বৌদ্ধ,খ্রিষ্টান,হিন্দু, শিখ, জৈন ইত্যাদি যতো ধর্ম আছে সব মানুষে মানুষে বৈষম্য সৃষ্টি করে যা অমানবিক। তাই দুনিয়া থেকে ধর্ম বাতিল করে দেওয়া উচিত?


 

♐বিষয়ঃ বৌদ্ধ,খ্রিষ্টান,হিন্দু, শিখ, জৈন ইত্যাদি যতো ধর্ম আছে সব মানুষে মানুষে বৈষম্য সৃষ্টি করে যা অমানবিক। তাই দুনিয়া থেকে ধর্ম বাতিল করে দেওয়া উচিত?


✍লিখেছেনঃ এম ডি আলী। 


ভুমিকাঃ আমি যেহেতু মুসলিম তাই ইসলামে মানুষে মানুষে বৈষম্য অথবা বর্ণবাদ আছে কি নেই সেটা বিশ্লেষণ করব। আমি প্রথমে ইসলামের আলোকে জবাবটি প্রদান করব। এ জবাবের সাথে নাস্তিকদের সম্পর্ক নাই আগেই বলে দিলাম। এটা মুমিনদের জন্য। শেষের অংশে নাস্তিকদের জন্য এক্সট্রা ডোজ দেয়া হবে।

ইসলাম কখনোই চায় না মানুষে মানুষে ভেদাভেদ হউক। ইসলাম সবাইকে একমাত্র আল্লাহর বান্দা হতে বলে তাহলেই মানুষের ইগো আর থাকবে না। আল্লাহর ভয় মনে থাকলে একজন মানুষের মনে কখনোই অন্য মানুষের প্রতি ঘৃণা আসতে পারে না। 

* সূরা আলে ইমরান ২:১০২,১০৩ = হে ইমানদারগণ আল্লাহকে যেমন ভয় করা উচিত ঠিক তেমনিভাবে ভয় করতে থাক এবং অবশ্যই মুসলমান না হয়ে মৃত্যবরণ কর না। আর তোমরা আল্লাহর রজ্জুকে সুদৃঢ় হস্তে ধারণ কর; পরস্পর বিচ্ছিন্ন হয়ো না।’

* সুরা: হুজুরাত ৪৯ঃ ১৩ = হে মানবজাতি, নিশ্চয়ই আমি তোমাদের একজন নারী ও একজন পুরুষ থেকে সৃষ্টি করেছি এবং বিভিন্ন জাতি ও গোত্রে বিভক্ত করেছি, যাতে তোমরা পরস্পরে পরিচিত হও। নিশ্চয়ই আল্লাহতায়ালার কাছে সে-ই সর্বাধিক সম্ভ্রান্ত, যে সর্বাধিক পরহেজগার। নিশ্চয়ই আল্লাহ তায়ালা সর্বজ্ঞ ও সবকিছুর খবর রাখেন। 

* সূরা মায়েদার ৫ঃ৪২= “তুমি যখন মানুষের মাঝে ফায়সালা করবে তখন ন্যায়পরায়ণতার সাথে করো। নিঃসন্দেহে আল্লাহ ন্যায়বানদের ভালবাসেন।”

* সুরা বাকারা ২:১৭৭ = আর সম্পদের প্রতি আসক্ত থাকা সত্ত্বেও যারা আত্মীয়-স্বজন, এতিম, অভাবগ্রস্ত, পথিক ও ভিক্ষুকদের এবং দাসত্ব মোচনের জন্যে ধন-সম্পদ দান করে ও নামাজ প্রতিষ্ঠাসহ যাকাত দান করে, আর ওয়াদা করলে তা পূরণ করে এবং যারা অভাব, বঞ্চনা ও যুদ্ধের সময় ধৈর্য ধারণ করে, এরাই ঈমানের দাবিতে কথায়, আচরণে ও বিশ্বাসে সত্যবাদী এবং এরাই ধর্মভীরু।" 

* ihadis.com সহিহ বুখারী,হাদিসঃ৪৫৮, সহিহ হাদিসঃ কালো বর্ণের একজন নারী বা পুরুষ মসজিদে নববিতে ঝাড়ু দিতেন। পরিস্কার-পরিচ্ছন্নতার কাজ করতেন তিনি। কৃষাঙ্গ সেই নারীর ইনতিকাল হলে সাহাবাগণ গুরুত্বপূর্ণ নয় ভেবে তার মৃত্যুর খবর রাসুলকে (সা.) জানালেন না। কিছুদিন পর রাসুল (সা.) সেই নারীর খোঁজ নিয়ে জানলেন তিনি ইনতিকাল করেছেন। রাসুল (সা.) সাহাবাদেরকে জিজ্ঞেস করলেন, ‘তোমরা আমাকে কেন জানালে না এই খবর?’ এরপর সরাসরি তিনি তখন সেই নারীর কবরে গেলেন এবং নিয়ম ভেঙ্গে সেই নারীর কবরের পাশে পুনরায় জানাজার নামাজ আদায় করলেন। সঙ্গে সঙ্গে একথাও বললেন, ‘যে কোনো মুসলমান মারা গেলে তোমরা অবশ্যই আমাকে জানাবে।’

* ihadis.com ,সুনানে ইবনে মাজাহ: ৪১৪৩, সহিহ হাদিসঃ নবী (সা) বলেন আল্লাহ তা’আলা তোমাদের চেহারা-আকৃতি ও সম্পদ দেখেন না, বরং তিনি তোমাদের অন্তর ও কাজ-কর্ম দেখেন ৷

* ihadis.com সহিহ বুখারী,হাদীস: ১৩১১,১৩১২, সহিহ হাদিসঃ সাহাবী হযরত জাবের রা. বর্ণনা করেন, একদিন আমাদের পাশ দিয়ে একটি লাশ নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। তা দেখে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম দাঁড়িয়ে গেলেন। তাঁর দেখাদেখি আমরাও দাঁড়ালাম। আমরা তাঁকে বললাম, ‘ইয়া রাসূলাল্লাহ! এ তো এক ইহুদির লাশ!’ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, ‘যখন কোনো লাশ নিতে দেখবে, তখন দাঁড়াবে।’

* ihadis.com জামে আত তিরমিযী, হাদীস:১৯৪৩, সহিহ হাদিসঃ সাহাবী হযরত আবদুল্লাহ ইবনে আমর রা.-এর ঘটনা। একদিন তার ঘরে একটি বকরি জবাই করা হল। খাবার রান্না হলে তিনি তার গোলামকে জিজ্ঞেস করলেন, আমাদের ইহুদি প্রতিবেশীকে কি এ খাবার দিয়েছ?’ এরপর তিনি বললেন, ‘আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলতে শুনেছি, প্রতিবেশীর বিষয়ে জিবরাইল আমাকে এত উপদেশ দিচ্ছিলেন, আমি মনে করছিলাম, তিনি হয়ত তাদেরকে ওয়ারিশই বানিয়ে দেবেন।’ 

🆗 নবীজি (সা) কখনোই কোনো মানুষকে শুধুমাত্র কালো হওয়ার কারনে অবজ্ঞা করেননি বরং সব সময় ন্যায়ই প্রতিষ্ঠা করেছেনঃ

🎆 ihadis.com সহিহ মুসলিম, হাদিসঃ২১০৪,সহিহ হাদিস।

🎆 ihadis.com সহিহ বুখারী, হাদিসঃ ১৩৩৭, সহিহ হাদিস।

🎆 ihadis.com মিশকাতুল মাসাবিহ, হাদিসঃ১৬৫৯, সহিহ হাদিস।

🎆 ihadis.com সহিহ বুখারী, হাদিসঃ৬৭৮৭, সহিহ হাদিস।

🎆 ihadis.com সহিহ মুসলিম, হাদিসঃ ১৯৪৮,১৯৪৯,১৯৫০,৩৫৮৪, সহিহ হাদিস।

👉এরকম চমৎকার মানবতা দেখে ইসলামের সুন্দর্য স্বীকার করতে বাধ্য হয়েছে গবেষক অমুসলিমঃ👇

* বিখ্যাত ইংরেজ চিন্তাবিদ পণ্ডিত "জর্জ বার্নার্ড শ" ইসলাম ও নবীজি (সা.) সম্পর্কে বলেছেন, ‘চমৎকার প্রাণবন্ততার কারণে মোহাম্মদের ধর্মের প্রতি আমি সবসময় সুউচ্চ ধারণা পোষণ করি। আমার কাছে মনে হয় এটাই একমাত্র ধর্ম যেটা সদা পরিবর্তনশীল জীবনযাত্রার সঙ্গে অঙ্গীভূত হওয়ার ক্ষমতা রাখে, যা প্রত্যেক যুগেই মানুষের হৃদয়ে আবেদন রাখতে সক্ষম। তিনি আরও বলেন, আমি মোহাম্মদকে নিয়ে ব্যাপক পড়াশোনা করেছি। তিনি অতি চমৎকার একজন মানুষ এবং আমার মতে খ্রিষ্টানবিরোধী হওয়া সত্ত্বেও তাকে অবশ্যই মানবতার ত্রাণকর্তা বলতে হবে’। (Sir George Bernard Shaw, The Genuine Islam, Vol. 1, No. 8, 1936)

* মহিশুর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক কে, এস, রামকৃষ্ণ ১৯৭৯ সনের হজরত মুহাম্মদ (সা:) এর বিশ্বজনীন আদর্শের প্রতি অভীভূত হয়ে “MUHAMMAD-THE PROFET OF ISLAM” নামে একটি পুস্তিকা প্রকাশ করেন। তার মতে, পৃথিবীর একজন সুযোগ্য নাগরিক হিসাবে পরিচয় দিতে হলে বিশ্বের মানবজাতিকে প্রভাবিত করা ধর্ম আর দর্শনসমূহ অধ্যায়ন অপরিহার্য, যে প্রতিবেশি অন্য ধর্মের মানুষের সঙ্গে সুন্দর সম্পর্কের সৃষ্টি করে। তিনিও বিভিন্ন মহান ব্যক্তিত্বের উদ্ধৃতির মধ্য দিয়ে হজরত মুহাম্মদ (সা:) কে বিশ্বের শ্রেষ্ঠ ব্যক্তি হিসেবে প্রতিপন্ন করেছে।

* চিন্তাবিদ,গবেষক আলফ্রেড মার্টিনে তিনিও “THE GREAT RELIGIOUS TEACHER IN THE EAST” গ্রন্থে লিখেছেন, “মুহাম্মদ (সা:) এর মতাদর্শই আরবের তৎকালীন সমাজ ব্যবস্থার পরিবর্তন সাধনে যেভাবে সফলতা লাভ করেছিল, বিশ্বের দ্বিতীয় কোন ধর্মীয় ইতিহাসে তার কোন নজির পাওয়া যায় না।”

👉নাস্তিক মুক্তমনা ভাবনার আলোকে এবার নাস্তিকদের জন্য জবাব দিব👇

ওদের দাবিটি হলোঃ ধর্ম আমাদেরকে বৈষম্য করে,আলাদা করে যা অমানবিক তাই দুনিয়া থেকে বাতিল করতে হবে। আমাদের একমাত্র পরিচয় আমরা মানুষ। 

অভিযোগটি খুব মজার না? 😁 

অভিযোগে প্রবেশের আগে, প্রথমে জেনে নিবো বর্ণবাদ কাকে বলে? উত্তর হলোঃ বর্ণবাদ সেই দৃষ্টিভঙ্গি, চর্চা এবং ক্রিয়াকলাপ যেখানে বিশ্বাস করা হয় যে মানুষ বৈজ্ঞানিকভাবেই অনেকগুলো গোষ্ঠীতে বিভক্ত এবং একই সাথে বিশ্বাস করা হয় কোন কোন গোষ্ঠী অন্য গোষ্ঠীর চেয়ে নির্দিষ্ট কিছু বৈশিষ্ট্যের জন্য উঁচু অথবা নিচু; কিংবা তার উপর কর্তৃত্ব করার অধিকারী; অথবা বেশি যোগ্য কিংবা অযোগ্য।

রেফারেন্সঃ 

https://bn.m.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%AC%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%A3%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%A6

আসল মজা এখন। বৈষম্য করলেই সেটা মানবতাবিরোধী তাই বাতিল করতে হবে এ নৈতিকতা কে আবিস্কার করেছে? যে এটাই সার্বজনীন সঠিক? আমাদের একমাত্র পরিচয় যদি মানুষ হয় তাহলে হাজার হাজার জিনিসকে বাতিল করতে হবে। তার মাঝে একটা হলো নিজেকে মুক্তমনা নাস্তিক এসব বলাই যাবে না কারন আমাদের একমাত্র পরিচয় মানুষ। 

আরও ম্যাজিকাল কথা হলো "একমাত্র মানুষ পরিচয় দিতে হবে" এ যুক্তিতে বিবর্তনবাদও ভুল কেননা বিবর্তনবাদের আলোকে আমরা সবাই প্রাণী,মানুষ নয়।

ধরে নিলাম নাস্তিকদের অভিযোগটি ভাল কিন্তু এখানে আরও সেংকি পেংকি ঘাবলা আছে। আমাদের যে বিভিন্ন দেশ রয়েছে সেগুলোও কিন্তু আমাদেরকে আলাদা করছে। এটাও কিন্তু বৈষম্য? দেশের নামই যেন না থাকে সেই নিয়ে কি কি আন্দোলন করা হয়েছে নাস্তিক মহলে? 

এই যে বিজ্ঞানী, শিক্ষক, ছাত্র, নারী-পুরুষ, দার্শনিক ইত্যাদি যতো টাইটেল আছে এসবও কিন্তু আমাদেরকে উচু নিচু ভেদাভেদ করছে। যে অফিসের বস সে অনেক সম্মানিত আর সবাইকে তার কথা মতো চলতে হবে এটা কি বৈষম্য নয়? যুক্তি কি বলে গো? যারা বিজ্ঞানী তাদের কথাই কেন মানতে হবে? কারন তারা এবং সাধারণ মানুষ উভয়ই বিবর্তনের আলোকে একই। এ তফাৎ করে বৈষম্য করা কতটা মানবিক?

নাস্তিকরা যে আমাদের সাথে কথা বলার সময় বলে উমুক নাস্তিক বিজ্ঞানী এইডা কইসে, হেয় ওইডা কইসে, হাজার হাজার আস্তিক বিজ্ঞানী তার বিপরীতটা বলেছে সেই কথা নাস্তিকরা বিশ্বাস করতে চায় না। এটা কি বৈষম্য নয়? নাস্তিক বিজ্ঞানীরাই সঠিক আর আস্তিক বিজ্ঞানীরা ভুল, এটা কি এক প্রকার সাম্প্রদায়িকতা নয়?

আমাদের একমাত্র পরিচয় যদি শুধু মানুষ হয় তাহলে নারী-পুরুষ শব্দটি অভিধান থেকে ডিলেট করতে হইবো। কারন নারীবাদী খালাদের একটা যুক্তি হইলো পুরুষদের দৈনিক শক্তি বেশি তাই তারা নারীদের ওপর নাকি যুলুম করে। তো এই হিসেবে পুরুষ শব্দ না থাকাই ভালা। আশা করি নারীবাদী খালারা আমার প্রতি অনেক খুশি হবেন। পুরুষ শব্দ বাতিলের কি আন্দোলন করা হয়েছে নারীবাদীদের? 

দেশ ভ্রমণের জন্য ভিসাও বৈষম্য সৃষ্টি করছে। কেননা যার ভিসা+টাকা আছে যে বিভিন্ন দেশে যেতে পারবে আর যার টাকা নাই সে যেতে পারবে না। একটা গরিব মানুষের তো পা আছে সে কষ্ট করলে হেঁটে হেঁটে হলেও তো ভারতের তাজমহল দেখতে পারতো কিন্তু ভিসা নামক একটা বৈষম্যবাদী সিস্টেম এর জন্য সে সুন্দর তাজমহল ভ্রমণ করতে পারলো না। এটা বৈষম্য না তো কি বলেন? বেশি টাকা হলে সম্মানিত আর কম টাকা থাকলে গরিব এটা বৈষম্য না তো কি? 

ক্লাসের এমন অনেক ছাত্র থাকে যে শিক্ষকের থেকে বেশি জানে অথচ সার্টিফিকেট এর জন্য সে শিক্ষকেদের মত সম্মান পায় না। এই সার্টিফিকেট সিস্টেম  বৈষম্য নয় কিভাবে? শুধুমাত্র খাতায় সঠিক জবাব দিলেই কিছু সংখ্যা পেলেই সে ভাল শিক্ষার্থী আর সেই নাম্বার না পেলে ফেইল।  তাহলে কাজী নজরুল ইসলাম কুন ভার্সিটিতে পরীক্ষা দিসিলো? এক্সাম দেয়া এবং পাশ ফেইল বৈষম্যবাদ নয় কিভাবে?

জাতীয় ফল কাঁঠাল, জাতীয় পশু বাঘ, জাতীয় পাখি দোয়েল এভাবে নির্ণয় করাটাও এক প্রকার বৈষম্য নাস্তিকদের যুক্তি অনুপাতে, অথচ এসব ফল,পশু-পাখি নিয়ে যে বৈষম্য সৃষ্টি করা হচ্ছে এটা নিয়ে নাস্তিকদের কোন প্রতিবাদ নাই। কেন? জাতীয় সম্মান কেন শুধু বাঘ, কাঁঠাল, দোয়েল হবে বাকিরা কি অপরাধ করেছে?

একেকজনের নৈতিকতা একেক রকম আর এখানেও বৈষম্য হয় তাহলে "নৈতিকতাও" দুনিয়া থেকে বাতিল হয়ে যাওয়া উচিত নাস্তিকদের যুক্তি অনুযায়ী?বিভিন্ন ভাষাও তো আলাদা তাহলে দুনিয়ায় থেকে তা বাতিল করতে হবে?

মানুষের দৈনিক কাঠামোও ভিন্ন যেমন কেউ লম্বা, কেউ উচু, কেউ সাদা,কেউ কালা।  তাহলে মানুষকেই কি দুনিয়ায় থেকে বাতিল করতে হবে? এটার জন্য কোথায় নাস্তিকরা আন্দোলন করেছে? মানুষ নিজেই যেহেতু  বৈষম্যবাদ সৃষ্টি করেছে তো মানুষকেই তো দুনিয়া থেকে বাতিল করে দেওয়া উচিত নাস্তিকদের যুক্তি অনুপাতে?

এখানে নাস্তিক্যধর্মের বিশ্বাসীরা বলতে পারে আলাদা হলে সমস্যা নেই কিন্তু কাউকে ঘৃণা করা যাবে না। এখানে একটা প্রশ্ন আছেঃ ঘৃণা করা যার যার ব্যক্তিগত   ব্যাপার হলে এটা কেন অনৈতিক? ঘৃণা করলে কারও দৈহিক ক্ষতি হয়? উত্তর হচ্ছে না। তাহলে যদি কারও ক্ষতি না হয় তবে ঘৃণা করা ব্যক্তি স্বাধীনতার অংশ হবে না কেন?

আচ্ছা! এতো কঠিন এবং বিশুদ্ধ শক্তিশালী যুক্তি নাস্তিকদের খন্ডন করতে কষ্ট হতে পারে তাই সহজ করে দিচ্ছি। 

ধরে নিলাম এ কথা ভাল অর্থাৎ আলাদা বা বৈষম্য হলে সমস্যা নেই কিন্তু কাউকে ঘৃণা করা যাবে না।

এ কথা মেনে নিলে ইসলাম কেন দুনিয়া থেকে বিদায় করতে চায় নাস্তিকরা? কারন আমি উপরে প্রমান দিয়েছি ইসলাম সব সময় একতার কথাই বলে এবং ইসলাম কখনোই কাউকে অন্যায় ভাবে ঘৃণা করতে শিক্ষা দেয় না। নাস্তিকদের যুক্তি অনুপাতে ইসলামই তাহলে দুনিয়ায় কিয়ামত অবধি থাকবে।

লিখতে লিখতে একটা কবিতা মনে পরে গেলোঃ

নিন্দুকেরা যত কথাই বলুকনা কেন মোরে,

তবু আমি সত্য কথা বলব সুরে সুরে।

সত্য যতই অপ্রিয় হোক তবু তাহা সত্য,

সত্যের উপরে পৃথিবীতে নাইরে কোন তত্ত্ব।

সত্যের চেয়ে অধিক সুন্দর নাইরে কিছু ভাই,

তাইতো বলি সত্য বলতে নাইরে দ্বিধা নাই।

পরিশেষে বিবেকবান মহলে একটা প্রশ্ন রেখে যাইঃ নাস্তিকদের যুক্তি আসলেই সার্বজনীন অর্থপূর্ণ?🤔

এমডি আলী

যিনি একজন লেখক, বিতার্কিক ও গবেষক। বিভিন্ন ধর্ম ও মতবাদ বিষয় পড়াশোনা করেন। ইসলামের সত্যতা মানুষের কাছে ছড়িয়ে দিতে চান। “সত্যের অনুভূতি” উনার লেখা প্রথম বই। “ফ্যান্টাস্টিক হামজা” দ্বিতীয় বই। জবাব দেবার পাশাপাশি নাস্তিক মুক্তমনাদের যৌক্তিক সমালোচনা করে থাকেন।

Previous Post Next Post