বিষয়ঃ কুরআনের ভবিষ্যৎবাণীর নিশ্চিত সত্যতা
লিখেছেনঃ এমডি আলী
=======================================
সূচনাঃ আজকে আমি কুরআনের এমন একটি ভবিষ্যৎবাণীর কথা তুলে ধরবো যেটা খুবই বিপদজনক ছিল অর্থাৎ বাহ্যিকভাবে মুশরিকদের দৃষ্টিতে সত্য না হবার সম্ভাবনাই বেশি ছিল কিন্তু এরপরেও সত্যই প্রতিফলিত হয়েছে। কাফেররা নিশ্চিত ছিল কুরআনের এই ভবিষ্যৎবাণী সত্য হবে না তাই মুসলিমদের সাথে বাজি পর্যন্ত ধরেছিল। কুরআনকে ভুল প্রমাণ করতে, নবী মোহাম্মদ (সা)কে মিথ্যা প্রমাণ করতে বাজি ধরেছিল যে রোমরা জিততেই পারবে না। কিন্তু নাস্তিকদের প্রিয় কাফের মোশরেকরা তাদের দাবি প্রমাণ করতে তো পারেইনি। উল্টো কুরআনের নিশ্চিত ভবিষ্যৎবাণী সত্য প্রমাণ হয়ে নবী মোহাম্মদ (সা) এর নবুয়তের সত্য এমনকি ইসলামই যে একমাত্র সত্য জীবন বিধান সেটা প্রমাণ হয়ে গিয়েছে। কি বিশ্বাস হচ্ছে না? একটু পরেই হবে। মন দিয়ে পড়তে থাকতে হবে।
চলুন পাঠক ইতিহাস থেকে আপনাদেরকে ঘুরিয়ে নিয়ে আসি। চমৎকার ঘটনা পড়তে নিজেকে প্রস্তুত করুন। নিজেকে কল্পনা করুন সেই মুহূর্তে ঘটনা গুলোকে অনুভব করতে। সত্য গ্রহণ করার জন্য নিজের হৃদয়কে বিশুদ্ধ রাখুন। ইমানের স্বাদ ডারউইনবাদের কুসংস্কার থেকে মুক্তি দেয়। ইমানের স্বাদ নাস্তিক্যধর্মের অন্ধবিশ্বাস থেকে মুক্তি দেয়। ইমানের স্বাদ নির্লজ্জ মুক্তচিন্তা থেকে মুক্তি দেয়। ইমানের স্বাদ সকল ভ্রান্ত ও বাতিল রাস্তা থেকে মুক্তি দেয়।
কুরআনের ভবিষ্যৎবাণীর সেই আয়াতগুলোঃ
আল কুরআন, ৩০ঃ ১ থেকে ৬ আয়াতে বর্ণিত হয়েছে,
আলিফ লাম মীম। রোমানগণ পরাজিত হলো,এক নিকটবর্তী স্থানে এবং তারা তাদের এ পরাজয়ের পর শিঘ্রই জয়লাভ করবে। তিন হতে নয় বা দশ বৎসরের মধ্যে; পূর্বেও ফয়সালা আল্লাহ তা’লারই ছিল এবং পরেও। আর ঐদিন মুমিনগণ আনন্দিত হবে। আল্লাহ তা’লার এ সাহায্যের দরুন তিনি যাকে ইচ্ছা বিজয়ী করে দেন এবং তিনি প্রবল পরাক্রান্ত, পরম দয়াময়। এটা আল্লাহর অঙ্গীকার, আল্লাহ স্বীয় অঙ্গীকার ভঙ্গ করেন না, কিন্তু অধিকাংশ লোকই অবগত নয়।
আয়াতটি মন দিয়ে পড়ুন। পড়েছেন? কুরআনে পরিস্কার করে বলা হচ্ছে রোমানগণ তিন হতে নয় বছরের মধ্যে জয়লাভ করবে। আসুন পুরো প্রেক্ষাপট সহ বিস্তারিত জেনে আসি।
জামে আত তিরমিজি, হাদিসঃ ৩১৯৩, সহিহ হাদিস থেকে বর্ণিত,
ইবনু আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃআল্লাহ তা'আলার বাণীঃ (অনুবাদ) আলিফ, লাম, মীম। রোমকগণ নিকটবর্তী ভূখণ্ডে পরাজিত হয়েছে” এ আয়াত প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এতে দুই রকমের ক্বিরাআত আছে, “গুলিবাত” (পরাজিত হল) এবং “গালাবাত” (বিজয়ী হল)। তিনি আরো বলেন, মুশরিকরা চাইত যে, পারস্য শক্তি রোমান শক্তির উপরে জয়ী হোক। কেননা (মক্কার) মুশরিকরা এবং পারস্যের অধিবাসীরা উভয়ে ছিল পৌত্তলিক। আর মুসলিমরা আকাঙ্ক্ষা করত যে, রোমান শক্তি পারস্য শক্তির বিরুদ্ধে বিজয়ী হোক। কেননা তারা ছিল আহলে কিতাব। তারা ব্যাপারটি আবু বাকর (রাঃ)-এর সামনে উল্লেখ করলে তিনি তা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম-কে জানান। তিনি বললেনঃ অচিরেই রোমান শক্তি পারস্য শক্তির উপরে বিজয়ী হবে। আবু বাকর (রাঃ) এ কথা তাদের নিকট উল্লেখ করলে তারা বলল, আপনি আমাদের ও আপনার মাঝে এর একটি সময়সীমা নির্দিষ্ট করুন। এ সময়সীমার মধ্যে আমরা যদি বিজয়ী হই তবে এত এত মাল আমাদেরকে দিতে হবে। আর যদি আপনারা বিজয়ী হন তবে আমরা আপনাদেরকে এই এই পরিমাণ মাল দিব। তিনি পাঁচ বছরের সময়সীমা নির্দিষ্ট করেন। কিন্তু এ সময়ের মধ্যে কোন বিজয় সূচিত হল না। লোকেরা তা নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর নিকট উল্লেখ করলে তিনি বললেনঃ হে আবূ বাকর!, তুমি কেন আর কিছু বেশি সময়সীমা ধার্য করলে না? বর্ণনাকারী বলেন, আমার মনে হয় তিনি দশ বছরের কাছাকাছি সময়ের কথা বলেছেন।সাঈদ (রহঃ) বলেন, ‘বিযউ’ শব্দের অর্থ দশের চেয়ে কম। বর্ণনাকারী বলেন, পরবর্তীকালে রোমান শক্তি বিজয়ী হল। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেনঃ এটাই আল্লাহ তা'আলার বাণীঃ “আলিফ, লাম, মীম...ইয়াফরাহুল মুমিনুন বিনাসরিল্লাহ" এর তাৎপর্য। সুফইয়ান বলেন, আমি শুনেছি, রোমান শক্তি ঠিক বদরের যুদ্ধের দিন পারস্য শক্তির উপরে বিজয়ী হয়।-ihadis.com
জামে আত তিরমিজি, হাদিসঃ ৩১৯৪, হাসান হাদিস থেকে বর্ণিত,
নিয়ার ইবনু মুকরাম আল-আসলামী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃতিনি বলেন, যখন অবতীর্ণ হলঃ (অনুবাদ) “আলিফ, লাম, মীম; রোমকরা নিকটবর্তী ভূখণ্ডে পরাজিত হয়েছে; তাদের এই পরাজয়ের পর অচিরেই কয়েক বছরের মধ্যে তারা বিজয়ী হবে", তখন পারস্য শক্তি রোমকদের উপর প্রভুত্ব করছিল। মুসলিমরা আকাঙ্ক্ষা করত যে, রোমক শক্তি পারস্য শক্তির বিরুদ্ধে বিজয়ী হোক। কেননা মুসলিমরা ছিল আহ্লে কিতাব এবং রোমান খৃষ্টানরাও ছিল আহলে কিতাব। এ বিষয়ে আল্লাহ তা'আলা বলেনঃ “সেদিন আল্লাহ্র দেয়া বিজয়ে মুমিনগণ আনন্দিত হবে। তিনি যাকে ইচ্ছা সাহায্য করেন। তিনি মহা পরাক্রমশালী পরম দয়াময়।” কুরাইশরা চাইতো যে, পারস্যশক্তি বিজয়ী হোক। কেননা এ দুই গোত্রের কেউই আহলে কিতাব ছিল না, তারা আখিরাতের প্রতিও বিশ্বাসী ছিল না। আল্লাহ তা'আলা এ আয়াতগুলো অবতীর্ণ করলে আবু বাকর সিদ্দীক্ব (রাঃ) মক্কার অলিতে গলিতে ঘুরে ঘুরে উচ্চ কণ্ঠে ঘোষণা করেনঃ আলিফ, লা-ম, মী-ম। রোমান শক্তি নিকটবর্তী অঞ্চলে পরাজিত হয়েছে। তাদের এ পরাজয়ের পর অচিরেই কয়েক বছরের মধ্যে তারা বিজয়ী হবে।” কুরাইশদের একদল লোক আবু বকর (রাঃ)-কে বলল, আমাদের ও তোমাদের মাঝে একটি চুক্তি হোক। তোমার সাথী রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন যে, রোমানরা কয়েক বছরের মধ্যেই পারস্য শক্তির উপরে বিজয়ী হবে। আমরা এ বিষয়ে তোমাদের সাথে বাজি রেখে মাল বন্ধক রাখি না কেন? আবূ বাকর (রাঃ) বলেন, ঠিক আছে। বর্ণনাকারী বলেন, বাজি হারাম ঘোষিত হওয়ার পূর্বে এই চুক্তি হয়েছিল। আবূ বাকর (রাঃ) এবং মুশরিকরা বাজি ধরে বাজির মাল আলাদা করে রেখে আবু বাকর (রাঃ)-কে বলল, আপনি বিযউ-কে কত নির্ধারণ করতে চান? এ তো তিন হতে নয় বছর পর্যন্ত বুঝা যায়। আপনি আমাদের এবং আপনার মধ্যে একটি মধ্যবর্তী সময় নির্দিষ্ট করুন। আমরা উভয়ে ততক্ষণ পর্যন্ত অপেক্ষা করব। বর্ণনাকারী বলেন, তারা নিজেদের মধ্যে ছয় বছরের সময়সীমা নির্ধারণ করে। বর্ণনাকারী বলেন, ছয় বছর পার হয়ে গেলেও কিন্তু রোমানরা পারসিকদের উপর বিজয়ী হয়নি। অতএব মুশরিকরা আবু বাকর (রাঃ)-এর অর্থ নিয়ে নিল। কিন্তু সপ্তম বছরে রোমানরা পারসিকদের বিরুদ্ধে জয়লাভ করে। মুসলিমরা আবু বকর (রাঃ)-এর ছয় বছর বরাদ্ধ করাটাকে দোষারোপ করল। কেননা আল্লাহ তা'আলা "কয়েক বছরের মধ্যেই” বলেছেন। বর্ণনাকারী বলেন, এ সময় (ভবিষ্যদ্বাণী সত্য হলে) অনেক মানুষ ইসলাম গ্রহণ করে।-ihadis.com
তাফসীরে ইবনে কাসীর, ডঃ মুজিবুর রহমান অনুবাদ,১৫ খণ্ড, ৬১৩ পৃষ্ঠায় বর্ণিত হয়েছে,
অন্য এক রেওয়ায়েতে রয়েছে যে, মুশরিকরা এ আয়াত শুনে হযরত আবু বকর (রা)কে জিজ্ঞেস করে “এ ব্যাপারেও কি তুমি তোমাদের নবী (সা)কে সত্যবাদী বলে বিশ্বাস করো? তিনি উত্তরে বলেন, হ্যাঁ। তিনি সত্য কথাই বলেছেন। অতপর শর্ত করা হলো এবং মেয়াদ নির্ধারিত হলো। এরপর মেয়াদ শেষ হয়ে গেলো। কিন্তু রোমকরা বিজয় লাভ করতে পারলো না। রাসুল (সা) এই শর্তের কথা জানতে পেরে মনঃক্ষুণ্ণ হন এবং হযরত আবু বকর (রা)কে বলেন তুমি কেন এ কাজ করতে গেলে? উত্তরে তিনি বললেন, আল্লাহ ও তাঁর রাসুলের সত্যবাদিতার উপর ভরসা করেই আমি একাজ করেছি। রাসুল (রা) তখন তাঁকে বললেন, যাও সময় বাড়িয়ে দশ বছর করে নাও। যদি তাতে শর্তের মূল্য বাড়াতে হয় তবুও। তিনি গেলেন। মুশরিকরা তা মেনে নিলো এবং সময় বাড়িয়ে দশ বছর করে দিলো। অতপর দশ বছর পূর্ণ না হতেই রোমকরা পারসিকদের উপর বিজয় লাভ করলো। মাদায়েন পর্যন্ত তাদের সেনাবাহিনী পৌঁছে গেল। সেখানে তারা তাদের বিজয় পতাকা উড়িয়ে দিলো। হযরত আবু বকর (রা) কুরায়েশদের নিকট হতে শর্তের সম্পদ নিয়ে রাসুল (রা)এর নিকট হাযির হলেন। রাসুল (রা) তাঁকে ঐ সম্পদ সাদকা করে দেয়ার নির্দেশ নিলেন।
পাঠক উপরের বর্ণিত ঘটনা গুলো মন দিয়ে পাঠ করে কি অনুধাবন করতে পারলেন? যেখানে রোমানদের উপরে পারস্য শক্তি প্রভুত্ব করছিল এমনকি রোমানদেরকে পুরো নাকানিচুবানি দিচ্ছিল ঠিক সেই সময়ে কুরআন নিশ্চিতভাবেই বলে দিচ্ছে রোমানরা কয়েক বছরের মধ্যেই জয়লাভ করবে। হযরত আবু বকর (রা) কাফেরদের সাথে বাজি পর্যন্ত ধরে। সময়সীমা নির্ধারণ করতে একটু অসচেতন হন অর্থাৎ উনি ছয় বছর ধরেন কিন্তু ছয় বছরের মাথায় যখন ভবিষ্যৎবাণী প্রতিফলিত হয়নি এটা নবীজি (সা)কে জানানো হলে উনি দশ বছর পর্যন্ত সময় বৃদ্ধি করতে বলেন এবং দশ বছরের মধ্যেই সেটা সত্য প্রমাণিত হয়ে যায়। নবী মোহাম্মদ (সা) কিভাবে এটা নিশ্চিত হতে পেরেছিলেন যে দশ বছরের আগেই রোমানরা পারস্যকে হারিয়ে দিবে? আবু বকর (রা) ঠিক সময় নির্বাচন করেননি ফলে নবীজি (সা) উনাকে সংশোধন করে দিয়ে বেশি সময় নির্ধারণ করতে বলেন এবং সেই সময়ের মধ্যেই কুরআনের দেয়া নিশ্চিত ভবিষ্যৎবাণী বাস্তব সত্য প্রমাণিত হয়। প্রশ্ন হচ্ছে এতো নিশ্চিতভাবে এতো বিপদজনক ভবিষ্যৎবাণী কিভাবে সত্য হয়ে গেলো? রোমানরা সেই সময় ছিল খুবই দুর্বল এমনকি পারস্যরা রোমানদের উপর পুরো রাজত্ব করতেছিল বলা যায় অথচ কুরআন বলে দিল রোমানরা পারস্যকে হারিয়ে দিবে। কিভাবে সম্ভব হলো? নবী মোহাম্মদ (সা) কিভাবে এটা জানলেন যে রোমানরা পারস্যকে হারিয়ে দিবে?
নিজেকে প্রশ্ন গুলো করতে থাকুন। এই অকাট্য কুরআনের মোজেজা দেখে সেই সময় অনেক অনেক অমুসলিম ইসলাম গ্রহণ করেছিল। একবার চিন্তা করুন তো আপনি লেখা গুলো পড়ছেন আর সেই সময় ইসলামের দুশমনরা তা নিজ চোখে দেখেছিল। নিজেদেরকে আর থামিয়ে রাখতে পারেনি ইসলামের সত্যতার সামনে নিজেকে বিলিয়ে দিয়েছে। আপনি নিজেকে সেই সময়ে কল্পনা করে লেখা গুলো পড়তে থাকুন আর প্রশ্ন গুলো নিজেকে করতে থাকুন। এরপরেও যদি সত্যকে নিজ চোখে দেখে স্বীকার করতে না পারেন তাহলে আমার এখানে কিছুই বলার নাই। মৃত্যুর পরবর্তী সময়ে আপনার জবাবদিহিতা আপনি দিবেন, আমি না। মুশরিকরা পর্যন্ত নিশ্চিত ছিল যে কুরআনের সেই ভবিষ্যৎবাণী সত্য হবে না এই কারণে তারা মুসলিমদের সাথে বাজি ধরেছিল। যদি কুরআন সত্য হয় তারা এই এই দিবে আর যদি কুরআন মিথ্যা হয় তাহলে মুসলিমরা তাদেরকে এই এই দিবে। অথচ দেখুন কুরআনের ভবিষ্যৎবাণীই সত্য হয়েছে। নবীজি (সা) এর কথাই সত্য প্রমাণিত হয়েছে। আল্লাহর দেয়া ওয়াদা সত্য প্রমাণিত হয়েছে। এরপরেও কেউ যদি সত্য না পায় তাহলে আমার কিছু বলার নাই।
আল কুরআন, সুরা মুহাম্মদ ৪৭ঃ২৪ আয়াত থেকে বর্ণিত,
তারা কি কোরআন সম্পর্কে গভীর চিন্তা করে না? না তাদের অন্তর তালাবদ্ধ?
কুরআনের সত্যতা চিন্তাশীল মগজধারীদের ইসলাম গ্রহণ করতে বাধ্য করে। আমি নিজের চিন্তাশীল মগজকে ধোঁকা দিতে পারি না নাস্তিকদের মতো মিথ্যাচার করে। কুরআন আমাকে চিন্তা করতে বাধ্য করে। কুরআন আমাকে চিন্তা করতে উৎসাহিত করে। কুরআনের অকাট্য মোজেজাকে অস্বীকার করার কোনো সুযোগ নেই ইসলামকে ঘৃণাকারীদের কাছে। এই কথা বলারও কোনো সুযোগ নেই যে এটা কাকতালীয় হয়ে গিয়েছে কারণ কুরআনের আয়াতেই সুস্পষ্ট করে বলা যে এটা আল্লাহর অঙ্গীকার, আল্লাহ স্বীয় অঙ্গীকার ভঙ্গ করেন না। সুতরাং কুরআনের বলা ভবিষ্যৎবাণী যে সত্য হবেই এটা কুরআনের মালিক স্বয়ং আল্লাহ নিজেই তা বর্ণনা করে দিয়েছেন। নিশ্চিতভাবেই। সত্য হবেই। সুতরাং কোনো সংশয় নেই।
আরও বিস্তারিত জানতে পড়ুনঃ
তাফসীরে জালালাইন, ৫ খণ্ড, ২৬ থেকে ২৯ পৃষ্ঠা।
তাফসীরে আনওয়ারুল কুরআনম ৫ খণ্ড, ১৭ থেকে ২২ পৃষ্ঠা।
তাফসীরে মাজহারী, ৯ খণ্ড,২৭১ থেকে ২৭৪ পৃষ্ঠা
তাফসীরে আহসানুল বয়ান,৭০৪ পৃষ্ঠা।
তাফসীরে মাআরেফুল কুরআন,১০৩৭ পৃষ্ঠা।