মাদ্রাসার কিছু শিক্ষক শিশুবলৎকারী কেন?


বিষয়ঃ মাদ্রাসার কিছু শিক্ষক শিশুবলৎকারী কেন?

লিখেছেনঃ এমডি আলী

=======================================

ভূমিকাঃ মাদ্রাসা, স্কুল-কলেজ ইউনিভার্সিটি এসব হচ্ছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। এখানে ছোট থেকে নিয়ে বড় সবাই বিভিন্ন ধরণের জ্ঞান অর্জন করতে আসে। কিন্তু যারা জ্ঞান প্রদান করবে তারা যদি তা না দিয়ে নিজের ছাত্র ছাত্রীদের সাথে অপরাধ করে বসে তখন ব্যাপারটা ক্ষতিকর নয়? 

আমাদের সমাজে সেসব প্রতিষ্ঠান গুলোতে দেখা যায় মাদ্রাসার শিক্ষক হোক অথবা স্কুলের কলেজের বা ইউনিভার্সিটির শিক্ষকই হোক দ্বারা কেউ হচ্ছে সমকামী, কেউ হচ্ছে শিশু বলৎকারকারী, আবার কেউ ধর্ষণ করে খুন করে ফেলছে নিজের ছাত্র বা ছাত্রীদেরকে। 

এসব অপরাধের কারণ কি? উৎস কি? সমাধান কি? শিক্ষা প্রতিষ্ঠান যেমন স্কুল-কলেজ,ইউনিভার্সিটি এমনকি মাদ্রাসায় পর্যন্ত বিভিন্ন ধরণের কুকর্ম হতে দেখা যায়। এই অপরাধ গুলো হতে থাকলে আমাদের আগামী প্রজন্ম কোথায় যাবে জ্ঞান অর্জন করতে?

অমুক হুজুর দ্বারা শিশু ধর্ষণ,তুমুক শিক্ষক বা প্রফেসর দ্বারা শিশুকে বলৎকার করে হত্যা করা, অমুক শিক্ষক, তুমুক শিক্ষক ভয় দেখিয়ে সমকামীতা চর্চা করেছে ইত্যাদি ধরণের নিকৃষ্ট কর্ম হয়ে থাকে। এসব ভয়ংকর সমস্যার কারণ ও যৌক্তিক সমাধান নিয়েই আজকে আমার লেখাটি। আমার এই গবেষণালব্ধ লেখাটি বুঝতে হলে আপনাকে পুরো লেখাটি মন দিয়ে বুঝে বুঝে পড়তে হবে তা না হলে অনেক গুরুত্বপূর্ণ কথাই আপনি উপলব্ধি করতে পারবেন না।


শিশু বলৎকার,সমকামীতা ও শিশু ধর্ষণের খবরঃ


পাঠক আপনাদের সামনে তুলে ধরবো বিভিন্ন স্থানে যেই কুকর্ম হয় সেসব এবং সামনে আলোচনা করা হবে এর কারণ ও সমাধান গুলো। পড়তে থাকুন আর দেখুন এসব কতিপয় নোংরা মানুষদের জন্য বদনাম হচ্ছে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের। এরা কি আসলেই মানুষ নাকি বিবর্তিত প্রাণী?


“প্রথম আলো” পত্রিকায় ২৫ আগস্ট ২০১৩ তারিখে “চট্টগ্রামে মাদ্রাসার শিক্ষক ধর্ষণ করলেন পাঁচ বছরের শিশুকে” শিরোনামে একটি খবর প্রকাশ করা হয়। সেখানে বর্ণিত হয়েছে (১),


চট্টগ্রাম নগরের বাকলিয়া এলাকায় একটি মাদ্রাসার শিক্ষকের বিরুদ্ধে সাড়ে পাঁচ বছর বয়সী এক শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। গত শনিবার আবদুল লতিফ হাটের বায়তুল মনছুর কমপ্লেক্স নূরানি ইসলামিক কিন্ডারগার্টেন নামের মাদ্রাসায় এ ঘটনা ঘটে। অভিযুক্ত শিক্ষকের নাম আবদুল আজিজ। (২৫)। গতকাল রোববার নার্সারি শ্রেণীর শিক্ষার্থী ওই শিশুর পরিবারের পক্ষ থেকে বিষয়টি নিয়ে মাদ্রাসায় অভিযোগ করা হয়। কিন্তু মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ বিষয়টিকে পাত্তা না দিলে এলাকার লোকজন মাদ্রাসাটি ঘেরাও করেন। এরপর পুলিশ জানতে পেরে আবদুল আজিজকে গ্রেপ্তার করে থানায় নিয়ে যায়। আবদুল আজিজ চন্দনাইশ উপজেলার শাখারচর এলাকার আবদুস সবুরের ছেলে। বাকলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ মহসীন বলেন, ‘শনিবার ছুটির পর ওই শিশুটিকে চকলেট দেওয়ার লোভ দেখিয়ে মাদ্রাসায় ধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ পেয়েছি। মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষকে অভিযোগ করার পরও তারা বিষয়টিকে পাত্তা দিচ্ছিল না। পরে লোকজন ঘেরাও করার সংবাদ পেয়ে আমরা ওই শিক্ষককে গ্রেপ্তার করি।’ শিশুটি পুলিশি হেফাজতে রয়েছে। তাকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে। এ ঘটনায় শিশুটির মা বাদী হয়ে একটি মামলা করেছেন।


“News24bd.tv” অনলাইন সুত্রে ৩০ আগস্ট,২০২১ তারিখে “শিশু ধর্ষণ:মাদ্রাসা অধ্যক্ষ ও শিক্ষকের বিরুদ্ধে মামলা” শিরোনামে একটি খবর প্রকাশ করা হয়। সেখানে বর্ণিত হয়েছে (২),


১৫ আগস্ট সকালে মাদ্রাসার তৃতীয় তলার টয়লেটে নিয়ে ভয়ভীতি দেখিয়ে ১০ বছরের এক ছাত্রকে ধর্ষণ করেন এক শিক্ষকএরপর ২৭ আগস্ট সকালে শিশুটিকে টয়লেটে নিয়ে আবারও ধর্ষণ করেন তিনি। সেই ঘটনার পর ওই দিনই শিশুটি বাসায় চলে আসে। পরে বিকালে মাদ্রাসার অধ্যক্ষ শিশুর বাবাকে ফোন করে ছেলেকে মাদ্রাসায় ফেরত পাঠাতে বলেন। কিন্তু বাবা তার সন্তাকে মাদ্রাসায় যাওয়ার কথা বলার পর ওই শিশু কান্নাকাটি শুরু করে। এরপর শিশুটি তার পরিবারের কাছে ধর্ষণের ঘটনা খুলে বলে। ওই দিনই শিশুটির আত্মীয়স্বজন মাদ্রাসায় গিয়ে অধ্যক্ষের কাছে বিষয়টি জানালে অভিযুক্ত শিক্ষককে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। একপর্যায়ে ওই শিক্ষক অভিযোগ স্বীকার করেন। পরে শিশুটির স্বজনেরা সেখান থেকে চলে আসেন। এরপর শিশুটির স্বজনেরা গতকাল জানতে পারেন, অধ্যক্ষের সহযোগিতায় অভিযুক্ত শিক্ষক মাদ্রাসা থেকে পালিয়ে গেছেনসেই ঘটনার পর আজ  সোমবার নির্যাতনের শিকার ওই ছাত্রের বাবা বাদী হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মাদ্রাসা অধ্যক্ষ ও শিক্ষকের বিরুদ্ধে কিশোরগঞ্জ সদর মডেল থানায় মামলা করেছেন। মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, ধর্ষণের শিকার ওই ছাত্র পাঁচ বছর আগে এই মাদ্রাসায় ভর্তি হয়। বর্তমানে সে হেফজ বিভাগে পড়ছে। ১৫ আগস্ট সকালে মাদ্রাসার তৃতীয় তলার টয়লেটে নিয়ে ভয়ভীতি দেখিয়ে ওই ছাত্রকে ধর্ষণ করেন এক শিক্ষক। এরপর ২৭ আগস্ট সকালে শিশুটিকে টয়লেটে নিয়ে আবারও ধর্ষণ করেন তিনি।  


“দৈনিক আগামীর সময়” অনলাইন পত্রিকায় “ছাত্রীকে যৌন নিপীড়নের অভিযোগে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক গ্রেপ্তার” শিরোনামে সংবাদ প্রকাশ করা হয়। সেখানে বর্ণিত হয়েছে (৩),


বেসরকারি শান্ত-মারিয়াম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রভাষক কুমার অনিমেষ ভট্টাচার্যকে (৪২) ছাত্রীকে যৌন নিপীড়নের অভিযোগে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তিনি ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের ফ্যাশন ডিজাইনিং বিভাগের প্রভাষক। বৃহস্পতিবার (৭ জুলাই) রাতে মামলা হওয়ার পর তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। উত্তরা পশ্চিম থানার ওসি মোহাম্মদ মহসীন জানান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। ওই ছাত্রীর করা মামলার বরাত দিয়ে ওসি মহসীন জানান, বারবিকিউ পার্টির কথা বলে গত ৬ জুলাই রাতে ওই শিক্ষার্থীকে উত্তরা ১৪ নম্বর সেক্টরে শিক্ষক কুমার অনিমেষের ফ্ল্যাটে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে অনিমেষ দরজা খুলে ওই ছাত্রীকে টেনে ভেতরে নিয়ে দরজা বন্ধ করে শ্লীলতাহানি করে। মামলার এজাহারে ওই শিক্ষার্থী বলেছেন, শিক্ষকের বাসায় বারবিকিউ পার্টিতে সবাই আসবে বলে তাকে জানিয়েছিলেন তার এক সহপাঠী। মোবাইল ফোনে সে ওই শিক্ষকের সঙ্গে কথাও বলিয়ে দিয়েছিল। পরে পরিবারের অনুমতি নিয়ে ছোট ভাইসহ ওই শিক্ষকের বাসায় যান তারা। সহপাঠীর কথায় ছোট ভাইকে নিচে থাকতে বলে তারা দুইজন ভবনের পঞ্চম তলায় অনিমেষের ফ্ল্যাটে যান। কিন্তু সেখানে কোনো অনুষ্ঠান হচ্ছিল না বা অন্য কেউ ছিল না বলে এজাহারে জানিয়েছেন ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী। শিক্ষক অনিমেষ বিবাহিত হলেও ওই ফ্ল্যাটে তিনি একা থাকেন জানিয়ে ওসি বলেন, রাতে অভিযোগ পাওয়ার পরপরই তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ভুক্তভোগী ওই ছাত্রীকে শিক্ষকের বাসায় নিয়ে গিয়েছিলেন যে সহপাঠী তাকেও পুলিশ খুঁজছে।


“প্রথম আলো” পত্রিকায় ২১ জুলাই ২০১৪ তারিখে “স্কুলে শিশু ধর্ষণের অভিযোগে শিক্ষক গ্রেপ্তার” শিরোনামে একটি খবর প্রকাশ করা হয়। সেখানে বর্ণিত হয়েছে (৪),


ভারতের বেঙ্গালুরুর ভাইবগিওড় স্কুলে ছয় বছরের শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগে ওই স্কুলের স্কেটিং শিক্ষককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ওই শিক্ষকের ল্যাপটপে স্কুলের শিশুদের ধর্ষণ করার ছবি ও ভিডিও পাওয়া গেছে। খবর এনডিটিভি অনলাইনের। বেঙ্গালুরুর পুলিশ কমিশনার রঘবেন্দ্র অরোদকার এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, মুস্তফা ওরফে মুন্না নামের ওই শিক্ষককে তাঁরা গ্রেপ্তার করেছেন। তাঁর বয়স ৩০ থেকে ৩২ বছর। তিনি বিহারের বাসিন্দা। বেঙ্গালুরুতে তিনি ২০ বছর ধরে বাস করছেন। পুলিশ কমিশনার অরোদকার বলেন, তাঁরা ওই ব্যক্তির কাছ থেকে ল্যাপটপ ও মুঠোফোন সেট জব্দ করেছেন। এসব যন্ত্রে বিভিন্ন পর্নোগ্রাফি ছিল। কমিশনার বলেন, ওই ল্যাপটপে স্কুলের শিশুদের ধর্ষণ করার ভিডিওচিত্র ইন্টারনেট থেকে ডাউনলোড করা হয়। এতে তাঁর মানসিকতার পরিচয় পাওয়া গেছে। অভিযোগ ওঠা ওই ব্যক্তিকে আজ আদালতে নেওয়া হচ্ছে। সেখানে তাঁকে হেফাজতে রাখা হবে। পুলিশ ওই ধর্ষণের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে আরেকজনকে খুঁজছে। ধর্ষণের ঘটনার পর স্কুলের শিক্ষার্থীদের অভিভাবকেরা বিক্ষোভে ফেটে পড়েন। তাঁরা স্কুলে থাকাকালে শিশুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা ও অপরাধীদের শাস্তি দাবি করেন। নিরাপত্তা নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত ওই স্কুল বর্জন করেছেন অভিভাবকেরা। ২ জুলাই বেঙ্গালুরুর ভাইবগিওড় স্কুলে ক্লাস চলছিল। বেলা সাড়ে ১১টার দিকে দুষ্টুমি করার জন্য শিক্ষক ছয় বছরের একটি মেয়েকে ক্লাস ছেড়ে চলে যেতে বলেন। শাস্তি হিসেবে স্কুলের একটি ফাঁকা ভাঁড়ার কক্ষে (শরীরচর্চার জিনিসপত্র রাখার ঘর) তাকে দাঁড়িয়ে থাকতে বলা হয়। এ সময় তাকে ধর্ষণ করা হয়


“Jagonews24.com” অনলাইন পত্রিকার সুত্রে ২৯ জানুয়ারি ২০২০ তারিখে “স্কুলের টয়লেটে ছাত্রীকে ধর্ষণের চেষ্টা শিক্ষকের” শিরোনামে একটি খবর প্রকাশ করা হয়। সেখানে বর্ণিত হয়েছে (৫),


নেত্রকোনার আটপাড়া উপজেলায় ছাত্রীকে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে এক স্কুলশিক্ষকের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় ওই ছাত্রীর মামা বাদী হয়ে আটপাড়া থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলাটি করেন। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত রোববার (২৬ জানুয়ারি) বিকেলে উপজেলার সুখারি ইউনিয়নের একটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের খণ্ডকালীন শিক্ষক ঝন্টু সরকার (৩০) সপ্তম শ্রেণির এক ছাত্রীকে বিদ্যালয়ের টয়লেটে ধর্ষণের চেষ্টা করেন। এ সময় ওই ছাত্রীর চিৎকারে পাশের এক দোকানিসহ কয়েকজন শিক্ষার্থী ছুটে এলে শিক্ষক ঝন্টু সরকার দ্রুত সটকে পড়েন। এরপর থেকে তিনি আর বিদ্যালয়ে আসেননি। পরে ঘটনাটি কাউকে না জানাতে তিনি ওই ছাত্রীকে ভয়ভীতি দেখান। বিষয়টি জানাজানি হলে শিক্ষক-শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও স্থানীয়দের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। এ ঘটনায় অভিযুক্ত শিক্ষকের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে মঙ্গলবার দুপুর ২টার দিকে শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসী মানববন্ধন করেন। বিদ্যালয়ের সামনের সড়কে ঘণ্টাব্যাপী মানববন্ধন চলাকালে বক্তব্য দেন বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সদস্য কালাম মিয়া, অভিভাবক মতি মিয়া, সেলিম মিয়া, শামিম মিয়া, মো. কামরুল হাসান, কায়েস আহম্মেদ প্রমুখ। এ ঘটনায় সন্ধ্যার দিকে মেয়েটির মামা বাদী হয়ে ওই শিক্ষককে একমাত্র আসামি করে থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন মামলা করেন। ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত শিক্ষক পলাতক। তার মুঠোফোন বন্ধ থাকায় এ নিয়ে কথা বলা সম্ভব হয়নি। বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি আবুল কালাম আজাদ জানান, ঘটনার পরপরই বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। দায়ী শিক্ষকের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। নেত্রকোনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (কেন্দুয়া সার্কেল) মাহমুদুল হাসান বলেন, ‘আমি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে ঘটনার সত্যতা পেয়েছি। এ নিয়ে থানায় মামলা হয়েছে। আসামিকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলেছে।’


“আমাদের ভারত ডট কম” অনলাইন পত্রিকা সুত্রে ২৫ নভেম্বর, ২০১৯ তারিখে “স্কুল শেষে শৌচলয় নিয়ে গিয়ে ৬ বছরের শিশুকে ধর্ষণ শিক্ষকের” শিরোনামে খবরে বর্ণিত হয়েছে (৬),


ছয় বছরের ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযােগে গ্রেফতার হল এক স্কুল শিক্ষক। ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশে। এলাকার সার্কেল অফিসার ওম প্রকাশ জানিয়েছেন টিন্ডওয়ারি থানার একটি গ্রামের একটি বেসরকারি স্কুলে ছয় বছরের ছাত্রীকে ধর্ষণ করার অভিযােগে গ্রেপ্তার করা হয়েছে শিক্ষককে। শিশুটিকে মেডিকেল পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে পাঠানাে হয়েছে।ঘটনাটি শুক্রবার ঘটেছে। শনিবার ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে অভিযােগ দায়ের করে ওই শিশুটির মা। সার্কেল অফিসার জানান, অভিযুক্ত শিক্ষক আবার ওই মেয়েটির দূর সম্পর্কের আত্মীয়। শুক্রবার ওই শিক্ষক। মেয়েটি ও তার ছােট ভাইকে ক্লাস শেষ হয়ে যাবার পর আলাদাভাবে পড়ানাের নাম করে স্কুলে থেকে যেতে বলে। এরপর সে ছেলেটিকে চকলেট কিনতে দোকানে পাঠায়। ছেলেটি দোকানে গেলে সেই সুযােগে স্কুলের শৌচালয় নিয়ে গিয়ে শিশুটিকে ধর্ষণ করে শিক্ষক। মেয়েটির ভাই ফিরে এসে শৌচালয় থেকে দিদির কান্নার আওয়াজ শুনতে পায় দরজায় ধাক্কাধাক্কি করলে অভিযুক্ত দরজা খুলে রেখে পালায়। বাড়ি ফিরে মাকে সব কথা জানায় ওই শিশুটি। এরপরে অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযােগ দায়ের করে তার মা। শনিবার ওই শিক্ষককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।


“দৈনিক ইত্তেফাক” পত্রিকায় ১৮ এপ্রিল ২০১৯ তারিখে “এবার শিশু ধর্ষণ চেষ্টায় পুরোহিত গ্রেফতার” শিরোনামে খবরে বর্ণিত হয়েছে (৭),


যশোরে মন্দিরের ভিতর পুরোহিতের শিশু ধর্ষণ চেষ্টার ঘটনায় বিব্রত সনাতন ধর্মাবলম্বীরা। ধর্মীয় নেতার এমন আচরণে হতবাক সবাই। পুরোহিতের প্রতি মানুষের দীর্ঘদিনের আস্থা ও বিশ্বাস ধূলিস্মাৎ হয়েছে এ ঘটনায়। যা কোনোভাবেই মেনে নিতে পারছে না এলাকাবাসী। প্রায় সাড়ে ৩শ সনাতন ধর্মাবলম্বীর বাস বিরামপুর গ্রামে। এই গ্রামে পাঁচটি মন্দির রয়েছে। এর একটি ঠাকুর অনুকূল চন্দ্র সৎসঙ্গ আশ্রম মন্দির। সেখানে মন্দিরভিত্তিক শিক্ষা কার্যক্রমও আছে। এই মন্দিরের পুরোহিত প্রকাশ ব্যানার্জী। তার দ্বারা প্রথম শ্রেণিতে পড়ুয়া এক ছাত্রী নিগৃহীতের ঘটনা মেনে নিতে পারছেন না এলাকাবাসী। তারা ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও ন্যায়বিচার নিশ্চিতের দাবি জানিয়েছেন। গ্রামের বাসিন্দা অনুপ রায় চৌধুরী বলেন, হিন্দু সম্প্রদায়ের মানসম্মান ডুবিয়েছে পুরোহিত। তার কর্মকাণ্ডে আমরা বিব্রতসে নির্দোষ প্রমাণিত হলেও তাকে আর হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষ ধর্মীয় কাজে ডাকবে না। আমাদের আস্থা ও বিশ্বাস নষ্ট করেছে। তার কর্মকাণ্ডে নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। বিরামপুর-নওয়াপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক তাপসী রায় বলেন, ‘মেয়েটি আমাদের স্কুলের প্রথম শ্রেণির ছাত্রী। দুদিন সে স্কুলে আসছে না। শুনেছি পুরোহিত তার সঙ্গে জঘন্য আচরণ করেছে। যা মুখে আনাও পাপ। তার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়া হোক। আর কেউ যেন এমন ঘটনার শিকার না হয়।’ শীলা রায় চৌধুরী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক অসীম দাস বলেন, ‘মঙ্গলবার সকালে স্কুলে এসে শুনলাম পুরোহিত শিশুটিকে ধর্ষণের চেষ্টা করেছে। পুরোহিতের কাণ্ডে পুরো সমাজ বিব্রত। সুষ্ঠু তদন্তপূর্বক দোষী হলে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়া হোক।’ তিনি আরও বলেন, ‘সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা ও বিশ্বাসের প্রতীক পুরোহিত। তার দ্বারা এমন জঘন্য ঘটনা মেনে নেওয়া যায় না।’ কোতয়ালি থানার ওসি (তদন্ত) সমীর কুমার সরকার বলেন, ‘শিশুটিকে ধর্ষণের চেষ্টা করেছে পুরোহিত। শিশুটি আদালতে জবানবন্দি দিয়েছে। আসামিকে আটক করা হয়েছে। বতর্মানে কারাগারে সে। আজ (বৃহস্পতিবার) সকালে যশোর জেনারেল হাসপাতালে শিশুটির মেডিকেল সম্পন্ন হয়েছে।’ দুই দশক আগে যশোরের বিরামপুরে অবস্থিত ঠাকুর অনুকূল চন্দ্র সৎ সংঘ মন্দিরে পুরোহিত হিসেবে নিয়োগ পান প্রকাশ ব্যানার্জী। তিনি যশোরের মণিরামপুর উপজেলার মনোহরপুর গ্রামের কালীপদ ব্যানার্জীর ছেলে। সেই সময় বিশিষ্ট সমাজসেবক বিমল রায় চৌধুরী মন্দিরের পাশে দুই শতক জমি পুরোহিত প্রকাশ ব্যানার্জীকে বসবাসের জন্য লিখে দেন। সেখানেই বসবাস করতেন, আর মন্দিরের পুরোহিতের কাজ করতেন। তার দুই সন্তান রয়েছে। বড় মেয়েটি বিয়ে হয়েছে তিন মাস আগে। আর ছেলেটি ৯ম শ্রেণীর ছাত্রী। স্ত্রী-সন্তান নিয়েই সেখানে বসবাস করতেন। প্রকাশ ব্যানার্জী আটকের পর স্ত্রী অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। প্রকাশ ব্যানার্জীর শ্বশুর জানান, জামাইকে পুলিশ আটক করেছে। সে ঘটনায় জড়িত নাকি ফাঁসানো হয়েছে জানি না। পহেলা বৈশাখ (১৪ এপ্রিল) বেলা ১২টার দিকে পুরোহিত প্রকাশ ব্যানার্জী মন্দিরে পূজা অর্চনা করছিলেন। এ সময় শিশুরাও সেখানে উপস্থিত ছিল। এক পর্যায়ে  সাড়ে ছয় বছর বসয়ী ওই শিশুকে চকলেটের প্রলোভন দেখিয়ে ভিতরে একটি কক্ষে ডেকে নেন। সেখানে শিশুটিকে ধর্ষণের চেষ্টা করেন। শিশুটি চিৎকার করলে ঘটনা ফাঁস হয়ে যায়। খবর পেয়ে মঙ্গলবার রাতে প্রকাশ ব্যানার্জীকে মন্দির থেকে আটক করা হয়েছে। এ ঘটনায় বুধবার শিশুটির মা থানায় মামলা করেছেন। ওই আদালতে ভিকটিম জবানবন্দি দিয়েছে। বৃহস্পতিবার যশোর জেনারেল হাসপাতালে মেডিকেল করা হয়েছে। ভিকটিমের ঠাকুরমা বলেন, ‘নাতনী মন্দিরে ছিল। সেখানে তার সঙ্গে খারাপ কাজ করার চেষ্টা করছিলো পুরোহিত। সে সবার সঙ্গে বলে দিয়েছে। আমরা তো দেখি নাই। ঘটনা জানাজানি হলে পুলিশ আটক করেছে। এখন আমাদের থানা কোর্ট করতে হচ্ছে।’ এলাকার একাধিক ব্যক্তি বলেন, শিশুটি পুরোহিতকে দাদু বলে ডাকতো। পুজোর সময় সে ওখানেই ছিল। তার সঙ্গে এমন বিকৃত যৌনাচারের ঘটনা মেনে নেওয়া যায় না। 


“BBC NEWS বাংলা” অনলাইন পত্রিকায় ৩ আগস্ট ২০২১ তারিখে “দিল্লিতে দলিত শিশুকে ধর্ষণ করে জ্বালিয়ে দেওয়ার অভিযোগে পুরোহিত গ্রেপ্তার” শিরোনামে একটি খবরে বর্ণিত হয়েছে (৮),


ভারতের রাজধানী দিল্লিতে মাত্র নয় বছরের একটি বাচ্চা মেয়েকে শ্মশানঘাটে ধর্ষণ করার পর ধর্ষণকারীরাই জোর করে তার দেহ জ্বালিয়ে দিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। নিহতের পরিবার ও এলাকার বাসিন্দারা এই ঘটনার প্রতিবাদে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করলে ঘটনার প্রায় চব্বিশ ঘন্টা পর দিল্লি পুলিশ অভিযুক্ত একজন পুরোহিত ও তার তিনজন সঙ্গীকে গ্রেপ্তার করেছে। দিল্লি সরকারও প্রতিশ্রুতি দিয়েছে এই ঘটনার দ্রুত বিচার নিশ্চিত করা হবে। তবে বিভিন্ন দলিত সংগঠন বলছে, ধর্ষিতা মেয়েটি যেহেতু দলিত বা নিম্নবর্ণীয় সমাজের তাই এই ঘৃণ্য অপরাধের বিরুদ্ধেও তেমন জোরালো প্রতিবাদ লক্ষ্য করা যাচ্ছে না। দক্ষিণ-পশ্চিম দিল্লিতে ক্যান্টনমেন্ট এলাকার পাশ ঘেঁষেই রয়েছে একটি বাল্মিকী বস্তি, যে সম্প্রদায়ের লোকজন মূলত সাফাইকর্মী হিসেবেই জীবন ধারণ করেন। যে নৃশংস ঘটনার বিরুদ্ধে ওই এলাকার বাসিন্দারা সোমবার থেকে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেছেন, সেটি ঘটেছিল তার আগের দিন রাতেই। নিহত মেয়েটির মা বলছিলেন, "আমরা সেদিন গাঁয়ে গিয়েছিলাম - আর আমাদের বাচ্চা শ্মশানঘাটের ওয়াটার কুলার থেকে খাবার জল নিতে গিয়েছিল।" "শ্মশানের মন্দিরের পুরোহিত বা পন্ডিতজি আমাদের ফোন করে হঠাৎ খবর দেয়, কুলার থেকে জল নিতে গিয়ে আমাদের মেয়ে নাকি কারেন্ট খেয়ে মারা গেছে।" "সে রাতেই তাড়াহুড়ো করে ওর সৎকার করে দেওয়া হয় কিন্তু আমাদের বিশ্বাস পন্ডিতজি আর ওর দলবল আমাদের মেয়েকে জীবন্ত পুড়িয়ে দিয়েছে।" রাধেশ্যাম নামে মূল অভিযুক্ত ওই পুরোহিতকে সোমবার রাতেই পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে, সঙ্গে আটক করা হয়েছে লক্ষ্মীনারায়ণ, কুলদীপ ও সালিম নামে তার তিনজন সঙ্গীকেও


“দৈনিক আগামীর সময়” অনলাইন পত্রিকায় “ধামরাইয়ে স্কুলছাত্রীকে অপহরণের পর ধর্ষণ, শিক্ষক গ্রেপ্তার” শিরোনামে সংবাদে বর্ণিত হয়েছে (৯),


ঢাকার ধামরাই উপজেলার কান্দিকুলে এক স্কুল ছাত্রীকে অপহরণ করে ৬ দিন আটক রেখে ধর্ষণ করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে মোঃখলিলুর রহমান বিপ্লব (৪৩) নামে কোচিং শিক্ষকের নামে। ছাত্রীর বাবা বাদী হয়ে ধামরাই থানায় একটি অভিযোগ করলে পুলিশ অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করে। শুক্রবার (৮ জুলাই) ৫ দিনের রিমান্ড চেয়ে সকালে তাকে কোর্টে প্রেরণ করা হয়েছে। এর আগে বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে আইনগন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হলে তার দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে অপহরণকৃত স্কুল ছাত্রীকে উদ্ধার করা হয়। শনিবার (২জুলাই) সকাল ১০টার দিকে স্কুলে যাওয়ার পথে শরিফবাগ এলাকায় অপহরণের শিকার হয় ভুক্তভোগী ছাত্রী। সে ধামরাই উপজেলার সদর ইউনিয়নের আফাজ উদ্দিন স্কুল এন্ড কলেজের ৬ষ্ঠ শ্রেণীর ছাত্রী। অভিযুক্ত খলিলুর রহমান বিল্পবের বাড়ি ময়মনসিংহ জেলার ভালুকা থানার মামারিশপুর গ্রামের মোঃ শহিদুল ইসলামের ছেলে। সে বর্তমানে ধামরাই পৌরসভার কান্দিকুল এলাকায় জায়গা কিনে বাড়ি করেছেন। সেখানে বিল্পব কোচিং সেন্টার খুলে বিভিন্ন শ্রেণীর ছাত্র-ছাত্রীদের কোচিং করাতেন। ভুক্তভোগী সেই স্কুলছাত্রী জানায়, শনিবার সকালে নিজ বাড়ি থেকে শরীফবাগ আফাজ উদ্দিন স্কুল এন্ড কলেজে পায়ে হেটে যাওয়ার পথে শরীফবাগ এলাকায় পৌছালে রাস্তায় দাড়িয়ে থাকা বিল্পব ও তার সহযোগীরা একটি মাইক্রোবাসে জোরপূর্বক তাকে তুলে নিয়ে যায়। ভূক্তভোগীর বাবার গণমাধ্যমকে জানায়, সন্ধ্যা হয়ে গেলেও মেয়ে বাড়ি না ফেরায় পরিবারের সদস্যরা সকল অত্মীয় বাড়িতে খোজ নিয়েও ভুক্তভোগীকে খুজে পায় না। এরপর ধামরাই থানায় গিয়ে তিনি একটি অভিযোগ দায়ের করে। পরে গতকাল রাতে আসামী বিপ্লবকে আটক করে আজ সকালে আসামীর দেওয়া তথ্যমতে মেয়েকে পুলিশ উদ্ধার করে। তিনি আরও বলেন, আমার মেয়েকে রাস্তা থেকে অপহরণ করে নিয়ে যায় বিপ্লব। পুলিশ আমার মেয়েকে উদ্ধার করেছে। আমি আমার মেয়ের অপহরণকারী বিপ্লবের কঠোর শাস্তি দাবি করছি। তবে অভিযুক্তের পরিবার তাকে সমঝোতার কথা বলেছিল।তিনি কোন সমঝোতা চায় না । তিনি আইনের মাধ্যমে বিল্পবের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছেন। এ বিষয়ে ধামরাই থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মোঃ শিমুল মোল্লা বলেন, আফাজউদ্দিন স্কুল এন্ড কলেজের ৬ষ্ঠ শ্রেণীর এক ছাত্রী অপহরণের একটি অভিযোগ পেয়ে তদন্ত করে অভিযান চালিয়ে আইনগন এলাকা থেকে বিল্পব হোসেনকে আটক করা হয়েছে এবং তার দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে স্কুল ছাত্রীকে উদ্ধার করা হয়েছে। পরে মেয়ের বাবা বাদী হয়ে বিল্পবের বিরুদ্ধে একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেছেন। ৫ দিনের রিমান্ড চেয়ে আজ সকালে অভিযুক্তকে কোর্টে প্রেরণ করা হয়েছে।


“সময় এখন ডট কম” অনলাইন পত্রিকায় ৮ জুন ২০১৯ তারিখে, "১২০ নারীকে ধর্ষণ ও ভিডিও ধারণ,হরিয়ানা মন্দিরের প্রধান পুরোহিত গ্রেপ্তার” শিরোনামে সংবাদে বর্ণিত হয়েছে (১০),


এ যেন আরেক বাবা রামরহিম। নিজের আশ্রমে একাধিক মহিলা ভক্তকে যৌন নির্যাতন করত স্বঘােষিত ধর্মগুরু রামরহিম। আপাতত জেলবন্দি সে। কিন্তু সেই হরিয়ানায় খোঁজ মিলল একইরকম আরও এক পাষণ্ডের। একজন বা দু'জন নয়, ১২০ জন মহিলাকে ধর্ষণ করার অভিযােগে গ্রেপ্তার করা হলাে হরিয়ানার ফতেহাবাদের বাবা বালকনাথ মন্দিরের প্রধান পুরােহিত বাবা অমরপুরিকেসােশ্যাল মিডিয়ায় ওই পুরােহিতের কুকীর্তির ভিডিও ছড়িয়ে পড়তেই শুক্রবার তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। ইতিমধ্যে ভারতীয় দণ্ডবিধির একাধিক ধারায় মামলা রুজু করে তদন্তে নেমেছে পুলিশ। সংবাদসংস্থা এএনআই-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এক পুলিশ কর্মকর্তা জানিয়েছেন, 'আমরা মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছি। আমরা ওই পুরােহিতের বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে কিছু আপত্তিকর জিনিসও উদ্ধার করেছি। একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, বাবা অমরপুরি নামে ওই পাষণ্ড অন্তত ১২০ জন নারীকে ধর্ষণ করেছে এবং সেগুলি ক্যামেরাবন্দি করে রাখে। এরপর মাঝেমধ্যেই ওই ভিডিওগুলির সাহায্যে ওই মহিলাদের ব্ল্যাকমেইল করত সে। ইতিমধ্যে পুলিস সেই ভিডিওগুলি উদ্ধার করেছে। জানা গেছে, প্রত্যেকটি ভিডিও পৃথক পৃথক মহিলার। ওই পুরােহিতের কড়া শাস্তির দাবি তুলেছেন স্থানীয়রা।


“রাইসিং বিডি ডট কম” অনলাইন পত্রিকার সুত্রে ৬ জানুয়ারি ২০২১, তারিখে “৫০ বছরের নারীকে ধর্ষণের পর হত্যা করেন পুরোহিত” শিরোনামে সংবাদে বর্ণিত হয়েছে (১১),


ভারতের উত্তরপ্রদেশে ৫০ বছরের এক নারীকে গণধর্ষণের পর হত্যা করেছে এক পুরোহিত ও তার শিষ্যরা। রোববার সন্ধ্যায় রাজ্যের বদায়ুন জেলার উঘৈতি থানা এলাকায় এ ঘটনা ঘটলেও বুধবার বিষয়টি সংবাদমাধ্যমে আসে। রোববার বিকেলে স্থানীয় মন্দিরে পুজা দিতে গিয়েছিলেন ওই বৃদ্ধা। এরপর আর তিনি বাড়ি ফেরেননি। গভীর রাতে তাকে রাস্তার পাশে ফেলে যায় এক পুরোহিতসহ কয়েক জন। ওই নারীর এক ছেলে স্থানীয় সংবামাধ্যমকে বলেছেন, ‘তাদের নিজেদের গাড়িতে করে তাকে নিয়ে আসা হয়েছিল। তাকে যখন ফেলে রেখে গিয়েছিল তখনই তিনি মারা যান। যাজক ও অন্যরা তাকে দরজার সামনে ফেলে দিয়ে দ্রুত চলে যায়।’ মঙ্গলবার ময়নাতদন্তের রিপোর্টে দেখা গেছে, ধর্ষণের পর ওই নারীর যৌনাঙ্গে রড ঢুকিয়ে দেয় দুষ্কৃতিকারীরা। প্রচণ্ড রক্তক্ষরণে তার মৃত্যু হয়। এমনকি ভারী বস্তু দিয়ে তার বুকেও আঘাত করা হয়। তাতে ভেঙে যায় তার পাঁজরের হাড়। তার একটি পা-ও ভেঙে দেওয়া হয়। এই ঘটনায় পুরোহিত সত্যনারায়ণ, তার সহযোগী বেদরাম এবং গাড়ির চালক জসপালের নাম সামনে এসেছে। পুরোহিত হিসেবে এলাকায় পরিচিত বাবা সত্যনারায়ণ। নির্যাতিতা যে মন্দিরে পুজা দিতে গিয়েছিলেন, তিনি সেখানকার পুরোহিত কি না, তা নিশ্চিতভাবে এখনও জানা যায়নি। তাদের বিরুদ্ধে ধর্ষণ ও খুনের মামলা দায়ের করেছে পুলিশ। এদের মধ্যে দু’জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।


অপরাধীদের কুকর্মের উৎস তাদের ব্যক্তিস্বাধীনতা নয় তো? তাদের চিন্তার মুক্তির স্বাধীনতা নয় তো? তাদের মুক্তবুদ্ধির চর্চার কারণে নয় তো? পাঠকদের চিন্তাশীল মগজেই রেখে দিলাম প্রশ্ন যৌক্তিক গুলো গুলো।


মুক্তচিন্তায় সমকামীতা ও শিশু বলৎকার বৈধ?


নাস্তিকরা সবাইকে বলে থাকে আমাদেরকে মুক্তমনা হতে হবে। মুক্তমনা হলেই নাকি দুনিয়া সুন্দর হয়ে যাবে। দুনিয়াতেই তৈরি হবে একটি স্বর্গ। মুক্তচিন্তা প্রতিষ্ঠা করা হোক, ইসলামকে নিষিদ্ধ হোক এমন ফতোয়া অনেক নাস্তিকদের থেকেই পাওয়া যায়। কিন্তু যখন নাস্তিকদের বই-পত্র পড়া হয় তখন দেখি তাদের মুক্তচিন্তা ইসলামবিরোধীতার মধ্যেই বন্দী। একে কি আসলেই মুক্তচিন্তা বলা যায়? যুক্তি কি বলে? মুক্তচিন্তা কি এতটুকুই যে স্রেফ ইসলামের বিরুদ্ধে বানিয়ে বানিয়ে যা ইচ্ছে তাই বলে সাধারণ মানুষকে ইসলাম সম্পর্কে খারাপ ভাবে দেখাতে হবে? মুক্তচিন্তা হওয়া দরকার সীমাহীন? নাকি সীমাবদ্ধ? এক কথায় যে কোনো মানুষ, যে কোনো মুহূর্তে, যা ইচ্ছা,যেভাবে ইচ্ছা সেভাবেই স্বাধীনভাবে-মুক্তভাবে চিন্তা করাকেই কি মুক্তচিন্তা বলা যৌক্তিক হবে না? কি মনে হয় আপনার? যেসব নাস্তিকরা নিজেদেরকে মুক্তচিন্তক বলে দাবি করে থাকেন তারা কি কখনো আপনাকে এভাবে এতো গভীরভাবে মুক্তচিন্তার ব্যাপারে বুঝিয়ে বলেছে? নাকি ইসলামের বিরুদ্ধে ঘেউ ঘেউ করাকে মুক্তমনা বলা শিখিয়েছে?


পাঠক আপনাদেরকে দেখাবো শিশুকামীতা, অথবা শিশুর সাথে যৌনকর্ম করা মুক্তচিন্তায় বৈধ। কোনো নাস্তিক চাইলে এই মুক্তচিন্তা নিজের জন্য করতেই পারে যে সে নিজের সন্তানদের সাথে যৌনতা চর্চা করবে। আসুন পড়ি বিজ্ঞান লেখকদের বই-পত্র থেকেই। নিজেকে প্রস্তুত করে নিন অজানাকে জানতে। 


নাস্তিক অভিজিৎ রায়ের “সমকামিতা” বইয়ের ৬৯ পৃষ্ঠায় বর্ণিত হয়েছে,


বনােবাে শিম্পাঞ্জীদের মধ্যে সমকামী প্রবণতা খুবই বেশি। বিজ্ঞানীরা এরকম ৪৫০টিরও বেশি প্রজাতিতে সমকামিতার উপস্থিতি লক্ষ করেছেন। চিত্রের উপরেরই আবার বলা হয়েছে,...এদের মধ্যে প্রবলভাবে আছে নারী সমকামিতাও। এমনকি শিশুদেরও তারা রেহাই দেয় নাকেউ যদি এ ধরনের সমকামে অনীহা প্রকাশ করে তবে, তাহলে বনােবাে সমাজে সে ‘অচ্ছুৎ' বলে পরিগণিত হয়, অন্যান্য সদস্যরা তাকে এড়িয়ে চলে। বিভিন্ন রকমের সমকামী এবং উভকামী প্রবণতা লক্ষ্য করা গেছে গরিলা, ওরাং-ওটান, গিবন, সিয়ামাং, লঙ্গুর হনুমান, নীলগিরি লঙ্গুর, স্বর্ণ হনুমান, প্রবােসিক্স মাঙ্কি, সাভানা বেবুন ইত্যাদি প্রাইমেটদের মধ্যেও।


বনোবো শিপ্পাঞ্জীদের মধ্যে শিশুদের সাথে সমকাম চর্চা করা খারাপ কিছু নয়। এমনকি কেউ যদি এই ধরণের সমকামে অনীহা প্রকাশ করে তবে তাকে অচ্ছুৎ বলে গণ্য করা হয়ে থাকে এবং অন্যান্য সদস্যরা তাকে এড়িয়ে চলে। নাস্তিকদের বিশ্বাস মতে মানুষ জাতিও অন্যান্য প্রাণীদের মতো জানোয়ার অথবা পশু ছাড়া কিছু নয়। নাস্তিকরা এটাও বিশ্বাস করে তাদের আত্মীয়স্বজন হচ্ছে বান্দর শিপ্পাঞ্জীরা। অনেক দুর্বলমনা নাস্তিক হয়তো কথাটি স্বীকার করতে লজ্জিত হবে তাই আমি সরাসরি নাস্তিকদের বই-পত্র থেকেই প্রমাণ দেখিয়ে দিচ্ছি। আপনি মিলিয়ে নিয়েন এটাই ভালো হবে।


নাস্তিক বিজ্ঞানী রিচার্ড ডকিন্স এর “দ্য গ্রেটেস্ট শো অন আর্থ” বাংলা অনুবাদ করেছেন, কাজি মাহবুব হাসান, এই বইয়ের ১৯ পৃষ্ঠায় বর্ণিত হয়েছে,


এটা এখন সুস্পষ্ট সত্য যে আমরা শিপ্পাঞ্জিদের নিকটাত্মীয়, হয়তো বানরদের কিছুটা দূরের আত্মীয়, আর্ডভার্ক বা ম্যানিতিদের আরো খানিকটা দূরের আত্মীয়, আরো দূরের আত্মীয় কলা এবং শালগমদের…ক্রমশ যত ইচ্ছা দীর্ঘ করা যেতে পারে এই তালিকা


এখানেই শেষ নয় আরও আছে।


“AMERICAN ATHEIST” নাস্তিকদের একটি জনপ্রিয় ওয়েবসাইট। সেখানে “Ethics Without Gods” শিরোনামে একটি বিস্তারিত আর্টিকেল পাব্লিশ করা হয়েছে। সেখানে স্পষ্ট বর্ণিত হয়েছে যে (১২),


As human beings, we are social animals. Our sociality is the result of evolution, not choice. Natural selection has equipped us with nervous systems which are peculiarly sensitive to the emotional status of our fellows.


ভাবানুবাদঃ মানুষ হিসেবে আমরা সামাজিক জানোয়ার। আমাদের সামাজিকতা বিবর্তনের ফল, পছন্দ নয়। প্রাকৃতিক নির্বাচন আমাদের স্নায়ুতন্ত্রের সাথে সজ্জিত করেছে যা আমাদের সহযোগীদের মানসিক অবস্থার প্রতি বিশেষভাবে সংবেদনশীল।


শুধু কি তাই? “মুক্তমনা বাংলা ব্লগ” নামে নাস্তিকদের একটি সাইটে “দেখা যাচ্ছে নিছকই বানর বৈ আমরা কিছু নই” শিরোনামে একটি আর্টিকেল রয়েছে। সেখানে বর্ণিত হয়েছে (১৩),


বানর” নামে ডাকা হলে আমরা অপমানিত হই, মন খারাপ করে এর প্রতিবাদ জানাই। অথচ, আমাদের যদি ডাকা হয় ইউথেরিয় স্তন্যপায়ী (mammal) কিংবা মেরুদণ্ডী (vertebrate) কর্ডেট, তাহলে কিন্তু আমরা অপমানিত বোধ করিনা। এমনকি আমরা যে ন্যাথান মাছ কিংবা অ্যামনিওট চতুষ্পদ (tetrapod) এই সত্য মেনে নিতেও আমাদের বেশিরভাগেরই কোন সমস্যা নেই। শুধু এক বানর নিয়েই আমাদের যতো সমস্যা। অথচ, আমরা যে নিছকই বানর বৈ কিছু নই এটা আমাদের জানা প্রায় তিনশো বছর ধরে। শ্রেণীবিন্যাসবিদ্যার (taxonomy) জনক ক্যারোলাস লিনিয়াস প্রথম আমাদের অন্তর্ভুক্ত করেন প্রাইমেট ও এইপ এই শাখা (clade) দুটির, যাদের বাংলা আমি যথাক্রমে করবো বানর ও বনমানুষ।


“মুক্তমনা বাংলা ব্লগ” সাইটে “মানুষ কি বানর থেকে এসেছে?” শিরোনামে একটি আর্টিকেলেও এটা স্বীকার করে নেয়া হয়েছে যে (১৪),


মানুষ মাঙ্কি নয়। মাঙ্কি থেকে মানুষের বিবর্তনও হয়নি। কিন্তু প্রাইমেটকে বানরের শব্দার্থ হিসেবে বিবেচনা করলে এটা স্বীকার করতেই হবে যে, মানুষও একধরনের প্রাইমেট বা বানর জাতীয় প্রানী বৈ কিছু নয়। বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিকোন থেকে দেখলে মাঙ্কি একটি অধিবর্গ বা প্যারাফাইলেটিক গ্রুপ, আধুনিক ফাইলোজেনেটিক্সে প্যারাফাইলেটিক গ্রুপ শক্তভাবে এড়িয়ে চলা হয়। আমরা কোন মাঙ্কি অবশ্যই নই, তবে অবশ্যই অবশ্যই আমরা প্রাইমেট। আমাদের পাশাপাশি অবস্থিত একজোড়া চোখ, ত্রিমাত্রিক, রঙ্গীন, স্টেরিও দৃষ্টি, চোখের পেছনে বিশাল বড় একটা মাথা, আড়াই শত দিনের কাছাকাছি গর্ভকালীন সময়, বয়ঃপ্রাপ্ত হবার পূর্বে একটা অস্বাভাবিক রকম বিশাল শৈশব, ল্যাটেরাল থেকে ক্রমান্বয়ে স্ক্যাপুলার ডোর্সাল অক্ষে পিছিয়ে যাওয়া (regression), পেন্ডুলার পিনেস এবং টেস্টস, অস্বাভাবিক বিকাশপ্রাপ্ত প্রাইমারি সেন্সরি কর্টেক্স আমাদের বানায় বানরজাতীয় জীব বা প্রাইমেট, এটা আমরা পছন্দ করি আর নাই করি। মানুষ সহ সব বনমানুষই স্তন্যপায়ী প্রানীর অন্তর্গত প্রাইমেট বর্গে পড়েছে। এখন পর্যন্ত  প্রাইমেটদের দু'শরও বেশি প্রজাতির সন্ধান বিজ্ঞানীরা পেয়েছেন। মানুষকে এই প্রাইমেট বর্গের মধ্যে হোমিনিডি অধিগোত্রের  অন্তর্ভুক্ত বলে বিবেচনা করা হয়। 


দেখা যাচ্ছে নাস্তিকগোষ্ঠীর মধ্যে যারা কট্টরপন্থী নাস্তিক তারা বুক উচু করে নিজেদেরকে বান্দর পরিচয় দিতে দ্বিধা করে না। এমনকি তাদেরকে জানোয়ার বা চতুষ্পদ পশু বলে ডাকা হলেও তারা মাইন্ড করবে না। নাস্তিকদের এটা অস্বীকার করবার উপায় নেই যে তারা জানোয়ার নয়। তাই কোনো নাস্তিক পশু যদি চায় তাদের আত্মীয়দের থেকে চিন্তার মুক্তিতে আদর্শ গ্রহণ করবে তবে এটা অবশ্যই নাস্তিক্যধর্মের মুক্তচিন্তায় বৈধ। হ্যাঁ এটাও সঠিক যে কোনো নাস্তিক যদি এসব করতে না চায় তবে সে করবে না। বৈধ তবে জবরদস্তির কিছু নেই। যার যার স্বাধীন ইচ্ছা। পূর্বপুরুষদের মধ্যে যেহেতু গণহত্যা, খুন, ডাকাতি, ধর্ষণ,রাহাজানি ইত্যাদি স্বভাব রয়েছে সেই হিসেবে কোনো নাস্তিক চাইলেই পূর্বপুরুষদের আদর্শ বাস্তবায়ন করতেই পারে মুক্তচিন্তায় এগুলোও বৈধ। যেমন কমিউনিস্ট নাস্তিকরা তাদের মতাদর্শ বাস্তবায়ন করবার জন্য কোটি কোটি মানুষকে গণহত্যা করেছে। এসব ইতিহাস অস্বীকার করবার উপায় নেই নাস্তিকদের। অনেক লজ্জিত চেহারার নাস্তিক বলে থাকে এসবের জন্য নাকি নাস্তিক্যবাদ দায়ী না তাহলে প্রশ্ন হচ্ছে কি দায়ী?


সমকামীদের চিন্তার মুক্তিতে নারীরা যেভাবে প্রতারিত হয়ঃ


আপনি যদি সুস্থ স্বাভাবিক হয়ে থাকেন এবং আপনার যদি ঘরে বোন থেকে থাকে তাহলে বিয়ে দেবার আগে অবশ্যই যাচাই করে দেখুন যে পাত্র সমকামীতার কুসংস্কারে বন্দী কিনা অথবা মুক্তচিন্তা নামক ভাইরাসে আক্রান্ত কিনা। কারণ আপনাকে আমি এখন এমন তথ্য দিব যা পড়লে আপনি আশ্চর্য না হয়ে পারবেন না। পড়তে থাকুন তাহলে।


বিজ্ঞান লেখক নাস্তিক অভিজিৎ রায়ের “সমকামিতা” বইয়ের ৬০ পৃষ্ঠায় বর্ণিত হয়েছে,


আরেকজন বিবাহিত সমকামীর কথা পড়েছিলাম একটি কেস স্টাডিতে। উনি দিল্লিতে বসবাসরত দন্ত চিকিৎসক। নাম রমেশ মণ্ডল। নিজে সমকামী। কিন্তু পারিবারিক চাপে পড়ে তাঁকে একসময় বিয়ে করতে হয়কিন্তু স্ত্রীর সাথে তাঁর সম্পর্ক স্রেফ যান্ত্রিকতিনি তাঁর যৌনচাহিদা নিরসন করেন গােপনে তাঁর এক সমকামী বন্ধুর সাথেকখন জব্বলপুর, কোলাপুরেও চলে যান। তাঁর স্ত্রী আজও এ ব্যাপারটি জানেন না। সম্পূর্ণ মিথ্যার উপরে দাঁড়িয়ে আছে রমেশের দাম্পত্য জীবন। আরেক সমকামী ভদ্রলােক নীতিন দেশাই স্ত্রীকে ফাঁকি দিয়ে প্রায়ই চলে যান মুম্বই-এর চৌপাট্টির সমুদ্র সৈকতে।কারণ সহজেই অনুমেয়।


এই সমকামীরা নিজেরা নিজেদেরকে সমকামী দাবি করলেও বিয়ে করে ঠিকই স্ত্রীর সাথেও যৌনকর্ম করবে আবার নিজের মুক্তমনা বন্ধু পেলে তাদের পশ্চাদ অংশে আঘাত মারবে। বুঝেন এইবার এদের মানুসিক অবস্থার অবনতি কেমন লেভেলের? প্রশ্ন আসতেই পারে সে যদি সমকামী রোগে আক্রান্ত হবেই তাহলে পরিবার চাপ দিলেও কেন তাকে বিয়ে করতে হবে? অথবা বিয়ে করে সেই মেয়েকে বলে দিলেই হতো যে সে সমকামী কিন্তু এরকম কোনো পদক্ষেপ নিয়েছিল? নাকি যেখানেই খাবো সেখানেই মুতবো অবস্থা তাদের? কোনটা? 


এই কারণে আমরা যারা সভ্য ও মার্জিত তাদেরকে সচেতন হতে হবে এসব মানুসিক বিকারগ্রস্থ রোগীদের ব্যাপারে। আপনার বোন এবং আশে পাশের নারীদেরকেও এসব সমকামীতা রোগ থেকে সচেতন করে তুলতে হবে নাহলে আপনার বোন বা অন্যের বোন কিভাবে প্রতারণার শিকার হবে জানাও যাবে না। তাই সাবধান। 


নিজের বাপ-মার সাথে মুক্তমনাদের সমকামীতাঃ


নাস্তিকদের ধারণ করা নাস্তিক্যধর্মে যে কোনো নাস্তিক চাইলে নিজের বাপের সাথে, মাতার সাথে, বোনের সাথে, মামার সাথে, খালার সাথে, দাদির সাথে, নানির সাথে, চাচার সাথে, নিজের ভাইয়ের সাথে, নিজের খালুর সাথে ইত্যাদি ইত্যাদি পরিবারের লোকদের সাথে সমকামীতার মুক্তবুদ্ধি চর্চা করতে পারেন-এটা অনেক নাস্তিককেই বলতে দেখা যায় না। তারা স্বীকার করতে লজ্জা পায় কেন? এক নাস্তিককে আমি প্রশ্ন করেছিলাম আপনাদের নাস্তিক্যধর্মে তো নিজের বাপের সাথে আপনি সমকামীতা চর্চা করতে পারবেন। এখানে আপনার নৈতিকতা কি? সে নবীজি (সা)কে গালিগালাজ দিয়ে আমাকে বলল মুমিনরা খারাপ। আচ্ছা পাঠক সেই নাস্তিকের জবাব কি যৌক্তিক হয়েছে? আমি প্রশ্ন করলাম কি আর বেচারা প্রাণী নাস্তিক উত্তরে বললই বা কি? কি হাস্যকর মগজ এদের।


পাঠক, বিশুদ্ধ নাস্তিকদের বই থেকেই আমি প্রমাণ করে দিব যে কোনো নাস্তিক নিজের পিতার সাথে ইচ্ছে করলে যৌন সঙ্গম করতে পারবে কারণ এসব যৌন নৈতিকতা নাস্তিক্যধর্মের মুক্তচিন্তায় বৈধ।


বিজ্ঞান লেখক নাস্তিক অভিজিৎ রায়ের “সমকামিতা” বইয়ের ৯৬ পৃষ্ঠায় বর্ণিত হয়ছে যে,


সমকামীদের যৌনপ্রবৃত্তি আমাদের পরিচিত সংখ্যাগরিষ্ঠ বিষমকামী লােকজনের থেকে আলাদা, এটা আমরা জানি। কারণ তারা বিপরীত লিঙ্গের প্রতি আকৃষ্ট না হয়ে আকর্ষণ অনুভব করে সমলিঙ্গের প্রতি। যেহেতু বিজ্ঞানের কাজই হচ্ছে প্রতিটি ঘটনার পেছনে যুক্তিনিষ্ঠ কারণ অনুসন্ধান, তাই বৈজ্ঞানিক পেশায় নিয়ােজিত অনেক গবেষকই। অনুমান করলেন সমকামিতার পেছনেও নিশ্চয় কোনাে বৈজ্ঞানিক কারণ থাকতে হবে। কিন্তু কারণের উৎসটা কোথায়? তাদের মস্তিষ্কের আকার, আকৃতি বা গঠন কি। সাধারণদের থেকে একটু আলাদা? এ ব্যাপারটি বিজ্ঞানীদের ভাবিয়েছে পুরােমাত্রায়। ভাবনার কারণ আছে। কারণ যৌন-প্রবৃত্তির কেন্দ্রীয় উৎস হলাে মস্তিষ্ক। মস্তিষ্কই নিয়ন্ত্রণ করে আমাদের নানা পছন্দ, অপছন্দ, ঘৃণা, অভিরুচি আর ফ্যান্টাসি মস্তিষ্কই। জীবনের বিভিন্ন চড়াই-উৎরাই পেরিয়ে সিদ্ধান্তে আসে আমাদের ঐশ্বরিয়াকে ভালাে। লাগতে হবে, নাকি শাহরুখকে। মস্তিষ্কই সিদ্ধান্ত নেয় এই মুহুর্তে আমাদের ভূতের গল্প ভালাে লাগবে, নাকি আবেগময় রােমান্টিক উপন্যাস


মুক্তচিন্তায় যে খুন করা বৈধ। মুক্তচিন্তায় যে শিশু ধর্ষণ করা বৈধ। মুক্তচিন্তায় যে সমকামীতা করা বৈধ। মুক্তচিন্তায় যে দুর্নীতি করা বৈধ। মুক্তচিন্তায় যে সুদ খাওয়া বৈধ। মুক্তচিন্তায় যে নাস্তিক হওয়া বৈধ। মুক্তচিন্তায় যে মিথ্যাচার করা বৈধ। মুক্তচিন্তায় যে গণহত্যা করা বৈধ। মুক্তচিন্তায় যে চুরি করা বৈধ। মুক্তচিন্তায় যে ডাকাতি করা বৈধ। মুক্তচিন্তায় যে নিজের পিতার সাথে যৌনকর্ম করা বৈধ। মুক্তচিন্তায় নিজের মায়ের সাথে সঙ্গম করা বৈধ। মুক্তচিন্তায় নিজের ভাইয়ের সাথে সমকাম সম্পর্ক বৈধ। মুক্তচিন্তায় নিজের বোনের সাথে যৌন সম্পর্ক করা বৈধ। মুক্তচিন্তায় নিজেকে সংশয়বাদী বলা বৈধ। মুক্তচিন্তায় নিজেকে নারীবাদী বলা বৈধ। মুক্তচিন্তায় যে কেউই যা ইচ্ছে মুক্তমনে চিন্তা করে তা বাস্তবে প্রয়োগ করতেই পারে আবার চাইলে নাও পারে।


হ্যাঁ, নাস্তিক্যধর্মের মুক্তচিন্তায় এসবই জায়েজ এবং প্রমাণ হিসেবে উপরের তথ্যটি যথেষ্ট। মনুষ্যপ্রাণীর সব কিছুই সিদ্ধান্ত নেয় তার মস্তিস্ক। কোনো নাস্তিকের কাছে এই মুহূর্তে ভূতের গল্প ভালো লাগতে পারে আবার চটি গল্পের বইও ভালো লাগতে পারে। কোনো নাস্তিকের কাছে এই মুহূর্তে কোনো নারীকে ধর্ষণের কথা ভাবতে পারে আবার সে ইচ্ছে করলে ধর্ষণ না করবারও চিন্তা করতে পারে। এসবই সিদ্ধান্ত নেয় তার মস্তিস্ক। বিজ্ঞান লেখকের বই থেকেই এটাই প্রমাণ হিসেবে পাওয়া গেলো যে মস্তিস্কই সব কিছুর সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে থাকে।


ভাই-ভাই যে সমকামী হয় সেই প্রমাণ নাস্তিকের বই থেকেই জেনে নেয়া যাক। বিজ্ঞান লেখক নাস্তিক অভিজিৎ রায়ের “সমকামিতা” বইয়ের ১০৯ পৃষ্ঠায় বর্ণিত হয়েছে,


উপরের পরীক্ষাগুলাে থেকে একটি জিনিস স্পষ্ট ; সদৃশ যমজে দুই ভাই-ই সমকামী হবার সম্ভাবনা অসদৃশ যমজের দ্বিগুণ পাওয়া যাচ্ছেপরীক্ষা থেকে দেখা যাচ্ছে সদৃশ যমজে দুই ভাইয়ের দুজনেই সমকামী হবার সম্ভাবনা শতকরা ২৫ থেকে ৫০, এই ফলাফল নির্ভর করে কীভাবে বা কোথায় পরীক্ষা করা হচ্ছে তার উপর। তার মানে জেনেটিক ফ্যাক্টর যদি আমরা ২৫ থেকে ৫০ বলে রায় দেই, তবে পরিবেশ এবং অন্যান্য ফ্যাক্টরের প্রভাব ৫০ থেকে ৭৫ ভাগ থেকেই যাচ্ছে। এমনকি সদৃশ যমজদের দুই ভাইয়ের মধ্যেই সমকামিতা পাওয়ার যে ব্যাপারটিকে পুরােপুরি জেনেটিক' বলে ভাবা হচ্ছে, সেই দাবিও কতটুকু যুক্তিযুক্ত সেটাও খােলা মনে বিশ্লেষণের দাবি রাখে


ভাই-বোন সমকামীতা হবার প্রমাণও পাওয়া যায় নাস্তিক অভিজিৎ রায়ের বই থেকে। তার “সমকামিতা” বইয়ের ১০৮ পৃষ্ঠায় বর্ণিত হয়েছে,


বিজ্ঞানীরা এর উত্তর খুঁজতে প্রতিনিয়ত গবেষণা করে চলেছেন। তারা ইতােমধ্যেই দেখেছেন একটি জনগােষ্ঠীতে কোনাে ভাই বিষমকামী হলেও অন্তত শতকরা ৪ ভাগ সম্ভাবনা থাকে তার পরবর্তী ভাইয়ের সমকামী হয়ে জন্মাবারকিন্তু পরিবারের একভাই সমকামী হলে অন্তত ২২ ভাগ সম্ভাবনা তৈরি হয় অপর ভাইও সমকামী হবারঅর্থাৎ পরিবারে সমকামী ভাই থাকলে পরিবারে সমকামী ধারা তৈরি হবার সম্ভাবনা অন্তত চারগুণ বেড়ে যায়। কিন্তু ভাই সমকামী হলে বােন লেসবিয়ান নাকি স্ট্রেট হবে কিনা – এ সংক্রান্ত কোনাে সম্ভাবনার ঝোঁক পাওয়া যায়নি। কোনাে পরিবারে বােন সমকামী (লেসবিয়ান) হলে, অপর বােনেরও সমকামী হবার প্রবণতা দ্বিগুন বেড়ে যায়, কিন্তু ভাইয়ের উপর এর কোনাে সম্ভাব্যতার প্রভাব জানা যায়নি'।


নিজের বাবার সাথে যৌনসঙ্গম করা চিন্তার মুক্তিতে বৈধ। প্রমাণ হিসেবে লেখাটি পড়ুন। বিজ্ঞান লেখক নাস্তিক অভিজিৎ রায়ের “সমকামিতা” বইয়ের ২৩ পৃষ্ঠায় বর্ণিত হয়েছে,


এখন কথা হচ্ছে সমকামিতা কি জন্মগত নাকি আচরণগত? এটি বুঝতে হলে আমাদের যৌনপ্রবৃত্তিকে বুঝতে হবে। আজকের দিনের মনােবিজ্ঞানীরা মনে করেন যৌন-প্রবৃত্তির ক্যানভাস আসলে সুবিশাল। এখানে সংখ্যাগরিষ্ঠের বিপরীত লিঙ্গের প্রতি আকর্ষণ (বিষমকামিতা) যেমন দৃষ্ট হয়, তেমনিভাবেই দেখা যায় সম লিঙ্গের মানুষের মধ্যে প্রেম এবং যৌনাকর্ষণ। এই দ্বিতীয় ধারার মানুষেরা বিপরীত লিঙ্গের মানুষের প্রতি কোনাে যৌন-আকর্ষণ বােধ করে না, বরং নিজ লিঙ্গের মানুষের প্রতি এরা আকর্ষন বােধ করে। এদের যৌনরুচি এবং যৌন আচরণ এগুতে থাকে ভিন্ন ধারায়। ব্যাপারটি অস্বাভাবিক নয়। সংখ্যাগরিষ্ঠের বাইরে অথচ স্বাভাবিক এবং সমান্তরাল ধারায় অবস্থানের কারণে এধরনের যৌনতাকে অনেক সময় সমান্তরাল যৌনতা (parallel sex) নামেও অভিহিত করা হয়। সমান্তরাল যৌনতার ক্ষেত্র কিন্তু খুবই বিস্তৃত।


নাস্তিক ছেলের শিশ্ন এবং তার বাবার শিশ্ন একই আর সকলেই জানে যে সমকামীতা অর্থ কি তাই যৌক্তিকভাবে কোনো নাস্তিক যদি নিজে সমকামী হয় এমনকি তার পিতাও সমকামী হয় তাহলে চিন্তার মুক্তির আন্দোলনে দুই বাপ-পোলা সমকামীতার চর্চা করতেই পারে। দাদা তার নাতির সাথেও সমকামীতা চর্চা করতে পারে যদি উভয়ের মধ্যে সম্মতি হয়। এখন সরাসরি প্রমাণ দেখাই যেখানে একজন সমকামী নিজের বাবার সাথে সমকামী করতে চাইছে এবং তা কবিতার মাধ্যমে বর্ণনা পর্যন্ত করেছে। 


বিজ্ঞান লেখক নাস্তিক অভিজিৎ রায়ের “সমকামিতা” বইয়ের ১৬৮,১৬৯ পৃষ্ঠায় বর্ণিত হয়েছে,


সমকামী উর্দু সাহিত্যের কথা বললে পাকিস্তানি সমকামী কবি ইফতি নাসিমের অবদানের কথা বলতেই হবে। প্রথমে উর্দু ভাষায় কবিতা লেখা শুরু করলেও বর্তমানে | ইংরেজি ভাষায় লিখতে শুরু করেছেন। সমকামী জীবনের নানা অবস্থা এবং সঙ্কটের কথাই তার কবিতায় স্থান পায়। যেমন তার বাবাকে নিয়ে ‘মেরে বাবা' নামে একটি কবিতায় ইফতি বলেন -বাবা আমার,সবাই বলে আমার চেহারার সাথে নাকি তােমার অদ্ভুত মিল আমার চোখ, কপাল, ঠোঁট, আমার উচ্চারণ, আর যেভাবে আমি কথা বলি। যেভাবে বসি, যেভাবে হাটি আমার হাতের নড়াচড়া, সবকিছুই নাকি তােমার মতাে। আমি শুনেছি সন্তানের মধ্যে নাকি বয় বাবার রক্তের স্রোতধারা। আমার মনে প্রশ্ন আসে – সব কিছুই যদি আমার তােমার মতােই হবে। তবে আমার যৌন প্রবৃত্তি তোমার চেয়ে এতটাই আলাদা হলো কেন? 


কি পাঠক? কিছু বুঝলেন? এখন আসুন কথিত নারীবাদীদের আইডল তসলিমা নাসরিনের লেসবিয়ান হবার প্রমাণ দেখাই। নাস্তিকরা এসব আপনাকে দেখাতে চাইবে না। নাস্তিকরা লজ্জিত, অপমানিত। হ্যাঁ, “সত্যি”ই নাস্তিকদেরকে লজ্জিত করে, অপদস্ত করে রাখে। প্রশ্ন হচ্ছে আপনি কোন পথে যাচ্ছেন? 


বিজ্ঞান লেখক নাস্তিক অভিজিৎ রায়ের “সমকামিতা” বইয়ের ১৬৭ পৃষ্ঠায় বর্ণিত হয়েছে,


একইভাবে কবি দাউদ হায়দারের মতাে সাইফুল্লাহ মাহমুদ দুলাল, শফিক শাহীন এবং সেলিম মােজাহারের কবিতায় বিচ্ছিন্নভাবে সমকামিতা ধরা পড়েছেনারী সমকামিতা এসেছে তসলিমা নাসরীনের কিছু লেখায় এবং কবিতায়'আমার মেয়েবেলা' নামের আত্মজৈবনিক উপন্যাসে তসলিমা কিশাের বয়সে তার বালিকা বন্ধু রুণির প্রতি গভীর ভালােবাসার ইঙ্গিত পাওয়া যায়। পুরুষদের যৌন অত্যাচার আর লৈঙ্গিক বৈষম্যে অতীষ্ট পাশ্চাত্যের অনেক নারীবাদিরা এক সময় পুরুষের যৌনাঙ্গকে দূরে ঠেলে দিয়েছিলেন। তারা যৌনসঙ্গমে পুরুষের যৌনাঙ্গ নারীর যােনিতে অনুপ্রবেশকে প্রভুত্বের সমার্থক মনে করেছিলেন। সেই একই প্রনােদনা লক্ষ্য করা যায় তসলিমার লেখনীতেও। পুরুষদের থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়ে 'নারীবাদী তসলিমা নারীদের জন্য ভালােবাসা প্রকাশ করেন তার কবিতায় এভাবে- যেহেতু নারীরাই দেখতে জানে পালকের মতাে খুলে খুলে ক্ষত, নারীকেই নামাতে হবে ঠোঁট চুম্বনের জন্য স্তনে নারীকেই মেলতে হবে যােনিল নারীর সজল আঙ্গুলে নারী ছাড়া কার সাধ্য নারীকে আমূল ভালােবাসে


নাস্তিক পুরুষের মতো নাস্তিক নারীও চাইলে মুক্তচিন্তায় নিজের মায়ের সাথে, নিজের দাদির সাথে, নিজের নানির সাথে,নিজের খালার সাথে, নিজের মেয়ের সাথে, মেয়ের মেয়ের সাথে, ভাইয়ের মেয়ের সাথে, মামির সাথে ইত্যাদি নারীদের সাথে লেসবিয়ান যৌন সম্পর্ক বজায় রাখতে পারে কারণ এসব নাস্তিক্যধর্মে বৈধ। আপনার সন্তানকে আপনি এসব বানাতে চান কিনা? বুকে হাত দিয়ে বলুন তো? আপনি কি চান না আপনার সন্তান সভ্য হয়ে জেগে উঠুক? নাস্তিকদের মুক্তচিন্তার মতো বিষাক্ত ভাইরাস যদি সমাজে করোনা ভাইরাসের মতো ছড়িয়ে যায় একবার ভাবুন কি ভয়ংকর চিত্র দেখা যাচ্ছে?


এরপরে যদি আপনি সভ্যতা আর অসভ্যতার মধ্যে যৌক্তিক পার্থক্য করতে না পারেন তাহলে আপনার চিকিৎসার প্রয়োজন। একইসাথে আপনার মস্তিস্ক আসলেই মানুষের মতো চিন্তাশীল কিনা অথবা আপনার বিবর্তিত বিবেক এখনো মানুষের মতো ভাবতে পারে না কিনা সেটা নিয়ে যৌক্তিক প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে।


সমকামীতা বিজ্ঞান বিরোধী কুসংস্কার?


সমকামীতা নিকৃষ্ট বর্বর একটি ভাবনা ও কুসংস্কার ছাড়া কিছু নয়। দেহে গে-জিন আছে বলে একটা সময় নাস্তিকগোষ্ঠীর সমকামীরা ফালাফালি করতো বিজ্ঞানের নামে কিন্তু বর্তমানের আধুনিক বিজ্ঞান সরাসরি স্বীকার করে নিয়েছে যে গে-জিন বলে আসলে কিছুই নেই। প্রমাণ দিয়ে দিচ্ছি। পড়েন। গুরুত্বপূর্ণ কথা গুলো আমি তুলে ধরছি আপনারা চাইলে সরাসরি লিংক থেকে বিস্তারিত বৈজ্ঞানিক গবেষণাটি পড়ে নিন।


“BBC NEWS” পত্রিকায় 29 August 2019 তারিখে “No single gene associated with being gay” শিরোনামে সংবাদ প্রকাশ করা হয় (১৫)। সেখানে বিভিন্ন বৈজ্ঞানিক তথ্যপ্রমাণ (১৬) উল্লেখ করে বর্ণিত হয়েছে,


A genetic analysis of almost half a million people has concluded there is no single "gay gene".......Advocacy group GLAAD said the study confirmed "no conclusive degree to which nature or nurture influenced how a gay or lesbian person behaves." Ben Neale, an associate professor in the Analytic and Translational Genetics Unit at Massachusetts General Hospital, who worked on the study, said: "Genetics is less than half of this story for sexual behaviour, but it's still a very important contributing factor. "There is no single gay gene, and a genetic test for if you're going to have a same-sex relationship is not going to work. "It's effectively impossible to predict an individual's sexual behaviour from their genome." Fah Sathirapongsasuti, senior scientist at 23andMe, added; "This is a natural and normal part of the variation in our species and that should also support precisely the position that we shouldn't try and develop gay 'curism'. That's not in anyone's interest." David Curtis, honorary professor at the UCL Genetics Institute, University College London, said: "This study clearly shows that there is no such thing as a 'gay gene'. Zeke Stokes, from the LGBT media advocacy organisation GLAAD, said: "This new research re-confirms the long-established understanding that there is no conclusive degree to which nature or nurture influence how a gay or lesbian person behaves."


ভাবানুবাদঃ প্রায় অর্ধ মিলিয়ন মানুষের একটি জেনেটিক বিশ্লেষণ এই সিদ্ধান্তে পৌঁছেছে যে কোনও একক "সমকামী জিন" নেই।……..অ্যাডভোকেসি গ্রুপ GLAAD বলেছে যে সমীক্ষাটি নিশ্চিত করেছে যে "একজন সমকামী বা সমকামী ব্যক্তি কীভাবে আচরণ করে তা প্রকৃতি বা লালন-পালন প্রভাবিত করে।" ম্যাসাচুসেটস জেনারেল হাসপাতালের অ্যানালিটিক অ্যান্ড ট্রান্সলেশনাল জেনেটিক্স ইউনিটের সহযোগী অধ্যাপক বেন নিলে, যিনি গবেষণায় কাজ করেছেন, বলেছেন: "জেনেটিক্স যৌন আচরণের জন্য এই গল্পের অর্ধেকেরও কম, তবে এটি এখনও একটি গুরুত্বপূর্ণ অবদানকারী কারণ "কোনও একক সমকামী জিন নেই, এবং আপনি সমকামী সম্পর্ক করতে যাচ্ছেন কিনা তার জন্য একটি জেনেটিক পরীক্ষা কাজ করবে না। "একজন ব্যক্তির যৌন আচরণ তাদের জিনোম থেকে ভবিষ্যদ্বাণী করা কার্যকরভাবে অসম্ভব। "Fah Sathirapongsasuti, 23andMe-এর সিনিয়র বিজ্ঞানী যোগ করেছেন; "এটি আমাদের প্রজাতির বৈচিত্র্যের একটি স্বাভাবিক এবং স্বাভাবিক অংশ এবং এটিকে সঠিকভাবে সমর্থন করা উচিত যে আমাদের সমকামী 'কিউরিজম' বিকাশের চেষ্টা করা উচিত নয়। এটি কারও স্বার্থে নয়।" ইউনিভার্সিটি কলেজ লন্ডনের ইউসিএল জেনেটিক্স ইনস্টিটিউটের অনারারি প্রফেসর ডেভিড কার্টিস বলেছেন: "এই গবেষণাটি স্পষ্টভাবে দেখায় যে 'গে জিন' বলে কিছু নেই। এলজিবিটি মিডিয়া অ্যাডভোকেসি সংস্থা GLAAD-এর জেকে স্টোকস বলেছেন: "এই নতুন গবেষণাটি দীর্ঘদিন ধরে প্রতিষ্ঠিত বোঝার পুনঃনিশ্চিত করে যে প্রকৃতি বা লালন-পালন একজন সমকামী বা সমকামী ব্যক্তি কীভাবে আচরণ করে তা প্রভাবিত করে এমন কোন চূড়ান্ত মাত্রা নেই।"


সমকামীতা যে বিজ্ঞানবিরোধী শুধু এটাই নয় বরং এটি একটি ভয়ংকর রোগও বটে। সমকামীতার মধ্যে আক্রান্ত রোগীদের ক্ষেত্রে কি কি ভয়ংকর বিপদ আসতে পারে সেই বিষয় এখন তুলে ধরছি (১৭)। সেন্টার ফর ডিজিস কন্ট্রোল ও প্রিভেনশন এর মতে সমকামিদের মধ্যে এইডস নামক রােগে আক্রান্ত হবার সম্ভবনা সবচেয়ে বেশী। ২০০৬ সালে এক জরিপে দেখা গেছে ৫৬০০০ নতুন এইচ আই ভি আক্রান্তের মধ্যে ৫৩% গে অথবা সমকামিতাছাড়া গে’দের মধ্যে যারা এইডসে আক্রান্ত তাদের মৃত্যুঝুঁকি অন্যন্য এইডস আক্রান্তদের থেকে ১৩গুন বেশীসমকামীতা সিফিলিস এর মত রােগ ছড়াতেও ব্যাপকভাবে দায়ী (১৮)। যুক্তরাষ্ট্রের মিনেসােটাতে ২০০৮ সালে সিফিলিস ৪০ভাগ বেড়ে যাবার কারণ উদঘাটনে সমকামিতার সম্পর্ককে পাওয়া যায়। ২০০৮ সালে মিনেসােটার ডিপার্টমেন্ট অব হেলথ এ ১৫৯ টি সিফিলিস এর ঘটনা পাওয়া যায়, এর মধ্যে ১৫৪টিই ঘটে পুরুষের মধ্যে আর এর মধ্যে ১৩৪ জনই আরেকজন পুরুষের সাথে যৌনক্রিয়া করেছে বলে স্বীকার করে। কিছু কিছু রােগ আবার ‘গে রােগ’ নামের খ্যাতি ইতিমধ্যেই পেয়ে গেছে, এরকই একটি হল ‘স্টাপ স্টেইন', একসময় ধারণা করা হয়েছিল এটা সাধারণ জনগণের মধ্যেও ছড়িয়ে পড়তে পারে (১৯)। তাই সমকামীতায় আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসার প্রয়োজন (২০)।


বিজ্ঞানে অন্ধবিশ্বাসকারী নাস্তিকগোষ্ঠী হয়তো এরপরেও এসব বৈজ্ঞানিক গবেষণা বিশ্বাস করতে চাইবে না। যারা আসলেই সত্য-সন্ধানী তারা ঠিক যাচাই করে বুঝে নিবে। সমকামীতা যে বিজ্ঞানবিরোধী একইসাথে কুসংস্কার ইত্যাদি বিষয় বিস্তারিত জানতে আপনারা আসিফ আদনানের লেখা “অভিশপ্ত রঙধনু” বইটি পড়তে পারেন। যেসব নাস্তিক বাপ-পুতে মিলে সমকামীতা চর্চা করে এমনকি তার পক্ষে সাফাই দেয় তাদের সকল অন্ধবিশ্বাসের বিরুদ্ধে বৈজ্ঞানিক তথ্য-প্রমাণ দিয়ে লেখা আছে বইটিতে। 


সমকামীতা নামক কুসংস্কার ইসলামে নিষিদ্ধঃ


যারা নিজেদেরকে যুক্তিবাদী সভ্য ও বিজ্ঞানমনস্ক হিসেবে দাবি করে থাকেন তাদের সকলেরই উচিত  সমকামীতাকে মনে প্রাণে ঘৃণা করা। ক্যান্সার রোগকে কি আপনি ভালোবাসতে পারেন? তেমনি সমকামী রোগকেও ভালোবাসা যায় না একে মনে প্রাণে ঘৃণা করে সুস্থ হয়ে উঠতে হবে। এই রোগের বিরুদ্ধে সংগ্রাম চালিয়ে যেতে হবে। একটি সুস্থ স্বাভাবিক মানব জাতি আমি আশা করি। 


সমকামীতা কি বিজ্ঞানবিরোধী নয়? সমকামীতা কি কুসংস্কার নয়? সমকামীতা কি নোংরা চর্চা নয়? সকল সমকামী রোগীদের যদি একত্রে করে একটি দ্বিপে রেখে দিয়ে আসা হয় তাহলে একবার ভাবুন তো তাদের অস্তিত্ব দুনিয়া থেকে বিলীন হয়ে যেতে কয় বছর সময় লাগতে পারে? তারা পারবে তাদের প্রজন্মকে টিকিয়ে রাখতে? এরপরেও কি তারা বুঝবে না যে সমকামীতা যৌক্তিকভাবেই বাতিলযোগ্য?


ইসলাম আমাদেরকে রুচিশীল হতে শিক্ষা দেয়। ইসলাম আমাদেরকে সভ্যতা শিক্ষা দেয়। ইসলাম আমাদেরকে কল্যাণ শিক্ষা দেয়। ইসলাম আমাদেরকে মানবতা শিক্ষা দেয়। ইসলাম আমাদেরকে অন্যায়ের বিরুদ্ধে লড়াই করতে শিক্ষা দেয়। ইসলাম আমাদেরকে অপরাধের বিরুদ্ধে সংগ্রাম করতে শিক্ষা দেয়। ইসলাম আমাদেরকে সমাজকে সুন্দর করতে শিক্ষা দেয়।


আল কুরআন, সুরা আরাফ ৭ঃ ৮০,৮১,৮২,৮৪ আয়াত থেকে বর্ণিত, 

এবং আমি লূতকে প্রেরণ করেছি। যখন সে স্বীয় সম্প্রদায়কে বললঃ তোমরা কি এমন অশ্লীল কাজ করছ, যা তোমাদের পূর্বে সারা বিশ্বের কেউ করেনি? তোমরা তো কামবশতঃ পুরুষদের কাছে গমন কর নারীদেরকে ছেড়ে। বরং তোমরা সীমা অতিক্রম করেছ। তাঁর সম্প্রদায় এ ছাড়া কোন উত্তর দিল না যে, বের করে দাও এদেরকে শহর থেকে। এরা খুব সাধু থাকতে চায়। অতএব, দেখ গোনাহগারদের পরিণতি কেমন হয়েছে।


আল কুরআন, সুরা শুয়ারা ২৬ঃ ১৬৫ থেকে ১৭৩ আয়াতে বর্ণিত হয়েছে,

সারা জাহানের মানুষের মধ্যে তোমরাই কি পুরূষদের সাথে কুকর্ম কর? এবং তোমাদের পালনকর্তা তোমাদের জন্যে যে স্ত্রীগনকে সৃষ্টি করেছেন, তাদেরকে বর্জন কর? বরং তোমরা সীমালঙ্ঘনকারী সম্প্রদায়। তারা বলল, হে লূত, তুমি যদি বিরত না হও, তবে অবশ্যই তোমাকে বহিস্কৃত করা হবে। লূত বললেন, আমি তোমাদের এই কাজকে ঘৃণা করি। হে আমার পালনকর্তা, আমাকে এবং আমার পরিবারবর্গকে তারা যা করে, তা থেকে রক্ষা কর। অতঃপর আমি তাঁকে ও তাঁর পরিবারবর্গকে রক্ষা করলাম। এক বৃদ্ধা ব্যতীত, সে ছিল ধ্বংস প্রাপ্তদের অন্তর্ভুক্ত। এরপর অন্যদেরকে নিপাত করলাম।  তাদের উপর এক বিশেষ বৃষ্টি বর্ষণ করলাম। ভীতি-প্রদর্শিতদের জন্যে এই বৃষ্টি ছিল কত নিকৃষ্ট। 


আল কুরআন, সুরা নামল ২৭ঃ ৫৪ থেকে ৫৮ আয়াতে বর্ণিত হয়েছে,

স্মরণ কর লূতের কথা, তিনি তাঁর কওমকে বলেছিলেন, তোমরা কেন অশ্লীল কাজ করছ? অথচ এর পরিণতির কথা তোমরা অবগত আছ! তোমরা কি কামতৃপ্তির জন্য নারীদেরকে ছেড়ে পুরুষে উপগত হবে? তোমরা তো এক বর্বর সম্প্রদায়। উত্তরে তাঁর কওম শুধু এ কথাটিই বললো, লূত পরিবারকে তোমাদের জনপদ থেকে বের করে দাও। এরা তো এমন লোক যারা শুধু পাকপবিত্র সাজতে চায়। অতঃপর তাঁকে ও তাঁর পরিবারবর্গকে উদ্ধার করলাম তাঁর স্ত্রী ছাড়া। কেননা, তার জন্যে ধ্বংসপ্রাপ্তদের ভাগ্যই নির্ধারিত করেছিলাম। আর তাদের উপর বর্ষণ করেছিলাম মুষলধারে বৃষ্টি। সেই সতর্ককৃতদের উপর কতই না মারাত্নক ছিল সে বৃষ্টি।


আল কুরআন, সুরা আনকাবুত ২৯ঃ ২৮ থেকে ৩২ আয়াতে বর্ণিত হয়েছে,

আর প্রেরণ করেছি লূতকে। যখন সে তার সম্প্রদায়কে বলল, তোমরা এমন অশ্লীল কাজ করছ, যা তোমাদের পূর্বে পৃথিবীর কেউ করেনি। তোমরা কি পুংমৈথুনে লিপ্ত আছ, রাহাজানি করছ এবং নিজেদের মজলিসে গর্হিত কর্ম করছ? জওয়াবে তাঁর সম্প্রদায় কেবল একথা বলল, আমাদের উপর আল্লাহর আযাব আন যদি তুমি সত্যবাদী হও। সে বলল, হে আমার পালনকর্তা, দুস্কৃতকারীদের বিরুদ্ধে আমাকে সাহায্য কর।যখন আমার প্রেরিত ফেরেশতাগণ সুসংবাদ নিয়ে ইব্রাহীমের কাছে আগমন করল, তখন তারা বলল, আমরা এই জনপদের অধিবাসীদেরকে ধ্বংস করব। নিশ্চয় এর অধিবাসীরা জালেম। সে বলল, এই জনপদে তো লূতও রয়েছে। তারা বলল, সেখানে কে আছে, তা আমরা ভাল জানি। আমরা অবশ্যই তাকে ও তাঁর পরিবারবর্গকে রক্ষা করব তাঁর স্ত্রী ব্যতীত; সে ধ্বংসপ্রাপ্তদের অন্তর্ভূক্ত থাকবে।


জামে আত তিরমিজি, হাদিসঃ ১৪৫৬, সহিহ হাদিস থেকে বর্ণিত,

ইবনু আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেনঃ তোমরা যে মানুষকে লূত সম্প্রদায়ের কুকর্মে (সমকামিতায়) নিয়োজিত পাবে সেই কুকর্মকারীকে এবং যার সাথে কুকর্ম করা হয়েছে তাকে মেরে ফেলবে।-ihadis.com


জামে আত তিরমিজি, হাদিসঃ ১৪৫৭, হাসান হাদিস থেকে বর্ণিত,

আবদুল্লাহ ইবনু মুহাম্মাদ ইবনু আকীল (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ তিনি বলেন, জাবির (রাঃ) -কে আমি বলতে শুনেছি, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেনঃ আমি যে কুকর্মটি আমার উম্মাতের মাঝে ছড়িয়ে পড়ার সর্বাধিক ভয় করি তা হল লূত সম্প্রদায়ের কুকর্ম।-ihadis.com


সুনানে আবু দাউদ, হাদিসঃ ৪৪৬২, হাসান সহিহ হাদিস থেকে বর্ণিত,

ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃতিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেনঃ তোমরা কাউকে যদি লুত গোত্রের মতই কুকর্মে লিপ্ত দেখতে পাও তাহলে কর্তা ও যার সঙ্গে করা হয়েছে তাদের উভয়কে হত্যা করো।-ihadis.com


সুনানে আবু দাউদ, হাদিসঃ ৪৪৬৩, সহিহ মওকুফ হাদিস থেকে বর্ণিত,

ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃতিনি বলেন, অবিবাহিতদের লাওয়াতাতে (পায়ুকামে) লিপ্ত পাওয়া গেলে রজম করা হবে। ইমাম আবূ দাঊদ (রহঃ) বলেন, ‘আসিম (রহঃ) বর্ণিত হাদীস আমর ইবনু আবূ ‘আমরের হাদীসকে দুর্বল প্রমানিত করে।-ihadis.com


সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদিসঃ ২৫৬২, হাসান হাদিস থেকে বর্ণিত,

আবূ হুরায়রাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম লূত জাতির অনুরূপ অপকর্মে লিপ্ত ব্যক্তি সম্পর্কে বলেনঃ তোমরা উপরের এবং নিচের ব্যক্তিকে অর্থাৎ উভয়কে প্রস্তরাঘাতে হত্যা করো।-ihadis.com


অপরাধ নির্মূলে ইসলামের যৌক্তিক সমাধানঃ


এক দাসীর সাথে এক লোক মুক্তচিন্তায় জবরদস্তি ধর্ষণ করে ফেলে এই কারণে হযরত উমার (রা) যেই শাস্তি দেন পাঠ করুন। নাস্তিকরা বিভিন্ন মিথ্যাচার করে বলে থাকে ইসলামে নাকি ধর্ষণের শাস্তি নেই। এই দাবিটি একদম ডাহামিথ্যে (২১),(২২),(২৩)।


সহিহ বুখারী,হাদিসঃ ৬৯৪৯, সহিহ হাদিস থেকে বর্ণিতঃ

লায়স (রহঃ) নাফি‘ (রহঃ)-এর সূত্রে বর্ণনা করেন যে, সুফীয়্যাহ বিন্‌ত আবূ ‘উবায়দ তাকে সংবাদ দিয়েছেন যে, সরকারী মালিকানাধীন এক গোলাম গনীমতের পঞ্চমাংশে পাওয়া এক দাসীর সঙ্গে জবরদস্তি করে যিনা করে। তাতে তার কুমারীত্ব মুছে যায়।উমর (রাঃ) উক্ত গোলামকে কশাঘাত করলেন ও নির্বাসন দিলেন। কিন্তু দাসীটিকে সে বাধ্য করেছিল বলে কশাঘাত করলেন না। যুহরী (রহঃ) কুমারী দাসীর ব্যাপারে বলেন, যার কুমারীত্ব কোন আযাদ ব্যক্তি ছিন্ন করে ফেলল, বিচারক ঐ কুমারী দাসীর মূল্য অনুপাতে তার জন্য ঐ আযাদ ব্যক্তির নিকট হতে কুমারীত্ব মুছে ফেলার দিয়াত গ্রহণ করবেন এবং ওকে কশাঘাত করবেন। আর বিবাহিতা দাসীর ক্ষেত্রে ইমামদের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী কোন জারিমানা নেই। কিন্তু তার উপর ‘হদ’ জারি হবে।- ihadis.com


দেশে কেউ যদি অশান্তি সৃষ্টি করতে চায় তাদের ক্ষেত্রে ইসলামের বিধান যেমন পড়ুন।


আল কুরআন, সুরা মায়েদা ৫ঃ৩৩ আয়াত থেকে বর্ণিত,

যারা আল্লাহ ও তাঁর রসূলের সাথে সংগ্রাম করে এবং দেশে হাঙ্গামা সৃষ্টি করতে সচেষ্ট হয়, তাদের শাস্তি হচ্ছে এই যে, তাদেরকে হত্যা করা হবে অথবা শূলীতে চড়ানো হবে অথবা তাদের হস্তপদসমূহ বিপরীত দিক থেকে কেটে দেয়া হবে অথবা দেশ থেকে বহিষ্কার করা হবে। এটি হল তাদের জন্য পার্থিব লাঞ্ছনা আর পরকালে তাদের জন্যে রয়েছে কঠোর শাস্তি।


এসব প্রমাণ সামনে রেখে বলাই যায় যেসব লোক শিক্ষক সেজে অথবা হুজুর সেজে অপরাধ করে তাদের শাস্তি ইসলামের আইনে খুবই কঠিন। নাস্তিক্যধর্মের মুক্তচিন্তায় হয়তো কোনো লোক শিশুকে ধর্ষণ করা, শিশুকে খুন করা, মেয়েদের ইজ্জত লুটপাট করা, নিজের সন্তানদের সাথে সমকামীতা চর্চা করা বৈধ কিন্তু ইসলামের এসকল অশ্লীল কাজ অপরাধযোগ্য ও শাস্তিযোগ্য। ইসলাম আমাদেরকে যা যা শিক্ষা দেয়।


আদাবুল মুফরাদ, হাদিসঃ ৪১৯, সহিহ হাদিস থেকে বর্ণিত,

আবু হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃরাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলছেনঃ মুমিন ব্যক্তি চিন্তাশীল, গম্ভীর ও ভদ্র প্রকৃতির হয়ে থাকে আর পাপিষ্ঠ ব্যক্তি প্রতারক, ধোঁকাবাজ, কৃপণ, নীচ ও অসভ্য হয়ে থাকে।-ihadis.com


সিলসিলা সহিহা, হাদিসঃ ৩৫, হাসান লিগাইরিহি হাদিস থেকে বর্ণিত,


মুয়াজ ইবনু জাবাল থেকে বর্ণিতঃরাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁকে (প্রতিনিধি হিসেবে) এক গোত্রের প্রতি প্রেরণ করছিলেন। তখন তিনি বললেন, হে আল্লাহর রাসূল! আমাকে উপদেশ দিন। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন: সালামের প্রসার ঘটাবে এবং খাবার বিতরণ করবে (অর্থাৎ মানুষদের আহার করাবে) তোমার পরিবারের লোকদের ব্যাপারে যেমন লজ্জাপোষণ করা তদ্রূপ আল্লাহর ব্যাপারে লজ্জাপোষণ করবে। যখন কোন ত্রুটি কর তখন (তার বিনিময়ে) সৎ কাজ করবেযতটুকু সম্ভব তোমার আচরণ উত্তম করবে।-ihadis.com 


রিয়াদুস সলেহিন, হাদিসঃ ৬০৭, সহিহ হাদিস থেকে বর্ণিত,

‘ইয়ায ইবনে হিমার রাদ্বিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিতঃরাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘‘আল্লাহ তা‘আলা আমার নিকট অহী পাঠালেন যে, তোমরা পরস্পরে নম্র ব্যবহার অবলম্বন কর। যাতে কেউ যেন কারো প্রতি গর্ব না করে এবং কেউ যেন কারো প্রতি যুলুম না করে।’-ihadis.com


ইসলাম আমাদেরকে চিন্তাশীলতা শিক্ষা দেয়। ইসলাম আমাদেরকে গম্ভীর ও ভদ্র হয়ে শিক্ষা দেয়। মানুষের মধ্যে খাবার বিতরণ করবার শিক্ষা দেয় ইসলাম। নিজের আচরণকে উত্তম করবার শিক্ষা দেয়। এমনকি কেউ যদি কোন মানুষকে অন্যায়ভাবে হত্যা করে তাহলে সেই অপরাধীকেও হত্যা করবার বিধান রয়েছে ইসলামের আইনে।


আল কুরআন, ২ঃ১৭৮ আয়াত থেকে বর্ণিত,

হে ঈমানদারগন! তোমাদের প্রতি নিহতদের ব্যাপারে কেসাস গ্রহণ করা বিধিবদ্ধ করা হয়েছে। স্বাধীন ব্যক্তি স্বাধীন ব্যক্তির বদলায়, দাস দাসের বদলায় এবং নারী নারীর বদলায়। অতঃপর তার ভাইয়ের তরফ থেকে যদি কাউকে কিছুটা মাফ করে দেয়া হয়, তবে প্রচলিত নিয়মের অনুসরণ করবে এবং ভালভাবে তাকে তা প্রদান করতে হবে। এটা তোমাদের পালনকর্তার তরফ থেকে সহজ এবং বিশেষ অনুগ্রহ। এরপরও যে ব্যাক্তি বাড়াবাড়ি করে, তার জন্য রয়েছে বেদনাদায়ক আযাব।


মাদ্রাসা এমনকি স্কুল-কলেজ ও ইউনিভার্সিটি গুলোতে যদি ইসলামের আইন বাস্তবায়ন করা যায় তাহলেই সকল অপরাধ নির্মূল করা সম্ভব। তা না হলে মানুষের মধ্যে নাস্তিক্যধর্মের বিষাক্ত মুক্তচিন্তার বিজ গেথে গেলে মানব সভ্যতা ক্ষতিগ্রস্থ হয়ে যাবে। 


উপসংহারঃ মাদ্রাসা হোক, স্কুল-কলেজ অথবা ইউনিভার্সিটি হোক সব স্থানেই ইসলামিক আইন প্রয়োগ করতে হবে এবং অপরাধীকে দয়া-মায়া ছাড়াই কঠিন থেকে কঠিন শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে যা একমাত্র ইসলামের আইনেই সম্ভব। শিশু বলৎকার থেকে নিয়ে সমকামীতা পর্যন্ত সকল চিন্তার মুক্তিতে করা অপরাধ নিভিয়ে দিতে ইসলামের আইনের বিকল্প নেই। তথ্য-প্রমাণ দিয়ে বিস্তারিত সবই আপনাদের সামনে দেখিয়ে দিয়েছি এখন সিদ্ধান্ত নেবার দায়িত্ব আপনার। সমাজকে সুন্দর করে শান্তিতে রুপান্তর করে নিতে অবশ্যই ইসলামের বিকল্প নেই। মুক্তচিন্তা,নাস্তিক্যবাদ,সমকামীতা নামক বিজ্ঞানবিরোধী কুসংস্কার থেকে নাস্তিকদের মুক্ত হতে হবে। হতে হবে সুস্থ-মার্জিত ও সভ্য চিন্তার অধিকারী।


রেফারেন্সমালাঃ


[১] চট্টগ্রামে মাদ্রাসার শিক্ষক ধর্ষণ করলেন পাঁচ বছরের শিশুকেঃ

https://www.prothomalo.com/bangladesh/%E0%A6%9A%E0%A6%9F%E0%A7%8D%E0%A6%9F%E0%A6%97%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%AE%E0%A7%87-%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%A6%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%B8%E0%A6%BE%E0%A6%B0-%E0%A6%B6%E0%A6%BF%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%B7%E0%A6%95-%E0%A6%A7%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%B7%E0%A6%A3-%E0%A6%95%E0%A6%B0%E0%A6%B2%E0%A7%87%E0%A6%A8-%E0%A6%AA%E0%A6%BE%E0%A6%81%E0%A6%9A-%E0%A6%AC%E0%A6%9B%E0%A6%B0%E0%A7%87%E0%A6%B0


[২] শিশু ধর্ষণ:মাদ্রাসা অধ্যক্ষ ও শিক্ষকের বিরুদ্ধে মামলাঃ

https://www.news24bd.tv/details/75581


[৩] ছাত্রীকে যৌন নিপীড়নের অভিযোগে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক গ্রেপ্তারঃ

https://agamirsomoy.com/%e0%a6%9b%e0%a6%be%e0%a6%a4%e0%a7%8d%e0%a6%b0%e0%a7%80%e0%a6%95%e0%a7%87-%e0%a6%af%e0%a7%8c%e0%a6%a8-%e0%a6%a8%e0%a6%bf%e0%a6%aa%e0%a7%80%e0%a7%9c%e0%a6%a8%e0%a7%87%e0%a6%b0-%e0%a6%85%e0%a6%ad-2/230030


[৪] স্কুলে শিশু ধর্ষণের অভিযোগে শিক্ষক গ্রেপ্তারঃ

https://www.prothomalo.com/world/%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%95%E0%A7%81%E0%A6%B2%E0%A7%87-%E0%A6%B6%E0%A6%BF%E0%A6%B6%E0%A7%81-%E0%A6%A7%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%B7%E0%A6%A3%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%85%E0%A6%AD%E0%A6%BF%E0%A6%AF%E0%A7%8B%E0%A6%97%E0%A7%87-%E0%A6%B6%E0%A6%BF%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%B7%E0%A6%95-%E0%A6%97%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A7%87%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A6%BE%E0%A6%B0


[৫] স্কুলের টয়লেটে ছাত্রীকে ধর্ষণের চেষ্টা শিক্ষকেরঃ

https://www.jagonews24.com/country/news/555649


[৬] স্কুল শেষে শৌচলয় নিয়ে গিয়ে ৬ বছরের শিশুকে ধর্ষণ শিক্ষকেরঃ

https://www.amaderbharat.com/6-years-child-raped-by-her-teacher/


[৭] এবার শিশু ধর্ষণ চেষ্টায় পুরোহিত গ্রেফতারঃ

https://www.ittefaq.com.bd/46829/%E0%A6%8F%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%B0-%E0%A6%B6%E0%A6%BF%E0%A6%B6%E0%A7%81-%E0%A6%A7%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%B7%E0%A6%A3-%E0%A6%9A%E0%A7%87%E0%A6%B7%E0%A7%8D%E0%A6%9F%E0%A6%BE%E0%A7%9F-%E0%A6%AA%E0%A7%81%E0%A6%B0%E0%A7%8B%E0%A6%B9%E0%A6%BF%E0%A6%A4-%E0%A6%97%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A7%87%E0%A6%AB%E0%A6%A4%E0%A6%BE%E0%A6%B0


[৮] দিল্লিতে দলিত শিশুকে ধর্ষণ করে জ্বালিয়ে দেওয়ার অভিযোগে পুরোহিত গ্রেপ্তারঃ

https://www.bbc.com/bengali/news-58058985


[৯] ধামরাইয়ে স্কুলছাত্রীকে অপহরণের পর ধর্ষণ, শিক্ষক গ্রেপ্তারঃ

https://agamirsomoy.com/%e0%a6%a7%e0%a6%be%e0%a6%ae%e0%a6%b0%e0%a6%be%e0%a6%87%e0%a7%9f%e0%a7%87-%e0%a6%b8%e0%a7%8d%e0%a6%95%e0%a7%81%e0%a6%b2%e0%a6%9b%e0%a6%be%e0%a6%a4%e0%a7%8d%e0%a6%b0%e0%a7%80%e0%a6%95%e0%a7%87-%e0%a6%85/230033


[১০] ১২০ নারীকে ধর্ষণ ও ভিডিও ধারণ,হরিয়ানা মন্দিরের প্রধান পুরোহিত গ্রেপ্তার:

https://somoyekhon.com/news/47916


[১১] ৫০ বছরের নারীকে ধর্ষণের পর হত্যা করেন পুরোহিতঃ

https://www.risingbd.com/international/news/388546


[১২] Ethics Without Gods:

https://www.atheists.org/activism/resources/ethics-without-gods/


[১৩] দেখা যাচ্ছে নিছকই বানর বৈ আমরা কিছু নইঃ

https://blog.muktomona.com/2010/07/02/7568/


[১৪] মানুষ কি বানর থেকে এসেছে?

https://mm-gold.azureedge.net/evolution/QA/human_monkey_evolution.html


[১৫] No single gene associated with being gay:

https://www.bbc.com/news/health-49484490


[১৬] How do genes affect same-sex behavior?

https://www.science.org/doi/full/10.1126/science.aay2726


[১৭] Syphilis spike linked to homosexual activity;

http://www.startribune.com/syphilis-spike-linked-to-homosexualactivity/40434042/


[১৮] Is Staph Strain a 'Gay Disease'?

http://www.newsweek.com/staph-strain-gay-disease-87285


[১৯] Sci/Tech Doubt cast on 'gay gene'

http://news.bbc.co.uk/2/hi/science/nature/325979.stm


[২০] সমকামীতা কি কোন রোগ? রোগ হলে তার চিকিৎসা কি?

https://www.faijulhuq.com/%e0%a6%b8%e0%a6%ae%e0%a6%95%e0%a6%be%e0%a6%ae%e0%a7%80%e0%a6%a4%e0%a6%be-%e0%a6%95%e0%a6%bf-%e0%a6%95%e0%a7%8b%e0%a6%a8-%e0%a6%b0%e0%a7%8b%e0%a6%97-%e0%a6%b0%e0%a7%8b%e0%a6%97-%e0%a6%b9%e0%a6%b2/


[২১] ইসলামে ধর্ষণের শাস্তি বিষয় জানতে আরও পড়ুনঃ

https://at-tahreek.com/article_details/6998


[২২] ইসলামে কি আদৌ ধর্ষণের শাস্তি বলে কিছু আছে?

https://response-to-anti-islam.com/


[২৩] শরিয়া আইনে ধর্ষকের বিচার ও সাক্ষ্য-প্রমাণ নিয়ে বিভিন্ন প্রশ্ন ও জবাব:

https://response-to-anti-islam.com/


এমডি আলী

যিনি একজন লেখক, বিতার্কিক ও গবেষক। বিভিন্ন ধর্ম ও মতবাদ বিষয় পড়াশোনা করেন। ইসলামের সত্যতা মানুষের কাছে ছড়িয়ে দিতে চান। “সত্যের অনুভূতি” উনার লেখা প্রথম বই। “ফ্যান্টাস্টিক হামজা” দ্বিতীয় বই। জবাব দেবার পাশাপাশি নাস্তিক মুক্তমনাদের যৌক্তিক সমালোচনা করে থাকেন।

Previous Post Next Post