পৃথিবী আগে সৃষ্টি নাকি মহাকাশ ?



পৃথিবী আগে সৃষ্টি নাকি মহাকাশ ?
লিখেছেনঃ এম ডি আলী

খগেন কুমীনদের দাবীঃ মহাকাশ আগে সৃষ্টি করা হয়েছে এরপরে পৃথিবী এটাই বিজ্ঞান আমাদের বলছে আর ইসলাম আমাদের বলছে আগে পৃথিবী সৃষ্টি করা হয়েছে এরপরে মহাকাশ সুতরাং ইসলাম বিজ্ঞান অনুযায়ী ভুল প্রমান হচ্ছে ।

আমরা প্রথমে "পৃথিবী আগে সৃষ্টি নাকি মহাকাশ" এর পক্ষে বিপক্ষে কিছু পয়েন্ট দাড় করাব এবং সেগুলা বিভিন্ন তথ্য প্রমানের আলোকে নিরপেক্ষ বিশ্লেষণ করব এবং যৌক্তিক সিদ্ধান্তে পোঁছানর পরে একটি ফলাফল উল্লেখ করব । এবং যুক্তির খাতিরে ধরে নিলাম বিজ্ঞান যা বলছে সেটাই সত্য এবং ইসলাম যেটা বলছে সেটাও সত্য কিন্তু শেষ পর্যন্ত ফলাফলে ফাইনাল রেজাল্ট প্রকাশ পেয়ে আসলে বুঝা যাবে যে আসলে ইসলাম নাকি বিজ্ঞান সত্য । চলুন শুরু হল ।

১/ প্রথমে মহাকাশ সৃষ্টি এরপরে পৃথিবী । - বিজ্ঞান এটাই বলে ।
২/  আগে বিস্তৃত না করা অবস্থায় পৃথিবীকে সৃষ্টি করা হয় এরপরে মহাকাশ এরপরে কমপ্লিট ভাবে পৃথিবীকে সৃষ্টি করা হয় । - এটি ইসলাম বলে।
৩/ যদি দুটিই দৃষ্টি সত্য হয় সত্য হয় তাহলে !
৪/ সিদ্ধান্ত ফলাফল ?

উপরের উল্লেখিত পয়েন্ট আমরা যাচাই করব বিশ্লেষণ করব ওকে । ফাইন ।

 ১/ প্রথমে মহাকাশ সৃষ্টি এরপরে পৃথিবী । - বিজ্ঞান এটাই বলে ।

বিশ্লেষণঃ বিজ্ঞান মামা আমাদেরকে বলেন যে একটি মহাবিস্ফোরণের ফলে এই মহাবিশ্ব সৃষ্টি হয়েছে এবং আজ থেকে প্রায় ৪৫৪ কোটি বছর আগে পৃথিবী গঠিত হয়েছিল। তার মানে পৃথিবী পরে সৃষ্টি হয়েছিল আগে মহাকাশ সৃষ্টি হয়েছিল । কিন্তু প্রশ্ন মনে আসে যখন বিস্ফোরণ হয়েছিল এবং পৃথিবী সৃষ্টি হচ্ছিল তখন কি বিজ্ঞানীরা কেউ সেখানে উপস্থিত ছিল ? উত্তর হচ্ছে না । কিন্তু যিনি মহাকাশ সৃষ্টি করেছেন এবং পৃথিবী সৃষ্টি করেছেন তিনি কিন্তু তখন সেখানে উপস্থিত ছিলেন অর্থাৎ সৃষ্টিকর্তা আল্লাহ । আচ্ছা বিজ্ঞান কি পরিবর্তনশীল ? হ্যাঁ । ইসলামের কোন বিধান কি পরিবর্তনশীল ? না । আচ্ছা যেহেতু মহাকাশ অথবা পৃথিবী সৃষ্টি হওয়ার সময় কোন বিজ্ঞানী সেখানে ছিলেন না তাহলে খামাখা প্রথমে মহাকাশ এবং পরে পৃথিবী সৃষ্টি হয়েছিল এর আগে পৃথিবীর অস্তিত্ব ছিল না এই দাবী কি শক্তিশালী নাকি দুর্বল ? উত্তর দুর্বল এবং শুধুই ধারনা ।

আচ্ছা ধরে নিলাম আগেই মহাকাশ সৃষ্টি হয়েছে এবং পরে পৃথিবী । কিন্তু মহাকাশ অস্তিত্বে আসার আগে আল্লাহর কাছে আগেই থেকেই পৃথিবীর অস্তিত্ব ছিল পরে আল্লাহ মহাকাশ সৃষ্টির পরে পৃথিবীকে সেখানে ফিট করে দেন এটি কি আল্লাহর কাছে পসিবল ? উত্তর হল হ্যাঁ । একে বারেই সহজ কিন্তু ।

২/  আগে বিস্তৃত না করা অবস্থায় পৃথিবীকে সৃষ্টি করা হয় পরে মহাকাশ এরপরে পৃথিবী সৃষ্টি কমপ্লিট করা হয়েছে । - এটি ইসলাম বলে ।

বিশ্লেষণঃ এই বিষয় ইসলামের তথ্য প্রমান সমূহ দেখে নেই চলুন ।

= সুরা বাকারা ২:২৯ =   তিনিই সে সত্ত্বা যিনি সৃষ্টি করেছেন তোমাদের জন্য যা কিছু পৃথিবীতে (আরবি শব্দ "উলআরদ্দ") রয়েছে সে সমস্ত। তারপর তিনি মনোসংযোগ করেছেন আকাশের প্রতি। বস্তুতঃ তিনি তৈরী করেছেন সাত আসমান। আর আল্লাহ সর্ববিষয়ে অবহিত।

* ডঃ মুজিবুর রহমান অনুবাদকৃত, তাফসীরে ইবনে কাসীর ২/২১৩ = মহান আল্লাহ প্রথমে পৃথিবী সৃষ্টি করেছেন তারপরে সাতটি আকাশ নির্মাণ করেছেন ।

* ডঃ মুজিবুর রহমান অনুবাদকৃত, তাফসীরে ইবনে কাসীর ২/২১৫ = হযরত মুজাহিদ (রহ) বলেন যে মহান আল্লাহ পৃথিবীকে আকাশের পূর্বে সৃষ্টি করেছেন  । ওটা হতে যে ধোয়া উপরের দিকে উঠেছে তা হতে আকাশ নির্মাণ করেন - যা একটির উপর আর একটি এভাবে সাতটি এবং যমীনও একটির নিচে আরেকটি এভাবে সাতটি । এ আয়াত দ্বারা স্পষ্টভাবে জানা যাচ্ছে যে পৃথিবীকে আকাশের পূর্বে সৃষ্টি করা হয়েছে । যেমন সুরা সিজদাহর মধ্যে রয়েছে । আলেমগন এ বিষয়ে একমত ।

* ই,ফা, তাফসীরে ইবনে আব্বাসের ১/২৬ = আগে পৃথিবী এরপরে আকাশ সৃষ্টি করার কথা বলা হয়েছে ।

= আকাশের পরে পৃথিবীকে বিকশিত করা হয়েছেঃ কুরআনের আয়াতসমূহ প্রমাণ করে যে, পৃথিবীকে বিস্তৃত করা হয়েছে আকাশ সৃষ্টির পরে। আল্লাহ বলেনঃ

* সুরা ফুসসিলাত ৪১:৯ থেকে ১২ =  বলুন, তোমরা কি সে সত্তাকে অস্বীকার কর যিনি পৃথিবী সৃষ্টি করেছেন দু’দিনে এবং তোমরা কি তাঁর সমকক্ষ স্থীর কর? তিনি তো সমগ্র বিশ্বের পালনকর্তা। তিনি পৃথিবীতে উপরিভাগে অটল পর্বতমালা স্থাপন করেছেন, তাতে কল্যাণ নিহিত রেখেছেন এবং চার দিনের মধ্যে তাতে তার খাদ্যের ব্যবস্থা করেছেন-পূর্ণ হল জিজ্ঞাসুদের জন্যে। অতঃপর তিনি আকাশের দিকে মনোযোগ দিলেন যা ছিল ধুম্রকুঞ্জ, অতঃপর তিনি তাকে ও পৃথিবীকে বললেন, তোমরা উভয়ে আস ইচ্ছায় অথবা অনিচ্ছায়। তারা বলল, আমরা স্বেচ্ছায় আসলাম। অতঃপর তিনি আকাশমন্ডলীকে দু’দিনে সপ্ত আকাশ করে দিলেন এবং প্রত্যেক আকাশে তার আদেশ প্রেরণ করলেন। আমি নিকটবর্তী আকাশকে প্রদীপমালা দ্বারা সুশোভিত ও সংরক্ষিত করেছি। এটা পরাক্রমশালী সর্বজ্ঞ আল্লাহর ব্যবস্থাপনা।

* নাযিআত ৭৯ : ২৭ থেকে ৩০ =  “তোমাদেরকে সৃষ্টি করা অধিক কঠিন, নাকি আকাশ সৃষ্টি? তিনিই আল্লাহ তা বানিয়েছেন।”এরপরে আল্লাহ বলেছেন, “এবং পৃথিবীকে এরপরে বিস্তৃত করেছেন।”

এই আয়াতগুলো প্রমাণ করে যে পৃথিবীর বিস্তৃতকরণ প্রক্রিয়া সম্পাদন করা হয়েছে আকাশমণ্ডলী সৃষ্টির পরে।

এ প্রসঙ্গে আদওয়াউল বায়ানে হযরত আশ শানকিতী (রহ) তাঁর তাফসিরে লিখেছেন,

“ইবন আব্বাস(রা.)কে সুরা ফুসসিলাত এবং সুরা নাযিআতের আয়াতগুলো সমন্বয়ের ব্যাপারে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি উত্তর দেন – আল্লাহ তা’আলা প্রথমে বিস্তৃত না করা অবস্থায় পৃথিবীকে সৃষ্টি করেন। এরপরে তিনি আকাশ সৃষ্টি করেন এবং ২ দিনে (বা পর্যায়কালে) একে ৭ আকাশে পরিনত করেন। এরপর তিনি পৃথিবীকে বিস্তৃত করেন এবং এতে পাহাড়, নদী এবং অন্যান্য জিনিস সৃষ্টি করেন। অতএব পৃথিবীর সৃষ্টি আকাশের আগে, কিন্তু পাহাড়-পর্বত, গাছ এবং অন্যান্য বস্তুসহ একে বিস্তৃত করা হয়েছে আকাশ সৃষ্টির পরে। এর প্রমাণ সুরা নাযিআত ৭৯:৩০ = আল্লাহ তা’আলার বক্তব্য তথা এবং পৃথিবীকে এরপরে বিস্তৃত করেছেন” - এখানে তিনি বলেননি “সৃষ্টি করেছেন” (বরং বলেছেন “বিস্তৃত করেছেন”। এরপর আল্লাহ ব্যাখ্যা করেছেন তিনি কিভাবে তিনি পৃথিবীকে বিস্তৃত করেছেন –নাযিআত ৭৯:৩১ = তিনি এর (পৃথিবী) ভিতর থেকে বের করেছেন এর পানি ও এর তৃণ। ইবন আব্বাস(রা.) কর্তৃক আয়াত ২টির এই সমন্বয়ে কোনো প্রকারের অস্পষ্টতা নেই বরং কুরআনের প্রকাশ্য অর্থ ও ইঙ্গিত থেকেই এই ব্যাপারটি বোঝা যাচ্ছে। ।

৩/ যদি দুটিই দৃষ্টি সত্য হয় সত্য হয় তাহলে !

বিশ্লেষণঃ দেখুন বিজ্ঞানের দৃষ্টিতে বিজ্ঞান সঠিক কারন মহাবিশ্বের আগে পরিবেশ কেমন বস্তু ছিল সেটি বিজ্ঞান গ্যারান্টি সহকারে আমাদের পেশ করতে অক্ষম কলিকাতা হারবাল সেবন করালেও বিজ্ঞান এই প্রশ্নের উত্তর দিতে সক্ষম হবে না  । যেহেতু বিজ্ঞান প্রশ্নের উত্তর দিতে পারছে না তাই বিজ্ঞানের দৃষ্টিতে সে বলতেই পারে যে আগে মহাবিশ্ব হয়েছে এরপরে পৃথিবী । "মহাবিশ্বর আগে পৃথিবীও ছিল" - এটিকেও বিজ্ঞান অস্বীকার করার ক্ষমতা রাখে না যেহেতু সে জানেই না যে মহাবিশ্বর আগে কিছু ছিল ।

আবার ইসলামের দৃষ্টিতেও ইসলাম সঠিক । আল্লাহ হলেন সময়ের সৃষ্টিকর্তা এমনকি সব কিছুই তিনি সৃষ্টি করেছেন তাই মহাবিশ্বর আগে পৃথিবী সৃষ্টি করা কি তাঁর পক্ষে ইম্পসিবল ? উত্তর হচ্ছে না । আল্লাহ মহাবিশ্বর আগে পৃথিবী সৃষ্টি করেছিলেন পরে সেটিকে বিকশিত করে দিয়েছেন ব্যাস কিন্তু বিজ্ঞানের এই ক্ষমতা নেই যে ইসলামের এই তথ্যকে ভুল দাবী করার যেহেতু বিজ্ঞান নিজেই জানে না আসলে মহাবিশ্বর আগে কি ছিল কিনা ! 

= আল্লাহ্‌ সর্বশক্তিমানঃ তিনি সব কিছুর উপর ক্ষমতাবানঃতিনি সব কিছু করতে সক্ষমঃ
* সুরা বাকারা ২:২৮৪
* সুরা আল ইমরান ৩:১৮৯
* সুরা মায়দা ৫:১
* সুরা মায়দা ৫:১২০
* সুরা আনাআম ৬:৬৫
* সুরা আনআম ৬:৭৩
* সুরা নাহল ১৬:৭০
* সুরা হজ ২২:৬
* সুরা নুর ২৪:৪৫
* সুরা আনকাবুত ২৯:২০
* সুরা রুম ৩০:৫০
* সুরা ফাতির ৩৫:১
* সুরা ফাতির ৩৫:৪৪
* সুরা ফুসসিলাত ৪১:৩৯
* সুরা শুরা ৪২:৯
* সুরা হাদিদ ৫৭:২
* সুরা তাগাবুন ৬৪:১

৪/ সিদ্ধান্ত ফলাফল ?

* কাহফ ১৮ : ৫১ =  “আমি তাদেরকে আসমানসমূহ ও পৃথিবীর সৃষ্টির সাক্ষী করিনি আর না তাদের নিজেদের সৃষ্টির।

মনোযোগের সাথে এই আয়াত পড়লে আমরা পরিস্কার বাস্তবতা বুঝতে পারি যে আমরা মানুষ আর আমরা বাস্তবেও তখন ছিলাম না শুধুই তাই নয় এমনকি আমাদের বিজ্ঞানও তখন ছিল না যখন আল্লাহ আসমান অথবা পৃথিবী সৃষ্টিকরছিলেন । তাহলে বিজ্ঞান যেহেতু সেখানে ছিল না তাই বিজ্ঞান কখনো বলার ক্ষমতা রাখে না যে "মহাবিশ্বর আগে পৃথিবী ছিল না এটি ভুল" । তারপরে মজার ব্যাপার হল মহাকাশ আর পৃথিবী যেহেতু আল্লাহর সৃষ্টি তাই আল্লাহ একটিকেই আগেই বানাক অথবা পরেই তৈরি করুক এটি আল্লাহর কাছে খুবই সহজ । 

নর্মাল কথা যা আমরা প্রাই বলে থাকি যে বিজ্ঞানের প্রতিষ্ঠিত সত্য গবেষণা ইসলাম সম্মত এটি সত্য কিন্তু বিজ্ঞান যে বিষয়ে গ্যারান্টি দিতে পারে না অথবা বিজ্ঞান যেই বিষয়ে গবেষণাই করতে অক্ষম সেই বিষয়ে বিজ্ঞানের রায় নিঃসন্দেহে অযৌক্তিক । উদাহরণ স্বরূপ ধরুন আপনি অংকই করতে জানেন না তাহলে অংক নিয়ে কেন আপনি রায় দিতে যাবেন । আরও মজার কথা হল কুরআন ও সুন্নাহ মুসলিমদের নিকট সর্বাধিক অগ্রাধিকারপ্রাপ্ত। যেখানে বিজ্ঞান ও কুরআন-সুন্নাহর তথ্য একমত হয় না, সেখানে আমরা মুসলিমরা কুরআন-সুন্নাহর দিকেই ফিরে যাই। বিজ্ঞানের সীমাবদ্ধতা রয়েছে, বিজ্ঞানের তথ্য নিয়ত পরিবর্তনশীল।

আর নাস্তিক ধর্মের অন্ধ বিশ্বাসীরা বিজ্ঞানের উপর অন্ধ বিশ্বাস করলেও আমরা মুসলিমরা কখনোই বিজ্ঞানের উপর অন্ধ বিশ্বাস করি না । কারন মরহুম গ্রীক জ্যোতির্বিজ্ঞানী টলেমী হুজুর আমাদের ফতয়া দিয়েছিলেন যে সূর্য পৃথিবীর চারদিকে ঘোরে । বিজ্ঞান ফতয়া বিভাগে এই ভুল মিথ্যা ফতোয়া টিকে ছিল পুরো ২৫০ বছর । এই ২৫০ বছরে ধরে পৃথিবীর মানুষ , যাদের মধ্যে আবার বড় বড় বিজ্ঞানী , ডাক্তার , ইঞ্জিনিয়ার ছিল তারাও বিশ্বাস করত যে সূর্য পৃথিবীর চারপাশে ঘোরে । এই ২৫০ বছরে তাদের মধ্যে যারা ইন্তেকাল করেছেন তারা এই ভুল বিশ্বাস নিয়েই মারা গিয়েছেন যে সূর্য পৃথিবীর চারপাশে ঘোরে  ।

আবার মরহুম টলেমী হুজুরের বৈজ্ঞানিক ফতোয়ার বিরুদ্ধে ফতোয়া দিয়েছেন আরেক মরহুম বিজ্ঞানী নিকোলাস কোপারনিকাস কিন্তু এই মরহুম বিজ্ঞানীও ঘাবলা করে গেছেন সেটি হল সে বলেছে "সূর্য পৃথিবীর চারপাশে ঘোরে না বরং পৃথিবীই সূর্যের চারপাশে ঘোরে আর সূর্য ঘোরে না কিন্ত আজ আজকের জীবিত বিজ্ঞানীরা আমাদের বলছে যে সূর্য স্থির নয় বরং সূর্যও নিজের কক্ষপথে অবিরাম ঘুরছে । শুনলে অবাক হবেন মরহুম বিজ্ঞানী নিকোলাস কোপারনিকাস হুজুরের ফতোয়া টিকে ছিল ৫০ বছর ।

সুতরাং আমরা বিজ্ঞানের উপর অন্ধ বিশ্বাস করে খগেনদের মত হতে চাই না তবে আমরা এটাই মানি যে বিজ্ঞানের প্রতিষ্ঠিত সত্য গবেষণা ইসলাম সম্মত হলে আমরা স্বীকার করতে দ্বিধাবোধ করি না আর করবোও না - হ্যাঁ এটাই আমাদের প্রস্তাব । 

উপরের আলোচনার সারমর্ম হলঃ

১/ বিজ্ঞান বলে প্রথমে মহাকাশ সৃষ্টি হয়েছে এরপরে পৃথিবী ।
২/ বিজ্ঞান জানে না মহাবিশ্বর আগের পরিবেশ কেমন ছিল ।
৩/ বিজ্ঞান এটাও জানে যে পৃথিবী মহাবিশ্বর আগে থাকতে পারে কিনা ।
৪/ ইসলাম বলে আগে বিস্তৃত না করা অবস্থায় পৃথিবীকে সৃষ্টি করা হয় এরপরে মহাকাশ এরপরে কমপ্লিট ভাবে পৃথিবীকে সৃষ্টি করা হয় ।
৫/ ইসলাম বলে যেহেতু আল্লাহ আমাদের সৃষ্টিকর্তা তাই আল্লাহর পক্ষে পৃথিবীকে বিস্তৃত না করা অবস্থায় মহাবিশ্বর আগে সৃষ্টি করা একেবারেই সহজ।
৬/ যখন মহাবিশ্ব অথবা পৃথিবী সৃষ্টি করা হচ্ছিল তখন বিজ্ঞানীরা সেখানে কেউই ছিলেন না কিন্তু স্রষ্টাই এসব সৃষ্টি করছিলেন তাই স্রষ্টা যা বলবেন সেটাই সত্য বলে প্রমানিত হয়ে যাচ্ছে ।
৭/ বিজ্ঞান ইসলামের দৃষ্টি কখনো ভুল প্রমান করতে সক্ষম হবে না কারন মহাবিশ্ব পৃথিবী ইত্যাদি সৃষ্টিতে বিজ্ঞানীরা সেখানে ছিল না । যেখানে বিজ্ঞানীরাই ছিল না সেখানে বিজ্ঞান কি ভাবে ফতোয়া দিবে  ?
৮/ বিজ্ঞানের উপর নাস্তিক ধর্মের অন্ধ বিশ্বাসী অনুসারীরা অন্ধ বিশ্বাস করলেও মুসলিমরা বিজ্ঞানের উপর অন্ধ বিশ্বাস করে না ।
৯/ বিজ্ঞানের প্রতিষ্ঠিত সত্য ইসলাম সম্মত হলে সেখানে মুসলিমরা বিজ্ঞান মানতে কোন আপত্তি নেই ।
১০/ বিজ্ঞান কখনো ইসলামের প্রস্তাব ভুল প্রমান করতে সক্ষম হবে না । এটাই ফাইনাল ।

এমডি আলী

যিনি একজন লেখক, বিতার্কিক ও গবেষক। বিভিন্ন ধর্ম ও মতবাদ বিষয় পড়াশোনা করেন। ইসলামের সত্যতা মানুষের কাছে ছড়িয়ে দিতে চান। “সত্যের অনুভূতি” উনার লেখা প্রথম বই। “ফ্যান্টাস্টিক হামজা” দ্বিতীয় বই। জবাব দেবার পাশাপাশি নাস্তিক মুক্তমনাদের যৌক্তিক সমালোচনা করে থাকেন।

Previous Post Next Post