কুরআনের ভুল ও অযৌক্তিকতার কারন সুরা ফাতিহা ?


😁 "জৈনিক খগেনর্ক প্রাণী সিরিজ"
🤩 বিষয়ঃ কুরআনের ভুল ও অযৌক্তিকতার কারন সুরা ফাতিহা ?
🤝টীকাঃ সবার যৌক্তিক সমালোচনা,সংশোধনী আশা করছি!
🏏🖊 লিখেছেনঃ এম ডি আলী
😉 সুরা ফাতিহা ১:১ = "শুরু করছি আল্লাহর নামে যিনি পরম করুণাময়, অতি দয়ালু" এই আয়াত নিয়ে ১০ টি হাস্যকর প্রশ্ন এবং সেগুলোর উত্তর।
⭕️ প্রশ্ন: ১.কুরআন আল্লাহর কথা হলে এ আয়াত কি আল্লাহর কথা, নাকি এটা কুরআনের অংশই নয়?
 উত্তরঃ কুরআন আল্লাহর বানী এতে কোন সন্দেহ নাই । তাই সুরা ফাতিহা ১:১ আয়াত আল্লাহর বানী।আল্লাহ এই আয়াত দ্বারা আমাদেরকে শিক্ষা দিচ্ছেন কিভাবে আমরা কুরআন পড়া শুরু করব । সুরা ফাতিহার ১:১ এটি কুরআনের অংশ ।
ihadis.com, জামে আত তিরমিজি, হাদিসঃ ৩১২৪ , সহিহ হাদিসঃ রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ “আলহামদু লিল্লাহ’’ অর্থাৎ সূরা ফাতিহা হচ্ছে উম্মুল কুরআন (কুরআনের মূল), উম্মুল কিতাব (কিতাবের মূল) ও সাব’উল মাসানী (বারবার পাঠিত সপ্তক)।
ihadis.com, জামে আত তিরমিজি, হাদিসঃ ৩১২৫ , সহিহ হাদিসঃ নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ তাওরাত ও ইনজীলে আল্লাহ তা’আলা উম্মুল কুরআনের সমতুল্য কিছু অবতীর্ণ করেননি। আর তা হচ্ছে সাব’উল মাসানী (বারবার পঠিত সপ্তক : সূরা আ-ইজর ৮৭ আয়াতের প্রতি ইঙ্গিত)। (আল্লাহ তা’আলা বলেন) তা আমার ও আমার বান্দার মধ্যে বন্টিত। আমার বান্দার জন্য তা-ই রয়েছে যা সে চেয়েছে।
আমার প্রশ্নঃ সুরা ফাতিহার ১:১ আয়াত আল্লাহর কালাম নয় এটি কে বলেছে , কেন বলেছে ? সুরা ফাতিহার ১ নং আয়াত কুরআনের অংশ না এর প্রমান কুরআন ও হাদিসে কি বলা হয়েছে ? কেন সুরা ফাতিহার ১:১ নং আয়াত কুরআনের অংশ হতে পারে না ? নবী মুহাম্মদ (সা) কি বলেছেন সেটি সুরা ফাতিহার অংশ না ? সাহাবীরা কি বলেছেন ?
⭕️প্রশ্ন ২.এটা কি সুরা ফাতিহার অংশ নাকি অংশ নয়?
 উত্তরঃ এই প্রশ্ন বেশি হাস্যকর না দুরু ! । উদাহরণ ধরুন শামস অর্ক নামের একজন মানুষ আছে । আরও ধরুন আসিফ মহিউদ্দিন নামের এক মানুষ বলল সে একজন ছাগল সে মিথ্যুক, সে সম্মতিতে নাস্তিক বাবার সাথে সমকাম করে । এখন অর্ক যদি প্রশ্ন করে "সে" এর মাঝে কি শামস অর্ক আছে নাকি নেই ? এই প্রশ্ন যেমন হাস্যকর ঠিক তেমনি সুরা ফাতিহার ১:১ নং আয়াত সুরা ফাতিহার অংশ কিনা এই ফালতু প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করাও এক প্রকাশ খগেনীয় ট্যালেন্ট । বুঝেন নাই ব্যাপারটা ।
ihadis.com, বুখারি, হাদিসঃ ৪৪৭৪, সহিহ হাদিসঃ আবূ সা‘ঈদ ইবনু মু‘আল্লা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃতিনি বলেন, আমি একদা মাসজিদে নাববীতে সলাত আদায় করছিলাম, এমন সময় রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) আমাকে ডাকেন। কিন্তু ডাকে আমি সাড়া দেইনি। পরে আমি বললাম, হে আল্লাহ্‌র রসূল! আমি সলাত আদায় করছিলাম। তখন তিনি বললেন, আল্লাহ কি বলেননি যে, ওহে যারা ঈমান এনেছ! তোমরা সাড়া দেবে আল্লাহ্ ও রসূলের ডাকে, যখন তিনি তোমাদেরকে ডাক দেন (সূরাহ আনফাল ৮/২৪)। তারপর তিনি আমাকে বললেন, তুমি মাসজিদ থেকে বের হওয়ার আগেই তোমাকে আমি কুরআনের এক অতি মহান সূরাহ্ শিক্ষা দিব। তারপর তিনি আমার হাত ধরেন। এরপর যখন তিনি মাসজিদ থেকে বের হওয়ার ইচ্ছা করেন তখন আমি তাঁকে বললাম, আপনি কি বলেননি যে আমাকে কুরআনের অতি মহান সূরাহ্ শিক্ষা দিবেন? তিনি বললেন, الْحَمْدُ لِلَّهِ رَبِّ الْعَالَمِينَ সমস্ত প্রশংসা আল্লাহ্‌র জন্য যিনি বিশ্ব জগতের প্রতিপালক, এটা বারবার পঠিত সাতটি আয়াত এবং মহান কুরআন যা কেবল আমাকেই দেয়া হয়েছে।
আমিও কিছু হাস্যকর প্রশ্ন ছুড়ে দেই কি বলেন সে যদি আমার লেখা পড়ে তাইলে মজা পাবে । আমার প্রশ্নঃ ঢাকা কি বাংলাদেশের অংশ ? খুলনা কি দুনিয়ার একটি অংশ ? মানুষ কি দুনিয়ার কোন অংশ ? চোখ কি মাথার কোন অংশ ? হাত কি দেহের একটি অংশ ? কাগজ কি পেপার এর অংশ ? বাবা কি পিতার অংশ ? ছেলে কি সন্তানের অংশ ?
বুঝতে পেরেছেন তার প্রশ্নের বেহাল দশা যে সুরা ফাতিহার ১:১ নং আয়াত কি সুরা ফাতিহার অংশ ? হাহাহাহাহাহা তোমরা খগেনরাই পারো এসব প্রশ্ন করতে কারন এসব প্রশ্ন করতে খগেনিও ট্যালেন্ট দরকার ! যা আমাদের মত সভ্য চিন্তাশীল মানুষের দ্বারা সম্ভব নয় আমাদের দরকারও নেই ।
⭕️ প্রশ্ন ৩. আল্লাহ কি আল্লাহর নাম নিয়ে শুরু করেন? নাকি আল্লাহ তার আল্লাহর নাম নিয়ে শুরু করেন?
 উত্তরঃ সুরা ফাতিহার ১:১ নং আয়াত আল্লাহর জন্য না বরং মানুষের জন্য তাই "শুরু করছি আল্লাহর নামে" এখানে আল্লাহ শুরু করছেন না বরং মানুষ আল্লাহর নামে শুরু করবে যখন সে সুরা ফাতিহার ১:১ নং আয়াত পাঠ করবে এটাই আল্লাহ বুঝিয়েছেন । ধরুন একজন পিতা তার সন্তান শিশুকে বলছে যে "আমাকে বাবা বল" এখানে কি "আমাকে বাবা বল" দ্বারা বাবা তার নিজেকে বাপ বলেতে বলেছে ? উত্তর হচ্ছে না বরং শিশুটিকে শিখাচ্ছে যে আমি তোমার বাবা তাই আমাকে বাবা বল । এই উদাহরন থেকে আমরা বুঝতে পারলাম যে "শুরু করছি আল্লাহর নামে" এখানে আল্লাহ নিজে কিছু শুরু করবেন এটি বুঝানো হয়নি বরং মানুষ আল্লাহর নামে শুরু করবে এটাই বুঝানো হয়েছে । আমার প্রশ্নঃ "শুরু করছি আল্লাহর নামে" এই আয়াত দিয়ে কি বুঝানো হয়েছে যে আল্লাহ শুরু করেছে ? আল্লাহ কোন আল্লাহর নাম দিয়ে শুর করবে উত্তর দিন ? আল্লাহর দরকার কি আরেক আল্লাহর নাম দিয়ে শুরু করার, আপনার যুক্তি অনুযায়ী ? নবীজি (সা) কি বলেছেন আল্লাহ তাঁর নাম দিয়ে সুরা ফাতিহা নিজের জন্য বানিয়েছেন ? সাহাবীরা বলেছেন এরকম কিছু ?
সুরা ফাতিহা যে আল্লাহ বান্দাদের শিক্ষা দিয়েছেন সেটার প্রমানঃ
ihadis.com, জামে আত তিরমিজি, হাদিসঃ ২৯৫৩ , সহিহ হাদিসঃ রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ যে লোক নামায আদায় করলো, অথচ তাতে উন্মুল কুরআন (সূরা আল-ফাতিহা) পাঠ করলো না, তা (নামায) ক্ৰটিযুক্ত, তা ক্ৰটিযুক্ত, তা অসম্পূর্ণ। বর্ণনাকারী (‘আবদুর রাহমান) বলেন, আমি বললাম, হে আবূ হুরায়রা্! আমি তো অনেক সময় ইমামের পিছনে নামায আদায় করি। তিনি বললেন, হে পারস্য সন্তান! তুমি তা নীরবে পাঠ করবে। কারণ আমি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে বলতে শুনেছিঃ আল্লাহ তা'আলা বলেন, আমি আমার ও আমার বান্দাদের মধ্যে নামাযকে আধাআধি ভাগ করে নিয়েছি। নামাযের অর্ধেক আমার এবং অর্ধেক আমার বান্দার। আর বান্দা আমার নিকট যা চায় তা-ই তাকে দেয়া হয়। বান্দা যখন (নামাযে দণ্ডায়মান হয়ে) বলে, আলহামদু লিল্লাহ রব্বিল ‘আলামীন (সমস্ত প্রশংসা সারা পৃথিবীর প্রভু আল্লাহ তা'আলার জন্য), তখন কল্যাণের আধার আল্লাহ তা'আলা বলেন, আমার বান্দা আমার প্রশংসা করেছে। যখন বান্দা বলে, আর-রাহমানির রাহীম (তিনি দয়াময় পরম দয়ালু), তখন আল্লাহ বলেন, আমার বান্দা আমার গুণগান করেছে। যখন বান্দা বলে, মালিকি ইয়াওমিদ্দীন (প্রতিফল দিবসের মালিক), তখন আল্লাহ তা'আলা বলেনঃ আমার বান্দা আমার মর্যাদা বর্ণনা করেছে। এটা হচ্ছে আমার জন্য। আর আমার ও আমার বান্দার জন্য যোগসূত্র হচ্ছেঃ ইয়্যাকা না’বুদু ওয়া ইয়্যাকা নাসতা’ঈন (আমরা শুধু তোমারই ‘ইবাদাত করি এবং তোমারই নিকট সাহায্য চাই), সূরার শেষ পর্যন্ত আমার বান্দার জন্য। আমার বান্দার জন্য তাই যা সে প্রার্থনা করে। বান্দা বলে, “ইহদিনাস সিরাতাল মুস্তাকীম। সিরাতাল্লাযীনা আন'আমতা ‘আলাইহিম। গাইরিল মাগযুবি 'আলাইহিম ওয়ালায্‌ য-ল্‌লীন" আমাদেরকে সরল ও মযবুত পথ দেখাও। ঐ মানুষদের পথ যাদের তুমি নিয়ামাত দান করেছ। যারা অভিশপ্ত হয়নি, যারা পথহারা হয়নি।
⭕️ প্রশ্ন ৪.দয়াময় ও পরম দয়ালু বলে কেউ কি নিজের ঢোল নিজে পেটায়? আল্লাহ এভাবে নিজের ঢোল পেটাচ্ছেন কেন?
 উত্তরঃ আপনার মত খগেনর্ক থেকে শিখতে হবে আল্লাহ নিজের প্রশংসা করবেন কি করবেন না, তাই না ? আল্লাহ পরম দয়ালু,পরম দয়াময় তাই মানুষকে শিক্ষা দেওয়ার জন্য তিনি নিজেই বলেছেন যে আল্লাহ দয়ালু পরম দয়াময় । আল্লাহ ঢোল পেটাচ্ছেন এই কথা সুরার কোথায় আছে ? আপনি সুরার মধ্যে নিজের কথা ঢুকিয়ে জালিয়াতি করছেন কেন ? নাস্তিক ধর্মে জায়েজ তাই ? তাছাড়া আল্লাহ নিজেই নিজের প্রশংসা করছেন এখানে খারাপের কি আছে, শুনি ? আরেকটি প্রশ্ন "যদি কেউ নিজের প্রশংসা করে" এই খারাপ, কেন , নাস্তিক ধর্মে এটাকে কেন খারাপ বলে, বলুন তো ?
⭕️ প্রশ্ন ৫.কেউ কথা বললে কি নিজের পরিচয় না দিয়েই বলে রহিম/করিমের নামে শুরু করছি? আল্লাহ কেন এমনভাবে নিজের পরিচয় না দিয়েই আল্লাহর নামে শুরু করছেন?
 উত্তরঃ আপনাদের মত সমকামীরা এই আয়াতের মর্ম বুঝবে কিভাবে আমাকে বলেন তো দাদারা ? আল্লাহ কিভাবে মানুষকে বুঝাবেন সেটা কি আপনাদের মত লিলিপুট খগেনদের থেকে শিখে নিতে হবে ? দাদা হয়ত জানেন না যে কুরআনে আরও সুরা আছে , জানেন তো ? আল্লাহ নিজের পরিচয় দেয়নি কোথায় পেলেন ? সকল মুসলিমরা সুরা ইখলাস সম্পর্কে জানে আর সুরা ফাতিহা সম্পর্কেও জানেন । আল্লাহ আমাদের সবার সৃষ্টিকর্তা এটা জানার জন্য আলাদা করে সুরা ফাতিহায় বলার দরকার নেই যেখানে রহমান রহিম যে আল্লাহকেই বুঝানো হচ্ছে সেটি সকলেই জানেন । এখন আপনার মত প্রাণীরা না জানলে আমাদের কি আসে যায় বলুন তো ? আপনি কি সুরা ফাতিহা মানেন আর সুরা ইখলাস মানেন না ? কেন ?
⭕️ প্রশ্ন ৬.এ আয়াতটি কুরআনের প্রথমে আসবে কেন? যখন আল্লাহ সুরা আলাকের মাধ্যমে কুরআন নাযিল শুরু করেছেন। বক্তৃতার মাঝে এসে কি কেউ বলে আমি শুরু করছি?
 উত্তরঃ কুরআনের কোন আয়াত প্রথমে আসবে,কোন আয়াত শেষে আসবে খগেনদের কাছে জিজ্ঞাসা করার কোন দরকার নাই তো, আল্লাহর । সুরা আলাক প্রথমে নাজিল হয়েছে কথা সঠিক কিন্তু এরমানে এই না যে এটি প্রথমেই লিখতে হবে । উদাহরণ ধরুন ক্লাসে একজন শিক্ষক লেকচার দিচ্ছেন । সে বলছে মানুষ ভাল হয়, যারা সত্য কথা বেশি বলে । এখন কেউ স্যারকে জিজ্ঞাসা করল স্যার আপনার লেকচার সমূহ আমি বই আকারে বের করতে চাই আপনি কিছু পরামর্শ দিন । স্যার বলল তুমি আমার প্রথম কথাটি মধ্যে অ্যাড করবে যেন উদ্দেশ্য বুঝা যায় আর ভুমিকাতে শুরু করবে যে আমরা লেখা শুরু করব মানবতার জন্য ।
আচ্ছা এখন কেউ যদি প্রশ্ন করে স্যার প্রথমে যেই বয়ান করল সেটি কেন প্রথমে অ্যাড করতে বললেন না ? এই প্রশ্ন আসলে অযৌক্তিক কারন স্যার ছাত্র থেকে বেশি জানেন যে কিভাবে তার লেকচার সাজালে সুন্দর লাগবে । এই উদাহরণ বুঝে থাকলে আপনাদের জন্য আরও সহজ হবে আমার মূল পয়েন্ট বুঝতে । কারন আল্লাহ নিজেই উত্তর দিয়েছেন কেন তিনি সুরা আলাকের প্রথম আয়াত কেন প্রথমে দিলেন না ? যেমনঃ
সুরা বনী ইসরাইল ১৭:১০৬ = কুরআন আমি নাজিল করেছি কিছু কিছু করে যেন তুমি তা মানুষের কাছে পাঠ করতে পারো ধীরে ধীরে এবং আমি তা নাজিল করেছি পর্যায়ক্রমে ।
সুরা ফুরকান ২৫:৩২ = কাফেররা বলে নবীর উপর পরো কুরআন একসাথে কেন নাজিল করা হল না? এটা এ জন্য যে আমি এর মাধ্যমে তোমার হৃদয়কে সুদৃঢ় করব। আর আমি তা আবৃত্তি করেছি ধীরে ধীরে ।
সুরা ইনসান ৭৬:২৩ = অবশ্যই আমি তোমার প্রতি পর্যায়ক্রমে কুরআন নাজিল করেছি ।
যেখানে আল্লাহ নিজেই বলেছেন তিনি মানুষের জন্য ধীরে ধীরে পর্যায়ক্রমে কুরআন নাজিল করেছেন সেখানে তুমি খগেনর্ক আল্লাহকে উপদেশ দেয়ার কে, যে আল্লাহকেই মানে না ?ধরুন কেউ আপনাকে মানুষ বলে বিশ্বাস করে না এখন যদি বলে ছাগল আপনার থেকে ভাল এটি কি যৌক্তিক ? বলুন ? আশা করি বুঝতে পেরেছেন ।
⭕️ প্রশ্ন ৭.সাধারণত কাউকে কিছু শিক্ষা দিলে,"বলো,পরম করুনাময়ের নামে শুরু করছি" এভাবে শিক্ষা দিতে হয়। এ আয়াত এভাবে নয় কেন? নাকি এটা নবীর কথা?
 উত্তরঃ সুরা ফাতিহা যে একটু ভিন্ন সেটি কুরআন থেকেই বুঝা যায় । যেমনঃ সুরা হিজর ১৫:৮৭ = আমি আপনাকে সাতটি বার বার পঠিতব্য আয়াত (সুরা ফাতিহা) এবং মহান কোরআন দিয়েছি। সুতরাং সুরা ফাতিহা স্পেশাল কিছু ।
সুরা ফাতিহা নবীর কথা এটি কুরআন হাদিসে কোথায় আছে ? যদি না থাকে তাহলে নিজের মনগড়া চিন্তা কেন অ্যাড করে প্রশ্ন করছেন নিজেকে জিজ্ঞাসা করুন তো ? কেউ যদি বুঝতে পারে যে আল্লাহ তাকে বলতে বলছেন যে শুরু করো আল্লাহর নামে । তাহলে বল বলার দরকার কি ? কোন দরকার নাই যেহেতু মুসলিমরা সকলেই জানেন শুরু করো আল্লাহর নামে বলতে কার নামে শুরু করতে বলা হয়েছে।
⭕️ প্রশ্ন ৮.আল্লাহ কে সে পরিচয় না দিয়েই তার নামে শুরু করলে তো প্রথমেই আপনাকে অন্ধবিশ্বাসী হতে হচ্ছে! না জেনেই কারো নামে প্রশংসা করা কতটা যৌক্তিক?
 উত্তরঃ সুরা ফাতিহায় তো আল্লাহর পরিচয় জানা যাবে না এই কথা নেই । তা ছাড়া কুরআন কাউকে অন্ধ বিশ্বাসী হতে বলছে না কারনঃ
সুরা বাকারা ২:১৯৫ = তোমরা নিজেদের জীবন ধ্বংসের মুখে ঠেলে দিও না আর মানুষের সাথে ভাল ব্যাবহার করো , নিশ্চয় আল্লাহ্‌ভাল ব্যাবহারকারীদের ভালবাসেন ।
সুরা হাজ ২২:৩০ = মিথ্যা কথা হতে দূরে থাকো ।
সুরা মুহাম্মদ ৪৭:২৪ = তারা কি কুরআন নিয়ে চিন্তা ভাবনা করে না নাকি তাদের অন্তর সমূহ তালাবধ্য ?
সুরা নাহল ১৬:১২৫ = তুমি তোমার রবের পথে হিকমাহ ও সুন্দর উপদেশের মাধ্যমে দাওয়াত দেও এবং সুন্দরতম পন্থায় তাদের সাথে বিতর্ক করো ।
সুরা নাহল ১৬:৪৩ এবং সুরা আম্বিয়া ২১:৭ = তোমরা যদি না জানো তাহলে জ্ঞানীদেরকে জিজ্ঞাসা করো ।
সুরা বাকারা ২:১১১ এবং সুরা নামল ২৭:৬৪ = যদি তোমরা তোমাদের দাবিতে সত্যবাদী হও তাহলে তোমরা প্রমান নিয়ে আসো ।
কুরআন আপনাকে বলছে নিজের জীবন ধ্বংসের মুখে দিও না , কুরআন আপনাকে মিথ্যা থেকে দূরে থাকছে বলেছে , কুরআন আপনাকে চিন্তা করতে বলেছে , বুদ্ধি যুক্তি , সুন্দর উপদেশের মাধ্যমে দাওয়াত দিতে বলছে , আপনি খগেনর্ক মূর্খ যদি কিছু না জানেন তাহলে যারা জ্ঞানী তাঁদেরকে জিজ্ঞাসা করতে বলছে , আপনি আপনার দাবিতে সত্যবাদী হলে প্রমান আনতে বলেছে এত কিছু কুরআন আপনাকে বলছে তাহলে কুরআন কিভাবে বলছে যে আপনার মতে "কুরআন মানুষকে অন্ধ বিশ্বাসী হতে বলে ? কাউকে ধ্বংসের মুখে না যেতে বলা কি অন্ধ বিশ্বাস করা বুঝায় ? কাউকে মিথ্যা থেকে দূরে থাকতে বলাকে কি অন্ধ বিশ্বাস করাকে বুঝায় ? কাউকে চিন্তা করতে বলা কি অন্ধ বিশ্বাসী করাকে বুঝায় ? কাউকে প্রমান আনতে বলা কি কাউকে অন্ধ বিশ্বাস করাকে বুঝায় ? জ্ঞানীদেরকে প্রশ্ন করা বলতে কি অন্ধ বিশ্বাস করাকে বুঝায় ?
⭕️ প্রশ্ন ৯.যদি মেনে নিই দয়াময় ও পরম দয়ালু আল্লাহর পরিচয় হিসেবে বলা হয়েছে,তাহলে পরবর্তীতে কুরআনের ভেতরে শাস্তিদাতা আল্লাহকে তুলে ধরা কি প্রতারণা নয়? কেউ আপনাকে প্রথম পরিচয়ে বন্ধু পরিচয় দিয়ে পরে শত্রুর মতো আচরণ কি বিশ্বাসঘাতকতা নয়?
 উত্তরঃ এই প্রশ্ন হাস্যকর দাদা । আল্লাহ দয়ালু এরমানে এই না যে তিনি কাউকে অপরাধের জন্য শাস্তি দিবে না । আল্লাহ দয়ালু তিনি কাউকে শাস্তি দিতে পারেনা না এই মানদণ্ড ঠিক করার আপনি কে ? বিশ্বাসঘাতকতা ! ? নাস্তিক ধর্মে বিশ্বাসঘাতকতা হালাল, কারন নাস্তিক ধর্ম হল ইসলামের বিপরীত আর ইসলাম বলে সুরা হাজ ২২:৩০ = মিথ্যা কথা হতে দূরে থাকো । তাই ইসলামের বিরোধিতা করতে হলে আপনাকে মিথ্যাকথা বলে মানুষের সাথে বেইমানি করতেই হবে নাইলে আপনি সহিহ খগেন হতেই পারবেন না । আল্লাহ শত্রুর মত কোথায় আচরণ করেছেন প্রমান দেননি কেন ? ধরুন সমাজের একজন আদর্শ নেতা সে গরিবদের প্রতি খুব দয়াবান কিন্তু এরমানে কি এটি যে সে সোভিয়েত কমিউনিজম নাস্তিক সন্ত্রাসীদের কেও দয়া করবে যারা নাস্তিক ধর্ম গ্রহন না করার ফলে মানুষকে হত্যা করেছে ? সুতরাং আল্লাহ দয়ালু কথা সত্য কিন্তু তিনি কঠিন শাস্তিদাতাও । যারা অপরাধ করে ওদেরকে তিনি শাস্তি দিবেন এটি কি অন্যায় ? যেমন ধরুন আপনি সুরা ফাতিহা নিয়ে এতগুলা মিথ্যাচার করেছেন ইসলামের বিরোধিতা করতে গিয়ে এখন এই নাস্তিক ধর্মের তাকিয়া করার ফলে আল্লাহ যদি আপনাকে শাস্তি দেন এটি কি অন্যায় ? আল্লাহ কেন আপনাকে অপরাধের জন্য দয়া করবেন ? কেন ? কিভাবে ? কি কারনে ? আপনি তো তাকে মানেন না ।
সুরা হিজর ১৫:৪৯,৫০ = আপনি আমার বান্দাদেরকে জানিয়ে দিন যে, আমি অত্যন্ত ক্ষমাশীল দয়ালু। এবং ইহাও যে, আমার শাস্তিই যন্ত্রনাদায়ক শাস্তি। খগেনর্ক দাদা আপনি কি এই আয়াত পড়েন নি ? আল্লাহ অসীম দয়ালু হলে সাথে তিনি কেন শাস্তিদাতাও হতে পারবেন না ? নাস্তিক ধর্ম এই বিষয় কি বলে ? নাস্তিক ধর্ম কি বলে যে আল্লাহ অসীম দয়ালু হলে সাথে তিনি কেন শাস্তিদাতাও হতে পারবেন না ? এই কথায় কি নাস্তিক ধর্ম বিশ্বাস করতে বলে ?
⭕️ ১০.এ আয়াত যদি লওহে মাহফুজেও প্রথমেই থাকে তাহলে এ আয়াত প্রথমে নাযিল না করার কারণ কি? আল্লাহ কি লওহে মাহফুজের কুরআনের নাযিলে ধারাবাহিকতা রক্ষা করতে ব্যর্থ নাকি পরিস্থিতির শিকার?
 উত্তরঃ আগেই বলেছি কুরআন আল্লাহর জন্য না,আমাদের জন্য । এ আয়াত যদি লওহে মাহফুজেও প্রথমেই থাকে তাহলে এ আয়াত প্রথমে নাযিল না করার কারণ কি? এর কারন সুরা ইনসান ৭৬:২৩ = অবশ্যই আমি তোমার প্রতি পর্যায়ক্রমে কুরআন নাজিল করেছি । সুরা ফুরকান ২৫:৩২ = কাফেররা বলে নবীর উপর পুরো কুরআন একসাথে কেন নাজিল করা হল না ? এটা এ জন্য যে আমি এর মাধ্যমে তোমার হৃদয়কে সুদৃঢ় করব। আর আমি তা আবৃত্তি করে নাজিল করেছি ধীরে ধীরে । তাই আল্লাহ লওহে মাহফুজের কুরআনের নাযিলে ধারাবাহিকতা রক্ষা করতে ব্যর্থ নয় আবার পরিস্থিতির শিকারও নয় বরং মানুষের সহজের জন্য কুরআন এভাবে পর্যায় ক্রমে নাজিল করেছেন । আমার প্রশ্ন হল আপনার মতে কেন আল্লাহ লওহে মাহফুজের কুরআনের নাযিলে ধারাবাহিকতা রক্ষা করতে বাধ্য হবে,কেন ? আপনাকে জিজ্ঞাসা করে কেন কুরআন নাজিল করবে ? আল্লাহ কিভাবে পরিস্থিতির শিকার ?
উধাহরন স্বরূপ ধরুন ক্লাসের একজন শিক্ষক ছাত্রদের সুবিধার জন্য সিলেবাসের মাঝ থেকে শুর করেছে এখন কি কোন মূর্খ ছাত্র যদি প্রশ্ন করে স্যার আপনি কি আমাদের পড়াতে ব্যর্থ নাকি এমন পরিস্থিতির স্বীকার যেই কারন আপনি আমাদের পড়াতে পারবেন না ? আসলে এই প্রশ্ন হাস্যকর কারন শিক্ষক জ্ঞানী সে ভাল করেই জানে কথা থেকে পড়ালে ছাত্রদের জন্য সহজ হবে এখানে রক্ষা করতে ব্যর্থ নাকি পরিস্থিতির শিকার - এই টাইপ শিশুসুলভ কথা মানায় না ।
সুতরাং কুরআনে ভুল নেই বরং ভুলে ভরা মগজ নাস্তিক ধর্মের গোঁজামিল মাস্টার খগেনর্ক আর আমি বিসমিল্লায় গলদ নেই আগেই দেখিয়েছি। এবার দ্বিতীয় আয়াত দেখি: সুরা ফাতিহা ১:২ = যাবতীয় প্রশংসা আল্লাহ তাআলার যিনি সকল সৃষ্টি জগতের পালনকর্তা। এবার জৈনিক খগেনর্কের প্রশ্ন সাথে আমি উত্তর দিব।
প্রশ্ন:
⭕️ ১.আসলেই কি সকল/যাবতীয় প্রশংসা আল্লাহর? আমরা কি অন্য কারো একটুও প্রশংসা করিনা?
 উত্তরঃ আসলেই সকল প্রশংসা আল্লাহর , এতে কোন সন্দেহ নাই । আমরা অন্য কারো প্রশংসা করলে সেখান থেকে কি আল্লাহর প্রশংসা কমে যায় দাদা ? কি বলেন আপনি ? কেউ যদি আমাদের উপকার করে তাহলে আমরা অন্য কারো প্রশংসা করতে পারব না এটি কুরআনে কোথায় আছে ? বলেন তো দেখি ? যেমন আমি আপনার ভুল সব ধরিয়ে দিয়েছি এখন আপনি যদি আমাকে ধন্যবাদ দেন , আমার প্রশংসা করেন তাহলে এখানে কোন গুনাহ হবে না আর একজন মানুষ আরেক জন মানুষকে ধন্যবাদ দিতে পারবে না এই কথা ইসলাম কোথায় বলেছে ?
⭕️ ২.যদি আমরা অন্য কারো একটুও প্রশংসা করি তাহলে তো আল্লাহ মিথ্যাবাদী, তার মতে একটু প্রশংসাও অন্য কারো নয়?
 উত্তরঃ ভুল প্রশ্ন করেছেন দাদা । আপনি অন্য কারো প্রশংসা করতে পারবেন না এই কথা কিন্তু ইসলাম বলে না ? আচ্ছা আল্লাহ যদি নিজেই বলেন যে তোমরা মানুষকে উপকারের জন্য ধন্যবাদ দিতে পার তখন কিন্তু আপনার ভ্রান্ত প্রশ্নটি ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে । উদাহরণ ধরুন আমি একটি বাড়ি তৈরি করলাম । আমার আদেশে সকল শ্রমিকরা পুরাটা বাড়ি তৈরি করল এখন আমি তাদেরকে তাদের প্রাপ্ত দিয়ে দিলাম, খেয়াল করুন বাড়িটি কিন্তু আমার শ্রমিকদের না কারন বাড়িটি আমার আদেশে বানানো হইসে সুতরাং এই হিসেবে বাড়ির সকল ক্রেডিট আমার কিন্তু এর মানে এই না যে শ্রমিকদের কোন মূল্য নাই ।
ihadis.com, জামে আত তিরমিজি , হাদিসঃ ১৯৫৫ , সহিহ হাদিসঃ রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ মানুষের প্রতি যে লোক কৃতজ্ঞ নয় আল্লাহ্‌ তা‘আলার প্রতিও সে কৃতজ্ঞ নয়।
"আল্লাহ মিথ্যাবাদী" এই কথা আপনি কিভাবে স্বীকার করেছেন যেখানে আপনি নাস্তিক ধর্মের অনুসারী ? নাস্তিকতায় কি আল্লাহ মিথ্যাবাদী এই বিশ্বাস শিখানো হয় যেখানে নাস্তিক মানেই স্রষ্টা নেই এই বিশ্বাস করা ? যদি বলেন আপনি "আল্লাহ মিথ্যাবাদী" তাহলে তো আপনি আল্লাহকে স্বীকার করার কথা , আর যদি স্বীকার করেন তাহলে এটাও কেন মানবেন না যে আল্লাহ মিথ্যা কথা বলেন না ? আপনি নাস্তিক ধর্মের অনুসারী কিভাবে হন ? যদি বলেন আপনি সংশয়বাদী তাহলে আপনি নিশ্চিত হলেন কিভাবে যে আল্লাহ মিথ্যাবাদী ? যদি বলেন আপনি আস্তিক তাহলে নাস্তিক ধর্মের পক্ষে কেন লিখালিখি করেন ? আস্তিকতা মানে কি নাস্তিক ধর্মের পক্ষে সাফাই গাওয়া ?
সুতরাং সকল প্রশংসা আল্লাহর কিন্তু এরমানে এই না যে আপনি অন্য কারো উপকারের জন্য তাকে ধন্যবাদ দিতে পারবেন না অথবা অন্যকে ধন্যবাদ দিলে আল্লাহর প্রশংসা কমে গেল , না এরকম কিছুই নয় ।
⭕️৩.সকল প্রশংসা আল্লাহর এ কথার বাস্তবায়ন করতে কি আল্লাহ ব্যর্থ?
 উত্তরঃ না । ব্যর্থ কিভাবে ? "আল্লাহ ব্যর্থ" এই কথা স্বীকার করলে আপনি নাস্তিক ধর্মের অনুসারী হন কিভাবে ? আপনি তো তাকে স্বীকার করেন না তাহলে যাকে মানেনই না সে আবার ব্যর্থ হয় কিভাবে ? তাছাড়া আল্লাহ কেন বাস্তবায়ন করবেন যে তিনি সকল প্রশংসার মালিক ?
⭕️ ৪.অন্য কারো প্রশংসাও আসলে পরোক্ষভাবে আল্লাহরই প্রশংসা যদি ধরেও নিই,তবুও প্রশ্ন ওঠে অন্য কারো দোষ,নিন্দাও কি পরোক্ষভাবে আল্লাহর উপর বর্তায় না?
 উত্তরঃ না । কারন আল্লাহ আপনাকে মিথ্যাচার করতে বলেন নি কিন্তু ভাল কাজ করতে বলেছেন । ভাল কাজের আদেশ করতে বলেছেন তাই তিনি ক্রেডিট পাবেন কিন্তু খারাপ কাজ তিনি করতে বলেন নি তাই আপনি খারাপ কাজ করলে এর দায় তাঁর না । আর "অন্য কারো প্রশংসাও আসলে পরোক্ষভাবে আল্লাহরই প্রশংসা" এই কথা কই পাইছেন নিজেই নিজেকে উত্তর দিয়ে সান্ত্বনা দেন নাকি ? শেষ পর্যন্ত পড়ুন বিবেক থাকলে হয়ত "নাস্তিক ধর্ম" ত্যাগও করতে পারেন !
⭕️৫.সকল সৃষ্টিজগতের পালনকর্তা কি বিলুপ্ত হয়ে যাওয়া প্রাণীদের পালনের দায়িত্বে ছিলেন না? নাকি দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ?
 উত্তরঃ কোন প্রাণী কতদিন বেঁচে থাকবে সেটি তো আল্লাহ ঠিক করে দিয়েছেন তাই প্রাণীদের হায়াতের চার্জ শেষ তাই তারাও বিলুপ্ত হয়ে গিয়েছে এখন আবার বইলেন না আল্লাহ কেন সেই চার্জ বৃদ্ধি করলেন না ? এর উত্তর ভারসাম্য রক্ষা করার জন্য । যেমন ধরেন এখনো যদি ডায়নোসররা বেঁচে থাকতো তাহলে মানুষ আইতে পারত না । আশা করি বুঝেছেন । ব্যর্থ? কিভাবে ? "আল্লাহ ব্যর্থ" এই কথা স্বীকার করলে আপনি নাস্তিক ধর্মের অনুসারী হন কিভাবে ? আপনি তো তাকে স্বীকার করেন না তাহলে যাকে মানেনই না সে আবার ব্যর্থ হয় কিভাবে ? আপনি কি বলতে চাচ্ছেন যে মৃত্যু নামক জিনিস আল্লাহ ডিলেট করে দিক, কেন ?
আল্লাহ দুনিয়া বানিয়েছেনই জন্ম মৃত্যু দিয়ে এখন এর বিপরীত আপনি চাইলেই তো আর হবে না ।
⭕️ ৬. এ কথাটায় বক্তা আল্লাহকে পরিচয় করিয়ে দিচ্ছেন,নিজেকে নয়! আল্লাহ নিজের পরিচয় দিলে বলতেন,সমস্ত প্রশংসা আমি আল্লাহর! যদি বলেন,এটা আল্লাহ আমাদের শেখাতে বলছেন বা এটা আমরা পাঠ করলে নিজেকে আল্লাহ বলা হবে,সেক্ষেত্রে সুরা নাস,ফালাক,কাফিরুন এ আমরা বলো(ক্বুল) দ্বারা কাকে বলতে বলি?
 উত্তরঃ আগেই বলেছি যে সুরা ফাতিহা স্পেশাল সুরা কারন আল্লাহ নিজেই বলেছেন সুরা হিজর ১৫:৮৭ = আমি আপনাকে সাতটি বার বার পঠিতব্য আয়াত (সুরা ফাতিহা) এবং মহান কোরআন দিয়েছি। খেয়াল করুন বার বার পাঠ করা হয় অর্থাৎ নামাজে আর নামাজে আমরা কার কাছে দোয়া করি আল্লাহর কাছে সুতরাং সুরা ফাতিহায় আল্লাহ আমাদের উনার কাছে চাওয়ার সিস্টেম বলে দিছেন।
এই হাদিসটি পড়ুন আর ভাবুন কত মূর্খ খগেনর্কঃ
ihadis.com, জামে আত তিরমিজি, হাদিসঃ ২৯৫৩ , সহিহ হাদিসঃ রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ যে লোক নামায আদায় করলো, অথচ তাতে উন্মুল কুরআন (সূরা আল-ফাতিহা) পাঠ করলো না, তা (নামায) ক্ৰটিযুক্ত, তা ক্ৰটিযুক্ত, তা অসম্পূর্ণ। বর্ণনাকারী (‘আবদুর রাহমান) বলেন, আমি বললাম, হে আবূ হুরায়রা্! আমি তো অনেক সময় ইমামের পিছনে নামায আদায় করি। তিনি বললেন, হে পারস্য সন্তান! তুমি তা নীরবে পাঠ করবে। কারণ আমি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে বলতে শুনেছিঃ আল্লাহ তা'আলা বলেন, আমি আমার ও আমার বান্দাদের মধ্যে নামাযকে আধাআধি ভাগ করে নিয়েছি। নামাযের অর্ধেক আমার এবং অর্ধেক আমার বান্দার। আর বান্দা আমার নিকট যা চায় তা-ই তাকে দেয়া হয়। বান্দা যখন (নামাযে দণ্ডায়মান হয়ে) বলে, আলহামদু লিল্লাহ রব্বিল ‘আলামীন (সমস্ত প্রশংসা সারা পৃথিবীর প্রভু আল্লাহ তা'আলার জন্য), তখন কল্যাণের আধার আল্লাহ তা'আলা বলেন, আমার বান্দা আমার প্রশংসা করেছে। যখন বান্দা বলে, আর-রাহমানির রাহীম (তিনি দয়াময় পরম দয়ালু), তখন আল্লাহ বলেন, আমার বান্দা আমার গুণগান করেছে। যখন বান্দা বলে, মালিকি ইয়াওমিদ্দীন (প্রতিফল দিবসের মালিক), তখন আল্লাহ তা'আলা বলেনঃ আমার বান্দা আমার মর্যাদা বর্ণনা করেছে। এটা হচ্ছে আমার জন্য। আর আমার ও আমার বান্দার জন্য যোগসূত্র হচ্ছেঃ ইয়্যাকা না’বুদু ওয়া ইয়্যাকা নাসতা’ঈন (আমরা শুধু তোমারই ‘ইবাদাত করি এবং তোমারই নিকট সাহায্য চাই), সূরার শেষ পর্যন্ত আমার বান্দার জন্য। আমার বান্দার জন্য তাই যা সে প্রার্থনা করে। বান্দা বলে, “ইহদিনাস সিরাতাল মুস্তাকীম। সিরাতাল্লাযীনা আন'আমতা ‘আলাইহিম। গাইরিল মাগযুবি 'আলাইহিম ওয়ালায্‌ য-ল্‌লীন" আমাদেরকে সরল ও মযবুত পথ দেখাও। ঐ মানুষদের পথ যাদের তুমি নিয়ামাত দান করেছ। যারা অভিশপ্ত হয়নি, যারা পথহারা হয়নি।
"যাবতীয় প্রশংসা আল্লাহ তাআলার যিনি সকল সৃষ্টি জগতের পালনকর্তা" এই কথাটার বক্তা আল্লাহ । যিনি মানুষকে শিখিয়ে দিচ্ছেন কিভাবে আল্লাহর প্রশংসা করতে হবে । "আল্লাহ নিজের পরিচয় দিলে বলতেন,সমস্ত প্রশংসা আমি আল্লাহর" এরমানে কি সুরা ফাতিহা আপনার মন মত নাজিল হবে এটাই তো বুঝাইতে চাইছেন নাকি ? কেন ? "এটা আল্লাহ আমাদের শেখাতে বলছেন বা এটা আমরা পাঠ করলে নিজেকে আল্লাহ বলা হবে" কিভাবে ? "যাবতীয় প্রশংসা আল্লাহ তাআলার যিনি সকল সৃষ্টি জগতের পালনকর্তা" এই আয়াত মানুষ পড়লে এখানে নিজেকে আল্লাহ বলা কিভাবে? আজিব তো !
সুরা নাস , ফালাকে , "বলো" দ্বারা মানুষকে বলতে বলা হয়েছে , আল্লাহ নিজেকে বলতে বলেন নাই বুঝেছেন । এই সাধারন বিষয়টি বুঝেন না , আসলে এটি আপনার দোষ না বরং আপনার আগের জাতি তো বানর ছিল তাই বিবর্তনে হয়ত ব্রেন ভাল হয় নাই আপনার । থাক মাইন্ড কইরেন না খগেনর্ক দাদা যা সত্যি তাই কইসি ।
অতএব এ আয়াতটি ভুল নয় এবং সকল প্রশংসা আল্লাহর এটাই সঠিক আর খগেনিও মশাই 404 ERROR 🚫💯 প্রমাণিত ।
কুরআনে ভুল নেই বরং নাস্তিক ধর্মের অন্ধ বিশ্বাসীরা মিথ্যাচার করায় ওস্তাদ । এখন আসি সুরা ফাতিহার ১:৩ নং আয়াতেঃ যিনি পরম করুনাময় ও অসীম দয়ালু। এখানে খগেনর্ক প্রাণীর প্রশ্ন এবং তার উত্তর ।
প্রশ্ন:
⭕️ ১.অন্য কাউকে প্রভু মানলে আল্লাহ আপনাকে ক্ষমা করবে না,দয়া করবে না অথচ আপনার সন্তান অন্য কাউকে বাবা মা মানলেও আপনি তার প্রতি ক্ষমাশীল,দয়ালু। তাহলে আপনি কি আল্লাহর চেয়ে দয়ালু নন? আল্লাহ সবচেয়ে বেশি ক্ষমাশীল, দয়ালু কথাটি মিথ্যা।
 উত্তরঃ আপনি কি অন্য কাউকে প্রভু মানতে চাইছেন নাস্তিক দাদা ? কাকে এবং কেন ? অন্য কাউকে প্রভু মানলে আল্লাহ আপনাকে ক্ষমা করবে না, এই কথা কই পাইসেন ? আপনি তওবা করলেই আল্লাহ আপনাকে ক্ষমা করে দিবে তাহলে আল্লাহ দয়ালু হল না, কিভাবে ? সন্তান পিতা মাতাকে গালাগালি করলে এবং অন্য কাউকে পিতা মাতা ডাকলে উক্ত আসল মাতা পিতা কি সম্পদের ভাগ ঐ সন্তানকে দিবে ? মনে করেন আপনি ? বাস্তবে নাস্তিক ধর্মের অনুসারীরা নিজের পিতামাতাকে কষ্ট দিয়ে নাস্তিক ধর্ম প্রচারের নিয়তে জার্মান হিজরত করে এতে কি বাবা মা কষ্ট পায় না ?
"আল্লাহ দয়ালু কথাটি মিথ্যা" এই কথা কি নাস্তিক ধর্মে বিশ্বাস করা জায়েজ ? নাস্তিক মানে স্রস্টায় অস্বীকার করা আর আপনি দেখি সরাসরি স্বীকার করে আবার তাঁকে মিথ্যাবাদী বলেও বিশ্বাস করছেন ? আপনি কিভাবে নাস্তিক হন ? আপনি নাস্তিক হয়ে কাকে প্রভু মানতে চাইছেন? নাস্তিক ধর্মের অন্ধ বিশ্বাসী তসলিমা নাসরিন দাদির মত লিঙ্গ পুজা করতে চাইছেন ? এবং শিব দেবতাকে পুজা করতে চাইছেন ?
আল্লাহ সব চেয়ে বেশি ক্ষমাশীল , দয়ালু কথাটি সত্য কারন হাজার হাজার পাপ করার পরেও তাঁর কাছে মাফ চাইলে তিনি মাফ করে দিবেন সুতরাং আয়াত সত্য ।
⭕️ ২.পরম করুনাময় ও অসীম দয়ালু হতে হলে দয়া ও করুনার কোনো সীমা থাকতে পারে না! আল্লাহ শিরকের গুনাহ ক্ষমা করে না,তার মানে তার ক্ষমাশীল গুণটা সীমাবদ্ধ! আবার আল্লাহ আবু লাহাবকে ধ্বংস হতে বলে,এক্ষেত্রে আল্লাহর দয়ালু গুণ সীমাবদ্ধ!
 উত্তরঃ ভুল ব্যাখ্যা দিলেন । "আল্লাহ শিরকের গুনাহ ক্ষমা করে না" এটি মিথ্যা কারন আপনি তওবা করলে আল্লাহ আপনাকে মাফ করে দিবেন । যদি আল্লাহ শিরিকের গুনা মাফ নাই করবেন তাহলে হযরত ওমর (রা) কিভাবে মুসলিম হলেন ? হযরত সাফিয়া (সা) কিভাবে ও কেন মুসলিম হলেন ? অনেকেই "নাস্তিক ধর্ম" ত্যাগ করে সত্য জেনে আবার ইসলামেই ফিরে আসছে এবং তওবা করে, যদি আল্লাহ শিরিকের গুনাই মাফ না করবেন তাহলে তওবা সিস্টেম কেন রাখলেন , আল্লাহ কেন এটি বাটিল করলেন না ? আমি আগেই বলেছি আল্লাহ দয়ালু এরমানে এই না যে তিনি কোন অপরাধীকে শাস্তি দিবেন না । আচ্ছা আল্লাহ দয়ালু হলে অপরাধীকে শাস্তি দিতে পারবেন না এই কথা নাস্তিক ধর্ম বলে ? নাকি আপনি নিজেই নিজের মানদণ্ড সেট করছেন , কেন, কিভাবে , সেটার ভিত্তি কি ?
"আল্লাহর দয়ালু গুণ সীমাবদ্ধ!" আপনি এই কথা কি বিশ্বাস করেন ? যদি করেন তাহলে নাস্তিক ধর্মের অনুসারী কিভাবে হন ? আল্লাহকে মানেন না আবার তাঁকেই বিশ্বাস করে ট্যাগ দিলেন , কেমন না আপনার দাবিটা ?
আপনি কি আবু লাহাবের পক্ষে ? আবু লাহাব উগ্র ছিল সে নবীজি (সা) কে হত্যা করতে চাইত ? এখন আপনি বলেন তাকে যদি আল্লাহ ধ্বংস হতে বলেন এতে মন্দ কিসের ? ওহ আরেকটি কথা নাস্তিক ধর্মে ভাল মন্দ যাচাইয়ের মানদণ্ডটা আমাকে জানাবেন কেমন ? কারন নাস্তিক ধর্মের দেবদূতের ফতোয়া আছে যে নাস্তিক ধর্মে কোন ভিত্তি নেই , কোন নীতি নৈতিকতা নেই । তাহলে আপনি কুরআনের ভুল ধরতে এসেছেন কোন নাস্তিক ধর্মের ভিত্তিতে ? নাস্তিক ধর্ম কি কুরআনের ভুল আছে কি নেই সেটা নিয়ে কথা বলতে আদেশ দেয় , কেন?
⭕️৩.যে অসীম দয়ালু সে কোনো মানুষকে কষ্ট দিয়ে পরীক্ষা করবে না অথচ আল্লাহ করে! যে পরম করুনাময় সে হাজার অপরাধেও করুণা করবে,শাস্তি দিতে পারবে না অথচ আল্লাহ শাস্তি দিবে। তাই আল্লাহ পরম করুণাময়,অসীম দয়ালু নন।
 উত্তরঃ খগেনর্কর দাবিঃ
⛔️যে অসীম দয়ালু সে কোনো মানুষকে কষ্ট দিয়ে পরীক্ষা করবে না
⛔️ যে পরম করুনাময় সে হাজার অপরাধেও করুণা করবে,শাস্তি দিতে পারবে না
⛔️ তাই আল্লাহ পরম করুণাময়,অসীম দয়ালু নন।
আমরা জানি খগেনর্ক একজন নাস্তিক ধর্মের অনুসারী যে বিশ্বাস করে আল্লাহ বলে কিছুই নাই তাহলে সে কিভাবে উপরের প্রস্তাব সমূহ করল? আল্লাহ বলছেন তিনি সুরা বাকারা ২:১৫৫ = অবশ্যই আমি তোমাদিগকে পরীক্ষা করব কিছুটা ভয়, ক্ষুধা, মাল ও জানের ক্ষতি ও ফল-ফসল বিনষ্টের মাধ্যমে। তবে সুসংবাদ দাও সবরকারীদের। তাহলে আমরা যদি আল্লাহর কথা মেনে ধৈর্য ধরি তাহলে আমরা সফল হব অথচ যেখানে খগেনর্ক আল্লাহকেই মানেন না,আবার আল্লাহকে সে নিয়ম করে দিচ্ছে যে আল্লাহ কাউকে পরীক্ষা করতে পারবে না কষ্ট দিয়ে , এটা কেন ?
যে পরম করুনাময় সে হাজার অপরাধেও করুণা করবে,শাস্তি দিতে পারবে না , আমার প্রশ্ন কেন ? আল্লাহ নিজেই বলেছেন কেউ যদি তওবা করে আল্লাহ মাফ করে দিবেন এখানেই প্রমান হল তিনি পরম করুনাময় , কোন মানুষ যদি সারাজীবন পাপ কাজ করে এবং সে যদি তওবা করে তাহলে আল্লাহ তাকে মাফ করে দিবেন , তাহলে তিনি পরম করুনাময় হলেন না কিভাবে ? যে আল্লাহকে মানেই না সেই আবার দাবি করছে "তাই আল্লাহ পরম করুণাময়,অসীম দয়ালু নন পরস্পর বৈপরীত্য হল না ?
"যে অসীম দয়ালু সে কোনো মানুষকে কষ্ট দিয়ে পরীক্ষা করবে না" এই কথা কি নাস্তিক ধর্ম বিশ্বাস করতে বলে ?
"যে পরম করুনাময় সে হাজার অপরাধেও করুণা করবে,শাস্তি দিতে পারবে না" এই কথা নাস্তিক ধর্ম বিশ্বাস করতে বলে ?
সুতরাং কেউ পাপ করলে তওবা করলে আল্লাহ মাফ করে দিবেন , আর অন্যায়কারীদের শাস্তিও তিনি দিবেন আর অন্যায়কারী যদি তওবা করে এতেও তিনি মাফ করে দিবেন সুতরাং আয়াত স্পষ্ট সঠিকই আছে ।
⭕️ ৪.পরম করুনাময়,অসীম দয়ালু কেউ স্বেচ্ছাচারী,পক্ষপাতদুষ্ট হতে পারে না অথচ আল্লাহ যাকে ইচ্ছা পথ দেখান,পথভ্রষ্ট করেন! এটা কেমন দয়া,করুণা? আল্লাহ মুমিনদের জন্য পুরস্কার এবং অন্যদের জন্য শাস্তির ব্যবস্থা করলে তার দয়ালু গুণটা পক্ষপাতদুষ্ট হয়।
 উত্তরঃ এখানে ব্যাপক বিনোদন আছে সেটা কি জানেন ? যে নাস্তিক আল্লাহকেই অস্বীকার করছে , ঠিক একই নাস্তিক আবার কষ্ট নিয়ে বলছে আল্লাহ পক্ষপাতদুষ্ট হতে পারে না , সেই আবার কষ্ট পাচ্ছে যে আল্লাহ যাকে ইচ্ছা পথ দেখান যাকে ইচ্ছা দেখান না হাস্যকর, সেই কষ্ট । এইবার আসি উত্তরে । আপনার কষ্ট পাওয়াটাই অযৌক্তিক কারন আপনি আল্লাহকেই অস্বীকার করছেন । আল্লাহ ইমানদারদের ভালবাসেন আর মিথ্যাবাদীদের ভালবাসেন না এটাই আল্লাহর স্পষ্ট কথা । আপনি কেন আল্লাহর কথা মানবেন না ? আপনি কেন অপরাধ করবেন আবার কেন চাইবেন যে আপনার এই অপরাধের জন্য আল্লাহ আপনাকে ক্ষমা করুক ? কেন ? সুতরাং দয়ালু গুন ঠিকই আছে বরং আল্লাহ যে শাস্তি দাতা সেটি আপনি ইচ্ছা করে এখানে বলেন নি কারন আমার মনে হয় আপনি সুরা ফাতিহা ছাড়া কুরআনে যে অন্য সুরাও আছে সেটাই জানেন না । অবশ্য না জানাই স্বাভাবিক কারন নাস্তিক ধর্মে কুরআন পড়তে হবে এমন কোন নিয়ম নাই তাই না ?আপনি আল্লাহকে মানেন না তাহলে আল্লাহ যাই করুক সেখানে আপনি বলার কে ? আপনার কষ্ট পাওয়ার কি আছে এখানে ? বলেন তো ?
অতএব, এ আয়াতটি ভুল না ।আল্লাহ পরম করুনাময় অসীম দয়ালু এটাই সঠিক বরং খগেনর্ক 404 ERROR প্রমাণিত, এটা সত্য ।
কুরআনে ভুল নয় বরং নাস্তিক ধর্ম ভুলে ভরা ধর্ম । এখন আসি সুরা ফাতিহার ৫ নং আয়াতে = আমরা একমাত্র তোমারই ইবাদত করি এবং শুধুমাত্র তোমারই সাহায্য প্রার্থনা করি।
খগেনর্ক প্রশ্ন এবং আমার উত্তর । এই প্রশ্নের কিছু মজা আছে শেষ পর্যন্ত পড়তে থাকুন আর প্রথমে খগেনর্ক গোঁজামিল পড়ুন এরপরে আমি শক্তিশালী যুক্তি দিয়ে ওর গজামিল ধ্বংস করে দিচ্ছি । ব্র্যাকেটের কথা গুলো আমার যেন ওর গজামিল ধরতে আপনাদের কোন কষ্ট না হয় ।
প্রশ্ন:
⭕️ ১.এ আয়াতে যা আল্লাহ বলেছেন বা মানুষকে শিখিয়েছেন সেটা কি মিথ্যা হতে পারে? (না)
ক.যদি মিথ্যা হয়,তাহলে আল্লাহ,কুরআন সব মিথ্যা। (মিথ্যা তুমি বলছ , আর তুমি বললেই তো কুরআন মিথ্যা হয় না)
⭕️ খ.যদি সত্য হয় তাহলে, কুরআন নিশ্চয়ই সমগ্র মানবজাতির জন্য এসেছে। এখন আমরা(মানবজাতি) কি একমাত্র আল্লাহর ইবাদত/পূজা/আনুগত্য করি? যদি না করি,তাহলে কুরআন মিথ্যা। বিশ্বের প্রায় ৭০ শতাংশ লোক আল্লাহ নামের কারো ইবাদত করে না! সুতরাং এ আয়াত মিথ্যা। (আমরা বলতে কি এখানে কাফের খগেন সন্ত্রাসী এদেরকে বুঝিয়েছে নাকি মুসলিমদের যারা আল্লাহকে মানে যারা ইমানদার তাঁদেরকে ?)
⭕️ গ.যদি ধরে নিই আমরা সকলে আল্লাহর ইবাদত করি কথাটা সত্য তাহলে মূর্তি,সূর্য,যীশু,বুদ্ধ,অগ্নি সবকিছুই আল্লাহ! কেননা মানুষ এদেরও ইবাদত করে। তাহলে আল্লাহর একত্ববাদ মিথ্যা! (আমরা বলতে কি এখানে কাফের খগেন সন্ত্রাসী এদেরকে বুঝিয়েছে নাকি মুসলিমদের যারা আল্লাহকে মানে যারা ইমানদার ? ,তুমি নাস্তিক কি বিশ্বাস করো যে মূর্তি,সূর্য,যীশু,বুদ্ধ,অগ্নি সবকিছুই আল্লাহ ? )
⭕️ ঘ. যারা ঈশ্বরে বিশ্বাস করে না তাদের ক্ষেত্রে আল্লাহর ইবাদত করে কথাটা সম্পূর্ণই মিথ্যা। (যারা ঈশ্বরে বিশ্বাস করে না তাদের ক্ষেত্রে আল্লাহর ইবাদত করে এই কথা কি আয়াতে বলা হয়েছে ?)
⭕️ ২.এ আয়াতের দ্বিতীয়াংশ অনুযায়ী আমরা(মানবজাতি) সবাই আল্লাহর সাহায্য চাই! (আমরা(মানবজাতি) সবাই নাকি মুসলিমরা সবাই হবে ? )
⭕️ ক.তাহলে মূর্তি,যীশু,অগ্নি,বুদ্ধ সবকিছুই আল্লাহ, যেহেতু মানুষ এদের কাছেও সাহায্য চায়! (আয়াতে এরকম কিছুই বুঝানো হয়নি, তুমি কি বিশ্বাস করো যে মূর্তি,যীশু,অগ্নি,বুদ্ধ সবকিছুই আল্লাহ ? তাইলে নাস্তিক কিভাবে হও ? )
⭕️ খ.মানুষ বিপদে পড়লে মানুষের কাছেও সাহায্য চায়! তাহলে মানুষও আল্লাহ! (আল্লাহ মানুষ নন, এই আয়াতে কি অন্য কারো কাছে হেল্প চাইতে নিষেধ করা হয়েছে ? যেমন ডাক্তারের কাছে রোগী যায় ? ইসলামে কি এসব হারাম ?)
⭕️⭕️⭕️ নোট: এ আয়াত সত্য হলে সব মানুষই আল্লাহর ইবাদত করে,সুতরাং সব মানুষ বেহেশতে যাবে কেননা মানুষকে ইবাদতের জন্যই বানানো হয়েছে। আর যদি কেউ বলে এখানে আমরা বলতে শুধু মুমিনদের কথা বলা হয়েছে,তাহলে কুরআন সব মানুষের জন্য কথাটা মিথ্যা। যারা আল্লাহকে বিশ্বাস করে না,তার ইবাদত করে না,তার সাহায্য চায় না,তারা যখন এ আয়াত পড়বে তখন সেটা তো মিথ্যা বলা হবে! এ কেমন গ্রন্থ যা মানুষকে মিথ্যা বলায়?
📶 আমার উত্তরঃ প্রথমে আয়াতটি পড়ে নেইঃ সুরা ফাতিহা ১:৫ = আমরা একমাত্র তোমারই ইবাদত করি এবং শুধুমাত্র তোমারই সাহায্য প্রার্থনা করি।
খেয়াল করুন আয়াতে বলা হচ্ছে আমরা একমাত্র তোমারই ইবাদত করি একেবারেই সহজ প্রশ্ন আল্লাহর ইবাদত করে কারা ? মুসলিমরা তাহলে এখানে আমরা দ্বারা মুসলিমদেরকেই বুঝানো হয়েছে এই সাধারনটুকু কিন্তু সকলেই বুঝেছি । এ আয়াতে যা আল্লাহ বলেছেন বা মানুষকে শিখিয়েছেন সেটা কি মিথ্যা হতে পারে ? উত্তর হচ্ছে না । এরকম আর কিছু কথা সে বলেছে কিন্তু মজার ব্যাপার তার পুরো গোঁজামিল দাড়িয়ে আছে এই কথা উপর "আমরা (পুরা মানব জাতি মুসলিম অমুসলিম সকলেই) তোমারই ইবাদত করি,শুধুমাত্র তোমারই সাহায্য প্রার্থনা করি" আমি যদি তার এই ভ্রান্ত দাবি ভুল প্রমান করে দেই তাহলে তার গোঁজামিল স্তম্ভ শেষ । সে শেষে বলেছেঃ
(এ আয়াত সত্য হলে সব মানুষই আল্লাহর ইবাদত করে,সুতরাং সব মানুষ বেহেশতে যাবে কেননা মানুষকে ইবাদতের জন্যই বানানো হয়েছে। আর যদি কেউ বলে এখানে আমরা বলতে শুধু মুমিনদের কথা বলা হয়েছে,তাহলে কুরআন সব মানুষের জন্য কথাটা মিথ্যা। যারা আল্লাহকে বিশ্বাস করে না,তার ইবাদত করে না,তার সাহায্য চায় না,তারা যখন এ আয়াত পড়বে তখন সেটা তো মিথ্যা বলা হবে! এ কেমন গ্রন্থ যা মানুষকে মিথ্যা বলায়? )
📶 আমার প্রশ্নঃ
♻️ ১/ " সব মানুষই আল্লাহর ইবাদত করে" এই শব্দ আয়াতের কোথায় আছে ? দেখান তো ?
♻️ ২/ " আমরা একমাত্র তোমারই ইবাদত করি এবং শুধুমাত্র তোমারই সাহায্য প্রার্থনা করি" এখানে সকল মানুষকে কিভাবে বুঝায় যেখানে মুসলিম ছাড়া কেউই আল্লাহকে মানেই না ? আপনি যেহেতু দাবি করেছেন এখানে সকল নাস্তিক আস্তিক মুসলিম অমুসলিম সবাইকে বুঝানো হয়েছে কিন্তু আয়াতে তাদেরকেই বুঝানো হচ্ছে যারা আল্লাহর ইবাদত করে , সকল মানুষকে কিভাবে বুঝানো হয়েছে ?
♻️ ৩/ " যারা আল্লাহকে বিশ্বাস করে না,তার ইবাদত করে না,তার সাহায্য চায় না,তারা যখন এ আয়াত পড়বে তখন সেটা তো মিথ্যা বলা হবে! এ কেমন গ্রন্থ যা মানুষকে মিথ্যা বলায়? = " ধরুন আপনি মুক্তি যুদ্ধের বই পড়ছেন সেখানে লেখা আছে পাকিস্তানিরা নারীদের ধর্ষণ করেছে এখন আপনি যে এই লেখা পড়লেন এরমানে কি আপনি একজন ধর্ষক ? যখন কোন অমুসলিম পড়বে যে "আমরা একমাত্র তোমারই ইবাদত করি এবং শুধুমাত্র তোমারই সাহায্য প্রার্থনা করি" এই কথা ঐ অমুসলিমদের বিশ্বাস অনুযায়ী ভুল কিন্তু এরমানে কুরআনের আয়াত তো ভুল না । তাহলে আপনি কিভাবে অমুসলিমের বিশ্বাস দিয়ে কুরআন ভুল বলে দিলেন ? তাহলে তো আমার বিশ্বাস দিয়ে আপনার নাস্তিক ধর্ম ভুল প্রমাণিত হয় আপনি কি সেটা মেনে নিবেন ? যদি আপনার নাস্তিক ধর্ম মিথ্যা হয় তাহলে ইসলাম ধর্ম সত্য প্রমাণিত হচ্ছে ।
♻️ ৪/ "কুরআন সকল মানব জাতির জন্য" কথা সঠিক এবং এরমানে কুরআন সবাই পড়তে পারবে গ্রহন করতে পারবে আর এরমানে এই না যে কোন অমুসলিম আল্লাহকে মানে না বলে সে যদি সুরা ফাতিহা পড়ে তাহলে কুরআনের আয়াত ভুল ? এটি ঠিক না ।
♻️৫/ যেহেতু আপনি প্রমান করতে পারেননি "আমরা" দ্বারা সকল মানুষকেই বুঝানো হয়েছে তাই আপনার সব কোটি পয়েন্টই বাতিল ।
কুরআন সুরা ফাতেহা আমরা বলতে মুসলিমদের বুঝানো হয়েছে সেটার প্রমানঃ
ihadis.com, জামে আত তিরমিজি, হাদিসঃ ২৯৫৩ , সহিহ হাদিসঃ রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ যে লোক নামায আদায় করলো, অথচ তাতে উন্মুল কুরআন (সূরা আল-ফাতিহা) পাঠ করলো না, তা (নামায) ক্ৰটিযুক্ত, তা ক্ৰটিযুক্ত, তা অসম্পূর্ণ। বর্ণনাকারী (‘আবদুর রাহমান) বলেন, আমি বললাম, হে আবূ হুরায়রা্! আমি তো অনেক সময় ইমামের পিছনে নামায আদায় করি। তিনি বললেন, হে পারস্য সন্তান! তুমি তা নীরবে পাঠ করবে। কারণ আমি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে বলতে শুনেছিঃ আল্লাহ তা'আলা বলেন, আমি আমার ও আমার বান্দাদের মধ্যে নামাযকে আধাআধি ভাগ করে নিয়েছি। নামাযের অর্ধেক আমার এবং অর্ধেক আমার বান্দার। আর বান্দা আমার নিকট যা চায় তা-ই তাকে দেয়া হয়। বান্দা যখন (নামাযে দণ্ডায়মান হয়ে) বলে, আলহামদু লিল্লাহ রব্বিল ‘আলামীন (সমস্ত প্রশংসা সারা পৃথিবীর প্রভু আল্লাহ তা'আলার জন্য), তখন কল্যাণের আধার আল্লাহ তা'আলা বলেন, আমার বান্দা আমার প্রশংসা করেছে। যখন বান্দা বলে, আর-রাহমানির রাহীম (তিনি দয়াময় পরম দয়ালু), তখন আল্লাহ বলেন, আমার বান্দা আমার গুণগান করেছে। যখন বান্দা বলে, মালিকি ইয়াওমিদ্দীন (প্রতিফল দিবসের মালিক), তখন আল্লাহ তা'আলা বলেনঃ আমার বান্দা আমার মর্যাদা বর্ণনা করেছে। এটা হচ্ছে আমার জন্য। আর আমার ও আমার বান্দার জন্য যোগসূত্র হচ্ছেঃ ইয়্যাকা না’বুদু ওয়া ইয়্যাকা নাসতা’ঈন (আমরা শুধু তোমারই ‘ইবাদাত করি এবং তোমারই নিকট সাহায্য চাই), সূরার শেষ পর্যন্ত আমার বান্দার জন্য। আমার বান্দার জন্য তাই যা সে প্রার্থনা করে। বান্দা বলে, “ইহদিনাস সিরাতাল মুস্তাকীম। সিরাতাল্লাযীনা আন'আমতা ‘আলাইহিম। গাইরিল মাগযুবি 'আলাইহিম ওয়ালায্‌ য-ল্‌লীন" আমাদেরকে সরল ও মযবুত পথ দেখাও। ঐ মানুষদের পথ যাদের তুমি নিয়ামাত দান করেছ। যারা অভিশপ্ত হয়নি, যারা পথহারা হয়নি।
কুরআনে ভুল নয় বরং নাস্তিক ধর্ম অন্ধ বিশ্বাসীরা মিথ্যাবাদী ভুলে ভরা নাস্তিক ধর্ম । এখন আসি পরের আয়াতে যেখানে বলা হচ্ছে সুরা ফাতিহা ১:৬,৭ =আমাদেরকে সরল পথ দেখাও, সে সমস্ত লোকের পথ, যাদেরকে তুমি নেয়ামত দান করেছ। তাদের পথ নয়, যাদের প্রতি তোমার গজব নাযিল হয়েছে এবং যারা পথভ্রষ্ট হয়েছে।
⭕️ খগেনর্কর প্রশ্ন: একটা ঔষধ কার্যকরী নাকি ভুল সেটা আমরা কিভাবে বুঝি? নিশ্চয়ই ঔষধের কার্যকারিতা দেখে। তেমনিভাবে এ দুই আয়াতে আল্লাহ মানুষকে যা শেখাচ্ছে(যদি আল্লাহ এ কথাগুলো নিজে বলে তাহলে তো কুরআন ভুল) তা কার্যকরী কিনা দেখতে হবে। এ আয়াতগুলো প্রতিদিন কোটি কোটি মুসলিম নামাজে বা নামাজের বাইরে পড়ছে,এরপরও খেয়াল করে দেখবেন পড়ার পরও তারা হত্যা,দূর্ণীতি,মিথ্যাচার,অন্য নানা অপরাধে জড়িত হচ্ছে।
সুতরাং এ আয়াতে আল্লাহর শিক্ষা অকার্যকর, অথবা আল্লাহ এ আয়াতের মর্যাদা রাখতে অক্ষম(এ আয়াতের ফল দিতে) আর যদি এ আয়াত সত্য হয়,কার্যকর হয় তবে এ আয়াত পাঠ করে করা সব অপরাধই আল্লাহর সঠিক পথ! কি ঘৃণ্য সেই পথ!
 আমার উত্তরঃ কুরআন আল্লাহর বানী তাই সুরা ফাতিহা আল্লাহর বানী না এই কথা ভুল বরং সুরা ফাতিহা আল্লাহর বানী । আর সুরা ফাতিহা আল্লাহর বানী হলে যে সেটি ভুল এই কথাই আসলে ভুল কেন সেটা আগেই বলেছি । সুরা ফাতিহা আমাদের ভাষ্য যা আল্লাহ আমাদেরকে শিখিয়েছেন।
উদাহরণ স্বরূপঃ
স্যার আমি কিভাবে আবেদন করব ? স্যার বলল , সবিনয় নিবেদন এই যে, আমি আপনার প্রতিষ্ঠানের ক বিভাগের শিক্ষার্থী। বিশেষ প্রয়োজনে আমাকে বাড়ি যেতে হচ্ছে। আমাকে বাড়িতে কিছু গুরুত্বপূর্ণ কাজে সম্পৃক্ত থাকতে হবে। তাই আপনার মাধ্যমে আগামী ২৪ মার্চ থেকে ২৮ মার্চ পর্যন্ত ছুটি প্রাথনা করছি। অতএব, মহোদয় উক্ত বিষয় বিবেচনা করে আমাকে উক্ত চার দিনের ছুটি দানে জনাবের মর্জি হয়।
এখানে কিন্তু স্যার নিজেকে নিজে বলছেন না বরং ছাত্রর জন্য শিক্ষা দিচ্ছেন কিভাবে সে আবেদন করবে এখন কেউ যদি এসে এই আবেদন পত্র পড়ে সেটি কি ভুল হবে উত্তর হচ্ছে না তেমনই সুরা ফাতিহা আল্লাহ আমাদের শিক্ষা দিচ্ছেন কিভাবে আমরা তাঁর কাছে দোয়া করব কিন্তু এখন কোন অমুসলিম যদি সেই সুরা ফাতেহা পড়ে তাহলে সেটিও মিথ্যা হবে না ।
কোন শিক্ষক যদি ছাত্রদের বলে তোমরা ভাল মানুষ হও কখনো অন্যায় কাজ করবে না , দুর্নীতি করবে না , ঘুষ খাবে না । এখন কোন ছাত্র যদি এসব অন্যায় কাজ করে তাহলে এর দায় শিক্ষকের উপর পরে ? উত্তর হচ্ছে না । তেমনই ইসলামে আল্লাহর কাছে দোয়া করে হাত পা ঘুটিয়ে বসে থাকতে বলা হয়নি আর কেউ নামাজ পরে যদি অন্যায় করে এখানে নামাজের দোষ না , দোয়ারও দোষ না বরং ঐ মানুষের দোষ কারন ইসলাম তাকে অন্যায় করতে বলে না । এই কথা মগজহীন প্রাণী ছাড়া সকল বুদ্ধিমান মানুষই বুঝে ।
📶📶📶 খগেনর্ক দাদাকে উপদেশ দিব আপনি Language and Linguistics নিয়ে কিছুটা হলেও পড়াশুনা করুণ।আপনি এই বিষয়ে একটা কোর্স করলে নিজেই লজ্জা পাবেন কি ধরণের তর্ক করছেন। শুধু শুধুই কুরআনের মধ্যে ভুল পান না আবার নিজেই নিজেকে মাঝে মাঝে সান্ত্বনা দেন এসব কি কি জান্নাতুল জার্মান যাইবেন নাকি ? হাহাহাহা
অতএব,এ আয়াত দুটি সঠিক এবং এতে কোনই ভুল নেই বরং খগেনর্ক যে একজন মিথ্যাবাদী অন্ধ বিশ্বাসী সেটাই পরিস্কার হল ।
♻️📶 পরিশেষে,একটু নিরপেক্ষ দৃষ্টি দিয়ে দেখলেই বোঝা যায়,অসংখ্য ভুলে ভরা কুরআন নয় বরং তেনা প্যাঁচানো গোঁজামিল ,অকার্যকর এই নাস্তিক ধর্মের খগেনরা ও তার অনুসারীরা জালিয়াতের ওস্তাদ যার বাস্তব প্রমান জৈনিক খগেনর্ক প্রাণী ।
***************************************************************
 =(সুরা ফাতিহা এবং কিছু কথা)=
সুরা হিজর ১৫:৮৭ = আমি আপনাকে সাতটি বার বার পঠিতব্য আয়াত (সুরা ফাতিহা) এবং মহান কোরআন দিয়েছি।
উপরোক্ত আয়াতই প্রমান করে সুরাহ ফাতিহাকে আল্লাহ তায়ালা ভিন্ন ভাবেই উপস্থাপন করেছেন। বিভিন্ন হাদিস ঘেটেও এটাই প্রতিয়মান হয় যে, মুহাম্মদ সা: বলেছেন এই সাত আয়াত বা সুরাহ ফাতিহার মত সুরাহ আর কোন নবী বা রাসুলকে দেওয়া হয় নাই।
এটি হচ্ছে আল্লাহর তরফ থেকে মুহাম্মদ সা: এর প্রতি একটি বিশেষ উপহার স্বরূপঃ
ihadis.com, জামে আত তিরমিজি, হাদিসঃ ৩১২৫ , সহিহ হাদিসঃ নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ তাওরাত ও ইনজীলে আল্লাহ তা’আলা উম্মুল কুরআনের সমতুল্য কিছু অবতীর্ণ করেননি। আর তা হচ্ছে সাব’উল মাসানী (বারবার পঠিত সপ্তক : সূরা আ-ইজর ৮৭ আয়াতের প্রতি ইঙ্গিত)। (আল্লাহ তা’আলা বলেন) তা আমার ও আমার বান্দার মধ্যে বন্টিত। আমার বান্দার জন্য তা-ই রয়েছে যা সে চেয়েছে।
সুরা ফাতিহা থেকে আরো কিছু প্রতিয়মান হয় যে, এই সুরাহটি হচ্ছে একটি application form এর মত। আমরা যখন কোন অফিসে চাকরীর জন্য আবেদন করি তখন অফিস কতৃপক্ষ কিন্তুএকটি application form দেয় যা আমরা শধুমাত্র পুরন বা fill up করে দেইমাত্র। সেই রকম application form ই হচ্ছে সুরাহ ফাতিহা উদাহরণ মোতাবেক। আর কিভাবে আল্লাহর কাছে আমরা আবেদন করব সেই ফর্মুলা আমাদের সুরাহ ফাতিহার মাধ্যমে বলে দিয়েছেন। আলহামদুলিল্লাহ। সেই জন্য আল্লাহ তায়ালা সুরা ফাতিহাকে আলাদা ভাবেই উপস্থাপন করেছেন। যাতে আল্লাহর নিকট আমাদের চাওয়া এক ও অভিন্ন হয়।
কোরআনের সুরা বাকারা থেকে নাস পর্যন্ত কোথাও এরকম ভাবে বলা নাই যেভাবে সুরাহ ফাতিহার মধ্যে বলা আছে। পাশাপাশি সুরাহ ফাতিহা ও কোরআনের অন্য যে কোন সুরাহ এর আয়াত রাখলেই সহজেই সেটা বোধগম্য হবে ইনশাল্লাহ।যেমন,
সুরা ফাতিহা ১:১ থেকে ৩ = শুরু করছি আল্লাহর নামে যিনি পরম করুণাময়, অতি দয়ালু। যাবতীয় প্রশংসা আল্লাহ তাআলার যিনি সকল সৃষ্টি জগতের পালনকর্তা। যিনি নিতান্ত মেহেরবান ও দয়ালু।
সুরা ইখলাস ১১২:১ = বলুন, তিনি আল্লাহ, এক,
উপরোক্ত আয়াতগুলো পর্যালোচনা করে দেখা যায় যে, সুরাহ ফাতিহাতে *বলো* শব্দটি ব্যবহার করা হয় নি কিন্তু সুরাহ ইখলাসের শুরুতেই *বলো* শব্দটি ব্যবহার করা হয়েছে। তার মানে দাড়াচ্ছে, সুরাহ ফাতিহা হচ্ছে আমাদের ভাষ্য কিন্তু সেটাও আল্লাহ আমাদের বলেছেন, আল্লাহ তায়ালা আমাদেরকে শিখিয়ে দিয়েছেন আর বাকি সুরা গুলোও আল্লাহ তায়ালার বাণী। এ থেকে আরো প্রতিয়মান হয় যে, সুরা ফাতিহা আল্লাহ তায়ালা আমাদেরকে এই জন্যই দিয়েছেন যাতে আমরা সহজেই আল্লাহর কাছে চাইতে পারি। আর এই চাওয়াটাই একটি application form এর মত করে আমাদেরকে শিখিয়ে দিয়েছেন। ব্যাস ।
🎙আরও কিছু কথাঃ
১/ সুরা আম্বিয়া ২১:১০ = আমি তোমাদের প্রতি একটি কিতাব অবর্তীর্ণ করেছি; এতে তোমাদের জন্যে উপদেশ রয়েছে। তোমরা কি বোঝ না? = কুরআনুল কারীম সম্পূর্ন বিশ্ববাসীর জন্য হেদায়েত হিসেবে এসেছে আর কুরআনে আছে মানুষেরই আলোচনা যাতে মানবজাতি কুরআন পড়তে, বুঝতে এবং তার থেকে হিদায়াত পেতে পারে।
২/ তাফহিমূল কুরআনের, সুরা ফাতেহার পৃষ্ঠা ৩৯ বলা হয়েছে= সূরা ফাতিহা একটি দুয়া, আর দুয়া হলো যার মাধ্যমে কোনো কিছু চাওয়া হয়। তাই তো সূরা ফাতিহার এক নাম সূরাতুদ দুয়াও বলা যায় । আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তাআলা কুরআনে অনেকগুলো আয়াত নাযিল করেছেন যার বিষয়বস্তু দুয়া বা প্রার্থনা। সেই দুয়াগুলোর দিকে দৃষ্টিপাত করলে দেখা যাবে সেখানে রব্বানা বা রব্বি অর্থাৎ আমাদের রব বা আমার রব ইত্যাদি সম্বোধন এসেছে যাতে মানবজাতিকে দুয়া করানো শিখানো হয়েছে। যেমনঃ
সুরা বাকারা ২:২০১ = আর তাদের মধ্যে কেউ কেউ বলে-হে পরওয়ারদেগার! আমাদিগকে দুনয়াতেও কল্যাণ দান কর এবং আখেরাতেও কল্যাণ দান কর এবং আমাদিগকে দোযখের আযাব থেকে রক্ষা কর।
সুরা ত্বা-হা ২০:১১৪ = বলুনঃ হে আমার পালনকর্তা, আমার জ্ঞান বৃদ্ধি করুন।
সুরা মু’মিনুন ২৩:৯৭,৯৮ = বলুনঃ হে আমার পালনকর্তা! আমি শয়তানের প্ররোচনা থেকে আপনার আশ্রয় প্রার্থনা করি, এবং হে আমার পালনকর্তা! আমার নিকট তাদের উপস্থিতি থেকে আপনার আশ্রয় প্রার্থনা করি।
এরকম দুয়া সম্পর্কে আরও আয়াত আছে যেখানে আল্লাহ আমাদেরকে দুয়া শিক্ষা দিচ্ছেন যে "হে আমাদের রব" বিস্তারিত দেখুনঃ সুরা বাকারা ২:২০১ > সুরা বাকারা ২:২৮৬ > সুরা ইমরান ৩:৮ > সুরা ইমরান ৩:৩৮ > সুরা ইমরান ৩:১৪৭ > সুরা ইমরান ৩:১৯৪ > সুরা আরাফ ৭:২৩ > সুরা আরাফ ৭:৪৭ > সুরা ইবরাহীম ১৪:৪০ > সুরা ইবরাহীম ১৪:৪১ > সুরা কা’হফ ১৮:১০ > সুরা আম্বিয়া ২১:৮৯ > সুরা ফুরকান ২৫:৬৫ > সুরা নাম’ল ২৭:১৯ > সুরা সাফফাত ৩৭:১০০ > সুরা আহক্বাফ ৪৬:১৫ > সুরা হাশর ৫৯:১০ > সুরা তাহরীম ৬৬:৮ > সুরা নূহ ৭১:২৮ ।
৩/ সূরা ফাতিহা আল্লাহর কালাম হওয়া সত্ত্বেও একে রাখা হয়েছে প্রার্থনামূলক। আল্লাহর কাছে কোন জিনিসের প্রার্থনা করতে হবে, কীভাবে করতে হবে, তার প্রনালী কেমন হওয়া উচিত, সত্যিকারের সঠিক পথ কোনটি ইত্যাদি বিশ্বমানবের সামনে তুলে ধরা হয়েছে । আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তাআলা মানুষকে তার নিজের ভাষায় দুয়া করাতে শিখানোর জন্যই মানুষের মত ভঙ্গি করে বলেছেন। যেমনঃ কোনো শিক্ষক তার ক্লাসের ছাত্রদের কাছ থেকে যা শুনতে চান তা নিজেই অনেক সময় বলে দেখান যে তিনি মূলত ছাত্রদের কাছ থেকে কোন কথা কিভাবে, কোন ভঙ্গিতে ও কোন ভাষায় শুনতে চাচ্ছেন। ব্যাপারটি আরো ভালোভাবে বুঝার জন্য একটি উদাহরন দেওয়া যেতে পারে। এক বাবা বাসায় ফিরে দেখলেন যে তার ছোট্ট বাচ্চাটি খেলছে যে কয়েকদিন ধরে আধো আধো বোল বলা শিখেছে, তাই বাবাটি তার বাচ্চাটিকে কোলে নিয়ে বাচ্চাটির মুখ থেকে আব্বু ডাক শোনার জন্য নিজেই বারবার বলে চলছেন” বল, বাবা “আব্বু, আব্বু, আব্বু” এখন বাচ্চাটি যদি তার বাবার থেকে শুনে আব্বু আব্বু ডাক দেয় তাহলে কি এই কথা বলা যাবে যে বাবাটি আব্বু আব্বু কেন বলবে?? এটা তো ওই বাবার কথা হতেই পারেনা। এটাত ওই বাচ্চারই কথা!!! এই সহজ বিষয় নাস্তিক ধর্মের অনুসারীরা বুঝে না , আহারে কি আমার যুক্তিবাদীরে !
৪/ একটি বইয়ের ভূমিকায় সাধারনত লেখকের পরিচয় বা বইটি লেখার উদ্দেশ্য, বইয়ের বিষয়বস্তু সম্পর্কে সামান্য ধারনা পায় যা সাধারনত লেখা থাকে লেখকের নিজের ভাষায় তবে এই ক্ষেত্রে কুরআনের অনন্য বৈশিষ্ট্য হল পাঠক যাতে এর নাযিলকারী আল্লাহর সামান্য পরিচয়, নাযিলকারীর সাথে পাঠকের সম্পর্ক, পাঠক এই বইটি থেকে পরবর্তীতে কি পেতে যাচ্ছে এবং সাথে সাথে বইটি থেকে সত্যিকারের উপকার হাসিল করতে চাইলে কী করতে হবে এইগুলো পাঠকের নিজের ভাষায় প্রার্থনা বা দুয়ারুপে বর্ননা করা হয়েছে যাতে পাঠক ভূমিকা থেকেই বইটির সাথে নিজের অন্তরের সাথে সূক্ষ্ণ একাত্মতা খুজে পায়। যা পাঠককে কুরআনের প্রতি আগ্রহী করে তুলবে সাথে সাথে কুরআন থেকে উপকার পেতে সহায়ক করবে।
৫/ কুরআন যেহেতু বিশ্বমানবের হেদায়াতের জন্য আল্লাহর পক্ষ থেকে এসেছে তাই কুরআনের ভূমিকা সূরা ফাতিহার ভাবটিই এমন রাখা হয়েছে যা এর পাঠককে অবহিত করবে এই বই কার পক্ষ থেকে এসেছে, তার পরিচয়, সাথে সাথে এই বইটি থেকে সরল সঠিক পথের সন্ধান হলে পেতে তার অন্তরকে নিরপেক্ষ রাখতে হবে। তাই সূরা ফাতিহার মাধ্যমেই আল্লাহর নিকট থেকে যারা সঠিক পথ পেয়েছেন তাদের মতো সরল, সোজা ও সঠিক পথ পাওয়ার প্রার্থনা এবং যারা এই পথ থেকে ছিটকে গেছে তাদের মতো হওয়া থেকে আল্লাহর কাছে আশ্রয় প্রার্থনা করা যায় কারন সূরা ফাতিহা হলো একটি প্রার্থনা আর পুরো কুরআনই হলো তার উত্তর।
৫/ মানুষ যখন আল্লাহর কালাম বা বানী তাদের অন্তরের সুপ্ত দুয়ারুপে পাঠ করবে তা পাঠককে আল্লাহর আরো নিকটবর্তী করে তুলবে যা কুরআনের অন্যতম উদ্দেশ্য।
৬/ এটা অনেক চোখ থাকতেও অন্ধের মতো ব্যক্তিদের কাছে কুরআনের ত্রুটি মনে হলেও সত্যিকার অর্থে এটি কুরআনের বিশেষ বৈশিষ্ট্য যা কুরআনকে অন্যান্য ধর্মগ্রন্থ থেকে স্বতন্ত্র করে তা হলো এতে মানুষ নিজের আলোচনা পাবে, কখনো নিজের অন্তরের সুপ্ত কথাটিই কুরআনের পাতায় পাবে, কখনো মনে হবে কুরআন তার নিজের মনের মত করেই একের পর এক কথা বলে যাচ্ছে,কখনো বা নিজের অন্তরের দুয়াটিই কুরআনের পাতায় পাবে যা তাকে সত্যই আল্লাহর সাথে কথা বলার স্বাদ দিবে। এটি কুরআনের স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্য।
৭/ সূরা ফাতিহা যেহেতু প্রতি সালাতের প্রথমেই পাঠ করা বাধ্যতামূলক । তাই সূরা ফাতিহার ভাবটি এমনই রাখা হয়েছে যাতে সালাত পড়ার সময় এর পাঠকারী আল্লাহর প্রশংসা, তার মহানত্ব, তার মহাশক্তি বর্ননা করতে পারে সাথে সাথে তারই কাছে সবচেয়ে সরল, সোজা ও সঠিক পথের দিশা চেয়ে প্রার্থনা করা যেতে পারে যা একজন মুমিনের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ন।
কুরআনকে তারা যেভাবে একটি সাধারন বইয়ের মত করে দেখে বা দেখানোর চেষ্টা কুরআন তার থেকে অনেক উর্দ্ধে ও অনেক উচ্চ তাঁর উদ্দেশ্য।
সুরা ফাতিহা বিষয়ে খুবই চমৎকার একটি লেখা পড়তে পারেনঃ
https://quranerkotha.com/surah-fatiha/
⁉️ নাস্তিক ধর্মের ফতোয়াঃ
ড হুমায়ূন আজাদ তার "আমার অবিশ্বাস" বইয়ের ১৯ নং পৃষ্ঠায় বলেছেনঃ মানুষ যখন জীবনের অর্থ খুজতে চায়, বুঝতে চায় জীবনের অর্থ কী, তখন সে মুখোমুখি হয় নিরর্থকতার । জীবনের কোন অর্থ নেই , কোন মহৎ উদ্দেশ্য নেই , সধীন্দ্রনাথ যেমন বলেছেন তার সারকথা পিশাচের উপজীব্য হওয়া ।
ড হুমায়ূন আজাদ তার "আমার অবিশ্বাস" বইয়ের ১৭ নং পৃষ্ঠায় বলেছেনঃ তবে সব কিছুই নিরর্থক, জগত পরিপূর্ণ নিরর্থকতায়, রবীন্দ্রনাথ নিরর্থক, আইনস্টাইনও নিরর্থক, তরুণীর চুম্বনও নিরর্থক,দীর্ঘ সুখকর সংগমও নিরর্থক, রাষ্ট্রপতিও নিরর্থক, কেননা সব কিছুরই পরিনতি বিনাশ।
🔆 উপরের বিখ্যাত দুটি ফতোয়া থেকে আমার কিছু প্রশ্ন হলঃ
"জৈনিক খগেনর্ক প্রাণী" দাদা আপনি যে কুরানকে ভুল প্রমান করতে যে এত পরিশ্রম করে মিথ্যাচার করলেন এটি কি অর্থপূর্ণ ?
ক/ যদি বলেন হ্যাঁ তাহলে উপরের দুটি ফতোয়া ভুল । আপনি মিথ্যাবাদী । সেও মিথ্যাবাদী ।
খ/যদি বলেন না তাহলে এত কষ্ট করে কেন মিথ্যাচার করলেন । আপনার লেখা পুরাটাই বাতিল, কোন সন্দেহ নেই ।
⁉️ আরেকটি ফতোয়াঃ
ড হুমায়ূন আজাদ তার "আমার অবিশ্বাস" বইয়ের ১৪৩ নং পৃষ্ঠায় বলেছেনঃ নৈতিকতার সীমা হওয়া উচিত সংকীর্ণ, আমার কোন কাজ জেন অন্যকে ক্ষতিগ্রস্ত না করে, এটুকু ।
🔆প্রশ হলঃ আপনি ইসলামের বিপরীত নাস্তিক ধর্ম সত্য প্রমান করতে গিয়ে কুরআনকে ভুল প্রমান করার জন্য প্রচুর মিথ্যাকথা , ভুল ব্যাখ্যা , গোঁজামিলের আশ্রয় নিয়েছেন যা আমাদের কষ্ট দিয়েছে সুতরাং এটা ঠিক হয়নি এখন আপনি কান ধরে আমার কাছে ক্ষমা চান এবং বলুন আর জীবনেই নাস্তিক ধর্ম প্রচার করতে গিয়ে মিথ্যাকথা, গোঁজামিল, ভুল ব্যাখ্যা এসব করবেন না ? কুরআনে বলেছে সূরা হজ ২২:৩০ = দূরে থাকো মিথ্যা থেকে তাহলে আপনি যদি সত্য বলেন তাহলে তো নাস্তিক ধর্মের খাটি অনুসারী হতে পারবেন না তাহলে কিভাবে মিথ্যা থেকে দূরে থাকবেন ? যদি সত্য কথা বলেন তাহলেই নাস্তিক থাকলেন না , সত্য বলতে হবে কেন ? নাস্তিক ধর্ম দিয়ে ব্যাখ্যা করুন ? সূরা ফাতিহা দিয়ে কুরআন ভুল কেন নাস্তিক ধর্ম দিয়ে ব্যাখ্যা করুন ? যদি বলেন বিবেক দিয়ে তাওলে আমি বলব বিবেক কি অর্থপূর্ণ ? যদি বলেন হ্যাঁ তাহলে হুমায়ূন আজাদ মূর্খ আর যদি বলেন না তাহলে নিরর্থক বিবেক দিয়ে কিভাবে দাবি করলেন কুরআনের আয়াত ভুল ?
হুমায়ুনের কথার সাথে যদি আপনি একমত না হন তাহলে উত্তর দিন কিভাবে জীবন অর্থপূর্ণ ? এবং কেন ? কেন আমরা ভাল ব্যাবহার করব , যেখানে আমাদের মৃত্যুই শেষ ? আপনি কেন আমার এই লেখার জবাব দিবেন যেখানে আপনি আপনি "নাস্তিক ধর্ম" ভাল মন্দ যাচাইয়ের মানদণ্ড নির্ণয় করতে পারেন না ? আপনার বিবেক আছে এই নাস্তিক ধর্মের আলোকে ব্যাখ্যা করুন তো ? আপনার যুক্তি সঠিক আপনি নাস্তিক ধর্ম দিয়ে ব্যাখ্যা করুন তো ? নাস্তিক ধর্ম যে সঠিক এটি নাস্তিক ধর্ম দিয়েই ব্যাখ্যা করুন তো ? নাস্তিকতা মানে স্রস্টায় অবিশ্বাস যদিও এটিও একটি বিশ্বাস তাহলে নাস্তিক অন্ধ বিশ্বাসীরা কেন বিজ্ঞান দিয়ে তাদেরকে সাফাই গাইতে হবে ? বিজ্ঞান ছাড়া কি নাস্তিক ধর্ম লুলা ?
এমডি আলী

যিনি একজন লেখক, বিতার্কিক ও গবেষক। বিভিন্ন ধর্ম ও মতবাদ বিষয় পড়াশোনা করেন। ইসলামের সত্যতা মানুষের কাছে ছড়িয়ে দিতে চান। “সত্যের অনুভূতি” উনার লেখা প্রথম বই। “ফ্যান্টাস্টিক হামজা” দ্বিতীয় বই। জবাব দেবার পাশাপাশি নাস্তিক মুক্তমনাদের যৌক্তিক সমালোচনা করে থাকেন।

Previous Post Next Post