নাস্তিক্যধর্ম নিয়ে আমার সংশয় এবং ২৫ টি প্রশ্ন।


বিষয়ঃ নাস্তিক্যধর্ম নিয়ে আমার সংশয় এবং ২৫ টি প্রশ্ন

লিখেছেনঃ এমডি আলী

=====================

কিছু কথাঃ নাস্তিকতাই মানব ধর্ম। একমাত্র মুক্তির পথ। দুনিয়ার সকল মানুষ নাস্তিক্যধর্ম বিশ্বাস করলে মুক্তি পাবে বিশ্বাস করা প্রতিটি নাস্তিকের কাছে আমার কিছু প্রশ্ন রয়েছে। প্রশ্ন গুলো জবাব নাস্তিক্যধর্ম দিয়ে সমাধান করা নাস্তিকদের দায়িত্ব। নাস্তিকরা যদি নিজের বিবর্তিত মগজ থেকে সমাধান দেয় তাহলে অন্য যে কেউই তার উল্টো সমাধান দিতে পারে তাই নাস্তিক্যধর্ম থেকেই সমাধান দেয়া যুক্তিযুক্ত। নাস্তিকরা বিশ্বাস করে প্রতিটি মানুষের প্রশ্ন করার স্বাধীনতা রয়েছে। নাস্তিক্যধর্মকে প্রশ্ন করতে হবে। নাস্তিকদের পোষণ করা অন্ধবিশ্বাসকে প্রশ্ন করতে হবে। নাস্তিক্যধর্মের দৃষ্টিতে সমাধান চাইতে হবে। কেউ যদি এটি না পারে তাহলে মুক্তচিন্তা এবং সংশয়বাদের দৃষ্টিতেও সমাধান পেশ করতে পারে। এটাও যদি না পারে তাহলে ডারউইনিজমের দৃষ্টিও সমাধান পেশ করতে পারে।

অদ্ভুত অন্ধকার চারদিক। সেখানে একঝাঁক সাহসী তরুণ আলোর মশাল নিয়ে এগিয়ে চলছে জোরকদমে,আমি তাদেরই একজন। আলো নিয়ে সামনে এগিয়ে যেতেই হবে। বরং দ্বিমত হও , আস্থা রাখো দ্বিতীয় বিদ্যায়। বরং বিক্ষত হও প্রশ্নের পাথরে। বরং বুদ্ধির নখে শান দেও,প্রতিবাদ করো,অন্তত আর যাই করো,সমস্ত কোথায় অনায়াসে সম্মতি দিও না। কারণ জ্ঞান যেখানে সীমাবদ্ধ, বুদ্ধি সেখানে আড়ষ্ট, মুক্তি সেখানে অসম্ভব।

প্রশ্ন গুলো মন দিয়ে পড়তে থাকুনঃ

 প্রশ্ন ১ = মানবিকতা কাকে বলা হবে? কেন বলা হবে? কি দিয়ে প্রমাণ করা যাবে মানবিকতা কি? এক মুক্তমনা যেই সমাধান দিবে তা কি অন্য মানুষ মেনে নিতে বাধ্য হবে? চূড়ান্তভাবে মানবতা তাহলে কি দিয়ে নির্ণয় করা যাবে? এবং কেন?

প্রশ্ন ২ = পৃথিবীতে প্রানের উৎপত্তির শুরু কোথায়, কবে ও কেন? প্রথমে প্রাণের লিঙ্গ কি ছিল নারী নাকি পুরুষ? প্রাণ অদৃশ্য অস্তিত্বে কেন? প্রাণ প্রথমে শুরু হয়ে কেন সাথে সাথে ধ্বংস হয়ে গেলো না? প্রাণের বিবর্তন কিভাবে হওয়া শুরু করেছিল প্রথমে? বিবর্তিত হবার আকার আকৃতি কেমন ছিল?

প্রশ্ন ৩ = কোনো কিছু নেই থাকার বদলে কোনো কিছু কেন আছে? কিভাবে অস্তিত্বে থাকতে পারছে বস্তু গুলো?

 প্রশ্ন ৪ = একই বীর্য হতে রক্ত,মাংস ,হাড়, চক্ষু ,কর্ণ,জিহ্বা,ত্বক ও নাসিকা জ্ঞানের এই পঞ্চ ইন্দ্রিও কিভাবে সৃষ্টি হলো? দরকার কি ছিল? দরকার না হলেই বা কেন সৃষ্টি হলো? এদের কার্য প্রণালি বিভিন্ন না হয়ে অভিন্ন হলো না কোন কার্য কারণে? এগুলো কিভাবে সময় অনুযায়ী টিকে থাকতে পারছে?

প্রশ্ন ৫ = মহাবিশ্ব কোথা থেকে এলো? কেন এলো? সৃষ্টির শুরু কোথায় ও কেন? কোনো উদ্দেশ কি নাই? যদি উদ্দেশ্য না থাকে তাইলে মানবতা দিয়া লাভ কি? সবাই সবার নিজের মতো মানবতা বানিয়ে চললেই তো হয়? ভালো খারাপের বিধিবিধান কেন? সৃষ্টি জগত কেন একটিই নিয়মের অধীনে চলছে? একাধিক নিয়মে চললে সমস্যা কি?

প্রশ্ন ৬ = মহাবিশ্ব শুন্য থেকে কিভাবে আসতে পারে? দরকার কি? মহাবিশ্বর নিজের প্রতি কি তার কন্ট্রোল আছে? যদি না থাকে তাহলে কার কন্ট্রোলে আসতে সে বাধ্য হয়েছিল? যদি কন্ট্রোল থাকে তাহলে এই মুহূর্তে কেন সে আবার চলে যেতে পারছে না অর্থাৎ ধ্বংস হচ্ছে না? এর পিছনের শক্তি কি আছে কেউ? নাকি নাই? না থাকলে কেন এমন সিস্টেম চলছে কয়েক হাজার বছর ধরে? বিরক্তকর না ব্যাপারটা?

প্রশ্ন ৭ = প্রকৃতি সৃষ্টি করলো কে? প্রকৃতি আগে কি ছিল,কেন ছিল কিভাবে ছিল? কেন প্রকৃতি থেকে সব হল? প্রকৃতি থেকে সব হওয়ার দরকার কি,না হলেই বা ক্ষতি কি? সব কিছু প্রকৃতি থেকে হয়েছে সেটার প্রমাণ কি?

প্রশ্ন ৮ = যারা জন্ম অন্ধ,বোবা,বিকলাঙ্গ,তাদেরকে কেন প্রকৃতি ঠিক করতে পারল না? প্রকৃতির ভুল হল,কেন?শিশু,কিশোর,যৌবন,পৌর্,বৃদ্ধ প্রকৃতি কেন এই নিয়ম মানে বা কেন মেনে চলছে বাধ্য হয়ে? অথবা প্রকৃতি কেন এই সিস্টেম চালু করেছে এবং ঠিক কবে থেকেই এবং কেন ? যেহেতু নিজে নিজে সব করে তাহলে উল্টা পাল্টা হয়না কেন?

প্রশ্ন ৯ = সব কিছু কি নিজে নিজে সৃষ্টি হয়েছে?যদি বলেন নিজে নিজেই তাহলে প্রশ্ন হল তুমি কি নিজেই নিজের স্রষ্টা? একটি মাছি কিভাবে নিজে নিজে তৈরি হয়েছে? শিশু আলো বাতাস ছাড়া কিভাবে বেঁচে থাকে মায়ের পেটে আর পৃথিবীতে কেন সে আলো বাতাস ছাড়া বাচতে পারে না? শিশু মায়ের পেটে যে স্টাইলে বেঁচে থাকে প্রকৃতি কেন সেই একই স্টাইলে দুনিয়াতে করতে পারল না? প্রকৃতি কেন নিজের নিয়ম ত্যাগ করতে পারছে না?

প্রশ্ন ১০ = ডিমের মাঝে মুরগীর প্রাণ কিভাবে প্রবেশ করল ? ডিম আগে নাকি মুরগি আগে? মুরগির বাচ্ছা একটি দুর্গ সদৃশ ডিম থেকে বের হয়ে সে তার শত্রু মিত্রকে চিনতে সক্ষম হয় তাই সে চিল,কাকের আক্রমণের সময় মায়ের ডানায় আশ্রয় নেয়। যে বাচ্ছা ডিমের ভিতর কোন দানাপানি দেখেনি, সে বের হয়ে এসেই নিজের খাদ্য চিনতে পারে, ডিমের ছিদ্রহীন বধ্য ঘরে এই বাচ্চাটি এতসব কিভাবে,কোথায়, কেন শিখল, জানল ,চিনল? ডিম থেকেই কেন বাচ্চা বের হয় ডিম ছাড়া নিজে নিজেই কেন আমাদের চোখের সামনে বাচ্চা হয় না? মুরগী কেন সৃষ্টি হয়েছে? মুরগী কেন বাচ্চা জন্ম দেয়? প্রকৃতিতে এমন সিস্টেম হল না কেন যে কাঁঠাল গাছে নিজে নিজে নিজেই শুন্য থেকে একটি মুরগী বাচ্ছা জন্ম নিতে পারবে? এত বিশাল মহাবিশ্ব শুন্য থেকে হতে পারলে সামান্য একটি মুরগীর বাচ্চা শুন্য থেকে কাঁঠাল গাছে জন্ম নিয়ে পারছে না কেন? কে হতে দিচ্ছে না এগুলো?

 প্রশ্ন ১১ = মানুষের মাথায়  বুদ্ধি আসতে হলো কেন? বুদ্ধি নিজে কোন বুদ্ধি থেকে এসেছে ? তাকে কে বুদ্ধি দিয়েছে? জ্ঞান আছে তার আকৃতি কেমন? জ্ঞান নিজে আসলে কি জ্ঞানী, কিভাবে এবং কেন? দরকার কি? বুদ্ধির উৎপত্তি সর্ব প্রথম কোথায় হয়েছিল এবং কিভাবে? এর কার্যকারণ কোন কার্যকারণে? মানুষকে বুদ্ধিমান হতে হলো কেন যেখানে বাঘ, সিংহ , বানর এদের চেতনা কেন মানুষের মত হলো না? প্রকৃতি কি বুদ্ধিমান? মহাবিশ্ব কি বুদ্ধিমান? বস্তু কি বুদ্ধিমান?

প্রশ্ন ১২ = আপনার যে শীত,গরম, ব্যাথা ,ক্ষুধা লাগে,তোমার যে শক্তি আছে,তুমি খাবারের স্বাদ পাও,গ্রান নাও,তুমি আনন্দ-দুঃখ অনুভব,তোমার ইচ্চা,ভয়,এগুলোর আকৃতি কেমন? বাতাস দেখতে কেমন? বাতাস যদি থেকেই থাকে তাহলে দেখা যায়না কেন? বাতাসের ক্ষেত্রফল কত ? বলতে পারেন বাতাসের ক্ষেত্রফল হয় না কারণ লেনস ও প্রস্থ না থাকলে ক্ষেত্রফল হয়না প্রশ্ন হলো কেন হয়না? না দেখে এগুলো নাস্তিকরা কেন বিশ্বাস করে? এগুলো বিশ্বাস করলে অন্ধবিশ্বাস হয় না?

প্রশ্ন ১৩ = হৃদয়/মন থাকা কি বেশি জরুরি? কেন ? হৃদ্যয় মন এসবের কি অস্তিত্ব আসলেই আছে? পরকাল,আখিরাত এসব দেখা যায় না বলে তারা অবিশ্বাসের উপর বিশ্বাস এনেছে সেখানে হৃদ্যয় মন কেন না দেখে বিশ্বাস করে? কেন চিন্তাজগত অদৃশ্য হলো?  এরমানে কি অদৃশ্যর জগত অথবা অদৃশ্য বলে কিছুই নেই? অথচ মনের ব্যাপারটি সার্বজনীন স্বীকৃত নয়? 

প্রশ্ন ১৪ = একজন মানুষের জন্য হৃদ্যয় মন থাকতে হবে এর অস্তিত্ব মহাবিশ্ব কিভাবে বুঝলো শুন্য থেকে? প্রয়োজন কি? হৃদ্যয় মনের গুরুত্বহীন হলেই বা কি লাভ বা ক্ষতি? মহাবিশ্বর সাথে মানুষের হৃদ্যয় মন এর কি রিলেশন আছে?

প্রশ্ন ১৫ = চোখে দেখার ক্ষমতা, মুখে কথা বলার ক্ষমতা,চিন্তা করার ক্ষমতা,নিজ শক্তি,মানুষ কিভাবে কার কাছ থেকে নিল? চিন্তা করার ক্ষমতা একমাত্র মানুষেই কেন পেল? অন্য প্রাণী কেন পেলনা মানুষের মতো চিন্তা করতে? আপনি মানুষ কেন? কেন আপনি পুরুষ বা মহিলা হলেন? কেন চোখ দিয়ে দেখা যায়? কান দিয়ে কেন শুনা যায়? কেন নাক দিয়ে গ্রান নেয়া যায়? কেন বিবেক দিয়ে চিন্তা করা করা যায়? আপনার ডান হাত, ডান হাত হলো কেন আর বাম হাত বাম হলো কেন? এরকম নিয়ম মেনে শুন্য থেকে অস্তিত্ব আসা আসলেই সম্ভব? কেন মাটির অস্তিত্বমাটি হলো?কলা কেন আপেল হলো না? আপেল কেন কলা হলো না? আর কাঁঠাল কেন কাঁঠাল হল? এতো নিয়ম মেনে অস্তিত্ব থাকার যৌক্তিক কারণ গুলো কি? কারণ গুলো যে সত্য সেটার প্রমাণ কি দিয়ে নিশ্চিত হয়েছেন? এসব কেন দরকার? প্রকৃতি কেন মানুষের জন্য এই বস্তু সমূহ সৃষ্টি করল এবং কেন ? এসব বস্তু সর্ব প্রথম কেরকম অস্তিত্বে ছিল? সেই অস্তিত্বর কার্যকারণ কি ছিল এবং কেন ? শুন্য থেকে কারণহীন কেন এসব সৃষ্টি হতে পারে? এখন কেন শুন্য থেকে সেসব তৈরি হতে পারে না , এখন কেন জ্যামে আছে তারি? প্রথমেই বা শুন্য থেকে কেন সৃষ্টি হল ?

 প্রশ্ন ১৬ = বিষুবীয় রেখা, কর্কটক্রান্তি রেখা ,মকরক্রান্তি রেখা। না দেখে এসব রেখাগুলা কেন বিশ্বাস করা হয়? এগুলো না দেখে বিশ্বাস করা কি অন্ধবিশ্বাস না? কয়জন নাস্তিক এগুলো নিজের চোখে যাচাই করে এরপরে বিশ্বাস করেছে? নাকি অন্যের কথা মেনে বিশ্বাস করেছে মাত্র?

প্রশ্ন ১৭ = ২টা হাইড্রোজেন, ১টা অক্সিজেন এর সাথে মিলে পানি তৈরি হবে কেন? কেনই পানিই তৈরি করল আগুন কেন তৈরি করল না? ২টা হাইড্রোজেন , ১টা অক্সিজেন এর সাথে মিলে কেন মানুষ তৈরি হতে পারবে না? পরমানু বলে কিছু আছে কি? যদি থাকে তবে কি আপনি দেখেছেন ? বলতে পারেন বিজ্ঞানিরা দেখেছে, কে কে দেখেছে? তারা দেখেছে তাই তারা বিশ্বাস করে? কিন্তু আপনি তো দেখেন নি? আপনে না দেখে তাদের কথা কেন বিশ্বাস করেন? এগুলো নিজের চোখে না দেখে বিশ্বাস করা আপনাদের অন্ধবিশ্বাস না? বিজ্ঞান নিজে কোন বিজ্ঞান দ্বারা প্রমাণিত সত্য? সেটার ভিত্তি কি এবং কেন ও কিভাবে প্রমাণিত হয়েছে? সেই বিজ্ঞানীর গবেষণার সত্যতায় সকলেই একমত?

প্রশ্ন ১৮ = গাছের মাধ্যমেই কেন ফল হয় নিজে নিজেই কেন ফল হয় না? গাছ থেকে যে আম হয়,কাঁঠাল হয়,ইত্যাদি ফল হয় এই সুন্দর ফল,গাছ কার থেকে নেয় এবং কেন এতে গাছের লাভ কি? গাছ কখনো ফল তৈরি করার প্রশিক্ষণ নিয়েছে? তাহলে গাছ কিভাবে এটি পারে? আম গাছে কাঁঠাল হয় না কেন? কাঁঠাল গাছে আম হয় না কেন? নিজে নিজেই যদি গাছ ফল দিতে সক্ষম তাহলে সে কেন তা পারেনা?

প্রশ্ন ১৯ = ফুল ও তার রং এতো সুন্দর হয় কেন?সে নিজেকে কিভাবে সুন্দর করলো? কেন ও কিভাবে নিজের গায়ে নিজেই রং দিলো? মানুষকে তার গ্রান দিয়ে ফুলের কি লাভ?ফুল কেনই সৃষ্টি হল?পৃথিবীতে যা কিছু আছে তা একটা আরেকটার সাথে সম্পর্ক যেমনঃ গাছ ছাড়া মানুষ বাঁচে না,মানুষ ছাড়া গাছ বাঁচে না,সূর্য ও চাঁদের সম্পর্ক,এই ভাবে অনেক সম্পর্ক একটি আরেকটির আছে। প্রশ্ন হল এই সম্পর্কের ধারা কিভাবে এতো বছর ধরেও বহাল থাকতে পারছে? এসব বস্তু তো বুদ্ধিহীন?

প্রশ্ন ২০ = প্রকৃতি কেন এর বাইরে যায় না বা যেতে পারে না? শুরুতে পৃথিবী ছিল? এই শুরুটা করেছিল কে? তারা কেন পৃথিবীর মধ্যে প্রবেশ করতে পারছে না? পৃথিবী কেন সূর্যের মধ্যে চলে যাচ্ছে না এই মুহূর্তে? মানুষের কেন মৃত্যু আগে হয়ে পরবর্তীতে জন্ম হয়নি? এভাবে হয়নি কেন?

প্রশ্ন ২১ = সূর্যের মাধ্যমে আমরা দেখতে পাই, চাঁদের মধ্যমে আমরা রাতে দেখতে পাই, এই সিস্টেম কেন সৃষ্টি হল? কে সৃষ্টি হল ? না হলে কি ক্ষতি হতো? এবং সেই ক্ষতি সামাল দিতে কেন এই সিস্টেম শুন্য থেকে তৈরি হল ? আর মানুষ ও প্রাণীদের কেন এই সুবিধা দেয়া হলো? এতে সূর্য ও চাঁদের লাভ কি?

প্রশ্ন ২২ = শীত কালে গাছের পাতা ঝরে যায় আবার গরম কালে গাছের পাতা গজায়। প্রকৃতি কেন এই নিয়ম ভাঙ্গে না অথবা মানে? অথবা এই নিয়ম মানতে প্রকৃতি বাধ্য কেন?

প্রশ্ন ২৩ = মানুষ গাছ থেকে অক্সিজেন পায় কেন? আর গাছ কার্বনডাই-অক্সাইড পায় মানুষ থেকে কেন পায়? এই সিস্টেম কবে থেকে সৃষ্টি হতে হলো? এর বিপরীত হলো না কেন?  প্রকৃতি কেন এই নিয়ম মানে? বাধ্য করছে কে তাকে? শুন্য কিভাবে মহাবিশ্ব এবং প্রকৃতিতে বাধ্য করতে পারে? অক্সিজেন কেন সৃষ্টি হয়েছে? শুন্য থেকে এমন চমৎকার বস্তু নিজে নিজে সৃষ্টি হতে পারে?

প্রশ্ন ২৪ = সূর্য কেন ঠাণ্ডা হয়ে যেতে বাধ্য না? একই মাটিতে পাশাপাশি অবস্থান করেও ফুল কেন নানা রং ধারন করে? কিভাবে পারে? বিভিন্ন ফল বিভিন্ন রং ও স্বাদ নিয়ে উৎপন্ন হয়? তেতুল কেনই টক? মধু কেনই মিষ্টি? চন্দ্র সূর্য কেন নিজ নিজ কক্ষপথে প্রদক্ষীণ করে?  ঋতু কেন পরিবর্তন হয়? চুম্বক লোহাকে আকর্ষণ করে কেন? আগুন কেন জ্বলে? এগুলো কেউ নিয়ন্ত্রিত না করলে এগুলো ভিন্ন ভিন্ন হতে পারে না কেন? এগুলো কেন নিয়ন্ত্রিত বস্তু? নিজেরা কেন অস্তিত্বে থাকতে পারছে?

প্রশ্ন ২৫ = দুনিয়াতে সত্যের অস্তিত্ব কিভাবে সত্য? এটা কিভাবে নিশ্চিত প্রমাণ করা যাবে? মানুষের যে সত্য জানতে হবে এই চিন্তা যে সত্য সেটার প্রমাণ কিভাবে নির্ণয় করা যাবে? প্রাণীজগতের সবাই পশু তাহলে সত্য জেনে লাভ কি? মৃত্যুর পরবর্তীতে কিছুই নেই তাহলে নিজের মতো জীবন বিধান সেট করে যা ইচ্ছে তাই করলে কেন খারাপ হবে? চুরি করা, ডাকাতি করা এগুলোর মুক্তচিন্তা করলে কেন অপরাধ হবে? অপরাধের ধারণাটি কেন থাকতে হবে? ভালো খারাপ কেন থাকতে হবে? সব ধ্বংস হলেই বা ক্ষতি কি? যুক্তি কি বিবেক কিভাবে সত্য মানদণ্ড হবে? অদৃশ্যের অস্তিত্ব ও দৃশ্যমান অস্তিত্ব কেন অস্তিত্বে থাকতে পারছে এখন পর্যন্ত? চিন্তার করার ক্ষমতা অদৃশ্য কেন হলো? 

এমডি আলী

যিনি একজন লেখক, বিতার্কিক ও গবেষক। বিভিন্ন ধর্ম ও মতবাদ বিষয় পড়াশোনা করেন। ইসলামের সত্যতা মানুষের কাছে ছড়িয়ে দিতে চান। “সত্যের অনুভূতি” উনার লেখা প্রথম বই। “ফ্যান্টাস্টিক হামজা” দ্বিতীয় বই। জবাব দেবার পাশাপাশি নাস্তিক মুক্তমনাদের যৌক্তিক সমালোচনা করে থাকেন।

Previous Post Next Post