ফেরাউনের চেয়ে কি আপনি নাস্তিক্যধর্ম বেশি বুঝেন?

 


বিষয়ঃ ফেরাউনের চেয়ে কি আপনি নাস্তিক্যধর্ম বেশি বুঝেন?


লিখেছেনঃ এমডি আলী।


হয়ত অনেকেই ফকিন্নি ফেরাউনের ইতিহাস শুনেছেন। কিন্তু কেউ কি ভেবেছেন, কিয়ামত আসার আগে যত নাস্তিক দুনিয়াতে জন্মাবে এই ফকিন্নির মত কেউই ওোতো উচু মানের নাস্তিক হতেই পারবে না। কেন? কারন সে তো আল্লাহকে মানেই নাই বরং সে নিজেকেই খোদা বলে দাবি করে দিসে!

এই স্বঘোষিত আজগুবি নাস্তিক মারাত্মক ভয়ংকর ছিল। মানবতার কোন কাজ সে জীবনে করেছে কিনা সেটাই এক প্রশ্নর দাব্বি রাখে! এনার শাসন আমলে কোন নারীর কোন অধিকার ছিলা, কেউই শান্তিতে মানবতার  অক্সিজেন নিতে পারতেন না! ভাবতে পারেন কেমন ছিল সে যাকে, নাস্তিক্যধর্ম মানবতা শেখাতে পারেনি!

ফেরাউন জমিনে ঔদ্ধত্য প্রদর্শন করেছিল এবং সে তার অধিবাসীদের বিভিন্ন দলে বিভক্ত করেছিল। তাদের একটি শ্রেণীকে সে অত্যন্ত দুর্বল করে রেখেছিল, যাদের পুত্রদের সে যবাই করত ও নারীদেরকে জীবিত রাখত। প্রকৃতপক্ষে সে ছিল বিপর্যয় সৃষ্টিকারী।’ (কাসাস ২৮ : ৪)।

ফেরাউন ও তার বাহিনী জমিনে অন্যায় অহমিকা প্রদর্শন করেছিল। তারা মনে করেছিল তাদেরকে আমার কাছে ফিরে আসতে হবে না। সুতরাং আমি তাকে ও তার সৈন্যদেরকে পাকড়াও করলাম এবং সাগরে নিক্ষেপ করলাম। এবার দেখ, জালিমদের পরিণতি কী হয়ে থাকে! (সূরা : কাসাস ২৮ : ৩৯-৪০)।

এই সু-মহান কুখ্যাত নাস্তিক্যধর্মের পীর ফকিন্নি ফেরাউন একজন সহিহ মুতাবেক নাস্তিক ছিল। সে এতই পাওয়ারফুল নাস্তিক ছিল যে নিজেকেই খোদা বলে দাবি করে দিসে। কিন্তু তার নাস্তিকতা তাকে ভাল করতে পারেনি, তার নাস্তিকতা তাকে পুরুষদের হত্যা করার বিরুদ্ধে থামাতে পারেনি, কেন পারেনি? কারন নাস্তিক্যধর্মে কোন নৈতিকতাই নাই। এটাই সত্য। 

ফেরাউন আকামের ওস্তাদ ছিল। নাস্তিকদের বললে তারা সাফাই গাইবে কিন্তু মনে মনে ঠিকই, ফেরাউন আল্লাহর বিরুদ্ধে নাস্তিক্যধর্মের পক্ষে অবস্থান নিয়েছিল এটাকে নাস্তিকরা মনেপ্রাণে বিশ্বাস করে এবং সমর্থন করে সুতরাং বুঝতেই পারতেছেন নাস্তিকদের দুইমুখী চরিত্র!

ফকিন্নি ফেরাউন যা করেছে সবই ব্যাক্তিস্বাধীনতার অংশ তাই এই সময়ের ছক্কু নাস্তিক সমকামীরা তার বিরুদ্ধে বিন্দুমাত্র কলম আগেও ধরেনি আর কিয়ামতের আগেও ধরবে না। 

যুগে যুগে যারাই নাস্তিক্যধর্ম প্রচার করেছেন তাদের চরিত্র, তাদের শাসন খুবই  ভয়ঙ্কর ছিল। বার বার প্রমানিত হচ্ছে এরপরেও নাস্তিকদের বিবেক জাগ্রত হয় না। বিবর্তন কি ওদের বিবেকের সুস্থ চিন্তাকে হত্যা করেছে?

এমডি আলী

যিনি একজন লেখক, বিতার্কিক ও গবেষক। বিভিন্ন ধর্ম ও মতবাদ বিষয় পড়াশোনা করেন। ইসলামের সত্যতা মানুষের কাছে ছড়িয়ে দিতে চান। “সত্যের অনুভূতি” উনার লেখা প্রথম বই। “ফ্যান্টাস্টিক হামজা” দ্বিতীয় বই। জবাব দেবার পাশাপাশি নাস্তিক মুক্তমনাদের যৌক্তিক সমালোচনা করে থাকেন।

Previous Post Next Post