উটের মূত্র নিয়ে নাস্তিকদের মিথ্যাচার


উটের মূত্র নিয়ে নাস্তিকদের মিথ্যাচার

লিখেছেনঃ এমডি আলী।

—--------------------------------------

ভূমিকাঃ 

নাস্তিকরা বিভিন্ন সময়ে উটের মূত্র পান করার কিছু ছবি দেখিয়ে ইসলামের সাথে জবরদস্তি মিশিয়ে দেখাতে চায় ইসলাম কত নোংরা। নাস্তিকরা না বুঝেই বলদের মতো হাসিঠাট্টা ও অভিযোগ করে থাকে। তাই সত্যিটা জানা প্রয়োজন আছে কিনা? মহানবী (সা)কি সবাইকে উটের মূত্র পান করতে বলেছেন? আসল ঘটনাটি আসলে কি? সেটা নিয়েই আজকের আলোচনা।

উটের মূত্র পানের সেই ঘটনাটি

সুনানে আন নাসায়ী, হাদিসঃ ৪০২৪, সহিহ হাদিসঃ

আনাস ইবন মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ তিনি বলেন, আরবের উকল গোত্রের আট ব্যক্তি রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম -এর নিকট উপস্থিত হলো। মদীনার আবহাওয়া তাদের অনুকূল হলো না, ফলে তারা রোগাক্রান্ত হয়ে পড়লো তারা এ ব্যাপারে রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম -এর নিকট অভিযোগ করলে তিনি বললেনঃ তোমরা আমাদের উটের রাখালের সাথে বাইরে যাবে এবং নিজেদের রোগের জন্য উটের মূত্র এবং দুধ পান করবে। তারা বললেনঃ হ্যাঁ। সুতরাং তারা গিয়ে উটের দুধ এবং পেশাব পান করলো এবং সুস্থ হয়ে গেল। পরে তারা রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম -এর রাখালকে হত্যা করে উট নিয়ে পালিয়ে গেল। রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাদের পেছনে লোক পাঠালেন। তারা তাদের ধরে আনলো। তিনি তাদের হাত-পা কেটে ফেললেন এবং গরম শলাকা দিয়ে তাদের চোখ অন্ধ করে দিলেন। এরপর তাদের রৌদ্রে ফেলে রাখলেন। ফলে এভাবে তারা মারা গেল।-ihadis.com

সুনানে আন নাসায়ী, হাদিসঃ ৪০২৫, সহিহ হাদিসঃ

আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ উকল গোত্রের কয়েকজন লোক রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম -এর খিদমতে উপস্থিত হয়ে ইসলাম গ্রহণ করে। কিন্তু মদীনার আবহাওয়া তাদের অনুকূল না হওয়ায় রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাদেরকে সাদকার উটের কাছে যাওয়ার জন্য এবং উটের দুধ এবং পেশাব পান করার আদেশ দিলেন। তারা ঐরূপ করলোপরে তারা রাখালকে হত্যা করে উট নিয়ে চলে গেলনবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাদের ধরে আনার জন্য লোক পাঠালেন। রাবী বলেনঃ তাদের আনার পর তাদের হাত-পা কেটে দিলেন, তাদের চোখ গরম শলাকা দিয়ে অন্ধ করে দিলেন। তাদের যখমের রক্ত বন্ধ করার জন্য ছেঁকা দিলেন না। বরং এভাবে তাদের ফেলে রাখলেন। ফলে তারা এভাবে মারা গেল। এরই প্রেক্ষিত আল্লাহ্ তা’আলা নাযিল করেন।-ihadis.com

সুনানে আন নাসায়ী, হাদিসঃ ৪০২৬, সহিহ হাদিসঃ

আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ তিনি বলেন উকল গোত্রের আট ব্যক্তি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম -এর খিদমতে আগমন করলো। এরপর আগের হাদীসের মত বর্ণনার পর রাবী বলেনঃ তারা রাখালকে হত্যা করলো।-ihadis.com

সুনানে আন নাসায়ী, হাদিসঃ ৪০২৭, সহিহ হাদিসঃ

আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ তিনি বলেন, উরায়না বা উকল গোত্র হতে একদল লোক রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম -এর খিদমতে আসলে, তিনি তাদেরকে কয়েকটি উট অথবা উটনীর আদেশ করলেন, কারণ মদীনার আবহাওয়া তাদের অনুকূল ছিল না। তিনি তাদেরকে উটের দুধ এবং পেশাব পান করতে বললেনতারা ঐ সকল উট নিয়ে গেল এবং রাখালকে হত্যা করলো। নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাদের সন্ধানে লোক পাঠালেন। পরে তিনি তাদের হাত-পা কেটে দিলেন এবং গরম শলাকার ছেঁকা দিয়ে চোখ অন্ধ করে দিলেন।-ihadis.com

সহিহ বুখারী, হাদিসঃ ২৩৩, সহিহ হাদিসঃ

আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃতিনি বলেনঃ ‘উকল বা ‘উরাইনাহ গোত্রের কিছু লোক (ইসলাম গ্রহণের উদ্দেশে) মদীনায় এলে তারা অসুস্থ হয়ে পড়ল। নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাদের (সদকার) উটের নিকট যাবার এবং উটের পেশাব ও দুধ পান করার নির্দেশ দিলেন। তারা সেখানে চলে গেল। অতঃপর তারা সুস্থ হয়ে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর রাখালকে হত্যা করল এবং উটগুলো তাড়িয়ে নিয়ে গেল। এ সংবাদ দিনের প্রথম ভাগেই (তাঁর নিকট) এসে পৌঁছল। তিনি তাদের পশ্চাদ্ধাবন করার জন্য লোক পাঠালেন। বেলা বাড়লে তাদেরকে পাকড়াও করে আনা হল। অতঃপর তাঁর আদেশে তাদের হাত পা কেটে ফেলা হল। উত্তপ্ত শলাকা দিয়ে তাদের চোখ ফুটিয়ে দেয়া হল এবং গরম পাথুরে ভূমিতে তাদের নিক্ষেপ করা হল। তারা পানি চাইছিল, কিন্তু তাদেরকে পানি দেয়া হয়নি। আবূ কিলাবাহ (রহঃ) বলেন, এরা চুরি করেছিল, হত্যাকান্ড ঘটিয়েছিল, ঈমান আনার পর কুফরী করেছিল এবং আল্লাহ ও তাঁর রসূলের বিরুদ্ধে যুদ্ধে লিপ্ত হয়েছিল।-ihadis.com

জামে আত তিরমিজি,হাদিসঃ ৭২, সহিহ হাদিসঃ

আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ উরাইনা গোত্রের লোকেরা মদীনায় আসল। কিন্তু এখানকার আবহাওয়া তাদের অনুকূল হল না। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাদেরকে সাদকার উটের নিকট পাঠিয়ে দিলেন এবং বললেনঃ “তোমরা এর দুধ ও পেশাব পান কর”। তারা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লামের রাখালকে হত্যা করে উটগুলো লুন্ঠন করে নিয়ে গেল এবং ইসলাম ত্যাগ করল (মুরতাদ হয়ে গেল) তাদেরকে গ্রেফতার করে নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লামের নিকট আনা হল। তিনি তাদের এক দিকের হাত ও অন্যদিকের পা কাটলেন (কাটালেন), চোখ উপড়ে ফেললেন (ফেলালেন) এবং রোদের মধ্যে কাঁকরময় জমীনে ফেলে রাখলেন। আনাস (রাঃ) বলেনঃ আমি তাদের মধ্যে এক ব্যক্তিকে মুখ দিয়ে মাটি খুঁড়তে দেখলাম। অতঃপর সে মারা গেল। (অধঃস্তন রাবী) হাম্মাদ কখনো কখনো বলতেন, সে তার মুখ দিয়ে মাটি কামড়াচ্ছিল। পরিশেষে তারা মারা গেল।-ihadis.com

তাহলে সমস্ত তথ্যগুলো ঠিক মতো পড়ে আমরা জানতে পারলাম সেই উরাইনা গোত্রের লোক গুলো মদিনাতে আসলে তারা অসুস্থ হয়ে পড়ল। এই অসুস্থতা থেকে রোগমুক্তির জন্য ঔষধ হিসেবে হযরত মহানবী (সা) তাদেরকে উটের দুধের সাথে উটের মূত্র পান করতে বলেন। এমনকি এর মাধ্যমে তারা সুস্থও হয়ে যায়। পরবর্তীতে তারা মুক্তচিন্তায় উট গুলো চুরি তো করেই সাথে মুক্তমনে অসহায় রাখালটিকে হত্যা পর্যন্ত করে। সেই লোক গুলো এতো বর্বর ছিল যে প্রথমে ইসলাম গ্রহণ করার নাটক করে পরবর্তীতে ইসলাম ত্যাগ করে। তাই সার্বিক অপরাধ বিবেচনায় নবীজি মোহাম্মদ (সা) সেই উরাইনা গোত্রের মুক্তমনা খুনিদেরকে ন্যায্য শাস্তি প্রদান করেন।

নাস্তিক্যধর্মের অনুসারীদের কাছে প্রশ্ন হচ্ছে হযরত মোহাম্মদ (সা) এখানে কি অন্যায়টা করেছেন? উরাইনা গোত্র মদিনাতে আসলে অসুস্থ হলে উটের মূত্রকে উটের দুধের সাথে মিশিয়ে খাওয়ার ফলে যে তারা সুস্থ হয়েছিল এটা কি নবীজি (সা) এর অপরাধ? এরপরে সেইই সুস্থ হওয়া লোকগুলো যখন অন্যায়ভাবে রাখালটিকে হত্যা করে এই খুনিদেরকে শাস্তি দেয়া কি অন্যায়? সেই রাখাটিকে যে উরাইনার লোকেরা মুক্তমনে হত্যা করলো সেই রাখালের পক্ষে নবীজি (সা) যে সঠিক শাস্তি দিয়েছেন এর পক্ষে নাস্তিকরা কেন নবীজি (সা) এর প্রশংসা করলো না? মুক্তমনা নামের নাস্তিকগুলো যে অসাধু কথাটি যে প্রমাণিত সত্যি এটা কি বুঝিয়ে বলার আর দরকার আছে?

“উরাইনা গোত্রের লোকদের নির্মম মৃত্যু দিয়েছেন নবী মোহাম্মদ” এভাবে বলে পুরো ঘটনাকে ধামাচাপা দিয়ে মুক্তমনে নবী মোহাম্মদ (সা)কে খারাপ হিসেবে দেখাতে চায় নাস্তিকরা। কিন্তু সেই লোকেরা যে খুনি ছিল, অন্যায়ভাবে রাখালকে যে হত্যা করেছে আর ইসলাম গ্রহণের মিথ্যা অভিনয় করে আবার ত্যাগ করে মুসলিমদেরকে ধোঁকা দিয়েছে এই সত্যি কথা গুলো সেই নাস্তিক গুলো মুক্তচিন্তায় লুকিয়ে রাখে। কেননা এভাবে না লুকালে তো আর নবীজি মোহাম্মদ (সা)কে খারাপ বানানো যাবে না। বুঝেন নি?

নাস্তিকরা আরও বলে যে উক্ত হাদিস থেকে নাকি সকল মুসলিমদের জন্য উটের মূত্র খাওয়া সুন্নত। আসলে মুক্তমনে যা ইচ্ছে তাই বলে দেয়া যায় এর জন্য সততার দরকার হয় না। পাঠক আপনারাই বলুন তো উক্ত হাদিস গুলোর ঠিক কোথায় বলা হয়েছে “সবাইকে উটের মূত্র খেতে হবে”? উক্ত ঘটনা থেকে এমন প্রমাণ পাওয়া যায় না যে সাহাবীদেরকেও নবীজি উটের মূত্র খেতে বলেছেন তাহলে মুক্তচিন্তার আশ্রয়ে নাস্তিকদেরকে মিথ্যা কথা বলতে হল কেন?

হযরত মোহাম্মদ (সা) নিজে কখনো উটের মূত্র পান করেননি এবং সাহাবীগণকেও কখনো পান করতে বলেছিলেন এমন সহিহ হাদিস নেই। তাহলে এটা যদি সুন্নত হতো তাহলে উনি কেন বাকি সবাইকে পান করতে বলেন নি?

সেই লোকেরাই সেচ্ছায় পান করতে চান নবীজি (সা) বিন্দুমাত্র কোনো জবরদস্তি করেন নি। আসুন হাদিসটি পড়ি।

সহিহ বুখারী, হাদিসঃ ৩০১৮, সহিহ হাদিসঃ

আনাস ইব্‌নু মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ ‘উক্‌ল নামক গোত্রের আট ব্যক্তির একটি দল নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিকট এল। মদীনার আবহাওয়া তারা উপযোগী মনে করেনি। তারা বলল, হে আল্লাহ্‌র রসূল! আমাদের জন্য দুগ্ধবতী উটনীর ব্যবস্থা করুন। আল্লাহর রসূল সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন, তোমরা বরং সদকার উটের পালের নিকট যাও। তারা সেখানে গিয়ে সেগুলোর পেশাব ও দুধ পান করে সুস্থ এবং মোটাতাজা হয়ে গেল। অতঃপর তারা উটের রাখালকে হত্যা করে উটের পাল হাঁকিয়ে নিয়ে গেল এবং মুসলিম হবার পর তারা মুরতাদ হয়ে গেল। তখন এক সংবাদ দাতা নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিকট উপস্থিত হল। নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ঘোড়-সওয়ারদেরকে তাদের সন্ধানে পাঠালেন। তখন পর্যন্ত দিনের আলো প্রকাশ পায়নি ‘সে সময় তাদেরকে নিয়ে আসা হল। আল্লাহর রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাদের হাত পা কেটে ফেললেন। অতঃপর তাঁর নির্দেশে লৌহ শলাকা গরম করে তাদের চোখে ঢুকানো হয় এবং তাদের উত্তপ্ত ভূমিতে ফেলে রাখা হয়। তারা পানি চেয়েছিল কিন্তু তাদেরকে পানি দেয়া হয়নি। অবশেষে তাদের মৃত্যু ঘটে। আবূ কিলাবা (রাঃ) বলেন, তারা হত্যা করেছে, চুরি করেছে, আল্লাহ্‌ তা‘আলা ও তাঁর রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সঙ্গে যুদ্ধ করেছে এবং পৃথিবীতে ফাসাদ ছড়িয়ে দিতে চেষ্টা করেছে।-ihadis.com

উটের দুগ্ধ দিয়ে নবী পরিবারসহ অনেক পরিবারের রাতের খাবার সরবরাহ হতো। উরাইনী সন্ত্রাসীদের সে রাতের লুণ্ঠনের কারণে সেদিন রাত খাবারহীনভাবে কাটিয়েছে নবী পরিবার (১)। 

নবীকে ক্ষতি করেছে, মুসলিম রাখালকে মুক্তমনে হত্যা করেছে, উট চুরি করে পালিয়ে গিয়েছিল এসব তো নাস্তিকদের কাছে ভালো লাগবেই! দিন শেষে নাস্তিক মুক্তমনা ও সেই উরাইনার লোকদের নিয়ত তো একই। আগের কালে ইসলাম বিদ্বেষীরা সরাসরি নবীজি (সা)কে দমন করার চেষ্টা করতো আর এখন নাস্তিকরা মুক্তচিন্তার নামে নবীজি (সা)কে নিয়ে মিথ্যাচার করে প্রচার করে। আর আমরা জানি নাস্তিক্যধর্মে নাস্তিক চাইলে মুক্তচিন্তায় কাউকে অন্যায়ভাবে হত্যা করতে পারে, চুরি করতে পারে, ইসলাম ত্যাগ করতে পারে আরও অনেক কিছুই নাস্তিক্যধর্মে বিশ্বাসী নাস্তিকরা করতে পারে।

কুফুরির কারণে তেমন শাস্তি দেয়া হয়েছে?

নাস্তিকরা এই হাদিস দেখিয়ে বলে সেই লোকদেরকে তো শুধু ইসলাম ত্যাগের অপরাধে তেমন নির্মমভাবে মারা হয় রাখালকে হত্যা করার জন্য নয় বা উট চুরি করার জন্য নয়।

সুনানে আন নাসায়ী, হাদিসঃ ৪০৩৫, সহিহ হাদিসঃ আনাস ইবন মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ তিনি বলেনঃ উরায়নার কয়েকজন বেদুঈন নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর নিকট উপস্থিত হয়ে ইসলাম গ্রহণ করলো। কিন্তু মদীনার আবহাওয়া তাদের অনুকূল না হওয়ায় তাদের রং হলদে হয়ে গেল এবং পেট ফুলে গেল। নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাদেরকে দুধওয়ালা উটের নিকট পাঠান এবং সেগুলোর দুধ ও পেশাব পান করার আদেশ দেন। এভাবে তারা সুস্থ হয়ে যায়। এরপর তারা রাখালকে হত্যা করে উট নিয়ে পালিয়ে যায়। নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাদের ধরে আনার জন্য লোক পাঠান। ধরে আনার পর তিনি তাদের হাত-পা কেটে ফেলেন এবং গরম শলাকা দ্বারা তাদের চক্ষু অন্ধ করে দেন। আমীরুল মু’মিনীন আবদুল মালিক আনাস (রাঃ) -কে জিজ্ঞাসা করলেন, যখন তিনি তাঁর কাছে এই হাদীস বর্ণনা করছিলেন- নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাদেরকে এই শাস্তি তাদের কুফরীর কারণে, না অন্য কোন অপরাধের কারণে দিয়েছিলেন? তিনি বললেনঃ কুফরীর কারণে।-ihadis.com

ইসলাম গ্রহণের অভিনয় করে মুসলিমদেরকে ধোঁকা দিয়ে আবার ইসলাম ত্যাগ করাটা প্রতারণা না তো কি? উক্ত হাদিস থেকে বুঝা যায় এই অপরাধের তো শাস্তি দিয়েছেনই এমনকি বাকি অপরাধ গুলোর জন্যও যে শাস্তি দিয়েছেন সেই হাদিসটি পড়ি।

সহিহ বুখারী, হাদিসঃ ৪৬১০, সহিহ হাদিসঃ

………একদল লোক নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর দরবারে এসে তাঁর সঙ্গে আলাপ করল, তারা বলল, আমরা এ দেশের আবহাওয়ার সঙ্গে নিজেদেরকে খাপ খাওয়াতে পারছি না। রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বললেন, এগুলো আমার উট, ঘাস খাওয়ার জন্যে বের হচ্ছে, তোমরা এগুলোর সঙ্গে যাও এবং এদের দুধ ও পেশাব পান কর। তারা ওগুলোর সঙ্গে বেরিয়ে গেল এবং দুধ ও প্রস্রাব পান করে সুস্থ হয়ে উঠল, এরপর রাখালের উপর আক্রমণ করে তাকে হত্যা করে পশুগুলো লুট করে নিয়ে গেল। এখন তাদেরকে হত্যা না করার পক্ষে আর কোন যুক্তিই থাকল না। তারা নরহত্যা করেছে, আল্লাহ ও তাঁর রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম)-এর বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছে এবং রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম)-কে ভয় দেখিয়েছে। ‘আনবাসা আশ্চর্য হয়ে বলল, সুবহানাল্লাহ! আমি বললাম, আমার এই হাদীস সম্পর্কে তুমি কি আমাকে মিথ্যা অপবাদ দেবে? ‘আনবাসা বলল, আনাস (রাঃ) আমাদেরকে এই হাদীস বর্ণনা করেছেন, আবূ কিলাবাহ বললেন, তখন ‘আনবাসা বলল, হে এই দেশবাসী (অর্থাৎ সিরিয়াবাসী) এ রকম ব্যক্তিবর্গ যতদিন তোমাদের মধ্যে থাকবে ততদিন তোমরা কল্যাণের মধ্যে থাকবে।-ihadis.com

সহিহ বুখারী, হাদিসঃ ৬৮০৫, সহিহ হাদিসঃ

আনাস ইব্‌নু মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ যে, উক্‌ল গোত্রের একদল (অথবা তিনি বলেন উরাইনা গোত্রের - জানামতে তিনি উক্‌ল গোত্রেরই বলেছেন) মদিনায় এলো, তখন নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাদেরকে দুধেল উটের কাছে যাবার হুকুম দিলেন। তাদেরকে আরো নির্দেশ করলেন যেন তারা সে সব উটের কাছে গিয়ে সেগুলোর দুধ ও পেশাব পান করে। তারা তা পান করল। শেষে যখন তারা সুস্থ হয়ে গেল, তখন রাখালকে হত্যা করে উটগুলো হাঁকিয়ে নিয়ে চলল। ভোরে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) - এর কাছে এ খবর পৌঁছল। তিনি তাদের খোঁজে লোক পাঠালেন। রোদ বাড়ার আগেই তাদেরকে নিয়ে আসা হল। তাদের ব্যাপারে তিনি আদেশ করলেন, তাদের হাত-পা কাটা হল। লোহার শলাকা দিয়ে তাদের চোখগুলো ফুঁড়া হল। এরপর প্রখর রোদে ফেলে রাখা হল। তারা পানি পান করতে চাইল। কিন্তু পান করানো হল না। আবূ ক্বিলাবাহ (রহঃ) বলেন, ঐ লোকগুলো এমন একটি দল যারা চুরি করেছিল, হত্যাও করেছিল, ঈমান আনার পর কুফ্‌রী করেছিল আর আল্লাহ্‌ ও তাঁর রসূলের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করেছিল-ihadis.com

সহিহ বুখারী, হাদিসঃ ৬৮৯৯, সহিহ হাদিসঃ

…………………আমাকে আনাস (রাঃ) বর্ণনা করেছেন, উক্‌ল গোত্রের আটজন লোক রাসূলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর কাছে এল। তারা তাঁর হাতে ইসলামের বায়’আত গ্রহণ করল। কিন্তু সে এলাকার আবহাওয়া তাদের অনুকূলে হল না এবং তারা অসুস্থ হয়ে পড়ল। তারা রাসূলুল্লাহ্‌ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর কাছে এর অভিযোগ করল। তিনি তাদেরকে বললেন, তোমরা কি আমার রাখালের সঙ্গে তার উটপালের কাছে গিয়ে সেগুলোর দুধ ও পেশাব পান করবেনা? তারা বলল, হ্যাঁ। তারপর তারা সেখানে গিয়ে সেগুলোর দুধ ও পেশাব পান করল। ফলে তারা সুস্থ হয়ে গেল। এরপর তারা রাসূলুল্লাহ্‌ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর রাখালকে হত্যা করে উটগুলো হাঁকিয়ে নিয়ে চলল। এ সংবাদ রাসূলুল্লাহ্‌ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর কানে পৌঁছলে তিনি তাদের পেছনে ধাওয়া করার জন্য লোক পাঠালেন। তারা ধরা পরল এবং তাদেরকে নিয়ে আসা হল। তাদের ব্যাপারে নির্দেশ দেয়া হল। তাদের হাত-পা কাটা হল, লৌহশলাকা দিয়ে তাদের চোখ ফুঁড়ে দেয়া হল। এরপর তপ্ত রোদে তাদেরকে ফেলে রাখা হল। অবশেষে তারা মারা গেল। আমি বললাম, তারা যা করেছে এর চেয়ে জঘন্য আর কী হতে পারে? তারা ইসলাম থেকে মুরতাদ্‌ হল, হত্যা করল, চুরি করল।….…-ihadis.com 

উটের মূত্র ঔষধ হিসেবে পান করা বিজ্ঞানবিরোধী?

অন্ধবিশ্বাসী বাটপার নাস্তিকরা বিজ্ঞান আসলেই কতটুকু বোঝে এটা নিয়ে যথেষ্ট সংশয় রয়েছে। কেননা বিজ্ঞান যখনই নাস্তিকদের বিশ্বাসের বিরুদ্ধে যায় তখনই তারা বিজ্ঞানকে নানান ভাবে এড়িয়ে চলতে চায়। একজন মুসলিম নিঃসন্দেহে ইসলামকেই বেশি প্রাধান্য দিবে অন্যদিকে নাস্তিকদের দাবি অনুযায়ী নাস্তিকরা কি বিজ্ঞানকে বেশি প্রাধান্য দেয়ার কথা নয়? কিন্তু নাস্তিকরা কি আসলেই সততার সাথে বিজ্ঞান চর্চা করে? নাকি বিজ্ঞানকে হাতিয়ার হিসেবে নিয়ে অন্ধভাবে ইসলামকে নিচু করতে চায়? কোনটা?

আপনি এমন অনেক নাস্তিকদেরকে দেখে থাকবেন যারা নিজেদেরকে বিজ্ঞানমনস্ক দাবি করে থাকে একইসাথে মুক্তচিন্তায় বিড়ি ফুঁক দিয়ে ভিডিওতে ধোঁয়া উড়ায়! নাস্তিকরা যে ভণ্ড এটা নিয়ে আমার সংশয় নেই। নাস্তিকরা যে বাটপার এটা নিয়ে আমার সংশয় নেই। নাস্তিকরা যে মিথ্যুকবাজ এই কথা নিয়ে আমার সংশয় নেই। এখন আসুন জেনে নেই ডাক্তারি বিজ্ঞানে উটের মূত্রকে ঔষধ হিসেবে ব্যাবহার করা হয় কিনা?

আধুনিক ডাক্তারি বিদ্যা মতে উটের প্রস্রাব বিভিন্ন ধরনের ক্যান্সার কোষের বিরুদ্ধে সাইটোটক্সিক কার্যকলাপের অধিকারী। দুটি গবেষণায় লিভারের বিষাক্ততা এবং গ্যাস্ট্রিক আলসারের বিরুদ্ধে উটের প্রস্রাবের প্রতিরক্ষামূলক প্রভাব প্রকাশ করা হয়েছে, যেখানে অন্য একটি গবেষণায় অ্যান্টিপ্ল্যাটলেট এজেন্ট হিসাবে উটের প্রস্রাবের ভূমিকা দেখানো হয়েছে। সমস্ত গবেষণা বিভিন্ন কার্যকর ডোজ সহ উল্লেখযোগ্য ইতিবাচক প্রভাব প্রদর্শন করেছে। এইভাবে, উটের প্রস্রাব মানুষের রোগ, বিশেষ করে ক্যান্সারের চিকিৎসায় প্রতিশ্রুতিশীল থেরাপিউটিক সম্ভাবনা দেখায় (২)।

এশিয়া ও আফ্রিকার মরুভূমির বাসিন্দাদের জন্য, উট খাদ্যের উৎস এবং পরিবহনের একটি মাধ্যম হিসাবে দৈনন্দিন জীবনের জন্য অত্যাবশ্যক, এবং ঠিক একইভাবে গুরুত্বপূর্ণ, এর দুধ এবং প্রস্রাব প্রাচীন কাল থেকেই বিভিন্ন রোগের ওষুধ হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। যাইহোক, ১৯৮০ এর দশকের গোড়ার দিকে ক্যান্সার, দীর্ঘস্থায়ী হেপাটাইটিস,হেপাটাইটিস সি সংক্রমণ,এবং পেপটিক আলসার সহ উটের দুধ বা প্রস্রাব দ্বারা চিকিৎসা করা নির্দিষ্ট রোগ এবং চিকিৎসার অবস্থা সনাক্ত করতে শুরু করে (৩)।

উট হল একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রাণিসম্পদ প্রজাতি যা জীবিকার মৌলিক চাহিদা পূরণের মাধ্যমে পশুপালন পদ্ধতিতে প্রধান ভূমিকা পালন করে। ঐতিহ্যগতভাবে, উটের প্রস্রাব মানুষের রোগের চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়ে আসছে। উটের প্রস্রাব পানের স্বাস্থ্য উপকারিতা সম্পর্কে, আধুনিক বৈজ্ঞানিক গবেষণা দ্বারা এটি প্রমাণিত হয়েছে। উটের প্রস্রাবের একটি অস্বাভাবিক এবং অনন্য জৈব রাসায়নিক গঠন রয়েছে যা ঔষধি মূল্যে অবদান রাখে (৪)। উটের প্রস্রাব এমন উপাদানগুলির সমন্বয়ে গঠিত যেগুলির অ্যান্টিটিউমার বৈশিষ্ট্য এবং অন্যান্য থেরাপিউটিক সুবিধা রয়েছে (৫)। এছাড়া আরও গবেষণা হয়েছে উটের মূত্র দিয়ে চিকিৎসার ব্যাপারে। আগ্রহীরা পড়তে পারেন (৬),(৭),(৮),(৯)।

এছাড়া হাদিসের মধ্যেও রয়েছে আগের মুসলিমরা চিকিৎসারর কারণে সেসব ব্যাবহার করতো।

সহিহ বুখারী, হাদিসঃ ৫৭৮১, সহিহ হাদিসঃ

আবূ সা‘লাবা খুশানী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ লায়স আরো বলেছেন যে, ইউনুস (রহঃ) ইবনু শিহাব (রহঃ) থেকে আমার নিকট বর্ণনা করেছেন যে, তিনি বলেছেন যে, আমি এ হাদীসের বর্ণনাকারী (আবূ ইদ্‌রীস) -কে জিজ্ঞেস করেছি যে, গাধীর দুগ্ধ, হিংস্র প্রাণীর পিত্তের রস এবং উটের পেশাব পান করা বা তা দিয়ে অযূ বৈধ কিনা? তিনি বলেছেনঃ আগেকার মুসলিম উটের প্রস্রাবের সাহায্যে চিকিৎসা করতেন এবং এটা তারা কোন পাপ মনে করতেন না। আর গাধীর দুগ্ধ সম্পর্কে কথা হলোঃ গাধার গোশ্‌ত খাওয়ার নিষেধাজ্ঞা আমাদের কাছে পৌঁছেছে। কিন্তু তার দুগ্ধের ব্যাপারে আদেশ বা নিষেধ কিছুই আমাদের কাছে পৌঁছেনি। আর হিংস্র প্রাণীর পিত্তরস সম্পর্কে ইবনু শিহাব (রহঃ) আবূ ইদ্‌রীস খাওলানী (রাঃ) থেকে বর্ণনা করেছেন যে, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম যাবতীয় নখরওয়ালা হিংস্র প্রাণী খেতে নিষেধ করেছেন।-ihadis.com

পরিশেষেঃ

উটের মূত্র স্বাভাবিক অবস্থায় পান করা যাবে কিনা এটা নিয়ে ফিকহী এখতেলাফ থাকলেও কুরআন ও সহিহ হাদিসের দৃষ্টিতে শক্তিশালী অভিমত হচ্ছে স্বাভাবিক অবস্থায় উটের মুত্র কোনো ক্ষেত্রেই পান করা বৈধ হবেনা। শুধুমাত্র ঔষধের ক্ষেত্রে ব্যাবহার করা যাবে।

সততার সাথে বিচার করলে যে কোনো বুদ্ধিমান মানুষের নজরে আসবে নাস্তিকরা কত নোংরা নিকৃষ্ট পর্যায়ের মিথ্যাচার করে থাকে ইসলামকে ভুল প্রমাণ করার জন্য। নাস্তিক্যধর্মে মিথ্যাচার করা জায়েজ কিন্তু আমরা যারা মানুষ, আমরা যারা বুদ্ধিমান তারা তো আর নাস্তিকদের মতো মিথ্যা কথা বলতে পারি না। নাস্তিকদের সাথে মানুষদের পার্থক্য তো অবশ্যই রয়েছে। বাকিটুকু পাঠকদের বিবেচনায় রেখে দিলাম।

রেফারেন্স সমূহঃ

[১] আর রউজুল আনফ ফী শরহি সীরাতিন নাবাবিয়্যাহ-৬ খণ্ড,৪২ পৃষ্ঠা। উরাইন গোত্রের লোকদের হত্যা করে নবীজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কি অমানবিক কাজ করেছেন?  https://ahlehaqmedia.com/6918/

[২] Anticancer, antiplatelet, gastroprotective and hepatoprotective effects of camel urine: A scoping review: www.ncbi.nlm.nih.gov

[৩] The unique medicinal properties of camel products: A review of the scientific evidence: https://www.sciencedirect.com/science/article/pii/S1658361216000238

[৪] Review on Health Benefits of Camel Urine: Therapeutics Effects and Potential Impact on Public Health Around East Hararghe District; https://www.researchgate.net/publication/347385665_Review_on_Health_Benefits_of_Camel_Urine_Therapeutics_Effects_and_Potential_Impact_on_Public_Health_Around_East_Hararghe_District

[৫] Clastogenic, anti-clastogenic profile and safety assessment of Camel urine towards the development of new drug target; https://pubmed.ncbi.nlm.nih.gov/33737110/

[৬] The Antiplatelet Activity of Camel Urine https://www.liebertpub.com/doi/10.1089/acm.2010.0473

[৭] Camel Urotherapy and Hepatoprotective Effects Against Carbon Tetrachloride-induced Liver Toxicity https://scialert.net/abstract/?doi=ijp.2019.696.705&fbclid=IwAR2bDVPA6CqEWMyjajefFOq_KEqFdeAY72EVCvkC26abPWrmG0lsH4ZOh18

[৮] Camel urine components display anti-cancer properties in vitro. https://www.semanticscholar.org/paper/Camel-urine-components-display-anti-cancer-in-Al-Yousef-Gaafar/45a46f8af4c08961b40602e54298e7c023efb002?fbclid=IwAR2bDVPA6CqEWMyjajefFOq_KEqFdeAY72EVCvkC26abPWrmG0lsH4ZOh18

[৯] Camel urine components display anti-cancer properties in vitro https://www.sciencedirect.com/science/article/abs/pii/S0378874112005235?fbclid=IwAR34xMxgpL1-4x5PimuLDZht2UAgDWK1xufs8SZ_852YIIOhd87j0evedIg

[১০] Is it permissible for her to inject urine for medicinal purposes? https://islamqa.info/en/answers/175286/is-it-permissible-for-her-to-inject-urine-for-medicinal-purposes

[১১] The Prophet Advised Drinking Camel Urine: Is It True & Why: https://theislamicpost.com/drinking-camel-urine-hadith/#Is_Medication_with_camels_urine_allowed_in_Islam

[১২] Camel Urine in Islam: Do Hindus and Western Non-Muslims Have Any Grounds for Objection? https://muslimskeptic.com/2022/04/26/camel-urine-hadith/

[১৩] Would It Be Permissible To Use Cream That Has Camel Urine In It For Medical Reasons:https://daruliftabirmingham.co.uk/home/would-it-be-permissible-to-use-cream-that-has-camel-urine-in-it-for-medical-reasons/


[১৪] Did Prophet Muhammad prescribe camel urine and milk as medicine?

https://www.answering-christianity.com/urine.htm


=============================

যে লেখা গুলো আপনার পড়া প্রয়োজনঃ


বিজ্ঞানের সাথে নাস্তিক মুক্তমনাদের দ্বন্দ্ব


বীর্য নির্গত তথ্যে কুরআনে বৈজ্ঞানিক ভুল?


সূর্য আরশের নিচে সেজদা দেয় বৈজ্ঞানিক ভুল?


কুরআন পৃথিবীর আকৃতি সমতল চ্যাপ্টা বলে?


কুরআন হাদিসের দাবি চাঁদের নিজস্ব আলো?


আজওয়া খেজুর খেলে বিষ কাজ করে না?


==============================


এমডি আলী

যিনি একজন লেখক, বিতার্কিক ও গবেষক। বিভিন্ন ধর্ম ও মতবাদ বিষয় পড়াশোনা করেন। ইসলামের সত্যতা মানুষের কাছে ছড়িয়ে দিতে চান। “সত্যের অনুভূতি” উনার লেখা প্রথম বই। “ফ্যান্টাস্টিক হামজা” দ্বিতীয় বই। জবাব দেবার পাশাপাশি নাস্তিক মুক্তমনাদের যৌক্তিক সমালোচনা করে থাকেন।

Previous Post Next Post