া হবে । তৎক্ষণাৎ তারা দণ্ডায়মান হয়ে দেখতে থাকবে  । (সুরা জুমার ৬৮)

উপরের দুটি আয়াত হতে বুঝলাম । শিঙ্গায় ফু দেয়ার পর সবাই আল্লাহর কাছে উপস্থিত হবে তাহলে ঐ বলদ নাস্তিক মঙ্গলগ্রহে ঘুরার প্রশ্ন আসে কিভাবে । শিঙ্গায় ফু দিবে সবাই বেহুঁশ হয়ে যাবে তাহলে শিঙ্গায় ফু কানে পৌঁছাবে না - এটি মূর্খতা । যেখানে ফু দেওয়ার সাথে সাথেই সবাই বেহুঁশ হবে সেখানে ফু কানে পৌঁছাবে না এইটা হাস্যকর ।
এখন আসুন ইসলামের চুরির শাস্তির বিধান তা পরিস্কার করে জেনে নেই যাতে নাস্তিকরা আর মিথ্যা কথা ও ভুল তথ্য বলতে না পারে ।

একটি পয়েন্ট মনে রাখবেন চোর চুরি করলে তার শাস্তি হাত কাটা এ বিধান প্রয়োগ করবে রাষ্ট্রপ্রধান । চোরকে ধরে রাষ্ট্রপ্রধান এর কাছে হস্তান্তর করা হবে তারপরে শাস্তি প্রয়োগ করবে আর এর আগে যদি চোরকে মাফ করে দেওয়া হয় সেটা একান্তই নিজস্ব ব্যাপার ।

* সাফওয়ান ইবনে উমাইয়া (রা) থেকে বর্ণিত , তাঁর একখানা চাদর মাথায় নিচ হতে চুরি হয়ে গেল । তিনি মসজিদে নববীতে নিদ্রিত ছিলেন । তিনি চোরকে ধরে ফেললেন তারপর তাকে নিয়ে নবী (সা) এর দরবারে উপস্থিত হলেন । তিনি তার হাত কাটার আদেশ করলেন । তখন সাফওয়ান বললেন , ইয়া রাসুলুল্লাহ ! আপনি তার হাত কাটবেন ? রাসুলুল্লাহ (সা) বললেন তবে তুমি এর পূর্বে তাকে ছেড়ে দিলে না কেন ? (১)

* আমর ইবনে শুআয়ব রহ তাঁর পিতার মাধ্যমে তাঁর দাদা হতে বর্ণিতঃ রাসুল (সা) বলেছেন , কোন অপরাধীকে আমার নিকট আনার পূর্বে ক্ষমা করে দিবে যখন আমার নিকট কোন মকাদ্দামা উপস্থিত হয় তখন শাস্তি অবধারিত হয়ে যায় । (২)

* আব্দুল্লাহ ইবন আমর (রা) থেকে বর্ণিত রাসুল (সা) বলেছেন , দণ্ডনীয় অপরাধ সমূহ (বিচারকের নিকট আসার পূর্বে) ক্ষমা করে দিবে, কেননা কোন বিচার আমার নিকট আসলে এর শাস্তি অবধারিত হয় । (৩)
এর কারন হল বিচারক যদি বড় বড় চোরদের ক্ষমাই করে দেয় তাহলে অন্যান্য চোররা ভয় পাবে না বরং তারা ভাবতে পারে , বড় চোররা চুরি করার পরেও ক্ষমা পেয়েছে তাই আমরাও ক্ষমা পাবো । সুতরাং এ ধরনের চিন্তা যাতে অপরাধীর মনে জন্ম না নেয় তাই ইসলাম বিচারককে কোঠর করে যেন অপরাধী না থাকে । আর বিচারকের কাছে আনার আগে যদি চোরকে মাগ করে দেয় তবে দিতেই পারে ।

কোরানে আছেঃ  যে পুরুষ চুরি করে এবং যে নারী চুরি করে তাদের হাত কেটে দেও তাদের কৃত কর্মের সাজা হিসেবে । আল্লাহর পক্ষ থেকে হুশিয়ারি । আল্লাহ পরাকান্ত , জ্ঞানময় । অতপর যে তওবা করে স্বীয় অত্যাচারের পর এবং সংশোধিত হয় । নিশ্চই আল্লাহ তার তওবা কবুল করেন । নিশ্চই আল্লাহ ক্ষমাশীল দয়ালু । (৪)

উপরের আয়াত গুলো খেয়াল করুনঃ

প্রথমে বলা হচ্ছে পুরুষ-নারী চুরি করলে হাত কেটে দেও ।

পরে বলা হচ্ছে, যে তওবা করে এবং সংশোধিত হয় । আল্লাহ তওবা কবুল করবেন ।

আচ্ছা যদি আল্লাহ তাদের মাফই করে দেন তবে হাত কাটতে বলছেন কেন ? তারমানে অবশ্যই এখানে কিন্তু আছে । সে কিন্তুতা হলঃ "সব চোরের হাত কাটা না" সে পুরুষ বা নারীর হাত কেটে দিতে হবে যাদের স্বভাবই হল চুরি করা বরং বার বার চুরি করা ও সংশোধিত না হওয়া । আর এ ধরণের চোর পরিবারের জন্য , সমাজের রাষ্ট্রের এবং পুরো দেশের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর আর এই ক্ষতি চিরতরে বন্ধ করতে যদি একজন চোরের হাত কাটা দেখে অন্যান্য সকল চোর ভদ্র হয়ে যায় তাহলে ভাবুন ইসলামের বিধান কত কার্যশীল ।

এখন আসেন, চোরের হাত কাটার আগে কতগুল শর্ত আছে ।

১/ চুরি করলেই হাত কাটা যাবে না  । সংশোধন এর সুযোগ দিতে হবে । (৫)

২/ কিছু সীমানা আছে এর বাইরে চুরি করলে শাস্তি প্রয়োগ হবে । (৬)

৩/ মূল্যবান না অথবা সামান্য এমন কিছু চুরি হলে শাস্তি প্রয়োগ হবে না । (৭)

৪/ আমানতের খেয়ানতকারী , প্রকাশ্যে লুণ্ঠনকারী এবং ছো মেরে পালায়নকারী বেক্তির প্রতি হাত কাটার শাস্তি আরোপিত হবে না । (৮)

৫/ সফরে বা ভ্রমন এর সময়ে (চুরি হলে) হাত কাটা হবে না । (৯)

দেখুন ৫ টি শর্তের কতা বললাম । কোন নাস্তিক কি বলেছে এ ৫ টি শর্তের কথা ? না । বলেনি আর ওরা ভাল করেই জানে উপরের শর্ত গুলা বললে নাস্তিকরা যেভাবে জালিয়াতি করতে চায় সেভাবে করতে পারবে না ।
চোরের চুরি করার শাস্তি অর্থাৎ হাত কেটে দেওয়ার আগে অবশ্যই উপরের শর্ত অতিক্রম করতে হবে । তা না হলে চোরের হাত কাটা যাবে না । মূলত এরা যে বলে ইসলামের শাস্তি কত ভয়াবহ! আসলে এরা জানেই না শর্ত গুলি কি কি  আর ইসলামের সঠিক তথ্য জানবেই বা কি করে সারাক্ষণ নাস্তিকদের ব্লগ থেকে যে ইসলাম শিখে!

তাই আসুন নাস্তিকদের ধোঁকায় না পরি । এরা ইসলামকে জানার জন্য প্রশ্ন করে না ওরা সাধারন মুসলিমদের সন্দেহ তৈরিতে প্রশ্ন করে । আর যারা কোরআন সুন্নাহ এর জ্ঞান রাখে তাদের ধারের কাছেও এরা আসে না। মনে রাখবেন অহংকারী বেক্তি কখনোই সত্য গ্রহন করতে পারে না । সত্যকে গ্রহন করতে চাইলে আগে দরকার বিনয় ।

রেফারেন্স সমূহঃ

১/ সুনানে আন-নাসায়ি, হাদিস নং ৪৮৮৪ । হাদিস সহিহ । ihadis.com

২/ সুনানে আন নাসায়ি , হাদিস নং ৪৮৮৫ । হাদিস সহিহ । ihadis.com

৩/ সুনানে আন নাসায়ি , হাদিস নং ৪৮৮৬ ।হাদিস সহিহ । ihadiscom

৪/ সুরা আল মায়েদা। আয়াত ৩৮,৩৯ ।

৫/ নাফি (রা) হতে বর্ণিত , রাসুল (সা) এর সময়ে এক নারী অলংকার ধার করতো । একবার সে একটি অলংকার ধার করলো তারপর সেটি রেখে দিল । রাসুল (সা) বললেন , এই মহিলা তওবা করুক এবং তার নিকট যা আছে তা তাকে ফেরত দিক । তিনি কয়েকবার এরুপ বললেন কিন্তু সেই মহিলা তা মান্য না করায় তিনি তার হাত কাটার আদেশ দেন । (সুনানে আন নাসায়ি, হাদিস নং ৪৮৯০, হাদিস সহিহ)

৬/ আয়েশা (রা) হতে বর্ণিত , তিনি রাসুল (সা) কে বলতে শুনেছেন, চোরের হাত কাটা হবে না দীনারের চতুর্থাংশ বা ততধিক বেতিত । (সুনানে আন নাসায়ি , হাদিস নং ৪৯২৮ । হাদিস সহিহ)) ।

এখন কি পরিমাণ চুরি করলে হদ জারি হনে এ বিষয়ে মতভেদ আছে । তবে মোদ্দা কথা  হল, দশ দিরহাম (৪০,২৩,গ্রাম রুপা) বা এক দিনার (৮৬.৪ গ্রাম রুপা) বা তার সম পরিমাণ মাল চুরি করলে চোরের হাত কাটা যাবে । সোনা রুপার দাম বাড়ে-কমে বিধায় প্রচলিত নোটের কত টাকা চুরি করলে হাত কাটা যাবে তা চূড়ান্তভাবে নিরুপন করা সম্ভব না  । (আহসানুল ফতোয়া , বাদায়েউস সানায়ে)

উদাহরণঃ ধরেন আপনার মানি বেগে ৫ হাজার টাকা ছিল যা আপনার জন্য খুবই মূল্যবান এখন ধরেন ৫ হাজার টাকা চুরি হয়ে গেল তবে হদ জারি হবে  কিন্তু ধরেন ১০ টাকা চুরি হয়েছে বা ১০০ টাকা চুরি হয়েছে তাহলে কিন্তু হদ জারি হবে না ।

৭/ রাফে ইবনে খাদিজ (রা) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন আমি রাসুল (সা) কে বলতে শুনেছি ফল এবং খেজুর গাছের শাঁস চুরিতে হাত কাটা নেই । (সুনানে আন নাসায়ি , হাদিস নং ৪৯৬০ । হাদিস সহিহ)

৮/জাবির রা সুত্রে রাসুল (সা) থেকে বর্ণিত , তিনি বলেছেন, আমানতের খেয়ানতকারী , প্রকাশ্যে লুণ্ঠনকারী এবং ছো মেরে পালায়নকারী বেক্তির প্রতি হাত কাটায় শাস্তি আরোপিত হবে না । (সুনানে আন নাসায়ি , হাদিস নং ৪৯৭১ , হাদিস সহিহ)

৯/ বাসর ইবন আবু আরতাত রা থেকে বর্ণিত তিনি বলেন আমি রাসুল (সা) কে বলতে শুনেছি সফরে হাত কাটা যাবে না । (সুনানে আন নাসায়ি , হাদিস নং ৪৯৭৯ । হাদিস সহিহ । ihadis.com)




এমডি আলী

যিনি একজন লেখক, বিতার্কিক ও গবেষক। বিভিন্ন ধর্ম ও মতবাদ বিষয় পড়াশোনা করেন। ইসলামের সত্যতা মানুষের কাছে ছড়িয়ে দিতে চান। “সত্যের অনুভূতি” উনার লেখা প্রথম বই। “ফ্যান্টাস্টিক হামজা” দ্বিতীয় বই। জবাব দেবার পাশাপাশি নাস্তিক মুক্তমনাদের যৌক্তিক সমালোচনা করে থাকেন।

Previous Post Next Post