সুরা বাকারা ২:১-২০ আয়াতের প্রশ্নের উত্তর এবং খগেনর্ক দাদার গলদ সমাচার।



😁"জৈনিক খগেনর্ক প্রাণী সিরিজ"
➡️বিষয়ঃ সুরা বাকারা ২:১-২০ আয়াতের প্রশ্নের উত্তর এবং খগেনর্ক দাদার গলদ সমাচার ।
😉লিখেছেনঃ এম ডি আলী
🌹= সুরা বাকারা ২:১ = আলিফ লাম মীম =🌹
🚫প্রশ্ন : ১.কুরআন মানুষের জন্য হলে মানুষের নিকট গোপন থাকবে,মানুষ বুঝবে না এমন কিছু কুরআনে কেন?
📶উত্তরঃ দাদা আপনি এই বিষয়ে কোন পড়াশোনা করেননি কারন যদি করতেন তাহলে জানতেন এই আয়াত নিয়ে গবেষকগণ কি বলেছেন ? কিন্তু আপনি যেহেতু জানেন না তাই আমিই আপনার মূর্খতা নষ্ট করে দিচ্ছি । আপনি যদি ড মুজিবুর রহমান অনুবাদকৃত, তাফসীরে ইবনে কাসীর ১ খণ্ড, ১৩০ - ১৩৮ পৃষ্ঠা খুলে দেখতেন তাহলেই জানতে পারতেন । "আলিফ লাম মীম" এই বিষয়ে দুটি মতামত বলা হয়েছে কেউ বলেছেন এটি সূরা সমূহের নাম আবার কেউ কেউ বলেছেন এর অর্থ আল্লাহ ছাড়া কেউই জানেন না - কিন্তু "আলিফ লাম মীম এটি অর্থহীন বা অহেতুক শব্দ অথবা মানুষ বুঝে না" এই দাবি কেউই করেননি ।
তাফসীরে জালালাইন ১ খণ্ড, ৭০ পৃষ্ঠা / তাফসীরে মাআরিফুল কুরআন - আল্লামা ইদরীস কান্ধলভী (রহ) খণ্ড ১ , পৃষ্ঠা ৩১ = যদি এই সংশয় জাগে যে হরফে মুকাত্তাআত কে আল্লাহর গোপন রহস্য মনে করা হলে তো কুরআন মাখলুকের জন্য থাকল না, কুরআন যেহেতু আমাদের উদ্দেশ্য করে অবতীর্ণ , সেহেতু এ হরফ গুলোও আমাদের বোধগম্য হওয়া অপরিহার্য । এগুলোর অর্থ অজ্ঞাত থাকলে এ গুলোর নাজিল করার দ্বারা ফায়দা কি ? এই প্রশ্নের সহজ উত্তর হল কুরআন নাযিলের উদ্দেশ্য শুধু অর্থ বুঝার মাঝে সীমাবদ্ধ নয় বরং কুরআনের বহু স্থান এমন আছে যে গুলোতে শুধু বান্দার ইমান আনাই উদ্দেশ্য । অনুরূপভাবে হরফে মুকাত্তাআত নাজিল করার উদ্দেশ্যও হল মানুষ এগুলোর উপর ইমান আনবে এবং এগুলো আল্লাহ তা"লার পক্ষ থেকে হওয়ার কথা একীন করবে । যাতে বান্দার পরিপূর্ণ আনুগত্য প্রকাশ পায় ।
বিস্তারিত জানতেঃ তাফসীরে জালালাইন ১ খণ্ড,৬৯ পৃষ্ঠা / তাফসীরে উসমানী পৃষ্ঠা ৩ / তাফসীরে মাআরিফুল কুরআন ১ খণ্ড, ৩১ পৃষ্ঠা / তাফসীরে ইবনে আব্বাস ১ খণ্ড, ১৬ পৃষ্ঠা / তাফহীমুল কুরআন - সূরা বাকারা ১ নং আয়াত / তাফসীরে আনওয়ারুল কুরআন ১ খণ্ড, ৩৯ পৃষ্ঠা / তাফসীরে তাওযীহুল কুরআন ১ খণ্ড, ৩৯ পৃষ্ঠা / তাফসীরে ফী যিলাযিল কুরআন ১ খণ্ড, ৭১ পৃষ্ঠা / তাফসীরে ওসমানী ১ খণ্ড, ১৩ পৃষ্ঠা / তাফসীরে মাযহারী ১ খণ্ড, ৩০ পৃষ্ঠা /
সুতরাং আলিফ লাম মীম হরফে মুকাত্তাআত সম্পর্কে গবেষকগণ কেউই এই কথা বলেননি যে এসব আয়াত অহেতুক অথবা অর্থহীন । সুতরাং খগেনর্কর প্রশ্ন এবং দাবি বাতিল ও ভুল প্রমাণিত । ওহহো আরেকটি জিনিস প্রমাণিত হয় তা হল সে মিথ্যুক ।
🚫প্রশ্ন ২. যেখানে ইসলামের অনেক বিধানের জায়গা কুরআনে হয়নি(নামাজ কত ওয়াক্ত, রজম ইত্যাদি) সেখানে এমন অহেতুক কিছু কুরআনে কেন?
📶উত্তরঃ একটু আগেই প্রমান করেছি হরফে মুকাত্তাআত অহেতুক আয়াত নয় । নামাজের কত ওয়াক্ত এই সংখ্যা কুরআনে থাকা দরকার কেন যদি কুরআন নিজেই সেটা সুন্নাহের মাধ্যমে জানিয়ে দেয় ? তাছাড়া কুরআনের ৫ ওয়াক্ত নামাজের কথাই আছে । যারা আপনাদের মত কুরআন পড়ে না তারা জানবে কিভাবে বলুন ? যেমনঃ
তাফসীরে ইবনে আব্বাস ৩ খণ্ড, ২৪ পৃষ্ঠায় সূরা রুম ৩০:১৭,১৮ আয়াতের ভাবার্থ = সুতরাং তোমরা আল্লাহর পবিত্রতা ও মহিমা ঘোষণা করো, সালাত আদায় করো সন্ধায় মাগরিব ও ইশা এবং প্রভাতে সালাতে ফজর । এবং অপরাহ্ণে সালাতে আসর ও যোহরের সময়ে আর আকাশ মণ্ডলী ও পৃথিবীর বাসিন্দাদের মধ্যে সকল প্রশংসা ও আনুগত্য তো তাঁরই ।
তাফসীরে ইবনে আব্বাস ২ খণ্ড, ৯৪ পৃষ্ঠায় , সূরা হুদ ১১:১১৪ আয়াতের ভাবার্থ = সালাত কায়েম করো দিনের দুই প্রান্তে ভাগে , ফজর ও যোহরের নামাজ , ওপর ব্যাখ্যায় ফজর , যোহর ও আসরের নামাজ এবং রাতের প্রথম অংশে রাতের প্রথমভাবে মাগরিব ও ইশার নামাজ । সৎকর্মগুলো নিশ্চয় পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ । নিশ্চয় অসৎকর্মগুলোকে মিটিয়ে দেয়, ক্ষুদ্র পাপগুলো , মচন করে । ........
তাফসীরে ইবনে আব্বাস ২ খণ্ড, ২৫৩ পৃষ্ঠায় সুরা বনী-ইসরাঈল ১৭:৭৮ আয়াতের ভাবার্থ = হে মুহাম্মদ (সা)! আপনি পরিপূর্ণভাবে নামাজ আদায় করতে থাকেন , সূর্য ঢলে পড়ার পর যোহর ও আসর এবং রজনীর উপস্থিতির পর মাগরিব ও ইশা আর ফজরের সালাত । নিশ্চয় ফজরের সালাতের সময় দিন ও রাতের উভয় দলের ফেরেশতারা উপস্থিত হয় ।
তাফসীরে ইবনে আব্বাস ২ খণ্ড, ৩৪০ পৃষ্ঠায় সূরা তাহা ২০:১৩০ আয়াতের ভাবার্থ = হে মুহাম্মদ (সা) ! আপনি স্বীয় প্রভুর আদেশে সালাত আদায় করুন সূর্যদয়ের পূর্বে (ফজরের সালাত) এবং সূর্যাস্তের পূর্বে (যোহর ও আসরের) নামাজ আর রজনী আগমনের পর (মাগরিব ও ইশার) এবং দিবা ভাগের উভয় প্রান্তে (যোহর ও আসরের) সালাত আদায় করুন যেন আপনি সুপারিশের ক্ষমতাপ্রাপ্ত হয়ে সন্তুষ্ট হতে পারেন ।
হয়ত আমার উত্তরের ধার দেখে খগেনর্ক শিশুদের মত কান্না করতে পারে তাই ধরে নিলাম কুরআনে নামাজের ৫ ওয়াক্তর কথা কোথাও বলাই নেই এরপরেও কোন সমস্যা হবে না কারন কুরআন নিজেই বলছে নবীজি (সা)এর সুন্নাহকে মানতে আর এই কথা সকলেই জানেন, মূর্খ খগেনর্ক ছাড়া যে নবীজি মুহাম্মদ (সা) আমাদেরকে নামাজ সম্পূর্ণ শিক্ষা দিয়েছেন এবং সেটা আল্লাহর হুকুমেই । আল্লাহ নিজে তাঁর রাসুলকে মান্য করার কথা বলেছেন । যেমন - সূরা আহযাব ৩৩:৩৩ / সূরা মুজদালাহ ৫৮:১৩ / সূরা নিসা ৪:১৩ / সুরা মুহাম্মাদ ৪৭:৩৩ / সুরা হাশর ৫৯:৭ / সুরা নুর ২৪:৫২ / সুরা ইমরান ৩:১৩২ / সুরা নুর ২৪:৫৬ / সুরা নিসা ৪:৬৯ / সুরা ফাতাহ ৪৮:১৭ / সুরা আহযাব ৩৩:৩১ / সুরা আহযাব ৩৩:৭১ / সুরা ইমরান ৩:৫৩ / সুরা মায়েদা ৫:৯২ / সুরা নিসা ৪:৮০ / সুরা তাগাবুন ৬৪:১২ / সুরা ইমরান ৩:৩২ / সুরা নুর ২৪:৫৪ ইত্যাদি ইত্যাদি আর নবীজি (সা) কে কিভাবে অনুসরন করতে হবে সেগুলা জানতে বর্ণিত আয়াতের তাফসীর দেখুন সহজেই জেনে যাবেন । খুবই সহজ ব্যাপার কিন্তু আফসস লাগে বান্দর মার্কা ব্রেন এসব সহজ জিনিস ইচ্ছা করেই কেন জানি বুঝতে চায় না !
* কুরআনে নামাজের ওয়াক্ত বিষয়ে জানতেঃ https://shodalap.org/forkan/7839/
* কুরআনে নামাজঃ https://shodalap.org/faruk/15080/
কুরআনে রজমের আয়াত নেই এটি ডাহা মিথ্যা কথা । খগেনর্ক হয়ত ইচ্ছা করে এই ভুল করেছে অথবা জেনে শুনে জালিয়াতি করেছে অথবা কুরআন হাদিস জীবনেও বুঝার চেষ্টা করেনি তাই নিজের নাস্তিক ধর্মের মিথ্যাচার ঢাকতে সে তাকিয়া করেছে । কারনঃ
ihadis.com, সুনানে আবু দাউদ, হাদিসঃ ৪৪১৩ , হাসান হাদিসঃ ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ তিনি বলেন, আল্লাহর বাণী: ‘তোমাদের স্ত্রীদের মধ্যে যারা অশ্লীল কাজ করে, তবে তোমাদের মধ্যে হতে চার ব্যক্তিকে তাদের উপর সাক্ষী দাঁড় করাও। অতঃপর তারা সাক্ষ্য দিলে তাদেরকে ঘরে আবদ্ধ করে রাখো, যতক্ষণ না মৃত্যু তাদের অবসান ঘটায় অথবা আল্লাহ তাদের জন্য অন্য কোন পথ বের করেন “(সুরা আন-নিসা : ১৫)। মেয়েদের সম্পর্কে একথা বলে পুরুষদের সম্পর্কে আলোচনা করেছেন, অতঃপর উভয়ের সম্পর্কে একত্রে আলোচনা করেছেন: “আর তোমাদের মধ্যে দু’জন নারী-পুরুষ যদি এ অশ্লীল কাজ করে, তবে তাদের শাসন করো। অনন্তর তারা যদি তাওবাহ করে এবং নিজেদেরকে সংশোধন করে নেয়, তবে তাদেরকে ছেড়ে দাও “(সুরা্ আন-নিসা : ১৬)। উপরোক্ত আয়াতের নির্দেশ ‘বেত্রাঘাত’ সংক্রান্ত আয়াত দ্বারা রহিত হয়েছে। অতএব আল্লাহর বাণী: “ব্যভিচারিনী এবং ব্যভিচারী, তাদের প্রত্যেককে একশো বেত্রাঘাত করো” (সুরা্ আন-নুর : ২)।
ihadis.com, সুনানে আবু দাউদ, হাদিসঃ ৪৪১৫ , সহিহ হাদিসঃ রাসূলাল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন: তোমরা আমার থেকে গ্রহণ করো। আল্লাহ তাদের জন্য বিধান দিয়েছেন: বিবাহিত পুরুষ ও বিবাহিত নারী অপরাধী প্রমাণিত হলে তাদের শাস্তি হলো একশো বেত্রাঘাত ও পাথর নিক্ষেপে হত্যা করা। আর অবিবাহিত পুরুষ ও অবিবাহিত নারীর শাস্তি হলো একশো বেত্রাঘাত ও এক বছরের নির্বাসন।
🚫প্রশ্ন ৩.কুরআন চ্যালেঞ্জ দিচ্ছে কুরআনের অনুরূপ একটি আয়াতও কারো দ্বারা রচনা সম্ভব নয় সেখানে এ অহেতুক আয়াতের মতো অনেক আয়াত রচনা করা যায় যার অর্থ লেখক ছাড়া কেউ জানে না!(যেমন: জ দ গ, ন ণ ম,আ ই উ ইত্যাদি)
📶উত্তরঃ আগেই বলেছি সেগুলো অহেতুক আয়াত না । "কোন বই কাউকে চেলেঞ্জ দিলে সেটা খণ্ডন করে নাস্তিক ধর্ম সত্য প্রমাণিত করতে হবে" এই নীতিমালা নাস্তিক ধর্মের কোন ধারা অনুযায়ী বর্ণনা করা হয়েছে এবং কেন ? আগে এই মূলনীতি ঠিক করুন খগেনর্ক দাদা । আপনার যুক্তি এতই দুর্বল যে আপনি বলেছেন "জ দ গ, ন ণ ম,আ ই উ ইত্যাদি" এসব শব্দের অর্থ লেখক ছাড়া কেউই জানে না কিন্তু লেখকের কাছে জিজ্ঞাসা করলেই তো সে উত্তর দিবে কিন্তু আল্লাহর কাছে আমরা তখনই উত্তর পাব যখন আমাদের দুনিয়ার জীবন শেষ হবে এখানেই আপনার গোঁজামিল নষ্ট হয়ে গেছে দাদা ।
আরেকটি কথা হল আপনি যেই বাংলা শব্দ লিখলেন সেগুলা কি নাস্তিক ধর্ম গ্রহনের কোন শব্দ ? এই শব্দ অর্থ জানলে হলে আমাদের কি কি বিশ্বাস করতে হবে এবং কিভাবে ? যদি এরকম কিছুই না হয় তাহলে আপনি হুদা হুদিই এসব কেন লিখলেন দাদা ? আপনি যেই উদাহরণ দিলেন সেই "উদাহরণ সত্য সঠিক" এটি নাস্তিক ধর্ম অনুযায়ী কিভাবে সঠিক প্রমাণিত হয় ? এবং কেন ? আপনার কাছে যা সঠিক সেটা কি অন্য সকল নাস্তিকের কাছেই সঠিক ? যদি উত্তর হয় হ্যাঁ তাহলে বলব নাস্তিক ধর্মর নিয়ম কানুন আপনি অন্যদের উপর চাপিয়ে দিতে চাচ্ছেন । যা মুক্তমনা বিরোধী । যদি উত্তর হয় না তাহলে আপনি আপনার মিথ্যাচার নিয়েই থাকুন হুদা হুদি লেখার কি দরকার ছিল ? আশা করি নাস্তিক ধর্ম দিয়ে আমার লেখা খণ্ডন করবেন ।
🚫প্রশ্ন ৪.কুরআন সত্য,এতে সন্দেহ নেই এ কথাগুলো প্রমাণের জন্য একটি আয়াত অবশ্যই সত্য অথবা মিথ্যা হতে হবে! কিন্তু এই অহেতুক,অবোধগম্য আয়াতের সত্যতা যাচাইয়ের উপায় কি?
📶উত্তরঃ আগেই বলেছি হরফে মুকাত্তাআত অহেতুক , অবোধগম্য আয়াত নয় । "কুরআন সত্য,এতে সন্দেহ নেই এ কথাগুলো প্রমাণের জন্য একটি আয়াত অবশ্যই সত্য অথবা মিথ্যা হতে হবে" এই নীতি নাস্তিক ধর্মের কোন বিধান অনুযায়ী আপনি করেছেন খগেনর্ক দাদা এবং কেন ? আপনি নিজে কি এই কথা বিশ্বাস করেন ? যদি করেন তাহলে আপনি নাস্তিক হন কিভাবে ? যদি না করে থাকেন তাহলে যেই কথা আপনি নিজেই বিশ্বাস করেন না সেটা আমাদের দিকে চাপিয়ে দেয়ার অর্থ কি ? দাগ মে কুচ জার্মান জার্মান ভিক্ষুক ভিক্ষুক হে !
এই আয়াত আমাদের কাছে সত্য এবং সেটার ভিত্তি হলেন আল্লাহ কিন্তু যদি আপনি বলেন এই আয়াত ভুল তাহলে আগে প্রমান করুন নাস্তিক ধর্মের আলোকে কিভাবে এই আয়াত ভুল ? কারন অনলাইনে সস্তা খগেনরা দাবি করে নাস্তিক ধর্মে কোন নীতি নৈতিকতা নেই, একজন নাস্তিক কিভাবে জীবন যাপন করবে এই বিষয়ে কিছুই বলে না তাহলে আপনি কিসের ভিত্তিতে বলছেন যে এই আয়াত সঠিক নয় ? নাস্তিক ধর্ম দিয়ে সমাধান করুন দাদা । "সত্য এবং মিথ্যা" কি দিয়ে নির্ণয় হবে সেটা আগে ঠিক করুন এবং সেটা দিয়েই কেন ঠিক হবে এটাও নির্ণয় করুন এবং আপনার নির্ণয় করা মানদণ্ড আমরা কেন বিশ্বাস করব এটাও ঠিক করুন ?
🌹= সুরা বাকারা ২: ২-৩ = এ সেই কিতাব যাতে কোনই সন্দেহ নেই। পথ প্রদর্শনকারী পরহেযগারদের জন্য, যারা অদেখা বিষয়ের উপর বিশ্বাস স্থাপন করে এবং নামায প্রতিষ্ঠা করে। আর আমরা তাদেরকে যে রুযী দান করেছি তা থেকে ব্যয় করে। =🌹
🚫প্রশ্ন: ১. "এই সেই কিতাব" কোন কিতাব? এ সম্পর্কে কি আগে কখনও বলা হয়েছে? এমনভাবে বলা হয় তখনই যখন কোনো ব্যক্তি বা বস্তু সম্পর্কে আগে থেকেই শ্রোতাকে ধারণা দেওয়া হয়! এই কিতাব সম্পর্কে আগে কোথায় বলা হয়েছে?
📶উত্তরঃ এটি হল সেই কিতাব যেটা আল্লাহ লউহে মাহফুজে সংরক্ষণ করেছেন অর্থাৎ কুরআন । এ কিতাবের সূরা সম্পর্কে আগেই তো নবীজি কে জানানো হয়েছে যেমন সূরা আলাক নাজিল হয়েছিল যখন । এমন ভাবে বলতে হলেই যে আগে কিতাব সম্পর্কে জানাতে হবে অথবা আগেই বলতে হবে বিষয়টি সেরকম নয় দাদা । ধরুন ক্লাসে এক নতুন শিক্ষক লেকচার দেওয়ার সময় বলল আমার হাতে যে বইটি দেখছ সেটি হল সেই বই যখন আমার বাবা আমাকে প্রথম উপহার দেয় । আচ্ছা শিক্ষক কি তাঁর এই লেকচার দেয়ার আগে কি কখনো ছাত্রদের এই কথা বলেছে ? উত্তর হচ্ছে না । সুতরাং "এটি সেই কিতাব" এভাবে বলতে হলে যে আগে থেকেই জানাতে হবে সেটি জরুরি নয় । তা ছাড়া নবীজি (সা) কে কুরআন বিষয়ে আলোচনা করার আগে নবীজি নিজেও জানতেন না কুরআন সম্পর্কে । আল্লাহ নিজে নবীজিকে কুরআন সম্পর্কে জানিয়েছেন এর জন্য কিতাব সম্পর্কে আগে বলাও দরকার না ।
ধরুন আপনার বাবা আপনাকে একটি মোবাইল উপহার দিয়ে বলল জানিস এটি সেই মোবাইল যা আমি অ্যামেরিকা থেকে এনেছি এখন ছেলে জীবনে কখনোই অ্যামেরিকা যায়নি তারমানে কি বাবা মিথ্যা বলছেন অথবা মোবাইল আনার আগে কি অ্যামেরিকায় যাওয়ার দরকার আছে ছেলের ? উত্তর হচ্ছে না । আশা করি বুঝতে পেরেছেন ।
🚫প্রশ্ন ২."যাতে কোনো সন্দেহ নেই" আসলেই কি তাই? এ আয়াতের পূর্বের আয়াতই তো অস্পষ্ট,আর অস্পষ্টতাই সন্দেহের সৃষ্টি করে! আর বিশ্বের অধিকাংশ মানুষই এই কিতাবকে সন্দেহাতীত মনে করে না,তাহলে এ কথার সার্থকতা কোথায়?
📶উত্তরঃ কুরআনে আসলেই কোন সন্দেহ নেই আর আমি আগেই বলেছি হরফে মুকাত্তাআত অস্পষ্ট নয় তাই অস্পষ্টা সন্দেহের সৃষ্টি করে না বিন্দুমাত্রও । দুনিয়ার মানুষ কি মনে করলো আর কি মনে করলো না সেটা দিয়ে কুরআনের আয়াতের কিছুই আসে যায় না তাই কুরআনের আয়াতের সার্থকতা কোথায় ? এই টাইপ পাতলা প্রশ্ন গোঁজামিলের অংশ , সন্দেহ নেই । আপনার এই যুক্তি যদি আপনি নিজের নাস্তিক ধর্মর দিকে প্রয়োগ করেন তাহলে কি হবে দেখুন > সকল খগেনের কাছেই "নাস্তিক ধর্ম মানবতার ও মুক্তির পথ" কিন্তু দুনিয়ার বেশির ভাগ মানুষই এই কথা বিশ্বাস করে না তাই আপনার যুক্তি অনুযায়ী আপনার প্রশ্ন এবং দাবি দুটি বাতিল প্রমাণিত হয়েছে এবং নাস্তিক ধর্ম মিথ্যা প্রমাণিত হয়েছে আপনার নিজের যুক্তিতেই ।
> পরের প্রশ্ন সমূহকে ধাপে ধাপে ধ্বংস করা হবে তাই এটি বুঝার জন্য আলোচনার স্টাইলে জবাব দিব <
খগেনর্কঃ "পরহেজগার,বিশ্বাসী­ বা যারা আল্লাহকে ভয় করে" তাদের জন্য!! কুরআনের সবচেয়ে হাস্যকর আয়াতগুলোর মধ্যে এটা সম্ভবত অন্যতম! যারা বিশ্বাস করে তাদের মনে সন্দেহ থাকে কিভাবে? যারা পরহেজগার,এই কিতাব মেনে চলে তাদের সন্দেহের যৌক্তিকতা কোথায়? আর যারা আল্লাহকে ভয় করে,তারা কোন সাহসে আল্লাহর বইকে সন্দেহ করবে?
😎এম ডি আলীঃ দাদা আপনি এখন পর্যন্ত যত গুলা হাস্যকর যুক্তি দিয়েছেন সেটার মধ্যে অন্যতম জোকসের যুক্তির হল এটা । কারন কুরআনের আয়াতে কোথায় বলা হয়েছে যে যারা বিশ্বাস তারা সন্দেহ করে ? যারা পরহেজগার তারা সন্দেহ করে এই কথা আয়াতের কোথায় আছে ? যারা আল্লাহকে ভয় করে তারা কোথায় কুরআনের আয়াত অস্বীকার করেছে ? এরকম কি সূরা বাকারার ২ নং আয়াতে কোথাও বলা হয়েছে অবশ্যই না । সুতরাং আপনি নিজে ৪২০ লাইন বেশি বুঝে এসব বাটখারা বসিয়েছেন যা বাতিল ও গোঁজামিলের অংশ।
খগেনর্কঃ অতএব,৩ নং অনুযায়ী কুরআন শুধু মুত্তাকীদের জন্য সন্দেহাতীত হলে কুরআন সব মানুষের জন্য নয়। সব মানুষের জন্য হলে "সন্দেহাতীত মুত্তাকীদের জন্য" কথাটা ভুল এবং "সন্দেহাতীত" কথাটাও ভুল যেহেতু অধিকাংশ মানুষই সেটা মানে না।
😎এম ডি আলীঃ আয়াতে বলা হচ্ছেঃ সুরা বাকারা ২:২ = এ সেই কিতাব যাতে কোনই সন্দেহ নেই। পথ প্রদর্শনকারী পরহেযগারদের জন্য । কুরআন যারা মানে তারা তো মুক্তাকী এদের কাছে তো কুরআন ভুল নয় কিন্তু তারমানে এই না যে কুরআন সকল মানুষ মানতে পারবে না । সব মানুষের জন্য হলে সন্দেহাতীত মুত্তাকীদের জন্য কথাটিও ভুল নয় । পরিশেষে কোন মানুষ যদি কোন বই অস্বীকার মিথ্যাচারের করে এর মানে এটি কখনোই প্রমান হয় যে সেটি ভুল বই ।
দাদা আপনার স্টাইলে আপনার যুক্তি দিচ্ছি দেখেন তো আপনার গ্রহন করার যোগ্যতা আছে নাকিঃ
"নাস্তিক ধর্ম মানবতার মুক্তির পথ" নাস্তিকরা বিশ্বাস করে সকল মানুষ যেন নাস্তিক ধর্ম মেনে নেয় এবং অন্য সকল ধর্ম যেন দুনিয়া থেকে মুছে যায় । আচ্ছা এই কথা সব মানুষের জন্য ? "হ্যাঁ" হলে এই দাবি ভুল কারন দুনিয়ার সব মানুষ তো এই কথা বিশ্বাস করে না । "না" হলে এই দাবি আপনারা কেন করেন যেহেতু এটি ভুল ? যেখানে এই দাবি শুধুই আপনারা অন্ধ বিশ্বাসের মত বিশ্বাস করেন । এই দাবি শুধুই আপনাদের জন্য অন্য কারো জন্য না সুতরাং আজকের থেকে ইসলামের মিথ্যা সমালোচনা বন্ধ করে দিন আর নাস্তিক ধর্ম মুক্তির পথ এসব ভ্রান্ত দাবি কখনোই করবেন না।
খগেনর্কঃ এছাড়াও ২ নং অনুযায়ী কুরআনে অস্পষ্ট কিছু শব্দ,আয়াত রয়েছে যা সন্দেহাতীত হওয়ার পথে অন্যতম অন্তরায়! আর ১ নং অনুযায়ী পূর্বে কেনো কিছু সম্পর্কে ধারণা না দিয়েই "এই সেই কিতাব" এমন বলাটা বাক্যাংশের যোগ্যতাহীনতা!
😎এম ডি আলীঃ কুরআনের আয়াত মোটেও অস্পষ্ট কোন শব্দ নয় আগেই প্রমান করেছি তাই কুরআন সত্য এটা জানতে কোন আয়াত অন্তরায় হতেই পারে না দাদা । আর এটি সেই কিতাব বলতে কুরআনকেই বলা হয়েছে আর অবশ্যই এমন বলাটা বাক্যাংশের যোগ্যতাহীনতা না বরং কুরআন পড়ার ব্যাপারে উৎসাহ প্রদান করাকেও বুঝায় ।
খগেনর্কঃ "যারা অদেখা বিষয়ে বিশ্বাস করে।" অদেখায় বিশ্বাস করলেই মুত্তাকী হওয়া যায়? আমি তাকে খুন করতে দেখিনি তবুও তাকে খুনী বলে বিশ্বাস করি,তাহলে আমি মুত্তাকী? এমন পাগলের(মুত্তাকী) কাছে কুরআন সন্দেহাতীত হবে না?
😎এম ডি আলীঃ হাস্যকর প্রশ্ন দাদা । "যারা অদেখা বিষয়ে বিশ্বাস করে" এখানে অদেখা বলতে জান্নাত জাহান্নাম, আল্লাহ রাসুল , কিয়ামত ইত্যাদিকে বুঝানো হয়েছে । কিন্তু আপনি কোন মানুষ খুন করতে দেখেননি তবুও তাকে খুনি বলে বিশ্বাস করতে বলা হয়নি আর এতে আপনি কুরআন অনুযায়ী মুক্তাকীও হবেন না । এমন খগেনর্কর পাগলের কাছে কুরআন সন্দেহাতীত হবে না দাদা । যেহেতু খুনিকে না দেখেও আপনি কোন মানুষকে খুনি বলে বিশ্বাস করতে চাইছেন তাই আপনার জন্য আমার পরামর্শ হল আপনি পাবনাতে গিয়ে এক চিল্লা দিয়ে আসেন যদি আপনার বান্দর মার্কা বুদ্ধির শুভ উদয় হয় ।
খগেনর্কঃ "আমরা তাদেরকে যে রুযী দান করেছি তা থেকে ব্যায় করে।" ক.আমরা মানে কে কে? আল্লাহ কয়জন? (Royal) I = We এমন ফালতু যুক্তি কি মানা যায়?
😎এম ডি আলীঃ আমরা মানে কে কে ? এই প্রশ্ন ভুল কারন আরবি গ্রামার অনুযায়ী "আমরা" বলতে এখানে একক আল্লাহকেই বুঝানো হয়েছে । (Royal) I = We এটি যে আরবি গ্রামারের একটি সিস্টেম এটাও জানেন না দাদা , আরবি গ্রামারের একটি সিস্টেমকে বলতেছেন ফালতু যুক্তি ! হায়রে খগেন এই জ্ঞান নিয়ে আসছেন কুরআনের সমালোচনা করতে ?
আরবি এই গ্রামারে সিস্টেম বিষয়ে সহজে জানতে পড়ুনঃ
কোনটা ফালতু যুক্তি আর কোনটা সহিহ যুক্তি সেটা কে নির্ণয় করেছে এবং কেন ? কিভাবে নির্ণয় করেছে ? সেই লোক সেই যুক্তির নিয়ম আবিস্কার করেছেন সে কোন যুক্তির ভিত্তিতে দাবি করতে পারেন যে ফালতু যুক্তি কাকে বলে ? নাস্তিক ধর্মে ফালতু যুক্তি কাকে বলে এবং কেন ? সেই যুক্তিকে কেন অন্য নাস্তিকদের ফালতু যুক্তি হিসেবেই মানতে বাধ্য করা হবে ? এটা কি মুক্ত চিন্তার বিরোধিতা করা নয় ? এটা কি বাক স্বাধীনতার পথে বাধা দেয়া নয় ? আপনি একজন চিন্তাশীল মানুষকে "সহিহ যুক্তি" আর "ফালতু যুক্তি" নাস্তিক ধর্মের আলোকে বুঝিয়ে তার মুক্ত চিন্তায় কেন বাধা দিচ্ছেন ? তাহলে আমরা কি মেনে নিব যে নাস্তিক ধর্ম মুক্ত চিন্তা করতে বাধা দেয় ? আমরা কি মেনে নিব যে নাস্তিক ধর্ম বাকস্বাধীনতার বিরুদ্ধে একটি ধর্ম ? সুতরাং আপনি নাস্তিক ধর্ম থেকে বিন্দুমাত্র এই দাবি করতেই পারেন না যে কোনটি সহিহ যুক্তি আর কোনটি ফালতু যুক্তি।
খগেনর্কঃ "রুযী দান করেছি" দান করেছে? হাঁড় ভাঙা পরিশ্রম করে,মাথা খাটিয়ে মানুষ জীবিকা নির্বাহ করে,দানে নয়? আর আল্লাহ যদি দান করে তবে না খেয়ে মানুষ মারা যায় কেন? গ."তা থেকে ব্যায় করে" এমন কে আছে যে ব্যায় করে না?
😎এম ডি আলীঃ আল্লাহ যদি গাছ না বানাতেন তাহলে আমরা ফল পেতাম কিভাবে ? আল্লাহ যদি পশু পাখিকে আমাদের জন্য খাদ্যর সিস্টেম না রাখতেন আমরা কিভাবে খেতাম ? চিন্তা করেছেন কখনো । খগেনর্ক দাদা আপনি কি মানুষের মল খেয়ে বেঁচে থাকতেন নাকি । মানুষ যেই পরিশ্রম করে,মাথা খাটিয়ে মানুষ জীবিকা নির্বাহ করলেও অনেকেই হতাশ হয় কিন্তু অনেকেই তো আছেন যার সম্পদ কাজেই লাগে না যেমন ধরুন আপনি ঘুষ খেয়ে , সুদ খেয়ে গরীব মানুষদের টাকা আত্মসাৎ করে কোটি কোটি টাকা ইনকাম করেছেন , ঠিক বৃদ্ধ বয়সে আপনার ক্যানসার হল । ডাক্তার বলল আপনি আর মাত্র ৩ মাস জীবিত থাকবেন । এখন আপনি আমাকে বলুন আপনার সেই হারাম সম্পদ আপনার কি কোন কাজে এসেছে ? উত্তর হচ্ছে না । সুতরাং সম্পদ অবশ্যই জীবনের জন্য দরকারি কিন্তু সম্পদ সমস্ত কিছুই নয় ।
আল্লাহ যদি দান করেন তাহলে মানুষ না খেয়ে মরে কেন ? এর জবাব আমি অনেক আগেই দিয়েছিঃ https://omukderkotha1.blogspot.com/2019/11/blog-post_9.html
তা থেকে ব্যায় করে" এমন কে আছে যে ব্যায় করে না? আপনার মত কিছু বান্দর আছে যারা মানুষকে দান করে না এই ভেবে যে পরকাল বলে কিছুই নেই অন্যকে হেল্প করে লাভ কি অথবা মানুষকে দান করা ভাল কাজ এটি তো যুক্তি দিয়ে প্রমান করা যায় না তাই আপনি মানবেন না এটাই তো ! তাছাড়া সমাজে অনেকেই আছেন যারা তাদের সম্পদ থেকে দান করে না ।
আরও মজার ব্যাপার হলঃ সুরা বাকারা ২:৩ = আমি তাদেরকে যে রুযী দান করেছি তা থেকে ব্যয় করে । এখানে আল্লাহ দান করাকে উৎসাহিত করছেন কিন্তু নাস্তিক ধর্ম যেহেতু ইসলামের বিপরীত তাই আপনাকে ইসলামের বিরোধিতা করতে হলে অবশ্যই দানের বিরুদ্ধে অবস্থান নিতে হবে এবং আপনি সেটাই করতে চেয়েছেন , কুরআনের এই দানের প্রতি আপনার বিদ্বেষ প্রকাশ পাচ্ছে !
🌹= সুরা বাকারা ২:৪-৫ = এবং যারা বিশ্বাস স্থাপন করেছে সেসব বিষয়ের উপর যা কিছু তোমার প্রতি অবতীর্ণ হয়েছে এবং সেসব বিষয়ের উপর যা তোমার পূর্ববর্তীদের প্রতি অবতীর্ণ হয়েছে। আর আখেরাতকে যারা নিশ্চিত বলে বিশ্বাস করে। =🌹
🚫প্রশ্ন: ১. নবীর উপর যা অবতীর্ণ হয়েছে সেসবে বিশ্বাস করা মুত্তাকী হওয়ার শর্ত! আলেমদের মতে প্রকৃত বিশ্বাস হচ্ছে তা,যেটা কাজে পরিণত করা হয়! নবীর উপর (পালক) পুত্রবধূ বিবাহ,চারটি পর্যন্ত বিবাহের বিধান অবতীর্ণ হলেও মুমিনরা এসব করে না কেন? তারা কি এসব বিশ্বাস করে না? নাকি বিশ্বাস করলেও ভুল মনে করে? তাহলে তারা মুত্তাকী কিভাবে?
📶উত্তরঃ ইসলামের আইন না জানলে খগেনর্ক টাইপ প্রাণীদের জন্য এইসব প্রশ্ন আসা অস্বাভাবিক কিছু নয় । দাদা কোন আলেম বলেছেন যে নবীজি পালক পুত্রবধুকে বিয়ে করা সুন্নাত ? চারটি বিয়ে করা সুন্নাত কোন আলেম বলেছেন ? আপনি তাদের নাম বলেননি কেন ? আপনার মিথ্যাচার প্রকাশ পাবে তাই ? হাদিস আর সুন্নাহের পার্থক্য বুঝেন ? নবীজি (সা) কি নিজে বলেছেন পালত পুত্রের স্ত্রীকে (তালাক না দিলেও) বিবাহ করা সকল মুসলিমদের উপর ফরজ ? নবীজি (সা) কি বলেছেন যে চারটি বিয়ে করা সকল মুসলিমদের জন্য অবশ্য পালনিও ? উত্তর হচ্ছে না । কারন ইসলামের জ্ঞান আছে এমন মানুষ সকলেই জানেন যে সেসব হল ইসলামের অবশনাল আইন । তাছাড়া আপনি মিথ্যাচার করেছেন যে "নবীজি পালক পুত্রবধুকে বিয়ে করেছেন" এটি ভুল কথা কারন হযরত জায়েদ (রা) , জয়নাব (রা) কে তালাক দেন আর কেউ যদি তার স্ত্রীকে তালাক দেয় তাহলে সে আর তার স্ত্রী থাকে না তাই নবীজি কখনোই তাঁর পালক পুত্রের স্ত্রীকে বিয়ে করেনি ।
খগেনর্ক দাদা আপনি জানেন চারটি বিয়ে করা না শুধু এর চেয়েও বেশি বিয়ে নাস্তিক ধর্ম অনুযায়ী যে হালাল ? নাস্তিক ধর্মের গবেষক ড হুমায়ূন আজাদ তার "আমার অবিশ্বাস" কিতাবের ১৪৩ পৃষ্ঠায় বলেছেনঃ নৈতিকতার সীমা হওয়া উচিৎ সংকীর্ণ । আমার কোন কাজ যেন অন্যকে ক্ষতিগ্রস্থ না করে,এটুকু । এই ফতোয়া সামনে রাখতে চারটি বিয়ে করা মোটেও ক্ষতিকর কিছুই নয় বরং আরও বিয়ে করা যাবে সুতরাং নাস্তিক ধর্ম অনুযায়ী এটি অভিযোগের মধ্যে পড়ে না ।
কিন্তু এই ফতোয়া সামনে রাখলে নাস্তিক ধর্মের আরও কিছু বিষয় পরিস্কার হয় যেমনঃ খগেনর্ক আর তার নাস্তিক মা যদি সম্মতি হয় তাহলে তারা সংগম করতে পারবে । খগেনর্ক আর তার নাস্তিক পিতা সম্মতিতে সমকাম করতে চায় তাহলে তারা সেটি করতে পারবে । খগেনর্কর নাস্তিক বোন যদি চায় তার নাস্তিক বাবার সাথে সম্মতিতে সংগম করতে, সেটাও পারবে , খগেনর্কর নাস্তিক মাতা যদি চায় তার মেয়ের সাথে সম্মতিতে লেসবিয়ান হতেও পারবে এইগুলা নাস্তিক ধর্মে সব জায়েজ । খগেনর্ক পারলে এসব অস্বীকার করে প্রমান করুক যে সে মুক্তচিন্তার বিরুদ্ধে । নাস্তিকতায় যৌনতায় কোন বাধা নিষেধ নেই, সকল নাস্তিকই এসব জানে তারপরেও তারা কেন এসব করে না নাকি ভুল মনে করে তাদের নাস্তিক ধর্মর আদর্শ কে ?
খগেনর্কঃ "এবং যা তোমার পূর্ববর্তীদের প্রতি অবতীর্ণ হয়েছে"" সেগুলোতে কি বর্তমান মুমিনরা বিশ্বাস করে? নবীর আমলের বাইবেল,তাওরাত(প্রাচীন সংরক্ষিত) আর বর্তমান বাইবেল,তাওরাত একই হলেও প্রায় সব মুসলিম এগুলোকে বিকৃত মনে করে! তাহলে তারা মুত্তাকী কিভাবে?
😎এম ডি আলীঃ প্রাচীন কিতাব যেগুলো আল্লাহ নাজিল করেছেন সেগুলোর উপর আমরা এখনো বিশ্বাস করি । তাতে কোন সন্দেহ নেই । নবীজি (সা) এর সময়ে বাইবেল , তাওরাত যে সংরক্ষিত ছিল (বিকৃত হয়নি) সেটার প্রমান দেন নি কেন ? হ্যাঁ যদি সেগুলো বিকৃত না হয় তাহলে আমরা সেগুলো মানি এখানে অবিশ্বাসের কিছুই নেই কিন্তু আপনি যা বুঝাতে চাইতেছেন যে তৎকালীন বাইবেল তাওরাত অবিকৃত এই কথা ডাহা মিথ্যা । মুসলিমরা বিকৃত কিতাবকে বিকৃত মনে করে কিন্তু বিকৃত হয় নেই এমন কিতাবে তো অস্বীকার করে না । সুতরাং তাই মুসলিমরা মুক্তাকী এতে কোন সন্দেহ নেই ।
খগেনর্কঃ অতএব,৪নং আয়াত অনুযায়ী কেউই মুত্তাকী নয় এবং কুরআন কারো কাছেই সন্দেহাতীত নয়,যেহেতু কুরআন অনুযায়ী এটা শুধু মুত্তাকীদের জন্য সন্দেহাতীত! আয়াত "তারাই নিজেদের পালনকর্তার পক্ষ থেকে সুপথ প্রাপ্ত", আর তারাই যথার্থ সফলকাম। প্রশ্ন: ১.একটা কৌতুক আছে,"খুঁজে পেলে দেখিয়ে দেব!" এ আয়াতটাও কি সেরকম নয়? যে মুত্তাকী,সবকিছু বিশ্বাস করে সে তো এমনিতেই নিজ চেষ্টায় সুপথ(?) তাকে আর পথ দেখিয়ে কি লাভ? ২.যারা মুত্তাকী,বিশ্বাসী তাকে আল্লাহ পথ দেখাবে,অন্যদেরকে নয়! তাহলে আল্লাহ সবার জন্য পথপ্রদর্শক হয় কিভাবে? যে পথ খুঁজে পেয়েছে তাকে পথ দেখিয়ে কি লাভ,যদি না পথহারা বা পথভ্রষ্টকে আল্লাহ পথ দেখাতে না পারে?
😎এম ডি আলীঃ ভুল বললেন দাদা । কুরআন অনুযায়ী যারা স্বীকার করেছে তারা মুক্তাকী এবং কুরআন এমন কিতাব যাতে কোন সন্দেহ নেই । একটি কৌতুক আছে খুঁজে পেলে দেখিয়ে দেব এই কথা কুরআনের মত নয় এটি আপনার অন্ধ বিশ্বাস দাদা । "একটি কৌতুক আছে খুঁজে পেলে দেখিয়ে দিব" এইটা কি কুরআনের আয়াতকে ভুল প্রমান করে ? নাস্তিক ধর্ম দিয়ে সমাধান দিন । তারা কি বিনা কষ্টে সুপথ পেয়েছে ? উত্তর হচ্ছে না । তারা আল্লাহর থেকে সুপথ পেয়েছে এরমানে আল্লাহ তাঁদেরকে যা দিয়েছেন সেটা তারা মেনে নিয়েছে তাই এটা আল্লাহর থেকেও নেয়া হল । ধরুন একজন আপনি অফিসে কাজ করলেন এখন টাকা কথা থেকে নিবেন ? অবশ্যই বস থেকে । সুতরাং বসের থেকে টাকা নিলেন ঠিক একই ভাবে আল্লাহ মুমিনদেরকে ইসলাম মানতে বলেছেন মুমিনরা সেটা মানছে তাই আল্লাহ থেকেই পথ পেল । খুবই সহজ।
"যারা মুক্তাকী বিশ্বাসী আল্লাহ তাঁদেরকে পথ দেখাবেন অন্যদেরকে না" এই কথা কুরআনে কই আছে ? আল্লাহ সবার জন্যই পথপ্রদর্শক কারন তিনি নবীজি কে তো এই কারনেই পাঠিয়েছেন মানুষের জন্য যেন সবাই তাঁকে নেয় এখন কেউ যদি না মানে তাহলে সেটার দায়ভার আল্লাহর না সেটার দোষ আপনার । এইমাত্র বললাম আল্লাহ মানুষের কল্যাণের জন্য নবীজিকে দুনিয়াতে পাঠিয়েছেন তাই আল্লাহ অবশ্যই আমাদের জন্য পথপ্রদর্শক দিয়েছেন সুতরাং আল্লাহ কাউকে পথ দেখাতে পারে না এই কথা ভুল । কেউ যদি পথ খুঁজে পায় তাহলে তাকে দেখানোর দরকার নেই কিন্তু যেহেতু পথ খুঁজে পাইনি তাই আল্লাহ তাদেরকে পথ দেখিয়েছেন যদি সে আল্লাহর কাছে পথ চায় । আপনি আল্লাহর কাছে কিছু চাইবেন না আবার তাঁকেই দোষ দিবেন এটা তো হবে না দাদা ।
🌹= সুরা বাকারা ২:৬ = নিশ্চিতই যারা কাফের হয়েছে তাদেরকে আপনি ভয় প্রদর্শন করুন আর নাই করুন তাতে কিছুই আসে যায় না, তারা ঈমান আনবে না। =🌹
🚫প্রশ্ন : ১.আল্লাহ যেখানে নিশ্চয়তা দিচ্ছে যারা কাফির হয়েছে তারা ঈমান আনবে না,তারপরও রাসুল ও অন্য যারা ঈমানের দাওয়াত দিয়েছে তারা কি খোদার উপর খোদাগিরি দেখায়নি? নাকি তারা আল্লাহর নিশ্চয়তায় বিশ্বাস করে না?
📶উত্তরঃ আপনি প্রমান করুন যে আল্লাহ নবীজিকে বলেছেন আপনি সেই কাফেরদের এরপরে আর দাওয়াত দিতে পারবেন না কারন তারা ইমান আনবে না ? আপনি এরকম কিছুই দেখাতে পারবেন না সুতরাং আপনার প্রশ্নটি ভুল । নবীজি ও অন্য যারা ইমানের দাওয়াত দিয়েছে তারা মোটেও খোদার উপর খোদাগিরি দেখায়নি বরং আপনি এই হাস্যকর প্রশ্ন দিয়ে আপনি ভ্রান্তর উপর অটল থাকতে চাইছেন দাদা । মুসলিমরা আল্লাহর কথাকে অস্বীকার করে সেটার প্রমান দেন কি কেন ? প্রমান না দিয়েই নিজেই একটি অযথা কথা বলে দিলেন । ধরুন একজন বিড়িখোর আপনি তাকে হাজার বার বুঝানোর পরেও সে তার এই অভ্যাস ত্যাগ করবে না এখন আপনার পিতা আপনাকে বলল তুই তাকে বলিস আর নাই বলিস দুইটাই তার জন্য সমান কিন্তু আর মানে কি এটা যে আপনার পিতা তাকে উপদেশ দিতে মানা করছে ? উত্তর হচ্ছে না । কারন আপনার পিতা আপনাকে হতাশ হতে মানা করছে যেহেতু বিড়ি সেবনের ক্ষতি আপনি জানেন এবং সেই লোকের ক্ষতির জন্য আপান্র অনেক মায়া লাগছে । ঠিক একই ভাবে আল্লাহর সেই উদ্দেশ্য । আল্লাহ নবীজিকে বলেছেন আপনি তাদেরকে দাওয়াত দেন বা না দেন দুটি তাদের জন্য সমান কিন্তু এর মানে এই না যে নবীজিকে আল্লাহ দাওয়াত দিতেই নিষেধ করেছেন । যেহেতু আল্লাহ দাওয়াত দিতে নিষেধ করে নি সেহেতু নবীজি ও অন্যরা দাওয়াত দিলে সেটা খোদার উপর খোদাগিরি দেখায় না এবং আল্লাহকে অবিশ্বাস করাও বুঝায়না ।
🚫২.এ আয়াত নাযিল হওয়ার পরও বহু কাফির ঈমান এনেছে,তার মানে কি আল্লাহ মিথ্যাবাদী? নাকি আল্লাহর নিশ্চয়তা কথার কথা,মূল্যহীন?
📶উত্তরঃ আপনি কুরআনের আয়াতই না বুঝে নির্বোধদের মত প্রশ্ন করেছেন , আমি অবাক না কারন নির্বোধ আপনাদের মত প্রাণীদেরকেই মানায় । যাই হক । এই প্রশ্নের দারুণ জবাব তাফসীরে জালালাইন ১ খণ্ড, ৯০ পৃষ্ঠায় দেয়া হয়েছেঃ মূলত কুরআনের সেই আয়াত দ্বারা সাধারন কাফের উদ্দেশ্য নয় বরং বিশেষ প্রতিশ্রুত ঐ সকল কাফের উদ্দেশ্য যাদের জন্য আল্লাহর ইলমে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হচ্ছে যে এরা শেষ পর্যন্ত ইমান গ্রহন করবে না , বরং কুফরের উপরেই অটল থাকবে । যেমন আবু জাহেল ও আবু লাহাব প্রমুখ । তা ছাড়া "সাওয়া উন আলাইহিম" দ্বারা উদ্দেশ্য এই নয় যে এখন তার তাদেরকে দিনের বিধানাবলি শুনানোর এবং তাদের কাছে তাবলীগের প্রয়োজন নেই । কেননা এ তাবলীগ তো রাসুল (সা) এর উপর মর্যাদাশীল ফরজ । সুতরাং তারপরেও তিনি তাবলীগ বন্ধ করেননি । মুফাসসির (রহ) উক্ত সন্দেহকেই দূর করার দিকে "ফালা তাত মাআ" দ্বারা ইংগিত করেছেন অর্থাৎ তাবলীগ ছেড়ে দেয়া উদ্দেশ্য নয় বরং তাদের থেকে ইমান গ্রহনের ব্যাপারে বিশ্বাস ও আশা না রাখার কথা বলা হচ্ছে । কেননা আশার বিপরীত ফল দ্বারা দুঃখ ও বেদনার সম্মুখীন হতে হয়। আম্বিয়া (আ) এর অন্তর যেহেতু স্নেহ ও দয়ায় পরিপূর্ণ থাকে । তাঁরা যদি অধিক মহাব্বত ও স্নেহ করে থাকেন , ইমানের পোষণ করেন তারপর এর বিপরীত হলে কত বড় ও অসহনীয় দুঃখ তাদের মনে আসতে পারে । তাই এই আয়াতের স্থানে তাবলীগের ব্যাপারে সংযমী হওয়ার তালীম দেয়া হয়েছে । অর্থাৎ খগেন আবু জাহেল ও খগেন আবু লাহাবের মত ঐসব লোকও এ হুকুমের অন্তর্ভুক্ত , যাদের ইমান না আনার বিষয়টি আল্লাহর ইলমে রয়েছে ।
🌹= সূরা বাকারা ২:৭ = আল্লাহ তাদের অন্তকরণ এবং তাদের কানসমূহ বন্ধ করে দিয়েছেন, আর তাদের চোখসমূহ পর্দায় ঢেকে দিয়েছেন। আর তাদের জন্য রয়েছে কঠোর শাস্তি। =🌹
🚫প্রশ্ন: ১.কারো অন্তর,কান ও চোখ বন্ধ করে তাকে দেখতে,শুনতে,বুঝতে বলা কি হাস্যকর নয়? এরূপ করার পর না শোনা,না দেখা,না বোঝার জন্য শাস্তি দেওয়ার কোনো যৌক্তিকতা থাকে কি?
📶উত্তরঃ আপনি আয়াতের মূল অর্থ চুরি করে লুকিয়েছেন । কারন আল্লাহ কেন তাদের কারো অন্তর,কান ও চোখ বন্ধ করে দিয়েছেন সেটা আপনি হয়ত জানেন না অথবা জেনে বুঝে লুকিয়েছেন । যেমন সুরা বাকারা ২:১০ = তাদের অন্তঃকরণ ব্যধিগ্রস্ত আর আল্লাহ তাদের ব্যধি আরো বাড়িয়ে দিয়েছেন। বস্তুতঃ তাদের জন্য নির্ধারিত রয়েছে ভয়াবহ আযাব, তাদের মিথ্যাচারের দরুন। মহর কেন মারা হয়েছে সেটার উত্তর এই আয়াতে বলা হয়েছে অর্থাৎ যেহেতু কাফেররা আল্লাহকে অস্বীকার করে এবং সেটা প্রমানের জন্য ইচ্ছা করেই মিথ্যা কথা বলে আর এসব কাজ খুবই অন্যায় আর তাই তাদের এই অন্যায় হল এক প্রকার রোগ যেটা বৃদ্ধি পায় প্রচুর মিথ্যাচারের ফলে আর এই সিস্টেমই আল্লাহ করেছেন । সুতরাং আল্লাহ ইচ্ছা করেই মহর মারেন না বরং কাফেরদের ইচ্ছা করে জালিয়াতির জন্য এই রোগ বেড়ে যায় তাই তাদের দিলে মহর পড়ে যায় । এখানে আল্লাহ ইচ্ছা করেই অন্তর কান চোখ বন্ধ করেছেন এই কথা ভুল ।
🚫২.আল্লাহ কান,চোখ,অন্তর বন্ধ করে দেওয়ার পরেও কেউ কাফের হওয়ার পরে ঈমান আনলে তা কি আল্লাহর অক্ষমতা প্রমাণ করে না?
📶উত্তরঃ আল্লাহর ভবিষ্যৎবানী কখনো মিথ্যা হতে পারে না এবং আমি প্রমান দিলাম যে আল্লাহ আবু লাহাব নিয়ে যা ভবিষ্যৎবানী করেছে সেটা সঠিক হয়েছে । এখন আপনি প্রমান দিন যে আল্লাহ নিজে বলেছেন অমুক কাফের হেদায়েত পাবে না কিন্তু এরপরেও সে হেদায়েত পেয়েছে ? যেহেতু আপনি প্রমান দেননি তাই এই প্রশ্ন বাতিল ।
🚫৩.আল্লাহ যেখানে কঠোর শাস্তির কথা বলে ফেলেছেন এরপরও যদি কেউ ঈমান আনে তাকে শাস্তি না দিলে কি আল্লাহ মিথ্যাবাদী হবে না? অতএব,আয়াত দুটি অযৌক্তিক,ভুল। এমনকি ঐশ্বরিক ও নয় কেননা ঈশ্বর সর্বশক্তিমান এবং সত্যবাদী হওয়ারই কথা!
📶উত্তরঃ সেরকম কিছুই নয় । কারন আপনি আগের প্রশ্নে কোন প্রমান পেশ করতে পারেননি যে আল্লাহ বলেছেন "অমুক কাফের ইমান আনবে না " অথচ পড়ে ইমান এনেছে তাই আপনার এই প্রশ্ন অযৌক্তিক বাতিল যেহেতু প্রমান দেননি । তাছাড়া আল্লাহ শাস্তির কথা বলেছেন তাই বলে কেউই ইমান আনতে পারবে না এই কথা কুরআন হাদিসে কোথায় আছে ? নবীজি (সা) তো দাওয়াত দিয়েছিলেন তাঁর দাওয়াতে তো অনেক অমুসলিম সাহাবী ইসলাম গ্রহন করেছিল ।
সুতরাং তাই আল্লাহ জাহান্নামের ভয় দেখালে যে কেউ ইমান আনতে পারবে না সেটা ভুল আর কেউ ইমান আনলে তার গুনাহের জন্য আল্লাহ শাস্তি দিবেন না সেটাও ঠিক না , সেটি আল্লাহর ইচ্ছা । হয়ত মাফ করে দিবেন অথবা তার ইমান আনার পড়ে পাপ কাজ করলে সেটার জন্য শাস্তিও দিতে পারেন । আর স্রষ্টা সর্বশক্তিমান এবং সত্যবাদী এতে সন্দেহ নেই ।
🌹= সুরা বাকারা ২:৮ = আর মানুষের মধ্যে কিছু লোক এমন রয়েছে যারা বলে, আমরা আল্লাহ ও পরকালের প্রতি ঈমান এনেছি অথচ আদৌ তারা ঈমানদার নয়! =🌹
🚫প্রশ্ন: আল্লাহ কি এ আয়াতের মাধ্যমে মুমিনদের ভন্ড ঘোষণা করছেন না? মুমিনরাই তো মুখে বলে তারা আল্লাহ ও পরকালে বিশ্বাস করে। কিন্তু আল্লাহর ঘোষণা অনুযায়ী তাদের অনেকেই ঈমানদার নয়,ভন্ড! মুমিনদের ভন্ডামি কি তাদের কুরআন প্রকাশ করে দিচ্ছে না?
📶উত্তরঃ এখানে কি মুমিনদের কথা বলা হয়েছে ? উত্তর হচ্ছে না । এখানে মুনাফিকদের কথা বলা হয়েছে । আপনি জানেন না সেটি আপনার জ্ঞানের কমতি কুরআনের নয় খগেনর্ক দাদা ।
🌹=সূরা বাকারা ২:৯ = তারা আল্লাহ এবং ঈমানদারগণকে ধোঁকা দেয়। অথচ এতে তারা নিজেদেরকে ছাড়া অন্য কাউকে ধোঁকা দেয় না অথচ তারা তা অনুভব করতে পারে না। =🌹
🚫প্রশ্ন: ১.মুমিনদের একদল যারা প্রকৃত ঈমানদার নয় তারাই কি ঈমানদারদের ধোঁকা দিচ্ছে না? আমাদের দেশে,এমনকি সারা বিশ্বেই সেটা দেখা যায়! এখানে নাস্তিক,বিধর্মীদের কথা বলেনি,বলেছে মুমিনদেরই একদল ধোঁকাবাজ! তাই নয় কি?
📶উত্তরঃ আগেই বলেছি মুমিনদের কথা বলা হয়নি বলা হয়েছে মুনাফিকদের কথা আর মুনাফিকরা অবশ্যই ইমানদারদের ধোঁকা দিচ্ছে । এবং সারা দুনিয়ায়ে মুনাফিকদের দ্বারা সেটাই বুঝায় যাচ্ছে । মুমিনদের এক দল বলাই হয়নি বরং এখানে মুনাফিকদের ধোঁকার কথা বলা হয়েছে । আর আপনি যে কুরআন বুঝেন না সেটা তো আমি প্রচুর বার পাঠকদের কাছে প্রমান করেছি ।
🚫প্রশ্ন ২.তারা আল্লাহকে ধোঁকা দেয়! কতটা অসহায় আল্লাহ! ধোঁকা তাকেই দেয়া যায় যে দেখে না,বুঝে না,শুনে না,জানে না! এ আয়াত আল্লাহর সর্বশ্রোতা,সর্বদ্রষ্টা,সর্বজ্ঞ গুণগুলোকে প্রশ্নবিদ্ধ করছে না?
📶উত্তরঃ আপনি যে কুরআন বুঝেন না সেটা আবার প্রমান হল । কারন মুনাফিকরা আল্লাহকে ধোঁকা দেয় অথবা প্রতারিত করতে চায় বলে বুঝানো হয়েছে তাফসীরে ইবনে আব্বাস ১ খণ্ড, ১৮ পৃষ্ঠায় তারা আল্লাহকে প্রতারিত করতে চায় অর্থাৎ বিরুদ্ধাচরণ করে এবং গোপনে তাঁকে অস্বীকার করে । অথবা সত্য প্রত্যাখ্যানকারীরা আল্লাহর প্রতি দুঃসাহস করে মনে করতো যে তারা আল্লাহকে আল্লাহকে ধোঁকা দিচ্ছে ।
সুতরাং মুনাফিকরা ভাবত তারা আল্লাহকে ধোঁকা দিচ্ছে এটাই আল্লাহ ফুটিয়ে তুলেছেন এর মানে এই না যে আল্লাহ কিছুই বুঝেন না আর আরও মজার বিষয় পাঠক আপনারা বুঝেই গিয়েছেন যে সর্বশ্রোতা,সর্বদ্রষ্টা,সর্বজ্ঞ গুণগুলোকে প্রশ্ন বিদ্ধ করেই না ।
🚫প্রশ্ন ৩.অথচ এতে তারা নিজেদেরকে ছাড়া অন্য কাউকে ধোঁকা দেয় না,এমনটা বলার কারণ কি? আল্লাহ বলতে কিছু নেই,তাকে ধোঁকা দেয়া মানে নিজেকে ধোঁকা দেয়া?
📶উত্তরঃ কারন একেবারেই পরিস্কার মুনাফিকরা মনে করছে তারা আল্লাহ ও রাসুলকে ধোঁকা দিচ্ছে কিন্তু আসলে সত্য অস্বীকার করার ফলে তারা নিজেদেরকেই ধোঁকা দিচ্ছে । আল্লাহ বলে কিছুই নেই এই কথা আয়াতের কোথাও বলা হয় নি আর নিজকে মুনাফিকরা কিভাবে ধোঁকা দিয়েছে সেটা তো বলেছিই । আপনি কি বিশ্বাস করেন " আল্লাহ বলতে কিছু নেই,তাকে ধোঁকা দেয়া মানে নিজেকে ধোঁকা দেয়া" যদি উত্তর হয় হ্যাঁ তাহলে আপনি নাস্তিক থাকেন না । যদি উত্তর হয় না তাহলে আপনার নিজের কথাই আপনি মানেন না সুতরাং আপনার প্রশ্ন এবং দাবি উভয় বাতিল এবং অযৌক্তিক ।
🌹= সুরা বাকারা ২:১০ = তাদের অন্তঃকরণ ব্যধিগ্রস্ত আর আল্লাহ তাদের ব্যধি আরো বাড়িয়ে দিয়েছেন। বস্তুতঃ তাদের জন্য নির্ধারিত রয়েছে ভয়াবহ আযাব, তাদের মিথ্যাচারের দরুন। =🌹
🚫প্রশ্ন: ১.তাদের অন্তঃকরণ ব্যধিগ্রস্ত,এ ব্যধিদাতা কে? এ ব্যধির জন্য কি আল্লাহ দায়ী নয়? একটা মোবাইলে ভাইরাস ঢুকলে তার দায় মোবাইলের নাকি মোবাইল ও ভাইরাস নির্মাতার?
📶উত্তরঃ ক্যানসারে আক্রান্ত হাস্যকর বেয়াদব মার্কা যুক্তি আপনার । বুঝতে হবে আল্লাহ একটি সিস্টেম করেছেন যদি কেউ আল্লাহকে অস্বীকার করে এবং জেনে শুনে মিথ্যাচার করতেই থাকে তাহলে তাদের রোগ বেড়ে যাবে কিন্তু যদি তারা এটি না করে তাহলে এরকম কিছুই হবে না । এটি সিস্টেম > নিয়ম মানুষের জন্য । সুতরাং আপনি আল্লাহকে মানলে আপনার অন্তরের কোন রোগ হবে না আর যদি না মানেন তাহলে রোগ বৃদ্ধি পাবে। আর এর জন্য মোটেও আল্লাহ দায়ী নন কারন এটি আল্লাহর সিস্টেম । আপনি সিস্টেমের নিয়ম ফলো করবেন না আবার দোষ দিবেন সেটাও হবে না । এর জন্য বললাম বেয়াদব মার্কা যুক্তি ।
আপনি যেই উদাহরণ দিলেন সেটাও হাস্যকর একটি মোবাইলে ভাইরাস প্রবেশ করলেও সেটা মুছার অপশন আছে এবং কেউ কি জেনে শুনে তার মোবাইলে ভাইরাস প্রবেশ করায় ? উত্তর হচ্ছে না । ঠিক একই ভাবে কাফেররা জানতেন যে মোহাম্মদ (সা) মিথ্যা বলতেন না বরং মুহাম্মদ (সা) যা বলেছেন সব সত্য এরপরেও তারা ইচ্ছা করেই বিরোধিতা করতো মিথ্যা কথা বলব তাই তাদের রোগ বৃদ্ধি পেয়েছে এর জন্য আল্লাহ দায়ী না । কোন মোবাইল চালক যদি ইচ্ছা করে তার মোবাইলে ভাইরাস প্রবেশ করায় এবং এর জন্য জন্য যদি তার মোবাইল নষ্ট হয় তাহলে অবশ্যই সেটার জন্য মোবাইল ও ভাইরাস নির্মাতা দায়ী না কারন তারা আপনাকে সিস্টেম করে দিয়েছে এবং আপনি সেই সিস্টেম না মানলে আপনার ক্ষতি হবেই , এই সহজ বিষয় বুঝেন না ।
🚫প্রশ্ন ২.আল্লাহ তাদের ব্যধি আরও বাড়িয়ে দিয়েছেন, কি দয়ালু আল্লাহ!! ব্যধিগ্রস্ত অন্তঃকরণ সারিয়ে তোলার পরিবর্তে ব্যধি আরো বাড়িয়ে দেয়া আল্লাহকে কোনোভাবে দয়ালু বলা যায় কি?
📶উত্তরঃ কেউ ইচ্ছা করে মিথ্যাচার করবে , মুসলিমদেরকে হত্যা করতে চাইবে , নবীজি (সা) কে হত্যা করতে চাইবে আর আল্লাহ তাকে ক্ষমা করে দিবেন ? হাস্যকর । আয়াতেই বলা আছে তাদের মিথ্যার জন্য তাদের অন্তরের রোগ বেড়ে যায় এটা সিস্টেম এর জন্য সেই মিথ্যুক কাফের দায়ী , আল্লাহ নন । আর হ্যাঁ অবশ্যই আল্লাহ সেই রোগ ঠিক করতেন যদি তারা তওবা করে ফিরে আসতেন যেহেতু তারা ইচ্ছা করেই খগেনর্কর মত জালিয়াতি করে তাই তাদেরকে ঠিক করার কোন মানে হয় না বরং এদের মত নোংরা মানুষকে আল্লাহ মাফ না করলেই দয়ালু কাজ করেছেন এবং ন্যায় বিচার করেছেন ।
🚫প্রশ্ন ৩.একজনের আঙ্গুলে পচন ধরেছে,ডাক্তার ভুল ঔষধ দিয়ে পুরো হাতে পচন ধরিয়েছেন,সে ডাক্তার কি এর জন্য রোগীকে দোষারোপ করতে পারবেন? অথচ আল্লাহ ব্যধি না সারিয়ে,বাড়িয়ে দিয়ে আবার রোগীকে দোষারোপ করছেন এবং শাস্তি দেওয়ার হুমকি দিচ্ছেন। এ কেমন আল্লাহ?
📶উত্তরঃ ভুল উদাহরণ দিলেন দাদা । আল্লাহ কেন রোগ বৃদ্ধি করেছেন সেটা হল কাফেররে মিথ্যাচারের জন্য এর জন্য আল্লাহ দায়ী কিভাবে হন ? এর জন্য সেই মিথ্যুক কাফের দায়ী আল্লাহ নন । আশা করি বুঝতে পারছেন । আল্লাহ ভুল ঔষধ দিয়েছে কিন্তু আল্লাহ তো ভুল সিস্টেম দেননি এখানেই আপনার উদাহরণ ভুল প্রমাণিত হল ।
🌹= সুরা বাকারা ২: ১১-১২ = আর যখন তাদেরকে বলা হয় যে, দুনিয়ার বুকে দাঙ্গা-হাঙ্গামা সৃষ্টি করো না, তখন তারা বলে, আমরা তো মীমাংসার পথ অবলম্বন করেছি। মনে রেখো, তারাই হাঙ্গামা সৃষ্টিকারী, কিন্তু তারা তা উপলব্ধি করে না। =🌹
🚫প্রশ্ন: এ আয়াত দুটোকে ভুল বলা যায় না,তবে এ আয়াতে মুমিনদের মুখোশই উন্মোচিত হয়! আয়াত দুটোতে বলা হয়েছে এমন লোকদের কথা যারা দাঙ্গা হাঙ্গামা করে অথচ বলে আমরা মীমাংসার পথ অবলম্বন করছি! আমাদের মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানী সেনারা একই কাজ করেছে,বাড়িঘর জ্বালিয়ে দিয়ে মানুষ হত্যা করে বলেছে সবই শান্তির(মীমাংসা) জন্য করছে! আজও মুসলিম দেশগুলোতে দাঙ্গা হাঙ্গামা নিত্য নৈমিত্তিক ব্যাপার
আইএস,তালেবান,হিজবুল্লাহ,আল কায়েদা,হামাস মীমাংসার নামে দাঙ্গা হাঙ্গামা সৃষ্টি করেই যাচ্ছে! আমাদের দেশে ধর্মরক্ষার(মীমাংসা) নামে হেফাজতের তান্ডব,জামাত শিবিরের তান্ডব,সংখ্যালঘু নির্যাতন,ব্লগার হত্যা কি স্পষ্ট বলে দিচ্ছে না মুমিনরাই প্রকৃত দাঙ্গা হাঙ্গামা সৃষ্টিকারী?
📶উত্তরঃ আয়াতকে ভুল ভাবে ব্যাখ্যা করলেন । এই আয়াতে মুমিনদের কথা বলা হয়েছে মাত্র একটি প্রমান দিন তো দেখি ? । আর আপনার বাকি সব মিথ্যা তথা যথা উগ্রদেরকে ইসলামের মধ্যে মিশিয়ে যেই মিথ্যাচার করেছেন সেটার অভিযোগ খণ্ডনের জন্য নিচে বর্ণনা সমূহ এনাফঃ
ihadis.com, সহিহ বুখারি, হাদিসঃ ৬৮০৯ , সহিহ হাদিসঃ ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ তিনি বলেন, রসূলল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ মু’মিন থাকা অবস্থায় কোন ব্যাক্তি ব্যাভিচারে লিপ্ত হয় না। মু’মিন থাকা অবস্থায় কোন চোর চুরি করে না। মু’মিন থাকা অবস্থায় কেউ মদ্য পান করে না। মু’মিন থাকা অবস্থায় কেউ হত্যা করে না। ‘ইক্বরিমাহ (রহঃ) বলেন, আমি ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) – কে জিজ্ঞেস করলাম, তার থেকে ঈমান কিভাবে ছিনিয়ে নেয়া হয়? তিনি বললেনঃ এভাবে। আর অঙ্গুলিগুলো পরস্পর জড়ালেন, এরপর অঙ্গুলিগুলো বের করলেন। যদি সে তাওবাহ করে তবে আগের অবস্থায় এভাবে ফিরে আসে। এ ব’লে অঙ্গুলিগুলো আবার পরস্পর জড়ালেন।
ihadis.com, সহিহ বুখারি, হাদিসঃ ৬৮১০ , সহিহ হাদিসঃ নবী (সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ যিনাকারী যিনা করার সময় মু’মিন থাকে না। চোর চু্রি করার সময় মু’মিন থাকে না। মদপানকারী মদ পানের সময় মু’মিন থাকে না। তবে তারপরও তাওবাহ উন্মুক্ত ।
সুরা মায়েদা ৫:৩২ = যে ব্যক্তি মানুষ হত্যা অথবা পৃথিবীতে ধ্বংসাত্মক কাজ করলো অন্যায়ভাবে উদ্দেশ্য ছাড়া কাউকে হত্যা করল, সে যেন পৃথিবীর সকল মানুষকেই হত্যা করল। আর কেউ কারো প্রাণরক্ষা করলে সে যেন পৃথিবীর সকল মানুষের প্রাণ রক্ষা করলো ।
আশা করি বুঝতে পেরেছেন । আমার কথা হল সন্ত্রাসী জঙ্গীদের সাথে ইসলামের কোন সম্পর্ক নেই কিন্ত নাস্তিকদের সাথে সম্পর্ক আছে এই বিষয়ে জানতে আমার একটি লেখা আছে "ময়নাতদন্তে খগেনিজম/নষ্টাকিজম" এই লেখায় "নাস্তিক ধর্মের ভয়ংকর বর্বরতা" শিরোনামে আমি প্রমান করেছি নাস্তিকতার মাঝেই উগ্রতা সন্ত্রাসবাদ বিরাজমান কিন্তু ইসলাম কখনোই সন্ত্রাসবাদকে জঙ্গীবাদকে এবং উগ্রতাকে সমর্থন করে না । বিস্তারিত পড়ুন নিজেরাই বুঝে যাবেন যে কমিউনজম তথা নাস্তিক ধর্ম গ্রহন না করার জন্য কোটি কোটি নিরিহ মানুষকে নাস্তিকরা হত্যা করেছে ।
লিংকঃ
সুতরাং যারা অন্যায় অপরাধ কাজ করে তারা ইসলামের আলোকে মুমিন নয় আর উক্ত আয়াতে মুমিনদের কথাই বলা হয় নি । ইসলামের সাথে উগ্রতার এবং জগীবাদের কোন সম্পর্ক নাই বরং ইসলাম সবসময় শান্তি , মানবতা এবং মুক্তির পথ চেয়েছে । এটাই ইসলামের আদর্শ অর্থাৎ ইসলাম শান্তির ধর্ম । এটাই সত্য ।
🌹= সুরা বাকারা ২:১৩ = আর যখন তাদেরকে বলা হয়, অন্যান্যরা যেভাবে ঈমান এনেছে তোমরাও সেভাবে ঈমান আন, তখন তারা বলে, আমরাও কি ঈমান আনব বোকাদেরই মত! মনে রেখো, প্রকৃতপক্ষে তারাই বোকা, কিন্তু তারা তা বোঝে না। =🌹
🚫প্রশ্ন: এ আয়াত কি এটা ইঙ্গিত করে না যে,তত্কালীন সময়ে স্বীকৃত বোকারাই শুধু ঈমান এনেছিল? এ আয়াতে তারা বোকা ছিল না এটাও বলা হয়নি অর্থাৎ স্বীকার করে নেওয়া হয়েছে বোকারাই ঈমান এনেছিল! প্রকৃতপক্ষে তারাই বোকা বলা দ্বারা এটাও স্বীকার করে নিচ্ছে যে অবিশ্বাসীরা জ্ঞানী ছিল! কেননা একজন আপাতদৃষ্ট জ্ঞানীকেই আপনি বলবেন প্রকৃত অর্থে জ্ঞানী নয়! একজন জ্ঞানহীনকে সরাসরি জ্ঞানহীন বলবেন,প্রকৃত অর্থে জ্ঞানী নয় বলবেন না!
📶উত্তরঃ আয়াতটি মনোযোগ দিয়ে পড়ুন নিজেরাই ধরতে পারবেন খগেনর্কর মিথ্যাচার । কারন আয়াতে বলাই হয়নি যে বোকারা ইমান এনেছে বরং আয়াতে বলা হচ্ছে কাফেররা বলত যে বোকাদের মত আমরা ইমান আনব কেন ? এখানে কাফেরদের মুখের শব্দ বলা হয়েছে । আরও মজার কথা হল আয়াতেই কিন্তু বলা হচ্ছে প্রকৃতপক্ষে তারাই বোকা, কিন্তু তারা তা বোঝে না। সুতরাং খগেনর্ক যুক্তি অনুযায়ী যদি ধরেও নিই যে আয়াতে বোকাদের কথা বলা হচ্ছে তাহলে এই যুক্তি তার নিজের বিরুদ্ধেই চলে যায় কারন আয়াতের শেষের অংশেই সেই দাবি খণ্ডন করে বলা হয়েছে আসলে কাফেররাই বোকা এবং মূর্খ এটি তারা জানে না যেমন খগেনর্ক ইচ্ছা করেই জালিয়াতি করে অথচ সে এটি নিজেই বুঝতে পারে না । আয়াতে মুমিনদের বোকা বলা হচ্ছে না ।
আচ্ছা কাফেররা তো নাস্তিক ছিল না তাহলে খগেনর্কর যুক্তি থেকে বুঝা যাচ্ছে কাফেররা জ্ঞানী ! তাহলে খগেনর্ক কি মেনে নিচ্ছে যে মূর্তি পুজা করা জ্ঞানীদের কাজ , কন্যা শিশুদের জীবন্ত কবর দেয়া জ্ঞানীদের কাজ , মুসলিমদের হত্যা করা জ্ঞানীদের কাজ । নবী মুহাম্মদ (সা) কে হত্যা করতে চাওয়া জ্ঞানীদের কাজ ? খগেনর্ক দাদা সমাধান দিয়েন কিন্তু । তাছাড়া কুরআনে সেই আয়াতে বিন্তুমাত্র কাফেরদের জ্ঞানী বলা হয়নি ।
🌹= সুরা বাকারা ২:১৪-১৫ = আর তারা যখন ঈমানদারদের সাথে মিশে, তখন বলে, আমরা ঈমান এনেছি। আবার যখন তাদের শয়তানদের সাথে একান্তে সাক্ষাৎ করে, তখন বলে, আমরা তোমাদের সাথে রয়েছি। আমরা তো (মুসলমানদের সাথে) উপহাস করি মাত্রা। বরং আল্লাহই তাদের সাথে উপহাস করেন। আর তাদেরকে তিনি ছেড়ে দিয়েছেন যেন তারা নিজেদের অহংকার ও কুমতলবে হয়রান ও পেরেশান থাকে। = 🌹
🚫প্রশ্ন: ১.শয়তানের সঙ্গে কি সাক্ষাৎ করা যায়?
📶উত্তরঃ এখানে শয়তান বলতে সন্ত্রাসী কাফেরদেরকে বলা হচ্ছে । আপনি এই সামান্য বিষয় বুঝেন না দাদা । এই কারনেই তো আপনি একজন শয়তান । আর আপনাদের মত শয়তানদের সাথে তো ইচ্ছা করলেই দেখা করা যায় । এই সামান্য বিষয় বুঝেন না দাদা ।
🚫প্রশ্ন ২.তারা কারা যারা মুমিনদের সঙ্গে উপহাস করে? আল্লাহ কি তাদের পরিচয় বলে দিতে পারেন না,যাতে মুমিনরা নিরাপদ থাকে?
📶উত্তরঃ আল্লাহ বলেননি এই কথা আপনাকে কে বলেছে দাদা ? সন্ত্রাসী কাব বিন আশরাফ , সন্ত্রাসী কেনানা তাদেরই কিছু লোক । মুমিনরা নিরাপদেই আছে আলহামদুলিল্লাহ । মুমিনরা নিরাপদে আছে কি নেই সেটা নিয়ে আপনার এই নকল মায়া কান্না দেখাতে হবে না কারন আপনি একজন শয়তান । মুসলিম বিদ্বেষী ।
🚫প্রশ্ন ৩.আল্লাহই তাদের সঙ্গে উপহাস করেন? আল্লাহ কি মানুষ? সে প্রতিক্রিয়ায় উপহাস করে কিভাবে? এটা তো মানবীয় বৈশিষ্ট্য!
📶উত্তরঃ আল্লাহ তাদের সাথে উপহাস করেন এবং সেটা কেরকম সেটি আয়াতেই বলা আছে "আল্লাহই তাদের সাথে উপহাস করেন। আর তাদেরকে তিনি ছেড়ে দিয়েছেন যেন তারা নিজেদের অহংকার ও কুমতলবে হয়রান ও পেরেশান থাকে। [ সুরা বাকারা ২:১৫ ]" । আল্লাহ মানুষ নন । কুরআনে কোথাও আল্লাহকে মানুষ বলা হয়নি । আগেই বলা হয়েছে আল্লাহর উপহাস কেরকম । আপনি শয়তান তাই আয়াত বুঝেন না ।
🚫প্রশ্ন ৪.এই আল্লাহ নাকি দয়ালু? আপনার সন্তান খারাপ পথে গেলে আপনি কি চাইবেন কিছু না বলে তাদের খারাপ পথে পেরেশান করতে? অথচ আল্লাহ তাই করে। আবার তিনি নাকি শাস্তিও দিবেন?
📶উত্তরঃ সন্ত্রাসী উগ্র কাফেরদের কেন আল্লাহ দয়া দেখাবেন ? যদি তারা হাজার হাজার পাপ করার পরেও যদি মাফ চায় তাহলে আল্লাহ মাফ করে দিবেন কিন্তু তারা তাদের সন্ত্রাসী কাজ নিয়ে মক্ত আছে আর আপনি বলছেন আল্লাহ তাদেরকে দয়া দেখাক । হাস্যকর । আপনাদের বিশ্বাস হল নাস্তিক ধর্ম মানবতার ধর্ম তাহলে আপনার বোনকে কোন নাস্তিক ধর্ষণ করলে আপনি কি তাকে মাফ করে দিবেন অথবা আপনার বাবাকে কেউ যদি হত্যা করে এবং আপনাকে তাহলে কি আপনি তাকে মাফ করে দিবেন , যেহেতু আপনি মানবতাবাদী ! ? আমার সন্তান খারাপ পথে গেলে আমি তাকে উপদেশ দিব কিন্তু সে যদি আমার থেকে পালিয়ে নাস্তিক হয়ে জার্মানিতে গিয়ে ইসলাম বিদ্বেষীতা করে এবং চলে যায় তাহলে এখানে তো আমার দোষ নেই । সেই অন্যায় এর জন্য আমার সন্তান দায়ী আমি না । ঐশীর মত সন্তানদের কি ক্ষমা করা উচিৎ দাদা কি বলেন ? দাদা আমার, কিই বা বলবেন কারন মানুষকে কোথায় কিভাবে এবং কেন ক্ষমা করতে হয় সেটা নাস্তিক ধর্মর যুক্তি দিয়ে দাদা আসলে প্রমানই করতে পারবেন না তাই এই সহজ বিষয় দাদা বুঝেন নাই । দাদা তোমার গোঁজামিলের জয় !
🌹= সুরা বাকারা ২:১৬ = তারা সে সমস্ত লোক, যারা হেদায়েতের বিনিময়ে গোমরাহী খরিদ করে। বস্তুতঃ তারা তাদের এ ব্যবসায় লাভবান হতে পারেনি এবং তারা হেদায়েতও লাভ করতে পারেনি। =🌹
🚫প্রশ্ন ১.হেদায়াতের আর গোমরাহীর মালিক কে? যদি আল্লাহ হয় তাহলে কেউ কিভাবে সেগুলোর বিনিময় করতে পারে?
📶উত্তরঃ হেদায়েত আর গোমরাহীর সিস্টেম আল্লাহ সৃষ্টি করেছেন কারন মিথ্যা না থাকলে সত্য আমরা বুঝতে পারব না । কাফেররা হেদায়েত গ্রহন করেননি বরং গোমরাহীর বেঁছে নিয়েছে এই দিক লক্ষ করেই বলা হয়েছে যে তারা সে সমস্ত লোক, যারা হেদায়েতের বিনিময়ে গোমরাহী খরিদ করে । ধরুন খগেনর্ক তার এক প্রেমিককে বলল আমি তোমাকে এত ভালবাসি যে আমার এই ভালবাসা কেউই খরিদ করতে পারবে না , কিন্তু সেই নারীবাদী খগেন নারী খগেনাসিফের সাথে ভেগে চলে যায় আর খগেনর্ককে বলে তুমি মিথ্যাবাদী কারন ভালবাসা কিনা অথবা বিকৃত করা যায় না - চিন্তাশীল পাঠক বলুন তো এখানে কি খগেনর্কর ভুল ছিল ? উত্তর হচ্ছে না !
🚫প্রশ্ন ২.এগুলোর মালিক যেহেতু আল্লাহ,তাহলে তারা কি আল্লাহর থেকে খরিদ করে? আল্লাহ কি বিক্রেতা?
📶উত্তরঃ তারা আল্লাহর থেকে খরিদ করে নি অর্থাৎ আল্লাহর কথা মানেনি এবং আল্লাহ বিক্রেতাও নন তবে কেউ ইচ্চা করলে আল্লাহকে মেনে হেদায়েত নিতে পারে এই দিক লক্ষ্য করে "আল্লাহর থেকে হেদায়েত নেয়া" এই শব্দ মোটেও ভুল হবে না যেমন ভুল হবে না যে আমরা দেশপ্রেমিক নেতাদের থেকে দেশপ্রেম কিনেছি অর্থাৎ তাদের থেকে দেশপ্রেম শিক্ষা নিয়েছি । ব্যাস । সহজ কথা ।
🚫প্রশ্ন ৩.আল্লাহর কি অনেক গোমরাহী যে বিক্রি করতে হয়? আর গোমরাহীর বিনিময়ে হেদায়েত কিনে আল্লাহ কি করে? আল্লাহরও কি হেদায়েত প্রয়োজন হয়?
📶উত্তরঃ ভুল প্রশ্ন দাদা । আল্লাহ গোমরাহী বিক্রি করে এই কথা ভুল । আল্লাহ গোমরাহী অথবা হেদায়েত কিনেন না তাই কিনে কি করে এই প্রশ্নটিও ভুল আর আল্লাহর হেদায়েত প্রয়োজন নয় ।
🚫প্রশ্ন ৪.আল্লাহর সাথে ব্যবসা করেও তারা লাভবান হতে পারেনি! তাহলে কি আল্লাহ লাভবান হয়েছেন? বিনিময় বিক্রি প্রথায় একজন তো অবশ্যই লাভবান হবে!!
📶উত্তরঃ আল্লাহর সাথে তারা বিজনেস করেনি , আল্লাহ লাভ অথবা ক্ষতি এসব থেকে তিনি মুক্ত । তাছাড়া আপনার শেষের যুক্তি খুবই দুর্বল অর্থাৎ "বিনিময় বিক্রি প্রথায় একজন তো অবশ্যই লাভবান হবে!!" - এই কথা ভুল । ধরুন খগেনর্ক দুধে ভ্যাজাল দেয় আর আরেক নাস্তিকের কাছে ভ্যাজাল দুধ বিক্রি করল এখানে কিন্তু দুইজনেই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে । একজন অন্যায় করে নিজের ক্ষতি করেছে আরেকজন দুধ কিনে ক্ষতি করেছে । তাই বিনিময় করলে যে একজন কে লাভবান হতেই হবে সেটা ভুল কথা বলেছেন ।
🚫প্রশ্ন ৫."এবং তারা হেদায়েতও লাভ করতে পারেনি" এ কথায় অসঙ্গতি লক্ষ্য করেছেন? হেদায়াতের বিনিময়ে গোমরাহি খরিদ করার পর হেদায়ত কিভাবে লাভ করবে? এই সহজ কথাও কুরআনের লেখকের মাথায় আসেনি?
📶উত্তরঃ আয়াত ঠিকই আছে কোন অসঙ্গতি নেই । হেদায়েত অস্বীকার করার মাধ্যমে গোমরাহী স্বীকার করার পরেও তারা ইচ্চা করলে আবার হেদায়েত গ্রহন করতে পারত কিন্তু সেটাও করেনি তাই বলা হয়েছে > তারা হেদায়েতও লাভ করতে পারেনি । উপরের উদাহরণে যেই নাস্তিক ভ্যাজাল দুধ কিনেছিল সে ইচ্ছা করলে সেটা পরীক্ষা করতে পারত কিন্তু সেটাও করেনি । আশা করি বুঝতে পেরেছেন । এই সহজ বিষয় খগেনর্ক বুঝবে না এটাই স্বাভাবিক । কারন সে তো মানুষ রুপের শয়তান ।
🌹= সুরা বাকারা ২:১৭-১৮ = তাদের অবস্থা সে ব্যক্তির মত, যে লোক কোথাও আগুন জ্বালালো এবং তার চারদিককার সবকিছুকে যখন আগুন স্পষ্ট করে তুললো, ঠিক এমনি সময় আল্লাহ তার চারদিকের আলোকে উঠিয়ে নিলেন এবং তাদেরকে অন্ধকারে ছেড়ে দিলেন। ফলে, তারা কিছুই দেখতে পায় না। =🌹
🚫প্রশ্ন: ১.আগুন জ্বলা অবস্থায় আলো কিভাবে উঠিয়ে নিলেন?(আগুন নিভিয়ে দিয়েছেন,এটা বলেননি) আগুন জ্বলার ফলে তো রাসায়নিক শক্তি আলোকশক্তিতে রূপান্তরিত হচ্ছেই!
📶উত্তরঃ আফসস কুরআনের আয়াতের সহজ উদাহরণটিও খগেনর্ক দাদা বুঝল না । যখন কোন মানুষ আগুনে জ্বলে এবং তার চোখ পুড়ে নষ্ট হয়ে যায় মৃত্যুর অবস্থায় সে কিছুই দেখতে পারে না এই অবস্থাকে যদি বলা হয় তার থেকে আলো উঠিয়ে নেয়া হয়েছে তাহলে সেটা ভুল কেন হবে ? যেমন আমি আপনাকে বললাম আপনি এত মিথ্যাচার করেছেন যে সত্যের আলোই আপনার মধ্যে নেই এখন কি আপনি আমাকেও জিজ্ঞাসা করবেন যে সত্যের আবার আলো হয় কিভাবে, আমি (খগেনর্ক) তো আমার দিকে টর্চ লাইট ধরিনি ? হাস্যকর ব্রেনের অধিকারী আপনারা দাদা । "তাদেরকে অন্ধকারে ছেড়ে দিলেন। ফলে, তারা কিছুই দেখতে পায় না" মৃত্যুর শেষ মুহূর্তে অবস্থার কথা বলা হচ্ছে এবং তার চোখের দৃষ্টি নষ্ট করে আগুন জ্বলে , ব্যাস । আরও সহজ ভাবে বুঝুন আগুনে পুড়ে চোখ নষ্ট হয়ে গেলে সে কিভাবে আলো দেখবে আর তার কাছে তো এখন চারদিকেই অন্ধকার আলো বলে কিছুই নেই ? এখন এই উদাহরণ সাথে কুরআনের আয়াত আবার পড়ুন বুঝে যাবেন ।
🚫প্রশ্ন ২. আগুন জ্বলা অবস্থায় অন্ধকারে কিভাবে ফেলে দিলেন? আলোক উত্স বন্ধ না করলে কিভাবে অন্ধকার হয়?
📶উত্তরঃ আগুনে পুড়ে যে চোখ নষ্ট হতে পারে এবং সে অন্ধকার দেখতে পারে সেটাই হয়ত দাদা জানেন না । আমরা দাদার জ্ঞানে শিহরিত।
🚫প্রশ্ন ৩.তারা বধির,মূক ও অন্ধ! তাদেরকে এমন কে বানিয়েছেন? আর যদি তারা বধির,মূক ও অন্ধ হয়ে যায়,আল্লাহর কি সামর্থ্য/ইচ্ছা নেই তাদের সুস্থ করার?
📶উত্তরঃ তারা নিজের ইচ্ছাতেই বধির মুক অন্ধ হয়েছে কারন তারা ছিল উগ্র এবং সত্য থেকে বিমুখ সুতরাং তারা আল্লাহকে অস্বীকার করেছে তাই তারা এমন হয়েছে । আল্লাহ চান যে তারা সত্য মানুক কিন্তু তারা মানেন নি । ডাক্তার চায় রোগী সুস্থ হক কিন্তু রোগী আত্মহত্যা করে মারা গেছে এখানে ডাক্তারের দোষ দিবে খগেন দাদা ?
🚫প্রশ্ন ৪.তারা ফিরে আসবে না,আল্লাহর ফিরে না আসার এমন নিশ্চয়তার পর কেউ কি ইসলামের পথে ফিরে আসতে পারে? যদি না পারে,তাহলে যারা ইসলাম গ্রহণ করছে তারা সবাই মিথ্যা নতুবা আল্লাহর নিশ্চয়তা মিথ্যা!
📶উত্তরঃ এর উত্তর আগেই দেয়া হয়েছে আমি ছোট করে আবার বলছি । ধরুন ডাক্তার রোগীর শেষ অবস্থা নির্ণয় করে মৃত্যুর আগেই বলে দিল সে ৫ মাস পর মারা যাবে তাকে আর ফিরিয়ে আনা যাবে না । ঠিকই রোগী ৫ মাস পড়ে মারা গেল । এখন কোন জ্ঞানী মানুষ এই কথা বলবে না যে ডাক্তার বলেছে এই কারনে রোগী মারা গেছে বরং ডাক্তার রোগীর অবস্থা নির্ণয় করে ফলাফল দিয়েছে । ঠিক একই ভাবে আল্লাহ সেসব উগ্র কাফেরদের শেষ পরিনতি সম্পর্কে জেনে তিনি ফলাফল দিয়েছেন যেটা ভুল হবে না । এরমানে এই না যে আল্লাহ ফলাফল বলেছেন বিধায় তারা ফিরে আসবে না । ডাক্তারের উদাহরণের সাথে শুধু পার্থক্য হল ডাক্তারের ফলাফল ভুল হতে পারে কিন্তু আল্লাহর বলে দেয়া ফলাফল ভুল হবেই না । খগেন আবু লাহাব , খগেন আবু জাহেল কি ইসলাম গ্রহন করেছিল ? না তাহলে আল্লাহর ভবিষ্যৎবানী সঠিক হয়েছে আল্লাহ মিথ্যা বলেননি ।
🌹= সুরা বাকারা,আয়াত ১৯-২০ = আর তাদের উদাহরণ সেসব লোকের মত যারা দুর্যোগপূর্ণ ঝড়ো রাতে পথ চলে, যাতে থাকে আঁধার, গর্জন ও আলোকচমক। মৃত্যুর ভয়ে গর্জনের সময় কানে আঙ্গুল দিয়ে রক্ষা পেতে চায়। অথচ সমস্ত কাফেরই আল্লাহ কর্তৃক পরিবেষ্টিত। বিদ্যুতালোকে যখন সামান্য আলোকিত হয়, তখন কিছুটা পথ চলে। আবার যখন অন্ধকার হয়ে যায়, তখন ঠাঁয় দাঁড়িয়ে থাকে। যদি আল্লাহ ইচ্ছা করেন, তাহলে তাদের শ্রবণশক্তি ও দৃষ্টিশক্তি ছিনিয়ে নিতে পারেন। আল্লাহ যাবতীয় বিষয়ের উপর সর্বময় ক্ষমতাশীল। =🌹
🚫প্রশ্ন: ১.দূর্যোগপূর্ণ ঝড়ো রাতে ও যে বৈদ্যুতিক আলো থাকতে পারে সেটা ১৪০০ বছর পুরোনো আল্লাহ(মুহম্মদ) কি জানতো না?
📶উত্তরঃ আল্লাহ আর মোহাম্মদ (সা) এক নয় এটাও জানে না দাদায় । আর "বৈদ্যুতিক আলো থাকতে পারে না" এই কথা তো আয়াতে বলাই হয়নি , আপনি কোথায় পেয়েছেন যে আয়াতে বলেছে "বৈদ্যুতিক আলো থাকতে পারে না" ? সুতরাং আপনি মিথ্যাবাদী । যেমন ধরুন আমি আপনাকে বললাম দাদা আপনি আরও ভাল করে ইসলাম নিয়ে পড়াশোনা করুন খৃষ্টান দাদাদের থেকে চুরি করা প্রশ্ন দিয়ে নিজেদের নাস্তিক ধর্মর দুর্নাম করবেন না - এরমানে কি এই যে আমি ইসলাম বিষয়ে জানি না ? উত্তর হচ্ছে না ।
🚫প্রশ্ন ২.বজ্রপাতের ক্ষতি থেকে যে মানুষ বাঁচার উপায় আবিষ্কার করবে,কানে হাত না দিয়েও যে বিকট শব্দ থেকে মুক্তির উপায় বের করবে সেটা কি আল্লাহ(মুহাম্মদ) জানতো না?
📶উত্তরঃ আল্লাহ আর মোহাম্মদ (সা) এক নয় এটাও জানেন না দাদায় । মানুষ জানতে পারবে না এই কথা তো আয়াতে নেই । তাহলে আপনি কিভাবে দাবি করলেন যে কুরআন জানত না যে মানুষ সামনে এসব প্রযুক্তি আবিস্কার করতে পারবে না ?
🚫 প্রশ্ন ৩. বাংলাদেশে বজ্রপাতে ইমামসহ মুসল্লিরা মারা গিয়েছিল,সেটাও কি আল্লাহর ইচ্ছায় হয়েছে? অথচ উন্নত রাষ্ট্রগুলোর কারো উপর বজ্রাঘাত করার ইচ্ছা বা ক্ষমতা কি আল্লাহর নেই? নাকি তাদের বজ্রপ্রতিরোধ ব্যবস্থার কাছে আল্লাহ অসহায়?
📶উত্তরঃ হ্যাঁ হয়েছে তো । উন্নত রাষ্ট্রে ঝড় হয় না এই গোঁজামিল কার থেকে চুরি করেছেন আপনি ? এমন একটি উন্নত দেশ দেখান যেখানে কখনোই ঝড় তুফান হয়নি এবং কখনোই মানুষ মারা যায়নি ?
নিজেই দেখুন অ্যামেরিকায় কি ভয়াবহ ঝড় তুফানঃ
https://www.youtube.com/watch?v=KN9TTUQdAsg ।
উন্নত দেশে বজ্রপাতের ভিডিও দেখুনঃ
https://www.youtube.com/watch?v=Qz2xpU2sLGc
আরও দেখুনঃ
https://www.youtube.com/watch?v=gZOM-nsFCG0
এখানে মানুষ আসলেই মারা যাবে । এখন কি আপনি আবার প্রশ্ন করবেন যে আল্লাহ দয়ালু হলে কেন এই মানুষ মারা যাবে ? হাহাহাহাহা । উন্নত রাষ্ট্রে! কেউ বজ্রাঘাতে মরে না এই কথা আপনাকে কে কইসে ? নাস্তিক ধর্মের দেশ চিনে তো ভুমিকম্পে প্রচুর খগেন মারা যায় তাহলে , এখন কি বলবেন নাকি আল্লাহ দয়ালু হলে তাদেরকে কেন মারলেন ? হাহাহাহাহাহাহ । "নাকি তাদের বজ্রপ্রতিরোধ ব্যবস্থার কাছে আল্লাহ অসহায়" বাতিল প্রশ্ন কারন এরপরেও মানুষ মারা যায়।
🚫প্রশ্ন ৪.আল্লাহ যাবতীয় বিষয়ের উপর সর্বময় ক্ষমতাশীল? সে কি তার সৃষ্টি বা ধ্বংসের উপর ক্ষমতাশীল?
📶উত্তরঃ এটি দাদার অন্যতম সস্তা প্রশ্নের মধ্যে একটি । । আল্লাহ নিজে "সৃষ্ট হওয়া" এবং "ধ্বংস হওয়া" থেকে মুক্ত বিধায়ই তিনি ক্ষমতাবান । আর হ্যাঁ তিনি যা সৃষ্টি করেছেন তা ধ্বংস করতে ক্ষমতাবান । সন্দেহ নেই ।
এমডি আলী

যিনি একজন লেখক, বিতার্কিক ও গবেষক। বিভিন্ন ধর্ম ও মতবাদ বিষয় পড়াশোনা করেন। ইসলামের সত্যতা মানুষের কাছে ছড়িয়ে দিতে চান। “সত্যের অনুভূতি” উনার লেখা প্রথম বই। “ফ্যান্টাস্টিক হামজা” দ্বিতীয় বই। জবাব দেবার পাশাপাশি নাস্তিক মুক্তমনাদের যৌক্তিক সমালোচনা করে থাকেন।

Previous Post Next Post