বক্ষ সংকুচিত ও কুরআনের মোজেজা

====================================

বিষয়ঃ বক্ষ সংকুচিত ও কুরআনের মোজেজা

লিখেছেনঃ এমডি আলী

====================================


সূচনাঃ কুরআনের মোজেজা নাস্তিকরা কখনো খণ্ডন করতে পারেনি। চেষ্টা করেছে কিন্তু সেই চেষ্টা করতে গিয়ে যা বলেছে তা খুবই হাস্যকর। যারা বুদ্ধিমান। যারা চিন্তাশীল। যারা সত্যবাদী। যারা বিনয়ী। যারা দূরদর্শী। তারা কুরআনের অকাট্য মোজেজা দেখে সত্যকে মাথা পেতে নিতে জানে কিন্তু যারা অহংকারী। যারা হিংসুক। যারা মিথ্যাবাদী। যারা চিন্তাহীন। যাদের বিবর্তিত জন্তুর মগজ। তাদের কাছে যুক্তি, প্রমাণ, জ্ঞান, বিশ্লেষণ সহ সত্যকে বুঝিয়ে দিতে চাইলেও তারা কখনো সত্যের সামনে নিজেকে আত্মসমর্পণ করবে না। এটাই বাস্তবতা। এটাই বাস্তব কথা। কুরআনের অকাট্য মোজেজা অনুধাবন করা জানতে হবে সততার সাথে, বিনয়ের সাথে। কিন্তু মিথ্যুকহিংসাযুক্ত হৃদয় দিয়ে কুরআনের মোজেজা কখনো অনুধাবন করা যাবে না।


কুরআনের সেই আশ্চর্য আয়াতটিঃ


আল কুরআন, সুরা আনআম, ৬ঃ১২৫ আয়াত থেকে বর্ণিত,

 

অতপর আল্লাহ যাকে পথ প্রদর্শন করতে চান, তার বক্ষকে ইসলামের জন্যে উন্মুক্ত করে দেন এবং যাকে বিপদগামী করতে চান তার বক্ষকে সংকীর্ণ অত্যধিক সংকীর্ণ করে দেন যেন সে সবেগে আকাশে আরোহণ করছে। এমনিভাবে যারা বিশ্বাস স্থাপন করে না আল্লাহ তাদের উপর আযাব বর্ষণ করেন। - অনুবাদঃ তাফসীরে মাআরেমুল কুরআন (সংক্ষিপ্ত তাফসীর)


আয়াতটি খুব মন দিয়ে পড়ুন। যেই তথ্যটি এখানে আশ্চর্য করে দিচ্ছে আমাদেরকে। সেটা হচ্ছে বক্ষ সংকীর্ণ করে দেন যেন সে সবেগে আকাশে আরোহণ করছে। আয়াতটি নিশ্চিতভাবে আমাদেরকে বলছে আকাশে আরোহণ করলে বুক সংকীর্ণ হয়ে যায়। প্রশ্ন হচ্ছে বুক কখন সংকুচিত মনে হয়? যখন আমরা ঠিক মতো অক্সিজেন নিতে পারি না তখন। প্রাচীনকালে নবী মোহাম্মদ (সা) এর পক্ষে কিভাবে সম্ভব এটা জানা যে আকাশে আরোহণ করা হলে সেখানে বুক অত্যধিক সংকীর্ণ হয়ে আসে? উনি কি আকাশে উড়ে গিয়ে চেক করে এসেছিলেন কখনো? তাহলে? মরুভূমির আশেপাশে যার অবস্থান। তীব্র রোদের যন্ত্রণা। যেখানে প্রযুক্তি নেই,নেই গবেষণা। সেখানে এমন তথ্য কিভাবে প্রথম চান্সেই কেউ বলে দিতে পারে? এটাকে কাকতালীয় বলা হবে? এরকম আরও আশ্চর্যজনক অকাট্য মোজেজা রয়েছে সেসবকেও কাকতালীয় বলতে হবে? কাকতালীয় এতবার কিভাবে হতে পারে?


নাস্তিকায়খৃষ্টান্ধরা কুরআনের সত্যতাকে ধামাচাপা দেবার জন্য গোঁজামিল দিয়ে বলে থাকে,


বায়ু সংকোচনযোগ্য, তাই উচ্চ উচ্চতায় বাতাসের ওজন নিম্ন উচ্চতায় পাওয়া বাতাসকে সংকুচিত করে, এটিকে ঘন করে তোলে। একজন ব্যক্তি যখন পাহাড়ে ভ্রমণ করেন, বায়ু কম সংকুচিত হয় এবং তাই পাতলা হয়। এর ফলে বায়ুর নির্দিষ্ট আয়তনে কম অণু উপস্থিত হয়। সুতরাং নবী মোহাম্মদ (সা) তো পাহাড়ে উঠতো তাই সেখানে নিঃশ্বাস কম পাওয়া যাবে এটাই স্বাভাবিক। সেহেতু এটা অনুমান করে উনি কুরআনে লিখে দিয়েছে। তাছাড়া প্রাক-ইসলামী আরবরা ছিল যাযাবর যারা পুরো আরব উপদ্বীপের চারপাশে ঘুরে বেড়াত। তাই এটা প্রায় নিশ্চিত যে উচ্চতায় অক্সিজেনের অভাব রয়েছে আর এমন ঘটনার সম্মুখীন তারা হয়ে থাকবে। আর নবী মোহাম্মদ (সা) যাযাবরদের থেকে এটা শুনে কুরআনে লিখে দিয়েছে।


বিশ্বাস করেন পাঠক এমন গোঁজামিল পড়ে আমি আমার হাঁসি আটকিয়ে রাখতে পারিনি।এই হচ্ছে ইসলাম দমনকারীদের যুক্তির অবস্থা কুরআনের মোজেজাকে খণ্ডন করতে। সত্যিই হাস্যকর। হাঁসি পায় এদের এমন কথা পড়লে। প্রথম কথা হচ্ছে আয়াতে পাহাড়ের কোনো কথাই নেই। সরাসরি আকাশে আরোহণের কথা বলা হয়েছে। মরুভূমিতে বসবাস করা সাধারণ একজন মানুষের পক্ষে সেই প্রাচীন সময়ে আকাশে আরোহণের কথা চিন্তা করাও তো অবাস্তবের মতো কথা, তার উপরে আবার এটা নিশ্চিত করে বলতে পারা যে আকাশে আরোহণের ফলে নিঃশ্বাস নেয়া যায় না ফলে বুক সংকীর্ণ হয়ে আসে এটা তো আরও অসম্ভব কথা। অথচ নবী মোহাম্মদ (সা) প্রথম চান্সেই বলে দিয়েছেন। কিভাবে সম্ভব? তাছাড়া সৌদি আরবের সব থেকে উঁচু পাহাড় হচ্ছে জাবালে সাউদা। সেখানে উঠলেও তো অক্সিজেনের কোনো সমস্যা হয় না। স্বাভাবিকভাবেই সেখানে অক্সিজেন নেয়া যায়। একটি ভিডিও দিচ্ছি। ভিডিওটি দেখুন (১) যেখানে নাস্তিকদের আত্মীয়স্বজনরা পর্যন্ত নিঃশ্বাস নিচ্ছে। কোনো সমস্যা হচ্ছে না।


তর্কের খাতিরে যদি ধরেও নেই নবী মোহাম্মদ (সা) আরবের সব থেকে উঁচু পাহাড়ে উঠেছিলেন তারপরেও এটা প্রমাণ করা যায় না যে নবীজি (সা) জানতেন আকাশে আরোহণ করা হলে বুক এঁটে আসবে। কারণ আকাশ পাহাড় থেকে অনেক অনেক উঁচুতে আর আকাশে আরোহণ করা সেই প্রাচীনকালে অসম্ভব ব্যাপার। এতো প্রচিনকালে কোনোভাবেই জানা সম্ভব না যে আকাশে আরোহণ করলে নিঃশ্বাস নেয়া যায় না। বরং যৌক্তিকভাবে বলা যায় নবী মোহাম্মদ (সা) যদি কুরআন লিখতেনই তারপরেও উনি এই তথ্য কোনোভাবেই লিখতেন না কারণ উনি তো নিজেই দেখেছিলেন যে পাখিরা আকাশে উড়ে আর পাখিদের নিঃশ্বাসের সমস্যা হয়না আর বুক এঁটে আসার কথাও এখানে আসে না। খুব গভীরতার সাথে খেয়াল করলে দেখবেন কুরআন যেই তথ্যটি দিচ্ছে সেটা সম্পূর্ণ অকাট্য এবং অলৌকিক একটি ব্যাপার। কারণ আকাশে আরোহণ করা হলে বাতাসের উচ্চ দূরত্বের ফলে বুকের টানটানতা এবং শ্বাসরোধের অনুভূতি হয়। আরোহণ যত বাড়বে, ততই নিবিড়তা এত জটিল এবং কঠিন পর্যায়ে পৌঁছে যে শ্বাস-প্রশ্বাস আর সম্ভব হয় না। এ কারণে দেখবেন মহাকাশযানের মতো আকাশে ওঠার সময় অক্সিজেন সিলিন্ডার নেওয়া হয়। কুরআনের সেই আয়াতটি মন দিয়ে পড়ুন তো আরেকবার।


তার বক্ষকে সংকীর্ণ অত্যধিক সংকীর্ণ করে দেন যেন সে সবেগে আকাশে আরোহণ করছে


যারা কুরআনের সত্যতাকে স্বীকার করতে চাচ্ছে না তাদের কাঁধে যে প্রশ্ন গুলো থেকে যাবে। নবীজি (সা) কবে গবেষণা করেছিলেন আকাশের উচ্চতায় অক্সিজেন আছে কি নেই? যাযাবরদের কাছে উনি কবে? এবং কোথায় জিজ্ঞেসে করেছিলেন আকাশে নিঃশ্বাস নেয়া যায় কি যায় না? আকাশে আরোহণ করা যায় কি যায় না? মানুষ আকাশে আরোহণ করতে পারে? সাহাবাদের কাছেই বা কবে বলেছিলেন তোমরা আকাশে উড়ে গিয়ে দেখে আসো সেখানে নিঃশ্বাস নিতে সমস্যা হয় কি হয় না? ইসলাম বিদ্বেষীরা বলেছে যাযাবর যারা পুরো আরব উপদ্বীপের চারপাশে ঘুরে বেড়াত। প্রশ্ন হচ্ছে কোন কোন যাযাবর এটা জানত যে আকাশের মধ্যে এমন মুহূর্ত রয়েছে যেখানে উঠলে নিঃশ্বাস না নেবার ফলে বুক সংকীর্ণ হয়ে আসে? তাদের নাম গুলো কি কি? সেই যাযাবরদের সাথে নবীজি (সা) এর দেখা হয়েছিল তার প্রমাণ কি? আকাশে আরোহণ ও ইত্যাদি বিষয়ে সেই যাযাবরদের সাথে নবী মোহাম্মদ (সা) কথোপকথনের প্রমাণ গুলো কোথায় বর্ণিত হয়েছে? ঘটনার বিশুদ্ধতার প্রমাণ কি? সেই যাযাবরদেরকে নবীজি (সা) কবে? কোথায়? এবং কোন সময়ে জিজ্ঞেস করে এটা নিশ্চিৎ হয়েছিলেন আকাশে আরোহণ করলে নিঃশ্বাস নেয়া যায় না? সেই যাযাবররাই বা কেন নবী মোহাম্মদ (সা) কে বলতে যাবে আকাশে আরোহণ করলে নিঃশ্বাস নেয়া যায় কি যায় না? সৌদির সব চেয়ে উঁচু পাহাড়ে উঠলেও যেখানে অক্সিজেন নিতে সমস্যা হয় না সেখানে যাযাবররাই বা কিভাবে নিশ্চিত হবে যে আকাশে আরোহণ করলে বুক সংকীর্ণ হয়ে আসে? আর আকাশে আরোহণ করা হলে অক্সিজেনের অভাবে বুক এঁটে আসবে এমন কথাই বা তারা কেন ভাবতে যাবে? তর্কের খাতিরে ধরেও যদি নেয়া হয় পাহাড়ে উঠলে নিঃশ্বাসের সমস্যা হতে পারে যাযাবরদের কিন্তু এরপরেও তো এটা নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না যে আকাশে আরোহণ করলেও নিঃশ্বাস নেয়া যায় না? পাহাড়ে উঠা আর আকাশে আরোহণ করে আসা দুটোই কি একই বিষয়? 


সততার সাথে ইসলাম দমনকারীরা যদি আমার বর্ণিত যৌক্তিক প্রশ্ন গুলোর দলীল ভিত্তিক জবাব দিতে পারেন আমার আপত্তি থাকবে না আমার এই লেখাটি মুছে দেবার।  


কুরআনের আয়াতটি কখন অবতীর্ণ হয়?


তাফসীরে জালালাইন, ২ খণ্ড, ৩১০ পৃষ্ঠায় বর্ণিত হয়েছে,

 

আল্লামা বাগবী হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা) এর উদ্ধৃতি দিয়ে বর্ণনা করেছেন এ আয়াত হযরত হামযা (রা) এবং আবু জাহেল এর সম্পর্কে নাজিল হয়েছে। ঘটনা হয়েছিল এই যে আবু জাহেল হুজুর (সা) এর পৃষ্ঠ মোবারকে উটের নাড়িভুঁড়ি রেখে দিয়েছিল। হযরত হামযা (রা) তখন শিকার থেকে প্রত্যাবর্তন করেছিলেন। তিনি এ সংবাদ পেয়ে সরাসরি আবু জাহেলের নিকট রাগান্বিত অবস্থায় পৌঁছলেন। তার অবস্থা দেখে আবু জাহেল অত্যন্ত বিনয়ের সঙ্গে বলল, দেখুন মোহাম্মদ (সা) আমাদের সম্মুখে কি পেশ করেছে। আমাদের উপাস্যদের গালি দিচ্ছে। আমাদের পূর্বপুরুষদের বিরোধিতা করছে। তখন হামযা (রা) বলেছিলেন তোমার চেয়ে বড় আহাম্মক আর কে হবে? তুমি আল্লাহ পাককে বাদ দিয়ে পাথরের পূজা কর। আমি বিশ্বাস করি যে আল্লাহ পাক ছাড়া কোনো মাবুদ নেই এবং হযরত মোহাম্মদ (সা) আল্লাহর বান্দা এবং রাসুল। তখন এ আয়াত নাজিল হয়। ইকরিমা এবং কালবী (র) বলেছেন এ আয়াত নাজিল হয়েছে আম্মার ইবনে ইয়াসির এবং আবু জাহেল সম্পর্কে।


যখন কুরআনের উক্ত আয়াতটি নাজিল হয় তখন, না নবী মোহাম্মদ (সা) পাহাড়ের উপরে ছিলেন আর না আকাশে আরোহণ অবস্থায় ছিলেন আর না এই বিষয় গবেষণা করতেছিলেন। নবীজি (সা) কখনো এই বিষয় গবেষণা করেছিলেন কিনা তার কোনো প্রমাণই নেই। নবী মোহাম্মদ (সা) এর পক্ষে কখনো এটা নিশ্চিতভাবে জানা সম্ভবই না যে নিঃশ্বাসের সমস্যার কারণে বুক সংকীর্ণ হয়ে আসবে যখন আকাশে আরোহণ করা হবে। মহাবিশ্বের প্রকৃত অদ্বিতীয় স্রষ্টা আল্লাহর পক্ষেই এমন তথ্য নবীজি (সা)কে জানিয়ে দেয়া সম্ভব। এটাই অকাট্য যৌক্তিক কথা। অস্বীকার করার সুযোগ নেই। 


আর সৌদি আরবের সব চেয়ে বড় উচ্চতার পাহাড় হচ্ছে জাবালে সউদা (২)। যার উচ্চতা হচ্ছে 3015 m(মিটার) অর্থাৎ ৯৮৯১ ফিট। এতটুকু উচ্চতায় শ্বাসকষ্ট টেরও পায় যায় না। স্বাভাবিকভাবেই অক্সিজেন নেয়া যায়। স্বাভাবিক মানুষের ৮০০০ থেকে ১২০০০ ফিট পর্যন্ত এবং ১২০০০ থেকে ১৮০০০ ফিট পর্যন্তও অক্সিজেনের সমস্যা হয় না (৩)। যে কোনো সুস্থ স্বাভাবিক মানুষ এতো ফিটে সহজেই উঠতে পারবে। সেইখানে সৌদিতে বড় উচ্চতার পাহাড় ১২০০০ ফিটেরও কম। আমার নিজের মামা যিনি ভ্রমণ করতে খুব পছন্দ করেন। সময় পেলেই ভ্রমণ করতে চলে যান বিভিন্ন দেশ-বিদেশে। নেপালের অন্নপূর্ণা পাহাড়ের বেস ক্যাম্পে বন্ধুদের নিয়ে উঠেছিলেন। কতটুকু উচ্চতায় উঠেছিলেন জানেন? পাহাড়ের ১৩৫৫০ ফিট উঁচু স্থানে উঠেছিলেন। অক্সিজেন নিতে সেখানে তেমন কোনো সমস্যা হয়নি উনাদের।


তর্কের খাতিরে যদি নবী মোহাম্মদ (সা) সৌদির সব থেকে উঁচু পাহাড়ে জাবালে সউদায় উঠেছিল ধরেও নেয়া হয় এরপরেও এটা প্রমাণ করা সম্ভব না যে নবীজি (সা) এর সেই পাহাড়ে উঠে শ্বাসকষ্ট হয়েছিল। যৌক্তিকভাবে এটা বলতে বাধ্য হতে হচ্ছে যে নবীজি (সা) পক্ষে এটা নিশ্চিতভাবে জানা সম্ভবই না যে আকাশে আরোহণ করলে এমন সিচুয়েশন আসে যেখানে গেলে শ্বাস নেয়া যায় না ফলে বুক এঁটে আসে। আকাশের দিকে উঠতে গেলে যতই উপরের দিকে উঠবেন ততই অক্সিজেনের পরিমান কমতে থাকবে। ফলে শ্বাস নিতে কষ্ট হবে। ফলে রক্তে অক্সিজেন কমে যাবে। এবং এ কারণে ফুসফুস সংকুচিত হবে। ঐ প্রাচীনকালে উড়োজাহাজ আবিষ্কৃত হয়নি। সুতরাং আকাশে আরোহণ করলে যে বুক সংকীর্ণ হয়ে আসে সেই যুগে এটা কল্পনা করাও ছিল প্রায় অকল্পনীয়। আল্লাহ ছাড়া আর কে তাহলে নবীজি (সা) কে এই নিখুত তথ্যটি দিতে পারেন? নিজেকে প্রশ্ন করতে থাকুন হয়তো সত্যের দরজা আপনার জন্য খুলে যাবে। সৎ হিম্মতটুকু লাগবে শুধু সেই দরজায় প্রবেশ করতে ব্যাস। আর কোনো বাধা নেই।


উপসংহারঃ  সততার সাথে চিন্তা করলে কুরআনের মোজেজায় আশ্চর্য হতে আমরা বাধ্য। কিন্তু যারা হিংসুক তারা এগুলো দেখে চিন্তা করবে না। ভাবতে শিখবে না। তারা নিজেদের অহংকারের কারণে, নিজেদের নোংরা পেশার কারণে কুরআনের সত্যতা দেখেও দেখবে না। চিনেও চিনবে না। কারণ কুরআনের আইন মেনে নিলে তো আর মুক্তচিন্তায় নির্লজ্জতামি করা যাবে না। কিন্তু আমরা যারা চিন্তাশীল তারা ঠিকই বিনয়ের সাথে যৌক্তিকভাবেই কুরআনের সত্যতা দেখে চিনতে নিব। আর সত্য স্বীকার করবো যে ইসলাম সত্য সেটা নিয়ে যৌক্তিক কোনো সংশয় নেই।


রেফারেন্সমালাঃ


[১] সৌদি আরবে সবচেয়ে উঁচু পাহাড় নাম হলো সওদা السوده

https://www.youtube.com/watch?v=MpKhAzZyLDs


[২] The 10 highest mountain peaks in Saudi Arabia, some of which exceed 3,000 meters in height:https://www.arabiaweather.com/en/content/the-10-highest-mountain-peaks-in-saudi-arabia-some-of-which-exceed-3000-meters-in-height

[৩] Outdoor Action Guide to High Altitude: Acclimatization and Illnesses:https://www.princeton.edu/~oa/safety/altitude.html



এমডি আলী

যিনি একজন লেখক, বিতার্কিক ও গবেষক। বিভিন্ন ধর্ম ও মতবাদ বিষয় পড়াশোনা করেন। ইসলামের সত্যতা মানুষের কাছে ছড়িয়ে দিতে চান। “সত্যের অনুভূতি” উনার লেখা প্রথম বই। “ফ্যান্টাস্টিক হামজা” দ্বিতীয় বই। জবাব দেবার পাশাপাশি নাস্তিক মুক্তমনাদের যৌক্তিক সমালোচনা করে থাকেন।

Previous Post Next Post