হযরত সাফিয়া (রা) সম্পর্কে নাস্তিকদের বিখ্যাত ভিত্তিহীন অভিযোগের জবাব

হযরত সাফিয়া (রা) সম্পর্কে নাস্তিকদের বিখ্যাত ভিত্তিহীন অভিযোগের জবাব

লিখেছেনঃ এম ডি আলী

অভিযোগ সমূহঃ

১/ হযরত সাফিয়া (রা) এর পিতা ও স্বামীকে অন্যায় ভাবে হত্যা করা হয়েছিল ?

২/ কোন নারী কি তার স্বামীকে, বাবাকে হত্যাকারীকে নিজের ভালবাসার স্বামী হিসেবে গ্রহন করবেন ? তাই সাফিয়া (রা) নবী মুহাম্মদ (সা)কে মন থেকে স্বামী হিসেবে মেনে নেননি ?

৩/ সাফিয়া (রা) কে জোর করে বিয়ের নামে ধর্ষণ করেছেন - নবী মুহাম্মদ (সা) ? কেমন ছিল সাফিয়া (রা) এবং নবী মুহাম্মদ (সা) এর দাম্পত্য জীবন ? এবং ইসলামের প্রতি হযরত সাফিয়া (রা)এর অন্তর থেকে ভালবাসা ছিল কি ?

৪/ হযরত সাফিয়া (রা)কে বিয়ের আগে নবী মুহাম্মদ (সা) ইদ্দত পর্যন্ত অপেক্ষা করেন নি ?

জবাবঃ আমরা ধারাবাহিক ভাবে উপরের ৪ টি অভিযোগ খণ্ডন করব ।

১/ হযরত সাফিয়া (রা) এর পিতা ও স্বামীকে অন্যায় ভাবে হত্যা করা হয়েছিল ?

উত্তরঃ প্রথমে এই বিষয়ে হাদিসের তথ্য গুলো জেনে নিবঃ

* সীরাতুর রাসুল (সা),লেখক মোঃ আসাদুল্লাহ আল গালিব, পৃষ্ঠা ৪৯৪। এছাড়াও বিভিন্ন সীরাত গ্রন্থে যেমন আর রাহীকুল মাখতুম, ইবনে হিশাম, সীরাতুন্নবি (সা) পাবেনঃ খয়বর যুদ্ধ শেষে যখন যুদ্ধবন্দীদের একত্রিত করা হয় তখন দাহিয়া কালবি (রা) এসে বলল ,হে আল্লাহ্‌র রাসুল (সা) আমাকে বন্দীদের থেকে একটা দাসী প্রদান করুন । নবীজি (সা) বললেন যাও একজন দাসী নিয়ে যাও । তখন তিনি সাফিয়া (রা)কে নিয়ে যান । এক ব্যাক্তি রাসুল (সা) কে বললেন, আপনি কি সাফিয়াকে দাহিয়া কালবিকে প্রদান করলেন ? সাফিয়া বিনতে হুয়াই ছিলেন কুরাইজা ও নাজীর গোত্রের সর্দারের কন্যা , তিনি তো আপনারই যোগ্য । তখন রাসুল (সা) দাহিয়াকে ডেকে এনে বলল তুমি এর বদলে তথা সাফিয়া ছাড়া অন্য যে কোন দাসী নিয়ে নাও । পরিশেষে নবী (সা) সাফিয়াকে ইসলামের দাওয়াত দেন । সাফিয়া (রা) কবুল করেন ও নবীজি তাঁকে মুক্ত করে বিয়ে করেন ।

*=* খয়বরের যুদ্ধের মুল কারনঃ

১/ খয়বারে যারা বাস করত তারা ছিল বনু নাজীরের বাসিন্দা তথা ইহুদী । বনু নাজীরের সাথে আগে থেকেই মুসলিমদের সাথে শান্তি চুক্তি ছিল । বনু নাজীরের বস্তীতে একবার রাসুল (সা) এক বাড়ির দেয়ালে ঘেঁষে বসেছিলেন । বনু নাজীরের লোকেরা বাহ্যিকভাবে খুবই ভাল ব্যাবহার করছিল কিন্তু তলে তলে একজন ঠিক করল যে ছাঁদের উপর থেকে বড় একটি পাথর নবী মুহাম্মদ (সা)এর মাথার ওপর ফেলবে । ফলে তিনি মারা যাবেন।এ সংবাদ রাসুল (সা) কে আল্লাহ্‌ জানিয়ে দেন । ফলে রাসুল (সা) সেখান থেকে উঠে চলে যান । ফলে তাদের ষড়যন্ত্র নষ্ট হয়ে যায় । (উয়ুনুর আছার ২/৭০,৭১ পৃষ্ঠা, দারুল কলম প্রকাশনী, বৈরুত এবং সিরাতে ইবনে হিসাম ২/১৯০ পৃষ্ঠা )

২/ শান্তি চুক্তি ভঙ্গ করে এমনকি রাষ্ট্র প্রদান নবী মুহাম্মদ (সা) কে হত্যার চেষ্টা করে ।

৩/ ফাতহুল বারি ৭/৫৮১ , খণ্ডক যুদ্ধঃ খয়বারের অধিবাসী বনু নাজীরের সর্দার হুয়াই বিন আখতাব মক্কায় গিয়ে কুরাইশদের এবং কিনানা বিন রবি বনু গাফতানকে উস্কানি দিয়ে ১০ হাজার সৈন্যের বিশাল বাহিনী নিয়ে মদীনা অবরোধ করেছিল খণ্ডন যুদ্ধে ।
৪/ আগে থেকে মুসলমানদের সাথে সন্ধিতে চুক্তিবদ্ধ থাকা বনু কুরাইজাকেও বিদ্রোহ করে মুসলমানদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে রাজি করায় এ খয়বারের ইহুদী নেতা হুহাই বিন আখতাব ।

৫/ সীরাত ইবনে হিশাম ২/৩৩৬,৩৩৭ পৃষ্ঠাঃ সাফিয়ার স্বামী ছিল কিনান বিন রাবি , যে ছিল বনু নাজীরের একজন নেতা । এ গাদ্দার বনু গাফতানকে উস্কানি দিয়ে মুসলমানদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে উৎসাহ দিয়েছিল । তারপরেও রাসুল (সা) সন্ধি করে, শান্তি চুক্তি করে তাদের নিরাপদ স্থানে যেতে বলেন কিন্তু তারা সেখানেও বেইমানি করে সেখানের সম্পদ চুরি করে পালাচ্ছিল যার নেতৃত্ব দিচ্ছিল কিনানা বিন রাবি । শুদু তাই না এই কিনানা বিন রাবি সাহাবী মাহমুদ বিন মাসলামা (রা) কে হত্যা করেছিল ।

৬/ এই যুদ্ধে মুসলিমদের ১৬ জন শহীদ হয় এবং ইহুদী পক্ষে ৯৩ জন মারা যায় । (সিরাতুল রাসুল (সা),৪৮৫ পৃষ্ঠা, আসাদুল্লাহ আল গালিব)

উপরের বিশুদ্ধ তথ্য সমূহ হাতে রেখে আমরা দাবি করছিঃ
* সাফিয়া (রা) এর স্বামী ও পিতা ছিল দেশদ্রোহী ।
* সাফিয়া (রা) এর স্বামী ও পিতা ছিলেন মুসলিম বিদ্বেষী এবং সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা সৃষ্টিকারী ছিল ।
* সাফিয়া (রা) এর স্বামী ও পিতা নবী মুহাম্মদ (সা) কে হত্যা করতে ছেয়েছিলেন।
* সাফিয়া (রা) এর স্বামী ও পিতা মুসলিমদের ধ্বংস করতে ছেয়েছিলেন ।
* সাফিয়া (রা) এর স্বামী ও পিতা ছিলেন জঙ্গি এবং সন্ত্রাসী ।
* সুতরাং নবী মুহাম্মদ (সা) এর সাথীরা সাফিয়া (রা) এর জঙ্গি ও সন্ত্রাসী স্বামীকে কিনানা ও পিতাকে হুয়াই বিন আখতাবকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েই মানবতার উচিৎ কাজটাই করেছেন ।

২/ কোন নারী কি তার স্বামীকে, বাবাকে ভাইকে হত্যাকারীকে নিজের ভালবাসার স্বামী হিসেবে গ্রহন করবেন ? তাই সাফিয়া (রা) নবী মুহাম্মদকে মন থেকে স্বামী হিসেবে মেনে নেননি ?

উত্তরঃ জবাব হলঃ বুঝলে বুঝা পাতা, না বুঝলে তেস পাতাঃ

* প্রশ্নকর্তা পুরা সিনেমার কাহিনীই বদলাইয়া দিসে । আচ্ছা ধরুন যদি ন্যায়পরায়ন নারী জানতে পারে যে তার বাবা , ভাই, তার স্বামী সন্ত্রাসী এবং এসব সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে যারা যুদ্ধ করছেন তারাই সত্যবাদী ভাল মানুষ তখন কি আর বাপ ভাইয়ের বিরুদ্ধে যেতে কোন আপত্তি আছে ? উত্তর হচ্ছে না যদি সেই নারী ন্যায়বাদী হয় । সাফিয়া (রা)ও একজন সত্যবাদী ও ন্যায়বাদী নারী ছিলেন । তখন কি আর সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে যেই নেতা যুদ্ধ করছেন তার পক্ষে যাওয়া কি পসিবল ঐ নারীর ? উত্তর হচ্ছে হ্যাঁ। একই ঘটনা সাফিয়া (রা) এর বেলায় ঘটেছে।

* উদাহরণঃ ধরুন দুই রাজার মধ্যে যুদ্ধ বেধেছে আর ছেলে মেয়ে একে ওপরকে ভালবাসে এরকম কাহিনী তো আমরা পড়েছি, সিনেমাতেও দেখেছি যে এখানে মেয়ে ছেলের বাবার পক্ষে থাকে কারন মেয়ে জানে যে মেয়ের নিজের বাবাই একজন অপরাধী । মেয়ের বাবা অন্যায় ভাবে ছেলের বাবার রাজত্ব ধ্বংস করতে চাইছে । এখানেও মেয়ে কিন্ত ছেলের বাবার পক্ষেই থাকে । এই উদাহরণ থেকে আমি বুঝাইতে চাইলাম যে সাফিয়া (রা) এর বাবা হুহাই বিন আখতাব ও নবী মুহাম্মদ (সা) এর যুদ্ধ অনেকটি উপরের উদাহরণ এর মত শুদু পার্থক্য হচ্ছে যে সাফিয়া (রা) যখন জানতে পারে যে তাঁর নিজের বাবা ও স্বামী সন্ত্রাসী যারা মুসলিমদের ধ্বংস করতে চেয়েছিল এরপরেই সাফিয়া (রা) নবী (সা) এর ব্যাপারে সত্য জেনে নবীকেই গ্রহণ করে নেন । ব্যাস ।

সুতরাং সাফিয়া (রা) নবী (সা) এর পক্ষেই ছিলেন কারন তিনি জানতেন যে নবী (সা) সত্যবাদী নবী এবং ভাল মানুষ এবং নবী মুহাম্মদ (সা) এর উপর হুহাই বিন আখতাব অন্যায় ভাবে ক্ষমতা অপব্যাবহার করে নবী মুহাম্মদ (সা) এবং সমগ্র মুসলিমদের পৃথিবী থেকে চিরতরে মুছে দিতে চেয়েছিল । প্রমান হিসেবে এই হাদিস পড়ুনঃ

* সীরাতুল রাসুল (সা), পৃষ্ঠাঃ ৪৯৪, আসাদুল্লাহ আল গালিবঃ হযরত সাফিয়া (রা) বলেন, আমার নিকট রাসুল (সা) এর চাইতে নিকৃষ্ট ব্যাক্তি কেউ ছিল না কারন তিনি আমার পিতা ও স্বামীকে হত্যা করেছেন । অতপর রাসুল (সা) আমার নিকট বার বার ওজর পেশ করেন এবং বলেন হে সাফিয়া তোমরা পিতা আমার বিরুদ্ধে আরবদের জমা করেছিলেন । তাছাড়া অমুক অমুক (অন্যায়) কাজ করেছিলেন, অবশেষে আমার অন্তর থেকে তাঁর উপরে বিদ্বেষ দূর হয়ে যায় । - খেয়াল করুন সাফিয়া (রা) এর পিতা ও স্বামীকে তাদের অন্যায়ের কারনে নবী (সা) মৃত্যুদণ্ড দিলে , সাফিয়া (রা) প্রথমে নবীর প্রতি বিদ্বেষ থাকলেও যখন সাফিয়া (রা) বুঝতে পারলেন যে তার পিতা ও স্বামী সন্ত্রাসী ছিলেন ঠিক তখনই সে নবী (সা) কাজকে সাপোর্ট করেন এবং নবীর প্রতি যেই বিদ্বেষ সেটা দূর হয়ে যায় ।

* হযরত সাফিয়া (রা) যদি নবীকে স্বামী হিসেবে যদি মন থেকে ঘৃণাই করতে তাহলে স্বামীর ইসলামের পক্ষে কেন কথা বলতেন সাফিয়া (রা)? এর থেকেই প্রমান হচ্ছে যে নবীজি (সা) কে তিনি ভালবাসতেন ।

প্রমান = ihadis.com, সুনানে আবু দাউদ, হাদিসঃ ৪৯৯৪, সহিহ হাদিসঃ উম্মুল মু’মিমীন সাফিয়্যাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহি ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ই’তিকাফ অবস্থায় ছিলেন। এক রাতে আমি তাঁর সাথে দেখা করতে তাঁর নিকট গেলাম। কথাবার্তা শেষ করে আমি ফিরে আসার জন্য দাঁড়ালে তিনিও আমাকে এগিয়ে দিতে দাঁড়ালেন। তার (সাফিয়া (রাঃ)) বসবাসের স্থান ছিল উসামা ইবনু যায়িদ (রাঃ)-এর ঘর (সংলগ্ন)।এ সময় আনসার গোত্রের দুই ব্যক্তি যাচ্ছিলেন। তারা রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহি ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে দেখে দ্রুত চলে যাচ্ছিলেন। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহি ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ তোমরা থামো! ইনি (আমার স্ত্রী) সাফিয়্যাহ বিনতু হুয়াই। তারা দু’জনে বললেন, “সুবহানাল্লাহ! হে আল্লাহর রাসূল! রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহি ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ শয়তান মানুষের মধ্যে রক্তের মত চলাচল করে। তাই আমার ভয় হচ্ছিল যে, সে তোমাদের দু’জনের মনে মন্দ কিছু নিক্ষেপ করবে।

৩/ হযরত সাফিয়া (রা) কে জোর করে বিয়ের নামে ধর্ষণ করেছেন - নবী মুহাম্মদ (সা) ? কেমন ছিল সাফিয়া (রা) এবং নবী মুহাম্মদ (সা) এর দাম্পত্য জীবন ? এবং ইসলামের প্রতি হযরত সাফিয়া (রা)এর অন্তর থেকে ভালবাসা ছিল কি ?

উত্তরঃ জোর করে বিয়ে করেন নি । সম্মতিতেই বিয়ে করেছেন । সাফিয়া (রা) এবং নবী মুহাম্মদ (সা)এর সম্পর্ক উত্তমই ছিল । ইসলাম ধর্মের প্রতি হযরত সাফিয়া (সা) এর অন্তর থেকেই ভালবাসা ছিল, মৃত্যুর আগ পর্যন্ত ।

= ধর্ষণ প্রমান করতে হলে নারীর অভিযোগ লাগে , হযরত সাফিয়া (রা) কি অভিযোগ দিয়েছিল কোন ? যদি না দেন তাহলে এখানে ধর্ষণের প্রশ্নই আসে না । সুতরাং নোংরা খগেন মশাইদের প্রশ্নটিই ভিত্তিহীন ।

= রাসুলুল্লাহ (সা)এর স্ত্রীগণ যেমন ছিলেন, পৃষ্ঠা ১৫০, পিস পাবলিকেশনঃ খয়বার যুদ্ধ বিজয়ের পর সাফিয়া (রা) বন্ধী হয়ে আসলে এক সময় তাঁকে রাসুল (সা) জিজ্ঞেস করলেন, আমার ব্যাপারে তুমার কোন আগ্রহ আছে কি ? তিনি উত্তরে বললেন, শিরিকের মধ্যে নিমজ্জিত থাকার সময় আমি এই আশা পোষণ করতাম । সুতরাং ইসলাম গ্রহনের দ্বারা আল্লাহ্‌ আমাকে আপনার সাহচর্য লাভের যে সুযোগ দিয়েছেন , সে সুযোগ আমি কি ভাবে হারাতে পারি ? - সাফিয়া (রা)কে তাঁর ব্যাক্তিগত সম্পূর্ণ স্বাধীনতা দেওয়ার পরেও সাফিয়া (রা) নবী (সা)কেই অন্তর থেকে মেনে নেন।

* রাসুলুল্লাহ (সা) স্ত্রীগণ যেমন ছিলেন, পৃষ্ঠা ১৫২ ও ১৫৩, পিস পাবলিকেশনঃ নবী মুহাম্মদ (সা) সাফিয়া (রা) লে বললেন তুমি যা ইচ্ছা পছন্দ করো, বেছে নেও। যদি তুমি ইসলামকে পছন্দ করো তাহলে আমি তোমাকে আমার জন্য রেখে দিব আর যদি তুমি ইহুদী ধর্ম মতকে পছন্দ করো তাহলে আমি তোমাকে মুক্ত করে দিব , যাতে তুমি তোমার কওমের সাথে মিলিত হতে পারো । তিনি বললেন হে আল্লাহ্‌র রাসুল আমি ইসলামকে ভালবেসেছি । আপনি আমাকে দাওয়াত দেওয়ার আগেই আমি আপনাকে সত্য বলে স্বীকার করেছি। এমনকি আমি আপনার সওয়ারীতে চড়েছি । ইহুদী ধর্মের প্রতি আমার আর কোন আকর্ষণ, আগ্রহ নাই আর সেখানে আমার পিতা ভাই কেউই নাই । আপনি কুফুরি বা ইসলাম যে কোনটি গ্রহনের এখতেয়ার (স্বাধীনতা) দিয়েছেন । আল্লাহ ও রাসুলই আমার নিকট অধিক প্রিয় , স্বাধীন হওয়ার চেয়ে। তখন রাসুল (সা) সাফিয়াকে নিজের জন্য রেখে দিলেন । মুক্ত করে বিয়ে করেন । - খেয়াল করুন সাফিয়া (রা) সম্পর্ক স্বাধীনতা দেওয়ার পরেও তাঁর ব্যাক্তিগত ইচ্ছাই ছিল নবী মুহাম্মদ (সা) এর সাথে থাকা ।

= রাসুলুল্লাহ (সা) স্ত্রীগণ যেমন ছিলেন, পৃষ্ঠা ১৫২, পিস পাবলিকেশনঃ সাফিয়া (রা) কোথাও যেতে রাজি হলেন না । তিনি নবী মুহাম্মদ (সা)এর কাছে বিনীত আরজ করলেন, ইয়া রাসুলুল্লাহ (সা) খয়বার যুদ্ধে আমার পিতা ও স্বামী নিহত হয়েছেন । আমার নিকটতম আত্মীয় স্বজনরাও যুদ্ধে প্রান হারিয়েছে আর আমি ইহুদী ধর্ম ত্যাগ করে পবিত্র ইসলামের ছায়াতলে আশ্রয় নিয়েছি । বর্তমানে আমার ইহুদী আত্মীয় স্বজন যারা বেঁচে আছে তাদের কেউই আমাকে আশ্রয় দিবে না এবং গ্রহণও করবে না । এ আশ্রয়হীন অবস্থায় আমি কোথায় যাবো ? কে আমাকে স্থান দিবে ? ইয়া রাসুলুল্লাহ ! আমি আর কোথাও যাবো না , আমি আপনার আন্তঃপুরে একজন দাসী হয়ে থাকতে চাই । আপনি আমাকে আশ্রয় প্রদান করুন। - খেয়াল করুন সাফিয়া (রা) নিজেই নবী মুহাম্মদ (সা)এর কাছে থাকার প্রস্তাব দিচ্ছেন ।

= সীরাতুল মুস্তফা (সা),৩/৩০৬, আল্লামা ইদরীস কান্ধলবী (রহ): একবার মহানবী (সা) এর মৃত্যুরোগের সময় সমস্ত নবী সহধর্মিণী তাঁর খেদমতে একত্র হলেন । তখন হযরত সাফিয়া (রা) বললেন, হে আল্লাহ্‌! রাসুল (সা) এর রোগ তাঁর পরিবর্তে আমাকে দাও । বিবিগন এ কথা শুনে পরস্পরের দিকে তাকাচ্ছিল, তখন নবী মুহাম্মদ (সা) বললেন, আল্লাহ্‌র শপথ নিশ্চয়ই সে সত্যবাদী । - যদি সাফিয়া (রা) নবী মুহাম্মদ (সা) কে ঘৃণা করতেন তাহলে তিনি কেন নবী (সা) এর রোগের পরিবর্তে নিজের রোগ হক এই দুয়া করবেন?

= আল ইসাবা,৪/৩৪৭ এবং সীরাতুল মুস্তফা (সা),৩/৩০৬, আল্লামা ইদরীস কান্ধলবী (রহ): হযরত উমর (রা) বলেন সাফিয়ার এক দাসী হযরত উমর (রা) এর নিকট গিয়ে অভিযোগ করলো যে, হযরত সাফিয়া ইহুদী সংস্কৃতি অনুকরনে শনিবারকে গুরুত্ব দেন এবং ইহুদীদের সাথে ভাল আচরণ করেন । হযরত উমর (রা) , হযরত সাফিয়া (রা) থেকে বিষয়টি জানতে চাইলেন। হযরত সাফিয়া (রা) জবাবে জানালেন! যখন আল্লাহ্‌ তা'লা হযরত মুহাম্মদ (সা) কে শনিবারের পরিবর্তে শুক্রবার দান করেছেন তখন থেকে আমি শনিবারকে আর পছন্দ করি না ।অন্যদিকে আমার কিছু ইহুদী আত্মীয় আছে । আমি তাদের আত্মীয়তার হক অনুযায়ী ভাল আচরণ করি । তিনি হযরত উমর (রা) কে এই জবাব জানিয়ে পাঠালেন অন্যদিকে সেই বাদীকে জিজ্ঞেস করলেন তোমাকে আমার বিরুদ্ধে এই কাজে কে উস্কে দিয়েছে ? সে সত্যি সত্যি জবাব দিল শয়তান আমাকে প্ররোচনা দিয়েছে । হযরত সাফিয়া (রা) বললেন ঠিক আছে । আমি তোমাকে মুক্ত করে দিলাম । - এই তথ্য থেকে প্রমান হল হযরত সাফিয়া (রা) ইসলামকে অন্তর থেকেই ভালবাসতেন ।

= সীরাতুল মুস্তফা (সা),৩/৩০৫, আল্লামা ইদরীস কান্ধলবী (রহ): একদিন নবী মুহাম্মদ (সা) হযরত সাফিয়া (রা) নিকট আগমন করে দেখলেন,সাফিয়া কাঁদছে । তিনি তাঁকে কান্নার কারন জিজ্ঞাসা করলে, তিনি জানান হযরত আয়েশা এবং হজরত হাফসা তাঁকে অপমান করে বলেছে - আমরা রাসুল (সা) এর নিকট অধিক মর্যাদাবান । কেননা আমরা তাঁর বিবি হওয়ার সাথে সাথে তাঁর চাচাদের কন্যাও বটে। নবী মুহাম্মদ (সা) তাঁকে বললেন, তুমি তাঁদেরকে কেন এভাবে বলতে পারলে না যে, তোমরা আমার থেকে কিভাবে মর্যাদাবান হতে পারো, আমার আদি পিতা হচ্ছেন হযরত হারুন (আ) আর আমার চাচা হচ্ছেন হযরত মুসা (আ) এবং আমার স্বামী হযরত মুহাম্মদ (সা) । - এই তথ্য থেকে প্রমাণিত হচ্ছে হযরত সাফিয়া (রা) নবীকে ভালবাসতেন তানা হলে কেন তিনি নবীর অন্য স্ত্রীদের কোথায় কান্না করবেন ? তিনি যদি নবী (সা) কে ঘৃণাই করতেন তাহলে তো তিনি আয়েশা ও হাফসা (রা) এর কথায় খুশিই হতেন যেহেতু তারাই নবীর কাছে মর্যাদাবান সাফিয়া (রা) না অথচ তাঁকে নবী কাছে কম মর্যাদা কেন বলা হল এর জন্য তিনি কান্না পর্যন্ত করেছেন ? আপনি একজন মানুষকে ভাল না বাসলে তাঁর জন্য কান্না করবেন কেন ?

= সীরাতুল মুস্তফা (সা),৩/ ৩০৬ , আল্লামা ইদরীস কান্ধলবী (রহ): হযরত সাইদ ইবনে মুসায়াব (রা) বর্ণনা করেন, হযরত সাফিয়া (রা) যখন মদীনায় আগমন করেন তখন তাঁর কিছু সোনার গহনা ছিল। তিনি কিছু হযরত ফাতিমা (রা) কে দিলেন এবং কিছু অন্যান্য মহিলাদেরকে দিয়ে দিলেন । - এই তথ্য থেকে প্রমান হল নবী মুহাম্মদ (রা) এর পরিবারের প্রতিও সাফিয়া (রা) মমতা মায়া ছিল ।

= ইবনে সা’আদ-তাবাকাত, খন্ড-৮, পৃষ্ঠা-১০০: একবার কিছু লোক রাসূল (সা) এর স্ত্রী সাফিয়া(রা:) এর ঘরে জড় হয়েছিল। তারা আল্লাহকে স্মরণ করে কুরআন তিলওয়াত করছিল এবং সিজদা করছিল। সাফিয়া(রাঃ) তাদের ডেকে জিজ্ঞেস করলেন, ‘তোমরা সিজদা করলে আর কুরআন তিলওয়াত করলে। কিন্তু (আল্লাহর ভয়ে) তোমাদের (চোখে) অশ্রু কোথায়?”. - তিনি কেন ইসলামের পক্ষে ছিলেন মৃত্যু পর্যন্ত ?

= যারকানী,৩/২৫৭ এবং আল ইসাবা,৪/৩৪৭ এবং সীরাতুল মুস্তফা (সা), ৩/৩০৫, আল্লামা ইদরীস কান্ধলবী (রহ): হযরত সাফিয়া (রা) যখন নবী (সা) এর স্ত্রীর মর্যাদা পেলেন, নবী মুহাম্মদ (সা) তাঁর চোখের দিকে তাকিয়ে চোখের উপর একটু নীল দাগ দেখতে পেলেন,তিনি তাঁকে প্রশ্ন করলেন, এ দাগ কিভাবে হয়েছে ? তখন সাফিয়া (রা) বর্ণনা করলেনঃ একদিন আমি আমার পূর্ব স্বামীর কোলে মাথা রেখে ঘুমিয়ে ছিলাম। স্বপ্নে দেখলাম আকাশের চাঁদ আমার কোলে এসে পড়েছে । আমি ঘুম থেকে উঠে আমার স্বামীকে আমার সপ্নের কথা বলার পরে সাথে সাথে সে আমাকে প্রচণ্ডভাবে একটি চড় মারল এবং বলল , তুমি (ইয়াসরিব) মদীনার শাসককে কামনা করছ অর্থাৎ সে মহানবী (সা) এর দিকে ইঙ্গিত করেছিল। সাফিয়া (রা) মদীনায় আগমনের পরে তিনি হারিস ইবনে নুমানের গৃহে উঠেন। হজরত সাফিয়া (রা) অনেক সুন্দর ছিলেন। আনসারী মহিলারা তাঁকে দেখতে ভিড় করেন । হযরত আয়েশা (রা) তাঁকে দেখতে যান কিন্তু নবী মুহাম্মদ (সা) তাঁকে চিনে ফেলেন । পরক্ষনে তিনি ফিরে আসলে নবী (সা) তাঁকে প্রশ্ন করলেন, আয়েশা! কেমন দেখলে ? জবাবে তিনি বললেন, হ্যাঁ , এই ইহুদীকে দেখে এলাম । রাসুল (সা) বলেন তুমি এভাবে বল না । সে ইসলাম গ্রহণ করেছে এবং ইসলাম গ্রহণ উত্তমভাবেই করেছে । - সুতরাং এই তথ্য থেকে প্রমান হচ্ছে সাফিয়া (রা) নিজের ইচ্ছাতেই ইসলাম মন থেকেই গ্রহণ করেছেন এবং নবী মুহাম্মদ (সা) সম্পর্কে তাঁর আকর্ষণ ছিল ।

ihadis.com, সুনানে আবু দাউদ, হাদিসঃ ৪৮৭৫, সহিহ হাদিসঃ আয়িশাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ তিনি বলেন, আমি নবী (সাল্লাল্লাহি ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) –কে বললাম, সাফিয়্যাহ (রাঃ)-এর ব্যাপারে আপনার জন্য এতটুকুই যথেষ্ট যে, সে এরূপ অর্থাৎ তিনি খাটো। তিনি বললেনঃ তুমি এমন একটি কথা বলেছো, যা সমুদ্রে মিশিয়ে দিলে তাতে সমুদ্রের রং পাল্টে যাবে। ‘আয়িশাহ (রাঃ) বলেন, আমি এক ব্যক্তিকে অঙ্গভঙ্গির মাধ্যমে নকল করলাম। তিনি বললেন, আমাকে এতো এতো সম্পদ দেয়া হলেও আমি কারো অনুকরণ পছন্দ করবো না। - নবী মুহাম্মদ (সা) সাফিয়া (রা) কেও ভালবাসতেন তাঁকে সম্মান করতেন ।

= Abu Nu’aym al Asbahani, Hilyat al-Awliya, Vol-2, page-55: মুহাম্মদ (সা) আজীবন সাফিয়া(রাঃ) এর প্রতি ভালোবাসা ও মমতা দেখিয়েছেন। তাইতো সাফিয়া(রাঃ) বলতেন, ‘আমি রাসূল (সা) থেকে উত্তম ব্যক্তি কখনো দেখিনি।’

৪/ সাফিয়া (রা) কে বিয়ের আগে ইদ্দত পালন করেননি ?

উত্তরঃ নবী (সা) অবশ্যই সাফিয়া (রা)কে বিয়ের করার আগে ইদ্দতের সময় পর্যন্ত অপেক্ষা করেছিলেন। প্রমান হলঃ

ihadis.com, সুনানে আবু দাউদ, হাদিসঃ ২১৮৭, সহিহ হাদিসঃ আবূ সাঈদ আল-খুদরী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আওতাস যুদ্ধের বন্দী দাসীদের সম্বন্ধে বলেছেনঃ সন্তান প্রসবের আগে গর্ভবতীর সাথে সঙ্গম করা যাবে না। আর গর্ভবতী নয় এমন নারীর মাসিক ঋতু শেষ না হওয়া পর্যন্ত তার সাথেও সঙ্গম করা যাবে না।

ihadis.com, সহিহ বুখারি, হাদিসঃ ৪২১১, সহিহ হাদিসঃ আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ তিনি বলেন, আমরা খাইবারে এসে পৌঁছলাম। এরপর যখন আল্লাহ তাঁকে খাইবার দূর্গের বিজয় দান করলেন তখন তাঁর কাছে (ইয়াহূদী দলপতি) হুয়াঈ ইবনু আখতারের কন্যা সফিয়্যাহ (রাঃ)-এর সৌন্দর্যের ব্যাপারে আলোচনা করা হল। তার স্বামী (এ যুদ্ধে) নিহত হয়। সে ছিল নববধূ। নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাকে নিজের জন্য মনোনীত করেন এবং তাকে সঙ্গে করে (খাইবার থেকে) যাত্রা করেন। এরপর আমরা যখন সাদ্দুস সাহবা নামক স্থানে গিয়ে পৌঁছলাম তখন সফিয়্যাহ (রাঃ) তাঁর মাসিক ঋতুস্রাব থেকে মুক্ত হলে রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাঁর সঙ্গে বাসর করলেন। তারপর একটি ছোট দস্তরখানে (খেজুর-ঘি ও ছাতু মিশ্রিত) হায়স নামক খানা সাজিয়ে আমাকে বললেন, তোমার আশেপাশে যারা আছে সবাইকে ডাক। আর এটিই ছিল সফিয়্যাহ (রাঃ)-এর সঙ্গে বিয়ের ওয়ালীমা। তারপর আমরা মাদীনাহ্‌র দিকে রওয়ানা হলাম, আমি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে তাঁর সাওয়ারীর পেছনে সফিয়্যাহ (রাঃ)-এর জন্য একটি চাদর বিছাতে দেখেছি। এরপর তিনি তাঁর সাওয়ারীর ওপর হাঁটুদ্বয় মেলে বসতেন এবং সফিয়্যাহ নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর হাঁটুর উপর পা রেখে সাওয়ারীতে উঠতেন।

* ইবনে সা’আদ, তাবাকাত। খন্ড ৮, পৃষ্ঠা ১০১, সহিহ হাদিসঃ ইদ্দতের সময়টুকু অপেক্ষা করেছিলেনঃ আনাস ইবনে মালিক(রাঃ) থেকে বর্ণিত, ‘রাসূল (সা) সাফিয়া(রাঃ)কে নিজের জন্য পছন্দ করলেন এবং তাঁকে নিয়ে রওনা দিলেন। একসময় আমরা সাদ-আস-সাহবা নামক স্থানে পৌঁছালাম। এসময় সাফিয়া(রাঃ) তাঁর মাসিক অবস্থা থেকে পবিত্র হলেন। অতঃপর রাসূল(সাঃ) তাঁকে বিয়ে করলেন।’

উপরের বিশুদ্ধ তথ্য প্রমান হাতে রেখে প্রশ্ন ছুড়ে দিলামঃ

১/ প্রমান করুন যে "নবী মুহাম্মদ (সা)কে সাফিয়া (রা) মৃত্যুর আগে পর্যন্ত অন্তর থেকে ঘৃণা করতেন" ?

২/ প্রমান করুন যে "হযরত সাফিয়া (সা) তার আগের স্বামীদের মৃত্যুর আগ পর্যন্ত সে ভালবাসতেন ?

৩/ প্রমান করুন যে "হযরত সাফিয়া (রা) কে জোর করে বিয়ে করেছেন নবী মুহাম্মদ (সা) ?

৪/ যদি সাফিয়া (রা) নবী মুহাম্মদ (সা) কে ঘৃণাই করতেন তাহলে তিনি কেন নবী (সা)এর পক্ষে কথা বলবেন ? কেন সাফিয়া (রা) এর মর্যাদা কোন নবীর কাছে এই কথা শুনে তিনি কেন কান্না করবেন ?

৫/ হযরত সাফিয়া (রা) যদি নবী মুহাম্মদ (সা) ঘৃণাই করতেন তাহলে নবিজির আদরের কন্যা ফাতিমাকে কেন নিজের সোনার গহনা উপহার দিলেন সাফিয়া (রা)?

৬/ নবী মুহাম্মদ (সা) কি কোন কাজে সাফিয়া (রা) জবরদস্তী করেছেন ? প্রমান কই ?

৭/ সাফিয়া (রা) মৃত্যুর আগে পর্যন্ত ইসলামের পক্ষেই ছিলেন কিন্তু কেন ? যদি বলেন, সাহাবীদের ভয়ে তাহলে এর পক্ষে সাফিয়া (রা) এর জবানের প্রমান দেখান ? সাফিয়া (রা) থেকে এমন কোন কাজ দেখান যেটা তিনি ইসলামের ক্ষতি করার জন্য করেছেন ?

৮/ নবী মুহাম্মদ (সা) যদি সাফিয়া (রা) কে জবরদস্তীই করবেন তাহলে তিনি কেন সাফিয়া (রা) কে নিজের মতামতের ব্যাক্তি স্বাধীনতা দিলেন ?

৯/ নবী মুহাম্মদ (সা) কেন সাফিয়া (রা) কে বললেন যে তুমি ইচ্ছা করলে ইহদি ধর্ম মত গ্রহন করতে পারো এতে তুমি তোমার ইহুদী কওমের কাছে ফিরে যেতে পারবে ? কোন জবরদস্তী করা মানুষ কি এইভাবে কাউকে ইচ্ছার স্বাধীনতা দেয় ? আমি তো জীবনেও দেখি নাই ।

১০/ নাস্তিক অন্ধ বিশ্বাসীরা যে বলেন নবী মুহাম্মদ (সা) অন্যায় ভাবে সাফিয়ার পিতা ও স্বামীকে হত্যা করেছিল এর মানে কি আপনারা সন্ত্রাসী ও জঙ্গিবাদকে সাপোর্ট দিচ্ছেন ? কারন হুহাই বিন আখতাব ও কেনানা এরা সন্ত্রাসী ও জঙ্গি ছিল আর নবী (সা) এদের মৃত্যুদণ্ড দিয়ে যোগ্য কাজটাই করেছেন - আপনারা এখানে দ্বিমত করছেন কেন ?


এমডি আলী

যিনি একজন লেখক, বিতার্কিক ও গবেষক। বিভিন্ন ধর্ম ও মতবাদ বিষয় পড়াশোনা করেন। ইসলামের সত্যতা মানুষের কাছে ছড়িয়ে দিতে চান। “সত্যের অনুভূতি” উনার লেখা প্রথম বই। “ফ্যান্টাস্টিক হামজা” দ্বিতীয় বই। জবাব দেবার পাশাপাশি নাস্তিক মুক্তমনাদের যৌক্তিক সমালোচনা করে থাকেন।

Previous Post Next Post