কুরআন কি মানুষকে অন্ধ বিশ্বাসের দিকে ধাবিত করে ?



প্রশ্নঃ কুরআন কি মানুষকে অন্ধ বিশ্বাসের দিকে ধাবিত করে ?

লিখেছেনঃ এম ডি আলী

উত্তরঃ শেষ পর্যন্ত জ্ঞানের সন্ধানে মনোযোগ দিয়ে পড়ুন আশা করি পিপাসার্ত হৃদ্যয় ঠাণ্ডা তৃপ্তি পাবে ।

তথা কথিত কিছু কিছু মানুষরূপী প্রাণীদের কথায় ভেসে উঠে কুরআনের উপর আল্লাহ মানুষকে অন্ধ বিশ্বাস করতে উৎসাহিত করেছেন । সুতরাং মুসলিমরাও কুরআনের উপর অন্ধ বিশ্বাস রাখে । কুরআন মানুষকে প্রশ্ন করতে উৎসাহিত করে না , প্রমান চাইতে উৎসাহিত করে নাহ , নিরপেক্ষ হতে বলে না , ব্যাক্তিস্বাধীনতা দেয় না ইত্যাদি - এসব কথিত অভিযোগ কিছু মানুষরূপী প্রাণীরা করে থাকেন আবার তাদেরকেই যখন জিজ্ঞাসা করা হয় আপনারা কিসের অনুসারী তারা বলতে চান যে তারা নাস্তিক ধর্মের অনুসারী ।

তারা একটি যুক্তি প্রায়ই দেন আমি সেটার নাম দিয়েছি "৫ টাকার যুক্তি" - শুনতে অবাক এবং হাস্যকর লাগলেও এটাই সত্য । তাদের যুক্তি হল ধরুন আপনার পকেটে ৫ টাকা আছে আপনি কিন্তু কখনো এই কথা বলবেন না যে আপনি বিশ্বাস করেন আপনার পকেটে ৫ টাকা আছে । মানে আপনি নিঃসন্দেহে বলতেই পারছেন যে আপনার পকেটে ৫ টাকা আছে । কিন্তু আপনি যদি বলেন আপনার পকেটে ৫ টাকা আছে কি নেই সেটা আপনি জানেন না কিন্তু আপনি বিশ্বাস করছেন যে আপনার পকেটে ৫ টাকা আছে তাহলে এই ক্ষেত্রে কিন্তু আপনি অন্ধ বিশ্বাস করছেন ।

আমার পাঠকগন আপনারা বিশ্বাস করবেন কিনা জানি না আমি তাদের ঐ যুক্তি যখন যখন প্রথম শুনি আমার হাঁসতে হাঁসতে মুখ ক্লান্ত হয়ে গিয়েছিল প্রায় । উপরের গোঁজামিল দিয়ে কোন ভাবেই এটি প্রমান হয় না যে "কুরআন মানুষকে অন্ধ বিশ্বাস করতে বলেছে" । মজার কথা এই টাইপের হাস্যকর যুক্তি তারাই পেশ করতে পারে যারা নিজেরাই আবার বলে নাস্তিকতা কোন চূড়ান্ত সমাধান নয় । আচ্ছা যাই হক আমি এখন তাদের অক্ষম যুক্তি সক্ষম যুক্তি দিয়ে খণ্ডন করে দিচ্ছি।

জনাব আপনি যেই "৫ টাকার যুক্তি" দিলেন - এই যুক্তির উপরে কি আপনার আস্থা বা বিশ্বাস আছে ? উত্তর যদি "হ্যাঁ" হয় তাহলে আপনিও একজন বিশ্বাসী হয়ে যাচ্ছেন যদিও আপনারা এসব কেউই স্বীকার করতে চান না আবার যদি উত্তর "না" হয় এরমানে আপনার নিজের যুক্তিতেই আপনার বিশ্বাস আস্থা ভরসা নাই অর্থাৎ যেখানে আপনার নিজের যুক্তিতেই আপনার আস্থা বিশ্বাস নাই সেখানে আপনি কিভাবে এবং কেন আমাদেরকে এসে বলছেন যে আপনি একজন অবিশ্বাসী ? আবার তার উপরে আরেকটি ভিত্তিহীন অভিযোগ দিলেন যে কুরআন মানুষকে অন্ধ বিশ্বাসের দিকে নিয়ে যায় ! আগে আপনি নিজের প্রতি, নিজের যুক্তির প্রতি বিশ্বাসী হন , আস্থাশীল হন তারপরে আমাদের সাথে কথা বলতে শিখুন কেমন ।

নাস্তিক অনুসারীদের এই কথিত ৫ টাকার যুক্তি দিয়ে কখনোই প্রমান হয় না যে মুসলিমরা কুরআনের প্রতি অন্ধ বিশ্বাস করে । তাহলে আমরা মুসলিমরা কুরআনকে কিভাবে মানি বা কিভাবে সাক্ষ্য দেই তার ভিত্তিই বা কি ? এসব নিয়েই এখন কিছু আলোচনা করব ইনশা আল্লাহ ।

অনেকেই মনে করেন যে মুসলিমরা শুধুই ইসলামের প্রতি বিশ্বাস করে এর আশে পাশে আর কিছুই নেই কিন্তু ভুলে গেলে চলবে না ইমান শব্দের শাব্দিক অর্থ যদিও বিশ্বাস কিন্তু আরেকটি অর্থও হয় সেটি হল সত্য সাক্ষ্য দেয়া আর এর ভিত্তি হল "সততার উপরে" "জ্ঞানের উপরে" "শিক্ষার উপরে" । পূর্বে বুঝিয়ে ছিলাম যে "৫ টাকার যুক্তি" যারা দিয়েছিলেন তারা কি আসলেই এর উপরে বিশ্বাস করেন কিনা যেহেতু তারা অবিশ্বাসী তাই তাদের এই নিজেদের যুক্তির প্রতিও কোন বিশ্বাস নাই শুধুই আছে অবিশ্বাস , খগেনিও ফালতু অবিশ্বাস ।

কিন্তু মুসলিমদের প্রস্তাব বা দাবী কিন্তু এরকম নয় । কিছু কুরআনের আয়াত অনুধাবন করি আসুনঃ

* সুরা বাকারা ২:১১১ এবং সুরা নামল ২৭:৬৪ = যদি তোমরা তোমাদের দাবীতে সত্যবাদী হও তাহলে তোমরা প্রমান নিয়ে আসো ।

* সুরা নাহল ১৬:১২৫ = তুমি তোমার রবের পথে হিকমাহ ও সুন্দর উপদেশের মাধ্যমে দাওয়াত দেও এবং সুন্দরতম পন্থায় তাদের সাথে বিতর্ক করো ।

* সুরা নাহল ১৬:৪৩ এবং সুরা আম্বিয়া ২১:৭ = তোমরা যদি না জানো তাহলে জ্ঞানীদেরকে জিজ্ঞাসা করো ।

* সুরা মুহাম্মদ ৪৭:২৪ = তারা কি কুরআন নিয়ে চিন্তা ভাবনা করে না নাকি তাদের অন্তর সমূহ তালাবধ্য ?

* সুরা জুমার ৩৯:৯ এবং সুরা বাকারা ২:২৬৯ এবং সুরা সোয়াদ ৩৮:২৯ এবং সুরা আনকাবুত ২৯:৪৩ = যারা জানে আর যারা জানে না তারা কি সমান ? শুদুমাত্র বিবেকবান মানুষরাই উপদেশ গ্রহণ করে । কুরানের আয়াত নিয়ে গভীরভাবে চিন্তা করা ।বুদ্ধমানগণ উপদেশ গ্রহন করে । কুরানের উদাহরণ জ্ঞানী লোকেরা ছাড়া কেউই বুঝে না ।

* সুরা হাজ ২২:৩০ = মিথ্যা কথা হতে দূরে থাকো ।

এরকম অনেক আয়াত আছে, লেখা বড় হবে তাই অল্প কিছুই আয়াত পেশ করলাম । খেয়াল করুন কুরআন আপনাকে প্রমান এর ব্যাপারে উৎসাহিত করছে , আপনাকে সত্যবাদী হতে বলছে , আপনাকে সুন্দরতম পন্থায় উপদেশ এবং বুদ্ধি প্রয়োগ করতে বলছে , আপনাকে সুন্দর ভাবে বিতর্ক করতে বলছে ।

শুধু তাই নয় আপনি যদি কোন কিছু না জানেন তাহলে আপনাকে কুরআন জ্ঞানীদেরকে জিজ্ঞাসা করার জন্য বলছে এমনকি কুরআন এটাও বুঝিয়ে দিল মূর্খ আর জ্ঞানী কখনো সমান হতে পারে না, আপনাকে গভীর ভাবে চিন্তা করতে বলছে এই কুরআন , বুদ্ধিমান হতে বলছে এবং এটাও ফাইনাল বলে দিল যে জ্ঞানীরা ছাড়া কেউই কুরআনের উপদেশ বুঝতে পারবে না ।

কুরআন আপনাকে এত এত সুন্দর সুন্দর উপদেশ দিচ্ছে আর আপনিই কিনা বলছেন এই কুরআন মুসলিমদের অন্ধ বিশ্বাস শিক্ষা দেয় ? আপনার কি বিবেক নাই ? আপনার কি বুদ্ধি নাই ? আপনার কি জ্ঞান নাই , আপনি কি মূর্খ ? আপনার কি চিন্তাশীলতা নাই ? আপনার কি সত্যতা , সততা নাই ? আপনি কি কোন বিষয় গভীরভাবে চিন্তা করতে পারেন না ?

খেয়াল করুনঃ

* সুরা তুর ৫২:৩৫ = তারা কি স্রষ্টা ছাড়াই সৃষ্টি হয়েছে ? নাকি তারা নিজেরাই নিজেদের স্রষ্টা ?

একদম সততার সাথে যদি উপরের প্রশ্নের জবাব দেয়া হয় তাহলে বলতেই হবে যে আমরা স্রষ্টা ছাড়া সৃষ্টি হই নাই এবং আমাদের নিজেদেরকেও আমরা সৃষ্টি করি নাই তাহলে যিনি সৃষ্টি করেছেন তিনিই সৃষ্টিকর্তা ।

চোখে দেখা চাক্ষুষ বাস্তব সত্য দৃশ্য হল যে শুন্য থেকে নিজে নিজেই কিছু সৃষ্টি হতে পারে না আর মহাবিশ্ব নিজেকে নিজেই সৃষ্টি করতে পারে না , মহাবিশ্ব যদি নিজেই আগের থেকে থাকে তাহলে তাকে আবার কেন নিজেকে আবার সৃষ্টি করতে হবে ?

খেয়াল করেছেন পরিস্কার ভাবে বুঝাই যাচ্ছে যে মহাবিশ্ব স্রষ্টা ছাড়া সৃষ্টি হয় নাই এবং মহাবিশ্ব মানুষও নিজেদের সৃষ্টি করে নাই তাহলে এসব কিছুই একমাত্র সৃষ্টিকর্তাই সৃষ্টি করেছেন যিনি নিজে অসৃষ্ট । কুরআনের ভাষায় তাঁকে আল্লাহ বলা হয় ।

অতএব আমরা সহজেই বলে দিতে পারি যে আল্লাহকে আমরা শুধুই যে বিশ্বাস করি আসলে তা নয় বরং এর সাথে আমাদের শক্তিশালী প্রমান রয়েছে , জ্ঞান রয়েছে , সততা রয়েছে , জ্ঞানীরা রয়েছে , সত্য ভিত্তি রয়েছে এবং পরিশেষে বিশ্বাসও রয়েছে আলহামদুলিল্লাহ ।

= আল্লাহ ও তাঁর সত্যবাদী রাসুলকে সত্য বলে সাক্ষ্য দেয়াকেও ইমান বলা হয়ঃ

ihadis.com, সুনানে আবু দাউদ, হাদিসঃ ৪৬৭৬, সহিহ হাদিসঃ আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহ ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ ঈমানের সত্তরটিরও বেশী শাখা রয়েছে। তার মধ্যে সর্বত্তোম হলো এ সাক্ষ্য দেয়া যে, “আল্লাহ ব্যতীত অন্য কোন ইলাহ নেই”। আর সর্বনিম্ন হলো রাস্তা থেকে হাড় অপসারণ করা এবং লজ্জাশীলতা ঈমানের একটি শাখা।

ihadis.com, সুনানে আবু দাউদ, হাদিসঃ ৪৬৭৭, সহিহ হাদিসঃ ইবনু 'আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ তিনি বলেন, একদা 'আবদুল ক্বাইস গোত্রের প্রতিনিধি দল রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিকট এলে তিনি তাদেরকে আল্লাহ্‌র প্রতি ঈমান আনার নির্দেশ দেন। তিনি বললেন, তোমরা কি জানো এক আল্লাহ্‌র উপর ঈমান আনা কী? তারা বললেন, আল্লাহ্ ও তাঁর রাসূলই বেশী জানেন। তিনি বললেন, আল্লাহ্ ছাড়া কোন ইলাহ নেই এবং মুহাম্মাদ আল্লাহ্‌র রাসূল-এর সাক্ষ্য দেয়া, সলাত ক্বায়িম করা, যাকাত দেয়া এবং রমযান মাসের সিয়াম পালন করা। এছাড়া তোমরা গণীমাতের এক-পঞ্চমাংশ জমা দিবে।

ihadis.com, সুনানে আবু দাউদ, হাদিসঃ ৪৬৮২, হাসান সহিহ হাদিসঃ রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, ঐ মু’মিন ঈমানে পরিপূর্ণ যার চরিত্র সর্বোকৃষ্ট।

ihadis.com, সহিহ মুসলিম, হাদিসঃ ২২ , সহিহ হাদিসঃ রসূলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)- বলেছেনঃ ইসলাম পাঁচটি স্তম্ভের উপর প্রতিষ্ঠিত- এ কথার সাক্ষ্য দেয়া যে, আল্লাহ ছাড়া প্রকৃত কোন ইলাহ নেই, সলাত কায়িম করা, যাকাত আদায় করা, রমা‌যানের সওম পালন করা ও বাইতুল্লাহ্‌র হাজ্জ করা।

সাক্ষ্য দেয়া বিষয় আরও হাদিস দেখুনঃ
ihadis.com, সহিহ বুখারি, হাদিসঃ ৫৩ , সহিহ হাদিস
ihadis.com, সহিহ বুখারি, হাদিসঃ ৮৭ , সহিহ হাদিস
ihadis.com, সহিহ বুখারি, হাদিসঃ ৫২৩ , সহিহ হাদিস
ihadis.com, সহিহ বুখারি, হাদিসঃ ১৩৯৮ , সহিহ হাদিস
ihadis.com, সহিহ বুখারি, হাদিসঃ ২১৫৭ , সহিহ হাদিস

সুতরাং আমরা বুঝতে পারলাম ইমান মানে শুধুই বিশ্বাস নয় এর সাথে সাক্ষ্য, প্রমান, জ্ঞান, জ্ঞানী , অনুধাবন , চিন্তা , সত্য সাক্ষ্য দেয়া ইত্যাদি জড়িত এবং এসবের সমন্বয়েই আমরা ইসলামকে পরিশেষে বিশ্বাস করি । নিচের উদাহরণ সমূহ পড়লে একেবারেই পরিস্কার হয়ে যাবেন ।

নাস্তিক ধর্মের অনুসারীরা হল অবিশ্বাসী - এখানে আমার সাথে তারাও ইজমা প্রকাশ করবে এটা আমি জানি । নাস্তিকরা দাবী করেঃ

* সৃষ্টিকর্তা বলে কেউ নাই ।
* শুন্য থেকে সব এসেছে ।
* নিজে নিজেই সব হয়েছে ।
* এককোষী ব্যাকটেরিয়া থেকে বান্দর এরপরে নাস্তিকরা এসেছে ।
* ইসলামের কোন দরকার নাই ।
* মুসলিমরা ভাল না ।
* ইত্যাদি ইত্যাদি ইত্যাদি

খগেন দাদারা আপনাদের এখন আমরা প্রশ্ন করছি উপরের সবকটি দাবী আপনি কি বিশ্বাস করেন ? উত্তর যদি "হ্যাঁ" হয় তাহলে আপনারাও মুসলিমদের মতই সকল নাস্তিক অনুসারীরা বিশ্বাসী কিন্তু যদি আপনাদের উত্তর "না" হয় এরমানে আপনারা নিজেদের দাবীতেই নিজেদের বিশ্বাস আস্থা ভরসা নাই , সেখানে আপনারা নিজে কিভাবে নাস্তিক ধর্মের অনুসারী হন আর আমাদেরকে কেন ও কিভাবে নাস্তিক ধর্মের দাওয়াত দেন? বুঝিয়ে দিয়ে যান প্লিজ ।

আমরা দাবী করি মুসলিমরা বিশ্বাসী । এখানে কোন সন্দেহ নাই । সোজা হিসাব । মুসলিমরা দাবী করেঃ
* সৃষ্টিকর্তা অবশ্যই আছেন ।
* শুন্য থেকে কিছু হতেই পারে না সৃষ্টিকর্তা ছাড়া ।
* মহাবিশ্ব নিজে নিজেই হয় নাই ।
* আমরা বুদ্ধিমান মানুষ । আমরা চতুষ্পদ জানোয়ার না যে আমাদেরকে বান্দর থেকে আসতেই হবে । আমরা সভ্য মানুষ এবং আমাদের পূর্ব পুরুষ হযরত আদম (আ) ছিলেন আর তিনিও মানুষ ছিলেন ।
* ইসলাম মানবতার জীবন বিধানের দিকে মানুষকে আহ্বান করে তাই ইসলামের অবশ্যই দরকার আছে ।
* নাস্তিক ধর্মের অনুসারীরাই আসলে অন্ধ বিশ্বাসী ।
* নাস্তিকরা মুসলিমদের ঘৃণা করে । তারা মুসলিমদের সাথে ভাল ব্যাবহার করতে জানেই না ।
* ইত্যাদি ইত্যাদি ইত্যাদি ।

খগেন দাদা এখন আমাদেরকে প্রশ্ন করুন আমরা কি উপরের দাবী বিশ্বাস করি ? উত্তর হচ্ছে অবশ্যই হ্যাঁ । শুধু বিশ্বাসীই করি না আমাদের আছে এরপক্ষে শক্তিশালী প্রমান আরও অনেক কিছু।
সুতরাং মুসলিমরা কুরআনকে অন্ধ ভাবে বিশ্বাস করে না বরং নাস্তিকরাই তাদের নাস্তিক ধর্মকে অন্ধ ভাবে বিশ্বাস করে এটাই পরিশেষে স্পষ্ট প্রমানিত হল ।

আমার দায়িত্ব শুধু জানিয়ে দেয়া আর আপনার দায়িত্ব কি সেটা নিচের আয়াত সমূহ পড়ে জেনে নিনঃ

* সুরা আল ইমরান ৩:২০ = যদি তারা সত্য থেকে মুখ ফিরিয়ে নেয়,তবে তোমার দায়িত্ব তো শুধু সত্য পৌঁছে দেয়া ।

* সুরা ইউনুস ১০:৪১ = তারা যদি তোমাকে মিথ্যাবাদী বলে, তুমি বল আমার কর্ম আমার আর তোমাদের কর্ম তোমাদের তোমাদের । আমি যা আমল করি তোমরা তা থেকে মুক্ত এবং তোমরা যা আমল করো আমি তা থেকে মুক্ত ।

* সুরা ইউনুস ১০:১০৮ = হে মানুষ তোমাদের রবের পক্ষ থেকে তোমাদের নিকট সত্য এসেছে । সুতরাং যে হিদায়েত গ্রহণ করবে সে নিজের জন্যই হিদায়েত গ্রহন করবে আর যে পথভ্রষ্ট হবে সে নিজের ক্ষতির জন্য পথভ্রষ্ট হবে ।

* সুরা কাহফ ১৮: ২৯ = সত্য হল আল্লাহ্‌র পক্ষ থেকে। সুতরাং যে ইচ্ছা করে সে যেন ইমান আসে এবং যে ইচ্ছা করে সে যেন কুফুরি করে।

* সুরা বাকারা ২:২৫৬ = ইসলামের ব্যাপারে কোন জবরদস্তী নাই ।

এমডি আলী

যিনি একজন লেখক, বিতার্কিক ও গবেষক। বিভিন্ন ধর্ম ও মতবাদ বিষয় পড়াশোনা করেন। ইসলামের সত্যতা মানুষের কাছে ছড়িয়ে দিতে চান। “সত্যের অনুভূতি” উনার লেখা প্রথম বই। “ফ্যান্টাস্টিক হামজা” দ্বিতীয় বই। জবাব দেবার পাশাপাশি নাস্তিক মুক্তমনাদের যৌক্তিক সমালোচনা করে থাকেন।

Previous Post Next Post