🤔প্রশ্নঃ সংক্রামক রোগ সম্পর্কে ইসলাম এবং নাস্তিক্যধর্ম কি বলে ?
✍️লিখেছেনঃ এম ডি আলী ।
✍️লিখেছেনঃ এম ডি আলী ।
✅উত্তরঃ অনেক ইসলাম বিদ্বেষীকে বলতে শোনা যায় যে নবীজি (সা) বলেছেন সংক্রামক রোগ বলে কিছুই নেই অথচ আমরা সবাই জানি যে ছোঁয়াচে রোগ অবশ্যই আছে সুতরাং ইসলাম ভুল তথ্য দেয় । আসলে সেসব ইসলাম বিদ্বেষীরা কুরআন হাদিস বিষয় কিছুই জানে না, না জেনে অযথাই ভুল প্রশ্ন করে নিজেদেরকে নাস্তিক্যধর্মের সহিহ বিশ্বাসী ভেবে আত্মতৃপ্তির সুধা পান করে , যা জ্ঞানীদের কাছে হাস্যকর ।
♻️যে হাদিসটি থেকে অভিযোগ করা হয় সেটি হলঃ
নবীজি (সা) বলেছেনঃ সংক্রামক ব্যাধি বলতে কিছুই নেই । ( বিস্তারিত পড়ুনঃ ihadis.com, সহিহ মুসলিম, হাদিসঃ ৫৬৮২, ৫৬৮৩, ৫৬৮৭, ৫৬৮৮, ৫৬৮৯, ৫৬৯০ , ৫৬৯৩, ৫৬৯৪, ৫৬৯৫, ৫৬৯৬ - > সহিহ হাদিস । এ হাদিসটি আরও আছে সুনানে আবু দাউদ, হাদিসঃ ৩৯১২,৩৯১৬,৩৯২১ - > সহিহ হাদিস ।
♻️উপরের হাদিসটি দেখেই বিদ্বেষীরা ফলাফল জানিয়ে দেয় অথচ হাদিস শুধু এতটুকুই নয় বরং আরও হাদিস রয়েছে । আমরা সব হাদিস এবং তথ্য একত্রে করে এরপরে ফলাফল বর্ণনা করব । ইসলাম ছোঁয়াচে রোগকে অস্বীকার করেনিঃ বরং বিদ্বেষীরাই ইচ্ছা করে ভুল বুঝেছে । আসুন এখন আর কিছু তথ্য জেনে নেইঃ
ihadis.com, সহিহ মুসলিম, হাদিসঃ ৫৬৩৪, সহিহ হাদিসঃ জাবির (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ হারূন ইবনু মা‘রূফ এবং আবূ তাহির ও আহমাদ ইবনু ‘ঈসা (রহঃ) ......জাবির (রাঃ) এর সানাদে রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হতে বর্ননা করেন যে, তিনি বলেছেন-প্রতিটি ব্যাধির প্রতিকার রয়েছে। অতএব রোগে যথাযথ ঔষধ প্রয়োগ করা হলে আল্লাহর ইচ্ছায় আরোগ্য লাভ হয়।
সুরা বাকারা ২:১৯৫ = তোমরা নিজেদের জীবন ধ্বংসের মুখে ঠেলে দিও না আর মানুষের সাথে ভাল ব্যাবহার করো , নিশ্চয় আল্লাহ্ভাল ব্যাবহারকারীদের ভালবাসেন ।
সুরা আরাফ ৭:৫৬ = দুনিয়াতে শান্তি স্থাপনের পর তোমরা তাতে বিপর্যয় সৃষ্টি করো না ।
ihadis.com, সুনানে আন নাসায়ী, হাদিসঃ ৫৪৯৩, সহিহ হাদিসঃ আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলতেনঃ হে আল্লাহ্! আমি আপনার নিকট আশ্রয় প্রার্থনা করছি পাগলামী, কুষ্ঠ রোগ এবং শ্বেতরোগ এবং অতি মন্দ রোগ ব্যাধি হতে।
ihadis.com, সহিহ মুসলিম, হাদিসঃ ৫৬৮১, সহিহ হাদিসঃ আবূ হুরাইরাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ (এ হাদীস সে সময়ের) যখন রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন: সংক্রমণ ব্যাধি, ক্ষুধায় পেট কামড়ানো পোকা (বা সফর মাসের অগ্রপশ্চাৎকরণ) ও মৃত মানুষের আত্না হতে পেঁচার জন্ম বলতে কিছু নেই। সে সময় জনৈক বেদুঈন বলল, হে আল্লাহ্র রাসূল! তাহলে সে উট পালের কি অবস্থা, যা কোন বালুকাময় ভূমিতে থাকে যা ব্যাধিমুক্ত বলবান। অতঃপর সেখানে খোচ-পাঁচড়া আক্রান্ত (কোন) উট এসে তাদের মধ্য প্রবেশ করে তাদের সবগুলোকে পাঁচড়ায় আক্রান্ত করে দেয়? তিনি বললেন, তাহলে প্রথম (উট) টিকে কে সংক্রমিত করেছিল?
ihadis.com, জামে আত তিরমিজি, হাদিসঃ ১০০১, হাসান হাদিসঃ আবূ হুরাইরা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ আমার উম্মাতদের মাঝে জাহিলী যুগের চারটি (খারাপ) বিষয় আছে। তারা কখনও এগুলো (পুরোপুরি) ছাড়বে না: মৃত ব্যক্তির জন্য বিলাপ সহকারে ক্ৰন্দন করা, বংশ তুলে গালি দেওয়া, সংক্রামক রোগ সংক্রমিত হওয়ার ধারণা, একটি উট সংক্রমিত হলে একশ’টি উটে তা সংক্রমিত হওয়া। কিন্তু প্রশ্ন হলো, প্রথমটি কিভাবে সংক্রমিত হল? আর নক্ষত্রের প্রভাব মান্য করা অর্থাৎ অমুক অমুক নক্ষত্রের প্রভাবে আমাদের উপর বৃষ্টি হলো।
ihadis.com, সহিহ মুসলিম, হাদিসঃ ৫৬৭৭, সহিহ হাদিসঃ ইয়াহ্ইয়া ইবনু ইয়াহ্ইয়া তামীমী (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ ইয়াহ্ইয়া ইবনু ইয়াহ্ইয়া তামীমী (রহঃ) …..‘আবদুল্লাহ ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) হতে রিওয়ায়াত করেন যে, ‘উমার (রাঃ) শামের (সিরিয়ার) দিকে রওয়ানা হলেন। ‘সার্গ’ নামক স্থান পর্যন্ত পৌছালে ‘আজনাদ’ অধিবাসীদের (প্রতিনিধি ও অধিনায়ক) আবূ ‘উবাইদাহ্ ইবনু জার্রাহ্ ও তাঁর সহকর্মী গণ তাঁর সাথে দেখা করলেন। তখন তাঁরা সংবাদ দিলেন যে, শামে মহামারী আরাম্ভ হয়েছে। ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) বলেন, তখন ‘উমার (রাঃ) বললেন-প্রাথমিক যুগের মুহাজিরদের আমার নিকট ডেকে আন। আমি তাদেরকে ডেকে নিয়ে আসলে তিনি তাঁদেরকে সংবাদ দিলেন যে, শামে মহামারী আরাম্ভ হয়ে গেছে। এ বিষয়ে তাঁদের কাছে থেকে পরামর্শ চাইলেন। অতঃপর তাঁরা দ্বন্দে পড়ে গেল। তাঁদের কেউ কেউ বলল, আপনি একটি বিশেষ কাজের উদ্দেশ্যে বের হয়েছেন, তাই আমরা আপনার ফিরে যাওয়া যথাযথ মনে করি না। আর কেউ কেউ বললেন, আপনার সঙ্গে অনেক প্রবীণ লোক এবং রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সাহাবীগণ রয়েছেন। তাই আমরা তাঁদেরকে এ মহামারীর সম্মুখে ছেড়ে দেয়া যুক্তিসঙ্গত মনে করি না। তিনি বললেন, আপনারা উঠুন! তারপর বললেন, আনসারীদের আমার নিকট ডেকে আনো। আমি তাঁদেরকে তাঁর নিকট ডেকে নিয়ে আসলে তিনি তাঁদের কাছেও পরামর্শ চাইলেন। তাঁরা মুহাজিরদের পন্থা অনুকরণ করলেন এবং মুহাজিরগণের মতো তাঁদের মধ্যেও দ্বিমত সৃষ্টি হলো। তিনি বললেন, আপনারা উঠুন! তারপর তিনি বললেন, (মক্কা) বিজয়ের পূর্বে হিজরতকারী কুরায়শের মুরুব্বীদের যারা এখানে আছেন, তাঁদের আমার নিকট পাঠাও। আমি তাঁদেরকে ডেকে আনলাম। তাঁদের দু’জনও কিন্তু ভিন্নমত পোষণ করলেন না। তাঁরা (সকলেই) বললেন, আমরা যুক্তিযুক্ত মনে করি যে, আপনি লোকদের নিয়ে ফিরে যান এবং তাঁদেরকে এ মহামারীর দিকে ঠেলে দিবেন না। তখন ‘উমার(রাঃ) লোকদের মাঝে ঘোষণা দিলেন, আমি ভোরে সাওয়ারীর উপর থাকবো, তোমরাও ভোরে সাওয়ারীর উপর আরোহণ করবে। তখন আবূ ‘উবাইদাহ্ ইবুন জার্রাহ্ (রাঃ) বললেন, আল্লাহ্র তাকদীর হতে ভেগে যাওয়া ? তখন ‘উমার(রাঃ) বললেন, হে আবূ ‘উবাইদাহ্! তুমি ছাড়া অন্য কেউ এমন করলে, (রাবী বলেন) ‘ উমার (রাঃ) তাঁর বিরুদ্ধাচারণ অপছন্দ করতেন। (তিনি বললেন) হ্যাঁ! আমরা আল্লাহ্র তাক্দীর হতে আল্লাহ্রই তাক্দীরের দিকে পলায়ন করছি। তোমার যদি একপাল উট থাকে আর তুমি একটি উপত্যকায় অবতীর্ণ হও যার দু’টি প্রান্তর রয়েছে, যার একটি সবুজ শ্যামল, অপরটি তৃণশূন্য; সে ক্ষেত্রে তুমি যদি সবুজ শ্যামল প্রান্তরে (উট) চরাও, তাহলে আল্লাহ্র তাকদীরেই সেখানে চরাবে আর যদি তৃণশূন্য প্রান্তরে চরাও, তাহলেও আল্লাহ্র তাকদীরেই সেখানে চরাবে। রাবী বলেন, এ সময়ে ‘আবদুল রহমান ইবনু ‘আওফ(রাঃ) এলেন, তিনি (এতক্ষণ) তাঁর কোন প্রয়োজনে অনুপস্থিত ছিলেন। তিনি বললেন, এ বিষয়ে আমার নিকট (হাদীসের) ‘ইল্ম রয়েছে। আমি রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে বলতে শুনেছি, যখন তোমরা কোন এলাকায় সেটার খবর শুনতে পাও, তখন তার উপরে (দুঃসাহস দেখিয়ে) এগিয়ে যাবে না। আর যখন কোন দেশে তোমাদের সেখানে থাকা অবস্থায় তা দেখা যায়, তখন তা হতে পলায়ন করে বেরিয়ে পড়ো না। বর্ণনাকারী বলেন, তখন ‘উমার(রাঃ) আল্লাহ্র প্রশংসা করলেন। অতঃপর চলে গেলেন।
ihadis.com, সহিহ মুসলিম, হাদিসঃ ৫৬৮০, সহিহ হাদিসঃ আবদুল্লাহ ইবনু ‘আমির ইবনু রাবী‘আহ্ থেকে বর্ণিতঃ ‘উমার (রাঃ) শামের দিকে সফরে বের হলেন, ‘সার্গ’ পর্যন্ত গমন করলে তাঁর নিকটে (খবর) আসল যে, শামে মহামারী লক্ষ্য করা গেছে। তখন ‘আবদুর রহ্মান ইবনু ‘আওফ(রাঃ) তাঁকে সংবাদ দিলেন যে, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ তোমরা যখন কোন অঞ্চলে মহামারীর (সংবাদ) শুনবে, তখন তার দিকে অগ্রসর হবে না। আর যখন কোন অঞ্চলে সেটা দেখা দিবে, আর তোমরা সেখানে রয়েছো, তাহলে সেখান থেকে পালিয়ে বের হয়ে যেও না। অতঃপর ‘উমার ইবনুল খাত্তাব (রাঃ) সার্গ হতে প্রত্যাবর্তন করলেন।
ihadis.com, সহিহ মুসলিম, হাদিসঃ ৫৬৮৪,৫৬৮৫, সহিহ হাদিসঃ রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ সংক্রমণ (এর অস্তিত্ব) নেই। তিনি আরও বলেন যে, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ ব্যাধিযুক্ত উটপালের মালিক (অসুস্থ উটগুলোকে) সুস্থ উটপালের মালিকের (উটের) ধারে কাছে আনবে না।
ihadis.com, সুনানে আবু দাউদ, হাদিসঃ ৩৯১৫, সহিহ হাদিসঃ বাক্বিয়্যাহ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ আমি মুহাম্মাদ ইবনু রাশিদ (রহঃ)-কে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর বাণী অর্থাৎ পেঁচা সম্পর্কে প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, জাহিলী যুগে লোকেরা ধারনা করতো কাউকে মৃত্যুর পর দাফন করা হলে ঐ মৃত ব্যক্তি কবর থেকে পেঁচা হয়ে বেরিয়ে আসে। অতঃপর তাঁর বাণী অর্থাৎ সফর মাস সম্পর্কে প্রশ্ন করলে তিনি বললেন, আমরা শুনেছি, জাহিলী যুগে লোকেরা সফর মাসে কোথাও যাত্রা করাকে কুলক্ষুনে মনে করতো। তাই নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সফর মাসকে অশুভ মনে করতে নিষেধ করেন। মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, সে যুগে কেউ যদি বলতো, সফর মাসে পেটে ব্যথা হয়। সবাই বলতো, এটা সংক্রামক। তাই তিনি বলেছেনঃ সফর মাস এরূপ নয় যেরূপ তোমরা ধারনা করে থাকো।
ihadis.com, সুনানে আবু দাউদ, হাদিসঃ ৩৯১১, সহিহ হাদিসঃ আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ সংক্রামক রোগ বলতে কিছু নেই। কুলক্ষণ বলতে কিছু নেই, সফর মাসকেও অশুভ মনে করা যাবে না এবং পেঁচা সম্পর্কে যেসব কথা প্রচলিত রয়েছে তাও অবান্তর। তখন এক বেদুঈন বললো, হে আল্লাহর রাসূল! আমার উটের পাল অনেক সময় মরুভূমির চারন ভূমিতে থাকে, মনে হয় যেন নাদুস-নুদুস জংলী হরিণ। অতঃপর সেখানে কোন একটি চর্মরোগ আক্রান্ত উট এসে আমার সুস্থ উটগুলোর সাথে থেকে এদেরকেও চর্মরোগী বানিয়ে দেয়। তিনি বললেনঃ প্রথম উটটির রোগ সৃষ্টি করলো কে? মা’মার (রহঃ) বলেন, যুহরী (রহঃ) বলেছেন, অতঃপর এক ব্যক্তি আবূ হুরায়রা (রাঃ) সূত্রে বর্ণনা করেন, তিনি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে বলতে শুনেছেনঃ রোগাক্রান্ত উটকে যেন সুস্থ উটের সাথে একত্রে পানি পানের জায়গায় না আনা হয়।” আবূ হুরায়রার (রাঃ) এ হাদীস শুনে এক ব্যক্তি বললো, আপনি কি এ হাদীস বর্ণনা করেননি যে, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ সংক্রামক ব্যাধি বলতে কিছু নেই, সফর মাসকে অশুভ মনে করবে না এবং পেঁচা সম্পর্কে যেসব কথা প্রচলিত আছে তা অবান্তর?” তখন আবূ হুরায়রা বলেন, না, আমি তোমাদের নিকট এরূপ হাদীস বলিনি। যুহরী বলেন, আবূ সালামাহ (রাঃ) বলেছেন, তিনি অবশ্যই এ হাদীস বর্ণনা করেছেন, তবে আমি আবূ হুরায়রা্কে এ হাদীস ছাড়া কখনো কোন হাদীস ভুলে যেতে শুনিনি।
📶উপরের হাদিস সমূহের মুল ব্যাখ্যা হলঃ
"সংক্রামক রোগ বলে কিছুই নেই" এই কথার অর্থ হল রোগের নিজস্ব কোন ক্ষমতা নেই বরং আল্লাহ সেই রোগের মাঝে সংক্রামকের ক্ষমতা দিয়েছেন । মাওলানা শামশূল হক ফরিদপুরী (রহ) লিখিত, বোখারী শরীফ (বাংলা তরজমা ও বিস্তারিত ব্যাখ্যা) ৬ খণ্ড, ৩১৯ থেকে ৩২২ পৃষ্ঠায় বর্ণনা করা হয়েছে হাদিসে "কোন ব্যাধি সম্পর্কে ছোঁয়াচে বা সংক্রামক হওয়ার আকিদা ও বিশ্বাস রাখা নিষিদ্ধ" এবং সর্বশেষ বাক্য "কুষ্ঠ রোগী হতে দূরে থাকো" - এই দুইটি বিষয়ের মধ্যে কোন অসামঞ্জস্যতা নেই । কারন কোন রোগ বা ব্যাধিকে ছোঁয়াচে ও সংক্রামক বিশ্বাস না করার উদ্দেশ্য এই যে - কোন ব্যাধি সম্পর্কে এরুপ আকিদা পোষণ করবে না যে এই ব্যাধিগ্রস্থের সংস্পর্শেই অন্য মানুষ আক্রান্ত হয়ে যায় । উহার জন্য আল্লাহর সৃষ্টিরও আবশ্যক হয় না । আল্লাহ তা'লা কর্তৃক সৃষ্টি করা ব্যাতিরেকে শুধু সংস্পর্শের দরুনই উক্ত ব্যাধির উৎপত্তি হয়ে যায় । ....... প্লেগ, কুষ্ঠ ইত্যাদি কতিপয় রোগ সম্পর্কে জাহেলিয়াতের বা অন্ধকার যুগে মোশরেকদের একটি বদ্ধমুল ধারনা ছিল, যে ধারনা বর্তমান যুগের বিজ্ঞান পূজারীদের মধ্যেও দেখা যায় যে, এই সব রোগ ছোঁয়াচে ও সংক্রামক । অর্থাৎ এই রোগগ্রস্ত রোগীর সংস্পর্শেই অন্য লোক এই রোগে আক্রান্ত হয়ে যায় আল্লাহর সৃষ্টির তোয়াক্কা রাখে না । এই ধরনের আকিদা ও বিশ্বাস ইসলাম বিরোধী । আলোচ্য হাদিসে এই শ্রেণীর সংক্রামকতাকেই অলীক ও অবাস্তব বলা হয়েছে ।
বিখ্যাত গ্রন্থ "তিব্বে নববী" ৬০, ৬১, ৬১ পৃষ্ঠায় বর্ণনা করা হয়েছেঃ হযরত ইবনে আব্বাস (রা) বর্ণনা করেন, নবীজি (সা) বলেছেন একদিন হযরত ইব্রাহীম (আ) আল্লাহর নিকট প্রশ্ন করলেন, হে আমার প্রতিপালক রোগ কার পক্ষ হতে ? আল্লাহ বলেন আমার পক্ষ হতে । আবার তিনি প্রশ্ন করলেন ঔষধ কার পক্ষ হতে ? জবাব এল আমার পক্ষ হতে । ইব্রাহীম (আ) আবার জিজ্ঞাসা করলেন তাহলে চিকিৎসকের প্রয়োজন কি ? আল্লাহ জবাব দিলেন চিকিৎসকের মাধ্যমে ঔষধ পাঠানো হয় ।
উপরোক্ত তিনটি প্রশ্ন ও জবাবের মধ্যে রোগ, নিরাময় চিকিৎসা ও ঔষধপত্র ইত্যাদির পরিপূর্ণ দর্শন এসে গেছে । রোগ যেমন আল্লাহর পক্ষ হতে আসে তেমনি নিরাময়ের ঔষধও সর্বশ্রেষ্ঠ চিকিৎসক মহান আল্লাহ তা'লাই সৃষ্টি করেছেন ।
নবী (সা) এর নিকট এক সাহাবী আরয করলেন, হে আল্লাহর রাসুল ! আমরা কি ঔষধপত্র চিকিৎসা গ্রহন করব ? চিকিৎসক কি খোদার বিধান ফিরাতে পারে ? নবী (সা) বললেন চিকিৎসাও খোদায়ী বিধান - মুসতাদরাকে হাকেম ।
ihadis.com, জামে আত তিরমিজি, হাদিসঃ ২৩০৪, সহিহ হাদিসঃ রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ এরূপ দুটি নিয়ামাত আছে যে ব্যাপারে বেশিরভাগ লোক ধোঁকায় নিপতিত : সুস্বাস্থ্য ও অবসর সময়।
সুতরাং বিখ্যাত এই হাদিস ব্যাখ্যা গ্রন্থে সেটাই বলা হয়েছে অর্থাৎ রোগের নিজস্ব কোন ক্ষমতা নেই বরং আল্লাহ রোগের মাঝে সংক্রামকের ক্ষমতা দিয়েছেন আর এটাই নবিজি (সা) এর "সংক্রামক বলে কিছুই নেই" কথার বিশুদ্ধ ব্যাখ্যা অথবা সঠিক অর্থ ।
🆗উপরের তথ্য সমূহ সামনে রেখে আমরা স্পষ্ট হলাম যেঃ
১/ প্রত্যেকটি রোগের ঔষধ আছে । অতএব রোগে যথাযথ ঔষধ প্রয়োগ করা হলে আল্লাহর ইচ্ছায় আরোগ্য লাভ হয়।
২/ নিজেদের জীবনকে ধ্বংস করা নিষেধ ।
৩/ দুনিয়াতে শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে হবে এবং এরপরে আর অশান্তি সৃষ্টি করা যাবে না ।
৪/ রাসুল (সা) ছোঁয়াচে এবং ভয়াবহ রোগ থেকে আশ্রয় চেয়েছেন আল্লাহর কাছে ।
৫/ সংক্রামক রোগের ধারনা জাহেলি যুগের ভ্রান্ত ধারনা কারন প্রথমটি কিভাবে সংক্রমিত হল? অর্থাৎ এই প্রশ্নেই উত্তর আছে যে রোগের নিজস্ব ক্ষমতা নেই বরং আল্লাহ রোগের মধ্যে এই ক্ষমতা দিয়েছেন - এটাই ইসলামের আকিদা ।
৬/ রাসুলের সাহাবীরা মহামারীতে নিজেদের সেফ করার জন্য বিভিন্ন পদ্ধতি নিয়েছেন কারন নবীজি (সা) নিজেই বলেছেন যেখানে মহামারী দেখা সেখানে দুঃসাহস দেখিয়ে সামনে যেও না ।
৭/ জাহিলী যুগে লোকেরা ধারনা করতো সংক্রামক রোগের নিজস্ব ক্ষমতা আছে এখানে আল্লাহর ক্ষমতা নিই - ইসলাম এই ভ্রান্ত ধারনাকে সম্পূর্ণ বাতিল ঘোষণা করেছে ।
৮/ সুতরাং ইসলাম ছোঁয়াচে রোগের অস্তিত্ব অস্বীকার করে এই কথা ভুল বরং আমরা বলব, আল্লাহ রোগের মাঝে সংক্রামকের ক্ষমতা দিয়েছেন বলেই রোগ সংক্রামক করতে পারে, রোগের নিজস্ব ক্ষমতা নেই ।
৯/ "সংক্রামক রোগ বলতে কিছুই নেই" এই কথার অর্থ রোগের নিজস্ব ক্ষমতা নেই বরন আল্লাহ সেই রোগের মাঝে সংক্রামকের ক্ষমতা দিয়েছেন ।
১০/ ইসলামের দৃষ্টিতে রোগ আল্লাহর পক্ষ হতে, ঔষধও আল্লাহর পক্ষ হতে আমাদেরকে উসিলা অথবা মাধ্যম গ্রহন করতে হবে এটাও আল্লাহরই আদেশ ।
১১/ সুস্থ থাকা একটি বিশাল নিয়ামত অর্থাৎ আল্লাহর দান ।
২/ নিজেদের জীবনকে ধ্বংস করা নিষেধ ।
৩/ দুনিয়াতে শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে হবে এবং এরপরে আর অশান্তি সৃষ্টি করা যাবে না ।
৪/ রাসুল (সা) ছোঁয়াচে এবং ভয়াবহ রোগ থেকে আশ্রয় চেয়েছেন আল্লাহর কাছে ।
৫/ সংক্রামক রোগের ধারনা জাহেলি যুগের ভ্রান্ত ধারনা কারন প্রথমটি কিভাবে সংক্রমিত হল? অর্থাৎ এই প্রশ্নেই উত্তর আছে যে রোগের নিজস্ব ক্ষমতা নেই বরং আল্লাহ রোগের মধ্যে এই ক্ষমতা দিয়েছেন - এটাই ইসলামের আকিদা ।
৬/ রাসুলের সাহাবীরা মহামারীতে নিজেদের সেফ করার জন্য বিভিন্ন পদ্ধতি নিয়েছেন কারন নবীজি (সা) নিজেই বলেছেন যেখানে মহামারী দেখা সেখানে দুঃসাহস দেখিয়ে সামনে যেও না ।
৭/ জাহিলী যুগে লোকেরা ধারনা করতো সংক্রামক রোগের নিজস্ব ক্ষমতা আছে এখানে আল্লাহর ক্ষমতা নিই - ইসলাম এই ভ্রান্ত ধারনাকে সম্পূর্ণ বাতিল ঘোষণা করেছে ।
৮/ সুতরাং ইসলাম ছোঁয়াচে রোগের অস্তিত্ব অস্বীকার করে এই কথা ভুল বরং আমরা বলব, আল্লাহ রোগের মাঝে সংক্রামকের ক্ষমতা দিয়েছেন বলেই রোগ সংক্রামক করতে পারে, রোগের নিজস্ব ক্ষমতা নেই ।
৯/ "সংক্রামক রোগ বলতে কিছুই নেই" এই কথার অর্থ রোগের নিজস্ব ক্ষমতা নেই বরন আল্লাহ সেই রোগের মাঝে সংক্রামকের ক্ষমতা দিয়েছেন ।
১০/ ইসলামের দৃষ্টিতে রোগ আল্লাহর পক্ষ হতে, ঔষধও আল্লাহর পক্ষ হতে আমাদেরকে উসিলা অথবা মাধ্যম গ্রহন করতে হবে এটাও আল্লাহরই আদেশ ।
১১/ সুস্থ থাকা একটি বিশাল নিয়ামত অর্থাৎ আল্লাহর দান ।
❓প্রশ্নঃ মহামারীতে মুসলিম মারা গেলে শহীদ তাহলে এই হাদিস কি বলছে না মহামারীতে সকল মুসলিমদের মারা জেতে ?
✅উত্তরঃ ihadis.com, সহিহ বুখারি, হাদিসঃ ২৮৩০, সহিহ হাদিসঃ রাসুল (সা) বলেছেনঃ মহামারীতে মৃত্যু হওয়া প্রতিটি মুসলিমের জন্য শাহাদাত। এই হাদিসের কোথায় বলা হচ্ছে যে "সকল মুসলিম মহামারীতে মৃত্যুবরন করো" ? এই হাদিসে সঠিক ব্যাখ্যা হল একজন মুসলিম সমস্ত সচেতনতা অবলম্বন করার পরেও যদি সে মারা যায় তাহলে সে শহীদ হবে কিন্তু এরমানে এই না যে সে ইচ্ছা করে মারা যাবে । দুনিয়াতে এভাবে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে ইসলাম নিষেধ করেছে । সুরা বাকারা ২:১৯৫ = তোমরা নিজেদের জীবন ধ্বংসের মুখে ঠেলে দিও । সুতরাং প্রশ্নকর্তা হাদিসকে ভুল ভাবে বুঝেছে ।
❓প্রশ্নঃ নাস্তিক্যধর্ম কি বলে ?
✅উত্তরঃ স্রষ্টাকে প্রমানের অভাবে, স্রষ্টাকে বাতিল করাকেই নাস্তিক্যবাদ বলা হয় । নাস্তিক্যবাদকে নাস্তিকরা ধারন করে বিধায় একে নাস্তিক্যধর্মও বলা হয় । নাস্তিক্যধর্ম রোগ নিয়ে ডিল করে না এমনকি ইসলামে কি বলা হয়েছে অথবা বলা নেই সেসব নিয়েও নাস্তিক্যধর্ম ডিল করে না । "করোনা ভাইরাস" নাস্তিক্যধর্ম বিশ্বাস মতে একটি অনর্থক বিষয় কারন বিখ্যাত নাস্তিক্যধর্ম প্রচারক হুমায়ুন আজাদ সাহেব তার "আমার অবিশ্বাস" কেতাবের ১৭ পৃষ্ঠায় বর্ণনা করা হয়েছেঃ তবে সব কিছুই নিরর্থক, জগত পরিপূর্ণ নিরর্থকতায়, রবীন্দ্রনাথ নিরর্থক , আইনস্টাইন নিরর্থক, ওই গোলাপও নিরর্থক, ভোরের শিশিরও নিরর্থক, তরুণীর চুম্বনও নিরর্থক, দীর্ঘ সুখকর সংগমও নিরর্থক, রাষ্ট্রপতি নিরর্থক, কেননা সব কিছুরই পরিনতি বিনাশ ।
"করোনা ভাইরাস"কে যদি নাস্তিকরা বিশ্বাস করে তাহলে তারা অন্ধবিশ্বাসী হিসেবে প্রমানিত হবে । তবে হ্যাঁ যদি কোন নাস্তিক নিজের চোখে সেই ভাইরাস দেখে এবং পরিক্ষা করে শুধুমাত্র তখন সে অন্ধবিশ্বাসী হবে না । এ ছাড়া বাকি খগেনরা বা সমকামীরা সবাই অন্ধ বিশ্বাসী - > নাস্তিক্যধর্মের দৃষ্টিতে । শুধুমাত্র ডাক্তার অথবা বিজ্ঞানীদের মুখের বানী শুনেই সেই অদৃশ্য ভাইরাসের প্রতি বিশ্বাস করা নাস্তিক্যধর্মর আকিদা বিশ্বাস পরিপন্থী কাজ । কারন "আমার অবিশ্বাস" কেতাবের বইয়ের ভূমিকার শেষের দিকে লেখা আছেঃ মানুষের জন্যে যা ক্ষতিকর , সেগুলোর শুরুতেই রয়েছে বিশ্বাস, বিশ্বাস সত্যের বিরোধী, বিশ্বাসের কাজ অসত্যকে অস্তিত্বশীল করা , বিশ্বাস থেকে কখনো জ্ঞানের বিকাশ ঘটে না, জ্ঞানের বিকাশ ঘটে অবিশ্বাস থেকে, প্রথাগত সিদ্ধান্ত দ্বিধাহীনভাবে না মেনে তা পরীক্ষা করার উৎসাহ থেকে ।
সুতরাং ছোঁয়াচে অথবা করোনা ভাইরাস জাই হক না কেন নাস্তিক্যধর্ম এসব নিয়ে ডিল করতে অপারগ তাই কোন নাস্তিক যদি এসব নিয়ে মাতাব্বুরি অথবা বিন্দুমাত্র কোন কোথা বলতে আসে তাহলে সে বিশুদ্ধ নাস্তিক হতে পারেনি এমনকি সে নাস্তিক্যধর্মের বিরুদ্ধে কাজ করলো ।
✅আমার মুক্তমনা প্রশ্নঃ 🤔
১/ "সংক্রামক ব্যাধি বলতে কিছুই নেই" এর অর্থ আল্লাহ রোগ ব্যাধি দেন, রোগের নিজস্ব ক্ষমতা নেই এই অর্থ ভুল, কুরআন হাদিসের আলোকে প্রমান করেন ?
২/ "রোগ-ব্যাধিতে আক্রান্ত হলে চিকিৎসা কর" এই কথা কেন বলা হল যদি সংক্রামক ব্যাধি বলতে কিছুই নেই বুঝানো হয়ে থাকে , কুরআন হাদিস দিয়ে জবাব দিন ?
৩/ "হে আল্লাহ্! আমি আপনার নিকট আশ্রয় প্রার্থনা করছি পাগলামী, কুষ্ঠ রোগ এবং শ্বেতরোগ এবং অতি মন্দ রোগ ব্যাধি হতে" এই দুয়া নবীজি (সা) কেন করলেন যদি সংক্রামক রোগের অস্তিত্ব নাই থাকে ?
৪/ নিজের জীবনকে ধ্বংস করতে নিষেধ করেছে ইসলাম তাহলে "সংক্রামক রোগ নেই" এই কথার ভুল অর্থ বুঝে কেউ যদি মহামারীতে নিজেকে সেফ না রাখে এটার দায়ভার ইসলামের কিভাবে হয়?
৫/ দুনিয়াতে শান্তি সৃষ্টি করতে বলেছে তাহলে মহামারীতে দুঃসাহস দেখিয়ে অশান্তি করতে সেটি ইসলামের বিপক্ষে হবে না কিভাবে ?
৬/ নবীজি (সা) দুঃসাহস দেখিয়ে মহামারী এলাকায় প্রবেশ করতে নিষেধ করেছেন তাহলে ইসলাম কিভাবে সংক্রামক রোগকে অস্বীকার করছে ?
৭/ "মহামারীতে সুস্থ থাকার জন্য কোন পদক্ষেপ নেয়া যাবে না" কুরআন হাদিস থেকে প্রমান করেন?
৮/ কোন সাহাবী "সংক্রামক রোগের অস্তিত্ব নেই" এই কথা সরাসরি আক্ষরিক অর্থে মেনেই মহামারীতে সচেতন না হয়েই মারা গিয়েছে প্রমান দিন ?
৯/ ছোঁয়াচে রোগ কিভাবে শুন্য থেকে নিজেই সৃষ্টি হল ? নাস্তিক্যধর্ম দিয়ে উত্তর দিন ।
১০/ করোনা ভাইরাস কে প্রকৃতি কেন সৃষ্টি করলো ? নাস্তিক্যধর্ম আলোকে জবাব দিন ।
১১/ করোনা ভাইরাসের নিজের কি ক্ষমতা আছে ? যদি উত্তর হয় হ্যাঁ আছে তাহলে সে তার ক্ষমতা কমাতে পারছে না কেন ? যদি উত্তর হয় না তাহলে সে তার ক্ষমতা কিভাবে পেল ? নাস্তিক্যধর্ম কি সমাধান দিবে এখানে ? করোনা ভাইরাস কি বিবর্তনের মাধ্যমে সামনে কোন প্রাণীর রুপ ধরতে পারে ? উত্তর হ্যাঁ হলে সেটার প্রমান কি ? উত্তর না হলে বিবর্তন কেন এটা পারবে না ? নাস্তিক্যধর্ম এখানে কি সমাধান দিবে ?
১২/ মহাবিশ্ব দুর্ঘটনার ফসল তাহলে করোনা ভাইরাসে মানুষ মারা যাচ্ছে তাদের জীবন কিভাবে মূল্যহীন হবে না ? আর ডাক্তাররা যে রোগীদের জীবন বাঁচানোর জন্য চেষ্টা করছে তারা কি নিরর্থক কাজ করছে না - নাস্তিক্যধর্মর দৃষ্টিতে ?
১৩/ শুন্যতা থেকে সুস্থ এবং অসুস্থতার এই সিস্টেম প্রথম কিভাবে অস্তিত্ব লাভ করে এবং কেন ? নাস্তিক্যধর্ম এখানে কি আকিদা বিশ্বাস করতে বলে এবং কেন ?
১৪/ প্রকৃতি কিভাবে করোনা ভাইরাস শুন্য থেকে সৃষ্টি করলো এবং কেন ? ছোঁয়াচে রোগ কিভাবে নিজে নিজেই এই সংক্রামক ক্ষমতা অর্জন করলো ?
১৫/ যতক্ষণ নাস্তিকরা নিজে "করোনা ভাইরাস" পরিক্ষা না করে বিশ্বাস করছে ততক্ষন কি তারা "অন্ধবিশ্বাসী" হিসেবে গণ্য হচ্ছে না ? কারন ডাক্তার (মানুষ) অথবা বিজ্ঞানীদের (এরাও মানুষ) মুখের কথা বিনা প্রমানে বিশ্বাস করা তো নাস্তিক্যধর্মে অন্ধবিশ্বাসী বলা হয় , তাহলে নাস্তিকরা সবাই অন্ধবিশ্বাসী ? এখন এই "অন্ধবিশ্বাসী"র ট্যাগ থেকে রক্ষা পেতে সকল নাস্তিকদের "করোনা ভাইরাস" পরিক্ষা করতে হবে এরপরে বিশ্বাস করতে হবে ! আচ্ছা বিশ্বাস করাও তো একটি ভাইরাস তাহলে কি নিজেরা পরিক্ষা করার পরেও এই করোনা ভাইরাসের প্রতি বিশ্বাস করা যাবে না ? নাস্তিক্যধর্ম কি বলে?
২/ "রোগ-ব্যাধিতে আক্রান্ত হলে চিকিৎসা কর" এই কথা কেন বলা হল যদি সংক্রামক ব্যাধি বলতে কিছুই নেই বুঝানো হয়ে থাকে , কুরআন হাদিস দিয়ে জবাব দিন ?
৩/ "হে আল্লাহ্! আমি আপনার নিকট আশ্রয় প্রার্থনা করছি পাগলামী, কুষ্ঠ রোগ এবং শ্বেতরোগ এবং অতি মন্দ রোগ ব্যাধি হতে" এই দুয়া নবীজি (সা) কেন করলেন যদি সংক্রামক রোগের অস্তিত্ব নাই থাকে ?
৪/ নিজের জীবনকে ধ্বংস করতে নিষেধ করেছে ইসলাম তাহলে "সংক্রামক রোগ নেই" এই কথার ভুল অর্থ বুঝে কেউ যদি মহামারীতে নিজেকে সেফ না রাখে এটার দায়ভার ইসলামের কিভাবে হয়?
৫/ দুনিয়াতে শান্তি সৃষ্টি করতে বলেছে তাহলে মহামারীতে দুঃসাহস দেখিয়ে অশান্তি করতে সেটি ইসলামের বিপক্ষে হবে না কিভাবে ?
৬/ নবীজি (সা) দুঃসাহস দেখিয়ে মহামারী এলাকায় প্রবেশ করতে নিষেধ করেছেন তাহলে ইসলাম কিভাবে সংক্রামক রোগকে অস্বীকার করছে ?
৭/ "মহামারীতে সুস্থ থাকার জন্য কোন পদক্ষেপ নেয়া যাবে না" কুরআন হাদিস থেকে প্রমান করেন?
৮/ কোন সাহাবী "সংক্রামক রোগের অস্তিত্ব নেই" এই কথা সরাসরি আক্ষরিক অর্থে মেনেই মহামারীতে সচেতন না হয়েই মারা গিয়েছে প্রমান দিন ?
৯/ ছোঁয়াচে রোগ কিভাবে শুন্য থেকে নিজেই সৃষ্টি হল ? নাস্তিক্যধর্ম দিয়ে উত্তর দিন ।
১০/ করোনা ভাইরাস কে প্রকৃতি কেন সৃষ্টি করলো ? নাস্তিক্যধর্ম আলোকে জবাব দিন ।
১১/ করোনা ভাইরাসের নিজের কি ক্ষমতা আছে ? যদি উত্তর হয় হ্যাঁ আছে তাহলে সে তার ক্ষমতা কমাতে পারছে না কেন ? যদি উত্তর হয় না তাহলে সে তার ক্ষমতা কিভাবে পেল ? নাস্তিক্যধর্ম কি সমাধান দিবে এখানে ? করোনা ভাইরাস কি বিবর্তনের মাধ্যমে সামনে কোন প্রাণীর রুপ ধরতে পারে ? উত্তর হ্যাঁ হলে সেটার প্রমান কি ? উত্তর না হলে বিবর্তন কেন এটা পারবে না ? নাস্তিক্যধর্ম এখানে কি সমাধান দিবে ?
১২/ মহাবিশ্ব দুর্ঘটনার ফসল তাহলে করোনা ভাইরাসে মানুষ মারা যাচ্ছে তাদের জীবন কিভাবে মূল্যহীন হবে না ? আর ডাক্তাররা যে রোগীদের জীবন বাঁচানোর জন্য চেষ্টা করছে তারা কি নিরর্থক কাজ করছে না - নাস্তিক্যধর্মর দৃষ্টিতে ?
১৩/ শুন্যতা থেকে সুস্থ এবং অসুস্থতার এই সিস্টেম প্রথম কিভাবে অস্তিত্ব লাভ করে এবং কেন ? নাস্তিক্যধর্ম এখানে কি আকিদা বিশ্বাস করতে বলে এবং কেন ?
১৪/ প্রকৃতি কিভাবে করোনা ভাইরাস শুন্য থেকে সৃষ্টি করলো এবং কেন ? ছোঁয়াচে রোগ কিভাবে নিজে নিজেই এই সংক্রামক ক্ষমতা অর্জন করলো ?
১৫/ যতক্ষণ নাস্তিকরা নিজে "করোনা ভাইরাস" পরিক্ষা না করে বিশ্বাস করছে ততক্ষন কি তারা "অন্ধবিশ্বাসী" হিসেবে গণ্য হচ্ছে না ? কারন ডাক্তার (মানুষ) অথবা বিজ্ঞানীদের (এরাও মানুষ) মুখের কথা বিনা প্রমানে বিশ্বাস করা তো নাস্তিক্যধর্মে অন্ধবিশ্বাসী বলা হয় , তাহলে নাস্তিকরা সবাই অন্ধবিশ্বাসী ? এখন এই "অন্ধবিশ্বাসী"র ট্যাগ থেকে রক্ষা পেতে সকল নাস্তিকদের "করোনা ভাইরাস" পরিক্ষা করতে হবে এরপরে বিশ্বাস করতে হবে ! আচ্ছা বিশ্বাস করাও তো একটি ভাইরাস তাহলে কি নিজেরা পরিক্ষা করার পরেও এই করোনা ভাইরাসের প্রতি বিশ্বাস করা যাবে না ? নাস্তিক্যধর্ম কি বলে?