নবীজি মুহাম্মদ (সা) কি এক বয়স্ক ছেলেকে নারীর স্তন থেকে সরাসরি দুধপান করতে বলেছেন ,ব্যাপারটি কেমন অশ্লীল না ?


🚫প্রশ্নঃ নবীজি মুহাম্মদ (সা) কি এক বয়স্ক ছেলেকে নারীর স্তন থেকে সরাসরি দুধপান করতে বলেছেন ,ব্যাপারটি কেমন অশ্লীল না ?
🖊 লিখেছেনঃ এম ডি আলী
 উত্তরঃ ইসলামের আইন না জেনে, মূল কাহিনী না জেনে একটি সিদ্ধান্ত বলে দেয়া মূর্খতার পরিচয় । তাই এখন আমরা এই বিষয়ে হাদিস সমূহ দেখে নেই আসুনঃ
ihadis.com, সহিহ মুসলিম, হাদিসঃ ৩৪৯২ ,সহিহ হাদিসঃ আয়িশাহ্‌ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ তিনি বলেন, সুহায়ল-এর কন্যা সাহ্‌লাল্‌ নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিকট হাযির হয়ে বলল, হে আল্লাহর রসূল, আমার সাথে সালিমের দেখা সাক্ষাৎ করার কারণে আমি আবূ হুযায়ফার মুখমন্ডলে অসন্তুষ্টির আলামত দেখতে পাচ্ছি অথচ সালিম হল তাঁর হালীফ (পোষ্য পুত্র)। নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ তুমি তাকে দুধপান করিয়ে দাও। তিনি বলেন, আমি কেমন করে তাকে দুধপান করাব, অথচ সে একজন বয়স্ক পুরুষ। এতে রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) মুচকি হাসি দিলেন এবং বললেন, আমি জানি যে, সে একজন বয়স্ক পুরুষ। ‘আম্‌র (রাবী) তাঁর হাদীসে অতিরিক্ত বলেছেন, সালিম বদর যুদ্বে অংশগ্রহণ করেছিলেন। আর ইবনু আবূ ‘উমারের বর্ণনায় রয়েছে যে, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হেসে দিলেন।
ihadis.com, সহিহ মুসলিম, হাদিসঃ ৩৪৯৩ ,সহিহ হাদিসঃ ‘আয়িশাহ্‌ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ আবূ হুযায়ফার মুক্তদাস সালিম (রহঃ) আবূ হুযাইফাহ্‌ ও তাঁর পরিবারের সাথে একই ঘরে বসবাস করত। একদা সুহায়লের কন্যা (হুযায়ফার স্ত্রী) রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিকট এসে বলল, সালিম বয়স্ক পুরুষের স্তরে পৌছে গেছে, সে বুঝে লোকে যা বুঝতে পারে অথচ সে আমাদের নিকট প্রবেশ করে থাকে। আমি ধারণা করি এ কারণে আবূ হুযায়ফার মনে অভিযোগের ভাব সৃষ্টি হয়েছে। নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাকে বললেন, তুমি তাঁকে দুধপান করিয়ে দাও, তুমি তাঁর জন্য হারাম হয়ে যাবে এবং আবূ হুযায়ফার মনের অভিযোগ দূরীভূত হবে। অতঃপর তিনি তাঁর (আবূ হুযায়াফার) নিকট ফিরে এসে বললেন, আমি তাকে (সালিমকে) দুধপান করিয়েছি। তাতে আবূ হুযায়ফার মনের অসন্তোষ দূর হয়ে যায়।
ihadis.com, সহিহ মুসলিম, হাদিসঃ৩৪৯৫ , সহিহ হাদিসঃ যায়নাব বিনতু উম্মু সালামাহ্ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিতঃ ‘আয়িশা (রাঃ)-কে বললেন, তোমার নিকট বালিগ হওয়ার নিকটবর্তী ছেলে প্রবেশ করে থাকে, কিন্তু আমার নিকট ঐ ধরনের ছেলের প্রবেশ করাকে পছন্দ করি না। রাবী বলেন, ‘আয়িশা (রাঃ) বললেন, তোমার জন্য কি রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর মধ্যে সুন্দর আদর্শ বিদ্যমান নেই? তিনি আরো বললেন, একদা আবূ হুযায়ফার স্ত্রী আরয করল, হে আল্লাহর রসূল! সালিম আমার নিকট প্রবেশ করে থাকে, অথচ সে একজন বয়স্ক পুরুষ এবং এজন্য আবূ হুযায়ফার অন্তরে কিছুটা অসন্তোষ ভাব বিদ্যমান। তখন রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ তুমি তাকে তোমার দুধপান করিয়ে দাও যাতে সে তোমার নিকট প্রবেশ করতে পারে।
উপরের হাদিস সমূহকে কোথায় লেখা আছে যে "স্তন থেকে সরাসরি চুষে দুধ পান করাতে বলা হয়ছে ?" এরকম কিছুই বলা হয়নি । তাছাড়া - আততাবক্কাতুল কুবরা-৮ খণ্ড, ২১২ পৃষ্ঠা, দারুল কুতুব বৈরুত, রাবী নং-৪২১৯ = দুগ্ধপান পদ্ধতি কেমন ছিল? তা তাবকাতে ইবনে সাদে বর্ণিত রেওয়ায়েতের দ্বারা পরিস্কার। সাহলা এক পাত্রে দুগ্ধ দোহন করে রাখলেন। সেখান থেকে সালেম পাঁচদিন এসে দুধ পান করে যায়। এরপর সালেম সাহলা এর সামনে পর্দা ছাড়াই সরাসরি প্রবেশ করতো। সাহলার বিন সুহাইয়েলের সহজতার জন্য রাসূল সাঃ এ সুযোগ প্রদান করেন।
বাংলাদেশ ইসলামি সেন্টার প্রকাশিত, সহিহ মুসলিম, খণ্ড ৫ , পৃষ্ঠা ১০২ এর টীকায় বলা হয়েছেঃ হযরত আয়েশা (সা) এর মতে এই হাদিস থেকে প্রমাণিত হয় যে দুধপান করার কারনে বৈবাহিক সম্পর্ক হারাম হওয়ার জন্য বয়সের কোন সীমাবদ্ধতা নেই । যে কোন বয়সে কোন স্ত্রীলোকের দুধপান করলেই তাদের মধ্যে বৈবাহিক সম্পর্ক হারাম হয়ে যাবে । কিন্ত সাহাবা, তাবেঈন ও বিশেষজ্ঞ আলেমদের মত হল, দুই বছরের কম বয়সের শিশু দুধপান করলে হারাম হওয়া সাব্যস্ত হবে । ইমাম আবু হানিফার (রহ) মতে অবশ্য এই সীমা আড়াই বছর এবং ইমাম যুফারের মতে তিন বছর । অধিকাংশ আলেম যে মত পোষণ করেছেন তার সমর্থনে তারা কুরআনের আয়াত তথাঃ = সুরা বাকারা ২:২৩৩ ও সুরা লুকমান ৩১:১৪ = যেসব মায়েরা পূর্ণকাল সন্তানদের দুধপান করাতে চায় তারা দুই বছর পর্যন্ত তাদের সন্তানদের দুধপান করাবে । এই হাদিসে সালেমকে দুধপান করানোর বিষয়টা উলামায় কেরাম বিশেষ ঘটনা হিসেবে গ্রহন করেছেন । এটা তার জন্য নির্দিষ্ট । অবশ্য তাকে সাহলা বিনতে সুহাইলের স্তনে মুখ লাগিয়ে দুধপান করানো হয়নি । বরং পাত্রে করে তা পান করানো হয়েছে ।
ihadis.com, সহিহ মুসলিম, হাদিসঃ৩৪৯৭ , সহিহ হাদিসঃ উম্মু সালামাহ্ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিতঃ রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সকল সহধর্মিনী দুধপান সম্পর্কের দ্বারা কাউকে তাদের নিকট প্রবেশ করতে নিষেধ করেন এবং তারা ‘আয়িশা (রাঃ)-কে বলেন, আল্লাহর কসম, আমরা এটাকে (প্রাপ্ত বয়সে দুধপান দ্বারা হুরমত সাব্যস্ত হওয়াকে) একটি বিশেষ অনুমতি মনে করি যা রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কেবল সালিমের জন্য দিয়েছিলেন। অতএব এ ধরনের দুধপানের মাধ্যমে কেউ আমাদের নিকট প্রবেশ করতে পারবে না এবং আমাদের প্রতি দৃষ্টিপাতও করতে পারবে না।
ihadis.com, সুনানে আন নাসায়ী , হাদিসঃ ৩৩২১ , সহিহ হাদিসঃ আয়েশা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আবূ হুযায়ফা-এর মাওলা সালিমকে দুধ পান করাবার জন্য আবূ হুযায়ফা-এর স্ত্রীকে আদেশ করেছেন। যাতে আবূ হুযায়ফা-এর (ক্ষোভ) প্রশমিত হয়ে যায়। অতএব, তিনি তাকে দুধ পান করালেন, অথচ তখন সে ছিল একজন বয়স্ক পুরুষ। রবী’আ বলেনঃ এটা ছিল সালিম-এর জন্য বিশেষ অনুমতি।
ihadis.com, সুনানে আন নাসায়ী , হাদিসঃ ৩৩২৪ , সহিহ হাদিসঃ উরওয়া (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) –এর স্ত্রীগণ তাঁদের নিকট এ ধরনের দুধ সম্পর্কের কোন ব্যক্তির আগমনকে অপছন্দ করতেন (আয়েশা রাঃ ব্যতীত), অর্থাৎ বয়স্কদের দুধ সম্পর্ক। তাঁরা আয়েশা (রাঃ)- কে বলতেনঃ আল্লাহ্‌র কসম! আমরা মনে করি রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সাহলা বিনত সুহায়ল-কে যে আদেশ করেন, তা রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) –এর পক্ষ হতে শুধু সালিম-এর দুধ পানের ব্যাপারেই বিশেষ অনুমতি ছিল। আল্লাহ্‌র কসম! এ ধরনের দুধ সম্পর্ক নিয়ে কেউ আমাদের নিকট আগমন করবে না এবং আমাদেরকে দেখবে না।
ihadis.com, সুনানে আন নাসায়ী , হাদিসঃ ৩৩২৫ , সহিহ হাদিসঃ আবূ উবায়দা ইব্ন আবদুল্লাহ্ ইব্ন যাম’আ থেকে বর্ণিতঃ তাঁর মাতা যয়নাব বিনত আবূ সালমা তাকে (ইব্ন শিহাবকে) অবহিত করেছেন, তার মাতা রাসূলুল্লাহ্র স্ত্রী উম্মু সালামা বলতেন, রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) –এর সকল স্ত্রীই এ দুধ সম্পর্কে তাঁদের নিকট প্রবেশকে অপছন্দ করতেন। তাঁরা আয়েশা (রাঃ)-কে বলতেনঃ আল্লাহর কসম! আমরা মনে করি, এটা রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) –এর বিশেষ অনুমতি, যা ছিল শুধু সালিম-এর জন্য। কেউ এ দুধ সম্পর্কের কারণে আমাদের নিকট আগমন করবে না এবং আমাদেরকে দেখবে না।
♻️🌐নবীজি রাসূল (সা) হেসে দিলেন কেন?
তাকমিলা ফাতহুল মুলহিম-১ খণ্ড,৭১ পৃষ্ঠা = কারণ, রাসূল সাঃ বুঝতে পেরেছিলেন যে, রাসূল সাঃ এর দুধ পান করানোর কথা শুনে সাহলা ভেবেছিল যে, রাসূল সাঃ বুঝি সালেমকে সরাসরি স্বীয় স্তন থেকে দুধ পান করাতে বলছিলেন। সাহলা এর এমন হাস্যকর সমঝ দেখে রাসূল সাঃ হেসে দিলেন। কারণ রাসূল সাঃ এর উদ্দেশ্য সরসরি দুধ পান করানো ছিল না, বরং কোন মাধ্যমে দুধ পান করানো ছিল। একথাটি সাহলা বুঝতে না পারার করণে রাসূল সাঃ হেসে দিলেন।
বয়স্ক ব্যক্তি হবার পরও সাহলা রাঃ এর জন্য এ বিশেষ পদ্ধতিতে দুধ পান করানোর বিধানটি উক্ত সাহাবীর সাথেই খাস ছিল। আর কারো ক্ষেত্রে তা প্রযোজ্য করা হয়নি। তাই উক্ত হাদীসকে দলীল হিসেবে উপস্থাপন করে বয়স্ক ব্যক্তিকে দুধ পান করালে দুগ্ধপান সম্পর্কিত হুরমতের হুকুম আরোপিত হবে না। এ বিধান ছিল ইসলামের শুরু যুগের। পরবর্তীতে তা রহিত হয়ে গেছে। এখন শুধুমাত্র দুই বা আড়াই বছরের মাঝে দুধ পান করলেই হুরমতে রিজাআত এর বিধান আরোপিত হবে। এর চেয়ে বেশি বয়স্ক ব্যক্তি তা পান করলে এ হুকুম আরোপিত হবে না।
📶🆗[বিস্তারিত জানতে হলে দেখুন-তাকমিলা ফাতহুল মুলহিম, আল্লামা তাকী উসমানী দা.বা.-১/৭১-৭৩, ফাতহুল বারী, ইবনে হাজার আসকালানী রহঃ, দারুল গাদ আলজাদীদ, কাহেরা-৯/২২০-২২১]
উপরে ইসলামের দৃষ্টিতে উত্তর দেয়া সমাপ্ত এখন আমি আপনাদের নাস্তিক ধর্মের আলোকে উপরের অভিযোগটি নষ্ট করে দিব এবং নাস্তিক ধর্মের একটি নোংরা বিশ্বাস আপনাদের জানিয়ে দিব । প্রথমে ভদ্র মাসালা দিয়ে নাস্তিদের অভিযোগ খণ্ডন করব এরপরে অভদ্র মাসালার বিশ্বাস উল্লেখ করব যেন আপনারা নিজেরাই ওদের ক্যানসার রোগে আক্রান্ত যুক্তির অবস্থা দেখে বুঝে নিতে পারেন ।
নাস্তিক ধর্মের বিখ্যাত কিতাব "আমার অবিশ্বাস" ১৪৩ পৃষ্ঠা এখানে ড হুমায়ূন আজাদ বলেছেনঃ নৈতিকতার সীমা হওয়া উচিৎ সংকীর্ণ , আমার কোন কাজ যেনো অন্যকে ক্ষতিগ্রস্ত না করে, এটুকু । এই ফতোয়াকে সামনে রেখে আমরা বলতে পারি উপরের বর্ণিত পাত্র থেকে দুধপান করানোর ফলে কারো বিন্দুমাত্র কোন ক্ষতি হয়নি সুতরাং নাস্তিক ধর্ম অনুযায়ীও উপরের অভিযোগ আসলে কোন অভিযোগের মধ্যেই আসে না - নাস্তিকতার দৃষ্টিভঙ্গিতেও ।
এখন আসি নাস্তিকদের অভদ্র বিশ্বাসের মাসালা । আপনারা সকলেই এই ফতোয়ার সাথে পরিচিত এবং অনলাইনে কোন খগেন কেউই এই ফতোয়ার বিপক্ষে যাবে না সেটা হলঃ সম্মতিতে দুজন অথবা একাধিক তারা নিজেদের মধ্যে যা ইচ্ছা করতে পারবে তাদের সেই কাজ ব্যাক্তি স্বাধীনতার অংশ হিসেবেই ধরা হয় । তাই অন্য কোন নাস্তিক তাদের সেই কাজে বাধা দেয়ার অনুমতি নেই,যদি বাধা দেয় তাহলে সেটা ব্যাক্তি স্বাধীনতার বিপক্ষে যাবে । - এই ফতোয়া সকলে খগেন বিশ্বাস করে তাহলে যদি একজন নাস্তিক মা তার ৩৭ বছরের নাস্তিক ছেলেকে সরাসরি নিজের স্তন থেকে চুষে দুধ সেবনের অনুমতি দেয় , এটা হতে পার নাস্তিক মেয়ে তার মায়ের সাথে , অথবা নাস্তিক ছেলে তার মায়ের সাথে অথবা একই সাথে .....!..... ইত্যাদি ইত্যাদি এবং এতে যদি তারা সকলেই "সম্মত" হয় তাহলে এখানে তাদের ব্যাক্তি স্বাধীনতায় কেউই বাধা দিবে না ।
এটাই নাস্তিক ধর্মের আদর্শ এবং সকলেই উহা বিশ্বাস করে । যে খগেন বিশ্বাস করে না সে ব্যাক্তিস্বাধীনতার বিরুদ্ধে এবং তাকে জঈফ নাস্তিক হিসেবে গণ্য করা হবে কারন সে এখনো "মুক্তচিন্তা" ধারী হতে পারেনি ।
🙂উপরের সকল বিশুদ্ধ তথ্য প্রমান হতে আমরা জানতে পারলামঃ
১/ সালিমকে যে দুধপান করতে বলা হয়েছিল সেটা মোটেও ইদলামের দৃষ্টিতে অশ্লীল কিছুই নয় ।
২/ সালিমকে যে দুধপান করার আদেশ দেয়া হয়েছিল সেটা পাত্র থেকে, সরাসরি স্তন থেকে নয় ।
৩/ উপরের বর্ণিত হাদিস শুধু মাত্রই সালিমের সাথে খাস ছিল অন্য কারো জন্য এই আদেশ নয় ।
৪/ নবীজি মুহাম্মদ (সা) মুচকি হাঁসি দিলেন কারন সাহলা (রা) নবীজি কথা অন্য ভাবে বুঝেছিলেন পরে অবশ্য তাঁকে স্পষ্ট করে বলা হয় ।
৫/ নাস্তিক ধর্মের দৃষ্টিভঙ্গি অনুযায়ীও এটি আসলে কোন অভিযোগ প্রমাণিত হয় না অশ্লীল তো দূর কি বাত ।
৬/ "নবীজি (সা) একজন বয়স্ক ছেলেকে তার মাতৃতুল্য এক নারীর দুধপান করতে বলেছেন পাত্র থেকে" এটি নাস্তিক ধর্মের কোন নৈতিকতা থেকে অশ্লীল প্রমাণিত হয়েছে এবং কেন ? নাস্তিক ধর্মে অশ্লীলতার মানদণ্ড কেরকম এবং কেন ?
৭/ নাস্তিক ধর্মে বিশ্বাস করা হয় যদি নাস্তিক মা চায় তাহলে যে কোন নাস্তিক পুরুষকেই তার স্তন চোষার অনুমতি প্রদান করতে পারবে যদি সম্মতি থাকে । হক ছেলে অথবা মেয়ে , হক পিতা অথবা মেয়ে , হক ছেলে অথবা বাবা একত্রে ...!... ইত্যাদি ইত্যাদি ।
৮/ যৌক্তিক সিদ্ধান্ত এই যে উপরে বর্ণিত অভিযোগ আসলে কোন অভিযোগের মধ্যেই পড়ে না । এটাই সমাধান ।
📶সালিমকে দুধপান বিষয়ক আরও হাদিস সমূহঃ
ihadis.com, সুনানে আন নাসায়ী , হাদিসঃ ৩৩১৯ , সহিহ হাদিস ।
ihadis.com, সুনানে আন নাসায়ী , হাদিসঃ ৩৩২০ ,সহিহ হাদিস ।
ihadis.com, সুনানে আন নাসায়ী , হাদিসঃ ৩৩২২ ,সহিহ হাদিস ।
ihadis.com, সুনানে আন নাসায়ী , হাদিসঃ ৩৩২৩ ,সহিহ হাদিস ।
ihadis.com , সহিহ মুসলিম , হাদিসঃ ৩৪৯২ ,সহিহ হাদিস ।
ihadis.com , সহিহ মুসলিম , হাদিসঃ ৩৪৯৩ ,সহিহ হাদিস ।
ihadis.com , সহিহ মুসলিম , হাদিসঃ ৩৪৯৪ ,সহিহ হাদিস ।
ihadis.com , সহিহ মুসলিম , হাদিসঃ ৩৪৯৫ ,সহিহ হাদিস ।
ihadis.com , সহিহ মুসলিম , হাদিসঃ ৩৪৯৬ ,সহিহ হাদিস ।
এমডি আলী

যিনি একজন লেখক, বিতার্কিক ও গবেষক। বিভিন্ন ধর্ম ও মতবাদ বিষয় পড়াশোনা করেন। ইসলামের সত্যতা মানুষের কাছে ছড়িয়ে দিতে চান। “সত্যের অনুভূতি” উনার লেখা প্রথম বই। “ফ্যান্টাস্টিক হামজা” দ্বিতীয় বই। জবাব দেবার পাশাপাশি নাস্তিক মুক্তমনাদের যৌক্তিক সমালোচনা করে থাকেন।

Previous Post Next Post