বরং বিক্ষত হও প্রশ্নের পাথরে ।



🧐বিষয়ঃ বরং বিক্ষত হও প্রশ্নের পাথরে ।
✍️লিখেছেনঃ এম ডি আলী
ভূমিকাঃ আমি মনে করি প্রশ্ন করা মানুষের অন্যতম অধিকার । তাই তো কবি বলেছেন বরং দ্বিমত হও, আস্থা রাখ দ্বিতীয় বিদ্যায়। বরং বিক্ষত হও প্রশ্নের পাথরে। বরং বুদ্ধির নখে শান দাও, প্রতিবাদ করো। অন্তত আর যাই করো, সমস্ত কথায় অনায়াসে সম্মতি দিও না। কেননা, সমস্ত কথা যারা অনায়াসে মেনে নেয়,তারা আর কিছুই করে না, তারা আত্মবিনাশের পথ পরিস্কার করে। আমিও তাই মনে করি আসলে । আমাদের উচিৎ নাস্তিক ধর্মকে মুক্তভাবে প্রশ্ন করা এই অন্ধ বিশ্বাসের ধর্ম কে প্রশ্ন করলে কি উত্তর পাওয়া যায় সেটাই মূল উদ্দেশ্য এবং এটাই সততা । কিন্তু এই নাস্তিক ধর্মের অনুসারীদেরকে প্রশ্ন করলে তারা উত্তর দিতে চায় না বরং এরিয়ে যায় । কেন ? সেটির উত্তর সভ্য মানুষরা বুঝে নিবে ।
নাস্তিকতাকে মানবতার ধর্ম বা মানব মুক্তির পথ ইত্যাদি দাবি করে এর অনুসারীরা । ঠিক আছে দাবি করতেই পারে । নিচের সহজ প্রশ্ন সমূহর জবাব আমাকে নাস্তিক ধর্ম দিয়েই সমাধান দিন । প্রমান করুণ আপনি, যে আসলেই নাস্তিক ধর্ম মানব মুক্তির একমাত্র পথ । নাস্তিক ধর্মের যুক্তি দিয়ে নিচের প্রশ্নর সমাধান দিন । যদি না পারেন তাহলে আমি কবির ভাষায় বলতে চাই জ্ঞান যেখানে সীমাবদ্ধ, বুদ্ধি সেখানে আড়ষ্ট, মুক্তি সেখানে অসম্ভব ।
সকল মানুষরেই ভাবা উচিৎ । অদ্ভুত অন্ধকার চারদিক। সেখানে একঝাঁক সাহসী তরুণ আলোর মশাল নিয়ে এগিয়ে চলছে জোরকদমে,আমি তাদেরই একজন। নাস্তিক ধর্মের কুসংস্কার যুক্ত বেড়াজাল থেকে বের হতে পারলেই প্রকৃত মুক্তমনা হওয়া সম্ভব আর আমি সেই মুক্তমনাদেরই একজন । কবি ঠিকই বলেছিলেন বরং বিক্ষত হও প্রশ্নের পাথরে ।
ℹ️ মুক্তমনা প্রশ্ন সমাহারঃ
🆓প্রশ্ন ১ > নারিকেল কেন শুন্য থেকে সৃষ্টি হল ? নারিকেলের মাঝে সুস্বাদু পানি নিজে নিজেই কিভাবে প্রবেশ করলো ? কেন নিজে নিজেই নারিকেলের মাঝে কাঁঠালের বিচি ডুকলো না ? যদি নিজে নিজেই নারিকেলের মাঝে মজাদার পানি প্রবেশ করলে পারে তাহলে শুন্য থেকেই কেন নারিকেলের মাঝে অন্য কিছু যেমন কাঁঠালের বিচি , খেজুরের রস নারিকেলের মাঝে নিজে নিজেই কেন প্রবেশ করতে পারে না ? এই সিস্টেম কিভাবে তৈরি করেছে এবং কেন তৈরি হল ? এই সিস্টেম তৈরি না হলে কি কোন ক্ষতি হত ? যদি ক্ষতি না হত তাহলে কেন তৈরি হল? নারিকেলের মাঝে সেউ সুস্বাদু পানি কোথা থেকে আসে এবং কেন আসে ? সেই পানিটি কেন এত স্বাদ ? সেই পানিটি তিতা হল না কেন ? কিভাবে হল না ?
🆓প্রশ্ন ২ > গাছ কেন শুন্য থেকে তৈরি হল ? গেণ্ডারি গাছের মাঝে সুস্বাদু রস হয় কিন্তু বাঁশের ভিতরে নিজে নিজেই রস হয় না কেন ? গেণ্ডারি যদি নিজে নিজেই তার ভিতরে সুস্বাদু রস দিতে পারে তবে বাঁশ কেন তার ভিতরে রস দিতে পারে না? শীতের দিনেই কেন খেজুর গাছে রস হয় বর্ষা কালে কেন রস হয় না,এই রস কোথা হতে গাছে প্রবেশ করে এবং কেন ও কিভাবে প্রবেশ করে ? ব্যাল গাছে খেজুরের রস হয়না কেন? সব কিছুই শুন্য থেকে সৃষ্টি হতে পারলে এই সিস্টেম কেন নিজে নিজেই পরিবর্তন হয় না ? এই সিস্টেম পরিবর্তন হলে কি কোন ক্ষতি হবে ? যদি হয় তাহলে কেন হবে আর যদি না হয় তাহলে কেন ক্ষতি হবে না ? এত বড় মহাবিশ্ব নিজে নিজে দুর্ঘটনায় সৃষ্টি হল আর এই সামান্য কিছু নিজে নিজেই পরিবর্তন হতে পারে না কেন ?
🆓প্রশ্ন ৩ > গরু ছাগল মহিষ ইত্যাদি কেন শুন্য থেকে তৈরি হল ? আমরা সকলেই জানি যে গরু,ছাগল খায় ঘাস,ভুশি ইত্যাদি কিন্তু ওলান থেকে বের হয় সাদা পুষ্টিকর দুধ,এই দুধ কিভাবে তারা নিজে নিজে ও কেন তৈরি করলো ? এতে লাভ কি তাদের? দুধের রঙ কেন সাদা ? গরু ছাগল তাদের মধ্যে থেকে শুন্য থেকে দুধ তৈরি হতে পারলে মুরগী অথবা মোরগ কেন দুধ দিতে পারে না ? বিবর্তন গরুকে দুধ দিল আর মুরগী কি অপরাধ করলো যে তার মধ্যে দুধ তৈরি সিস্টেম দিতে পারলো না ?
🆓প্রশ্ন ৪ > উট কেন শুন্য থেকে তৈরি হল ? উট তার মাঝে সাত দীনের পানি জমা করে রাখতে পারে এটি কে,কখন,কিভাবে তাকে শিখাল ? নিজে নিজেই বা কিভাবে এই সিস্টেম সে জানতে পারল? মরুভূমিতে বালুর ঝড় হওয়ার আগে উট বুঝতে পারে,এটি কেন,কিভাবে ও কবে সে বুঝতে শিখলো? যদি উট তা নিজে নিজেই পারে তবে হরিণ,গরু,মহিষ কেন তা পারল না নিজে নিজেই ? অন্য প্রাণী কেন মরুভুমিতে ঝর হওয়ার আগে বুজতে পারেনা যদিও তাকে মরুভুমিতে নেয়া হয়? একটি বানর তো বুঝতে পারে না কিন্তু কেন ?
🆓প্রশ্ন ৫ > ইলিশ মাছ কেন শুন্য থেকে তৈরি হল ? বাইন মাছ থাকে কাদায় কিন্তু তার গায়ে কাদা লাগে না কেন ? মানুষের ছায়া ধরা যায় না কেন , এই ছায়া কেন বস্তু হল না ? দেহ আর ছায়া যে আলাদা এই আলাদার সিস্টেম কেন শুন্য থেকে সৃষ্টি হল ? দেহ ধরা যায় না কিন্তু ছায়া ধরা যায় এই সিস্টেম কেন শুন্য থেকে হতে পারলো না ?
🆓প্রশ্ন ৬ > দুনিয়াতে আমরা কি চাই কেন চাই, এর কারন কি? এই যে চাওয়া এর উৎপত্তি কোথায় শুন্য থেকে হল এবং কেন হল,কিভাবে হল ? মানুষ এত কিছু চায় কেন যেহেতু সে কিছুদিন পড়েই মৃত্যুবরণ করবে ? অসীম চাওয়ার কারন কি অসীম প্রাপ্তি কি দুনিয়াতে সম্ভব কিনা ? হলে কিভাবে সম্ভব নাহলে কিভাবে না?
🆓প্রশ্ন ৭ > কেনই বা মশা,মাছি, কিট_পতঙ্গ, বিভিন্ন রোগ জীবাণুর জীবন,উন্নত প্রজাতির যেমন গরু ছাগল, ঘোড়া ,হাতি বানর শিপপাঞ্জি এবং পরিশেষে সৃষ্টির সেরা মানুষের জীবনবোধ ক্রমান্বয়ে উন্নততর হতে উৎকৃষ্টতম হল? জীবনবোধের বিভিন্নতা কেমন করে এল? মানুষের মতো মশারও জীবনবোধ উন্নত হওয়ার কথা ছিল কিন্তু তা হয়নি কেন? শুন্য থেকে এই সিস্টেম কেন তৈরি হল না ? সর্ব প্রথম কেন এই সিস্টেম তৈরি হতেই হল ? মশা কেন সৃষ্টি হল ? মাছি কেন সৃষ্টি হল ? মশা অথবা মাছি কেন মানুষের মত উন্নত হল না ? মশা শুন্য থেকে কিভাবে সৃষ্টি হল এবং মাছিও ?
🆓প্রশ্ন ৮ > মৃত্যু কেন শুন্য থেকে সৃষ্টি হল ? কিভাবে সৃষ্টি হল ? সর্ব প্রথম কোথায় এবং কেন মৃত্যুর সৃষ্টি হল শুন্য থেকে ? এমন কেন হল না যে আমরা সব সময় বেঁচে থাকবো কখনো ধ্বংস হবো না ? শুন্য থেকে এরকম সিস্টেম কেন তৈরি হতে পারলো না ? শুন্নতার ঠিক কোন জাগায় মৃত্যুর অস্তিত্ব আগে ছিল ? এখন সেটি কোথায় ? মৃত্যু কি নিজেই মৃত্যু অর্থাৎ মৃত্যুর কেন মৃত্যু হয় না ? মৃত্যু কেন শুধুই দুনিয়ার মধ্যে তৈরি হল তাও শুন্য থেকেই ? শুন্যতা কেন মৃত্যুকে অন্য কোন গ্রহে দিতে পেশ করতে পারলো না ? বিবর্তন কেন এই মৃত্যুকে ধ্বংস করতে পারলো না ? মৃত্যু কেন জন্ম হওয়ার সিস্টেমকে ধ্বংস করতে পারলো না ? মৃত্যু নিজেকেই কেন মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিতে পারছে না ? আসলে এই সিস্টেম সমূহ কেউই কন্ট্রোল করছে ? শুন্য থেকে এসব সৃষ্টি হলে অবশ্যই এসব সিস্টেম পরিবর্তন হওয়ার কথা, কেন হচ্ছে না , কিভাবে হচ্ছে না ? শূন্যতায় এই সিস্টেম প্রথমে কোথায় ছিল এবং কেন পরবর্তীতে এসব এলো ? আসলই বা কেন ? কি দরকার ছিল ? শুন্য থেকেই বা এত সিস্টেই বা কেন নিজে নিজেই তৈরি হল ?
🆓প্রশ্ন ৯ > বিবর্তনবাদ বিশ্বাস অনুযায়ী আজ থেকে কোটি কোটি বছর আগে বিশেষ এক ব্যাকটেরিয়া থেকে পুরো জীব জগতের বিবর্তন শুরু হয়েছে।প্রশ্ন হল সেই বিশেষ ব্যাকটেরিয়া থেকে এলোমেলো পরিবরতন ও প্রাকিতিক নির্বাচন এর মাধমে কবে,কথায়,কেন,কতদিনে ও কিভাবে পরের জীব বিবর্তন হয়েছিল? সেই এককোষী ব্যাকটেরিয়ায় কি এমন ছিল যার কারনে দ্বিতীয় কোষ সৃষ্টি হয়েছে ? শুন্য থেকে কেন এই এককোষী ব্যাকটেরিয়া সৃষ্টি হল এবং এই এককোষী ব্যাকটেরিয়া থেকেই কেন দ্বিতীয় কোষ এভাবে পুরা জীবজগতকে আসতে হলো ? এককোষী ব্যাকটেরিয়া কেন এককোষী হিসেবেই শুন্য থেকে তৈরি হলো? এককোষী ব্যাকটেরিয়া প্রথমে কোথায় ছিল শুন্যের ? শুন্য থেকেই কেন এক চান্সে মানুষ আসতে হতে পারলো না ? শুন্যতা কেন নিয়ম মেনেই চলছে ?
🆓প্রশ্ন ১০ > সেই এককোষীর সাথে একটি নাকি একাধিক জীবের বিবর্তন হয়েছিল এবং কেন ও কিভাবে হয়েছিল ?প্রথম ব্যাকটেরিয়া ও দ্বিতীয় জীবের মাঝে কি কি পার্থক্য ছিল,কেন ছিল,কিভাবে ছিল,কি অবস্থায় ছিল অথবা এসব পার্থক্যই বা কেন শুন্য থেকে এলো ? দ্বিতীয় জীব দেখতে কেমন ছিল? মধ্যবর্তী ধাপগুলোই বা কেমন ছিল? দ্বিতীয় জীব বিবর্তন হওয়ার পর প্রথম ব্যাকটেরিয়া বেঁচে ছিল নাকি মারা গিয়েছিল? বিবর্তন কেন সেই জীবকে শুন্যতা থেকেই বাঁচাতে পারলো না ? একটিমাত্র ব্যাকটেরিয়ার ক্ষেত্রে প্রাকিতিক নির্বাচনই বা কি করে হয়েছিল? এসব প্রাকিতিক নির্বাচনের দরকার কেন ? না হলে কি ক্ষতি হত ?
🆓প্রশ্ন ১১ > সব কিছুই কাকতালীয় ভাবে হয়েছে । আজ পর্যন্ত কেন নতুন দেহ ,প্রান, সৃজন হল না আর কেন হচ্ছেনা ?এই নিয়মই কেন ও কোন কার্য কারনে শুন্য থেকে হলো ? আর সবচে বেশি প্রয়োজন বেঁচে থাকা তবে প্রকিতি কেন বিবর্তনে এটা দিতে পারছে না? শুন্য থেকে কেন চিরকাল বেঁচে থাকার সিস্টেম তৈরি হচ্ছে না ?
🆓প্রশ্ন ১২ > বিবর্তনের মাধ্যমে যখন যুগল প্রান সৃষ্টি হল অর্থাৎ নারী ও পুরুষে প্রান আসে।তখন প্রথম নারী প্রান নাকি পুরুষ প্রান সৃষ্টি হয়েছিল? যদি বলেন পুরুষ তবে নারী কি তার দেহ কেটে বের হয়েছিল,যদি বলেন নারী তবে কি পুরুষ নারীর প্রানের দেহ কেটে বের হয়েছিল? যদি বিবর্তন সত্য হয় তাহলে শুধুমাত্র মানুষ প্রাণীই কেন এমন উন্নতমানের বুদ্ধিমান হল? বুদ্ধির কি অস্তিত্ব আছে নাস্তিক ধর্মের আলোকে ? বুদ্ধি আসলে কেরকম ? বুদ্ধি কেন শুন্য থেকে সৃষ্টি হল ? বুদ্ধি নিজে কি বুদ্ধিমান ? কিভাবে এবং কেন ? বুদ্ধি কিভাবে নিজে নিজেই বুদ্ধি অর্জন করেছে এবং কেন অর্জন করেছে ? বিবর্তন কি নিজে বুদ্ধিমান ? শূন্যতায় প্রথমে কোথায় বুদ্ধি ছিল এবং কিভাবে ছিল ? এককোষী ব্যাকটেরিয়া কি বুদ্ধিমান কোন কোষ ছিল ? বিবর্তন আসলে এককোষী ব্যাকটেরিয়াকে কি করেছিল ?
🆓প্রশ্ন ১৩ > প্রথম জৈব কোষের সৃষ্টি কিভাবে ? কেন জৈব কোষ সৃষ্টি হল শুন্য থেকে ? আজ পর্যন্ত কি কোন জৈব বস্তুর বা প্রানের সাহায্য ছাড়া পরীক্ষাগারে অজৈব থেকে প্রান কোষের বা প্রানের সৃষ্টি করতে পেরেছে কেউ ? আপনারা কিভাবে বিশ্বাস করেন যে অজৈব বস্তু থেকে প্রানের সৃষ্টি যেমন ইট থেকে কি মশা তৈরি হতে পারে ? এটা কি অন্ধ বিশ্বাস নয়? প্রান আসলে কি ? প্রানের অস্তিত্ব আছে কি ? প্রান দেখা যায় না কেন ? প্রান কেন দেহের মত দৃশ্যমান হলো না ? প্রানের শুরু কোথায় এবং কেন ? প্রানের অস্তিত্ব না থাকলে শক্তির কি অস্তিত্ব আছে ? শক্তি দেখতে কেরকম ? না দেখে শক্তিকে বিশ্বাস করলে কি অন্ধ বিশ্বাস হয় না কিভাবে ? শক্তি প্রথম কিভাবে শক্তিশালী ছিল ? শক্তি কিভাবে শুন্য থেকে শক্তিশালী হলো ? শক্তির কেন অস্তিত্ব হলো ? না হলে ক্ষতি কি ছিল ?
🆓প্রশ্ন ১৪ > নারী পুরুষ কিভাবে শুন্য থেকে সৃষ্টি হল ? নারী পুরুষের দেহের পার্থক্য কিভাবে হলো? ভ্রুনের একক কোষ থেকে উৎপন্ন নতুন কোষ সমূহ নিজেদের সাধারন প্রজাতিক বৈশিষ্টতা রক্ষা করে কিভাবে নিজের নিজের বিশেষ কর্তব্য ও দায়িত্ব পালনে স্বয়ংক্রিয়ভাবে নিয়জিত হয়ে যায়? কোনটি হৃতপিণ্ডের কোষ ,কোনটি স্নায়ুর আবার কোনটি রক্ত কোষের কর্তব্য পালন করতে শুরু করে ,এভাবেই ভ্রূণটি একটি সম্পূর্ণ শিশু হয়ে গড়ে উঠে এই সিস্টেম কেন ? একটি একক নগণ্য কোষ এমন অসংখ্য কোষ কি করে জন্ম দেয়, যা শিশু সৃষ্টি কর্মের নির্দিষ্ট কাজের সুচির অনুযায়ী যথোপযুক্ত সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন ও বিশিষ্ট কর্তব্য পালন করতে শুরু করে দেয়? একটি শিশুকে কেন দীর্ঘমাস মায়ের পেটে থাকতে হয় ? শিশু কেন শুন্য থেকেই একটি সম্পূর্ণ মানুষে পরিণত হতে পারে না ? শুন্যতা কেন সিস্টেম দিতে পারলে সেটি আর পরিবর্তন করতে পারে না , যেমন প্রথমে বুড়ো এরপরে যুবক এরপরে শিশু এই সিস্টেম কেন শুন্যতা আমাদের দিতে পারে নাই এখন পর্যন্ত কেন দিতে পারছে না ? আসলে শূন্যতার জন্যই কেন এত কিছু সৃষ্টি হল ? দরকার কি ছিল ?
🆓প্রশ্ন ১৫ > বিবর্তন বিশ্বাস মতে সব প্রাণী সমান একটি ছাগল আর নাস্তিক মানুষের মাঝে পার্থক্য নাই তাহলে ছাগলের নৈতিকতা না থাকলে মানুষের নৈতিকতার দরকার কি ? নৈতিকতা কাকে বলে এবং কেন বলা হয় তাকেই নৈতিকতা ? নৈতিকতা কে ঠিক করবে এবং কেন করবে ? কোন মানুষ নৈতিকতার সংজ্ঞা ঠিক করলে সেটি অন্য মানুষ মানতে বাধ্য কেন ? কুকুর ছাগলের নৈতিকতা নেই তাহলে মানুষও তাদের মত প্রাণী তাহলে মানুষের কেন নীতি লাগবে ? সকল নৈতিকতার পিছনে যৌক্তিক কারন কি ?
🆓প্রশ্ন ১৬ > এককোষী ব্যাকটেরিয়া থেকে বিবর্তনের মাধ্যমে সমস্ত প্রানি জগত ।বিবর্তনের মধ্যে দিয়ে প্রাণীর মাঝে যে বৈশিষ্ট এসেছে তা সমান ভাবে সকলের মাঝে এসেছে। কলা গাছের বৈশিষ্ট হল কলা ফোলানো সে আজীবন কলাই ফলিয়ে যাচ্ছে এভাবে সব প্রানিই । এক কুকুর যা পারে অন্য কুকুর তাই পারে ,এক হাতিও যা পারে অন্যরাও তা পারে ,এক পাখি যা পারে অন্য পাখিও তাই পারে। প্রাণী আর উদ্ভিদের মাঝে যা বৈশিষ্ট এসেছে তা সমানভাবে সবার মাঝে এসেছে তাই বিবর্তনবাদের বিশ্বাস অনুযায়ী সকল সৃষ্টিকে এক করে ফেলেছে। প্রশ্ন হল বানরের কাছাকাছি প্রজাতির (ধরে নেই বানর থেকেই) থেকে মানুষ বিবর্তিত হওয়ার সময় কি এমন বৈপ্লিক বিবর্তন ঘটেছিল যে মানুষের মধ্যে ভিন্ন ভিন্ন বৈশিষ্ট গুন চলে এলো ? যেমন পদার্থ বিজ্ঞান পড়ে একজন আইনস্টাইন হতে পারলেও একই বিষয় পড়ে আরেকজন কেন স্কুল মাস্টারি করে জীবন কাটায় ? ৯২ কেজি ওজন নিয়ে উসাইন বোল্ড ৯ সেকেন্ডে ১০০ মিটার দৌড়াতে পারলেও ৬৫ কেজি ওজন নিয়ে ১০০ মি দৌড়ে জেতে আমার কেন ৫ মি লাগে? ইত্যাদি । কি এমন বিবর্তনে কারিশমা মানুষের বেলায় ঘটল যে যেটা বিবর্তনের ইতিহাসে আর কোন প্রাণীতেই ঘটে নাই ? এমন কি মানুষের খুব কাছাকাছি বিবর্তন বিশ্বাস মতে, গোত্রের বানর জাতি গ্রুপের মধ্যেও কেন এর বিন্দমাত্র নাই ? বিবর্তনের কি সিমারেখা আছে ? থাকলে সেটি কেরম এবং কে সেই সিমানা বানিয়েছেন নাকি শূন্যতাই ?
🆓প্রশ্ন ১৭ > বানর থেকে মানুষ ।মানুষ থেকে বিবর্তন হয়ে কি হবে ? ধরুন ১ হল বানর । এই বানর থেকে বিবর্তন হয়ে ২,৩,৪,৫ এবং ৬ মানুষে পরিবর্তন হল। প্রশ্ন হল ১ বানর কোটি কোটি আছে এবং মানুষও কোটি কোটি আছে কিন্তু যে বিবর্তনের ধারা ২,৩,৪,৫ এরা কথায় ? অর্থাৎ বানর থেকে মানুষ হওয়ার মধ্যকার প্রাণীরা কোথায়? তাদের অস্তিত্বর প্রমান কি ? তারা ধ্বংস হল কেন ? শুন্যতা তাদেরকে রক্ষা করতে পারলো না কেন ? শুন্য থেকেই তারা এখন কেন দুনিয়াতে তৈরি হতে পারছে না ? শুন্যতা কি এখানে ফেইল ? কেন ফেইল ? বানর কেন শুন্য থেকে এসেছে এবং মানুষ কেন শুন্য থেকে হতে পারলো না ? বানর থেকে মানুষ না হয়ে সরাসরি কেন মশা তৈরি হলো না শুন্য থেকে ?
🆓প্রশ্ন ১৮ > গত কয়েক হাজার বছরে মানুষের আর কি কি পরিবর্তন হয়েছে বিবর্তিত হয়ে ? মানুষের বিবর্তন যদি লং প্রসেস হয়, কিন্তু এর মধ্যে অন্য কোন প্রজাতির প্রাণীর বিবর্তিত হয়েছে ? সেই প্রাণীর কেন বিবর্তন হয়েছে কোথায় হয়েছে ? কিভাবে হয়েছে ? বিবর্তন কেন লম্বা প্রসেসেই হতে হলো ? সংক্ষেপ কেন হলো না ? শুন্যতা যেখানে লম্বা প্রসেস দিতে পারলো সেখানে সংক্ষেপ প্রসেস কেন দিতে পারেনি ? ধরুন এখনই যদি মানুষের পাখির মত ডানা তৈরি হত শুন্য থেকে কত উত্তম হত ? কিন্তু এখন শুন্যতা কেন কাজ করতে পারছে না ?
🆓প্রশ্ন ১৯ > বিবর্তনবাদ মতে মানুষ এবং শিপ্পাঞ্জি একই পূর্বপুরুষ থেকে বিবর্তিত হয়েছে। প্রশ্ন হল একই পূর্বপুরুষ থেকে বিবর্তিত হলে মানুষ এখন মানুষ এবং শিপ্পাঞ্জি এখন শিপ্পাঞ্জি আছে কিভাবে ?বিবর্তন কি শুধু একবারই ঘটে ?বিবরতন হতে সময় লাগে লাখ লাখ বছর । তাহলে আমাকে কেউ এমন একটা জীবিত প্রানীর সন্ধান দাও যার বর্তমান বয়স লাখ লাখ বছর । যদি পারো দেখাও? এমন কোন প্রাণী আছে যার বয়স লাখ লাখ বছর ?এবং সেই প্রাণী সর্ব প্রথম কোন বস্তুর থেকে বিবর্তন হইল ?কেন হইল কোথায় হইল? কোন বস্তুর দ্বারা হইল ?সেই বস্তুকে কে সৃষ্টি করল ?এখন কি সেই বস্তু আছে ?যদি না থাকে কেন নাই? বিবর্তনের কি গতি আছে ? যদি ধীর গতিতে হয় তাহলে সেটার সময় কত আর যদি দ্রুত গতিতে হয় সেটার সময় কত ?
🆓প্রশ্ন ২০ > বিবতন কি এখন হচ্ছে ? যদি শেষ হয়ে যায় তাহলে কেন শেষ ? প্রথম থেকে মানুষ পর্যন্ত কয় স্তর ও কয় ধরনের প্রাণীতে বিবর্তিত হয়েছে তাদের পরিচয় কি? বানর থেকে যদি মানুষ হয় তবে কেন এখন বানর দেখা যায় ? এরা কেন মানুষ হইল না? শিপ্পাঞ্জি থেকে যদি মানুষ বিবর্তিত হয়ে এত বুদ্ধিমান হতে পারে । তবে অন্য অনেক প্রাণীর মস্তিষ্ক মানুষ এর তুলনায় অনেক বড় ছিল তারা কেন মানুষ সমতুল্য বা তার অধিক বুদ্ধিমান হলো না ?
🆓প্রশ্ন ২১ > বিবর্তন হওয়া শিপ্পাঞ্জি যদি আজও বিদ্যমান থাকতে পারে তবে শিপ্পাঞ্জির অন্যান্য জাতি গুলো কোথায়? শুধু শিপ্পাঞ্জি থেকেই কি তবে সরাসরি মানুষ বিবর্তিত হয়েছে ?ব্যাকটেরিয়া কোথা হতে এলো কেন ও কিভাবে এলো ?ব্যাকটেরিয়া কি থেকে বিবর্তিত হয়েছে কিভাবে হয়েছে ? কেন হয়েছে? ব্যাকটেরিয়া কি একই সঙ্গে একই জাতির দুইটি জেন্ডার পুরুষ বা স্ত্রী তৈরি করেছে ? তাহলে কি ব্যাকটেরিয়া অটোম্যাটিক কোন জাতিও পুরুষ এবং স্ত্রী বানানোর জ্ঞান রাখল ? কেন রাখল ? কিভাবে রাখল ? সেই আদি প্লটোপ্লাজমের বংশধর কেবল মাত্র সুনির্দিষ্ট দুই শাখায় রুপ নিল কেন ?এক বা তিন বা ততোধিক শাখায় রুপ নিল না কেন ?কুকুরের আদি পুরুষ কি শিয়াল ? মানে শিয়াল কি বিবর্তনের ধারাবাহিকতায় কুকুরে পরিণত হয়েছে?
🆓প্রশ্ন ২২ > ব্যাকটেরিয়া কেন শুন্য থেকে তৈরি হল ? কুকুর কেন শুন্য থেকে তৈরি হল ? এই দুনিয়া কেন শুন্য থেকে তৈরি হলো ? দুনিয়া ছাড়া সব কিছুই শুন্য থেকে হলেই বা কি হত ? শুন্যতা নিজে কি সৃষ্টি ? শুন্যতাকি শুন্য থেকে এসেছে এবং কেন এসেছে কোথা থেকে এসেছে ?
🆓প্রশ্ন ২৩ > সামুদ্রিক 'ইলেকট্রিক ঈলের" কথা অনেকেই শুনেছেন ,নিজের দেহের ভিতরেই বিদ্যুৎ তৈরি করে থাকে এই সামুদ্রিক ঈলেরা। আর এই জন্যই এদের নাম সমুদ্রিক ইলেকট্রিক ঈল। এ প্রাণীরা সমুদ্রের গহীন জলে অন্ধকার পথে দেখতে ,শিকার করতে এবং বিপদে আত্মরক্ষা করতে এরা আলো ব্যবহার করে । ইউরোপ ও অ্যামেরিকা হতে দল বেধে এ সামুদ্রিক প্রাণীরা ডিম পারার জন্য ছুটে আসে বারমুডা টাঙ্গেলে। পূর্বে সারগসা সাগর ,দক্ষিনে বাহামা ,কিউবা , উত্তরে ভারজেনিয়া এবং পশ্চিমে অ্যামেরিকার মুল ভূখণ্ড পর্যন্ত বিস্তৃত এ অঞ্চল । সেই ডিম হতে বাচ্চা হয় ,বড় হয়ে বাচ্চারা দেশে ফিরে আসে কিন্তু যাদের বাচ্চা তারা আর ফিরে আসেনা। কোথায় যায় বাচ্চাদের মা রা ? জাহাজ বিমান আর মানুষের মতো ইলেকট্রিক ঈলদেরও কি গিলে ফেলে বারমুডা টাঙ্গেল ? তবে বাচ্চাদের গিলে না কেন? আচ্ছা ঈলদের গায়ে এই বিদ্যুৎ তৈরি করার সিস্টেম শুন্য থেকে হতে পারলে মানুষের দেহে এরকম সিস্টেম কেন হলো না ? বিদ্যুৎ শূন্যতায় কিভাবে সৃষ্টি হয়েছে ?
🆓প্রশ্ন ২৪ > মহাবিশ্বের এক ক্ষুদ্রায়তন গ্রহে পৃথিবীতে বিস্ময়করভাবে এমন সব জিনিস শুন্য থেকে সৃষ্টি হয়েছে, যা আমাদের জীবন, সমাজ, ও সভ্যতার জন্য একান্তই অপরিহার্য কিন্তু এর কারন কি ? কেন এরকম হলো ? শুন্যতা থেকেই বা এসব না আসলে কি হত ? আর সে সব জিনিসও অফুরন্ত হয়েই বা থাকছে কেন? কি এর যুক্তি? কেবল আকস্মিক দুর্ঘটনার ফলে হওয়াই কি এসব ঘটনার পূর্ণ পরম্পরা সহকারে ধারাবাহিকভাবে ঘটে যাওয়ার জন্য যথেষ্ট কারন কিভাবে কেন ? ?তারই জন্য কি এসব লক্ষ কোটি বছর ধরে অব্যাহত হয়ে থাকছে? এতকাল এত শত সহস্র লক্ষ কোটি বছর গত হয়ে যাওয়ার পরও কি তা নিঃশেষ হয়ে যাবে না ? তার ক্রমিক ধারায় বিন্দু মাত্র পরিবর্তনও আসবে না? নিছক দুর্ঘটনা বশত ঘটে যাওয়া ব্যাপারের সাথে এই বাধ্যবাধকতা ও অপরিহার্যতার গুন কোথা থেকে এলো ? কেন এলো কিভাবে এলো? এমন বিস্ময়কর ভাবে অব্যাহত ধারায় ক্রমাগত বিকাশ ও উন্নতি লাভের প্রবণতাই বা এলো কোথা থেকে ? কিভাবে এলো ? দরকার কি ছিল ?
🆓প্রশ্ন ২৫ > একেক ঋতুর একেক বৈশিষ্ট নির্দিষ্ট কেন ?যেমন শীতকালে সব কিছু ঠাণ্ডা লাগে ও খেজুরের রস হয় ইত্যাদি শীতকালীন ফল হয় আর গ্রীষ্মকালে হয় গরম ও খেজুরের রস হয় না ও এমন কিছু ফল হয় যা শীতকালে হয় না , প্রশ্ন হল গ্রীষ্মকালে কেন খেজুরের রস হয় না? আর যে ফল শীতকালে ফলে তা গ্রীষ্মকালে ফলে না কেন ?অর্থাৎ একেক ঋতুর বৈশিষ্ট নির্দিষ্ট কেন ?এক ঋতুর বৈশিষ্ট যদি অন্য ঋতুতে হুবহু প্রকাশ পেত তাইলে কি কোন ক্ষতি হত? যদি না হয় অথবা ক্ষতি হয় তাইলে অমন হইল না কেন ? ঋতুর সর্ব প্রথম অস্তিত্ব কিভাবে প্রকাশ পেল ? ঋতুর দরকার কেন ? শুন্যতা কেন ঋতুকে শুন্য থেকে তৈরি করলো ? কেন করলো ? কিভাবে করলো?
এমডি আলী

যিনি একজন লেখক, বিতার্কিক ও গবেষক। বিভিন্ন ধর্ম ও মতবাদ বিষয় পড়াশোনা করেন। ইসলামের সত্যতা মানুষের কাছে ছড়িয়ে দিতে চান। “সত্যের অনুভূতি” উনার লেখা প্রথম বই। “ফ্যান্টাস্টিক হামজা” দ্বিতীয় বই। জবাব দেবার পাশাপাশি নাস্তিক মুক্তমনাদের যৌক্তিক সমালোচনা করে থাকেন।

Previous Post Next Post