আমার অবিশ্বাস VS যৌক্তিক প্রশ্ন


বিষয়ঃ আমার অবিশ্বাস VS যৌক্তিক প্রশ্ন

লিখেছেনঃ এমডি আলী

========================

ভূমিকাঃ প্রথমেই কবিতার লাইন দিয়ে আমার কথা শুরু করব। 

বরং দ্বিমত হও, 

আস্থা রাখো দ্বিতীয় বিদ্যায়। 

বরং বিক্ষত হও প্রশ্নের পাথরে, 

বরং বুদ্ধির নখে শান দেও,প্রতিবাদ করো, 

অন্তত আর যাই করো,সমস্ত কোথায় অনায়াসে সম্মতি দিও না।

আমি যৌক্তিকভাবে চিন্তা করলাম এই কবিতা আমাকে "নাস্তিক ধর্ম" সম্পর্কে বিস্তারিত জ্ঞান আহরণে ব্যাপক সাহায্য করবে। এরপরে আমি নাস্তিক্যধর্মের বিশ্বাসের কিতাব "আমার অবিশ্বাস" বইখানা অধ্যায়ন করি। তাছাড়া অনেক নাস্তিকতায় বিশ্বাসী লোকেরাও মানুষদের এই কিতাবখানা পড়তে বলে এবং উৎসাহিত করে,তো আমিও পড়লাম । শুধু পড়িইনি বরং মনোযোগ দিয়ে একাধিকবার শুরু থেকে শেষ করেছি। আমি এই কিতাব এতবার পড়েছি ততবার মনে হয় কোনো নাস্তিকও এই কিতাব পড়ে নাই কিন্তু এই বই পড়ে আমার মনে প্রচুর প্রশ্ন আসতে থাকে আমি চিন্তা করলাম এসব প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করবো না কারণ অনলাইনের নাস্তিকরা আমাকে গালাগালি করবে। নাস্তিকরা যখন প্রশ্নের উত্তর দিতে পারে না তখন মুমিনদেরকে অপমান করার পয়তারা করে। তারপরেও আমি স্থির থাকিনি কারণ সত্য আমাকে জানাতেই হবে। নাস্তিকদের বুকে যেই অন্ধবিশ্বাস রয়েছে সেটাকে প্রশ্নের পাথরে নিয়ে আসতে হবে তাহলেই সেই অন্ধবিশ্বাস ভেঙ্গেচুরে খানখান হয়ে যাবে। নাস্তিকদের ভ্রান্ত বিশ্বাসকে প্রচুর যৌক্তিক প্রশ্ন করতে হবে। অনেক নাস্তিককে বলতে দেখা যায় যুক্তি আর প্রশ্নেই মুক্তি। কিন্তু সংশয় হচ্ছে এটা কি শুধুই ইসলামের বিরুদ্ধে নাকি নাস্তিকদের বিরুদ্ধেও? কিন্তু নাস্তিকরা কি এটা করে? নাস্তিকরা কি নিজেদেরকে প্রশ্ন করে আসলেই নাস্তিক্যবাদ সত্য কিনা? এর পক্ষে নাস্তিকদের কাছে নিশ্চিত প্রমাণ আছে, যেই প্রমাণ নাস্তিকরা মুমিনদের কাছে চায়?

সত্য যে কঠিন, কঠিনেরে ভালবাসিলাম সে কখনও করেনা বঞ্চনা। কথাটি ভালো। সত্য কেমন কঠিন এটা তখনই নাস্তিকরা বুঝতে পারবে যখন নিজেদের বিশ্বাসকে নিজেরা প্রশ্নবিদ্ধ করা শিখবে। নাস্তিকরা ইসলামের বিরুদ্ধে মিথ্যাচার করতে করতে এটা নিয়ে চিন্তা করতেই ভুলে যায় যে নাস্তিক্যবাদ আসলেই সত্য কিনা? মানুষ আসলেই চতুষ্পদ জানোয়ার থেকে এসেছে নাকি বিজ্ঞান জগতের কিছু ধাপ্পাবাজ বিজ্ঞানী মানুষ বোকা বানিয়ে আসছে? দুনিয়া থেকে ইসলামকে মুছে দিয়ে সবাইকে নাস্তিক বানালে আসলেই দুনিয়ায় আসবে নাকি পুরো দুনিয়াটাই নাস্তিকরা শেষ করে দেবে? নাস্তিকদের বানানো মিথ্যা কথাকে অবিশ্বাস করতে হবে যুক্তি দিয়ে প্রমাণের সাথে। এসব বিবর্তিত প্রাণীদের কথায় অনায়াসে সম্মতি না দিয়ে প্রশ্নের পাথরে বিক্ষত করতে হবে। এসব যৌক্তিক প্রশ্নের কারণে কোনো নাস্তিক যদি আমাকে হত্যা করার হুমকি দেয় এমনকি চাইনাতে যেভাবে মুসলিমরা নির্যাতিত হচ্ছে সেভাবে আমাকেও নির্যাতন করা হবে বলে ধামকি দেয় এরপরেও আমি যুক্তি দিয়ে কথা বলেই যাবো। যুক্তির কলম দিয়ে লিখেই যাবো। আমাকে থামানো যাবে না। হুমায়ুন আজাদের “আমার অবিশ্বাস” কিতাব পড়ে নাস্তিক্যবাদের প্রতি যৌক্তিক মানুষের আস্থা ভরশা নষ্ট হয়ে যাবে। কারণ যুক্তির সামনে এই বইকে দাড় করানো হয় তাহলে নাস্তিক আজাদ মশাইয়ের গোঁজামিলময় কথাবার্তা উন্মোচন হয়ে যাবে। নাস্তিকের কুযুক্তির বিরুদ্ধে আমার বেশ কিছু যৌক্তিক প্রশ্ন রয়েছে সে গুলো তুলে ধরছি। প্রশ্ন গুলো মন দিয়ে পড়ুন নিজে চিন্তা করুন।

আমার যৌক্তিক প্রশ্নঃ

"আমার অবিশ্বাস" বইয়ের ভূমিকার শেষের দিকে বর্ণিত হয়েছে,মানুষের জন্যে যা ক্ষতিকর,সেগুলোর শুরুতেই রয়েছে বিশ্বাস,বিশ্বাস সত্যের বিরোধী,বিশ্বাসের কাজ অসত্যকে অস্তিত্বশীল করা,বিশ্বাস থেকে কখনো জ্ঞানের বিকাশ ঘটে না,জ্ঞানের বিকাশ ঘটে অবিশ্বাস থেকে,প্রথাগত সিদ্ধান্ত দ্বিধাহীনভাবে না মেনে তা পরীক্ষা করার উৎসাহ থেকে ।

যৌক্তিক প্রশ্ন ১ > বিশ্বাস ক্ষতিকর।তাহলে আমরা কেন আপনার এই কথা বিশ্বাস করব? কিসের ভিত্তিতে বিশ্বাস করবো আপনার কথা সত্য? আপনার এই কথা আমি বিশ্বাস করবো নাকি অবিশ্বাস? যেহেতু বিশ্বাস থেকে জ্ঞানের বিকাশ ঘটে না। আমরা যদি আপনার কথা অবিশ্বাস করি তাহকে আপনার ফতোয়া অনুযায়ী আমাদের জ্ঞান বিকশিত হবে? কিভাবে? জ্ঞান কোথা থেকে আসে? সর্ব প্রথম জ্ঞানের অস্তিত্ব কিভাবে আসে এবং কেন? ডারউইন বিবর্তনবাদ সত্য হলে নাস্তিকদের জন্য জ্ঞান কেন দরকার যেখানে গরু ছাগলের জ্ঞান দরকার হয় না? আপনি কেন জ্ঞানে বিশ্বাস করেন? যদি বলেন "হ্যাঁ" তাহলে আপনি নিজেও বিশ্বাসী হয়ে গেলেন আর বিশ্বাস তো খারাপ (আপনার ফতোয়া অনুযায়ী) আর যদি বলেন "না" তাহলে আপনি তো জ্ঞানেই অবিশ্বাসী, তাহলে জ্ঞান বিকশিত করার ভ্রান্ত ফতোয়াটাই কেন পেশ করলেন?আপনার এসব ফতোয়া আমরা কেন বিশ্বাস করব এবং অবিশ্বাস করব না কেন?

"আমার অবিশ্বাস" অধ্যায়ঃ আমার ইন্দ্রিয়গুলো,প্রথম পরিচ্ছেদ,১৩ পৃষ্ঠায় বর্ণিত হয়েছে, মানুষ হয়ে জন্মে আমি সুখী,বেশ ভাল লাগে আমার,অন্য কোন প্রাণী,এমন কি বস্তু রঙিন প্রজাপতি বা সুন্দরবনের বাঘ বা শান্ত গরু বা নির্বিকার মোঘ বা মাছ বা সাপ বা ছোট পিঁপড়ে বা আমগাছ বা শিমুল বা ঘাস বা পাথরও যদি হতাম,তাহলেও খারাপ লাগতো না,বেশ লাগতো আর যদি কখনোই জন্ম না নিতাম, কিছুই না হতাম,তাহলেও খারাপ লাগতো না।তখন আমি জানতামই না জন্ম আর পৃথিবী কাকে বলে,যেমন এসব জানবো না যখন মরে যাবো।

যৌক্তিক প্রশ্ন ২ > "মানুষ হয়ে যে আপনি সুখী" এর প্রমাণ কি? কিসের ভিত্তিতে সত্য এই কথা এবং কেন? সুখের অস্তিত্ব নিজে কি সুখী, কিভাবে ও কেন ? সুখ সর্ব প্রথম কোথা থেকে অস্তিত্বে এসেছে ও কেন এবং কিভাবে এসেছেন? আগেই কোথায় ছিল ? আপনি গরু ছাগল ভেড়া শুকর কুকুর হলেও যে আপনার খারাপ লাগতো না,এটি আগেই কিসের ভিত্তিতে বিশ্বাস করলেন? এটা অন্ধবিশ্বাস না? মানুষ আপনার এই কথা কেন অবিশ্বাস করবে না? আর আপনি জন্ম না নিলে, কিছুই না হলেও খারাপ লাগতো না,এটা কিভাবে জন্ম না নিয়েই অগ্রিম বিশ্বাস করলেন? আমরা জানি "ভাল-খারাপ" ব্যাপারটা তখনই আসে যখন মানুষ বেঁচে থাকে কিন্তু আপনি জন্মই যখন হবেন না তখন আপনি কিসের ভিত্তিতে, মাধ্যমে বুঝতে পারবেন যে আপনার খারাপ লাগছে না? এটি কিভাবে অন্ধবিশ্বাস হয় না ?আর আপনি মরে গেলেই যে জানবেন না পৃথিবী বলে কিছু আছে সেটার প্রমাণ কই? আপনার এসব ফালতু কথাবার্তা আমি অবিশ্বাস করলে আমার জ্ঞান বৃদ্ধি পাবে? মুমিনদের সাথে প্রমাণ চান পরকালের অস্তিত্বের অথচ সেই একই প্রমাণের ভিত্তিতে কি আপনি প্রমাণ করতে পেরেছেন পরকাল আসলেই কি নাই? 

"আমার অবিশ্বাস" অধ্যায়ঃ আমার ইন্দ্রিয়গুলো,প্রথম পরিচ্ছেদ ১৩ পৃষ্ঠায় বর্ণিত হয়েছে, মরে যাওয়ার পর কখনোই জানবো না যে আমি জন্ম নিয়েছিলাম,পৃথিবীতে ছিলাম,আমার ভাল লাগতো ভোরের আকাশ,শ্রাবনের মেঘ,হেমন্ত,নদী বা নারী,কখনোই জানবো না আমি কবিতা পড়েছিলাম,এমনকি লিখেছিলামও,কেপে উঠেছিলাম কামনায়,আজস্র বার তৃপ্ত করেছিলাম আমার কামনা এবং বহুবার পরিতৃপ্ত করতে পারিনি ।

যৌক্তিক প্রশ্ন ৩ > জানা-অজানা দুটি বিষয় তখনই আসে যখন মানুষ উপলব্ধি করতে পারে কিন্তু আপনি যখন মারা যাবেন তখন কিভাবে জানতে পারবেন না যে আপনি কখনোই ছিলেন না? অথবা ছিলেন? এই বিশ্বাসের ভিত্তি কি আপনার? আপনার ভোরের আকাশ ভাল লাগে আরও অনেক কিছুই ভাল লাগে তো সেটার প্রমাণ কিভাবে করবেন? আপনি কিসের ভিত্তিতে মুক্তমনাদের কাছে প্রমাণ করবেন যে আপনার ভাল লাগে সেসব ? সেই সত্য জানার পারফেক্ট মানদণ্ড কি ?এটা অবিশ্বাস করলে কি কারো জ্ঞান বিকশিত হওয়ার রাস্তায় বাধা পড়বে? কিভাবে এবং কেন? এসব দাবি অন্ধবিশ্বাস না কিভাবে? আপনি কামনায় কেপে উঠেন কেন? এর কারণ কোন কার্যকারণে? আপনি নিজেকে কিভাবে তৃপ্ত করেছিলেন? আর আপনি যে তৃপ্তি পেয়েছেন সেটা কিভাবে মুক্তমনারা বুঝবে কারণ তারা তো আপনার তৃপ্তিতে তৃপ্তি হয়নি তাহলে ? আপনি কাকে বহুবার তৃপ্ত করতে পারেননি, নিজেকে নাকি অন্য কাউকে সেটা পরিস্কার করে বলেননি কেন? নিজের চরিত্র লিক হয়ে যাবে বলে? যাকে আপনি পরিতৃপ্ত করতে পারেননি সে কি আপনার প্রতি কোন অভিযোগ করেছে? ডাক্তার দেখান নাই আপনি? আপনার যে সন্তান তারা কি আসলেই আপনার? ডিএনএ চেক না করিয়ে তাদের সন্তান হিসেবে বিশ্বাস করা কি অন্ধবিশ্বাস না আপনার মতে?

"আমার অবিশ্বাস" প্রথম পরিচ্ছেদ,অধ্যায়ঃ আমার ইন্দ্রিয়গুলো, ১৩ পৃষ্ঠায় বর্ণিত হয়েছে, জন্মের আগে যেমন শুন্য ছিলাম, মরে যাওয়ার পর পর আমার কাছে আমি সম্পূর্ণ শুন্য হয়ে যাবো। আমার সূচনার আগের অধ্যায় অন্ধকার,সমাপ্তির পরের পরিচ্ছদও অন্ধকার।দুই অন্ধকারের মধ্যে ক্ষণিক আলোর ঝিলিক আমি।এই ঝিলিকটুকু আমার ভাল লাগে।আমার আগের ও পরের অন্ধকার সম্পর্কে যে আমি জানি না,তা নয়:ওই অন্ধকারকে রহস্যময় বলে ভেবে আমি বিভোর নই, আমি জানি আগে কি ছিল। আমার পরে কি হবে,আমি জানি আমি কোন মহাপরিকল্পনা নই, কোন মহাপরিকল্পনার অংশ নই । আমাকে কেউ তার মহাপরিকল্পনা অনুসারে সৃষ্টি করেনি, একরাশ প্রাকৃতিক ক্রিয়ার ফলে আমি জন্মেছি, অন্য একরাশ প্রাকৃতিক ক্রিয়াকলাপের ফলে আমি মরে যাবো,থাকবো না,যেমন কেউ থাকবে না,কিছু থাকবে না - এ সম্পর্কে সন্দেহ পোষণের কোন কারণ আমি দেখি না।

যৌক্তিক প্রশ্ন ৪ > আপনাকে আগে শুন্য এরপরে অস্তিত্বে আসতে হবে এই সিস্টেম কে তৈরি করেছে যে নিয়ম এখন পর্যন্ত চলমান? কেউ যদি এই নিয়ম না বানাতো তাহলে এটা এভাবে কি নিয়ম মেনে চলতে পারতো? আপনার বিবর্তিত মস্তিস্কে এই যুক্তি বুঝার যোগ্যতা আছে? কিভাবে নিজে নিজেই অস্তিত্বে এলো এসব? আপনার শুরুর আগের অধ্যায় অন্ধকার ছিল এই কথা কিভাবে প্রমাণ করে বিশ্বাস করলেন? আপনার আগে অন্ধকার ছিল আপনি তা দেখেছেন সংশয় হচ্ছে আপনি জন্মের আগে যেখানে ছিলেনই না সেখানে আপনি অন্ধকার কিভাবে দেখলেন? আপনার কথার পক্ষে আপনি প্রমাণ দেন নাই কেন? আপনি নিজে অন্যকে প্রমাণ মেনে চলার উপদেশ নিয়ে আপনি নিজেই প্রমাণহীন বিশ্বাস করে যাচ্ছেন কেন? মৃত্যুর পরে পরকালের অস্তিত্ব অনিবার্য সত্য এমন কথা মুসলিমরা বললে আপনারা নাস্তিকরা তাদের নিয়ে কটু কথা বলেন অথচ আপনি নিজে যে দাবি করলেন আপনি কোনো মহাপরিকল্পনার অংশ না , আপনাকে কেউই সৃষ্টি করেনি,মৃত্যুর পর কিছুই হবে না- আপনার এমন বিশ্বাসের পক্ষের প্রমাণ গুলো ঠিক কোথায়? নাস্তিকরা বলে মুমিনরা পরকালের অস্তিত্বের প্রমাণ দিতে পারে না (যদিও এটা মিথ্যা কথা) তাহলে আপনারা নিজেরাই এটা প্রমাণ করে দিন যে পরকালের অস্তিত্ব নাই? শুধু দাবি করলেই কি হবে? পরকাল নাই এটা কি দাবি না? আপনি কোন প্রমাণের ভিত্তিতে জানলেন যে আপনাকে কেউ সৃষ্টি করে নাই? প্রমাণহীন এসব নাস্তিক্যবিশ্বাস করা কি অন্ধবিশ্বাস নয়? প্রকৃতি অস্তিত্ব কিভাবে এসেছেন? সেটার কারণ কোন কার্যকারণে? প্রকৃতিকে কে সৃষ্টি করেছে,তাকে কে সৃষ্টি করেছে? কেন একরাশ প্রকৃতির ক্রিয়াকলাপের ফলে মানুষের জন্ম ও মৃত্যু হবে? প্রকৃতি কেন নিয়ম মেনে চলতে বাধ্য হচ্ছে? কে বাধ্য করছে? আপনার নাস্তিক্যবিশ্বাস নিয়ে আপনার সন্দেহ নাই তাহলে নাস্তিক্যবাদ সে সত্য সেই প্রমাণ গুলো দেখিয়ে দিলেই তো হয় কিন্তু আপনারা কি সেটা প্রমাণ গুলো দেখাচ্ছেন?

"আমার অবিশ্বাস" কিতাবের ১৪ পৃষ্ঠায় বর্ণিত আছে, দোয়েল চড়ুই দেখে সুখ পাই।রাষ্ট্রপতির মুখের থেকে চড়ুইর মুখ অনেক সুন্দর, উলঙ্গ শিশুরা, ওদের পরার কিছুই নেই, মাঘের শীতে পাতার আগুনের উম নিচ্ছে দেখে সুখ পাই, সুখ পেয়ে নিজেকে অপরাধী বোধ করি।

যৌক্তিক প্রশ্ন ৫ > আপনি হুমায়ুন আজাদ যদি নাস্তিক না হতেন তাহলে আপনি যে ল্যাংটা শিশুদের দেখে সুখ পান এটাকে নাস্তিকরা শিশুকামি বানিয়ে দিতো কিন্তু কথা হচ্ছে আপনি যে অপরাধ বোধ করেন এই কথা স্বীকারের ফলে এটা নিয়ে সংশয় থেকে যায় আপনি কি আসলেই শিশুকামি ছিলেন? অবশ্য শিশুকামিতা নাস্তিক্যধর্মে ব্যক্তিস্বাধীনতা তাছাড়া শিশুর সাথে যৌনকর্মের ফলে শিশুর ক্ষতি না হলে এটারও বৈধ দেয় মুক্তচিন্তা আপনি অস্বীকার করতে পারবেন? একজন স্বাভাবিক মানুষ তো সেই শিশুদের নগ্ন দেখে তাদের কাপড়ের ব্যবস্থা করে দিবে অথচ আপনি সেখানে সেই ল্যাংটা শিশুদের শিশ্ন দেখে মনে মনে সুখ নিচ্ছেলেন, নাস্তিক হুমায়ুন আজাদ আপনি আসলেই সুস্থ আছেন? আপনি কেন সেই শিশুদের জন্য কাপড়ের ব্যবস্থা করে দিলেন না তাও আবার শীতের মধ্যে ভাবা যায়? আপনি "আমার অবিশ্বাস" কিতাবের ১৫ পৃষ্ঠায় লিখেছেন কান আপনাকে সুখী করেছে বিপুলভাবে। সংশয় হচ্ছে কান কেন সৃষ্টি করা হয়েছে? কান কোন শক্তির জন্য মানুষকে শুনতে সাহায্য করে? মানুষকে শোনার ক্ষমতা দিয়ে কানের কি লাভ? শুন্য থেকে এমন একটি অঙ্গ কেন সৃষ্টি হলো যার কারণে মানুষ শুনতে পারবে? প্রকৃতি এমন সিস্টেম কেন দিতে পারল না যে মানুষ একই সাথে চোখ দিয়ে দেখবে আর চোখ দিয়েই শুনবে? কান মানুষকে শোনানোর যোগ্যতা কিভাবে পেল ও কেন? এরকম চমৎকার কান কি শুন্য থেকে নিজে নিজেই অস্তিত্বে আসা পসিবল? একটু বিবেক দিয়ে চিন্তা করলে কি হয় নাস্তিকদের? 

"আমার অবিশ্বাস" ১৪ পৃষ্ঠায় বর্ণিত হয়েছে, আমার ইন্দ্রিয়গুলোর মধ্যে চোখ দুটিই শ্রেষ্ঠ - এ দুটি দিয়ে আমি দূর থেকে ভেতরে টেনে আনি দৃশ্যের পর দৃশ্য, সৌন্দর্যের পর সৌন্দর্য।অন্য কোন ইন্দ্রিয় দিয়ে এভাবে টানতে পারি না বাহিরকে।

যৌক্তিক প্রশ্ন ৬ > শ্রেষ্ঠ চোখ দুটি কে আপনাকে দিয়েছে এবং কেন? চোখ দিয়ে মানুষ দেখতে পারবে এই উদ্দেশ্য কে ঠিক করে দিয়েছে? চোখ কিভাবে শুন্য থেকে নিজেই তৈরি হয়েছে? চোখের মাঝে দূরের জিনিস কাছে এনে দেখার এই সিস্টেম কিভাবে নিজে নিজে সৃষ্টি হলো এবং কেন? প্রকৃতি কেন অন্য ইন্দ্রিয়কে এই সিস্টেমে শুন্য থেকে তৈরি করলো না? সৌন্দর্য কিভাবে ও কেন শুন্য থেকেই তৈরি হল? সৌন্দর্য প্রথম কেরকম ছিল এবং কেন ও কিভাবে? চোখের মতো এতো কঠিন সুন্দর জিনিস এমনে এমনে অস্তিত্বে আসতে পারলো কেন? এখন কেন আসতে পারে না? গাছের কেন মানুষের মতো চোখ হতে পারলো না?

"আমার অবিশ্বাস" ১৫ পৃষ্ঠায় বর্ণিত হয়েছে, যখন শিশু ছিলাম, কিশোর হয়ে উঠেছি যখন,তখনও আমি সব কিছু চুষে দেখতে চেয়েছি।আজো অনেক কিছু চুষে আর চেখে দেখতে ইচ্ছে করে।ছেলেবেলা ভরে ইচ্ছে হতো চুলোর লাল আগুনের টুকরোগুলোকে চুষে দেখতে, ওগুলো লাল গোলাপের থেকেও লাল হয়ে জ্বলজ্বল করতো,সূর্যাস্তকেও চুষে স্বাদ নিতে ইচ্ছে হতো,কয়েক বছর আগে সারা সন্ধ্যা চুষতে চিবুতে ইচ্ছে হয়েছিল চুইংগামের মত এক তরুণীকে।চারপাশে ছড়িয়ে আছে যে জগত,তার স্বাদ আছে,টক মিষ্টি ঝাল তেতো বিষাক্ত স্বাদ, আমি তার স্বাদ নিয়ে সুখী হয়েছি।তা ছাড়া "আমার অবিশ্বাস" বইয়ের ১৬ পৃষ্ঠায় লেখা আছেঃ কোনো কোনো নারী দেখলে ছুঁতে ইচ্ছে করে, কিন্তু ছুই না।সব ছোঁয়া অনুমোদিত নয়।ওষ্ঠ দিয়ে ছোঁয়া নিবিড়তম ছোঁয়া , আমি যা কিছু ওষ্ঠ দিয়ে ছিয়েছি তারাই আমাকে সুখী করেছে সবচেয়ে বেশি। আমাদের সমাজে ছোঁয়া খুবই নিষিদ্ধ ব্যাপার। আমরা খুব কম মানুষকেই ছুঁতে পারি , খুব কম মানুষকেই ছোঁয়ার অধিকার আছে আমাদের। ছোঁয়া এখানে পাপ। কোন নারী যদি কোন পুরুষকে ছোয় , কোন পুরুষ যদি কোন নারীকে ছোয়, তাতে সূর্য খসে পড়ে না,আকাশে হুলুস্থল শুরু হয়ে যায় না কিন্তু আমরা মনে করি মহাজগত তাতে খেপে উঠেছে।আবার "আমার অবিশ্বাস" ১৫২ পৃষ্ঠায় লেখা আছেঃ আরও কিছুকাল আমি নক্ষত্র দেখতে চাই, নারী দেখতে চাই , শিশির ছুঁতে চাই,ঘাসের গন্ধ পেতে চাই

যৌক্তিক প্রশ্ন ৭ > নারীকে কিভাবে সম্মান করতে হয় এটা কি আপনার নাস্তিক্যধর্ম আপনাকে শেখাতে পারেনি? আপনি যে সারা সন্ধ্যা এক অসহায় নারীকে চুইংগামের মতো চুষতে চাবাতে চেয়েছিলেন এটাকে খাস বাংলা আপনি নারীকে ধর্ষণ করতে চেয়েছিলেন বললে কেন ভুল হবে? আপনি কি প্রমাণ করে দিলেন না যে মুক্তচিন্তায় নারীকে ধর্ষণ করার ব্যক্তিগত স্বাধীনতা রাখা যাবে? প্রতিটি নাস্তিক নিজের বিবেক দিয়ে চিন্তা করায় স্বাধীন একইভাবে কোনো নাস্তিক কাউকে ধর্ষণ করবে কি করবে না এটা নিয়েও চিন্তা করতে স্বাধীন? আপনি কিশোর বয়সে এতই গাধা ছিলেন যে আপনি আগুনকে চুষতে চেয়েছিলেন ? আগুন যে চুষা যায় না এই সামান্য ব্যাপার আপনাকে কেউই শিক্ষায় দেয়নি? আগুনের আবার টুকরোও থাকে? বাহ আগুন শক্ত পদার্থ? নাস্তিকরা এখানে বৈজ্ঞানিক ভুল সন্ধান করে পাবে না তাই না? সূর্যাস্তকেও চুষতে চাইতেন? আপনাদের মতো প্রাণী নাস্তিক হবে না তো কারা হবে? আপনি নারীদেরকে মন থেকে সম্মান করতেন না কেন? নাস্তিক্যধর্মে কাউকে সম্মান দেয়া অথবা না দেয়া নিজের ইচ্ছা তাই? আপনি নারীকে ছুঁতে চান সেটা কেমন ছোঁয়া সেটা পাঠক বুঝে গেছে? আপনি নারীকে দেখতে চান সেটা কেমন দেখা সেটাও পাঠক জেনে গেছে? আপনি কিভাবে সারা সন্ধ্যা একটি তরুণীকে চুষতে চেয়েছিলেন ? ছিঃ ছিঃ ছিঃ ! সংশয় হচ্ছে আপনি যে নারীদের দেখতে চাইতেন ছুঁতে চাইতেন এবং চুইংগামেতর মত চুষতে চাবাতে চাইতেন এগুলো কি ধর্ষণ করার দিকে নাস্তিকদের উৎসাহিত করছে না?

"আমার অবিশ্বাস" ১৭ পৃষ্ঠায় বর্ণিত হয়েছে, তবে সব কিছুই নিরর্থক, জগত পরিপূর্ণ নিরর্থকতায়, রবীন্দ্রনাথ নিরর্থক,আইনস্টাইন নিরর্থক,ওই গোলাপও নিরর্থক,ভোরের শিশিরও নিরর্থক, তরুণীর চুম্বনও নিরর্থক, দীর্ঘ সুখকর সংগমও নিরর্থক, রাষ্ট্রপতি নিরর্থক, কেননা সব কিছুরই পরিনতি বিনাশ।

যৌক্তিক প্রশ্ন ৮ > আপনার এই বিখ্যাত ফতোয়া অনুযায়ী "আমার অবিশ্বাস" কিতাবটি পুরাপুরি বাতিল অর্থহীন হিসেবে প্রমাণ হয়ে গেছে এটা কি আপনি নিজেই ধরতে পারেন নাই? আপনি আপনার অন্ধবিশ্বাসী অনুসারীদের কেন বলেন নাই যে দুনিয়ার সব কিছুই অর্থহীন তাই আমার বলা সব কিছুই যেহেতু ফালতু তোরা কেউ আমার বই পরিস না? আপনি রবিন্দ্রনাথ, আইনস্টাইন এনাদের মত বিখ্যাত মানুষের নাম উল্লেখ করে এদের নিরর্থক দাবি করেছেন কিন্তু আপনার নাম কেন উল্লেখ করেননি ? আপনি কেন আপনার নিজের নাম উল্লেখ করে দাবি করেননি যে আপনিও অর্থহীন একজন? নিজের ধাপ্পাবাজি প্রকাশ হয়ে এই কারণে? আপনার সব কথা , আপনার সব যুক্তি অর্থহীন , এই কথা কেন স্পষ্ট করে আপনার বইতে লিখলেন না? এমনকি নাস্তিকরা ইসলামের বিরুদ্ধে যা মিথ্যা অভিযোগ করে সব গুলো নিরর্থক এটা স্বীকার করতে চান না কেন? সত্য জেনেই বা লাভ কি আর না জানলেই বা ক্ষতি কি নাস্তিক্যধর্মের দৃষ্টিতে? আমার যৌক্তিক প্রশ্ন গুলো নাস্তিকদের বিশ্বাস অনুযায়ী অর্থহীন এই কারণ দেখিয়ে নাস্তিকরা আমার প্রশ্নের উত্তর দিতে চাইবে? কি মনে হয়?

"আমার অবিশ্বাস" ১৮ পৃষ্ঠায় বর্ণিত হয়েছে, এই যে আমি বেঁচে আছি, বেঁচে থেকে সুখ পাচ্ছি । আমি মরে যাবো, এই হাস্যকর নিরর্থকতাকে কিভাবে অর্থপূর্ণ করে তুলতে পারি? আমার জীবনকে অর্থপূর্ণ করে তোলার কখন পূর্বনির্ধারিত উপায় নেই।কোন পবিত্র বা অপবিত্র বই বা কোন মহাপুরুষ বা প্রবর্তক আমাকে পথ দেখাতে পারেন না।তাঁরা খুঁজেছেন নিজেদের পথ,নিজেদের জীবনকে তাৎপর্যপূর্ণ করার পথঃ আমি তাদের পথে চলতে পারি না।আমি খুজতে চাই আমার পথ।নিজের জীবনকে তাৎপর্যপূর্ণ করার দায়িত্ব সম্পূর্ণরুপে আমার নিজের।

যৌক্তিক প্রশ্ন ৯ = আপনার জীবনকে অর্থপূর্ণ করে তোলার যখন পূর্বনির্ধারিত উপায় নেই তাহলে আমার অবিশ্বাসের মতো এমন নিন্ম মানের বই লিখে আপনি আসলে কি অর্থপূর্ণ করতে চাইছেন? আপনার জীবন যেমন আপনার কাছে অর্থপূর্ণ করে তোলার যখন পূর্বনির্ধারিত উপায় নেই এই যুক্তিতে অন্য নাস্তিকের যদি নিজের জীবন অর্থপূর্ণ করার উপায় না পেয়ে নিজের মুক্তচিন্তায় কাউকে ধর্ষণ করে, চুরি করে, ডাকাতি করে, ইসলাম নিয়ে মুক্তমনে মিথ্যাচার করে মানুষকে ইসলাম বিষয় মিথ্যা বোঝায় তাহলে এগুলো অনৈতিক হবে কেন? কোনো নাস্তিক যদি চুরি করাকে নিজের জীবনের অর্থ মনে করে তাহলে আপনার কথার সুত্রে কেন এটা অনৈতিক হবে? আপনাকে যেমন অন্য কেউ পথ দেখাতে পারে না তাহলে আপনি নাস্তিক্যবাদের পক্ষে বই লিখে কাদের পথ দেখাতে চাইছেন? আপনার গোঁজামিলময় বই পড়ে যারা আপনার মতো নাস্তিক্যবিশ্বাস গ্রহণ করেছে তারা কেন ইসলামের বিরুদ্ধে লিখে অন্যদের পথ দেখাতে চায়? তারা কি নিজের পথ নিজেরা ঠিক করার সিদ্ধান্তে স্বাধীন হতে পারবে না? নাস্তিক সাহেব আপনার এই কথাকে যদি কোনো দেশের আইন হিসেবে গণ্য করা হয় তাহলে নারীদের ধর্ষণ করা, মানুষ খুন করা, চুরি করা, ডাকাতি করা, মানুষকে ধোঁকা দেয়া, মিথ্যাকথা বলা সব কিছুই বৈধ হয়ে যায় এই যুক্তি কি আপনার বিবর্তিত মস্তিস্ক গ্রহণ করতে পারে নাই? আপনি যেমন নিজের জীবনকে সম্পূর্ণরুপে নিজের মতো তাৎপর্যপূর্ণ করতে চান একই যুক্তিতে ধর্ষকদের জীবন ধর্ষণ করে, চোরদের জীবন চুরি করে, মিথ্যুকদের জীবন মিথ্যা বলাকে যদি সম্পূর্ণরুপে নিজের জীবনকে তাৎপর্যপূর্ণ করতে চায় আপনার নিজের মুক্তচিন্তার কথা এগুলোকে বৈধতা দিচ্ছে না?

"আমার অবিশ্বাস" ১৯ পৃষ্ঠায় বর্ণিত হয়েছে, আমরা এই নিরর্থক পুনরাবৃত্তি থেকে একটুও এগোইনি , কামু বলেছেন আমাদের জীবন একই রোববারের পর সোমবার, সোমবারের পর মঙ্গলবার, মঙ্গলবারের পর বুধবার, একই নিরর্থক পুনরাবৃত্তি । এই নিরর্থকতার মুখোমুখি কিভাবে দাড়াতে পারি ? কামুর মতে একটিই সত্যিকার দার্শনিক সমস্যা রয়েছে তা হচ্ছে আত্মহত্যা । জীবন কি যাপন করার উপযুক্ত ? বেঁচে থাকার কি কোন মানে হয় ? কোন অর্থ কি আছে নিরুদ্দেশ যাত্রা লেখার বা মহাকাশে নভোযান পাঠানোর বা নারীর নগ্ন স্তন চুম্বনের বা জন্মদানের? ...................মানুষের প্রশ্নের শেষ নেই , হাজার হাজার প্রশ্ন তার,সেগুলোর কোন উত্তর নেই । মানুষ চায় সমাধান , কিন্তু সমাধান চাইতে গিয়েই মানুষ জাগিয়ে তোলে নিরর্থকতা। মানুষ যখন জীবনের অর্থ খুজতে চায় , বুঝতে চায় জীবনের অর্থ কি , তখন সে মুখোমুখি হয় নিরর্থকতার। জীবনের কোন অর্থ নেই । কোন মহৎ উদ্দেশ্য নেই । সুধীন্দ্রনাথ যেমন বলেছেন তার সার কথা পিশাচের উপজীব্য হওয়া।

যৌক্তিক প্রশ্ন ১০ > দুনিয়ার সব যদি আপনার কাছে এতোই নিরর্থক মনে হয় তাহলে আপনি এই বই লিখের আগে নিজের স্বাধীন ইচ্ছায় আত্মহত্যা করলেন না কেন? নাস্তিকতায় আত্মহত্যা করা বৈধ এটা আপনি জানতেন? তাছাড়া যেসব নাস্তিকদের টাকা পয়দা আছে এরা সবাই সব গরীবদের দিয়ে নিজেরা স্বেচ্ছায় আত্মহত্যা করে নিলেই এক সাথে একাধিক মানবিক কাজ হয়ে যায়। কিভাবে? দুনিয়ার জনসংখ্যা কমে যাবে একইসাথে গরীবদের উপকার হলো। যেসব দেশে নাস্তিক বেশি সেই দেশের সব নাস্তিকরা একত্রে এই মানবিক কাজটি করতে পারে। কি পারে না? আপনার নাস্তিক্য ফতোয়া অনুযায়ী কেউ যদি ধর্ষণ করে অপরাধ থেকে বাঁচার জন্য আত্মহত্যা করে তাহলে সেটা অন্যায় হবে কেন? আপনি কেন কামুর ফতোয়া বর্ণনা করতে গেলেন? যেখানে আপনি নিজেই বলেছেন আপনি অন্য কারো দেখানো পথে চলবেন না আবার কামুর ফতোয়া মেনে তার দেখানো পথে কিভাবে বিশ্বাস করতে পারেন? এটি কি পরস্পর বৈপরীত্য নয়? প্রশ্নের উত্তর আপনার জানা নেই এর অর্থ সেটার উত্তর নেই? প্রশ্নের উত্তর জানতে গিয়ে সত্য জেনে গেলে সেটা কিভাবে নিরর্থক হয়? জীবনের কোনো মহৎ উদ্দেশ্য নেই তাহলে একজন মানুষ আরেকজন মানুষকে সম্মান করা মহৎ কেন মনে করবে? কোনো নাস্তিক অন্য নাস্তিককে খুন করাকে কেন মহৎ না মনে করবে না? মানবতাকে কেন মহৎ মনে করতে হবে? ভালো কাজ করা মহৎ খারাপ কাজ করা মহৎ না এমন বিশ্বাস কেন করা হবে? নাস্তিকরা চায় দুনিয়াতে ইসলাম না থাকুক এই চিন্তা কি মহৎ? যদি উত্তর বলেন হ্যাঁ তাহলে এই চিন্তা করা আপনার যুক্তিতে নিষিদ্ধ। যদি বলেন মহৎ না তাহলে যেই চিন্তা মহৎ না সেই চিন্তা করা কিভাবে মহৎ হতে পারে? যুক্তি বোঝে নাস্তিকরা? বিবর্তিত প্রাণীরা কতটুকুই আর যুক্তি বুঝার যোগ্যতা রাখবে? "আমার অবিশ্বাস" ২০ পৃষ্ঠায় আপনি বলেছেন প্রত্যেকের খুঁজে বের করতে হয় নিজের পথ, তৈরি করতে হয় নিজের রাস্তা।তাহলে আমরা কেন সুধীন্দ্রনাথ এর দেখানো রাস্তায় হাঁটবো যেখানে আপনি বলেছেন নিজের জীবনকে তাৎপর্যপূর্ণ করার দায়িত্ব সম্পূর্ণরুপে আমার নিজের? নাস্তিক চোর কি নিজের পথে চলার স্বাধীনতা রাখবে না? নারীদের ধর্ষণ করা মুক্তচিন্তক কি নিজের পথে চলার স্বাধীনতা রাখবে না? হুমায়ুন আজাদ সাহেব আপনার লিখা বইতে যে কথা গুলো আছে সেগুলো কেমন নিন্ম থেকে নিন্ম পর্যায় বরং এরচেয়েও নিচে এবং যুক্তিহীন-প্রমাণহীন কথা আপনি ও আপনার অন্ধবিশ্বাসী অনুসারীরা কি সেটা এখনো বোঝেনি?

 'আমার অবিশ্বাস' ২০ নং পৃষ্ঠাঃ মানুষ অভিনয় করে যেতে থাকে, কিন্তু একদিন মঞ্চ ভেঙ্গে পড়ে। জীবনের ক্লান্তিকর পুনরাবৃত্তির চমৎকার বর্ণনা দিয়েছেন কামু এভাবেঃ জাগরণ, গাড়ি, চার ঘণ্টা কাজ, আহার, নিদ্রা , এবং সোমবার , মঙ্গলবাদ, ব্রধবার বৃহস্পতিবার, শুক্রবার এবং শনিবার একই তালে পুরাবৃত্ত - এই পথেই চলা অধিকাংশ সময়। কিন্তু একদিন দেখা দেয় 'কেন'। তখন সব কিছু মনে হতে থাকে অবসার্ড, নিরর্থক।এই নিরর্থকতার উদ্ভব ঘটে আমাদের চৈতন্য ও বিশ্বের মধ্যে যখন ঘটে সংঘর্ষ । মানুষ , কামু মনে করেন, এই নিরর্থকতাকে এড়াতে পারে না যতোদিন সে বেঁচে থাকে, তাই তাঁর মতে, অস্তিত্ব হচ্ছে 'চূড়ান্ত আশাহীনতা'।মানুষ এই নিরর্থকতাকে অতিক্রম করার কোনো উপায় দেখে না, কেননা বেঁচে থাকাই হচ্ছে নিরর্থকতা। সুধীন্দ্রনাথ এ পরিস্থিতির কথাই বলেছিলেন। 'মৃত্যু কেবল মৃত্যুই ধ্রুবসখা/ যাতনা কেবল যাতনা সুচির সাথীর হাহাকারে। এই নিরর্থকতার থেকে মুক্তির এক উপায় হল মৃত্যু: মৃত্যু পারে নিরর্থকতার সমাপ্তি ঘটাতে। তাই আত্মহত্যা একটি উপায় নিরর্থকতা থেকে মুক্তির।


যৌক্তিক প্রশ্ন ১১ > একজন মা তার সন্তানদের ভালবাসেন এটি আপনার মতে অভিনয় ? দুনিয়ার সকল মানুষ যা করছে সব অভিনয় হবে কেন? একদিন এই মঞ্চ যে ভেঙ্গে যাবে সেটি কে ভাংবে? কেন ভাংবে, কিভাবে ভাংবে? কারা ভাংবে ? কি দিয়ে ভাংবে ? আপনি যে দাবি করলেন সবাই অভিনয় করছে আপনি কি সবাইকে জিজ্ঞাসা করে এরপরে নিশ্চিত হয়েছেন? সবাই অভিনয় করলেও আপনি সেটা বলার কে? আপনি নিজের পথ নিজে মাপেন অন্যরা কি করবে নাকি করবে না এগুলো আপনি কেন ঠিক করে দেবেন? আপনি একজন মানুষ, আপনার কথা অন্য সকল মানুষ মানবে কেন? মানুষ অভিনয় করে যেতে থাকে তাহলে আপনি নিজেও কি এই কিতাব লিখে আমাদের সাথে অভিনয় করছেন না? আপনার এই লেখা যদি অভিনয় হয় তাহলে এটার ভিত্তি থাকে কিভাবে কারণ এটিও তো এক সময় ভেংগে যাবে তাহলে? আর যদি গুরুত্বপূর্ণ না হয় তাহলে এই কথা আপনি কেনই বা লিখলেন যেন মানুষ বিশ্বাস করে? কামুর বর্ণনা আপনি কোন যুক্তিতে লিখলেন? কামু কি সত্যর মাপকাঠি? ঘুমের অস্তিত্ব কিভাবে জড় বস্তু থেকে অস্তিত্বে আসতে হলো? একটি মোবাইল নিজে নিজে তৈরি হয়ে নিজের মধ্যে নিজেই চার্জ সিস্টেম তৈরি করতে পারে যদি না পারে তাহলে মোবাইল থেকে আর বেশি কঠিন ঘুম কিভাবে নিজে নিজে তৈরি হতে পারলো? সোমবার,মঙ্গলবাদ, বুধবার, বৃহস্পতিবার, শুক্রবার এবং শনিবার এসবের অস্তিত্বকে আপনি কেন বিশ্বাস করেন? এগুলোর কি আসলেই অস্তিত্ব আছে নাকি মানুষের মুখের কথা মাত্র? বস্তুবাদ দিয়ে এগুলো ব্যাখ্যা করা সম্ভব? এসব বিশ্বাস করে কি নাস্তিকরা ভাইরাসে আক্রান্ত হচ্ছে না? কুরআনে সূর্য ডুবে যাওয়ার কথা থাকলে নাস্তিকদের দৃষ্টিতে এটা নাকি বৈজ্ঞানিক ভুল অথচ আপনি দেখি নাস্তিকদের দৃষ্টিতে আর ভয়ংকর ভুল করলেন, কিভাবে? আপনি বলেছেন সময় চলে আচ্ছা সময়ের কি মানুষের মতো হাত পা আছে যে সময় চলে? নাস্তিকদের দৃষ্টিতে এটা কি বৈজ্ঞানিক ভুল না? সময়ের অস্তিত্ব কিভাবে প্রমাণ করা সম্ভব? চৈতন্য বা চেতনা কিভাবে ও কি দিয়ে প্রমান করা সম্ভব? এসবকে কে অদৃশ্যমান করে রাখছে? শুন্য থেকে চৈতন্য কিভাবে আমাদের কাছে আসলো? দরকার কি ছিল? সব কিছু যদি নিরর্থক হয় তাহলে তো আপনার এই লেখা সম্পূর্ণ অর্থহীন, যদি অর্থহীন হয় তাহলে আপনি কেন লিখলেন, এসব ভিত্তিহীন কথা? আর আপনার লেখা যদি অর্থপূর্ণ হয় তাহলে আপনার আশা কিভাবে নিরর্থক হয়? অস্তিত্বই কিভাবে আশাহীনতা হয়? মানুষ এই নিরর্থকতাকে অতিক্রম করার কোনো উপায় দেখে না প্রশ্ন হল আপনি কি দুনিয়ার সব মানুষের সাথেই দেখা করে নিশ্চিত হয়েছেন যে তাদের কাছে আর কোন উপায় নেই ? আপনার এই কথা প্রমাণ আপনি করেননি কেন? তাহলে আপনার এই কথা অবিশ্বাসযোগ্য? বেঁচে থাকাই হচ্ছে নিরর্থকতা এই কথা স্বয়ং কি অর্থপূর্ণ ? যদি অর্থপূর্ণ হয় তাহলে আপনার দাবি নিরর্থক আর যদি নিরর্থক হয় তাহলে আপনার কথা অর্থপূর্ণ কিভাবে ও কি দিয়ে হলো? এই পরস্পর বৈপরীত্য আপনি কিভাবে সমাধান করবেন? সুধীন্দ্রনাথ এর কথা কেন বর্ণনা করলেন তিনি যে সত্য কথাই বলেছেন সেটার প্রমাণ আপনি দেন নাই কেন? আত্মহত্যা করাই যে সমাধান এটি আপনি বলার কে? আপনি মানুষকে কেন আপনার পথে চলতে বলছেন? আত্মহত্যা একটি উপায় নিরর্থকতা থেকে মুক্তির আপনার এই কথা কি অর্থপূর্ণ ? যদি এটি অর্থপূর্ণ হয় তাহলে আপনার প্রথম কথা বাতিল আর যদি আপনার প্রথম কথা নিরর্থক হয় তাহলে আপনার প্রথম কথাই বাতিল হবে না কেন? আপনি কি আসলে আমার অবিশ্বাস বই মদ খেয়ে লিখেছিলেন? সত্যি করে বলেন তো?


'আমার অবিশ্বাস' ২০ পৃষ্ঠায় বর্ণিত হয়েছে, তাহলে কি আমরা আত্মহত্যা করবো? কামু, এবং সবাই বলবে ,না।আত্মহত্যা কোন সমাধান নয়। আত্মহত্যা করে নিরর্থক জীবনকে তাৎপর্যপূর্ণ করা সম্ভব নয়, তবে প্রত্যেক মানুষের জীবনেই কোনো কোনো মুহূর্ত আসে,যা তাকে আত্মহত্যা করার প্ররোচনা দেয়, কিন্তু সবাই আত্মহত্যা করে না,শুধু তারাই আত্মহত্যা করে বা সফল হয় আত্মহত্যায়, যারা হটাত জেগে ওঠা নিরর্থক প্ররোচনা কাটাতে পারে না,যেমন পারে নি জীবনানন্দের 'আট বছর আগের একদিন' - এর তরুন , যার জানালার পাশে দাঁড়িয়েছিল উটের গ্রীবার মতো এক নিস্তব্ধতা। আমি কয়েকবার আত্মহত্যাকে সমাধান হিশেবে বিবেচনা করেছি, এবং বাতিল করেছি, একবার একটি কবিতা লিখেছি ''ছাঁদ আরোহীর কাসিদা' নামে।রবীন্দ্রনাথ কি কখনো আত্মহত্যার কথা ভেবেছেন? অবশ্যই ভেবেছেন,তাঁর প্রথম দিকের কাব্য গুলোতে এর নানা দাগ দেখতে পাই।আত্মহত্যা কোন সমাধান নয়,এটা একটি আস্তিত্ত্বিক পাপ।মানুষ তার নিজের ইচ্ছায় মরবে না,বেছে নেবে না স্বেচ্ছামৃত্যু।মানুষকে মরতে হবে মিটমাট না করে, জীবন আমাদের সুন্দর জীবন।তার কোন অর্থ নেই,অর্থের দরকার নেই, জীবনের অর্থ হচ্ছে জীবন,জীবনের অন্য অর্থ নেই বলেই জীবন সুন্দর।


যৌক্তিক প্রশ্ন ১২ > প্রথমে আত্মহত্যাকে সমাধান হিশেবে বর্ণনা করে এরপরে নিজেই আবার সেটার বিপক্ষে ফতোয়া আনছেন এটি কি পরস্পর বৈপরীত্য নয়? নাকি আপনার যুক্তির অসুস্থতা লোকে ধরে ফেলবে এই ভয়ে আত্মহত্যাকে সমাধান দিতে চান নাই? কোনটি? দুনিয়ার সব মানুষই নাকি কোন এক মুহূর্তে আত্মহত্যা করতে চায় প্রশ্ন হলো আপনি কিভাবে দুনিয়ার সব মানুষের মনের খবর জেনে ফেললেন? জীবানানন্দের কোন জাগার তরুন কি করেছে সেটি দিয়ে আমাদের কি? সেই তরুন কি আপনার আদর্শ? আপনি আত্মহত্যাকে একবার সমাধান দিলেন আবার বাতিলও করলেন , ধরুন আপনি যখন আত্মহত্যাকে সমাধান দিলেন তখন ৪২০ জন নাস্তিক সমকামী আত্মহত্যা করলেন ঠিক পরের দিন আপনি আপনার আত্মহত্যা সমাধান নয় এই ফতোয়া দিলেন তখন যারা প্রথমে আত্মহত্যা করেছেন তাদের জীবন আপনি ধ্বংস করলেন এটি কিভাবে আপনি অমানবিক কাজ করলেন না? তারা তো আত্মহত্যা করেছে ঠিকই কিন্তু আপনি যে পরে উল্টা ফতোয়া দিলেন সেটি তো তারা জানতেই পারলো না এখানে 'যদির' কি সমাধান দিবে নাস্তিক ধর্ম? রবীন্দ্রনাথ আত্মহত্যা করার কথা ভাবলে যে দুনিয়ার সকল মানুষই তাই ভাববে এই বার্তা আপনার কাছে কে নাজিল করেছে জনাব? প্রমাণ কি দিয়ে করলেন, কিভাবে করলেন? মানুষ কিভাবে মরবে, নাকি মরবে না সেটি বলার আপনার কে? আপনি নাস্তিক হয়ে কেন অন্যদের নৈতিকতা দিতে চাচ্ছেন, এই চাওয়া কি নাস্তিকতাকে নাস্তিক্যধর্ম হিসেবে প্রমাণ করার জন্য যথেষ্ট নয়? প্রথমে দাবি করলেন জীবনের কোন অর্থ নেই , অর্থের দরকার নেই আবার পরে দাবি করছেন জীবনের অর্থ হচ্ছে জীবন , এখানে আপনার প্রথম দাবি সত্য হলে দ্বিতীয় দাবি মিথ্যা,আর দ্বিতীয় দাবি সত্য হলে প্রথম দাবি মিথ্যা এই বৈপরীত্য সমাধান কি দিবেন আপনি? এতো এতো বৈপরীত্য কি আপনার বেশি মদ সেবনের ফলে হয়েছে নাকি? আপনার নাস্তিক্যবিশ্বাস মতে জীবন যদি সুন্দর হয় তাহলে সেটি নিরর্থক হয় কিভাবে ? আপনি মানুষকে শুধু হতাশার দিকেই ফেলে দিচ্ছেন কেন ? আপনি কি চান না যে একজন মানুষ শান্তিপূর্ণভাবে জীবন যাপন করুক?


'আমার অবিশ্বাস' বইয়ের ২০ পৃষ্ঠাউ বর্ণিত আছে, কোনো পূর্বনির্ধারিত পথ নেই মানুষের জন্যে। কোনো গ্রন্থ পথ দেখাতে পারে না ,কোনো মহাপুরুষ বা প্রবর্তক তার জন্যে পথ প্রস্তুত করতে পারেন না, ওই মহাপুরুষেরা তৈরি করেছেন নিজেদের পথ, অন্যদের নয়।প্রত্যেককে খুঁজে বের করতে হয় নিজেদের পথ, তৈরি করতে হয় নিজেদের রাস্তা,অনেকের পথ আমাকে আলোড়িত করেছে,অনেক গ্রন্থ আমাকে আলো দিয়েছে, কিন্তু আমি ওইসব পথে চলি নি, ওই আলোতে পথ দেখি নি।


যৌক্তিক প্রশ্ন ১৩ > আপনার এই লেখাটি কি অন্যকে আলো দিতে পারে? যদি পারে তাহলে আপনার নিজের কথাই ভুল আর যদি না পারে তাহলে আপনি নিজেও কেন এই কথা দ্বারা অন্যকে আলো দেখাতে চাইছেন? অনলাইনের সমকামীরা ইসলামের বিরুদ্ধে যে মিথ্যাচার করে মানুষকে নাস্তিক্যধর্মের দিকে দাওয়াত দিচ্ছে এবং দাবি করছে যে নাস্তিকতাই মানব ধর্ম। তাহলে তারা কি আপনার এই কথার বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে আপনাকে ছোট করছে না? কোন গ্রন্থ পথ দেখাতে পারে না তাহলে সমকামীরা কেন অনলাইনে লেখা লিখি করছে? কারণ তাদের এসব লেখা যুক্ত বইও অন্যকে পথ দেখাতে পারবে না আপনার নাস্তিক্যবিশ্বাস অনুযায়ী? আপনি কেন নাস্তিকদের কখনো বলেন নাই ইসলামের বিরুদ্ধে যাতে না লিখে কারণ কেউ কাউকে আলো পথ দেখাতে পারে না? সবাইকে খুঁজে বের করতে হবে নিজেদের পথ তাহলে আপনি এই বানী কেন অন্যকে বলছেন কারণ এই বানী তো অন্যকে পথ দেখাতে পারবে না, শুধুই আপনাকেই পথ দেখাতে পারে? আপনাকে অনেক মানুষ আলোড়িত করেছে অথবা অনেক বই আলো দিয়েছে কিন্তু আপনি ঐসব পথে আলো দেখেন নি তাহলে আপনার এই ফতোয়া মাফিক আমি যদি বলি নাস্তিক অন্ধবিশ্বাসী আমাকে অনেক পথ দেখিয়েছে , তাদের অনেক লেখা আমাকে আলোড়িত করেছে কিন্তু আমি সেসবে আলো দেখিনি শুধুই অন্ধকার দেখেছি, মিথ্যা দেখেছি,ইসলাম নিয়ে নাস্তিকদেরকে প্রতারণা করতে দেখেছি, কুরআন, হাদিস নিয়ে মুক্তমনে মিথ্যাচার করতে দেখেছি, আমার সত্যের আলো দিয়ে। আপনার যুক্তিতে আমি আপনার নাস্তিক্যবাদের বিশ্বাসকে মিথ্যা প্রমাণ করে দিলাম আপনি কি মেনে নিচ্ছেন তাহলে? আপনি কি দিয়ে প্রমান করবেন যে আমার কথা সত্য হয় নি? আমার কথা ভুল হলে আপনার কথা কিভাবে সত্য হয়? নাস্তিকরা আমার ধারালো যুক্তি অনুধাবন করার যোগ্যতা রাখতে পেরেছে?


'আমার অবিশ্বাস' বইয়ের ২১ পৃষ্ঠায় বর্ণিত হয়েছে, যদি আশা করি যে জীবনের নিরর্থকতাকে অতিক্রম করতে পারবো, তাহলে জীবনকে অর্থপূর্ণ করে তুলি না,বরং আত্মহত্যা করি দার্শনিকভাবে। আশার প্রলোভন ভুললে কারো পক্ষে সৎ থাকা সম্ভব নয় ,তখন সে পরিবৃত হয় মিথ্যা দিয়ে। কামুর অবসার্ড নায়ক সিসিফাসের মতো আমরাও ঘেন্না করি মৃত্যুকে,ভালবাসি জীবনকে, মৃত্যুকেই বরণ করতে হবে অবশেষে। তার কাছেই আত্মসমর্পণ করতেই হবে।মৃত্যু ছাড়া আর কিছু সম্পর্কেই আমরা নিশ্চিত নই।


যৌক্তিক প্রশ্ন ১৪ > দার্শনিক ভাবে আপনি নিজে কেন প্রথমে আত্মহত্যা করলেন না অথবা আপনার অন্ধবিশ্বাসী অনুসারীরা এই মহান কাজ কেন করলো না? তারমানে কি আপনাদের নিজেদের ফতোয়াই আপনারা পালন করেন না? নাস্তিক্যবিশ্বাস মতে সত্য এবং মিথ্যা কাকে বলা হবে? এই সংজ্ঞা কে ঠিক করবে? কেন ঠিক করবে? কিভাবে ঠিক করবে?কারা ঠিক করবে? কি দিয়ে ঠিক করবে? একজনের কাছে যা ভাল অন্যর কাছে তা অন্যায় আবার অন্যর কাছে যা অন্যায় আরেকজনের কাছে তা ভাল তাহলে এ ক্ষেত্রে সত্য মিথ্যা কে নির্ণয় করবে? উদাহরণ আপনার এই কিতাব অনেক সমকামী অস্বীকার করে আবার অনেকে বাইবেল এর মত মনে করে, তাহলে এই ক্ষেত্রে সমাধান কি বা কে দেবে ? যুক্তি দিয়ে কি সত্য মিথ্যা যাচাই করা যায় ? কামুর অবসার্ড নায়ক সিসিফাস একজন মানুষ প্রাণী তার কথা আপনি কোন প্রমাণ দিয়ে যাচাই করে বিশ্বাস করলেন? এখানে বলেছেন মৃত্যু ছারা আপনি আর কিছু সম্পর্কেই নিশ্চিত না অথচ আপনি নিজেই আগে বলেছিলেন যে,আপনাকে কেউ তৈরি করে নাই, মৃত্যুর পরে আপনি অন্ধকার হয়ে যাবেন, আপনাকে কেউ পরিকল্পনা করে বানায় নাই এ সম্পর্কে সন্দেহ পোষণের কোন কারণ আপনি দেখেন না আবার আপনি নিজেই বলেছেন মৃত্যু ছাড়া আর কিছু সম্পর্কেই আমরা নিশ্চিত নই? কোনটি সত্য? আপনার অন্ধ অনুসারীদের মধ্যে কেউ আছে যে আমার ধারালো প্রশ্নের জবাব গুলো দিবে?


'আমার অবিশ্বাস' বইয়ের ২১ পৃষ্ঠায় বর্ণিত হয়েছে, আমরা ভয় পাই ওই চরম অন্ধকারকে,রবীন্দ্রনাথকে মনে পড়ে - যখন রোম্যান্টিককে চোখে দেখেছেন তখন প্রেমে পড়েছেন মৃত্যুর, কিন্তু বুড়ো বয়সে যখন সত্যিই মৃত্যু হানা দিতে থাকে তিনি ভয় পেতে থাকেন, তার কবিতা মৃত্যুর ভয়ে অসুস্থ হয়ে পড়ে । সিসিফাস নিয়তিকে মেনে নেয় শুধু নিয়তিকে অস্বীকার করার জন্যে, সে কখনো অসৎ নয়, সততা দিয়ে সে একরকমে তাৎপর্যপূর্ণ করে তোলে তার জীবনকে। ওই তাৎপর্য নিরর্থকতাকে লুপ্ত করতে পারে না। তবে অস্বীকার করে তার কাছে আত্মসমর্পণ করতে । আমরা নিরর্থকতার মধ্যে বন্দী হয়ে আছি কিন্তু তা মেনে না নিয়ে, আপন পথ খুঁজে, তৈরি করে সার্থক করতে পারি নিজেদের । কোনো সার্থকতাই অবশ্য সার্থকতা নয়, সব কিছুই পরিশেষে নিরর্থক, অর্থপূর্ণ শুধু দুই অন্ধকারের মাঝখানের হটাত ঝলকানিটুকু ।


যৌক্তিক প্রশ্ন ১৫ > সকলেই নাকি ভয় পায় অন্ধকার নামক মৃত্যুকে প্রশ্ন হল আপনি কি দুনিয়ার সব মানুষকে জিজ্ঞাসা করে এরপরে নিশ্চিত হলেন যে সবাই মৃত্যুকে ভয় পায়? আপনি নিজেই তো বলছেন আত্মহত্যার কথা ,অনেকেই আত্মহত্যা করে তাহলে তারা কি মৃত্যুকে ভয় পাচ্ছে? তারা যদি মৃত্যুকে ভয় না পায় তাহলে আপনি কিভাবে দাবি করছেন যে ''আমরা ভয় পাই ওই চরম অন্ধকারকে''? রবীন্দ্রনাথ এর কথার কি কোন মূল্য আছে অথবা নাস্তিক ধর্ম কি তার কথা ডিল করে? "আমরা নিরর্থকতার মধ্যে বন্দী হয়ে আছি" দুনিয়ার সব মানুষ আপনাকে বলেছে যে তারা অর্থহীন জগতে বন্দী আছে? যদি বলে তাহলে সেটি কিভাবে সম্ভব কারণ এই সময়ের মানুষের সাথে তো আপনার দেখাই হয়নি ? আর আগের সময়ে দুনিয়ার সব মানুষের সাথে দেখা করা কিভাবে পসিবল? নাকি আপনার কাছে টাইমমেশিন আছে? আপন পথ কিভাবে সন্ধান করা দরকার? কেউ যদি এ প্রশ্নের উত্তর না জানে তাহলে সে কার থেকে জানবে? একজন মানুষ কি অন্য মানুষের পথ তৈরি করতে পারে? কারণ ডারউইন বিবর্তনবাদ সত্য হলে যেমন বাঘ হরিণের জন্য কিছুই করে না তাহলে একজন মানুষ কেন অন্য মানুষকে পথ দেখাবে? সব কিছুর পরিনতি যদি মৃত্যু হয় তাহলে দুই অন্ধকারের মাঝখানের হটাত ঝলকানিটুকু কিভাবে অর্থপূর্ণ হয়? দুই অন্ধকারে যে আলো নেই সেটি আপনি কিসের মাধ্যমে নিশ্চিত জানতে পারলেন? প্রমাণ গুলো কথায় আপনার?


 'আমার অবিশ্বাস' বইয়ের ২২ পৃষ্ঠায় বর্ণিত, বিশ্বাস কয়েক হাজার বছর ধরে দেখা দিয়েছে মহামারীরূপে, পৃথিবীর দীর্ঘস্থায়ী মহামারীর নাম বিশ্বাস। বিশ্বাস কাকে বলে ? আমরা কি বলি পিঁপড়েয় বিশ্বাস করি, সাপে বিশ্বাস করি, জলে বিশ্বাস করি বা বজ্রপাতে বা পদ্মানদীতে বিশ্বাস করি? এসব এবং এমন বহু ব্যাপারে বিশ্বাসের কথা উঠে না,কেননা এগুলো বাস্তব সত্য বা প্রমাণিত। যা সত্য,যা প্রমাণিত যা সম্পর্কে কোন সন্দেহ নেই তাতে বিশ্বাস করতে হয় না,কেউ আমরা বলি না যে আমি বিদ্যুৎে বিশ্বাস করি বা রোদে বিশ্বাস করি বা গাড়িতে বিশ্বাস করি। কেননা সত্য বা প্রমাণিত ব্যাপারে বিশ্বাস করতে হয় না,বিশ্বাস করতে হয় অসত্য,অপ্রমাণিত,সন্দেহজনক বিষয়।অসত্য অপ্রমাণিত কল্পিত ব্যাপারে আস্থা পোষণই হচ্ছে বিশ্বাস।


যৌক্তিক প্রশ্ন ১৬ > আপনার “আমার অবিশ্বাস” বই আমি বিশ্বাস করবো নাকি অবিশ্বাস? যদি বলেন বিশ্বাস করতে হবে তাহলে আপনি নিজেই তো আমাদের মহামারীর দিকে ডাকছেন আর যদি বলেন অবিশ্বাস করবো তাহলে আপনার বই যেখানে আপনার যুক্তিতে বাতিল সেখানে এমন বই আপনি কেন লিখতে গেলেন? আপনি কি সুস্থভাবে চিন্তা করতে পারেন না? আপনি কি যুক্তি বোঝেন না? আপনি যেমন বললেন আমরা কি পিপড়ায় বিশ্বাস করি, সাপে বিশ্বাস করি তো এই হিসেবে আমি তো বলতে পারি আমরা কি পিপড়ায় অবিশ্বাস করি? সাপে অবিশ্বাস করি? এর অর্থ পিঁপড়া অথবা সাপের অস্তিত্ব নেই? আপনি যে দাবি করলেন 'বিশ্বাস করতে হয় অসত্য, অপ্রমাণিত , সন্দেহজনক বিষয়' এটি যে সত্য সেটার পক্ষের প্রমাণ গুলো কোথায়? আপনি কিসের মাধ্যমে প্রমাণ করলেন 'অসত্য অপ্রমাণিত কল্পিত ব্যাপারে আস্থা পোষণই হচ্ছে বিশ্বাস'? আপনার এই কথা কি বিশ্বাসযোগ্য? যদি বিশ্বাসযোগ্য হয় তাহলে তো আপনার নিজের কথাই অসত্য এবং অপ্রমাণিত হচ্ছে?


'আমার অবিশ্বাস' বইয়ের ২৯ পৃষ্ঠায় বর্ণিত হয়েছে, আকাশমণ্ডল কোনো বিশুদ্ধ পবিত্র স্থান নয়, তার সদস্যরাও কারো গৌরব প্রকাশ বা প্রচার করে না । এবং আমরা, আমাদের পৃথিবীও আকাশমণ্ডলেরই সদস্য। আমরাও ভ্রমন করে চলেছি সূর্যের চারদিকে - মহাজগতে ।


যৌক্তিক প্রশ্ন ১৭ > আপনি পুরো আকাশ ঘুরে কিভাবে বুঝলেন যে আকাশ কোনো বিশুদ্ধ পবিত্র স্থান নেই? আমি যদি একটি ঘর পুরো না দেখে এই কথা বলি যে ঘরটিতে ভালো কিছু নেই তাহলে এই কথা কি যৌক্তিক হবে? শুন্য থেকেই আকাশকেই কেন সৃষ্টি হয়ে হলো? আকাশে যদি আপনি পবিত্র স্থান না পান তাহলে আকাশের সদস্যা আছে এটা কিভাবে জানলেন? শুন্য থেকে এই সদস্য কিভাবে গঠিত হল ? অন্য রকম হল না কেন সদস্যরা? সূর্য কেন সৃষ্টি হলো ? সূর্য কেন পৃথিবীকে ধ্বংস করে দিচ্ছে না? কে এই নিয়মমত চলতে বাধ্য করছে এদেরকে? একটি শুন্য থেকে কিভাবে এত বড় সূর্য নিজে নিজেই তৈরি হলো, কি দিয়ে তৈরি হল ?মহাবিশ্ব কেন সৃষ্টি হলো? মহাবিশ্ব কি নিজেই নিজের স্রষ্টা? মহাবিশ্ব শুন্য থেকেই কেন সৃষ্টি হতেই হলো? মহাবিশ্বকে কেন কেউ বানায় নাই? মহাবিশ্বকে কেউ বানায় নাই এর প্রমাণ কি? নাস্তিকরা কোন প্রমাণের ভিত্তিতে বিশ্বাস করে স্রষ্টা নাই?


'আমার অবিশ্বাস' বইয়ের ২৯ পৃষ্ঠায় বর্ণিত হয়েছে, হেব্বইনবার্গ, বিখ্যাত পদার্থবিজ্ঞানী ও প্রথম তিন মিনিট ও চূড়ান্ত তত্ত্বের স্বপ্ন - এর লেখক, বলেছেন আমাদের চারপাশের পাথরগুলো যতোটুকু ঈশ্বরের গৌরব প্রচার করে নক্ষত্রগুলো তার থেকে একটুও কম বা একটুও বেশি প্রচার করে না ঈশ্বরের গৌরব । এগুলোর সাথে কোন সম্পর্ক নেই ঈশ্বরের , কোন দেবতার, আর সূর্য গ্রহ চাঁদ আলো বাতাস মেঘ বৃষ্টি কোন প্রভুর আশীর্বাদ নয় ।


যৌক্তিক প্রশ্ন ১৮ > আপনি প্রমাণহীন এই বিজ্ঞানীর ফতোয়া বিশ্বাস করে আপনিও কিভাবে মহামারীর স্বীকার হচ্ছেন না? বুঝলাম না তো আমি। এই বিজ্ঞানীর কথায় কি দুনিয়ার সব বিজ্ঞানীরা একমত? যদি 'হ্যাঁ' উত্তর হয় তাহলে সেটার প্রমাণ কি? আর যদি 'না' উত্তর হয় তাহলে যেখানে বিজ্ঞানীরা তার কথায় একমত নয় আপনি সেই কথা কিভাবে বিনা প্রমাণে বিশ্বাস করছেন? মানুষ আর পাথরের মধ্যে আপনি কি পার্থক্য বুঝেন, যদিও বিবর্তনে নাস্তিক ধর্মে এসব একই জিনিস অর্থাৎ উভয় দুর্ঘটনার ফসল? সৃষ্টির সাথে স্রষ্টার সম্পর্ক নেই এই কথার প্রমাণ কি? সূর্য গ্রহ চাঁদ আলো বাতাস মেঘ বৃষ্টি কোনো স্রষ্টার সৃষ্টি নয় এর পক্ষে আপনি প্রমাণ দেন নাই কেন?


'আমার অবিশ্বাস' বইয়ের ২৯ পৃষ্ঠায় বর্ণিত হয়েছে, মোহগ্রস্ত নই আমি, আমি সৎ থাকতে চাই, সিসিফাসের মতো মেনে নিতে চাই জীবনের নিরর্থকতা এবং অস্বীকারও করতে চাই নিরর্থকতাকে। কিছুতেই বিভ্রান্ত হতে চাই না, মোহের কাছে সমর্পণ করতে চাই না নিজেকে। আমি জানি পথের শেষ মৃত্যুতে। সব কামনা ও সাধনার শেষে রয়েছে নির্বিকার মাটি ও ক্ষুধার্ত আগুন,কিন্তু আমি ভেঙ্গে পড়তে চাই না।রুপময় জীবনের শেষে মানুষের এই পরিনতিকে এক অপূর্ব কবিতায় পরিণত করেছিলেন জীবনানন্দ।


যৌক্তিক প্রশ্ন ১৯ > আপনি আপনার "আমার অবিশ্বাস" কিতাবের ২৪ পৃষ্ঠায় বলেছেন পবিত্রতার কোনো বাস্তব রুপ নেই তাহলে প্রশ্ন হলো 'মোহগ্রস্ত হওয়া আর না হওয়া' এটার বাস্তব অস্তিত্ব কেমন? 'সৎ' এর বাস্তব রুপ কেরকম এবং কিভাবে এরকম ? সিসিফাস যাই বলেন সেটাই আপনি বিনা প্রমাণে কিভাবে বিশ্বাস করলেন? কেন করলেন? সিসিফাস যদি চীনের সন্ত্রাসী নাস্তিকদের মত হত তাহলেও কি আপনি সেই সন্ত্রাস নাস্তিকের কথা মেনে নিতেন? সিসিফাস কোন প্রমাণের মাধ্যমে দাবি করেছে জীবন নিরর্থক? এই প্রমানের কি ভিত্তি আছে ? এই ভিত্তি কে নির্ণয় করেছেন এবং কিসের মাধ্যমে সেই ভিত্তি সেট করেছেন, কারা করেছেন ? আপনি সিসিফাসের মতো মেনে নিতে চান জীবনের নিরর্থকতা আবার অস্বীকারও করতে চান এটি কি সংঘর্ষ বৈপরীত্য হচ্ছে না? কেউ একই সাথে কিছু মেনে আবার একই সাথে সেটি অস্বীকার করে কিভাবে ? যাদের ব্রেন কাজ করে না তারা এরকম করতে পারেন কিন্তু একজন সুস্থ মানুষ কিভাবে তা বিশ্বাস করে নিবে? আপনি আগে বলেছিলেন সবার নিজের পথ নিজেদেরই তৈরি করতে হবে তাহলে আপনি সিসিফাসের পথে কেন চলছেন? সে যা বলেই সেটাই কি আপনি বিশ্বাস করেন? সৎ কাকে বলে ? সৎ হওয়া কি যৌক্তিক ? বিবর্তনে একজন প্রাণীর সৎ হওয়া দরকারি না তাহলে একই প্রাণী মানুষ সৎ হবে কেন ? সৎ হওয়ার পিছনে যৌক্তিক কারন কি, যেখানে জীবনই নিরর্থক ? মোহগ্রস্ত সংজ্ঞা কে দিয়েছে ? তার কথার প্রমাণ কি ? মোহের কাছে সমর্পণ করা কেন খারাপ ? এটি যে খারাপ তা কে নির্ণয় করে দিয়েছে আপনাকে প্রমাণ দেন নাই কেন? ডারউইনের বিবর্তন অনুযায়ী মোহের কাছে সমর্পণ করা কেন অন্যায় হবে যৌক্তিক ভাবে প্রমাণ করুন ? মৃত্যুর পড়ে কিছুই নেই সেটি আপনি নিশ্চিত হলেন কোন প্রমাণের ভিত্তিতে একই প্রমানের আলোকে যদি কেউ মৃত্যুর পরের জীবনে স্বীকার করে তাহলে সেটি ভুল হবে কিভাবে? 'ক্ষুধার্ত আগুন' এই কথাটি কি বৈজ্ঞানিক ভাবে ভুল নয়? আগুন কি মানুষের মত খায় অথবা ক্ষুধার্ত লাগে ? আগুনের আবার ক্ষুধা কিভাবে লাগে?জীবনানন্দ যাই বলবেন সেটিই কেন ভাল হবে?


'আমার অবিশ্বাস' বইয়ের ২৯ পৃষ্ঠায় বর্ণিত হয়েছে, মৃত্যুর আগে তো আমরা অজস্র রুপ আর রসের ভেতর দিয়ে চলেছি । নির্জন খড়ের মাঠে পৌষের সন্ধায় আমরা হেঁটেছি । মাঠের পারে দেখেছি কুয়াশার ফুল ছড়িয়ে চলছে নদীর নরম নারী।


যৌক্তিক প্রশ্ন ২০ > আপনারা এত কিছু থাকতে নারীর দিকেই কেন চোখ গেল ? তাও আবার তাদেরকে বলছেন নরম নারী আপনি কি তাদের দেহে হাত দিয়ে দেখেছিলেন যে তাদের দেহ নরম ছিল ? এর আগে আপনি সন্ধায় এক তরুণীকে চুইঙ্গামের মত চাবাতে চেয়েছিলেন এটি কি আপনাদের মুক্তমনা চরিত্র? যে নারীদের দেখলে চুইঙ্গামের মত চাবাতে চান আর তাদের দেহ নিয়ে নরম নরম কথা বলেন? আপনি লুচ্চা এটা স্বীকার করে নিন না কেন? নাস্তিক্যধর্ম নারীদের কি কি সম্মান দিয়েছে?


এমডি আলী

যিনি একজন লেখক, বিতার্কিক ও গবেষক। বিভিন্ন ধর্ম ও মতবাদ বিষয় পড়াশোনা করেন। ইসলামের সত্যতা মানুষের কাছে ছড়িয়ে দিতে চান। “সত্যের অনুভূতি” উনার লেখা প্রথম বই। “ফ্যান্টাস্টিক হামজা” দ্বিতীয় বই। জবাব দেবার পাশাপাশি নাস্তিক মুক্তমনাদের যৌক্তিক সমালোচনা করে থাকেন।

Previous Post Next Post